আল-লুলু ওয়াল মারজান ৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৪. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলোক শিকারে পাঠিয়ে থাকি। তিনি বললেনঃ কুকুরগুলো তোমার জন্য যেটি ধরে রাখে সেটি খাও। আমি বললামঃ যদি ওরা হত্যা করে ফেলে? তিনি বললেনঃ যদি ওরা হত্যাও করে ফেলে। আমি বললামঃ আমরা তো ফলকের সাহায্যেও শিকার করে থাকি। তিনি বললেনঃ সেটি খাও, যেটি তীরে যখম করেছে; আর যেটি তীরের পার্শ্বের আঘাতে মারা গেছে সেটি খেও না।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا نُرْسِلُ الْكِلاَبَ الْمُعَلَّمَةَ، قَالَ: كُلْ مَا أَمْسَكْنَ عَلَيْكَ قُلْتُ: وَإِنْ قَتَلْنَ قَالَ: وَإِنْ قَتَلْنَ قُلْتُ: وَإِنَّا نَرْمِي بِالْمِعْرَاضِ، قَالَ: كُلْ مَا خَزَقَ، وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَلاَ تَأْكُلْ

حديث عدي بن حاتم رضي الله عنه، قال: قلت يا رسول الله انا نرسل الكلاب المعلمة، قال: كل ما امسكن عليك قلت: وان قتلن قال: وان قتلن قلت: وانا نرمي بالمعراض، قال: كل ما خزق، وما اصاب بعرضه فلا تاكل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৫. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ আমরা এমন সম্প্রদায়, যারা এ সকল কুকুরের দ্বারা শিকার করে থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি যদি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলোক বিসমিল্লাহ পড়ে পাঠিয়ে থাক তাহলে ওরা যেগুলো আমাদের জন্য ধরে রাখে, তা খাও; যদিও শিকারকে কুকুর হত্যা করে ফেলে। তবে যদি কুকুর শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে (তাহলে খাবে না)। কেননা, তখন আমার আশঙ্কা হয় যে, সে শিকার নিজেরই উদ্দেশে ধরেছে। আর যদি তার সঙ্গে অন্য কুকুর মিলে যায়, তাহলে খাবে না।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: إِنَّا قَوْمٌ نَصِيدُ بِهذِهِ الْكِلاَبِ فَقَالَ: إِذَا أَرْسَلْتَ كِلاَبَكَ الْمُعَلَّمَةَ، وَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَإِنْ قَتَلْنَ، إِلاَّ أَنْ يَأْكُلَ الْكَلْبُ، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا أَمْسَكَهُ عَلَى نَفْسِهِ، وَإِنْ خَالَطَهَا كِلاَبٌ مِنْ غَيْرِهَا فَلاَ تَأْكُلْ

حديث عدي بن حاتم، قال: سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم، قلت: انا قوم نصيد بهذه الكلاب فقال: اذا ارسلت كلابك المعلمة، وذكرت اسم الله فكل مما امسكن عليكم وان قتلن، الا ان ياكل الكلب، فاني اخاف ان يكون انما امسكه على نفسه، وان خالطها كلاب من غيرها فلا تاكل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৬. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পার্শ্বফলা বিহীন তীর (দ্বারা শিকার) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, যদি তীরের ধারালো পার্শ্ব আঘাত করে, তবে সে (শিকারকৃত জানোয়ারের মাংস) খাবে, আর যদি এর ধারহীন পার্শ্বের আঘাতে মারা যায়, তবে তা খাবে না। কেননা তা প্রহারের মৃত, যবহকৃত নয়। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি বিসমিল্লাহ পড়ে আমার (শিকারী) কুকুর ছেড়ে দিয়ে থাকি। পরে তার সাথে শিকারের কাছে (অনেক সময়) অন্য কুকুর দেখতে পাই যার উপর আমি বিসমিল্লাহ পড়িনি এবং আমি জানি না, উভয়ের মধ্যে কে শিকার ধরেছে। তিনি বললেন, তুমি তা খাবে না। তুমি তো তোমার কুকুরের উপর বিসমিল্লাহ পড়েছ, অন্যটির উপর পড়নি।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمِعْرَاضِ، فَقَالَ: إِذَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْ، وَإِذَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّهُ وَقِيْذٌ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أُرْسِلُ كَلْبِي وَأُسَمِّي، فَأَجِدُ مَعَهُ عَلَى الصَّيْدِ كَلْبًا آخَرَ لَمْ أُسَمِّ عَلَيْهِ، وَلاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا أَخَذَ قَالَ: لاَ تَأْكُلْ إِنَّمَا سَمَّيْتَ عَلَى كَلْبِكَ، وَلَمْ تُسَمِّ عَلَى الآخَرِ

حديث عدي بن حاتم رضي الله عنه، قال: سالت النبي صلى الله عليه وسلم عن المعراض، فقال: اذا اصاب بحده فكل، واذا اصاب بعرضه فلا تاكل، فانه وقيذ قلت: يا رسول الله ارسل كلبي واسمي، فاجد معه على الصيد كلبا اخر لم اسم عليه، ولا ادري ايهما اخذ قال: لا تاكل انما سميت على كلبك، ولم تسم على الاخر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৭. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তীরের ফলকের আঘাত দ্বারা লব্ধ শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তীরের ধারালো অংশের দ্বারা যেটি নিহত হয়েছে সেটি খাও। আর ফলকের বাঁটের আঘাতে যেটি নিহত হয়েছে সেটি ’অকীয’ (অর্থাৎ থেতলে যাওয়া মৃতের অন্তর্ভুক্ত)। আমি তাকে কুকুরের দ্বারা লব্ধ শিকার সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, যে শিকারকে কুকুর তোমার জন্য ধরে রাখে সেটি খাও। কেননা, কুকুরের ঘায়েল করা যবাহর হুকুম রাখে। তবে তুমি যদি তোমার কুকুর বা কুকুরগুলোর সঙ্গে অন্য কুকুর পাও এবং তুমি আশঙ্কা কর যে, অন্য কুকুরটিও তোমার কুকুরের শিকার পাকড়াও করেছে এবং হত্যা করেছে, তা হলে তা খেও না। কেননা, তুমি তো কেবল নিজের কুকুরের উপর বিসমিল্লাহ বলেছ। অন্যের কুকুরের ক্ষেত্রে তা বলনি।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَيْدِ الْمِعْرَاضِ قَالَ: مَا أَصَابَ بِحَدِّهِ فَكُلْهُ، وَمَا أَصَابَ بِعَرْضِهِ فَهُوَ وَقِيذٌ وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَيْدِ الْكَلْبِ فَقَالَ: مَا أَمْسَكَ عَلَيْكَ فَكُلْ، فَإِنَّ أَخْذَ الْكَلْبِ ذَكَاةٌ، وَإِنْ وَجَدْتَ مَعَ كَلْبِكَ أَوْ كِلاَبِكَ كَلْبًا غَيْرَهُ فَخَشِيتَ أَنْ يَكُونَ أَخَذَهُ مَعَهُ، وَقَدْ قَتَلَهُ فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّمَا ذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ عَلَى كَلْبِكَ وَلَمْ تَذْكُرْهُ عَلَى غَيْرِهِ

حديث عدي بن حاتم رضي الله عنه، قال: سالت النبي صلى الله عليه وسلم عن صيد المعراض قال: ما اصاب بحده فكله، وما اصاب بعرضه فهو وقيذ وسالته عن صيد الكلب فقال: ما امسك عليك فكل، فان اخذ الكلب ذكاة، وان وجدت مع كلبك او كلابك كلبا غيره فخشيت ان يكون اخذه معه، وقد قتله فلا تاكل، فانما ذكرت اسم الله على كلبك ولم تذكره على غيره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৮. আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : তুমি যদি তোমার কুকুরকে বিসমিল্লাহ পড়ে পাঠাও, এরপর কুকুর শিকার পাকড়াও করে এবং মেরে ফেলে, তবে তুমি তা খেতে পার। আর যদি কুকুর কিছুটা খেয়ে ফেলে, তাহলে খাবে না। কেননা, সে তো নিজের জন্যই ধরেছে। আর যদি এমন কুকুরদের সঙ্গে মিশে যায়, যাদের উপর বিসমিল্লাহ পড়া হয়নি এবং সেগুলো শিকার ধরে মেরে ফেলে, তা হলে তা খাবে না। কেননা, তুমি তো জান না যে, কোন কুকুরটি হত্যা করেছে? আর যদি তুমি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে থাক; এরপর তা একদিন বা দু’দিন পর এমতাবস্থায় হাতে পাও যে, তার গায়ে তোমার তীরের আঘাত ব্যতীত অন্য কিছু নেই, তাহলে খাও। আর যদি তা পানির মধ্যে পড়ে থাকে, তা হলে তা খাবে না।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِذَا أَرْسَلْتَ كَلْبَكَ وَسَمَّيْتَ فَأَمْسَكَ وَقَتَلَ فَكُلْ، وَإِنْ أَكَلَ فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّمَا أَمْسَكَ عَلَى نَفْسِهِ؛ وَإِذَا خَالَطَ كِلاَبًا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللهِ عَلَيْهَا فَأَمْسَكْنَ وَقَتلْنَ فَلاَ تَأْكُلْ، فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَيُّهَا قَتَلَ؛ وَإِنْ رَمَيْتَ الصَّيْدَ فَوَجَدْتَهُ بَعْدَ يَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ لَيْسَ بِهِ إِلاَّ أَثَرُ سَهْمِكَ فَكُلْ، وَإِنْ وَقَعَ فِي الْمَاءِ فَلاَ تَأْكُلْ

حديث عدي بن حاتم رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: اذا ارسلت كلبك وسميت فامسك وقتل فكل، وان اكل فلا تاكل، فانما امسك على نفسه؛ واذا خالط كلابا لم يذكر اسم الله عليها فامسكن وقتلن فلا تاكل، فانك لا تدري ايها قتل؛ وان رميت الصيد فوجدته بعد يوم او يومين ليس به الا اثر سهمك فكل، وان وقع في الماء فلا تاكل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/১. প্রশিক্ষিত কুকুর দ্বারা শিকার করা।

১২৫৯. আবু সালাবা আল খুশানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস করি। আমরা কি তাদের থালায় খেতে পারি? তাছাড়া আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি। তীর ধনুকের সাহায্যে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দিয়ে শিকার করে থাকি। এমতাবস্থায় আমার জন্য কোনটা বৈধ হবে? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি যে সকল আহলে কিতাবের কথা উল্লেখ করলে তাতে বিধান হলঃ যদি অন্য পাত্র পাও তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি না পাও, তাহলে তাদের পাত্রগুলো ধুয়ে নিয়ে তাতে আহার কর। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার তীর ধনুকের সাহায্যে শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ, সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দ্বারা শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ, সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দ্বারা শিকার করেছ, সেটি যদি যবহ করতে পার তবে তা খেতে পার।

الصيد بالكلاب المعلمة

حديث أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، قَالَ: قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَفَنَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ وَبِأَرْضِ صَيْدٍ، أَصِيدُ بِقَوْسِي وَبِكَلْبِي الَّذِي لَيْسَ بِمُعَلَّمٍ وَبِكَلْبِي الْمُعَلَّمِ، فَمَا يَصْلُحُ لِي قَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَإِنْ وَجَدْتُمْ غَيْرَهَا فَلاَ تَأْكُلُوا فِيهَا، وَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَاغْسِلوهَا وَكُلُوا فِيهَا، وَمَا صِدْتَ بِقَوْسِكَ فَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ، وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ الْمُعَلَّمِ فَذَكَرْتَ اسْمَ اللهِ فَكُلْ وَمَا صِدْتَ بِكَلْبِكَ غَيْرَ مُعَلَّمٍ فَأَدْرَكْتَ ذَكَاتَهُ فَكُلْ

حديث ابي ثعلبة الخشني، قال: قلت يا نبي الله انا بارض قوم اهل الكتاب، افناكل في انيتهم وبارض صيد، اصيد بقوسي وبكلبي الذي ليس بمعلم وبكلبي المعلم، فما يصلح لي قال: اما ما ذكرت من اهل الكتاب فان وجدتم غيرها فلا تاكلوا فيها، وان لم تجدوا فاغسلوها وكلوا فيها، وما صدت بقوسك فذكرت اسم الله فكل، وما صدت بكلبك المعلم فذكرت اسم الله فكل وما صدت بكلبك غير معلم فادركت ذكاته فكل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬০

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৩. প্রত্যেক বিষদাঁত বিশিষ্ট জন্তু ও প্রত্যেক নখর বিশিষ্ট পাখি খাওয়া হাৱাম।

১২৬০. আবু সালাবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁত বিশিষ্ট সর্বপ্রকার হিংস্ৰ জন্তু খেতে নিষেধ করেছেন।

تحريم أكل كل ذي ناب من السباع وكل ذي مخلب من الطير

حديث أَبِي ثَعْلَبَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهى عَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنْ السِّبَاعِ

حديث ابي ثعلبة رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن اكل كل ذي ناب من السباع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬১

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৪. সাগরের মৃত (বৈধ) জন্তু খাওয়া বৈধ।

১২৬১. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তিনশ’ সওয়ারীর একটি সৈন্যবাহিনীকে কুরাইশদের একটি কাফেলার উপর সুযোগ মতো আক্রমণ চালানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন। আবু ’উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) ছিলেন আমাদের সেনাপতি । আমরা অর্ধমাস সমুদ্র তীরে অবস্থান করলাম। ভয়ানক ক্ষুধা আমাদেরকে পেয়ে বসল। ক্ষুধার জ্বালায় গাছের পাতা খেতে থাকলাম। এ জন্যই এ সৈন্যবাহিনীর নাম রাখা হয়েছে জায়শুল খাবাত অৰ্থাৎ পাতাওয়ালা সেনাদল। এরপর সমুদ্র আমাদের জন্য আম্বর নামক একটি প্রাণী নিক্ষেপ করল। আমরা অর্ধমাস ধরে তা থেকে খেলাম। এর চর্বি শরীরে লাগালাম । ফলে আমাদের শরীর পূর্বের মত হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেল।

এরপর আবু ’উবাইদাহ (রাঃ) আম্বরটির শরীর থেকে একটি পাঁজর ধরে খাড়া করালেন। এরপর তাঁর সাথীদের মধ্যকার সবচেয়ে লম্বা লোকটিকে আসতে বললেন। সুফইয়ান আরেক বর্ণনায় বলেছেন, আবু ’উবাইদাহ (রাঃ) আম্বরটির পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্য থেকে একটি হাড় ধরে খাড়া করালেন এবং (ঐ) লোকটিকে উটের পিঠে বসিয়ে এর নিচে দিয়ে অতিক্রম করালেন। জাবির (রাঃ) বলেন, সেনাদলের এক ব্যক্তি (খাদ্যের অভাব দেখে) প্রথমে তিনটি উট যবেহ করেছিলেন, তারপর আরো তিনটি উট যবেহ করেছিলেন, তারপর আরো তিনটি উট যবেহ করেছিলেন। এরপর আবূ উবাইদাহ (রাঃ) তাকে (উট যবেহ করতে) নিষেধ করলেন।

إِباحة ميتة البحر

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَمِائَةِ رَاكِبٍ، أَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، نَرْصُدُ عِيرَ قُرَيْشٍ، فَأَقَمْنَا بِالسَّاحِلِ نِصْفَ شَهْرٍ، فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتَّى أَكَلْنَا الْخَبَطَ، فَسُمِّيَ ذَلِكَ الْجَيْشُ جَيْشَ الْخَبَطِ فَأَلْقَى لَنَا الْبحْرُ دَابَّةً يُقَالُ لَهَا الْعَنْبَرُ، فَأَكَلْنَا مِنْهُ نِصْفَ شَهْرٍ، وَادَّهَنَّا مِنْ وَدَكِهِ، حَتَّى ثَابَتْ إِلَيْنَا أَجْسَامُنَا فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِهِ فَنَصَبَهُ، فَعَمَدَ إِلَى أَطْوَلِ رَجُلٍ مَعَهُ، وَأَخَذَ رَجُلاً وَبَعِيرًا فَمَرَّ تَحْتَه
قَالَ جَابِرٌ: وَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ ثُمَّ إِنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ نَهَاهُ

حديث جابر بن عبد الله، قال: بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثماىة راكب، اميرنا ابو عبيدة بن الجراح، نرصد عير قريش، فاقمنا بالساحل نصف شهر، فاصابنا جوع شديد حتى اكلنا الخبط، فسمي ذلك الجيش جيش الخبط فالقى لنا البحر دابة يقال لها العنبر، فاكلنا منه نصف شهر، وادهنا من ودكه، حتى ثابت الينا اجسامنا فاخذ ابو عبيدة ضلعا من اضلاعه فنصبه، فعمد الى اطول رجل معه، واخذ رجلا وبعيرا فمر تحته قال جابر: وكان رجل من القوم نحر ثلاث جزاىر ثم نحر ثلاث جزاىر ثم نحر ثلاث جزاىر ثم ان ابا عبيدة نهاه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬২

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬২. ’আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার যুদ্ধের দিন মহিলাদের মুতআহ (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিয়ে) করা থেকে এবং গৃহপালিত গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَعَنْ أَكْلِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ

حديث علي بن ابي طالب رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن متعة النساء يوم خيبر، وعن اكل الحمر الانسية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৩. আবু সালাবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া হারাম করেছেন।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث أَبِي ثَعْلَبَةَ، قَالَ: حَرَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لُحُومَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ

حديث ابي ثعلبة، قال: حرم رسول الله صلى الله عليه وسلم لحوم الحمر الاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৪. ইবুন ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: نَهى النَّبيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ لحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ

حديث ابن عمر، قال: نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن اكل لحوم الحمر الاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৫. ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বারের যুদ্ধের সময় আমরা ক্ষুধায় কষ্ট ভোগ করছিলাম। খায়বার বিজয়ের দিন আমরা পালিত গাধার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং তা যব্‌হ করলাম। যখন তা হাঁড়িতে ফুটছিল তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষণা দানকারী ঘোষণা দিলঃ তোমরা হাঁড়িগুলো উপুড় করে ফেল। গাধার মাংস হতে তোমরা কিছুই খাবে না। আবদুল্লাহ (ইনু আবূ আওফা) (রাঃ) বলেন, আমরা বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কারণে নিষেধ করেছেন, যেহেতু তা হতে খুমুস বের করা হয়নি। (রাবী বলেন) আর অন্যরা বললেন, বরং তিনি এটাকে অবশ্যই হারাম করেছেন।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث ابْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: أَصَابَتْنَا مَجَاعَةٌ، لَيَالِيَ خَيْبَرَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ، وَقَعْنَا فِي الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فَانْتَحَرْنَاهَا، فَلَمَّا غَلَتِ الْقُدُورُ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْفِئُوا الْقُدُورَ فَلاَ تَطْعَمُوا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ شَيْئًا قَالَ عَبْدُ اللهِ (هُوَ ابْنُ أَبِي أَوْفَى) : فَقُلْنَا إِنَّمَا نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَنَّهَا لَمْ تُخَمَّسْ، قَالَ: وَقَالَ آخَرُونَ حَرَّمَهَا الْبَتَّةَ

حديث ابن ابي اوفى، قال: اصابتنا مجاعة، ليالي خيبر، فلما كان يوم خيبر، وقعنا في الحمر الاهلية فانتحرناها، فلما غلت القدور نادى منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم اكفىوا القدور فلا تطعموا من لحوم الحمر شيىا قال عبد الله (هو ابن ابي اوفى) : فقلنا انما نهى النبي صلى الله عليه وسلم لانها لم تخمس، قال: وقال اخرون حرمها البتة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৬. বারাআ এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। (খাইবার যুদ্ধে) তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা গাধার মাংস পেলেন। তাঁরা তা রান্না করলেন। এমন সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন, পাতিলগুলো উল্টে ফেল।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث الْبَرَاءِ وَعَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَصَابُوا حُمُرًا فَطَبَخُوهَا، فَنَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَكْفِئُوا الْقُدُورَ

حديث البراء وعبد الله بن ابي اوفى، انهم كانوا مع النبي صلى الله عليه وسلم فاصابوا حمرا فطبخوها، فنادى منادي النبي صلى الله عليه وسلم: اكفىوا القدور

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৭. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জানি না, গৃহপালিত গাধাগুলো মানুষের মালপত্র বহন করে, কাজেই তা মাংস খেলে মানুষের বোঝা বহনকারী পশু নিঃশেষ হয়ে যাবে, এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা খেতে নিষেধ করেছিলেন, না-খাইবারের দিনে এর মাংস স্থায়ীভাবে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما، قَالَ: لاَ أَدْرِي أَنْهى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ كَانَ حَمُولَةَ النَّاسِ فَكَرِهَ أَنْ تَذْهَبَ حَمُولَتُهُمْ، أَوْ حَرَّمَهُ فِي يَوْمِ خَيْبَرَ، لَحْمَ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ

حديث ابن عباس رضي الله عنهما، قال: لا ادري انهى عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم من اجل انه كان حمولة الناس فكره ان تذهب حمولتهم، او حرمه في يوم خيبر، لحم الحمر الاهلية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫. গৃহপালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম।

১২৬৮. সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধে আগুন প্রজ্জ্বলিত দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এ আগুন কেন জ্বালানো হচ্ছে? সাহাবীগণ বললেন, গৃহপালিত, গাধার মাংস রান্না করার জন্য। তিনি বললেন, পাত্রটি ভেঙ্গে দাও এবং মাংস ফেলে দাও। তাঁরা বললেন, আমরা মাংস ফেলে দিয়ে পাত্রটা ধুয়ে নিব কি? তিনি বললেন, ধুয়ে নাও।

تحريم أكل لحم الحمر الإنسية

حديث سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى نِيرَانًا تُوقَدُ يَوْمَ خَيْبَرَ قَالَ: عَلَى مَا توقَدُ هذِهِ النِّيرَانُ قَالُوا: عَلَى الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ، قَالَ: اكْسِرُوهَا وَأَهْرِقُوهَا قَالُوا: أَلاَ نُهَرِيقهَا وَنَغْسِلُهَا قَالَ: اغْسِلُوا

حديث سلمة بن الاكوع رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم راى نيرانا توقد يوم خيبر قال: على ما توقد هذه النيران قالوا: على الحمر الانسية، قال: اكسروها واهرقوها قالوا: الا نهريقها ونغسلها قال: اغسلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৬. ঘোড়ার গোশত খাওয়া।

১২৬৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের যুদ্ধের দিন (গৃহপালিত) গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার মাংস খেতে অনুমতি দিয়েছেন।

في أكل لحوم الخيل

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضي الله عنهما، قَالَ: نَهى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ خَيْبَرَ، عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ، وَرَخَّصَ فِي الْخَيْلِ

حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما، قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم، يوم خيبر، عن لحوم الحمر، ورخص في الخيل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৭০

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৬. ঘোড়ার গোশত খাওয়া।

১২৭০. আসমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ’আমলে আমরা একটি ঘোড়া (নাহর) যব্‌হ করেছি। পরে আমরা সেটি খেয়েছি।

في أكل لحوم الخيل

حديث أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رضي الله عنهما، قَالَتْ: نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ

حديث اسماء بنت ابي بكر رضي الله عنهما، قالت: نحرنا على عهد النبي صلى الله عليه وسلم، فرسا فاكلناه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৭১

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৭. দব্ব বা গিরগিটি খাওয়া বৈধ।

১২৭১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দব্ব (মরু অঞ্চলের এক প্রকার প্রাণী) আমি খাই না, আর হারামও বলি না।

إِباحة الضب

حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الضَّبُّ، لَسْتُ آكُلُهُ، وَلاَ أُحَرِّمُهُ

حديث ابن عمر، قال النبي صلى الله عليه وسلم: الضب، لست اكله، ولا احرمه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৭২

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৭. দব্ব বা গিরগিটি খাওয়া বৈধ।

১২৭২. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের মাঝে কতিপয় ব্যক্তি সমবেত ছিলেন, তাদের মাঝে সা’দও ছিলেন, তারা মাংস খাচ্ছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীদের কেউ তাদের ডেকে বললেন যে, এটা দব্বের মাংস। তারা (আহার থেকে) বিরত রইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ খাও বা আহার কর, এটা হালাল। কিংবা তিনি বলেছিলেনঃ এটা (খেতে) কোন অসুবিধে নেই। তবে এটা আমার খাদ্য নয়।

إِباحة الضب

حديث ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَانَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهمْ سَعْدٌ، فَذَهَبُوا يَأْكُلُونَ مِنْ لَحْمٍ، فَنَادَتْهُمُ امْرَأَةٌ مِنْ بَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّهُ لَحْمُ ضَبٍّ، فَأَمْسَكُوا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُوا أَوِ اطْعَمُوا، فَإِنَّهُ حَلاَلٌ أَوْ قَالَ: لاَ بَأْسَ بِهِ وَلكِنَّهُ لَيْسَ مِنْ طَعَامِي

حديث ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: كان ناس من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، فيهم سعد، فذهبوا ياكلون من لحم، فنادتهم امراة من بعض ازواج النبي صلى الله عليه وسلم، انه لحم ضب، فامسكوا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: كلوا او اطعموا، فانه حلال او قال: لا باس به ولكنه ليس من طعامي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
১২৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৭. দব্ব বা গিরগিটি খাওয়া বৈধ।

১২৭৩. খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মাইমূনাহ (রাঃ)-এর গৃহে প্রবেশ করলেন। মাইমূনাহ (রাঃ) তাঁর ও ইবনু ’আব্বাসের খালা ছিলেন। তিনি তাঁর কাছে একটি ভুনা দব্ব দেখতে পেলেন, যা নজ্বদ থেকে তাঁর (মাইমূনার) বোন হুফাইদা বিন্ত হারিস নিয়ে এসে ছিলেন। মাইমূনাহ (রাঃ) দব্বটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে উপস্থিত করলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল, কোন খাদ্যের নাম ও তার বিবরণ বলে না দেয়া পর্যন্ত তিনি খুব কমই তার প্রতি হাত বাড়াতেন। তিনি দব্ব এর দিতে হাত বাড়ালে উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন বললঃ তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে যা পেশ করছ সে সম্বন্ধে তাকে অবহিত কর। তারপর সে মহিলাই বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! ওটা দব্ব। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত তুলে ফেললেন। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! দব্ব খাওয়া কি হারাম? তিনি বললেনঃ না। কিন্তু যেহেতু এটি আমাদের এলাকায় নেই। তাই এটি খাওয়া আমি পছন্দ করি না। খালিদ (রাঃ) বলেনঃ আমি সেটি টেনে নিয়ে খেতে থাকলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

إِباحة الضب

حديث خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى مَيْمُونَةَ، وَهِيَ خَالَتُهُ، وَخَالَةُ ابْن عَبَّاسٍ، فَوَجَدُ عِنْدَهَا ضَبًّا مَحْنُوذًا قَدِمَتْ بِهِ أُخْتُهَا، حُفَيْدَةُ بِنْتُ الْحارِثِ، مِنْ نَجْدٍ فَقَدَّمَتِ الضَّبَّ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ، قَلَّمَا يُقَدِّمُ يَدَهُ لِطَعَامٍ، حَتَّى يُحَدَّثَ بِهِ وَيُسَمَّى لَهُ فَأَهْوَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَدَهُ إِلَى الضَّبِّ، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ الْحُضُورِ: أَخْبِرْنَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا قَدَّمْتُنَّ لَهُ، هُوَ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللهِ فَرَفَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَدَهُ عَنِ الضَّبِّ فَقَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ: أَحَرَامٌ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: لاَ، وَلكِنْ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي، فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ، قَالَ خَالِدٌ: فَاجْتَرَرْتُهُ فَأَكَلْتُهُ، وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَيَّ

حديث خالد بن الوليد، انه دخل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، على ميمونة، وهي خالته، وخالة ابن عباس، فوجد عندها ضبا محنوذا قدمت به اختها، حفيدة بنت الحارث، من نجد فقدمت الضب لرسول الله صلى الله عليه وسلم وكان، قلما يقدم يده لطعام، حتى يحدث به ويسمى له فاهوى رسول الله صلى الله عليه وسلم، يده الى الضب، فقالت امراة من النسوة الحضور: اخبرن رسول الله صلى الله عليه وسلم، ما قدمتن له، هو الضب يا رسول الله فرفع رسول الله صلى الله عليه وسلم، يده عن الضب فقال خالد بن الوليد: احرام الضب يا رسول الله قال: لا، ولكن لم يكن بارض قومي، فاجدني اعافه، قال خالد: فاجتررته فاكلته، ورسول الله صلى الله عليه وسلم ينظر الي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৪/ শিকার, যব্‌হ ও কোন প্রকার জন্তু খাওয়া যায় (كتاب الصيد والذبائح ما يؤكل من الحيوان)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »