পরিচ্ছেদঃ ১৯৯০. জান্নাতে বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু। আবুল আলীয়া (রহঃ) বলেন, مُطَهَّرَةٌ মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। كُلَّمَا رُزِقُوا যখনই তাদের সামনে কোন এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে, এরপরই অন্য এক প্রকার খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলো তো ইতিপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। أُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا তাদেরকে পরস্পর সদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। قُطُوفُهَا তারা যেভাবে ইচ্ছা ফল ফলাদি গ্রহন করবে। دَانِيَةٌ নিকটবর্তী। الأَرَائِكُ পালঙ্কসমূহ। হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, النَّضْرَةُ চেহারার সজীবতা। আর السُّرُورُ মনের আনন্দ। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন سَلْسَبِيلاً দ্রুত প্রবাহিত পানি। غَوْلٌ পেটের ব্যাথা। يُنْزَفُونَ তাদের বুদ্ধি লোপ পাবে না। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, دِهَاقًا পরিপূর্ণ। كَوَاعِبَ অংকুরিত যৌবনা তরুনী। الرَّحِيقُ -পানীয়। التَّسْنِيمُ জান্নাতবাসীদের পানীয় যা উচু হতে নিঃসৃত হয়। তার মোড়ক হবে কস্তুরি। نَضَّاخَتَانِ দুই উচ্ছলিত (প্রসবন)। مَوْضُونَةٌ সোনা ও মনি মুক্তা দিয়ে তৈরি। এ শব্দটি হতেই وَضِينُ النَّاقَةِ এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। الْكُوبُ হাতল বিহীন পানপাত্র। الأَبَارِيقُ হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। عُرُبًا সোহাগিনী। একবচনে عَرُوبٌ যেমন صَبُورٍ এর বহুবচন صُبُرٍ মক্কাবাসী একে عَرِبَةَ মদীনাবাসী غَنِجَةَ আর ইরাকীরা شَكِلَةَ বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, رَوْحٌ জান্নাত ও সচ্চল জীবন। الرَّيْحَانُ জীবিকা। الْمَنْضُودُ কলা। الْمَخْضُودُ কাঁদি ভরা এটাও বলা হয়। যার কাটা নেই। الْعُرُبُ স্বামীদের কাছে সোহাগিনী। مَسْكُوبٌ প্রবাহিত। فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানা لَغْوًا অলীক কথা। تَأْثِيمًا মিথ্যা। أَفْنَانٌ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট থেকে গ্রহন করবে। مُدْهَامَّتَانِ এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
৩০১৬। হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’(জান্নাতে মুমিনদের জন্য) গুনগত মোতির তাবু থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মুমিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি।’ আবূ আবদুস সামাদ ও হারিস ইবনু উবায়দ আবূ ইমরান (রহঃ) থেকে (ত্রিশ মাইলের স্থলে) ষাট মাইল বলে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْجَنَّةِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ قَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ مُطَهَّرَةٌ مِنَ الْحَيْضِ وَالْبَوْلِ وَالْبُزَاقِ. {كُلَّمَا رُزِقُوا} أُتُوا بِشَيْءٍ ثُمَّ أُتُوا بِآخَرَ {قَالُوا هَذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ} أُتِينَا مِنْ قَبْلُ {وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا} يُشْبِهُ بَعْضُهُ بَعْضًا، وَيَخْتَلِفُ فِي الطُّعُومِ {قُطُوفُهَا} يَقْطِفُونَ كَيْفَ شَاءُوا دَانِيَةٌ قَرِيبَةٌ. الأَرَائِكُ السُّرُرُ. وَقَالَ الْحَسَنُ: النَّضْرَةُ فِي الْوُجُوهِ وَالسُّرُورُ فِي الْقَلْبِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {سَلْسَبِيلاً} حَدِيدَةُ الْجِرْيَةِ. {غَوْلٌ} وَجَعُ الْبَطْنِ {يُنْزَفُونَ} لاَ تَذْهَبُ عُقُولُهُمْ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {دِهَاقًا} مُمْتَلِئًا {كَوَاعِبَ} نَوَاهِدَ. الرَّحِيقُ الْخَمْرُ. التَّسْنِيمُ يَعْلُو شَرَابَ أَهْلِ الْجَنَّةِ {خِتَامُهُ} طِينُهُ {مِسْكٌ}، {نَضَّاخَتَانِ} فَيَّاضَتَانِ. يُقَالُ مَوْضُونَةٌ مَنْسُوجَةٌ، مِنْهُ وَضِينُ النَّاقَةِ. وَالْكُوبُ مَا لاَ أُذُنَ لَهُ وَلاَ عُرْوَةَ. وَالأَبَارِيقُ ذَوَاتُ الآذَانِ وَالْعُرَا. {عُرُبًا} مُثَقَّلَةً وَاحِدُهَا عَرُوبٌ، مِثْلُ صَبُورٍ وَصُبُرٍ، يُسَمِّيهَا أَهْلُ مَكَّةَ الْعَرِبَةَ، وَأَهْلُ الْمَدِينَةِ الْغَنِجَةَ، وَأَهْلُ الْعِرَاقِ الشَّكِلَةَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {رَوْحٌ} جَنَّةٌ وَرَخَاءٌ، {وَالرَّيْحَانُ} الرِّزْقُ، وَالْمَنْضُودُ الْمَوْزُ، وَالْمَخْضُودُ الْمُوقَرُ حَمْلاً وَيُقَالُ أَيْضًا لاَ شَوْكَ لَهُ، وَالْعُرُبُ الْمُحَبَّبَاتُ إِلَى أَزْوَاجِهِنَّ. وَيُقَالُ مَسْكُوبٌ جَارٍ، وَ{فُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ} بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ. {لَغْوًا} بَاطِلاً. {تَأْثِيمًا} كَذِبًا. أَفْنَانٌ أَغْصَانٌ {وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ} مَا يُجْتَنَى قَرِيبٌ. {مُدْهَامَّتَانِ} سَوْدَاوَانِ مِنَ الرِّيِّ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عِمْرَانَ الْجَوْنِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْخَيْمَةُ دُرَّةٌ مُجَوَّفَةٌ، طُولُهَا فِي السَّمَاءِ ثَلاَثُونَ مِيلاً، فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا لِلْمُؤْمِنِ أَهْلٌ لاَ يَرَاهُمُ الآخَرُونَ ". قَالَ أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ وَالْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ سِتُّونَ مِيلاً.
