আল-লুলু ওয়াল মারজান ৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৬৫

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৬৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে থাকে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার আমল তার অনুসরণ করে থাকে। তার পরিবারবর্গ ও তার মাল ফিরে আসে, পক্ষান্তরে তার ’আমল তার সঙ্গে থেকে যায়।

حديث أَنَسِ بن مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ، وَيَبْقَى عَمَلُهُ

حديث انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يتبع الميت ثلاثة فيرجع اثنان ويبقى معه واحد يتبعه اهله وماله وعمله فيرجع اهله وماله، ويبقى عمله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৬৬

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৬৬. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’আমর ইবনু আউফ আনসারী (রাঃ) যিনি বনী আমির ইবনু লুয়াইয়ের মিত্র ছিলেন এবং বার যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ’উবাইদাহ ইবন জাররাহ (রাঃ)-কে বাহরাইনের জিযিয়া আদায় করার জন্য পাঠালেন। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ)-কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবু ’উবাইদাহ (রাঃ) বাহরাইন হতে অর্থ সম্পদ নিয়ে এলেন। আনসারগণ আবু ’উবাইদাহর আগমন বার্তা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ফজরের সালাতে সবাই হাযির হন। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করে ফিরলেন, তখন তারা তাঁর সামনে হাযির হলেন।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আমার মনে হয় তোমরা শুনেছ, আবূ ’উবাইদাহ কিছু নিয়ে এসেছেন। তারা বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের খুশী করে তার আকাঙ্ক্ষা রাখ। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে দারিদ্রের ভয় করি না। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া এরূপ প্রসারিত হয়ে পড়বে যেমন তোমাদের অগ্রবর্তীদের উপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের বিনাশ করবে, যেমন তাদের বিনাশ করেছে।

حديث عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الأَنْصَارِيِّ، وَهُوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَتْ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا صَلَّى بِهِمُ الْفَجْرَ انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ: أَظُنُّكُم قَدْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدْ جَاءَ بِشَيْءٍ قَالُوا: أَجَلْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: فَأَبْشِروا وَأَمِّلوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللهِ لاَ الْفَقْرَ أَخْشى عَلَيْكُمْ، وَلكِنْ أَخْشى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ

حديث عمرو بن عوف الانصاري، وهو حليف لبني عامر بن لوي، وكان شهد بدرا قال: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث ابا عبيدة بن الجراح الى البحرين ياتي بجزيتها وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم، هو صالح اهل البحرين، وامر عليهم العلاء بن الحضرمي فقدم ابو عبيدة بمال من البحرين فسمعت الانصار بقدوم ابي عبيدة فوافت صلاة الصبح مع النبي صلى الله عليه وسلم فلما صلى بهم الفجر انصرف فتعرضوا له فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم، حين راهم وقال: اظنكم قد سمعتم ان ابا عبيدة قد جاء بشيء قالوا: اجل يا رسول الله قال: فابشروا واملوا ما يسركم فوالله لا الفقر اخشى عليكم، ولكن اخشى عليكم ان تبسط عليكم الدنيا كما بسطت على من كان قبلكم، فتنافسوها كما تنافسوها، وتهلككم كما اهلكتهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৬৭

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৬৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের কারো দৃষ্টি যদি এমন ব্যক্তির উপর নিপতিত হয়, যাকে সম্পদে ও দৈহিক গঠনে অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে তবে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে তাকায়, যে তার চেয়ে হীন অবস্থায় রয়েছে।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ وَالْخَلْقِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ

حديث ابي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: اذا نظر احدكم الى من فضل عليه في المال والخلق، فلينظر الى من هو اسفل منه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৬৮

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৩৪৬৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, বানী ইসরাইলের মধ্যে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। কাজেই, তিনি তাদের নিকট একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে শ্বেত রোগীটির নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কোন্ জিনিস অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া। কেননা, মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার শরীরের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে তার রোগ সেরে গেল। তাকে সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া দান করা হল। অতঃপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ ধরনের সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, ’উট’ অথবা সে বলল, ’গরু’। এ ব্যাপারে বর্ণনাকারীর সন্দেহ রয়েছে যে শ্বেতরোগী না টাকওয়ালা দু’জনের একজন বলেছিল ’উট’ আর অপরজন বলেছিল ’গরু’। অতএব তাকে একটি দশ মাসের গর্ভবতী উটনী দেয়া হল। তখন ফিরশতা বললেন, ’’এতে তোমার জন্য বরকত হোক।’’

বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা টাকওয়ালার নিকট গেলেন এবং বললেন, তোমার নিকট কী জিনিস পছন্দনীয়? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার হতে যেন এ রোগ চলে যায়। মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। বর্ণনাকারী বলেন, ফেরেশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তৎক্ষণাৎ মাথার টাক চলে গেল। তাকে সুন্দর চুল দেয়া হল। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, ’গরু’। অতঃপর তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করলেন। এবং ফেরেশতা দু’আ করলেন, এতে তোমাকে বরকত দান করা হোক। অতঃপর ফেরেশতা অন্ধের নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ জিনিস তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, আল্লাহ্ যেন আমার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি মানুষকে দেখতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তখন ফেরেশতা তার চোখের উপর হাত ফিরিয়ে দিলেন, তৎক্ষণাৎ আল্লাহ্ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল ’ছাগল’। তখন তিনি তাকে একটি গর্ভবতী ছাগী দিলেন। উপরে উল্লেখিত লোকদের পশুগুলো বাচ্চা দিল। ফলে একজনের উটে ময়দান ভরে গেল, অপরজনের গরুতে মাঠ পূর্ণ হয়ে গেল এবং আর একজনের ছাগলে উপত্যকা ভরে গেল।

অতঃপর ঐ ফেরেশতা তাঁর পূর্ববর্তী আকৃতি প্রকৃতি ধারণ করে শ্বেতরোগীর নিকট এসে বললেন, আমি একজন নিঃস্ব ব্যক্তি। আমার সফরের সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ আমার গন্তব্য স্থানে পৌঁছার আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপায় নেই। আমি তোমার নিকট ঐ সত্তার নামে একটি উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং, কোমল চামড়া এবং সম্পদ দান করেছেন। আমি এর উপর সাওয়ার হয়ে আমার গন্তব্যে পৌঁছাব। তখন লোকটি তাকে বলল, আমার উপর বহু দায়িত্ব রয়েছে। তখন ফেরেশতা তাকে বললেন, সম্ভবত আমি তোমাকে চিনি। তুমি কি এক সময় শ্বেতরোগী ছিলে না? মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত। তুমি কি ফকীর ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে দান করেছেন। তখন সে বলল, আমি তো এ সম্পদ আমার পূর্বপুরুষ হতে ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। ফেরেশতা বললেন, তুমি যদি মিথ্যাচারী হও, তবে আল্লাহ্ তোমাকে সেরূপ করে দিন, যেমন তুমি ছিলে। অতঃপর ফেরেশতা মাথায় টাকওয়ালার নিকট তাঁর সেই বেশভূষা ও আকৃতিতে গেলেন এবং তাকে ঠিক তেমনই বললেন, যেরূপ তিনি শ্বেত রোগীকে বলেছিলেন। এও তাকে ঠিক অনুরূপ জবাব দিল যেমন জবাব দিয়েছিল শ্বেতরোগী।

তখন ফেরেশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাচারী হও, তবে আল্লাহ্ তোমাকে তেমন অবস্থায় করে দিন, যেমন তুমি ছিলে। শেষে ফেরেশতা অন্ধ লোকটির নিকট তাঁর আকৃতিতে আসলেন এবং বললেন, আমি একজন নিঃস্ব লোক, মুসাফির মানুষ; আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ বাড়ি পৌঁছার ব্যাপারে আল্লাহ্ ব্যতীত কোন গতি নেই। তাই আমি তোমার নিকট সেই সত্তার নামে একটি ছাগী প্রার্থনা করছি যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন আর আমি এ ছাগীটি নিয়ে আমার এ সফরে বাড়ি পৌঁছতে পারব। সে বলল, প্রকৃতপক্ষেই আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ্ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ফকীর ছিলাম। আল্লাহ্ আমাকে সম্পদশালী করেছেন। এখন তুমি যা চাও নিয়ে যাও। আল্লাহর কসম। আল্লাহর জন্য তুমি যা কিছু নিবে, তার জন্যে আজ আমি তোমার নিকট কোন প্রশংসাই দাবী করব না। তখন ফেরেশতা বললেন, তোমার সম্পদ তুমি রেখে দাও। তোমাদের তিন জনের পরীক্ষা নেয়া হল মাত্র। আল্লাহ্ তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তোমার সাথীদ্বয়ের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّ ثَلاَثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمى بَدَا للهِ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الأَبْرَصَ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ قَدْ قَذِرَنِيَ النَّاسُ قَالَ: فَمَسَحَهُ، فَذَهَبَ عَنْهُ فَأُعْطِيَ لَوْناً حَسَناً فَقَالَ: أيُّ الماَلِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: الإِبِلُ فَأُعْطِىَ نَاقَةً عُشَرَاءَ فَقَالَ: يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا
وَأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: شَعَرٌ حَسَنٌ، وَيَذْهَبُ عَنِّي هذَا قَدْ قَذِرَنِيَ النَّاسُ قَالَ: فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا قَالَ: فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: الْبَقَرُ قَالَ: فَأَعْطَاهُ بَقَرَةً حَامِلاً وَقَالَ: يُبَارَك لَكَ فِيهَا
وَأَتَى الأَعْمى، فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: يَرُدُّ اللهُ إِلَيَّ بَصَرِي، فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ: فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ قَالَ: فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ: الْغَنْمُ فَأَعْطَاهُ شَاةً وَالِدًا فَأُنْتِجن هذَانِ وَوَلَّدَ هذَا فَكَانَ لِهذِهِ وَادٍ مِنْ إِبِلٍ، وَلِهذَا وَادٍ مِنْ بَقَرٍ، وِلِهذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ

ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ، فَقَالَ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ تَقَطَّعَتْ بِيَ الْجِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إلا بِاللهِ، ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ، بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ، وَالجِلْدَ الْحَسَنَ، وَالْمَالَ، بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي فَقَالَ لَهُ: إِنَّ الْحُقُوقَ كَثِيرَةٌ فَقَالَ لَهُ: كَأَنِّي أَعْرِفُكَ أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ، فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللهُ فَقَالَ: لَقَدْ وَرِثْتُ لِكَابِرٍ عَنْ كَابِرٍ فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا، فَصَيَّرَكَ اللهُ إِلَى مَا كُنْتَ
وَأَتَى الأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهذَا فَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هذَا فَقَالَ: إِن كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللهُ إِلَى مَا كنْتَ
وَأَتَى الأَعْمى فِي صُورَتِهِ فَقَالَ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ، وَابْنُ سَبِيلٍ، وَتَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللهِ، ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ، بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ، شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي فَقَالَ: قَدْ كُنْتُ أَعْمى فَرَدَّ اللهُ بَصَرِي، وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِي فَخُذْ مَا شِئْتَ فَوَاللهِ لاَ أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ بِشَيْءٍ أَخَذْتَهُ للهِ فَقَالَ: أَمْسِكْ مَالَكَ فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ فَقَدْ رَضِيَ اللهُ عَنْكَ، وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: ان ثلاثة في بني اسراىيل، ابرص واقرع واعمى بدا لله ان يبتليهم فبعث اليهم ملكا فاتى الابرص فقال: اي شيء احب اليك قال: لون حسن وجلد حسن قد قذرني الناس قال: فمسحه، فذهب عنه فاعطي لونا حسنا فقال: اي المال احب اليك قال: الابل فاعطى ناقة عشراء فقال: يبارك لك فيها واتى الاقرع فقال: اي شيء احب اليك قال: شعر حسن، ويذهب عني هذا قد قذرني الناس قال: فمسحه فذهب واعطي شعرا حسنا قال: فاي المال احب اليك قال: البقر قال: فاعطاه بقرة حاملا وقال: يبارك لك فيها واتى الاعمى، فقال: اي شيء احب اليك قال: يرد الله الي بصري، فابصر به الناس قال: فمسحه فرد الله اليه بصره قال: فاي المال احب اليك قال: الغنم فاعطاه شاة والدا فانتجن هذان وولد هذا فكان لهذه واد من ابل، ولهذا واد من بقر، ولهذا واد من الغنم ثم انه اتى الابرص في صورته وهيىته، فقال: رجل مسكين تقطعت بي الجبال في سفري فلا بلاغ اليوم الا بالله، ثم بك اسالك، بالذي اعطاك اللون الحسن، والجلد الحسن، والمال، بعيرا اتبلغ عليه في سفري فقال له: ان الحقوق كثيرة فقال له: كاني اعرفك الم تكن ابرص يقذرك الناس، فقيرا فاعطاك الله فقال: لقد ورثت لكابر عن كابر فقال: ان كنت كاذبا، فصيرك الله الى ما كنت واتى الاقرع في صورته وهيىته، فقال له مثل ما قال لهذا فرد عليه مثل ما رد عليه هذا فقال: ان كنت كاذبا فصيرك الله الى ما كنت واتى الاعمى في صورته فقال: رجل مسكين، وابن سبيل، وتقطعت بي الحبال في سفري فلا بلاغ اليوم الا بالله، ثم بك اسالك، بالذي رد عليك بصرك، شاة اتبلغ بها في سفري فقال: قد كنت اعمى فرد الله بصري، وفقيرا فقد اغناني فخذ ما شىت فوالله لا اجهدك اليوم بشيء اخذته لله فقال: امسك مالك فانما ابتليتم فقد رضي الله عنك، وسخط على صاحبيك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৬৯

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৬৯. সা’দ ইনু আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, আমিই আরবের সর্বপ্রথম ব্যক্তি, আল্লাহর পথে যে তীর নিক্ষেপ করেছে। আমরা যুদ্ধকালীন এমন অবস্থায় দেখেছি নিজেদেরকে যে দুব্‌লাহ গাছের পাতা ও বাবলা ব্যতীত খাবারের কিছুই ছিল না। কেউ কেউ বকরীর পায়খানার মত পায়খানা করতেন। যা ছিল সম্পূৰ্ণ শুকনো। অথচ এখন আবার বনূ আসাদ (গোত্ৰ) এসে ইসলামের উপর চলার জন্য আমাকে তিরস্কার করছে। এখন আমি যেন শংকিত আমার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ।

حديث سَعْدٍ، قَالَ: إِنِّي لأَوَّلُ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللهِ وَرَأَيْتُنَا نَغْزُو وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ وَهذَا السَّمُرُ وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ، مَالَهُ خِلْطٌ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الإِسْلاَمِ خِبْتُ إِذًا، وَضَلَّ سَعْيِي

حديث سعد، قال: اني لاول العرب رمى بسهم في سبيل الله ورايتنا نغزو وما لنا طعام الا ورق الحبلة وهذا السمر وان احدنا ليضع كما تضع الشاة، ماله خلط ثم اصبحت بنو اسد تعزرني على الاسلام خبت اذا، وضل سعيي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭০

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’আ করতেনঃ হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারকে প্রয়োজনীয় জীবিকা দান করুন।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللهُمَّ ارْزُقْ آلَ مُحَمَّدٍ قُوتًا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اللهم ارزق ال محمد قوتا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭১

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আসার পর থেকে ইন্তিকাল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের লোকরা একাধারে তিন রাত গমের রুটি পেট ভরে খাননি।

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، مِنْ طَعَامِ الْبُرِّ، ثَلاَثَ لَيَالٍ تِبَاعًا، حَتَّى قُبِضَ

حديث عاىشة، قالت: ما شبع ال محمد صلى الله عليه وسلم، منذ قدم المدينة، من طعام البر، ثلاث ليال تباعا، حتى قبض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭২

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭২. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার একদিনে যখনই দুবেলা খানা খেয়েছেন একবেলা শুধু খুরমা খেয়েছেন।

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا أَكَلَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَكْلَتَيْنِ فِي يَوْمٍ، إِلاَّ إِحْدَاهُمَا تَمْرٌ

حديث عاىشة، قالت: ما اكل ال محمد صلى الله عليه وسلم، اكلتين في يوم، الا احداهما تمر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৩

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭৩. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি একবার ’উরওয়াহ (রাঃ)-এর উদ্দেশে বললেন, ভাগ্নে! আমরা (মাসের) নতুন চাঁদ দেখতাম, আবার নতুন চাঁদ দেখতাম। এভাবে দু’মাসে তিনটি নতুন চাঁদ দেখতাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন ঘরেই আগুন জ্বালানো হত না।

(’উরওয়াহ বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, খালা! আপনারা তাহলে বেঁচে থাকতেন কিভাবে? তিনি বললেন, দুটি কালো জিনিস অর্থাৎ খেজুর আর পানিই শুধু আমাদের বাঁচিয়ে রাখত। কয়েক ঘর আনসার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিবেশী ছিল। তাদের কিছু দুগ্ধবতী উটনী ও বকরী ছিল। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দুধ হাদিয়া পাঠাত। তিনি আমাদের তা পান করতে দিতেন।

حديث عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ: ابْنَ أُخْتِي إِنْ كُنَّا لَنَنْظرُ إِلَى الْهِلاَلِ ثُمَّ الْهِلاَلِ، ثَلاَثَةَ أَهِلَّةٍ فِي شَهْرَيْنِ، وَمَا أُوقِدَتْ فِي أَبْيَاتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَار
(قَالَ عُرْوَةُ) فَقُلْتُ: يَا خَالةُ مَا كَانَ يُعِيشُكُمْ قَالَتِ: الأَسْوَدَانِ: التَّمْرُ وَالْمَاءُ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جِيرَانٌ مِنَ الأَنْصَارِ، كَانَتْ لَهُمْ مَنَائِحُ، وَكَانُوا يَمْنَحُونَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَلْبَانِهِمْ فَيَسْقِينَا

حديث عاىشة، انها قالت لعروة: ابن اختي ان كنا لننظر الى الهلال ثم الهلال، ثلاثة اهلة في شهرين، وما اوقدت في ابيات رسول الله صلى الله عليه وسلم نار (قال عروة) فقلت: يا خالة ما كان يعيشكم قالت: الاسودان: التمر والماء الا انه قد كان لرسول الله صلى الله عليه وسلم، جيران من الانصار، كانت لهم مناىح، وكانوا يمنحون رسول الله صلى الله عليه وسلم من البانهم فيسقينا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৪

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭৪. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল হল। সে সময় আমরা পরিতৃপ্ত হয়ে খেজুর ও পানি খেলাম।

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ شَبِعْنَا مِنَ الأَسْوَدَيْنِ: التَّمْرِ وَالْمَاءِ

حديث عاىشة، قالت: توفي النبي صلى الله عليه وسلم حين شبعنا من الاسودين: التمر والماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৫

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৮৭৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত একাধারে তিনদিন আহার করে পরিতৃপ্ত হননি।

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ: مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ طَعَامٍ، ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، حَتَّى قُبِضَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه قال: ما شبع ال محمد صلى الله عليه وسلم، من طعام، ثلاثة ايام، حتى قبض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/১. ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত নিজেদের আত্মার প্রতি জুলুমকারী লোকদের বসবাস এলাকায় প্রবেশ করো না।

১৮৭৬. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা এসব আযাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের লোকালয়ে ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ করবে না। কান্না না আসলে সেখানে প্রবেশ করো না, যেন তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তা তোমাদের প্রতিও আসতে না পারে।

لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم إِلا أن تكونوا باكين

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَدْخُلُوا عَلَى هؤُلاَءِ الْمَعَذَّبِينَ، إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ فإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَلاَ تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ لاَ يُصِيبُكُمْ مَا أَصَابَهُمْ

حديث عبد الله بن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: لا تدخلوا على هولاء المعذبين، الا ان تكونوا باكين فان لم تكونوا باكين، فلا تدخلوا عليهم لا يصيبكم ما اصابهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/১. ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত নিজেদের আত্মার প্রতি জুলুমকারী লোকদের বসবাস এলাকায় প্রবেশ করো না।

১৮৭৭. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সামূদ জাতির আবাসস্থল হিজর নামক স্থানে অবতরণ করলেন আর তখন তারা এর কূপের পানি মশকে ভরে রাখলেন এবং এ পানি দ্বারা আটা গুলে নিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে হুকুম দিলেন, তারা ঐ কূপ হতে যে পানি ভরে রেখেছে, তা যেন ফেলে দেয় আর পানিতে গুলা আটা যেন উটগুলোক খাওয়ায় আর তিনি তাদের আদেশ করলেন তারা যেন ঐ কূপ হতে মশক ভরে যেখান হতে [সালিহ (আঃ)]-এর উটনীটি পানি পান করত।

لا تدخلوا مساكن الذين ظلموا أنفسهم إِلا أن تكونوا باكين

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّاسَ نَزَلُوا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْضَ ثَمُودَ، الْحِجْرَ، فَاسْتَقَوْا مِنْ بِئْرِهَا، وَاعْتَجَنُوا بِهِ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُهَرِيقُوا مَا اسْتَقَوْا مِنْ بِئْرِهَا، وَأَنْ يَعْلِفُوا الإِبِلَ الْعَجِينَ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْتَقُوا مِنَ الْبِئْرِ الَّتِي كَانَ تَرِدُهَا النَّاقَةُ

حديث عبد الله بن عمر، ان الناس نزلوا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ارض ثمود، الحجر، فاستقوا من بىرها، واعتجنوا به فامرهم رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يهريقوا ما استقوا من بىرها، وان يعلفوا الابل العجين وامرهم ان يستقوا من البىر التي كان تردها الناقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/২. বিধবা, দরিদ্র ও ইয়াতিমদের মঙ্গল সাধন।

১৮৭৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য (খাদ্য যোগাতে) সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের মত অথবা রাত জেগে ইবাদতকারী ও দিনভর সিয়াম পালনকারীর মত।

الإِحسان إِلَى الأرملة والمسكين واليتيم

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللهِ، أَوِ الْقَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ

حديث ابي هريرة، قال: قال: النبي صلى الله عليه وسلم: الساعي على الارملة والمسكين كالمجاهد في سبيل الله، او القاىم الليل الصاىم النهار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৩. মসজিদ নির্মাণের মর্যাদা।

১৮৭৯. ’উবাইদুল্লাহ খাওলানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ’উসমান ইবনু ’আফফান (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি যখন মসজিদে নববী নির্মাণ করেছিলেন তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেনঃ তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে। বুকায়র (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় রাবী ’আসিম (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।

فضل بناء المساجد

حديث عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ الْخَوْلاَنِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ يَقُولُ، عِنْدَ قَوْلِ النَّاسِ فِيهِ، حِينَ بَنى مَسْجِدَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكُمْ أَكْثَرْتُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: مَنْ بَنى مَسْجِدًا يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللهِ، بَنَى اللهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ

حديث عثمان بن عفان عن عبيد الله الخولاني، انه سمع عثمان بن عفان يقول، عند قول الناس فيه، حين بنى مسجد الرسول صلى الله عليه وسلم: انكم اكثرتم واني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول: من بنى مسجدا يبتغي به وجه الله، بنى الله له مثله في الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৮০

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৫. লোক দেখানো আমলের নিষিদ্ধতা।

১৮৮০. জুনদাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লোক শোনানো ইবাদাত করে আল্লাহ্ তা’আলা এর বিনিময়ে ’লোক-শোনানো দেবেন। আর যে ব্যক্তি লোক-দেখানো ’ইবাদাত করবে আল্লাহ্ এর বিনিময়ে ’লোক দেখানো দেবেন।

تحريم الرياء

حديث جُنْدَبٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سَمَّعَ سَمَّعَ اللهُ بِهِ، وَمَنْ يُرَائِي يُرَائِي اللهُ بِهِ

حديث جندب قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: من سمع سمع الله به، ومن يراىي يراىي الله به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৮১

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৬. বাক সংযত করা।

১৮৮১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয় বান্দা পরিণাম চিন্তা ব্যতিরেকেই এমন কথা বলে যে কথার কারণে সে ঢুকে যাবে জাহান্নামের এমন গভীরে যার দূরত্ব পূর্ব (পশ্চিম) এর দূরত্বের চেয়েও বেশি।

حفظ اللسان

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ، مَا يَتَبَيَّنُ فِيهَا، يَزِلُّ بِهَا فِي النَّارِ، أَبْعَدَ مِمَّا بَيْنَ الْمَشْرِقِ

حديث ابي هريرة، سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: ان العبد ليتكلم بالكلمة، ما يتبين فيها، يزل بها في النار، ابعد مما بين المشرق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৮২

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৭. যে ব্যক্তি ন্যায় কাজের নির্দেশ দেয় অথচ সে নিজেই তা করে না এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে অথচ সে নিজেই তা করে, তার শাস্তি।

১৮৮২. উসামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁকে বলা হল, কত ভাল হত! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির [উসমান (রাঃ)]-এর নিকট যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতেন। উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করছেন যে আমি তাঁর সঙ্গে আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার খুলে না বসি। আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন এ কারণে তিনি আমাদের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না।

লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কী বলতে শুনেছেন? উসামাহ (রাঃ) বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎ কাজে আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম।

عقوبة من يأمر بالمعروف ولا يفعله وينهى عن المنكر ويفعله

حديث أُسَامَةَ قِيلَ لَهُ: لَوْ أَتَيْتَ فُلاَنًا فَكَلَّمْتَهُ قَالَ: إِنَّكُمْ لَتُرَوْنَ أَنِّي لاَ أُكَلِّمُهُ إِلاَّ أُسْمِعُكُمْ إِنِّي أُكَلِّمُهُ فِي السِّرِّ، دُونَ أَنْ أَفْتَحَ بَابًا لاَ أَكُونُ أَوَّلَ مَنْ فَتَحَهُ وَلاَ أَقُولُ لِرَجُلٍ، أَنْ كَانَ عَلَيَّ أَمِيرًا: إِنَّهُ خَيْرُ النَّاسِ، بَعْدَ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: وَمَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَيُلْقى فِي النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَابُهُ فِي النَّارِ، فَيَدُورُ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِرَحَاهُ، فَيَجْتَمِعُ أَهْلُ النَّارِ عَلَيْهِ، فَيَقُولُونَ: أَيْ فُلاَنُ مَا شَأْنُكَ أَلَيْسَ كُنْتَ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ، وَتَنْهى عَنِ الْمُنْكَرِ قَالَ: كُنْتُ آمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَلاَ آتِيهِ، وَأَنْهَاكمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَآتِيهِ

حديث اسامة قيل له: لو اتيت فلانا فكلمته قال: انكم لترون اني لا اكلمه الا اسمعكم اني اكلمه في السر، دون ان افتح بابا لا اكون اول من فتحه ولا اقول لرجل، ان كان علي اميرا: انه خير الناس، بعد شيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا: وما سمعته يقول قال سمعته يقول: يجاء بالرجل يوم القيامة، فيلقى في النار، فتندلق اقتابه في النار، فيدور كما يدور الحمار برحاه، فيجتمع اهل النار عليه، فيقولون: اي فلان ما شانك اليس كنت تامرنا بالمعروف، وتنهى عن المنكر قال: كنت امركم بالمعروف ولا اتيه، وانهاكم عن المنكر واتيه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৮. কারো পাপ প্ৰকাশ করা নিষিদ্ধ।

১৮৮৩. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাত মাফ পাবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই ধৃষ্টতা যে, কোন ব্যক্তি রাতে অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে ভাের হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এমন এমন কর্ম করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত অতিবাহিত করল যে, আল্লাহ তার কর্ম গোপন রেখেছিলেন, আর সে ভােরে উঠে তার উপর আল্লাহর পর্দা খুলে ফেলল।

النهي عن هتك الإنسان ستر نفسه

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى، إِلاَّ الْمُجَاهِرينَ وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً، ثُمَّ يُصْبِحُ، وَقَدْ سَتَرَهُ اللهُ، فَيَقُولُ: يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللهِ عَنْهُ

حديث ابي هريرة، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: كل امتي معافى، الا المجاهرين وان من المجانة ان يعمل الرجل بالليل عملا، ثم يصبح، وقد ستره الله، فيقول: يا فلان عملت البارحة كذا وكذا وقد بات يستره ربه، ويصبح يكشف ستر الله عنه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
১৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৩/৯. হাঁচি দিলে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা এবং হাই তোলার অপছন্দনীয়তা।

১৮৮৪. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে দু’ ব্যক্তি হাঁচি দিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজনের জবাব দিলেন। অপরজনের জবাব দিলেন না। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ এই ব্যক্তি আলহামদু লিল্লাহ বলেছে। আর ঐ ব্যক্তি আহামদু লিল্লাহ বলেনি। (তাই হাঁচির জবাব দেয়া হয়নি)

تشميت العاطس وكراهة التثاؤب

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه قَالَ: عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا، وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ: هذَا حَمِدَ اللهَ، وَهذَا لَمْ يَحْمَدِ اللهَ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه قال: عطس رجلان عند النبي صلى الله عليه وسلم، فشمت احدهما، ولم يشمت الاخر فقيل له فقال: هذا حمد الله، وهذا لم يحمد الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫৩/ সংসারের প্রতি অনাসক্তি ও অন্তরের কোমলতা (كتاب الزهد والرقائق)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »