পরিচ্ছেদঃ ২৬/১. নাযার পূর্ণ করার নির্দেশ।
১০৬১. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। সাদ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জানতে চাইলেন যে, আমার মা মারা গেছেন এবং তার উপর মান্নত ছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ কর।
الأمر بقضاء النذر
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ رضي الله عنه، اسْتَفْتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ أُمِّي مَاتَتْ وَعَلَيْهَا نَذْرٌ، فَقَالَ: اقْضِهِ عَنْهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৬/২. নাযর মানা নিষিদ্ধ এবং এটা ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটায় না।
১০৬২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানৎ করতে নিষেধ করেছেন। এ মর্মে তিনি বলেন, মানৎ কোন জিনিসকে দূর করতে পারে না। এ দ্বারা শুধুমাত্র কৃপণের মাল খরচ হয়।
النهي عن النذر وأنه لا يرد شيئًا
حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ النَّذْرِ، قَالَ: إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا، وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيل
পরিচ্ছেদঃ ২৬/২. নাযর মানা নিষিদ্ধ এবং এটা ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটায় না।
১০৬৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানৎ মানুষকে এমন বস্তু এনে দিতে পারে না, যা তার তকদীরে নির্ধারিত করা হয়নি, বরং মানৎটি তাকদীরের মাঝেই ঢেলে দেয়া হয় যা তার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সুতরাং এর মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’আলা কৃপণের নিকট হতে মাল বের করে নিয়ে আসেন। আর তাকে এমন কিছু দিয়ে থাকেন যা পূর্বে তাকে দেয়া হয়নি।
النهي عن النذر وأنه لا يرد شيئًا
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ يَأْتِي ابْنَ آدَمَ النَّذْرُ بِشَيْءٍ لَمْ يَكُنْ قُدِّرَ لَهُ، وَلكِنْ يُلْقِيهِ النَّذْرُ إِلَى الْقَدَرِ قَدْ قُدِّرَ لَهُ، فَيَسْتَخْرِجُ اللهُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ، فَيُؤْتِي عَلَيْهِ مَا لَمْ يَكُنْ يُؤْتِي عَلَيْهِ مِنْ قَبْلُ
পরিচ্ছেদঃ ২৬/৪. যে ব্যক্তি কাবা পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার নাযর মানলো।
১০৬৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের উপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেনঃ তার কী হয়েছে? তারা বললেন, তিনি পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকটি নিজেকে কষ্ট দিক আল্লাহ তা’আলার এর কোন দরকার নেই। অতঃপর তিনি তাকে সওয়ার হয়ে চলার জন্য আদেশ করলেন।
من نذر أن يمشي إلى الكعبة
حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى شَيْخًا يُهَادَى بَيْنَ ابْنَيْهِ، قَالَ: مَا بَالُ هذَا قَالُوا: نَذَرَ أَنْ يَمْشِيَ؛ قَالَ: إِنَّ اللهَ عَنْ تَعْذِيبِ هذَا نَفْسَهُ لَغَنِيٌّ وَأَمَرَهُ أَنْ يَرْكَبَ
পরিচ্ছেদঃ ২৬/৪. যে ব্যক্তি কাবা পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার নাযর মানলো।
১০৬৫. উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানৎ করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ পায়ে হেঁটেও চলুক, সওয়ারও হোক।
من نذر أن يمشي إلى الكعبة
حديث عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إِلَى بَيْتِ اللهِ، وَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاسْتَفْتَيْتُهُ فَقَالَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