Narrated `Abdullah bin Qais Al-Ash`ari:
The Prophet (ﷺ) said, "A tent (in Paradise) is like a hollow pearl which is thirty miles in height and on every corner of the tent the believer will have a family that cannot be seen by the others." (Narrated Abu `Imran in another narration, "The tent is sixty miles in height.")
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. আখিরাতে মু'মিনগন তাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে
৩৪৫। নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী, আবূ গাসনান আল মিসমাঈ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ দুটি জান্নাত এমন যে, এগুলোর পাত্রাদি ও সমুদয় সামগ্রী রুপার তৈরি। অন্য দুটি জান্নাত এমন, যেগুলোর পাত্রাদি ও সমুদয় সামগ্রী স্বর্ণের তৈরি। “আদন” নামক জান্নাতে জান্নাতিগণ আল্লাহর দীদার লাভ করবেন। এ সময় তাঁদের ও আল্লাহর মাঝে তাঁর মহিমার চাঁদর ব্যতীত আর কোন অন্তরায় থাকবে না।
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي غَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ، - حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
'Abdullah b. Qais transmitted on the authority of his father (Abu Musa Ash'ari) that the Apostle (ﷺ) said:
There would be two gardens (in Paradise) the vessels and contents of which would be of silver, and two gardens whose vessels and contents would be of gold. The only thing intervening to hinder the people from looking at their Lord will be the mantle of Grandeur over His face in the Garden of Eden.
পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমান
৪৭৬৩। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস (রহঃ) বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, আর তিনি ছিলেন তখন শত্রুর মুখোমুখি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই জান্নাত রয়েছে তরবারীর ছায়ায়। তখন আলুথালু বেশের এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো এবং বললো, হে আবূ মূসা! আপনি কি নিজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি তার সাথীদের কাছে ফিরে গেলো। তারপর বললো, আমি তোমাদেরকে (বিদায়ী) সালাম জানাচ্ছি। এরপর সে তার তরবারীর কোষ ভেঙ্গে ফেলে তা দুরে নিক্ষেপ করলো। তারপর নিজ তরবারীসহ শত্রুদের কাছে গিয়ে উপনীত হলো। এবং তা দিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেল।
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ، بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ " . فَقَامَ رَجُلٌ رَثُّ الْهَيْئَةِ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى آنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمَ . ثُمَّ كَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَأَلْقَاهُ ثُمَّ مَشَى بِسَيْفِهِ إِلَى الْعَدُوِّ فَضَرَبَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ .
The tradition has been narrated on the authority of 'Abdullah b. Qais. He heard it from his father who, while facing the enemy, reported that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Surely, the gates of Paradise are under the shadows of the swords. A man in a shabby condition got up and said; Abu Musa, did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) say this? He said: Yes. (The narrator said): He returned to his friends and said: I greet you (a farewell greeting). Then he broke the sheath of his sword, threw it away, advanced with his (naked) sword towards the enemy and fought (them) with it until he was slain.
পরিচ্ছেদঃ ১০. কষ্টদায়ক কথার ব্যাপারে- মহিয়ান গরিয়ান আল্লাহ্ তা'আলার চেয়ে অধিক ধৈর্যশীল আর কেউ নেই
৬৮২৩। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কষ্টদায়ক কোন কথা শ্রবণ করার পর আল্লাহর তুলনায় অধিক ধৈর্যশীল আর কেউ নেই। কেননা মানুষ আল্লাহর সাথে শরীক নির্ধারণ করে এবং তাঁর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে, এতদসত্বেও তিনি তাদের জীবনোপকরণ দান করেন, তাদেরকে ক্ষমা করেন এবং তাদেরকে (প্রয়োজনীয় সব কিছু) দান করেন।
باب لاَ أَحَدَ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ، جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَحَدٌ أَصْبَرَ عَلَى أَذًى يَسْمَعُهُ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ لَهُ نِدًّا وَيَجْعَلُونَ لَهُ وَلَدًا وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَرْزُقُهُمْ وَيُعَافِيهِمْ وَيُعْطِيهِمْ " .
Abdullah b. Qais reported from Allah's Messenger (ﷺ) that none is more forbearing in listening to the most irksome things than Allah, the Exalted. They associate rivals with him, attribute sonhood to Him, but in spite of this He provides them sustenance, grants them safety, confers upon them so many things.
পরিচ্ছেদঃ ৯. জান্নাতের তাঁবু এবং তাতে মু'মিনগণের স্ত্রীদের বর্ণনা
৬৮৯৫। সাঈদ ইবনু মানসুর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতে মুমিনদের জন্য ভেতর ফাঁকা একক মুক্তার একটি তাঁবু হবে। এর দৈর্ঘ হবে ষাট মাইল। মুমিনদের স্ত্রীগণও এতে থাকবে। তারা তাদের চতুষ্পার্শ্বে ঘুরাফেরাও করবে। তবে তারা একে অন্যকেই দেখতে পাবে না।
باب فِي صِفَةِ خِيَامِ الْجَنَّةِ وَمَا لِلْمُؤْمِنِينَ فِيهَا مِنَ الأَهْلِينَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي قُدَامَةَ، - وَهُوَ الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ - عَنْ أَبِي، عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ لِلْمُؤْمِنِ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ لُؤْلُؤَةٍ وَاحِدَةٍ مُجَوَّفَةٍ طُولُهَا سِتُّونَ مِيلاً لِلْمُؤْمِنِ فِيهَا أَهْلُونَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ فَلاَ يَرَى بَعْضُهُمْ بَعْضًا " .
Abu Bakr b. Abdullah b. Qais reported on the authority of his father that Allah's Messenger (ﷺ) said that in Paradise there would be for a believer a tent of a single hollowed pearl the breadth of which would be sixty miles. It would be meant for a believer and the believers would go around it and none would be able to see the others.
পরিচ্ছেদঃ ৯. জান্নাতের তাঁবু এবং তাতে মু'মিনগণের স্ত্রীদের বর্ণনা
৬৮৯৬। আবূ গাসসান আল মিসমাঈ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে মুমিনদের জন্য ভেতর ফাঁকা মুক্তার তাঁবু হবে। এর প্রস্থ হবে ষাট মাইল। এর প্রত্যেক প্রান্তেই পরিবার (স্ত্রী) থাকবে। তারা ঘুরে ঘুরে তাদের সাথে মেলামেশা করবে অন্যদের দেখতে পাবে না।
باب فِي صِفَةِ خِيَامِ الْجَنَّةِ وَمَا لِلْمُؤْمِنِينَ فِيهَا مِنَ الأَهْلِينَ
وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي الْجَنَّةِ خَيْمَةٌ مِنْ لُؤْلُؤَةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ " .
Abu Bakr b. Abdullah b. Qais reported on the authority of his father that Allah's Messenger (ﷺ) said that in Paradise there would be a tent made of a single hollowed pearl, the breadth of which would be sixty miles from all sides and there would live a family in each corner and the other would not be able to see the believer who goes around them.
পরিচ্ছেদঃ ৩৪৯. বিতিরের ওয়াক্ত সম্পর্কে।
১৪৩৭. কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন আবু কায়েস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের বিতিরের নামায সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি। তখন জবাবে তিনি বলেন, তিনি কখনও রাত্রির প্রথমাংশে এবং কখনও শেষাংশে তা আদায় করতেন। আমি বলি, তিনি কি কিরাআত আস্তে পড়তে না জোরে? তিনি বলেন, উভয় প্রকারেই কখনো জোরে এবং কখনো আস্তে। তিনি (অপবিত্রতার পরে) কোন সময় গোসল করে এবং কোন সময় উযূ করে শয়ন করতেন। (মুসলিম, তিরমিযী)।
باب فِي وَقْتِ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ رُبَّمَا أَوْتَرَ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ مِنْ آخِرِهِ . قُلْتُ كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَتُهُ أَكَانَ يُسِرُّ بِالْقِرَاءَةِ أَمْ يَجْهَرُ قَالَتْ كُلَّ ذَلِكَ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا أَسَرَّ وَرُبَّمَا جَهَرَ وَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فَنَامَ وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ غَيْرُ قُتَيْبَةَ تَعْنِي فِي الْجَنَابَةِ .
'Abd Allah b. Abu Qais said:
I asked 'Aishah about the witr observes by the Messenger of Allah (ﷺ). She replied: Sometime he observed the witr prayer in the early hours of the night, sometimes he observed it at the end of it. I asked: How did he recite the Qur'an ? Did he recite the Qur'an quietly or loudly ? She replied: He did it in any way. Sometimes he recited quietly and sometimes loudly, sometimes he took bath and then slept and sometimes he performed ablution and then slept.
Abu Dawud said: The narrators other than Qutaibah said: This refer to his bath due to sexual defilement.
পরিচ্ছেদঃ ২৪৮. শা‘বান মাসের রোযা।
২৪২৩. আহমদ ইবন হাম্বল ....... আব্দুল্লাহ্ ইবন কায়স (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মাসসমূহের মধ্যে (নফল) রোযার জন্য প্রিয়তম মাস ছিল শা’বান মাস। এরপর তিনি রামাযানের রোযা রাখা শুরু করতেন।
باب فِي صَوْمِ شَعْبَانَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ كَانَ أَحَبَّ الشُّهُورِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَصُومَهُ شَعْبَانُ ثُمَّ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The month most liked by the Messenger of Allah (ﷺ) for fasting was Sha'ban. He then joined it with Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ২৩/ রাত্রে কুরআন কিভাবে পাঠ করতে হবে?
১৬৬৫। শুআয়ব ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে সালাম করলাম যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে কিভাবে কুরআন পাঠ করতেন, উচ্চ স্বরে না নিম্ন স্বরে? আয়িশা (রাঃ) বললেন, উভয়রূপেই কুরআন পাঠ করতেন। কখনো উচ্চ স্বরে পাঠ করতেন, কখনো নিম্ন স্বরে পাঠ করতেন।
باب كَيْفَ الْقِرَاءَةُ بِاللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ يَجْهَرُ أَمْ يُسِرُّ قَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا جَهَرَ وَرُبَّمَا أَسَرَّ .
It was narrated that Abdullah bin Abi Qais said:
"I asked Aishah: "How did the Messenger of Allah (ﷺ) recite at night- did he recite loudly or silently?" She said: 'He used to do both; sometimes he recited loudly and sometimes he recited silently.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৯/ নবী (ﷺ) এর সাওম, তাঁর উপর আমার মাতা পিতা উৎসর্গীত হোক
২৩৫২। রবী ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ কায়স (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে মাস সমূহের মধ্যে শা’বান মাসের সাওম পালন করা সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। বরং তিনি শা’বান মাসকে (সাওম পালনসহ) রমযানের সাথে মিলিরে নিতেন।
باب صَوْمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - بِأَبِي هُوَ وَأُمِّي - وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ لِلْخَبَرِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَيْسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ كَانَ أَحَبَّ الشُّهُورِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَصُومَهُ شَعْبَانُ بَلْ كَانَ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ .
Aishah said:
"The month which the Messenger of Allah most liked to fast was Shaban; indeed he used to join it to Ramadan."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১০/১৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়স আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে রূপার তৈরি। আরও দুটি জান্নাত এবং তার পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সব কিছুই হবে সোনার তৈরি। আদন নামক জান্নাতে জান্নাতীগণ ও তাদের বারাকাতময় মহান প্রভুর দীদার লাভের মাঝখানে তাঁর চেহারার উপর তাঁর গৌরবের চাঁদর ব্যতীত আর কোন প্রতিবন্ধক থাকবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
Abu Bakr bin Qais Al-Ash'ari narrated that his father said:
"The Messenger of Allah said: 'Two gardens of silver, their vessels and everything in them; and two gardens of gold, their vessels and everything in them, and nothing between the people and their seeing their Lord, the Blessed and Exalted, except the Veil of Pride covering His Face in the Garden of Eden (Jannat 'Adn)."
পরিচ্ছেদঃ রাতের কিরাআত।
৪৪৯. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু আবী কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞেসা করেছিলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের কিরাআত কিরূপ হ’ত? তিনি বললেনঃ কোন সময় তিনি কিরাআত আস্তে করতেন আবার কোন সময় জোরেও করতেন, এই সব ধরনের নমুনাই তাঁর মধ্যে পাওয়া যায়। বললামঃ আল্লাহরই সব প্রশংসা, তিনি তাঁর দ্বীনের বিষয়ে বান্দাদের জন্য রেখেছেন বেশ অবকাশ। - সহিহ আবু দাউদ ১২৯১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি সহীহ-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي قِرَاءَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَ قِرَاءَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ أَكَانَ يُسِرُّ بِالْقِرَاءَةِ أَمْ يَجْهَرُ فَقَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا أَسَرَّ بِالْقِرَاءَةِ وَرُبَّمَا جَهَرَ . فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Abdullah bin Abi Qais narrated:
"I asked Aishah how the recitation of the Prophet (S) was at night. [Would he recite silently o audibly?] So she said: 'He would do both of those. Sometimes he was silent with his recitation and sometimes it was audible.' So I said: 'All praise is due to Allah, the One who made the matter broad.'"
পরিচ্ছেদঃ মু'মিনের দীর্ঘজীবী হওয়া।
২৩৩২. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, গ্রামবাসী এক আরব একদিন বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? তিনি বললেনঃ যার জীবন হল দীর্ঘ এবং আমল হয় নেক। সহীহ, সহিহাহ ১৮৩৬, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৫২৮৫, আর রাওয ৯২৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩২৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান, তবে এই সূত্রে গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي طُولِ الْعُمُرِ لِلْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ خَيْرُ النَّاسِ قَالَ " مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
'Abdullah bin Busr narrated that a Bedouin said:
"O Messenger of Allah! Who is the best of the people?" He said: "He whose life is long and his deeds are good."There are narrations on this topic from Abu Hurairah and Jabir.
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর কিরা'আত কেমন ছিল?
২৯২৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ্ ইবন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তিনি কেমন করে বিতরের সালাত (নামায) আদায় করতেন? রাতের প্রথম ভাগে আদায় করতেন না শেষ ভাগে?
তিনি বললেন, সব রকমেই তিনি তা করতেন। কখনও রাতের প্রথম ভাগে বিতর পড়ে নিতেন, আবার কখনও রাতের শেষ ভাগে।
আমি বললামঃ আল্লাহর শোকর যে, তিনি এ ব্যাপরে সুযোগ রেখেছেন।
আমি, বললামঃ তাঁর কিরআত কেমন ছিল? তিনি তা উচ্চঃস্বরে পঠ করতে না চুপি চুপি পাঠ করতেন? তিনি বললেনঃ সব রকমেই তিনি করতেন। কোন কোন সময় চুপি চুপি পাঠ করতেন আবার কোন কোন সময় উচ্চঃস্বরে পাঠ করতেন।
আমি বললামঃ আল্লাহর শোকর যে, তিনি এ ব্যাপারে অবকাশ রেখেছেন।
আমি বললামঃ জানাবাতের গোসলের ক্ষেত্রে কেমন করতেন? তিনি নিদ্রাগমনের পূর্বেই এই গোসল করে নিতেন, না গোসল না করেই ঘুমাতেন?
তিনি বললেনঃ সব রকমেই তিনি করতেন। কোন কোন সময় গোসল করে ঘুমিয়েছেন আবার অনেক সময় কেবল উযু করেই ঘুমিয়েছেন।
আমি বললামঃ আল্লাহর শোকর যে, তিনি এ ব্যাপারে অবকাশ রেখেছেন।
সহীহ, সহীহ আবু দাউদ ২২২-১২৯১, মুসলিম, বুখারি শুধু বিতর সংক্রান্ত বিষয়ে আরো পূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব।
بَابُ مَا جَاءَ كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، هُوَ رَجُلٌ بَصْرِيٌّ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ كَانَ يُوتِرُ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ أَوْ مِنْ آخِرِهِ فَقَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَصْنَعُ رُبَّمَا أَوْتَرَ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ مِنْ آخِرِهِ . فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً فَقُلْتُ كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَتُهُ أَكَانَ يُسِرُّ بِالْقِرَاءَةِ أَمْ يَجْهَرُ قَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ قَدْ كَانَ رُبَّمَا أَسَرَّ وَرُبَّمَا جَهَرَ قَالَ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً قُلْتُ فَكَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ فِي الْجَنَابَةِ أَكَانَ يَغْتَسِلُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ أَوْ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ قَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ فَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فَنَامَ وَرُبَّمَا تَوَضَّأَ فَنَامَ قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated 'Abdullah bin Abi Qais [A man from Al-Basrah]:
"I asked 'Aishah about the Witr of the Messenger of Allah (ﷺ), how would he perform Witr, was it during the first part of the night or the end of it? She said: 'All of that. Sometimes he would perform Witr during the first part of the night, and sometimes he would perform Witr during the end of it.' So I said: 'All praise is due to Allah who made the matter accommodating.' I said: 'How was his recitation, was he quiet with recitations or loud?' She said: 'He would do all of that. Sometimes he would recite quietly and sometimes aloud.' I said: 'All praise is due to Allah who made the matter accommodating. He said: 'I said: 'How would he deal with sexual impurity? Would he perform Ghusl prior to sleeping or would he sleep prior to Ghusl?' She said: 'He would do all of that. Sometimes he would perform Ghusl then sleep, and sometimes he would perform Wudu and then sleep.' I said: 'Allah praise is due to Allah who made the matter accommodating.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫৯/৮. জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট।
৩২৪৩. ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স আল-আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘গুণসম্পন্ন মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতা ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোণে মু’মিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি।’ আবূ ‘আবদুস সামাদ ও হারিস ইবনু ‘উবায়দ আবূ ‘ইমরান (রহ.) হতে ষাট মাইল বলে বর্ণনা করেছেন। (৪৮৭৯) (মুসলিম ৫১/৯ হাঃ ২৮৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০১৩)
بَابُ مَا جَاءَ فِيْ صِفَةِ الْجَنَّةِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عِمْرَانَ الْجَوْنِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْخَيْمَةُ دُرَّةٌ مُجَوَّفَةٌ طُوْلُهَا فِي السَّمَاءِ ثَلَاثُوْنَ مِيْلًا فِيْ كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا لِلْمُؤْمِنِ أَهْلٌ لَا يَرَاهُمْ الْآخَرُوْنَ قَالَ أَبُوْ عَبْدِ الصَّمَدِ وَالْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ سِتُّوْنَ مِيْلًا
Narrated `Abdullah bin Qais Al-Ash`ari:
The Prophet (ﷺ) said, "A tent (in Paradise) is like a hollow pearl which is thirty miles in height and on every corner of the tent the believer will have a family that cannot be seen by the others." (Narrated Abu `Imran in another narration, "The tent is sixty miles in height.")
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৫৫/১. আল্লাহর বাণীঃ সেখানে এ দু’টি ব্যতীত আরও দু’টি বাগান রয়েছে। (সূরাহ আর্ রহমান ৫৫/৬২)
(55) سُوْرَةُ الرَّحْمٰنِ
সূরাহ (৫৫) : আর্-রহমান
وَقَالَ مُجَاهِدٌ (بِحُسْبَانٍ) كَحُسْبَانِ الرَّحَى وَقَالَ غَيْرُهُ (وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَ) يُرِيْدُ لِسَانَ الْمِيْزَانِ وَالْعَصْفُ بَقْلُ الزَّرْعِ إِذَا قُطِعَ مِنْهُ شَيْءٌ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَ فَذَلِكَ الْعَصْفُ (وَالرَّيْحَانُ) رِزْقُهُ (وَالْحَبُّ) الَّذِيْ يُؤْكَلُ مِنْهُ وَالرَّيْحَانُ فِيْ كَلَامِ الْعَرَبِ الرِّزْقُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَالْعَصْفُ يُرِيْدُ الْمَأْكُوْلَ مِنَ الْحَبِّ وَالرَّيْحَانُ النَّضِيْجُ الَّذِيْ لَمْ يُؤْكَلْ وَقَالَ غَيْرُهُ الْعَصْفُ وَرَقُ الْحِنْطَةِ وَقَالَ الضَّحَّاكُ الْعَصْفُ التِّبْنُ وَقَالَ أَبُوْ مَالِكٍ الْعَصْفُ أَوَّلُ مَا يَنْبُتُ تُسَمِّيْهِ النَّبَطُ هَبُوْرًا وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْعَصْفُ وَرَقُ الْحِنْطَةِ وَالرَّيْحَانُ الرِّزْقُ (وَالْمَارِجُ) اللهَبُ الْأَصْفَرُ وَالأَخْضَرُ الَّذِيْ يَعْلُو النَّارَ إِذَا أُوْقِدَتْ وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنْ مُجَاهِدٍ (رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ) لِلشَّمْسِ فِي الشِّتَاءِ مَشْرِقٌ وَمَشْرِقٌ فِي الصَّيْفِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ مَغْرِبُهَا فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ (لَا يَبْغِيَانِ) لَا يَخْتَلِطَانِ (الْمُنْشَاٰتُ) مَا رُفِعَ قِلْعُهُ مِنْ السُّفُنِ فَأَمَّا مَا لَمْ يُرْفَعْ قَلْعُهُ فَلَيْسَ بِمُنْشَأَةٍ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (كَالْفَخَّارِ) كَمَا يُصْنَعُ الْفَخَّارُ (الشُّوَاظُ) لَهَبٌ مِنْ نَارٍ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (نُحَاسٌ)النُّحَاسُ الصُّفْرُ يُصَبُّ عَلَى رُءُوْسِهِمْ فَيُعَذَّبُوْنَ بِهِ (خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ) يَهُمُّ بِالْمَعْصِيَةِ فَيَذْكُرُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فَيَتْرُكُهَا (مُدْهَآمَّتَانِ) سَوْدَاوَانِ مِنْ الرِّيِّ صَلْصَالٍ طِيْنٌ خُلِطَ بِرَمْلٍ فَصَلْصَلَ كَمَا يُصَلْصِلُ الْفَخَّارُ وَيُقَالُ مُنْتِنٌ يُرِيْدُوْنَ بِهِ صَلَّ يُقَالُ صَلْصَالٌ كَمَا يُقَالُ صَرَّ الْبَابُ عِنْدَ الإِغْلَاقِ وَصَرْصَرَ مِثْلُ كَبْكَبْتُهُ يَعْنِيْ كَبَبْتُهُ (فَاكِهَةٌ وَّنَخْلٌ وَّرُمَّانٌ)وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ الرُّمَّانُ وَالنَّخْلُ بِالْفَاكِهَةِ وَأَمَّا الْعَرَبُ فَإِنَّهَا تَعُدُّهَا فَاكِهَةً كَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ (حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى) فَأَمَرَهُمْ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى كُلِّ الصَّلَوَاتِ ثُمَّ أَعَادَ الْعَصْرَ تَشْدِيْدًا لَهَا كَمَا أُعِيْدَ النَّخْلُ وَالرُّمَّانُ وَمِثْلُهَا(أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَسْجُدُ لَه” مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ) ثُمَّ قَالَ وَكَثِيْرٌ مِنْ النَّاسِ (وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ) وَقَدْ ذَكَرَهُمْ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيْ أَوَّلِ قَوْلِهِ (مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ) وَقَالَ غَيْرُهُ (أَفْنَانٍ) أَغْصَانٍ (وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ) مَا يُجْتَنَى قَرِيْبٌ وَقَالَ الْحَسَنُ (فَبِأَيِّ اٰلَآءِ) نِعَمِهِ وَقَالَ قَتَادَةُ (رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ) يَعْنِي الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ (كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ) يَغْفِرُ ذَنْبًا وَيَكْشِفُ كَرْبًا وَيَرْفَعُ قَوْمًا وَيَضَعُ آخَرِيْنَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (بَرْزَخٌ)حَاجِزٌ (الْأَنَامُ) الْخَلْقُ [أشار به إلى قوله تعالى : (وَالْأرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ) وعن ابن عباس والشعبي : الْأنام. كل ذي روح، وقيل : الإنس ةالجن]. (نَضَّاخَتَانِ) فَيَّاضَتَانِ (ذُو الْجَلَالِ) ذُو الْعَظَمَةِ وَقَالَ غَيْرُهُ (مَارِجٌ) خَالِصٌ مِنْ النَّارِ يُقَالُ مَرَجَ الْأَمِيْرُ رَعِيَّتَهُ إِذَا خَلَّاهُمْ يَعْدُوْ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَيُقَالُ مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ (مَرِيْجٍ) مُلْتَبِسٌ (مَرَجَ) الْبَحْرَيْنِ اخْتَلَطَ الْبَحْرَانِ مِنْ مَرَجْتَ دَابَّتَكَ تَرَكْتَهَا (سَنَفْرُغُ لَكُمْ) سَنُحَاسِبُكُمْ لَا يَشْغَلُهُ شَيْءٌ عَنْ شَيْءٍ وَهُوَ مَعْرُوْفٌ فِيْ كَلَامِ الْعَرَبِ يُقَالُ لَأَتَفَرَّغَنَّ لَكَ وَمَا بِهِ شُغْلٌ يَقُوْلُ لَآخُذَنَّكَ عَلَى غِرَّتِكَ.
وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَ এর মাঝে বর্ণিত الْوَزْنَ হচ্ছে পাল্লার ডান্ডি। وَالْعَصْفُ ঘাস, ফসল পাকার পূর্বে যে চারাগুলোকে কেটে ফেলা হয় তাদেরকেই اَلْعَصْفُ বলা হয়। الرَّيْحَانُ শস্যের পাতা এবং যমীন থেকে উৎপাদিত দানা যা ভক্ষণ করা হয় আরবী ভাষায় রিযকের অর্থে ব্যবহৃত হয়। কারো মতে, الْعَصْفُ খাওয়ার উপযোগী দানা এবং الرَّيْحَانُ খাওয়ার অনুপযোগী পাকা দানা। মুজাহিদ ব্যতীত অন্যান্য মুফাস্সির বলেছেন, اَلْعَصْفُ গমের পাতা। দাহ্হাক (রহ.) বলেন, اَلْعَصْفُ মানে ভূষি। আবূ মালিক (রহ.) বলেন, সর্বপ্রথম যা উৎপন্ন হয় তাকে اَلْعَصْفُ বলা হয়। হাবশী ভাষায় তাকে هَبُوْرًا হাবুর বলা হয়। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, اَلْعَصْفُ গমের পাতা। الرَّيْحَانُ খাদ্য। الْمَارِجُহলুদ এবং সবুজ বর্ণের অগ্নিশিখা যা আগুনের উপরে দেখা যায় যখন তা জ্বালানো হয়। মুজাহিদ (রহ.) থেকে কোন কোন মুফাসসির বলেন, رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ সূর্যের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উদয়স্থান। তেমনি رَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ শীত ও গ্রীস্মকালে সূর্যের দুই অস্তস্থল। لَا يَبْغِيَانِ তারা মিলিত হয় না। الْمُنْشَاٰتُ নদীতে পাল তোলা নৌকা। আর যে নৌকার পাল তোলা হয়নি তাকে الْمُنْشَاٰتُ বলা হয় না। মুজাহিদ বলেন, نُحَاسٌপিতল, যা তাদের মাথার উপর ঢালা হবে এবং এর দ্বারা তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। خَافَ مَقَامَ رَبِّهٰ সে গুনাহ্ করার ইচ্ছে করে; কিন্তু তার আল্লাহর কথা মনে পড়ে যায়। অবশেষে সে গুনাহ্ করার ইচ্ছা ত্যাগ করে। الشُّوَاظُ অগ্নি শিখা। مُدْهَآمَّتَانِ দেখতে কালো হবে সজীবতার কারণে। صَلْصَالٍ মাটি বালির সঙ্গে মিশে পোড়া মাটির মত ঝনঝন করে। বলা হয় صَلْصَالٍ দুর্গন্ধময়। শব্দটির মূল ছিল صَلَّ صَلْصَالٍবলা হয় যেমন صَرَّالْبَابُ বলা হয় এবং صَرَّصَرَّ الْبَابُ ও বলা হয়। (অর্থাৎ مضاعف رباعى থেকে مضاعفثلاثى এর উৎপত্তি)। যেমন كَبْكَبْتُه ব্যবহার করা হয়। যার মূল فَاكِهَةٌ وَّنَخْلٌ وَّرُمَّانٌ ফলমূল, খেজুর ও আনার। কারো মতে খেজুর ও আনার ফল নয়; কিন্তু আরবীয় লোকেরা এগুলোকেও ফল বলে গণ্য করে। খেজুর ও আনার ফলমূলের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও উপরোক্ত আয়াতে ফলমূলের কথা উল্লেখ করে এরপর খেজুর ও আনারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِএর মাঝে সকল সালাতের প্রতি যত্নবান হবার নির্দেশ প্রদান করতঃ পরে আবার বিশেষভাবে আসরের সালাতের প্রতি বিশেষ যত্নবান হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেমনভাবে أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَسْجُدُ لَه مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ ’’তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে....। (সূরাহ হাজ্জ ২২/২৮)-এর মধ্যে সকল মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও وَكَثِيْرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُআয়াতাংশটি পরে উল্লেখ করা হয়েছে (সুতরাং খেজুর ও আনারকে ফলমূল বহির্ভূত বলা ঠিক নয়)। মুজাহিদ (রহ.) ছাড়া অন্যান্য মুফাস্সির বলেন, أَفْنَانٍ ডালাসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই উদ্যানের ফল হবে তাদের নিকটবর্তী- (সূরাহ আর্ রহমান ৫৫/৫৪)। উভয় উদ্যানের ফল যা পাড়া হবে তা খুবই নিকটবর্তী হবে। হাসান (রহ.) বলেন, فَبِأَيِّاٰلَآءِ আল্লাহর কোন অনুগ্রহকে? ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন, মানব এবং দানব জাতিকে বোঝাবার জন্য رَبِّكُمَا দ্বি-বচনের صيغه ব্যবহার করা হয়েছে। আবুদ্ দারদা (রাঃ) বলেন, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ (তিনি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কার্যে রত)-এর ভাবার্থ হচ্ছে, প্রত্যহ তিনি মানুষের গুনাহ ক্ষমা করেন, বিপদ বিদূরিত করেন, এক সম্প্রদায়কে সুউচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং অপর সম্প্রদায়ের অবনতি ঘটান। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, بَرْزَخٌ অন্তরাল। الْأَنَامُ সৃষ্ট জীব। نَضَّاخَتَانِ খায়ের ও বারাকাতে উচ্ছলিত। ذُو الْجَلَالِ মহিমাময়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) ব্যতীত অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, مَارِجُ নির্ধূম অগ্নিশিখা। রাজা প্রজাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেয়ার পর তারা যখন পরস্পর পরস্পরের প্রতি অবাধে অত্যাচার করতে আরম্ভ করে তখন বলা হয়, اَلَامِيْرُمَرَجَالَامِيْرُرِعَيَّتَهمَرَجَاَمْرُالنَّاسِ মানুষের বিষয়টি গোলমেলে হয়ে পড়েছে। مَرِيْجٍ দোদুল্যমান। مَرَجَ الْبَحْرَيْنٍ দুই সমুদ্র পরস্পর মিলিত হয়ে গিয়েছে। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এর উৎপত্তি অর্থাৎ তুমি ছেড়ে দিয়েছ। سَنَفْرُغُ لَكُمْ অচিরেই আমি তোমাদের হিসাব গ্রহণ করব কারণ কোন অবস্থা আল্লাহ্ তা’আলাকে অন্য অবস্থা হতে গাফিল করতে পারে না। এ ধরনের ব্যবহার-বিধি আরবী ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ। যেমন বলা হয়, لَا تَفَرَّ غَنَّ لَكَ অথচ তার কোন ব্যস্ততা নেই (বরং এ ধরনের কথা ধমক-স্বরূপ বলা হয়ে থাকে)। এ বাক্যের মাধ্যমে বক্তা শ্রোতাকে এ কথাই বোঝাতে চায় যে, অবশ্যই আমি তোমাকে তোমার এ গাফলতের মজা আস্বাদন করাব।
৪৮৭৮. ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (জান্নাতের মধ্যে) দু’টি বাগান থাকবে। এ দু’টির সকল পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু রৌপ্য নির্মিত হবে এবং (জান্নাতে) আরো দু’টি উদ্যান থাকবে। এ দু’টির সকল পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু সোনার তৈরী হবে। জান্নাতে আদনের মধ্যে জান্নাতী লোকেরা তাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ করবে। এ জান্নাতবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের এ দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না। [৪৮৮০, ৭৪৪৪; মুসলিম ১/৮০, হাঃ ১৮০, আহমাদ ৮৪২৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫১৪)
بَاب قَوْلِهِ :{وَمِنْ دُوْنِهِمَا جَنَّتَانِ}
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ، آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا، وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ ".
Narrated `Abdullah bin Qais:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Two gardens, the utensils and the contents of which are of silver, and two other gardens, the utensils and contents of which are of gold. And nothing will prevent the people who will be in the Garden of Eden from seeing their Lord except the curtain of Majesty over His Face."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৫৫/২. আল্লাহর বাণীঃ তারা তাঁবুতে সুরক্ষিত গৌর বর্ণের হুর। (সূরাহ আর্ রহমান ৫৫/৭২)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْحُوْرُ السُّوْدُ الْحَدَقِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ مَقْصُوْرَاتٌ مَحْبُوْسَاتٌ قُصِرَ طَرْفُهُنَّ وَأَنْفُسُهُنَّ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ قَاصِرَاتٌ لَا يَبْغِيْنَ غَيْرَ أَزْوَاجِهِنَّ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন,حُوْرٌ কালো মনি যুক্ত চক্ষু। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مَقْصُوْرٰتٌ তাদের দৃষ্টি এবং তাদের সত্তা তাদের স্বামীদের জন্য সুরক্ষিত থাকবে।قَاصِرَاتٌ তারা তাদের জন্যই নির্দিষ্ট থাকবে। তারা তাদের ছাড়া অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষাও পোষণ করবে না।
৪৮৭৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে ফাঁপা মোতির একটি তাঁবু থাকবে। এর প্রশস্ততা হবে ষাট মাইল। এর প্রতি কোণে থাকবে হুর-বালা। এদের এক কোণের জন অপর কোণের জনকে দেখতে পাবে না। ঈমানদার লোকেরা তাদের কাছে যাবে। এতে থাকবে দু’টি বাগান, যার সকল পাত্র এবং ভেতরের সকল বস্তু হবে রূপার তৈরী। [৩২৪৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫১৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পরকালে প্রকৃত ঈমানদার মুসলিমগণের বাসস্থান জান্নাত এবং জান্নাতের নেয়ামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা একটি অপরিহার্য বিষয়।
২। জান্নাত হলো পরকালের চিরস্থায়ীর সুখময় স্থান, মহান আল্লাহ তাঁর অনুগত ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তিদের জন্য এই জান্নাতকে প্রস্তুত করেছেন। সুতরাং পরকালের এই জান্নাত হলো প্রকৃতপক্ষে তাদের বাসস্থান। সেই জান্নাতে রয়েছে অনেক নদী, অনেক ফল, অনেক সম্পদ এবং অনেক গাছ। সেখানে আরো রয়েছে ইচ্ছামত পানাহার ও আরামের সুব্যবস্থা এবং সুখশান্তিপূর্ণ জীবনের সমস্ত উপাদান। তাই সেখানে কোনো প্রকারের ক্লান্তি কিংবা অসুস্থতা ও অশান্তি অথবা কষ্ট নেই।
৩। প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মেতাবেক মহান আল্লাহর প্রতি সঠিক ঈমান এবং সৎ কর্মই হলো জান্নাত লাভের প্রকৃত উপাদান। তাই প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী সৎ লোকদের নিয়ম মেতাবেক মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আনুগত্য করে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে তাঁর কৃপায় ও অনুগ্রহে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে।
بَاب :{حُوْرٌ مَّقْصُوْرٰتٌ فِي الْخِيَامِ}
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا أَبُوْ عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ أَبِيْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ خَيْمَةً مِنْ لُؤْلُؤَةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّوْنَ مِيْلًا فِيْ كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِيْنَ يَطُوْفُ عَلَيْهِمْ الْمُؤْمِنُوْنَ.
Narrated `Abdullah bin Qais:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "In Paradise there is a pavilion made of a single hollow pearl sixty miles wide, in each corner of which there are wives who will not see those in the other corners; and the believers will visit and enjoy them. And there are two gardens, the utensils and contents of which are made of silver.
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/২৪. আল্লাহর বাণীঃ কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (সূরাহ আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩)
৭৪৪৪. কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও তার ভিতরের সব কিছুই হবে রূপার। আর দু’টি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও তার ভিতরের সবকিছুই হবে সোনার। জান্নাতে আদ্নে তাদের ও তাদের রবেবর দর্শনের মাঝে তাঁর চেহারার উপর অহঙ্কারের চাদর ব্যতীত আর কোন কিছু আড়াল থাকবে না। [৪৮৭৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৩৬)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ}
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ
Narrated `Abdullah bin Qais:
The Prophet (ﷺ) said, "(There will be) two Paradises of silver and all the utensils and whatever is therein (will be of silver); and two Paradises of gold, and its utensils and whatever therein (will be of gold), and there will be nothing to prevent the people from seeing their Lord except the Cover of Majesty over His Face in the Paradise of Eden (eternal bliss).
পরিচ্ছেদঃ ১/৭৮. কিয়ামত দিবসে মু'মিনগণ তাদের প্রতিপালক সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে দেখবেন তার প্রমাণ
১১৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (জান্নাতের মধ্যে) দু’টি উদ্যান থাকবে। এ দু’টির সকল পাত্র এবং এর অভ্যন্তরের সকল বস্তু রৌপ্য নির্মিত হবে এবং (জান্নাতে) আরো দু’টি উদ্যান থাকবে। এ দু’টির সকল পাত্র এবং অভ্যন্তরীণ সমুদয় বস্তু সোনার তৈরী হবে। জান্নাতি ’আদন এর মধ্যে জান্নাতী লোকেরা তাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ করবে। এ জান্নাতবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের এ দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর বড়ত্বের চাদর ব্যতীত আর কোন আড় থাকবে না।
حَدِيْثُ أَبِي مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩. জান্নাতের প্রাসাদসমূহের বিবরণ
২৫২৮। আবদুল্লাহ ইবনু কাইস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে দুটি বাগান আছে, যার সকল পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সামগ্রী রুপা দিয়ে নির্মিত এবং আরো দুটি বাগান আছে, যার পাত্রসমূহ ও এতে যা কিছু আছে সবই স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত। আর আদন নামক জান্নাতে মানুষ ও তাদের পালনকর্তার সাক্ষাতের মাঝে মহাপরাক্রমশালীর গৌরবের চাদর ছাড়া আর কিছুই অন্তরাল থাকবে না।
“সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৬), বুখারী, মুসলিম।
একই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ জান্নাতে মণি-মুক্তা দিয়ে নির্মিত একটি তাবুর প্রস্থ ষাট মাইল। এর প্রতিটি কোণে এক একজন করে হুর থাকবে। অন্যরা তাকে দেখতে পাবে না। ঈমানদারগণ তাদের (নিজ নিজ হুরের) নিকট যাতায়াত করবে।
সহীহঃ বুখারী (৩২৪৩), মুসলিম (৮/১৪৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ ইমরান আল-জাওনীর নাম ’আবদুল মালিক ইবনু হাবীব। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহঃ) বলেন, আবূ বকর ইবনু আবূ মূসার নাম অজানা। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাযিঃ)-এর নাম ’আবদুল্লাহ ইবনু কাইস। আবূ মালিক আল-আশ’আর (রাযিঃ)-এর নাম সা’দ ইবনু তারিক ইবনু আশইয়াম।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ جَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ فِضَّةٍ وَجَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ ذَهَبٍ وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ دُرَّةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ يُعْرَفُ اسْمُهُ . وَأَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ وَأَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقِ بْنِ أَشْيَمَ .
Abu Bakr bin 'Abdullah bin Qais narrated from his father that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed, in Paradise, there are two gardens, their vessels and all that are in them are of silver. And, there are two gardens, their vessels and all that are in them are of gold. There is nothing between the people and their seeing their Lord except the Cloak of Greatness upon his Face in the Garden of Eternity." And from the chain it is reported from the Prophet (s.a.w) he said: "Indeed in Paradise there is a great tent of hollowed pearl, its breadth is sixty miles, in every corner of it is a family, they do not see the others, and the believer goes around to them."