পরিচ্ছেদঃ ৪/১. আযানের সূচনা
২১৩. ইবনু উমার হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন যে, মুসলিমগণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তাঁরা সালাতের সময় অনুমান করে সমবেত হতেন। এর জন্য কোন ঘোষণা দেয়া হতো না। একদা তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। কয়েকজন সাহাবী বললেন, নাসারাদের ন্যায় নাকূস বাজানোর ব্যবস্থা করা হোক। আর কয়েকজন বললেন, ইয়াহূদীদের শিঙ্গার ন্যায় শিঙ্গা ফোঁকানোর ব্যবস্থা করা হোক। ’উমার (রাযি.) বললেন, সালাতের ঘোষণা দেয়ার জন্য তোমরা কি একজন লোক পাঠাতে পার না? তখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে বিলাল, উঠ এবং সালাতের জন্য ঘোষণা দাও।
بدء الأذان
حَدِيْثُ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ كَانَ الْمُسْلِمُونَ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ يَجْتَمِعُونَ فَيَتَحَيَّنُونَ الصَّلاَةَ لَيْسَ يُنَادَى لَهَا فَتَكَلَّمُوا يَوْمًا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ اتَّخِذُوا نَاقُوسًا مِثْلَ نَاقُوسِ النَّصَارَى وَقَالَ بَعْضُهُمْ بَلْ بُوقًا مِثْلَ قَرْنِ الْيَهُودِ فَقَالَ عُمَرُ أَوَلاَ تَبْعَثُونَ رَجُلًا يُنَادِي بِالصَّلاَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا بِلَالُ قُمْ فَنَادِ بِالصَّلاَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/২. আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইক্বামাতের শব্দগুলো একবার উচ্চারণ করার নির্দেশ
২১৪. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (জামা’আতে সালাত আদায়ের জন্য) সাহাবা-ই কিরাম (রাযি.) আগুন জ্বালানো অথবা নাকূস বাজানোর কথা আলোচনা করেন। আবার এগুলোকে (যথাক্রমে) ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রথা বলে উল্লেখ করা হয়। অতঃপর বিলাল (রাযি.)-কে আযানের বাক্য দু’বার করে ও ইকামাতের বাক্য বেজোড় করে বলার নির্দেশ দেয়া হয়।
الأمر بشفع الأذان وإِيتار الإقامة
حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ فَذَكَرُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى فَأُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَأَنْ يُوتِرَ الْإِقَامَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৭. মুয়াযযিনের অনুরূপ শব্দ বলা যে তা শ্রবণ করে, অতঃপর নাবী (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করা এরপর তার নিকট ওয়াসীলা চাওয়া
২১৫. আবূ সাঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুআযযিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে।
القول مثل قول المؤذن لمن سمعه ثم يصلي على النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثم يسأل له الوسيلة
حَدِيْثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৮. আযানের ফযীলত এবং তা শুনে শয়তানের পলায়ন।
২১৬. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শোনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের জন্য ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বলা হয়, তখন আবার দূরে সরে যায়। ইক্বামাত(ইকামত/একামত) শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং বলে এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সে কয় রাক’আত সালাত আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না।
فضل الأذان وهرب الشيطان عند سماعه
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا نُودِيَ للصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ التَّأْذِينَ فَإِذَا قَضَى النِّدَاءَ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قَضَى التَّثْوِيبَ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ لاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى
পরিচ্ছেদঃ ৪/৯. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উত্তোলনের সময় দু হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব এবং সিজদা থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হবে না
২১৭. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকূ’র জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকূ’ হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন। তবে সিজদার সময় এরূপ করতেন না।
استحباب رفع اليدين حذو المنكبين مع تكبيرة الإحرام والركوع وفي الرفع من الركوع وأنه لا يفعله إِذا رفع من السجود
حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ فِي الصَّلاَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يَكُونَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ حِينَ يُكَبِّرُ لِلرُّكُوعِ وَيَفْعَلُ ذَلِكَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ وَيَقُولُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَلاَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৯. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উত্তোলনের সময় দু হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব এবং সিজদা থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হবে না
২১৮. আবূ কিলাবাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাযি.)-কে দেখেছেন, তিনি যখন সালাত আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু’ হাত উঠাতেন। আর যখন রুকূ’ করার ইচ্ছে করতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকূ’ হতে মাথা উঠাতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।
استحباب رفع اليدين حذو المنكبين مع تكبيرة الإحرام والركوع وفي الرفع من الركوع وأنه لا يفعله إِذا رفع من السجود
حَدِيْثُ مَالِكَ بْنَ الْحُوَيْرِثِ إِذَا صَلَّى كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ هَكَذَا
পরিচ্ছেদঃ ৪/১০. সালাতের মধ্যে প্রত্যেক নিচু ও উঁচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা শুধু রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময় ব্যতীত, কেননা তখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে
২১৯. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি তাদের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন এবং প্রতিবার উঠা বসার সময় তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার সালাতই আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
إِثبات التكبير في كل خفض ورفع في الصلاة إِلا رفعه من الركوع فيقول فيه: سمع الله لمن حمده
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
পরিচ্ছেদঃ ৪/১০. সালাতের মধ্যে প্রত্যেক নিচু ও উঁচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা শুধু রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময় ব্যতীত, কেননা তখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে
২২০. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আরম্ভ করার সময় দাঁড়িয়ে তাকবীর বলতেন। অতঃপর রুকূ’তে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন, আবার যখন রুকূ’ হতে পিঠ সোজা করে উঠতেন তখনঃ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদা্য় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। এবং যখন মাথা উঠাতেন তখনও তাকবীর বলতেন। আবার (দ্বিতীয়) সাজদায় যেতে তাকবীর বলতেন এবং পুনরায় মাথা উঠাতেন তখনও তাকবীর বলতেন। এভাবেই তিনি পুরো সালাত শেষ করতেন। আর দ্বিতীয় রাক’আতের বৈঠক শেষে যখন (তৃতীয় রাক’আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখনও তাকবীর বলতেন।
إِثبات التكبير في كل خفض ورفع في الصلاة إِلا رفعه من الركوع فيقول فيه: سمع الله لمن حمده
حَدِيْثُ أَبِيْ هُرَيْرَةَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنْ الرَّكْعَةِ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ عَنْ اللَّيْثِ وَلَكَ الْحَمْدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنْ الثِّنْتَيْنِ بَعْدَ الْجُلُوسِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১০. সালাতের মধ্যে প্রত্যেক নিচু ও উঁচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা শুধু রুকূ’ থেকে মাথা উঠানোর সময় ব্যতীত, কেননা তখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে
২২১. মুতাররিফ ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযি.) ’আলী ইবনু তালিব (রাযি.)-এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি যখন সাজদায় গেলেন তখন তাকবীর বললেন, সিজদা্ হতে যখন মাথা উঠালেন তখনও তাকবীর বললেন, আবার দু’ রাকআতের পর যখন দাঁড়ালেন তখনও তাকবীর বললেন। তিনি যখন সালাত শেষ করলেন তখন ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযি.) আমার হাত ধরে বললেন, ইনি [আলী (রাঃ)] আমাকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বা তিনি বলেছিলেন, আমাদের নিয়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করেছেন।
إِثبات التكبير في كل خفض ورفع في الصلاة إِلا رفعه من الركوع فيقول فيه: سمع الله لمن حمده
حَدِيْثُ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَا وَعِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ فَكَانَ إِذَا سَجَدَ كَبَّرَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ كَبَّرَ وَإِذَا نَهَضَ مِنْ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ أَخَذَ بِيَدِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ فَقَالَ قَدْ ذَكَّرَنِي هَذَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ لَقَدْ صَلَّى بِنَا صَلاَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم
পরিচ্ছেদঃ ৪/১১. প্রত্যেক রাকাআতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি সূরাহ ফাতিহা সুন্দর করে পড়তে পারে না ও সেটা শেখাও সম্ভব না হলে অন্য যা সহজ তা পড়া
২২২. ’উবাদাহ ইবনু সামিত (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা আল-ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হলো না।
وجوب قراءة الفاتحة في كل ركعة وأنه إِذا لم يحسن الفاتحة ولا أمكنه تعلمها، قرأ ما تيسر له من غيرها
حَدِيْثُ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১১. প্রত্যেক রাকাআতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি সূরাহ ফাতিহা সুন্দর করে পড়তে পারে না ও সেটা শেখাও সম্ভব না হলে অন্য যা সহজ তা পড়া
২২৩. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক সালাতেই কিরা’আত পড়া হয়। তবে যে সব সালাত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব। আর যে সব সালাতে আমাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব। যদি তোমরা উম্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) এর চেয়ে অধিক না পড়, সালাত আদায় হয়ে যাবে। আর যদি অধিক পড় তা উত্তম।
وجوب قراءة الفاتحة في كل ركعة وأنه إِذا لم يحسن الفاتحة ولا أمكنه تعلمها، قرأ ما تيسر له من غيرها
حَدِيْثُ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى عَنَّا أَخْفَيْنَا عَنْكُمْ وَإِنْ لَمْ تَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ أَجْزَأَتْ وَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১১. প্রত্যেক রাকাআতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি সূরাহ ফাতিহা সুন্দর করে পড়তে পারে না ও সেটা শেখাও সম্ভব না হলে অন্য যা সহজ তা পড়া
২২৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সাহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমিতো সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেনঃ ফিরে গিয়ে আবার সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সাহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাকবীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু’তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ’ আদায় করবে। অতঃপর সিজদা্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর এভাবেই পুরো সালাত আদায় করবে।
وجوب قراءة الفاتحة في كل ركعة وأنه إِذا لم يحسن الفاتحة ولا أمكنه تعلمها، قرأ ما تيسر له من غيرها
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ وَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَرَجَعَ يُصَلِّي كَمَا صَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ثَلَاثًا فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَهُ فَعَلِّمْنِي فَقَالَ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৩. যে ব্যক্তি বলে উচ্চৈঃস্বরে 'বিসমিল্লাহ' পড়তে হবে না’ তার দলীল
২২৫. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযি.) এবং ’উমার (রাযি.) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ দিয়ে সালাত শুরু করতেন।
حجة من قال لا يجهر بالبسملة
حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الصَّلاَةَ بِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৬. সালাতে তাশাহ্হুদ পড়া
২২৬. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তখন (বসা অবস্থায়) আমরা আল্লাহর প্রতি তাঁর বান্দাদের পক্ষ থেকে সালাম, জিবরীল (’আ.)-এর প্রতি সালাম, মীকাঈল (’আ.)-এর প্রতি সালাম এবং অমুকের প্রতি সালাম দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন, তখন আমাদের দিকে চেহারা মুবারক ফিরিয়ে বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা নিজেই ’সালাম’। অতএব যখন তোমাদের কেউ সালাতের মধ্যে বসবে, তখন বলবেঃ
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ
মুসল্লী যখন এ কথাটা বলবে, তখনই আসমান যমীনে সব নেক বান্দাদের নিকট এ সালাম পৌঁছে যাবে। অতঃপর বলবেঃ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
অতঃপর সে তার পছন্দমত দু’আ নির্বাচন করে নেবে।
التشهد في الصلاة
حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بن مسعودٍ قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلَامُ عَلَى اللهِ قَبْلَ عِبَادِهِ السَّلَامُ عَلَى جِبْرِيلَ السَّلَامُ عَلَى مِيكَائِيلَ السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ وَفُلَانٍ فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ فَإِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَقُلْ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّهُ إِذَا قَالَ ذَلِكَ أَصَابَ كُلَّ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ يَتَخَيَّرْ بَعْدُ مِنَ الْكَلَامِ مَا شَاءَ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৭. তাশাহ্হুদ পড়ার পর নবী (ﷺ) এর উপর দুরূদ পড়া
২২৭. কা’ব ইবনু ’উজরা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি ’আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা (রহ.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কা’ব ইবনু ’উজরাহ (রাযি.) আমার সঙ্গে দেখা করে বললেন, আমি কি আপনাকে এমন একটি হাদিয়া দেব না যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আপনি আমাকে সে হাদিয়া দিন। তিনি বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনাদের উপর অর্থাৎ আহলে বাইতের উপর কিভাবে দরূদ পাঠ করতে হবে? কেননা, আল্লাহ তো (কেবল) আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা কিভাবে আপনার উপর সালাম করব। তিনি বললেন, তোমরা এভাবে বলঃ
’’হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম (’আ.) এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের উপর তেমনি বরকত দান করুন যেমনি আপনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম (’আ.) এবং ইবরাহীম (’আ.)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অতি মর্যাদার অধিকারী।
الصلاة على النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بعد التشهد
حَدِيْثُ كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ عَن عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى قَالَ لَقِيَنِي كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ فَقَالَ أَلاَ أُهْدِي لَكَ هَدِيَّةً سَمِعْتُهَا مِنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ بَلَى فَأَهْدِهَا لِي فَقَالَ سَأَلْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ الصَّلاَةُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ فَإِنَّ اللهَ قَدْ عَلَّمَنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكُمْ قَالَ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৭. তাশাহ্হুদ পড়ার পর নবী (ﷺ) এর উপর দুরূদ পড়া
২২৮. আবূ হুমাইদ আস্-সা’ঈদী (রাযি.) হতে বর্ণিত। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কিভাবে আপনার উপর দরূদ পাঠ করব? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবে পড়বে, হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, তাঁর স্ত্রীগণের উপর এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত নাযিল করুন, যেরূপ আপনি রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম (’আ.)-এর বংশধরদের উপর। আর আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, তাঁর স্ত্রীগণের উপর এবং তাঁর বংশধরগণের উপর এমনিভাবে বরকত নাযিল করুন যেমনি আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম (’আ.)-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয় আপনি অতি প্রশংসিত এবং অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।
الصلاة على النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بعد التشهد
حَدِيْثُ أَبِيْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৮. সালাতে 'সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' ও 'রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ' এবং আমীন বলা
২২৯. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখনঃ (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ) বলেন, তখন তোমরা (اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে। কেননা, যার এ উক্তি মালাইকার (ফেরেশতাগণের) উক্তির সঙ্গে একই সময়ে উচ্চারিত হয়, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
التسميع والتحميد والتأمين
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ الْإِمَامُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৮. সালাতে 'সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' ও 'রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ' এবং আমীন বলা
২৩০. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ’আমীন’ বলে, আর আসমানে ফেরেশতাগণ ’আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ’আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সব পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
التسميع والتحميد والتأمين
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ وَقَالَتْ الْمَلَائِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৮. সালাতে 'সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' ও 'রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ' এবং আমীন বলা
২৩১. আবু হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল ﷺ বলেছেনঃ ইমামغَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ পড়লে তোমরা ’আমীন’ বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা ফেরেশতাদের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
التسميع والتحميد والتأمين
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ الْإِمَامُ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪/১৯. মুক্তাদী ইমামের অনুসরণ করবে
২৩২. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া হতে পড়ে যান। ফলে তাঁর ডান পাঁজর আহত হয়ে পড়ে। আমরা তাঁর শুশ্রূষা করার জন্য সেখানে গেলাম। এ সময় সালাতের ওয়াক্ত হলো। তিনি আমাদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করলেন, আমরাও বসেই আদায় করলাম। সালাতের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে ইক্তিদা করার জন্য। তিনি যখন তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, তিনি যখন রুকূ’ করেন তখন তোমরাও রুকূ’ করবে। তিনি যখন রুকূ’ হতে উঠেন তখন তোমরাও উঠবে, তিনি যখনঃسَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে। তিনি যখন সিজদা্ করেন, তখন তোমরাও সিজদা্ করবে।
ائتمام المأموم بالإمام
حَدِيْثُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ سَقَطَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الْأَيْمَنُ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ نَعُودُهُ فَحَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِنَا قَاعِدًا وَقَعَدْنَا فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا