পরিচ্ছেদঃ ৫৬/ ইলমের ক্ষেত্রে সঠিক অনুধাবন
৭২। আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সফরে মদিনা পর্যন্ত ইবনু উমর (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। এ সময় তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটি মাত্র হাদীস রেওয়ায়েত করতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমরা একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর নিকট খেজুর গাছের মথি আনা হল। তারপর তিনি বললেনঃ গাছপালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার দৃষ্টান্ত মুসলিমের ন্যায়। তখন আমি বলতে চাইলাম যে, তা হল খেজুর গাছ, কিন্তু আমি ছিলাম উপস্থিত সবার চাইতে বয়সে ছোট। তাই চুপ করে রইলাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ গাছটি হল খেজুর গাছ।
باب الْفَهْمِ فِي الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمْ أَسْمَعْهُ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَأُتِيَ بِجُمَّارٍ فَقَالَ " إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً مَثَلُهَا كَمَثَلِ الْمُسْلِمِ ". فَأَرَدْتُ أَنْ أَقُولَ هِيَ النَّخْلَةُ، فَإِذَا أَنَا أَصْغَرُ الْقَوْمِ فَسَكَتُّ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هِيَ النَّخْلَةُ ".
(The superiority of) comprehending knowledge
Narrated Ibn `Umar: We were with the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) and fresh dates of a palm tree were brought to him. On that he said, "Amongst the trees, there is a tree which resembles a Muslim." I wanted to say that it was the datepalm tree but as I was the youngest of all (of them) I kept quiet. And then the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "It is the date-palm tree."
পরিচ্ছেদঃ ২৭১। মহান আল্লাহর বাণীঃ মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান রূপে গ্রহন কর (২:১২৫)
৩৮৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি উমর (রাঃ)-এর নিকট এলেন, এবং বললেনঃ ইনি হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তিনি কাবা ঘরে প্রবেশ করেছেন। ইবনু ’উমর (রাঃ) বলেনঃ আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম এবং দেখলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আমি বিলাল (রাঃ)-কে উভয় কপাটের মাঝখানে দাঁড়ানো দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি কা’বা ঘরের অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেছেন? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, কা’বায় প্রবেশ করার সময় তোমার বাঁ দিকের দুই স্তম্ভের মধ্যখানে দুই রাক’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। তারপর তিনি বের হলেন এবং কাবার সামনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى}
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَيْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، قَالَ أُتِيَ ابْنُ عُمَرَ فَقِيلَ لَهُ هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْكَعْبَةَ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَأَقْبَلْتُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَدْ خَرَجَ، وَأَجِدُ بِلاَلاً قَائِمًا بَيْنَ الْبَابَيْنِ، فَسَأَلْتُ بِلاَلاً فَقُلْتُ أَصَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْكَعْبَةِ قَالَ نَعَمْ رَكْعَتَيْنِ بَيْنَ السَّارِيَتَيْنِ اللَّتَيْنِ عَلَى يَسَارِهِ إِذَا دَخَلْتَ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى فِي وَجْهِ الْكَعْبَةِ رَكْعَتَيْنِ.
Narrated Mujahid: Someone came to Ibn 'Umar and said, "Here is Allah's Apostle entering the Ka'ba." Ibn 'Umar said, "I went there but the Prophet had come out of the Ka'ba and I found Bilal standing between its two doors. I asked Bilal, 'Did the Prophet pray in the Ka'ba?' Bilal replied, 'Yes, he prayed two Rakat between the two pillars which are to your left on entering the Ka'ba. Then Allah's Apostle came out and offered a two-Rak'at prayer facing the Ka'ba.' "
পরিচ্ছেদঃ ৭৩৯. নফল সালাত দু’রাকা’আত করে আদায় করা।
১০৯৮। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি ইবনু উমর (রাঃ) এর বাড়ীতে এসে তাঁকে খবর দিল, এই মাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা শরীফে প্রবেশ করলেন। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, আমি অগ্রসর হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা ঘর থেকে বের হয়ে পড়েছেন। বিলাল (রাঃ) দরওয়াযার কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা শরীফের ভিতরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন স্থানে? তিনি বললেন, দু’স্তম্ভের মাঝখানে। এরপর তিনি বেরিয়ে এসে কাবার সামনে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করলেন।
ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দু’ রাকা’আত সালাতুয যুহা (চাশ্ত-এর সালাত) এর আদেশ করেছেন। ইতবান (ইবনু মালিক আনসারী) (রাঃ) বলেন, একদিন বেশ বেলা হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর এবং উমার (রাঃ) আমার এখানে আগমণ করলেন। আমরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম আর তিনি (আমাদের নিয়ে) দু’ রাকা’আত সালাত (চাশ্ত) আদায় করলেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَكِّيُّ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ أُتِيَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ فِي مَنْزِلِهِ فَقِيلَ لَهُ هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ دَخَلَ الْكَعْبَةَ قَالَ فَأَقْبَلْتُ فَأَجِدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ خَرَجَ، وَأَجِدُ بِلاَلاً عِنْدَ الْبَابِ قَائِمًا فَقُلْتُ يَا بِلاَلُ، صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْكَعْبَةِ قَالَ نَعَمْ. قُلْتُ فَأَيْنَ قَالَ بَيْنَ هَاتَيْنِ الأُسْطُوَانَتَيْنِ. ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي وَجْهِ الْكَعْبَةِ. قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَوْصَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَكْعَتَىِ الضُّحَى. وَقَالَ عِتْبَانُ غَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ بَعْدَ مَا امْتَدَّ النَّهَارُ وَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ.
Narrated Mujahid:
Somebody came to the house of Ibn `Umar and told him that Allah's Messenger (ﷺ)s had entered the Ka`ba. Ibn `Umar said, "I went in front of the Ka`ba and found that Allah's Messenger (ﷺ) had come out of the Ka`ba and I saw Bilal standing by the side of the gate of the Ka`ba. I said, 'O Bilal! Has Allah's Apostle (p.b.u.h) prayed inside the Ka`ba?' Bilal replied in the affirmative. I said, 'Where (did he pray)?' He replied, '(He prayed) Between these two pillars and then he came out and offered a two rak`at prayer in front of the Ka`ba.' " Abu `Abdullah said: Abu Huraira said, "The Prophet (p.b.u.h) advised me to offer two rak`at of Duha prayer (prayer to be offered after sunrise and before midday). " Itban (bin Malik) said, "Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) and Abu Bakr, came to me after sunrise and we aligned behind the Prophet (p.b.u.h) and offered two rak`at."
পরিচ্ছেদঃ ৯৯০. নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করা।
১৪৬১। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এর নিকট ছিলাম, লোকেরা দাজ্জালের আলোচনা করে বলল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তাঁর দু’ চোখের মাঝে (কপালে) কা-ফি-র লেখা থাকবে। রাবী বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু শুনিনি। অবশ্য তিনি বলেছেনঃ আমি যেন দেখছি মূসা (আঃ) নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করছিলেন।
باب التَّلْبِيَةِ إِذَا انْحَدَرَ فِي الْوَادِي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ أَنَّهُ قَالَ " مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ ". فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ أَسْمَعْهُ وَلَكِنَّهُ قَالَ " أَمَّا مُوسَى كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذِ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي يُلَبِّي ".
Narrated Mujahid:
I was in the company of Ibn `Abbas and the people talked about Ad-Dajjal and said, "Ad-Dajjal will come with the word Kafir (non-believer) written in between his eyes." On that Ibn `Abbas said, "I have not heard this from the Prophet (ﷺ) but I heard him saying, 'As if I saw Moses just now entering the valley reciting Talbyia. ' "
পরিচ্ছেদঃ ১১১৪. নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন
১৬৬১। কুতায়বা (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং ’উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহঃ) মসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) ’আয়িশা (রাঃ)-এর হুজরার পাশে বসে আছেন। ইতিমধ্যে কিছু লোক মসজিদে সালাতুদ্দোহা আদায় করতে লাগল। আমরা তাঁকে এদের সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটা বিদ’আত। এরপর ’উরোয়া ইবনু যুবাইর (রহঃ) তাঁকে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার ’উমরা আদায় করেছেন? তিনি বললেন, চারবার। এর মধ্যে একটি রজব মাসে। আমরা তাঁর কথা রদ করা পছন্দ করলাম না।
আমরা উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশা (রাঃ)-এর হুজরার ভিতর থেকে তাঁর মিসওয়াক করার আওয়াজ গুনতে পেলাম। তখন ’উরওয়া (রহঃ) বললেন, হে আম্মাজানো, হে উম্মুল মুমিনীন! আবূ ’আবদুর রাহমান কি বলেছেন, আপনি কি শুনেন নি? ’আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি কি বলছেন? ’উরওয়া (রহঃ) বললেন, তিনি বলছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার ’উময়া আদায় করেছেন। এর মধ্যে একটি রজব মাসে। ’আয়িশা (রাঃ) বললেন, আবূ ’আবদুর রাহমানের প্রতি আল্লাহ রহম করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কোন ’উমরা আদায় করেননি, যে তিনি তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে কখনো ’উমরা আদায় করেননি।
باب كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ،، فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ، وَإِذَا نَاسٌ يُصَلُّونَ فِي الْمَسْجِدِ صَلاَةَ الضُّحَى. قَالَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ صَلاَتِهِمْ. فَقَالَ بِدْعَةٌ. ثُمَّ قَالَ لَهُ كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعً إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ، فَكَرِهْنَا أَنْ نَرُدَّ عَلَيْهِ. قَالَ وَسَمِعْنَا اسْتِنَانَ، عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فِي الْحُجْرَةِ، فَقَالَ عُرْوَةُ يَا أُمَّاهُ، يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ. أَلاَ تَسْمَعِينَ مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ. قَالَتْ مَا يَقُولُ قَالَ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرَاتٍ إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ. قَالَتْ يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَا اعْتَمَرَ عُمْرَةً إِلاَّ وَهُوَ شَاهِدُهُ، وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ.
Narrated Mujahid:
Urwa bin Az-Zubair and I entered the Mosque (of the Prophet) and saw `Abdullah bin `Umar sitting near the dwelling place of Aisha and some people were offering the Duha prayer. We asked him about their prayer and he replied that it was a heresy. He (Urwa) then asked him how many times the Prophet (ﷺ) had performed `Umra. He replied, 'Four times; one of them was in the month of Rajab." We disliked to contradict him. Then we heard `Aisha, the Mother of faithful believers cleaning her teeth with Siwak in the dwelling place. 'Urwa said, "O Mother! O Mother of the believers! Don't you hear what Abu `Abdur Rahman is saying?" She said, "What does he say?" 'Urwa said, "He says that Allah's Messenger (ﷺ) performed four `Umra and one of them was in the month of Rajab." `Aisha said, "May Allah be merciful to Abu `Abdur Rahman! The Prophet (ﷺ) did not perform any `Umra except that he was with him, and he never performed any `Umra in Rajab."
পরিচ্ছেদঃ ২০৩৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং স্মরণ কর আমার শক্তিশালী বান্দা দাউদ এর কথা, নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী ছিলেন ... ফায়সালাকারী বাগ্মিতা (৩৮ঃ ১৭-২০)।
قَالَ مُجَاهِدٌ الْفَهْمُ فِي الْقَضَاءِ وَهَلْ أَتَاكَ نَبَأُ الْخَصْمِ إِلَى وَلَا تُشْطِطْ لَا تُسْرِفْ وَاهْدِنَا إِلَى سَوَاءِ الصِّرَاطِ إِنَّ هَذَا أَخِي لَهُ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ نَعْجَةً يُقَالُ لِلْمَرْأَةِ نَعْجَةٌ وَيُقَالُ لَهَا أَيْضًا شَاةٌ وَلِي نَعْجَةٌ وَاحِدَةٌ فَقَالَ أَكْفِلْنِيهَا مِثْلُ وَكَفَلَهَا زَكَرِيَّاءُ ضَمَّهَا وَعَزَّنِي غَلَبَنِي صَارَ أَعَزَّ مِنِّي أَعْزَزْتُهُ جَعَلْتُهُ عَزِيزًا فِي الْخِطَابِ يُقَالُ الْمُحَاوَرَةُ قَالَ لَقَدْ ظَلَمَكَ بِسُؤَالِ نَعْجَتِكَ إِلَى نِعَاجِهِ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنْ الْخُلَطَاءِ الشُّرَكَاءِ لَيَبْغِي إِلَى قَوْلِهِ أَنَّمَا فَتَنَّاهُ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ اخْتَبَرْنَاهُ وَقَرَأَ عُمَرُ فَتَّنَّاهُ بِتَشْدِيدِ التَّاءِ فَاسْتَغْفَرَ رَبَّهُ وَخَرَّ رَاكِعًا وَأَنَابَ
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, فَصْلَ الْخِطَابِ অর্থ বিচার-ফয়সালার সঠিক জ্ঞান। وَلاَ تُشْطِطْ অবিচার করবে না। (আল্লাহর বাণীঃ) আমাদের সঠিক পথ নির্দেশ করুন। এ আমার ভাই, তার কাছে নিরানব্বইটি দুম্বা এবং আমার আছে মাত্র একটি দুম্বা। نَعْجَةٌ মহিলা এবং বকরী উভয়কেই বলা হয়ে থাকে – সে বলে, আমার যিম্মায় এটি দিয়ে দাও। এ বাক্য وَكَفَلَهَا كَرِيَّاءُ এর মত অর্থাৎ যাকারিয়া তার যিম্মায় মারইয়ামকে নিয়ে নিলেন। وَعَزَّنِي فِي الْخِطَابِ এবং কথায় সে আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করেছে। عَزَّنِي অর্থ আমার উপর সে প্রবল হয়েছে। আমার চাইতে সে প্রবল। أَعْزَزْتُهُ অর্থ আমি তাকে প্রবল করে দিলাম। خِطَابِ অর্থ বাক্যালাপ। (আল্লাহর বাণীঃ) দাউদ বলল তোমার দুম্বাটিকে তার দুম্বাগুলির সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করে সে তোমার প্রতি যুলম করেছে। শরীকদের অনেকেই একে অন্যের উপর অবিচার করে থাকে। (৩৮ঃ ২৪) خُلَطَاءِ অর্থ শরীকগণ فَتَنَّاهُ ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন এর অর্থ পরিক্ষা করলাম। উমর (রাঃ) فَتَنَّاهُ শব্দে تاء হরফে তাশদীদ দিয়ে পাঠ করেছেন। (আল্লাহর বাণীঃ) তারপর সে রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়ল ও তার অভিমুখী হল (৩৮ঃ ২৪)
৩১৮১। মুহাম্মদ (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা কি সূরা ছোয়াদ পাঠ করে সিজদা করবো? তখন তিনি وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ থেকে فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ পর্যন্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেন। এরপর ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহান ব্যাক্তিদের একজন, যাঁদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। (৬ঃ ৮৪-৯০)
بَاب وَاذْكُرْ عَبْدَنَا دَاوُدَ ذَا الْأَيْدِ إِنَّهُ أَوَّابٌ إِلَى قَوْلِهِ وَفَصْلَ الْخِطَابِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ سَمِعْتُ الْعَوَّامَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ أَسْجُدُ فِي (ص) فَقَرَأَ (وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ) حَتَّى أَتَى (فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ) فَقَالَ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ أُمِرَ أَنْ يَقْتَدِيَ بِهِمْ.
Narrated Mujahid:
I asked Ibn `Abbas, "Should we perform a prostration on reciting Surat-Sa`d?" He recited (the Sura) including: 'And among his progeny, David, Solomon..(up to)...so follow their guidance (6.84-91) And then he said, "Your Prophet is amongst those people who have been ordered to follow them (i.e. the preceding apostles).
পরিচ্ছেদঃ ২২০৭. উমরাতুল কাযার বর্ণনা। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ বিষয়ে বর্ণনা করেছেন
৩৯২৯। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং উরওয়া ইবনু যুবায়র (রাঃ) মসজিদে নববীতে প্রবেশ করেই দেখলাম আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) এর হুজরার কিনারেই বসে আছেন। উরওয়া (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক’টি উমরা আদায় করেছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, চারটি। এ সময় আমরা (ঘরের ভিতরে) আয়িশা (রাঃ) এর মিসওয়াক করার আওয়াজ শুনতে পেলাম। উরওয়া (রাঃ) বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আবূ আবদুর রহমান [ইবনু উমর (রাঃ)] কি বলছেন, তা আপনি শুনেছেন কি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি উমরা করেছেন? আয়িশা (রাঃ) উত্তর দিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কয়টি উমরা আদায় করেছিলেন তার সবটিতেই তিনি (ইবনু উমর) তাঁর সাথে ছিলেন। [তাই ইবনু উমর (রাঃ) ঠিকই বলবেন] তবে তিনি রজব মাসে কখনো উমরা আদায় করেননি।
باب عُمْرَةُ الْقَضَاءِ ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ قَالَ كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعًا (إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ) ثُمَّ سَمِعْنَا اسْتِنَانَ، عَائِشَةَ قَالَ عُرْوَةُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَلاَ تَسْمَعِينَ مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ. فَقَالَتْ مَا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمْرَةً إِلاَّ وَهْوَ شَاهِدُهُ، وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ.
Narrated Mujahid:
`Urwa and I entered the Mosque and found `Abdullah bin `Umar sitting beside the dwelling place of `Aisha. `Urwa asked (Ibn `Umar), "How many `Umras did the Prophet (ﷺ) perform?" Ibn `Umar replied, "Four, one of which was in Rajab." Then we heard `Aisha brushing her teeth whereupon `Urwa said, "O mother of the believers! Don't you hear what Abu `Abdur-Rahman is saying? He is saying that the Prophet performed four `Umra, one of which was in Rajab." `Aisha said, "The Prophet (ﷺ) did not perform any `Umra but he (i.e. Ibn `Umar) witnessed it. And he (the Prophet (ﷺ) ) never did any `Umra in (the month of) Rajab."
পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন
৩৯৭৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে বললাম, আমি সিরিয়া দেশে হিজরত করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, এখন হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, বরং প্রয়োজন আছে জিহাদের। সুতরাং যাও, নিজ অন্তরের সাথে বোঝাপড়া করে দেখ, যদি জিহাদের সাহস খুঁজে পাও (তবে ভাল, গিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ কর)। অন্যথায় হিজরতের ইচ্ছা থেকে ফিরে আস।
অন্য সনদে নাযর [ইবনু শুমাইল (রহঃ)] মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন) আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে (এ কথা) বললে তিনি উত্তর করলেন, বর্তমানে হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই, অথবা তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর হিজরতের কোন প্রয়োজন নেই। এরপর তিনি উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُهَاجِرَ إِلَى الشَّأْمِ. قَالَ لاَ هِجْرَةَ وَلَكِنْ جِهَادٌ، فَانْطَلِقْ فَاعْرِضْ نَفْسَكَ، فَإِنْ وَجَدْتَ شَيْئًا وَإِلاَّ رَجَعْتَ.
وَقَالَ النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ فَقَالَ لاَ هِجْرَةَ الْيَوْمَ، أَوْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.
Narrated Mujahid:
I said to Ibn `Umar, "I want to migrate to Sham." He said, "There is no migration, but Jihad (for Allah's Cause). Go and offer yourself for Jihad, and if you find an opportunity for Jihad (stay there) otherwise, come back."
(In an other narration) Ibn `Umar said:
"There is no migration today or after Allah's Messenger (ﷺ)." (and completed his statement as above.)
পরিচ্ছেদঃ ২২১৭. লায়স [ইবন সা'দ (রহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবন শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন সালাবা ইবন সুআইব (রাঃ) আমাকে (হাদিসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সাঃ) তার মুখমণ্ডল
মাসাহ করে দিয়েছিলেন
৩৯৭৯। ইসহাক (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্বার জন্য দাঁড়িয়ে বললেন, যেদিন আল্লাহ্ সমুদয় আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেই দিন থেকেই তিনি মক্কা নগরীকে সম্মান দান করেছেন। তাই আল্লাহ্ কর্তৃক এ সম্মান প্রদানের কারণে এটি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সম্মানিত থাকবে। আমার পূর্বেকার কারো জন্য তা (কখনো) হালাল করা হয়নি, আমার পরবর্তী কারো জন্যও তা হালাল করা হবে না। আর আমার জন্যও মাত্র একদিনের সামান্য অংশের জন্যই তা হালাল করা হয়েছিল। এখানে অবস্থিত শিকারকে তাড়ানো যাবে না, কাঁটাযুক্ত বৃক্ষের কাঁটাতেও কাস্তে ব্যবহারে করা যাবে না। ঘাস কাটা যাবে না। রাস্তায় পড়ে থাকা কোন জিনিসকে মালিকের হাতে পৌঁছেয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হারানো প্রাপ্তি সংবাদ প্রচারকারী ব্যতীত অন্য কেউ তুলতে পাবে না।
এ ঘোষণা শুনে আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয্খির ঘাস ব্যতীত। কেননা ইয্খির ঘাস আমাদের কর্মকার ও বাড়ির (ঘরের ছাউনির) কাজে প্রয়োজন হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। এর কিছুক্ষণ পরে বললেন, ইয্খির ব্যতীত। ইয্খির ঘাস কাটা জায়েয। অন্য সনদে ইবনু জুবায়ের (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া এ হাদীস আবূ হুরায়রা (রাঃ) ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي حَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَامَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، فَهْىَ حَرَامٌ بِحَرَامِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، لَمْ تَحِلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي، وَلاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحْلِلْ لِي إِلاَّ سَاعَةً مِنَ الدَّهْرِ، لاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلاَ يُعْضَدُ شَوْكُهَا، وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ ". فَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلاَّ الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهُ لِلْقَيْنِ وَالْبُيُوتِ، فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ " إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ حَلاَلٌ ". وَعَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِمِثْلِ هَذَا أَوْ نَحْوِ هَذَا. رَوَاهُ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Mujahid:
Allah's Messenger (ﷺ) got up on the day of the Conquest of Mecca and said, "Allah has made Mecca a sanctuary since the day He created the Heavens and the Earth, and it will remain a sanctuary by virtue of the sanctity Allah has bestowed on it till the Day of Resurrection. It (i.e. fighting in it) was not made lawful to anyone before me!, nor will it be made lawful to anyone after me, and it was not made lawful for me except for a short period of time. Its game should not be chased, nor should its trees be cut, nor its vegetation or grass uprooted, not its Luqata (i.e. Most things) picked up except by one who makes a public announcement about it." Al-Abbas bin `Abdul Muttalib said, "Except the Idhkhir, O Allah's Messenger (ﷺ), as it is indispensable for blacksmiths and houses." On that, the Prophet (ﷺ) kept quiet and then said, "Except the Idhkhir as it is lawful to cut."
পরিচ্ছেদঃ ২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৫। ইসহাক (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا এ আয়াতে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর পরিবার থেকে ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। আয়াতে উল্লিখতيعفون শব্দের অর্থيهبن দান করে। অনন্তর আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেনঃوَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ ’’তোমাদের মধ্যে সপত্নীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদের গৃহ হতে বহিস্কার না করে তাদের এক বছরের ভরণ পোষণের ওসীয়ত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। (২: ২৪০)
রাবী বলেন, আল্লাহ তা’আলা স্ত্রীর জন্য পূর্ণ বছর সতের মাস এবং বিশ রজনী নির্ধারিত করেছেন ওসীয়ত হিসেবে। সে ইচ্ছা করলে তার ওসয়ত থাকতে পারে, ইচ্ছা করলে বের হয়েও যেতে পারে। এ কথারই ইঙ্গিত করে আল্লাহর বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ মোট কথা যেভাবেই হোক স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। মুজাহিদ থেকে এরূপই জানা গেছে। কিন্তু ইমাম আতা বলেন যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর বাড়িতে ’ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দিয়েছে। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ’ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এ বাণী দলীল বলেঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ ইমাম আতা বলেন, স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিজনের নিকট ’ইদ্দত পালন করতে পারে এবং তার ওসীয়ত থাকতে পারে অথবা তথা হতে চলেও যেতে পারে।فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ আয়াতের মর্মানুসারে।
ইমাম আতা (রহঃ) বলেন, তারপর মিরাস বা উত্তরাধিকারের হুকুমولهن الربع مما تركتم আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল। সুতরাং ঘর ও বাসস্থানের নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। কাজেই যথেচ্ছা স্ত্রী ’ইদ্দত পালন করতে পারে। আর তার জন্য ঘরের বা বাসস্থানের দাবি আগ্রহ্য।
মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ হতে বর্ণিত, হাদীস বর্ণনা করেন আমার নিকট ওয়াকা’ ইবনুু আবি নাজীহ থেকে আর তিনি মুজাহিদ থেকে এ সম্পর্কে। এবং আরো আবী নাজীহ আতা থেকে এবং তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর ’ইদ্দত পালন স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দেয়। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এই বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ এবং তদনুরূপ আয়াত এর দলীল মুতাবিক।
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا فإذا بلغن أجلهن فلا جناح عليكم فيما فعلن في أنفسهن بالمعروف والله بما تعملون خبير يعفون يهبن
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شِبْلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) قَالَ كَانَتْ هَذِهِ الْعِدَّةُ تَعْتَدُّ عِنْدَ أَهْلِ زَوْجِهَا وَاجِبٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ) قَالَ جَعَلَ اللَّهُ لَهَا تَمَامَ السَّنَةِ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَصِيَّةً، إِنْ شَاءَتْ سَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ، وَهْوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ) فَالْعِدَّةُ كَمَا هِيَ وَاجِبٌ عَلَيْهَا. زَعَمَ ذَلِكَ عَنْ مُجَاهِدٍ. وَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا عِنْدَ أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَهْوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ). قَالَ عَطَاءٌ إِنْ شَاءَتِ اعْتَدَّتْ عِنْدَ أَهْلِهِ وَسَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى (فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ). قَالَ عَطَاءٌ ثُمَّ جَاءَ الْمِيرَاثُ فَنَسَخَ السُّكْنَى فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَلاَ سُكْنَى لَهَا. وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ بِهَذَا. وَعَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا فِي أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ (غَيْرَ إِخْرَاجٍ) نَحْوَهُ.
Narrated Mujahi:
(regarding the Verse):-- "Those of you who die and leave wives behind. They - (their wives) -- shall wait (as regards their marriage ) for four months and ten days)." (2.234) The widow, according to this Verse, was to spend this period of waiting with her husband's family, so Allah revealed: "Those of you who die and leave wives (i.e. widows) should bequeath for their wives, a year's maintenance and residences without turning them out, but if they leave (their residence), there is no blame on you for what they do with themselves provided it is honorable.' (i.e. lawful marriage) (2.240). So Allah entitled the widow to be bequeathed extra maintenance for seven months and twenty nights, and that is the completion of one year. If she wished she could stay (in her husband's home) according to the will, and she could leave it if she wished, as Allah says: "..without turning them out, but if they leave (the residence), there is no blame on you." So the 'Idda (i.e. four months and ten days as it) is obligatory for her. 'Ata said: Ibn `Abbas said, "This Verse, i.e. the Statement of Allah: "..without turning them out.." cancelled the obligation of staying for the waiting period in her dead husband's house, and she can complete this period wherever she likes." 'Ata's aid: If she wished, she could complete her 'Idda by staying in her dead husband's residence according to the will or leave it according to Allah's Statement:-- "There is no blame on you for what they do with themselves." `Ata' added: Later the regulations of inheritance came and abrogated the order of the dwelling of the widow (in her dead husband's house), so she could complete the 'Idda wherever she likes. And it was no longer necessary to provide her with a residence. Ibn `Abbas said, "This Verse abrogated her (i.e. widow's) dwelling in her dead husband's house and she could complete the 'Idda (i.e. four months and ten days) wherever she liked, as Allah's Statement says:--"...without turning them out..."
পরিচ্ছেদঃ ২৩৭২. আল্লাহর বাণীঃ তাদেরকে আল্লাহ সৎ পথে পরিচালিত করেছেন সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর (৬ঃ ৯০)
৪২৭৭। ইবরাহীম ইবনু মূসা ... মুজাহিদ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, সূরা "ص" এ সিজদা আছে কি না। তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ আছে। এরপর এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন-وَوَهَبْنَا) إِلَى قَوْلِهِ (فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ তারপর বললেন যে তিনি অর্থাৎ দাউদ (আলাইহিস সালাম) তাদের অন্তর্ভুক্ত ইয়াযিদ ইবনু হারূন, মুহাম্মদ ইবনু উবায়দ এবং সাহল ইবনু ইউসুফ আওয়াম থেকে, তিনি মুজাহিদ থেকে একটু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, মুজাহিদ বললেন যে, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এরপর তিনি বললেন, যাদের অনুসরণ করতে নির্দেশ করা হয়েছে তোমাদের নবী তাদের অন্তর্ভুক্ত।
باب قوله أولئك الذين هدى الله فبهداهم اقتده
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ الأَحْوَلُ، أَنَّ مُجَاهِدًا، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ أَفِي " ص " سَجْدَةٌ فَقَالَ نَعَمْ. ثُمَّ تَلاَ (وَوَهَبْنَا) إِلَى قَوْلِهِ (فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ) ثُمَّ قَالَ هُوَ مِنْهُمْ. زَادَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ عَنِ الْعَوَّامِ عَنْ مُجَاهِدٍ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ أُمِرَ أَنْ يَقْتَدِيَ بِهِمْ.
Narrated Mujahid:
That he asked Ibn `Abbas, "Is there a prostration Surat-al-Sa`d?" (38.24) Ibn `Abbas said, "Yes," and then recited: "We gave...So follow their guidance." (6.85,90) Then he said, "He (David ) is one them (i.e. those prophets)." Mujahid narrated: I asked Ibn `Abbas (regarding the above Verse). He said, "Your Prophet (Muhammad) was one of those who were ordered to follow them."
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৯. (মহান আল্লাহর বাণী) তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। তোমরা যা কর সে সমবন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।
৪৯৫৩। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বানীঃ "তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়" তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করে এ ইদ্দত পালন করা মহিলার জন্য ওয়াজিব ছিল। পরে মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ তোমাদের মধ্য স্বপত্নীক অবস্থায় যাদের মূত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদেরকে গৃহ থেকে বহিষ্কার না করে তাদের এক বছরের ভরন-পোষনের ওসিয়্যত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। (আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়)। মুজাহিদ বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সাত মাস বিশ দিনকে তার জন্য পূর্ণ বছর সাব্যস্ত করেছেন। মহিলা ইচ্ছা করলে ওসিয়্যত অনুসারে থাকতে পারে, আবার চাইলে চলেও যেতে পারে। একথাই আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “বহিষ্কার না করে, তবে যদি সেচ্ছায় বের হয়ে যায় তবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই তাই মহিলার উপরইদ্দত পালন করা যথারীতি ওয়াজিবই আছে।
আবূ নাজীহ এ কথাগুলো মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন। আতা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ আর আয়াতটি স্বামীর বাড়ীতে ইদ্দত পালন করার হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে। অতএব সে যেখানে ইচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আতা বলেনঃ ইচ্ছা হলে ওসিয়্যত অনুযায়ী সে স্বামীর পরিবারে অবস্থান করতে পারে। আবার ইচ্ছা হলে অন্যত্রও ইদ্দত পালন করতে পাবে। কেননা, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তারা নিজেদের জন্য বিধিমত যা করবে, তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আতা বলেন- এরপর মিরাসের আয়াত নায়িল হলে বাসস্থান দেওয়ার হুকুমও রহিত হয়ে যায়। এখন সে যেখানে মনে চায় ইদ্দত পালন করতে পারে, তাকে বাসস্থান দেওয়া জরুরী নয়।
بَابُ: {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا} إِلَى قَوْلِهِ: {بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ}
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شِبْلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) قَالَ كَانَتْ هَذِهِ الْعِدَّةُ تَعْتَدُّ عِنْدَ أَهْلِ زَوْجِهَا وَاجِبًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ) قَالَ جَعَلَ اللَّهُ لَهَا تَمَامَ السَّنَةِ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَصِيَّةً إِنْ شَاءَتْ سَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ، وَهْوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ) فَالْعِدَّةُ كَمَا هِيَ، وَاجِبٌ عَلَيْهَا، زَعَمَ ذَلِكَ عَنْ مُجَاهِدٍ. وَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا عِنْدَ أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ). وَقَالَ عَطَاءٌ إِنْ شَاءَتِ اعْتَدَّتْ عِنْدَ أَهْلِهَا، وَسَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ (فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ). قَالَ عَطَاءٌ ثُمَّ جَاءَ الْمِيرَاثُ فَنَسَخَ السُّكْنَى، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَلاَ سُكْنَى لَهَا.
Narrated Mujahid:
(regarding the Verse): 'If any of you dies and leaves wives behind,' That was the period of the 'Iddah which the widow was obliged to spend in the house of the late husband. Then Allah revealed: And those of you who die and leave wives should bequeath for their wives a year's maintenance and residence without turning them out, but if they leave, there is no blame on you for what they do of themselves, provided it is honorable (i.e. lawful marriage) (2.240) Mujahid said: Allah has ordered that a widow has the right to stay for seven months and twenty days with her husband's relatives through her husband's will and testament so that she will complete the period of one year (of 'Iddah). But the widow has the right to stay that extra period or go out of her husband's house as is indicated by the statement of Allah: 'But if they leave there is no blame on you,... ' (2.240) Ibn `Abbas said: The above Verse has cancelled the order of spending the period of the 'Iddah at her late husband's house, and so she could spend her period of the 'Iddah wherever she likes. And Allah says: 'Without turning them out.' 'Ata said: If she would, she could spend her period of the 'Iddah at her husband's house, and live there according to her (husband's) will and testament, and if she would, she could go out (of her husband's house) as Allah says: 'There is no blame on you for what they do of themselves.' (2.240) 'Ata added: Then the Verses of inheritance were revealed and the order of residence (for the widow) was cancelled, and she could spend her period of the 'Iddah wherever she would like, and she was no longer entitled to be accommodated by her husband's family.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৮। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা ইবনু আব্বাসের নিকট ছিলাম। তখন লোকজন দাজ্জালের কথা আলোচনা করন। একজন বললঃ তার দু’চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে ’কাফির’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি এমন কথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনিনি। তবে তিনি বলেছেনঃ তোমরা যদি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কে দেখতে চাও, তা হলে তোমাদের সঙ্গী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকাও। আর মূসা (আলাইহিস সালাম) হচ্ছেন শ্যাম বর্ণের লোক, কোঁকড়ান চুল বিশিষ্ট, নাকে লাগাম পরান লাল উটে আরোহণকারী। আমি যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছি যে, তিনি তালবিয়া (লাব্বায়কা) পাঠরত অবস্থায় (মক্কা) উপত্যকায় অবতরণ করছেন।
باب الْجَعْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ أَسْمَعْهُ قَالَ ذَاكَ وَلَكِنَّهُ قَالَ " أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَرَجُلٌ آدَمُ جَعْدٌ، عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ بِخُلْبَةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذِ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي يُلَبِّي ".
Narrated Mujahid:
We were with Ibn `Abbas and the people mentioned Ad-Dajjal. Someone said, "The word 'Kafir' (unbeliever) is written in between his (Ad-Dajjal's) eyes." Ibn `Abbas said, "I have not heard the Prophet saying this, but he said, 'As regards Abraham, he looks like your companion (i.e. the Prophet, Muhammad), and as regards Moses, he is a brown curly haired man riding a camel and reigned with a strong jute rope, as if I am now looking at him getting down in the valley and saying, "Labbaik".'"
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মি'রাজ এবং নামায ফরয হওয়া
৩১৯। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। উপস্থিত সবাই দাজ্জালের আলোচনা উঠালেন। তখন কোন একজন বললেন, তার (দাজ্জালের) দুই চোখের মাঝামাঝিতে ’কাফির’ শব্দ খচিত থাকবে। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছু বলেছেন বলে আমি শুনিনি। তবে এতটুকু বলতে শুনেছি যে, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম-এর আকৃতি জানতে হলে তোমাদের এ সাথীরই (নিজের দিকে ইঙ্গিত) দিকে তাকাও। (তিনি অনুরুপই ছিলেন) আর মূসা (আলাইহিস সালাম) ছিলেন গৌরবর্ণের সুঠামদেহী। তাঁকে লাল বর্নের একটি উষ্টের পিঠে আরোহিত দেখেছি। আমি যেন এখনও তাঁকে তালবিয়া পাঠ করা অবস্থায় উপত্যকার ঢাল দিয়ে নামতে দেখছি।
باب الإِسْرَاءِ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى السَّمَوَاتِ وَفَرْضِ الصَّلَوَاتِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ كَافِرٌ . قَالَ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ أَسْمَعْهُ . قَالَ ذَاكَ وَلَكِنَّهُ قَالَ " أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ وَأَمَّا مُوسَى فَرَجُلٌ آدَمُ جَعْدٌ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ بِخُلْبَةٍ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذَا انْحَدَرَ فِي الْوَادِي يُلَبِّي " .
It is narrated on the authority of Mujahid that he said:
We were with Ibn 'Abbas and (the people) talked about al-Dajjal. (One of them remarked. There is written between his eyes (the word) Kafir (infidel). The narrator said: Ibn 'Abbas remarked: I did not hear him (the Holy Prophet) say it, but he said: So far as Ibrahim is concerned. you may see your companion and so far as Moses is concerned, he is a well-built man with wheat complexion (riding) on a red camel with its halter made of the fibre of date-palm (and I perceive) as if I am seeing towards him as he is going down in the valley saying: I am at Thy service! my Lord.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. নবী (ﷺ) এর উমরার সংখ্যা ও সময়
২৯০৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও উরওয়া ইবনু যুবায়র মসজিদে প্রবেশ করলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আয়িশার(রাঃ) এর হুজরায় বসা ছিলেন এবং লোকেরা মসজিদে চাশতের সালাত আদায় করছিল। আমরা এদের সালাত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তা বিদআত। তাকে উরওয়া বললেন, হে আবূ আবদুর রহমান! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার উমরা করেছেন? তিনি বললেনঃ চারটি উমরা, এর একটি রজব মাসে। আমরা তার কথা অসত্য মনে করা ও তা রদ করা অপছন্দ করলাম। আমরা হুজরা থেকে আয়িশা (রাঃ) এর মিসওয়াক করার শব্দ শুনতে পেলাম। উরওয়া বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আবূ আবদুর রহমান কি বলেছেন তাকি আপনি শুনছেন না? তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে কি বলে? উরওয়া বললেন, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেন, এর একটি ছিল রজব মাসে। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তাআলা আবূ আবদুর রহমানকে রহম করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই উমরা করেছেন, সে তার সাথেই ছিল। তিনি কখনও রজব মাসে উমরা করেননি।
باب بَيَانِ عَدَدِ عُمَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَزَمَانِهِنَّ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ الضُّحَى فِي الْمَسْجِدِ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ صَلاَتِهِمْ فَقَالَ بِدْعَةٌ . فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَرْبَعَ عُمَرٍ إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ . فَكَرِهْنَا أَنْ نُكَذِّبَهُ وَنَرُدَّ عَلَيْهِ وَسَمِعْنَا اسْتِنَانَ عَائِشَةَ فِي الْحُجْرَةِ . فَقَالَ عُرْوَةُ أَلاَ تَسْمَعِينَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَا يَقُولُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَتْ وَمَا يَقُولُ قَالَ يَقُولُ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ عُمَرٍ إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ . فَقَالَتْ يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ وَهُوَ مَعَهُ وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ .
Mujahid reported:
I and 'Urwah b. Zubair entered the mosque and found 'Abdullah b. 'Umar sitting near the apartment of A'ishah and the people were observing the forenoon prayer (when the sun had sufficiently risen). We asked him about their prayer, and he said: It is bid'a (innovation), Urwah said to him: O Abu Abd al-Rahman, how many 'umrahs did Allah's Messenger (ﷺ) perform? He said: Four 'umrahs, one he performed during the month of Rajab. We were reluctant either to believe him or reject him. We heard the noise of brushing of her teeth by 'A'ishah in her apartment. 'Urwah said: Mother of the Faithful, are you not hearing what Abi 'Abd al-Rahman is saying? She said: What is he saying? Thereupon he ('Urwah) said: He (Ibn 'Umar) states that Allah's Apostle (ﷺ) performed four 'umrahs and one of them during the month of Rajab. Thereupon she remarked: May Allah have mercy upon Abu 'Abd al-Rahman. Never did Allah's Messenger (ﷺ) perform 'Umrah in which he did not accompany him, and he (Allah's Apostle) never performed 'Umrah during the month of Rajab.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. মু'মিনের উপমা খেজুর বৃক্ষের ন্যায়
৬৮৪০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনার পথে ইবনু উমার (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। একটি হাদীস ব্যতীত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কোন হাদীস বর্ণনা করতে তাকে আমি শুনিনি। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তার নিকট খেজুর গাছের মাথি আনা হল ...... অতঃপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীস দুটোর ন্যায় (এ হাদীসটি) বর্ণনা করলেন।
باب مَثَلُ الْمُؤْمِنِ مَثَلُ النَّخْلَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَمَا سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُتِيَ بِجُمَّارٍ . فَذَكَرَ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا .
Mujahid said:
(I have had the privilege) of accompanying Ibn 'Umar up to Medina but I did not hear him narrate anything from Allah's Messenger (ﷺ) except one hadith. And he said: We were in the presence of Allah's Messenger (ﷺ) that there was brought to him the kernel of a date. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. মু'মিনের উপমা খেজুর বৃক্ষের ন্যায়
৬৮৪১। ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট খেজুর গাছের মাথি আনা হল ...... অতঃপর পূর্বোক্তদের অনুরূপ হাদীস বর্ননা করেছেন।
باب مَثَلُ الْمُؤْمِنِ مَثَلُ النَّخْلَةِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَيْفٌ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ، عُمَرَ يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجُمَّارٍ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
Mujahid reported:
I heard Ibn 'Umar as saying: There was brought to Allah's Messenger (ﷺ) the kernel. The rest of the hadith is tile same.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. উযুর পরে পানি ছিটানো সম্পর্কে।
১৬৭. ইসহাক ইবনু ইসমাঈল .... মুজাছিদ (রহঃ) বানূ ছাফীফের এক ব্যাক্তি হতে এবং তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেশাব করার পর তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটাতে দেখেছি।
باب فِي الاِنْتِضَاحِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ ثَقِيفٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ نَضَحَ فَرْجَهُ .
حكم : صحيح (الألباني
A man from Thaqif on the authority of his father reported:
I saw the Messenger of Allah (ﷺ) urinate, and he sprinkled water on the private parts of his body.
Grade : Sahih (Al-Albani)
পরিচ্ছেদঃ ১৩২. মহিলাদের হায়েযকালীন সময়ে পরিধেয় বস্রাদি ধৌত করবে।
৩৫৮. মুহাম্মাদ ইবনু কাছীর ..... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিবিদের মাত্র একখানি করে পরিধেয় বস্ত্র ছিল। হায়েযের সময় তাই (আমাদের) পরিধানে থাকত। অতঃপর তাতে যদি রক্তের দাগ দেখা যেত, তখন আমরা মুখের একটু থুথু দিয়ে তা ঘষে রক্তের দাগ উঠিয়ে ফেলতাম।
باب الْمَرْأَةِ تَغْسِلُ ثَوْبَهَا الَّذِي تَلْبَسُهُ فِي حَيْضِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ - يَذْكُرُ عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيضُ فِيهِ فَإِنْ أَصَابَهُ شَىْءٌ مِنْ دَمٍ بَلَّتْهُ بِرِيقِهَا ثُمَّ قَصَعَتْهُ بِرِيقِهَا .
'Aishah said:
Each of us (wives of the Prophet) had only one clothe in which she would menstruate. Whenever it was smeared with blood, she would moisten it with her saliva and scratch it with saliva.
পরিচ্ছেদঃ ৫০. আযানের পর পুনরায় আহবান করা।
৫৩৮. মুহাম্মাদ ইবনু কাছীর .... মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা-আমি ইবনু উমার (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। এক ব্যক্তি যুহর অথবা আসর নামাযের আযানের পর তাছবীব (আযানের পর পুনঃ পুনঃ আহবান) করায় তিনি বলেন, তুমি আমাদের দল হতে বের হয়ে যাও, কেননা এটা বিদ্আত। (তিরমিযী, আহমদ, দারাকুতনী, বায়হাকী, ইবনু খুযায়মা)।
باب فِي التَّثْوِيبِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْقَتَّاتُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَثَوَّبَ رَجُلٌ فِي الظُّهْرِ أَوِ الْعَصْرِ قَالَ اخْرُجْ بِنَا فَإِنَّ هَذِهِ بِدْعَةٌ .
Narrated Abdullah ibn Umar:
Mujahid reported: I was in the company of Ibn Umar. A person invited the people for the noon or afternoon prayer (after the adhan had been called). He said: Go out with us (from this mosque) because this is an innovation (in religion).