আল-লুলু ওয়াল মারজান ১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৮৮৪. আলক্বামাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম, উসমান (রাঃ) তার সাথে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে ’আবদুর রহমান! আপনার কাছে আমার কিছু প্রয়োজন আছে। এরপর তারা উভয়েই এক পার্শ্বে গেলেন। অতঃপর ’উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবু আবদুর রহমান! আমি আপনার সাথে এমন একটি কুমারী মেয়ের শাদী দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত দিনকে স্মরণ করিয়ে দিবে? আবদুল্লাহ যখন দেখলেন, তার এ শাদীর প্রয়োজন নেই তখন তিনি আমাকে ’হে ’আলাক্বামাহ’ বলে ডাক দিলেন। আমি তার কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি যখন আমাকে এ কথা বলছেন (তখন আমার স্মরণে এর চেয়ে বড় কথা আসছে আর তা হচ্ছে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন, হে যুবকের দল! আমাদের মধ্যে যে শাদীর সামর্থ্য রাখে, সে যেন শাদী করে এবং যে শাদীর সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ’রোযা’ পালন করে। কেননা, রোযা যৌন ক্ষমতাকে অবদমন করবে।

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ فَلَقِيَهُ عُثْمَانُ بِمِنًى، فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمنِ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً، فَخَلَيَا فَقَالَ عُثْمَانُ: هَلْ لَكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمنِ فِي أَنْ نُزَوِّجَكَ بِكْرًا تُذَكِّرُكَ مَا كُنْتَ تَعْهَدُ فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللهِ أَنْ لَيْسَ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى هذَا، أَشَارَ إِلَيَّ، فَقَالَ: يَا عَلْقَمَةُ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ، لَقَدْ قَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالْصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ

حديث عبد الله بن مسعود عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا ابا عبد الرحمن ان لي اليك حاجة، فخليا فقال عثمان: هل لك يا ابا عبد الرحمن في ان نزوجك بكرا تذكرك ما كنت تعهد فلما راى عبد الله ان ليس له حاجة الى هذا، اشار الي، فقال: يا علقمة فانتهيت اليه وهو يقول: اما لىن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فانه له وجاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলকামাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৮৮৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবিগণের গৃহে আগমন করল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হলো, তখন তারা ইবাদাতের পরিমাণ যেন কম মনে করল এবং বলল, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমকক্ষ হতে পারি না। কারণ, তার আগের ও পরের সকল গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতের সালাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সারা বছর রোযা পালন করব এবং কখনও বিরতি দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী বিবর্জিত থাকব-কখনও বিয়ে করব না।

এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, তোমরা কি ঐ সকল ব্যক্তি যারা এরূপ কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে অধিক ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি আমি অধিক আনুগত্যশীল; অথচ আমি রোযা পালন করি, আবার রোষা থেকে বিরতও থাকি। সালাত আদায় করি এবং ঘুমাই ও বিয়ে-শাদী করি। সুতরাং যে আমার সুন্নাহ বিমুখ হবে সে আমার দলভুক্ত নয়।

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا، فَقَالُوا: وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ؛ قَالَ أَحَدُهُمْ: أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا؛ وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلاَ أُفْطِرُ؛ وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلاَ أَتَزَوَّجُ أَبَدًا
فَجَاءَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَنْتُمُ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا؛ أَمَا وَاللهِ إِنِّي لأَخْشَاكُمْ للهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ، لكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ، وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ؛ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، قال: جاء ثلاثة رهط الى بيوت ازواج النبي صلى الله عليه وسلم يسالون عن عبادة النبي صلى الله عليه وسلم، فلما اخبروا كانهم تقالوها، فقالوا: واين نحن من النبي صلى الله عليه وسلم، قد غفر له ما تقدم من ذنبه وما تاخر؛ قال احدهم: اما انا فاني اصلي الليل ابدا؛ وقال اخر: انا اصوم الدهر ولا افطر؛ وقال اخر: انا اعتزل النساء فلا اتزوج ابدا فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: انتم الذين قلتم كذا وكذا؛ اما والله اني لاخشاكم لله واتقاكم له، لكني اصوم وافطر، واصلي وارقد، واتزوج النساء؛ فمن رغب عن سنتي فليس مني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৮৮৬. সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উসমান ইবনু মাজ’উনকে শাদী থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে, আমরাও খাসি হয়ে যেতাম।

حديث سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ رَدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ التَّبتُّلَ، وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لاَخْتَصَيْنَا

حديث سعد بن ابي وقاص، قال رد رسول الله صلى الله عليه وسلم، على عثمان بن مظعون التبتل، ولو اذن له لاختصينا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১৬/২. মুতয়াহ নিকাহ এবং তার হুকুম বৈধ হওয়া, অতঃপর রহিত হওয়া আবার বৈধ হওয়া ও রহিত হওয়া এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার নিষিদ্ধতা স্থায়ী হওয়া।

৮৮৭. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে বের হতাম, তখন আমাদের সাথে স্ত্রীগণ থাকত না, তখন আমরা বলতাম আমরা কি খাসি হয়ে যাৰ না? তিনি আমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করলেন এবং কাপড়ের বিনিময়ে হলেও মহিলাদেরকে বিয়ে করার অর্থাৎ নিকাহে মুত’আর অনুমতি দিলেন এবং পাঠ করলেনঃ (يأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللهُ لَكُمْ)।

نكاح المتعة وبيان أنه أبيح ثم نسخ ثم أبيح ثم نسخ واستقر تحريمه إِلى يوم القيامة

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا نَغْزُو مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ مَعَنَا نِسَاءٌ، فَقُلْنَا: أَلاَ نَخْتَصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ، فَرَخَّصَ لَنَا بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ نَتَزَوَّجَ الْمَرْأَةَ بِالثَّوْبِ؛ ثُمَّ قَرَأَ (يأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللهُ لَكُمْ)

حديث عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، قال: كنا نغزو مع النبي صلى الله عليه وسلم، وليس معنا نساء، فقلنا: الا نختصي فنهانا عن ذلك، فرخص لنا بعد ذلك ان نتزوج المراة بالثوب؛ ثم قرا (يايها الذين امنوا لا تحرموا طيبات ما احل الله لكم)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১৬/২. মুতয়াহ নিকাহ এবং তার হুকুম বৈধ হওয়া, অতঃপর রহিত হওয়া আবার বৈধ হওয়া ও রহিত হওয়া এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার নিষিদ্ধতা স্থায়ী হওয়া।

৮৮৮. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ এবং সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। আমরা কোন এক সেনাবাহিনীতে ছিলাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বললেন, আমাদেরকে মুতা’আহ বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা মুআহ করতে পার।

نكاح المتعة وبيان أنه أبيح ثم نسخ ثم أبيح ثم نسخ واستقر تحريمه إِلى يوم القيامة

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ قَالاَ: كُنَّا فِي جَيْشٍ، فَأَتَانَا رَسُولُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُمْ أَنْ تَسْتَمْتِعُوا، فَاسْتَمْتِعُوا

حديث جابر بن عبد الله، وسلمة بن الاكوع قالا: كنا في جيش، فاتانا رسول رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: انه قد اذن لكم ان تستمتعوا، فاستمتعوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১৬/২. মুতয়াহ নিকাহ এবং তার হুকুম বৈধ হওয়া, অতঃপর রহিত হওয়া আবার বৈধ হওয়া ও রহিত হওয়া এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার নিষিদ্ধতা স্থায়ী হওয়া।

৮৮৯. আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার যুদ্ধের দিন মহিলাদের মুতআহ (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিয়ে) করা থেকে এবং গৃহপালিত গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন।

نكاح المتعة وبيان أنه أبيح ثم نسخ ثم أبيح ثم نسخ واستقر تحريمه إِلى يوم القيامة

حديث عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَهى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءَ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَعَنْ أَكْلِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ

حديث علي بن ابي طالب رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، نهى عن متعة النساء يوم خيبر، وعن اكل الحمر الانسية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯০

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৩. কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে নিকাহ করা হারাম।

৮৯০. আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যেন ফুফু ও তার ভাতিজীকে এবং খালা এবং তার বোনঝিকে একত্রে শাদী না করে।

تحريم الجمع بين المرأة وعمتها أو خالتها في النكاح

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ يُجْمَعُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا، وَلاَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا

حديث ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا يجمع بين المراة وعمتها، ولا بين المراة وخالتها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯১

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৪. ইহরামের অবস্থায় নিকাহ হারাম ও প্রস্তাব দেয়া মাকরূহ।

৮৯১. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় মায়মূনাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেছেন।

تحريم نكاح المحرم وكراهة خطبته

حديث ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ

حديث ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم تزوج ميمونة وهو محرم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৫. কোন ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেয়া হারাম যতক্ষণ না সে অনুমতি দেয় অথবা পরিত্যাগ করে।

৮৯২. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে এক ভাই কোন জিনিসের দাম করছে এমতাবস্থায় অন্যকে তার দরদাম করতে নিষেধ করেছেন এবং এক মুসলিম ভাইয়ের শাদী প্রস্তাবের ওপরে অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না প্রথম প্রস্তাবকারী তার প্রস্তাব উঠিয়ে নেবে বা তাকে অনুমতি দেবে।

تحريم الخطبة على خطبة أخيه حتى يأذن أو يترك

حديث ابْنِ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ: نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَبِيعَ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَلاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ حَتَّى يَتْرُكَ الْخَاطِبُ قَبْلَهُ أَوْ يَأْذَنَ لَهُ الْخَاطِبُ

حديث ابن عمر كان يقول: نهى النبي صلى الله عليه وسلم ان يبيع بعضكم على بيع بعض، ولا يخطب الرجل على خطبة اخيه حتى يترك الخاطب قبله او ياذن له الخاطب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৬. শিগার বিবাহ হারাম ও তা বাতিল হওয়ার বর্ণনা।

৮৯৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্‌শিগার নিষিদ্ধ করেছেন। ’আশ্‌শিগার’ হলোঃ কোন ব্যক্তি নিজের কন্যাকে অন্য এক ব্যক্তির পুত্রের সাথে বিবাহ দিবে এবং তার কন্যা নিজের পুত্রের জন্য আনবে এবং এক্ষেত্রে কোন কনেই মোহর পাবে না।

تحريم نكاح الشغار وبطلانه

حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهى عَنِ الشِّغَارِ الشِّغَارُ أَنْ يُزَوِّجَ الرَّجُلُ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ الآخَرُ ابْنَتَهُ، لَيْسَ بَيْنَهُمَا صَدَاقٌ

حديث ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن الشغار الشغار ان يزوج الرجل ابنته على ان يزوجه الاخر ابنته، ليس بينهما صداق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৭. নিকাহ্‌র শর্তসমূহ পূর্ণ করা।

৮৯৪. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শর্তসমূহের মধ্যে যা পূর্ণ করার সর্বাধিক দাবী রাখে তা হল সেই শর্ত যার দ্বারা তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের হালাল করেছ।

الوفاء بالشروط في النكاح

حديث عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحَقُّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوجَ

حديث عقبة بن عامر رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: احق الشروط ان توفوا به ما استحللتم به الفروج

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৮. নিকাহর ক্ষেত্রে সায়েবা (বিবাহিতা মহিলা)’র সম্মতি হচ্ছে কথা বলা আর কুমারীর সম্মতি হচ্ছে চুপ থাকা।

৮৯৫. আবু সালামাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত শাদী দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ব্যতীত শাদী দিতে পারবে না। লোকরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কেমন করে তার অনুমতি নেব। তিনি বললেন, তার চুপ করে থাকাটাই তার অনুমতি।

استئذان الثيب في النكاح بالنطق والبكر بالسكوت

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ، وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ: أَنْ تَسْكُتَ

حديث ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تنكح الايم حتى تستامر، ولا تنكح البكر حتى تستاذن قالوا: يا رسول الله وكيف اذنها قال: ان تسكت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৮. নিকাহর ক্ষেত্রে সায়েবা (বিবাহিতা মহিলা)’র সম্মতি হচ্ছে কথা বলা আর কুমারীর সম্মতি হচ্ছে চুপ থাকা।

৮৯৬. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! মহিলাদের বিয়ে দিতে তাদের অনুমতি নিতে হবে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কুমারীর কাছে অনুমতি চাইলে তো লজ্জাবোধ করে; ফলে চুপ থাকে। তিনি বললেনঃ তার নীরবতাই তার অনুমতি।

استئذان الثيب في النكاح بالنطق والبكر بالسكوت

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ يُسْتَأْمَرُ النِّسَاءُ فِي أَبْضَاعِهِنَّ قَالَ: نَعَمْ قُلْتُ: فَإِنَّ الْبِكْرَ تُسْتَأْمَرُ فَتَسْتَحِي فَتَسْكُتُ، قَالَ: سُكَاتُهَا إِذْنُهَا

حديث عاىشة، قالت: قلت يا رسول الله يستامر النساء في ابضاعهن قال: نعم قلت: فان البكر تستامر فتستحي فتسكت، قال: سكاتها اذنها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১৬/৯. ছোট কুমারী মেয়ের পিতা কর্তৃক বিবাহ প্রদান।

৮৯৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে বিবাহ করেন, তখন আমার বয়স ছিল ছয় বছর। তারপর আমরা মদীনায় এলাম এবং বনু হারিস গোত্রে অবস্থান করলাম। সেখানে আমি জ্বরে আক্রান্ত হলাম। এতে আমার চুল পড়ে গেল। পরে যখন আমার মাথার সামনের চুল জমে উঠল, সে সময় আমি একদিন আমার বান্ধবীদের সাথে দোলনায় খেলা করছিলাম। তখন আমার মাতা উম্মে রূমান আমাকে উচ্চঃস্বরে ডাকলেন। আমি তার কাছে এলাম। আমি বুঝতে পারিনি, তার উদ্দেশ্য কী? তিনি আমার হাত ধরে ঘরের দরজায় এসে আমাকে দাঁড় করালেন। আর আমি হাঁফাচ্ছিলাম। শেষে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস কিছুটা প্রশমিত হল।

এরপর তিনি কিছু পানি নিলেন এবং তা দিয়ে আমার মুখমণ্ডল ও মাথা মাসেহ করে দিলেন। তারপর আমাকে ঘরের ভিতর প্রবেশ করালেন। সেখানে কয়েকজন আনসারী মহিলা ছিলেন। তাঁরা বললেন, কল্যাণময়, বরকতময় এবং সৌভাগ্যমণ্ডিত হোক। আমাকে তাদের কাছে দিয়ে দিলেন। তাঁরা আমার অবস্থান ঠিক করে দিলেন, তখন ছিল দ্বিপ্রহরের পূর্ব মুহূর্ত। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখে আমি হকচকিয়ে গেলাম। তাঁরা আমাকে তাঁর কাছে তুলে দিল। সে সময় আমি নয় বছরের বালিকা।

تزويج الأب البكر الصغيرة

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: تَزَوَّجَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ، فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، فَنَزَلْنَا فِي بَنِي الْحارِثِ بْنِ خَزْرَجٍ، فَوُعِكْتُ فَتَمَرَّقَ شَعَرِي، فَوَفَى جُمَيْمَةً، فَأَتَتْنِي أُمِّي، أُمُّ رُومَانَ، وَإنِّي لَفِي أُرْجُوحَةٍ، وَمَعِي صَوَاحِبُ لِي، فَصَرَخَتْ بِي فَأَتَيْتُهَا لاَ أَدْرِي مَا تُرِيد بِي؛ فَأَخَذَتْ بِيَدِي حَتَّى أَوْقَفَتْنِي عَلَى بَابِ الدَّارِ، وَإِنِّي لأَنْهِجُ حَتَّى سَكَنَ بَعْضُ نَفَسِى، ثُمَّ أَخَذَتْ شَيْئًا مِنْ مَاءٍ فَمَسَحَتْ بِهِ وَجْهِي وَرَأْسِي، ثُمَّ أَدْخَلَتْنِي الدَّارَ، فَإِذَا نِسْوَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الْبَيْتِ، فَقُلْنَ: عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ، وَعَلَى خَيْرِ طَائِرٍ؛ فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِنَّ، فَأَصْلَحْنَ مِنْ شَأْنِي، فَلَمْ يَرُعْنِي إِلاَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضُحًى، فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

حديث عاىشة، قالت: تزوجني النبي صلى الله عليه وسلم، وانا بنت ست سنين، فقدمنا المدينة، فنزلنا في بني الحارث بن خزرج، فوعكت فتمرق شعري، فوفى جميمة، فاتتني امي، ام رومان، واني لفي ارجوحة، ومعي صواحب لي، فصرخت بي فاتيتها لا ادري ما تريد بي؛ فاخذت بيدي حتى اوقفتني على باب الدار، واني لانهج حتى سكن بعض نفسى، ثم اخذت شيىا من ماء فمسحت به وجهي وراسي، ثم ادخلتني الدار، فاذا نسوة من الانصار في البيت، فقلن: على الخير والبركة، وعلى خير طاىر؛ فاسلمتني اليهن، فاصلحن من شاني، فلم يرعني الا رسول الله صلى الله عليه وسلم ضحى، فاسلمتني اليه، وانا يومىذ بنت تسع سنين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১২. মাহর- ৫০০ দিরহাম নির্ধারণ করা মুস্তাহাব যে অন্যের ক্ষতি করতে চায় না। এটা কুরআন শিক্ষা, লোহার আংটি ইত্যাদি অল্প মূল্যের ও বেশী মূল্যের হওয়া জায়িয।

৮৯৮. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার জীবনকে আপনার জন্য দান করতে এসেছি। এরপর নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক অবলোকন করে মাথা নিচু করলেন। মহিলাটি যখন দেখল যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ফয়সালা দিচ্ছেন না তখন সে বসে পড়ল। এমতাবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এ মহিলাটির সাথে আমার শাদী দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম কিছুই নেই।

তিনি বললেন, তুমি তোমার পরিবার পরিজনদের কাছে ফিরে যাও এবং দেখ কিছু পাও কি-না। এরপর লোকটি চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কিছুই পেলাম না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দেখ একটি লোহার আংটি হলেও। অতঃপর সে চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসূল! একটি লোহার আংটিও পেলাম না; কিন্তু এই যে আমার তহবন্দ আছে। সাহল (রাঃ) বলেন, তার কোন চাদর ছিল না। অথচ লোকটি বলল, আমার তহবন্দের অর্ধেক দিতে পারি।

এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ তহবন্দ দিয়ে কি হবে? যদি তুমি পরিধান কর, তাহলে মহিলাটির কোন আবরণ থাকবে না। আর যদি সে পরিধান করে, তোমার কোন আবরণ থাকবে না। লোকটি বসে পড়লো, অনেকক্ষণ সে বসে থাকল। এরপর উঠে দাঁড়াল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফিরে যেতে দেখে তাকে ডেকে আনলেন। যখন সে ফিরে আসল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কুরআনের কতটুকু মুখস্থ আছে? সে উত্তরে বলল, অমুক অমুক সূরাহ মুখস্থ আছে। সে এমনিভাবে একে একে উল্লেখ করতে থাকল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এ সকল সূরাহ মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পার? সে উত্তর করল, হাঁ! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাও, তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্থ রেখেছ, তার বিনিময়ে এ মহিলাটির তোমার সঙ্গে শাদী দিলাম।

الصداق وجواز كونه تعليم قرآن وخاتم حديد وغير ذلك من قليل وكثير واستحباب كونه خمسمائة درهم لمن لا يجحف به

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ لأَهَبَ لَكَ نَفْسِي، فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ، ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهُ؛ فَلَمَّا رَأَتِ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا جَلَسَتْ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ؛ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا فَقَالَ: هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَ: لاَ، وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: اذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ فَانْظُرْ هَلْ تَجِدُ شَيْئًا فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ؛ فَقَالَ؛ لاَ، وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ، مَا وَجَدْتُ شَيْئًا قَالَ: انْظُرْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ: لاَ، وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ، وَلاَ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، وَلكِنْ هذَا إِزَارِي (قَالَ سَهْلٌ مَالَهُ رِدَاءٌ) فَلَهَا نِصْفُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَيْءٌ، وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ شَيْءٌ فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى طَالَ مَجْلِسُهُ ثُمَّ قَامَ، فَرَآهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِهِ فَدُعِيَ، فَلَمَّا جَاءَ، قَالَ: مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ قَالَ: مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا وَسُورَة كَذَا؛ عَدَّهَا، قَالَ: أَتَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِكَ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: اذْهَبْ فَقَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ

حديث سهل بن سعد الساعدي ان امراة جاءت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالت: يا رسول الله جىت لاهب لك نفسي، فنظر اليها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فصعد النظر اليها وصوبه، ثم طاطا راسه؛ فلما رات المراة انه لم يقض فيها شيىا جلست فقام رجل من اصحابه؛ فقال: يا رسول الله ان لم يكن لك بها حاجة فزوجنيها فقال: هل عندك من شيء فقال: لا، والله يا رسول الله قال: اذهب الى اهلك فانظر هل تجد شيىا فذهب ثم رجع؛ فقال؛ لا، والله يا رسول الله، ما وجدت شيىا قال: انظر ولو خاتما من حديد فذهب ثم رجع فقال: لا، والله يا رسول الله، ولا خاتما من حديد، ولكن هذا ازاري (قال سهل ماله رداء) فلها نصفه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما تصنع بازارك ان لبسته لم يكن عليها منه شيء، وان لبسته لم يكن عليك شيء فجلس الرجل حتى طال مجلسه ثم قام، فراه رسول الله صلى الله عليه وسلم موليا فامر به فدعي، فلما جاء، قال: ماذا معك من القران قال: معي سورة كذا وسورة كذا وسورة كذا؛ عدها، قال: اتقروهن عن ظهر قلبك قال: نعم قال: اذهب فقد ملكتكها بما معك من القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৮৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১২. মাহর- ৫০০ দিরহাম নির্ধারণ করা মুস্তাহাব যে অন্যের ক্ষতি করতে চায় না। এটা কুরআন শিক্ষা, লোহার আংটি ইত্যাদি অল্প মূল্যের ও বেশী মূল্যের হওয়া জায়িয।

৮৯৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ)-এর দেহে সুফ্‌রার চিহ্ন দেখতে পেয়ে বললেন, এ কী? আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, আমি একজন মহিলাকে একটি খেজুরের আঁটি পরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে বিয়ে করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা তোমার এ শাদীতে বরকত দান করুন। তুমি একটি ছাগলের দ্বারা হলেও ওয়ালীমার ব্যবস্থা কর।

الصداق وجواز كونه تعليم قرآن وخاتم حديد وغير ذلك من قليل وكثير واستحباب كونه خمسمائة درهم لمن لا يجحف به

حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ عَوْفٍ أَثَرَ صُفْرَةٍ قَالَ: مَا هذَا قَالَ: إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ: بَارَكَ اللهُ لَكَ، أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ

حديث انس رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم، راى على عبد الرحمن بن عوف اثر صفرة قال: ما هذا قال: اني تزوجت امراة على وزن نواة من ذهب، قال: بارك الله لك، اولم ولو بشاة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৯০০

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১৩. দাসী মুক্ত করা এবং মুনিব কর্তৃক তাকে বিবাহ করার ফযীলত।

৯০০. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার অভিযানে বের হয়েছিলেন। সেখানে আমরা খুব ভোরে ফজরের সালাত আদায় করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হলেন। আবু তালহা (রাঃ)-ও সওয়ার হলেন, আর আমি আবু তালহার পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সওয়ারীকে খায়বরের পথে চালিত করলেন। আমার হাঁটু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঊরুতে লাগছিল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঊরু হতে ইযার সরে গেল। এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উরুর উজ্জ্বলতা যেন এখননা আমি দেখছি। তিনি যখন নগরে প্রবেশ করলেন তখন বললেনঃ আল্লাহু আকবার। খায়বর ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন কওমের প্রাঙ্গণে অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃতদের ভাের হবে কতই না মন্দ! এ কথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন।

আনাস (রাঃ) বলেনঃ খায়বারের অধিবাসীরা নিজেদের কাজে বেরিয়েছিল। তারা বলে উঠলঃ মুহাম্মদ! আবদুল ’আযীয (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কোন কোন সাথী ’পূর্ণ বাহিনীসহ’ (ওয়াল খামীস) শব্দও যোগ করেছেন। পরে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা খায়বার জয় করলাম। তখন যুদ্ধবন্দীদের সমবেত করা হলো। দিহয়া (রাঃ) এসে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! বন্দীদের হতে আমাকে একটি দাসী দিন। তিনি বললেন যাও, তুমি একটি দাসী নিয়ে যাও। তিনি সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ)-কে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! বনু কুরাইযা ও বনু নাযীরের অন্যতম নেত্রী সাফিয়্যা বিনত হুয়াইকে আপনি দিহয়াকে দিচ্ছেন? তিনি তো একমাত্র আপনারই যোগ্য । তিনি বললেন ও দিহয়াকে সাফিয়্যাসহ ডেকে আন।

তিনি সাফিয়্যাসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়া (রাঃ)-কে দেখলেন তখন (দিহয়াকে) বললেনঃ তুমি বন্দীদের হতে অন্য একটি দাসী দেখে নাও। রাবী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যাহ (রাঃ)-কে আযাদ করে দিলেন এবং তাকে বিয়ে করলেন। রাবী সাবিত (রহঃ) আবু হামযাহ (আনাস) (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কি মাহর দিলেন? আনাস (রাঃ) জওয়াব দিলেনঃ তাঁকে আযাদ করাই তাঁর মাহর। এর বিনিময়ে তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন।

অতঃপর পথে উম্মু সুলায়মান (রাঃ) সাফিয়্যাহ (রাঃ)-কে সাজিয়ে রাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে পেশ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাসর রাত যাপন করে ভােরে উঠলেন। তিনি ঘোষণা দিলেন যার নিকট খাবার কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে। এ বলে তিনি একটা চামড়ার দস্তরখান বিছালেন। কেউ খেজুর নিয়ে আসলো, কেউ ঘি আনলো। ’আবদুল আযীয (রহঃ) বলেন আমার মনে হয় আনাস (রাঃ) ছাতুর কথাও উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তারা এসব মিশিয়ে খাবার তৈরি করলেন। এ-ই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওয়ালীমাহ।

فضيلة إِعتاقه أمته ثم يتزوجها

حديث أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَزَا خَيْبَرَ، فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلاَةَ الْغَدَاةِ بِغَلَسٍ، فَرَكِبَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ، وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ، فَأَجْرَى نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زُقَاقٍ خَيْبَرَ، وَأَنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَسَرَ الإِزَارَ عَنْ فَخِذِهِ حَتَّى إِنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ فَخِذِ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ: اللهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ: وَخَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ، فَقَالُوا: مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ (يَعْنِي الْجَيْش) قَالَ: فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً، فَجُمِعَ السَّبْىُ، فَجَاءَ دِحْيَةُ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللهِ أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ، قَالَ: اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللهِ أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ لاَ تَصْلُحُ إِلاَّ لَكَ قَالَ: ادْعُوهُ بِهَا فَجَاءَ بِهَا؛ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْىِ غَيْرَهَا قَالَ: فَأَعْتَقَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَهَا

حديث انس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، غزا خيبر، فصلينا عندها صلاة الغداة بغلس، فركب نبي الله صلى الله عليه وسلم، وركب ابو طلحة، وانا رديف ابي طلحة، فاجرى نبي الله صلى الله عليه وسلم في زقاق خيبر، وان ركبتي لتمس فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم، ثم حسر الازار عن فخذه حتى اني انظر الى بياض فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم، فلما دخل القرية قال: الله اكبر خربت خيبر، انا اذا نزلنا بساحة قوم فساء صباح المنذرين قالها ثلاثا قال: وخرج القوم الى اعمالهم، فقالوا: محمد والخميس (يعني الجيش) قال: فاصبناها عنوة، فجمع السبى، فجاء دحية، فقال: يا نبي الله اعطني جارية من السبى، قال: اذهب فخذ جارية فاخذ صفية بنت حيي فجاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا نبي الله اعطيت دحية صفية بنت حيي، سيدة قريظة والنضير لا تصلح الا لك قال: ادعوه بها فجاء بها؛ فلما نظر اليها النبي صلى الله عليه وسلم، قال: خذ جارية من السبى غيرها قال: فاعتقها النبي صلى الله عليه وسلم وتزوجها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৯০১

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১৩. দাসী মুক্ত করা এবং মুনিব কর্তৃক তাকে বিবাহ করার ফযীলত।

৯০১. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কারো যদি একটি বাঁদী থাকে আর সে তাকে প্রতিপালন করে, তার সাথে ভাল আচরণ করে এবং তাকে মুক্তি দিয়ে বিয়ে করে, তাহলে সে দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করবে।

فضيلة إِعتاقه أمته ثم يتزوجها

حديث أَبِي مُوسى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ كَانَتْ لَهُ جَارِيَةٌ فَعَالَهَا فَأَحْسَنَ إِلَيْهَا، ثَمَّ أَعْتَقَهَا، وَتَزَوَّجَهَا، كَانَ لَهُ أَجْرَانِ

حديث ابي موسى رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كانت له جارية فعالها فاحسن اليها، ثم اعتقها، وتزوجها، كان له اجران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৯০২

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১৪. যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) শাদী ও পর্দার আয়াত অবতীর্ণ এবং বিবাহের ওয়ালীমার প্রমাণ।

৯০২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন শাদী করেন, তখন ওয়ালীমা করেন, কিন্তু যাইনাব (রাঃ)-এর শাদীর সময় যে পরিমাণ ওয়ালীমার ব্যবস্থা করেছিলেন, তা অন্য কারো বেলায় করেননি। সেই ওয়ালীমাহ ছিল একটি ছাগল দিয়ে।

زواج زينب بنت جحش ونزول الحجاب وإِثبات وليمة العرس

حديث أَنَسٍ، قَالَ: ما أَوْلَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى شَيْءٍ مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ، أَوْلَمَ بِشَاةٍ

حديث انس، قال: ما اولم النبي صلى الله عليه وسلم، على شيء من نساىه ما اولم على زينب، اولم بشاة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
৯০৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬/১৪. যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) শাদী ও পর্দার আয়াত অবতীর্ণ এবং বিবাহের ওয়ালীমার প্রমাণ।

৯০৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যয়নাব বিন্ত জাহশকে যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ে করেন, তখন তিনি লোকদের দাওয়াত দিলেন। লোকরা আহারের পর বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। তিনি উঠে যেতে উদ্যত হচ্ছিলেন, কিন্তু লোকরা উঠছিল না। এ অবস্থা দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। তিনি উঠে যাওয়ার পর যারা উঠবার তারা উঠে গেল। কিন্তু তিন ব্যক্তি বসেই রইল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের জন্য ফিরে এসে দেখেন, তারা তখনও বসে রয়েছে (তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলেন)। এরপর তারাও উঠে গেল। আমি গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ দিলাম। অতঃপর তিনি এসে প্রবেশ করলেন। এরপর আমি প্রবেশ করতে চাইলে তিনি আমার ও তার মাঝে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেনঃ (يأَيُّهَا الَّذِينَءَامَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ) হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না ... শেষ পর্যন্ত।

زواج زينب بنت جحش ونزول الحجاب وإِثبات وليمة العرس

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: لَمَّا تَزَوَّجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ ابْنَةَ جَحْشٍ، دَعَا الْقَوْمَ فَطَعِمُوا، ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ، وَإِذَا هُوَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ، فَلَمْ يَقُومُوا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ؛ فَلَمَّا قَامَ، قَامَ مَنْ قَامَ، وَقَعَدَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِيَدْخُلَ، فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ؛ ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا، فَانْطَلَقْتُ فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا؛ فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ، فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ، فَأَلْقَى الْحِجَابَ بَيْنِى وَبَيْنَهُ؛ فَأَنْزَلَ اللهُ (يأَيُّهَا الَّذِينَءَامَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ) الآية

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، قال: لما تزوج رسول الله صلى الله عليه وسلم زينب ابنة جحش، دعا القوم فطعموا، ثم جلسوا يتحدثون، واذا هو كانه يتهيا للقيام، فلم يقوموا، فلما راى ذلك قام؛ فلما قام، قام من قام، وقعد ثلاثة نفر، فجاء النبي صلى الله عليه وسلم، ليدخل، فاذا القوم جلوس؛ ثم انهم قاموا، فانطلقت فجىت فاخبرت النبي صلى الله عليه وسلم انهم قد انطلقوا؛ فجاء حتى دخل، فذهبت ادخل، فالقى الحجاب بينى وبينه؛ فانزل الله (يايها الذينءامنوا لا تدخلوا بيوت النبي) الاية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »