আল-লুলু ওয়াল মারজান ১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/১. ঈমান কী এবং তার বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা।

৫. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসমক্ষে উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময় তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করলেন ’ঈমান কী?’ তিনি বললেনঃ ’ঈমান হল, আপনি বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, (কিয়ামতের দিন) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। আপনি আরো বিশ্বাস রাখবেন পুনরুত্থানের প্রতি।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ’ইসলাম কী?’ তিনি বললেনঃ ’ইসলাম হল, আপনি আল্লাহর ’ইবাদাত করবেন এবং তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন করবেন না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবেন, ফরজ যাকাত আদায় করবেন এবং রমাযান-এর সিয়ামব্রত পালন করবেন।’

ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ’ইহসান কী?’ তিনি বললেনঃ ’আপনি এমনভাবে আল্লাহর ’ইবাদাত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।’ ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ’কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ’এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞেসকারী অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত নন। তবে আমি আপনাকে কিয়ামতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (কিয়ামতের বিষয়) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ জানে না।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ ’কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই নিকট......।’ (সূরা লুক্বমানঃ ৩৪)

এরপর ঐ ব্যক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ’তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ’ইনি জিবরীল (আঃ)। লোকেদেরকে তাদের দ্বীন শেখাতে এসেছিলেন।’

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَارِزًا يَوْمًا لِلنَّاسِ فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ مَا الْإِيمَانُ قَالَ الْإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَبِلِقَائِهِ وَرُسُلِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ قَالَ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ الإِسْلامُ أَنْ تَعْبُدَ اللهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ قَالَ مَا الْإِحْسَانُ قَالَ أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنْ السَّائِلِ وَسَأُخْبِرُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا وَلَدَتْ الْأَمَةُ رَبَّهَا وَإِذَا تَطَاوَلَ رُعَاةُ الْإِبِلِ الْبُهْمُ فِي الْبُنْيَانِ فِي خَمْسٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللهُ ثُمَّ تَلاَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ الْآيَةَ ثُمَّ أَدْبَرَ فَقَالَ رُدُّوهُ فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا فَقَالَ هَذَا جِبْرِيلُ جَاءَ يُعَلِّمُ النَّاسَ دِينَهُمْ

حديث ابي هريرة قال كان النبي صلى الله عليه وسلم بارزا يوما للناس فاتاه جبريل فقال ما الايمان قال الايمان ان تومن بالله وملاىكته وكتبه وبلقاىه ورسله وتومن بالبعث قال ما الاسلام قال الاسلام ان تعبد الله ولا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة وتودي الزكاة المفروضة وتصوم رمضان قال ما الاحسان قال ان تعبد الله كانك تراه فان لم تكن تراه فانه يراك قال متى الساعة قال ما المسىول عنها باعلم من الساىل وساخبرك عن اشراطها اذا ولدت الامة ربها واذا تطاول رعاة الابل البهم في البنيان في خمس لا يعلمهن الا الله ثم تلا النبي صلى الله عليه وسلم ان الله عنده علم الساعة الاية ثم ادبر فقال ردوه فلم يروا شيىا فقال هذا جبريل جاء يعلم الناس دينهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/৩. সালাতের বর্ণনা যা ইসলামের অন্যতম রুকন।

৬. তালহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক নাজ্দবাসী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়ায শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু সে কী বলছিল, আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত’। সে বলল, ’আমার উপর এ ছাড়া আরো সালাত আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’আর রমাযানের সওম।’ সে বলল, ’আমার উপর এ ছাড়া আরো সওম আছে?’

তিনি বললেনঃ ’না, তবে নফল আদায় করতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট যাকাতের কথা বললেন। সে বলল, ’আমার ওপর এছাড়া আরো আছে?’ তিনি বললেনঃ ’না; তবে নফল হিসেবে দিতে পার।’ বর্ণনাকারী বলেন, ’সে ব্যক্তি এই ব’লে চলে গেলেন, ’আল্লাহর শপথ! আমি এর চেয়ে অধিকও করব না এবং কমও করব না।’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’সে কৃতকার্য হবে যদি সত্য ব’লে থাকে।’

بَاب بَيَانِ الصَّلَوَاتِ الَّتِي هِيَ أَحَدُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ

. حَدِيْثُ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرَ الرَّأْسِ يُسْمَعُ دَوِيُّ صَوْتِهِ وَلاَ يُفْقَهُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلامِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَقَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَصِيَامُ رَمَضَانَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ قَالَ هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا قَالَ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ قَالَ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ

. حديث طلحة بن عبيد الله يقول جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اهل نجد ثاىر الراس يسمع دوي صوته ولا يفقه ما يقول حتى دنا فاذا هو يسال عن الاسلام فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس صلوات في اليوم والليلة فقال هل علي غيرها قال لا الا ان تطوع قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وصيام رمضان قال هل علي غيره قال لا الا ان تطوع قال وذكر له رسول الله صلى الله عليه وسلم الزكاة قال هل علي غيرها قال لا الا ان تطوع قال فادبر الرجل وهو يقول والله لا ازيد على هذا ولا انقص قال رسول الله صلى الله عليه وسلم افلح ان صدق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/৫. ঈমানের বর্ণনা যার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

৭. আবূ আইউব আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি ’আমল শিক্ষা দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। উপস্থিত লোকজন বললঃ তার কী হয়েছে? তার কী হয়েছে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আল্লাহর ’ইবাদাত করবে, তার সঙ্গে কাউকে শারীক করবে না, সালাত কায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে। একে ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি ঐ সময় তার সওয়ারীর উপর ছিলেন।

بَاب بَيَانِ الْإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةَ

حَدِيْثُ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ فَقَالَ الْقَوْمُ مَا لَهُ مَا لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَرَبٌ مَا لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصِلُ الرَّحِمَ ذَرْهَا قَالَ كَأَنَّهُ كَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ

حديث ابي ايوب الانصاري رضي الله عنه ان رجلا قال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم اخبرني بعمل يدخلني الجنة فقال القوم ما له ما له فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ارب ما له فقال النبي صلى الله عليه وسلم تعبد الله لا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصل الرحم ذرها قال كانه كان على راحلته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/৫. ঈমানের বর্ণনা যার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

৮. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণিত যে, এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন যদি আমি তা সম্পাদন করি তবে জান্নাতে প্রবেশ করবো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর ’ইবাদাত করবে আর তার সাথে অপর কোন কিছু শরীক করবে না। ফরজ সালাত আদায় করবে, ফরজ যাকাত প্রদান করবে, রমাযান মাসে সিয়াম পালন করবে। সে বলল, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তার শপথ করে বলছি, আমি এর চেয়ে বেশী করবো না। যখন সে ফিরে গেল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন জান্নাতী ব্যক্তিকে দেখতে পছন্দ করে সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয়।

بَاب بَيَانِ الْإِيمَانِ الَّذِي يُدْخَلُ بِهِ الْجَنَّةَ

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَالَ تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤَدِّي الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه ان اعرابيا اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال دلني على عمل اذا عملته دخلت الجنة قال تعبد الله لا تشرك به شيىا وتقيم الصلاة المكتوبة وتودي الزكاة المفروضة وتصوم رمضان قال والذي نفسي بيده لا ازيد على هذا فلما ولى قال النبي صلى الله عليه وسلم من سره ان ينظر الى رجل من اهل الجنة فلينظر الى هذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )

পরিচ্ছেদঃ ১/৬. নাবী (ﷺ)-এর উক্তিঃ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত।

৯. ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান। ২. সালাত কায়িম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রমাযানের সওমব্রত পালন করা।

قَوْلُ النَّبِيِّ ﷺ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ

حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بُنِيَ الإِسْلامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ

حديث ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بني الاسلام على خمس شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم واقام الصلاة وايتاء الزكاة والحج وصوم رمضان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১০

পরিচ্ছেদঃ ১/৭. আল্লাহ ও তদীয় রসূলের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ, দ্বীনের শারী‘আত এবং তার প্রতি আহবান।

১০. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেন, যখন আবদুল কায়েস-এর একটি প্রতিনিধি দল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগমন করলেন তখন তিনি বললেনঃ তোমরা কোন্ গোত্রের? কিংবা বললেন, কোন্ প্রতিনিধি দলের? তারা বলল, ’রাবী’আহ গোত্রের।’ তিনি বললেনঃ স্বাগতম সে গোত্র বা সে প্রতিনিধি দলের প্রতি, যারা অপদস্থ ও লজ্জিত না হয়েই আগমন করেছে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! শাহরুল হারাম ব্যতীত অন্য কোন সময় আমরা আপনার নিকট আগমন করতে পারি না। আমাদের এবং আপনার মধ্যে মুযার গোত্রীয় কাফিরদের বসবাস। তাই আমাদের কিছু স্পষ্ট নির্দেশ দিন, যাতে করে আমরা যাদের পিছনে ছেড়ে এসেছি তাদের অবগত করতে পারি এবং যাতে করে আমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারি। তারা পানীয় সম্বন্ধেও জিজ্ঞেস করল। তখন তিনি তাদেরকে চারটি বিষয়ের আদেশ এবং চারটি বিষয় হতে নিষেধ করলেন।

তাদেরকে এক আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে বললেনঃ ’এক আল্লাহর প্রতি কিভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা হয় তা কি তোমরা অবগত আছ?’ তাঁরা বলল, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত।’ তিনি বললেনঃ ’তা হচ্ছে এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত আদায় করা, রমাযানের সওমব্রত পালন করা; আর তোমরা গানীমাতের সম্পদ হতে এক-পঞ্চমাংশ আদায় করবে। তিনি তাদেরকে চারটি বিষয় হতে বিরত থাকতে বললেন। আর তা হচ্ছেঃ সবুজ কলস, শুকনো কদুর খোল, খেজুর বৃক্ষের গুড়ি হতে তৈরী বাসন এবং আলকাতরা দ্বারা রাঙানো পাত্র। রাবী বলেন, বর্ণনাকারী (মুযাফ্‌ফাত-এর স্থলে) কখনও আন্‌-নাক্বীর উল্লেখ করেছেন (দু’টি শব্দের অর্থ একইরূপ)। তিনি আরো বলেন, তোমরা এ বিষয়গুলো ভালো করে জেনে নাও এবং অন্যদেরও এগুলো অবগত কর।

بَاب الْأَمْرِ بِالْإِيمَانِ بِاللهِ تَعَالَى وَرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَائِعِ الدِّينِ وَالدُّعَاءِ إِلَيْهِ

حَدِيْثُ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوْا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ الْقَوْمُ أَوْ مَنْ الْوَفْدُ قَالُوا رَبِيعَةُ قَالَ مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا لاَ نَسْتَطِيعُ أَنْ نَأْتِيكَ إِلاَّ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلْ بِهِ الْجَنَّةَ وَسَأَلُوهُ عَنِ الْأَشْرِبَةِ فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالْإِيمَانِ بِاللهِ وَحْدَهُ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللهِ وَحْدَهُ قَالُوا اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصِيَامُ رَمَضَانَ وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغْنَمِ الْخُمُسَ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ عَنِ الْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ وَرُبَّمَا قَالَ الْمُقَيَّرِ وَقَالَ احْفَظُوهُنَّ وَأَخْبِرُوا بِهِنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ

حديث ابن عباس ان وفد عبد القيس لما اتوا النبي صلى الله عليه وسلم قال من القوم او من الوفد قالوا ربيعة قال مرحبا بالقوم او بالوفد غير خزايا ولا ندامى فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا لا نستطيع ان ناتيك الا في الشهر الحرام وبيننا وبينك هذا الحي من كفار مضر فمرنا بامر فصل نخبر به من وراءنا وندخل به الجنة وسالوه عن الاشربة فامرهم باربع ونهاهم عن اربع امرهم بالايمان بالله وحده قال اتدرون ما الايمان بالله وحده قالوا الله ورسوله اعلم قال شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم واقام الصلاة وايتاء الزكاة وصيام رمضان وان تعطوا من المغنم الخمس ونهاهم عن اربع عن الحنتم والدباء والنقير والمزفت وربما قال المقير وقال احفظوهن واخبروا بهن من وراءكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১১

পরিচ্ছেদঃ ১/৭. আল্লাহ ও তদীয় রসূলের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ, দ্বীনের শারী‘আত এবং তার প্রতি আহবান।

১১. ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু’আয (ইবনু জাবাল) (রাযি.)-কে শাসনকর্তা হিসেবে ইয়ামান দেশে পাঠান, তখন বলেছিলেনঃ তুমি আহলে কিতাব লোকদের নিকট যাচ্ছো। সেহেতু প্রথমে তাদের আল্লাহর ’ইবাদাতের দাওয়াত দিবে। যখন তারা আল্লাহর পরিচয় লাভ করবে, তখন তাদের তুমি বলবে যে, আল্লাহ দিন-রাতে তাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করে দিয়েছেন। যখন তারা তা আদায় করতে থাকবে, তখন তাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন, যা তাদের ধন-সম্পদ হতে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়া হবে। যখন তারা এর অনুসরণ করবে তখন তাদের হতে তা গ্রহণ করবে এবং লোকের উত্তম মাল গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

بَاب الْأَمْرِ بِالْإِيمَانِ بِاللهِ تَعَالَى وَرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَائِعِ الدِّينِ وَالدُّعَاءِ إِلَيْهِ

حَدِيْثُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى الْيَمَنِ قَالَ إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللهِ فَإِذَا عَرَفُوا اللهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا فَعَلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوا بِهَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِ النَّاسِ

حديث ابن عباس رضي الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لما بعث معاذا رضي الله عنه على اليمن قال انك تقدم على قوم اهل كتاب فليكن اول ما تدعوهم اليه عبادة الله فاذا عرفوا الله فاخبرهم ان الله قد فرض عليهم خمس صلوات في يومهم وليلتهم فاذا فعلوا فاخبرهم ان الله فرض عليهم زكاة من اموالهم وترد على فقراىهم فاذا اطاعوا بها فخذ منهم وتوق كراىم اموال الناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১২

পরিচ্ছেদঃ ১/৭. আল্লাহ ও তদীয় রসূলের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ, দ্বীনের শারী‘আত এবং তার প্রতি আহবান।

১২. ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু’আয (রাযি.)-কে ইয়ামানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা, তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।

بَاب الْأَمْرِ بِالْإِيمَانِ بِاللهِ تَعَالَى وَرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَائِعِ الدِّينِ وَالدُّعَاءِ إِلَيْهِ

حَدِيْثُ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ

حديث ابن عباس عن ابن عباس رضي الله عنهما ان النبي صلى الله عليه وسلم بعث معاذا الى اليمن فقال اتق دعوة المظلوم فانها ليس بينها وبين الله حجاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৩

পরিচ্ছেদঃ ১/৮. যে পর্যন্ত লোকেরা ‘আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রসূল’ না বলবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়ার নির্দেশ।

১৩. আবূ বকর ও ’উমার (রাযি.)-এর হাদীস। আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইনতিকাল করলেন এবং আবূ বকর (রাযি.) খিলাফত লাভ করলেন। আরবদের মধ্য হতে যারা কাফির হওয়ার হলো তখন ’উমার (রাযি.) বললেন, কেমন করে তুমি মানুষদের সাথে যুদ্ধ করবে? অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশিত হয়েছি। যে ব্যক্তি এ কথা বলবে সে তার নিজের জান এবং মালকে রক্ষা করল। কিন্তু ইসলামের অধিকারে (অর্থাৎ ইসলাম যদি তার জান ও মাল কুরবান করতে চায় তাহলে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়) তাকে হত্যা বা তার মাল কুরবান করতে পারেন।

আবূ বকর (রাযি.) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমি যুদ্ধ করবো যারা সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, কেননা যাকাত হল সম্পদের উপর আরোপিত হাক্ব। আল্লাহর কসম, যদি তারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিতেও অস্বীকৃতি জানায় যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তারা দিত, তাহলে যাকাত না দেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করবো। ’উমার (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহর কসম, আল্লাহ আবূ বকর (রাযি.)-এর হৃদয় বিশেষ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত করেছেন বিধায় তাঁর এ দৃঢ়তা, এতে আমি বুঝতে পারলাম তাঁর সিদ্ধান্তই যথার্থ।

بَاب الْأَمْرِ بِقِتَالِ النَّاسِ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ

حَدِيْثُ ابي بكر وعمر رضي الله عنه قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ فَقَالَ وَاللهِ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ وَاللهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا
قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ قَدْ شَرَحَ اللهُ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ

حديث ابي بكر وعمر رضي الله عنه قال ابو هريرة رضي الله عنه لما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وكان ابو بكر رضي الله عنه وكفر من كفر من العرب فقال عمر رضي الله عنه كيف تقاتل الناس وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فمن قالها فقد عصم مني ماله ونفسه الا بحقه وحسابه على الله فقال والله لاقاتلن من فرق بين الصلاة والزكاة فان الزكاة حق المال والله لو منعوني عناقا كانوا يودونها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم لقاتلتهم على منعها قال عمر رضي الله عنه فوالله ما هو الا ان قد شرح الله صدر ابي بكر رضي الله عنه فعرفت انه الحق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৪

পরিচ্ছেদঃ ১/৮. যে পর্যন্ত লোকেরা ‘আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রসূল’ না বলবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়ার নির্দেশ।

১৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত লোকেদের সঙ্গে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে আর যে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলবে সে তার জান ও মাল আমার হাত থেকে বাঁচিয়ে নিল। অবশ্য ইসলামের কর্তব্যাদি আলাদা, আর তার হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত।

بَاب الْأَمْرِ بِقِتَالِ النَّاسِ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ

حَدِيْثُ أَبَي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فمن قال لا اله الا الله فقد عصم مني نفسه وماله الا بحقه وحسابه على الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৫

পরিচ্ছেদঃ ১/৮. যে পর্যন্ত লোকেরা ‘আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রসূল’ না বলবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়ার নির্দেশ।

১৫. ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি লোকেদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য নির্দেশিত হয়েছি, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, আর সালাত প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত আদায় করে। তারা যদি এগুলো করে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করলো; অবশ্য ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোন কারণ থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের ভার আল্লাহর ওপর অর্পিত।

بَاب الْأَمْرِ بِقِتَالِ النَّاسِ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ

. حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّ الإِسْلامِ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ

. حديث ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال امرت ان اقاتل الناس حتى يشهدوا ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم ويقيموا الصلاة ويوتوا الزكاة فاذا فعلوا ذلك عصموا مني دماءهم واموالهم الا بحق الاسلام وحسابهم على الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৬

পরিচ্ছেদঃ ১/৯. ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলা ঈমানের প্রথম।

১৬. মুসায়্যিব ইবনু হাযন্ বলেন, যখন আবূ তালেবের মৃত্যু ঘণিয়ে আসে তার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন এবং তার নিকট আবূ জাহল বিন হিশাম ও ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়াহ ইবনু মুগীরাকে পেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ তালিবকে বললেন, হে চাচা! কালিমা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বল, আমি তোমার জন্য কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলার নিকট এর সাক্ষ্য দিবো। আবূ জাহল ও আব্দূল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়াহ বলল, হে আবূ তালিব! তুমি ’আব্দূল মুত্তালিব এর দ্বীন থেকে বিমুখ হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ঐ কালিমা বার বার উপস্থাপন করতে থাকেন এবং তারা দু’জন বার বার ঐ কথা পুনরাবৃত্তি করতে থাকে এবং আবূ তালিবের সর্বশেষ কথা ছিল সে আব্দুল মুত্তালিবের ধর্মের উপরে (মৃত্যু বরণ করল) এবং সে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলতে অস্বীকার করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকবো। যতক্ষণ না আমাকে এ থেকে নিষেধ করা হয়। তখন মহান আল্লাহ তা’আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।

أَوَّلِ الإ<ِيْمَانِ قَوْلُ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ الله

حَدِيْثُ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْ أَبَا طَالِبٍ الْوَفَاةُ جَاءَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ عِنْدَهُ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِأَبِي طَالِبٍ يَا عَمِّ قُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ كَلِمَةً أَشْهَدُ لَكَ بِهَا عِنْدَ اللهِ فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ يَا أَبَا طَالِبٍ أَتَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَعْرِضُهَا عَلَيْهِ وَيَعُودَانِ بِتِلْكَ الْمَقَالَةِ حَتَّى قَالَ أَبُو طَالِبٍ آخِرَ مَا كَلَّمَهُمْ هُوَ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَأَبَى أَنْ يَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَا وَاللهِ لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ مَا لَمْ أُنْهَ عَنْكَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى فِيهِ مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ الْآيَةَ

حديث سعيد بن المسيب عن ابيه انه اخبره انه لما حضرت ابا طالب الوفاة جاءه رسول الله صلى الله عليه وسلم فوجد عنده ابا جهل بن هشام وعبد الله بن ابي امية بن المغيرة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لابي طالب يا عم قل لا اله الا الله كلمة اشهد لك بها عند الله فقال ابو جهل وعبد الله بن ابي امية يا ابا طالب اترغب عن ملة عبد المطلب فلم يزل رسول الله صلى الله عليه وسلم يعرضها عليه ويعودان بتلك المقالة حتى قال ابو طالب اخر ما كلمهم هو على ملة عبد المطلب وابى ان يقول لا اله الا الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما والله لاستغفرن لك ما لم انه عنك فانزل الله تعالى فيه ما كان للنبي الاية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৭

পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।

১৭. ’উবাদাহ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল- আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল আর নিশ্চয়ই ’ঈসা (’আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তাঁর সেই কালিমাহ যা তিনি মারইয়ামকে পৌঁছিয়েছেন এবং তাঁর নিকট হতে একটি রূহ মাত্র, আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, তার ’আমল যাই হোক না কেন। ওয়ালীদ (রহঃ) .... জুনাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে জুনাদাহ অতিরিক্ত বলেছেন যে, জান্নাতে আট দরজার যেখান দিয়েই সে চাইবে।

مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ

حَدِيْثُ عَنْ عُبَادَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ قَالَ الْوَلِيدُ حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ عَنْ عُمَيْرٍ عَنْ جُنَادَةَ وَزَادَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ أَيَّهَا شَاء

حديث عن عبادة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال من شهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله وان عيسى عبد الله ورسوله وكلمته القاها الى مريم وروح منه والجنة حق والنار حق ادخله الله الجنة على ما كان من العمل قال الوليد حدثني ابن جابر عن عمير عن جنادة وزاد من ابواب الجنة الثمانية ايها شاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৮

পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।

১৮. মু’আয ইবনু জাবাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে বসা ছিলাম। আমার ও তাঁর মাঝে লাগামের রশির প্রান্তদেশ ভিন্ন অন্য কিছুই ছিল না। তিনি বললেনঃ মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! অতঃপর কিছুক্ষণ চললেন। পুনরায় বললেনঃ হে মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! অতঃপর আরও কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল তিনি বললেনঃ তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা কেবল তাঁরই ’ইবাদাত করবে, অন্য কিছুকে তাঁর শরীক করবে না। এরপর কিছু সময় চললেন। অতঃপর বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ বান্দারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে, তখন আল্লাহর প্রতি বান্দার অধিকার কি, তা জান কি? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার এই যে, তিনি তাদের ’আযাব দিবেন না।

مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ

حَدِيْثُ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَا أَنَا رَدِيفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ أَخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ فَقَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ إِذَا فَعَلُوهُ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ

حديث معاذ بن جبل رضي الله عنه قال بينا انا رديف النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ليس بيني وبينه الا اخرة الرحل فقال يا معاذ بن جبل قلت لبيك رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك ثم سار ساعة ثم قال يا معاذ قلت لبيك رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك ثم سار ساعة ثم قال يا معاذ قلت لبيك رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك قال هل تدري ما حق الله على عباده قلت الله ورسوله اعلم قال حق الله على عباده ان يعبدوه ولا يشركوا به شيىا ثم سار ساعة ثم قال يا معاذ بن جبل قلت لبيك رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك فقال هل تدري ما حق العباد على الله اذا فعلوه قلت الله ورسوله اعلم قال حق العباد على الله ان لا يعذبهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
১৯

পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।

১৯. মু’আয ইবনু জাবাল (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ’উফাইর নামক গাধার পিছনে সওয়ারী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে মু’আয! তুমি কি জান আল্লাহর তাঁর বান্দার উপর কী হক্ব এবং আল্লাহর উপর বান্দার কী হক্ব। আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক্ব হচ্ছে সে তাঁর ’ইবাদাত করবে এবং তাতে কাউকে অংশীদার করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক্ব হচ্ছে তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার না করলে তাকে শাস্তি না দেয়া। মু’আয (রাযি.) বললেন, আমি কি মানুষদেরকে এর সুসংবাদ দেব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদেরকে এই সুসংবাদ দিও না। কেননা তারা এর উপর ভরসা করে বসে থাকবে (তারা বেশী করে ভাল কাজ করবে না)।

مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ

حَدِيْثُ مُعَاذٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ فَقَالَ يَا مُعَاذُ هَلْ تَدْرِي حَقَّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقَّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلاَ أُبَشِّرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ لاَ تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوا

حديث معاذ رضي الله عنه قال كنت ردف النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم على حمار يقال له عفير فقال يا معاذ هل تدري حق الله على عباده وما حق العباد على الله قلت الله ورسوله اعلم قال فان حق الله على العباد ان يعبدوه ولا يشركوا به شيىا وحق العباد على الله ان لا يعذب من لا يشرك به شيىا فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم افلا ابشر به الناس قال لا تبشرهم فيتكلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
২০

পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।

২০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, একদা মু’আয (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সওয়ারীতে ছিলেন, তখন তিনি তাকে ডাকলেন, হে মু’আয ইবনু জাবাল! মু’আয (রাযি.) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সার্বিক সহযোগিতা ও খিদমাতে হাযির আছি। তিনি ডাকলেন, মু’আয! মু’আয (রাযি.) উত্তর দিলেন, আমি হাযির, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এবং প্রস্তুত।’ তিনি আবার ডাকলেন, মু’আয। তিনি উত্তর দিলেন, ’আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এবং প্রস্তুত’। এরূপ তিনবার করলেন। অতঃপর বললেনঃ যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ’আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’- তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম হারাম করে দিবেন। মু’আয (রাযি.) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি মানুষকে এ খবর দেব না, যাতে তারা সুসংবাদ পেতে পারে?’ তিনি বললেন, ’তাহলে তারা এর উপরই ভরসা করবে।’ মু’আয (রাযি.) (জীবন ভর এ হাদীসটি বর্ণনা করেন নি) মৃত্যুর সময় এ হাদীসটি বর্ণনা করে গেছেন যাতে (ইলম গোপন রাখার) গুনাহ্ না হয়।

مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ

حَدِيْثُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمُعاذٌ رَدِيفُهُ عَلَى الرَّحْلِ قَالَ يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ قَالَ يَا مُعَاذُ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثَلَاثًا قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِدْقًا مِنْ قَلْبِهِ إِلاَّ حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلاَ أُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ فَيَسْتَبْشِرُوا قَالَ إِذًا يَتَّكِلُوا وَأَخْبَرَ بِهَا مُعَاذٌ عِنْدَ مَوْتِهِ تَأَثُّمًا

حديث انس بن مالك ان النبي صلى الله عليه وسلم ومعاذ رديفه على الرحل قال يا معاذ بن جبل قال لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك قال يا معاذ قال لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك ثلاثا قال ما من احد يشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم صدقا من قلبه الا حرمه الله على النار قال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم افلا اخبر به الناس فيستبشروا قال اذا يتكلوا واخبر بها معاذ عند موته تاثما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
২১

পরিচ্ছেদঃ ১/১২. ঈমানের শাখা-প্রশাখা।

২১. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের ষাটেরও অধিক শাখা রয়েছে। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি শাখা।

باب شعب الامان

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الْإِيمَانِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال الايمان بضع وستون شعبة والحياء شعبة من الايمان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
২২

পরিচ্ছেদঃ ১/১২. ঈমানের শাখা-প্রশাখা।

২২. ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তিনি তাঁর ভাইকে তখন (অধিক) লজ্জা ত্যাগের জন্য নসীহাত করছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ ওকে ছেড়ে দাও। কারণ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।

باب شعب الامان

. حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ ابنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الْإِيمَانِحَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الْإِيمَانِ

. حديث عبد الله ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مر على رجل من الانصار وهو يعظ اخاه في الحياء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم دعه فان الحياء من الايمانحديث ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال الايمان بضع وستون شعبة والحياء شعبة من الايمان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
২৩

পরিচ্ছেদঃ ১/১২. ঈমানের শাখা-প্রশাখা।

২৩. ’ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লজ্জাশীলতা মঙ্গল ছাড়া আর কিছু আনে না।

باب شعب الامان

. حَدِيْثُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ

. حديث عمران بن حصين قال قال النبي صلى الله عليه وسلم الحياء لا ياتي الا بخير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
২৪

পরিচ্ছেদঃ ১/১৪. ইসলামের ফযীলতের বর্ণনা এবং তার কোন্ কাজটি সর্বোত্তম।

২৪. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামের কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে ও চেনা অচেনা সকলকে সালাম দিবে।

بَاب بَيَانِ تَفَاضُلِ الْإِسْلَامِ وَأَيُّ أُمُورِهِ أَفْضَلُ

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الإِسْلامِ خَيْرٌ قَالَ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلَامَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ

عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما ان رجلا سال النبي صلى الله عليه وسلم اي الاسلام خير قال تطعم الطعام وتقرا السلام على من عرفت ومن لم تعرف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১/ ঈমান (كتاب الإيمان )
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »