আল-লুলু ওয়াল মারজান ৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।

১২৮০. জুনদাব ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত আদায় করেন, অতঃপর খুতবা দেন। অতঃপর যবেহ করেন এবং তিনি বলেনঃ সালাতের পূর্বে যে ব্যক্তি যবেহ করবে তাকে তার স্থলে আর একটি যবেহ করতে হবে এবং যে যবেহ করেনি, আল্লাহর নামে তার যবেহ করা উচিত।

وقتها

حديث جُنْدَبٍ، قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ خَطَبَ ثُمَّ ذَبَحَ، فَقَالَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ أُخْرَى مَكَانَهَا، وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فَلْيذْبَحْ بِاسْمِ اللهِ

حديث جندب، قال: صلى النبي صلى الله عليه وسلم، يوم النحر ثم خطب ثم ذبح، فقال: من ذبح قبل ان يصلي فليذبح اخرى مكانها، ومن لم يذبح فليذبح باسم الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।

১২৮১. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বুরদাহ (রাঃ) নামক আমার এক মামা সালাত আদায়ের পূর্বেই কুরবানী করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তোমার বকরী কেবল গাশতের বকরী হল। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার নিকট একটি ঘরে পোষা বকরীর বাচ্চা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেটাকে কুরবানী করে নাও। তবে তা তুমি ব্যতীত অন্য কারোর জন্য ঠিক হবে না। এরপর তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পূর্বে যবহ করেছে, সে নিজের জন্যই যবেহ করেছে (কুরবানীর জন্য নয়)। আর যে ব্যক্তি সালাত আদায়ের পর যবেহ করেছে, সে তার কুরবানী পূর্ণ করেছে। আর সে মুসলিমদের নীতি-পদ্ধতি অনুসারেই করেছে।

وقتها

حديث الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: ضَحَّى خَالٌ لِي، يُقَالُ لَهُ أَبُو بُرْدَةَ، قَبْلَ الصَّلاَةِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: شَاتُكَ شَاةُ لَحْمٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ عِنْدِي دَاجِنًا جَذَعَةً مِنَ الْمَعَزِ قَالَ: اذْبَحْهَا، وَلَنْ تَصْلُحَ لِغَيْرِكَ ثُمَّ قَالَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَإِنَّمَا يَذْبَحُ لِنَفْسِهِ، وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَقَدْ تَمَّ نُسُكُهُ وَأَصَابَ سُنَّةَ الْمُسْلِمِينَ

حديث البراء بن عازب، قال: ضحى خال لي، يقال له ابو بردة، قبل الصلاة، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: شاتك شاة لحم فقال: يا رسول الله ان عندي داجنا جذعة من المعز قال: اذبحها، ولن تصلح لغيرك ثم قال: من ذبح قبل الصلاة فانما يذبح لنفسه، ومن ذبح بعد الصلاة فقد تم نسكه واصاب سنة المسلمين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।

১২৮২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের পূর্বে যে যবেহ করবে তাকে পুনরায় যবেহ (কুরবানী) করতে হবে। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আজকের এ দিনটিতে মাংস খাবার আকাঙ্ক্ষা করা হয়। সে তার প্রতিবেশীদের অবস্থা উল্লেখ করল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন তার কথার সত্যতা স্বীকার করলেন। সে বলল, আমার নিকট এখন ছয় মাসের এমন একটি মেষ শাবক আছে, যা আমার নিকট দু’টি হৃষ্টপুষ্ট বকরীর চেয়েও অধিক পছন্দনীয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা কুরবানী করার অনুমতি দিলেন। অবশ্য আমি জানি না, এ অনুমতি তাকে ছাড়া অন্যদের জন্যও কি-না?

وقتها

حديث أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَلْيُعِدْ فَقَامَ رَجُلٌ، فَقَالَ: هذَا يَوْمٌ يُشْتَهى فِيهِ اللَّحْمُ وَذَكَرَ مِنْ جِيرَانِهِ فَكَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَّقَهُ قَالَ: وَعِنْدِي جَذَعَةٌ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ شَاتَيْ لَحْمٍ، فَرَخَّصَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلاَ أَدْرِي أَبَلَغَتِ الرُّخْصَةُ مَنْ سِوَاهُ، أَمْ لاَ

حديث انس، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: من ذبح قبل الصلاة فليعد فقام رجل، فقال: هذا يوم يشتهى فيه اللحم وذكر من جيرانه فكان النبي صلى الله عليه وسلم صدقه قال: وعندي جذعة احب الي من شاتي لحم، فرخص له النبي صلى الله عليه وسلم فلا ادري ابلغت الرخصة من سواه، ام لا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/১. কুরবানীর সময়।

১২৮৩. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কিছু বকরী (ভেড়া) সাহাবীদের মধ্যে বন্টন করতে দিলেন। বন্টন করার পর একটি বকরীর বাচ্চা বাকী থেকে যায়। তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করেন। তখন তিনি বললেন, তুমি নিজে এটাকে কুরবানী করে দাও।

وقتها

حديث عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ غَنَمًا يَقْسِمُهَا عَلَى صَحَابَتِهِ، فَبَقِيَ عَتُودٌ، فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ضَحِّ أَنْتَ

حديث عقبة بن عامر رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم اعطاه غنما يقسمها على صحابته، فبقي عتود، فذكره للنبي صلى الله عليه وسلم، فقال: ضح انت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৩. কুরবানীর জন্তু কারো মাধ্যম ছাড়া নিজ হাতে যব্‌হ করা মুস্তাহাব এবং যব্‌হ করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলা ও ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।

১২৮৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি সাদা-কালো বর্ণের শিং বিশিষ্ট ভেড়া কুরবানী করেন। তিনি ভেড়া দু’টির পার্শ্বদেশ তার পায়ে স্থাপন করে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে নিজ হাতেই সেই দু’টিকে যব করেন।

استحباب الضحية وذبحها مباشرة بلا توكيل، والتسمية والتكبير

حديث أَنَسٍ، قَالَ: ضَحَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، ذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ، وَسَمَّى وَكَبَّرَ، وَوَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى صِفَاحِهِمَا

حديث انس، قال: ضحى النبي صلى الله عليه وسلم بكبشين املحين اقرنين، ذبحهما بيده، وسمى وكبر، ووضع رجله على صفاحهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. রক্ত প্রবাহিত করে এমন বস্তু দিয়ে যব্‌হ করা জায়িয তবে দাঁত, নখ ও হাড় ব্যতীত।

১২৮৫. রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল। আমরা আগামী দিন শত্ৰুর সম্মুখীন হব, অথচ আমাদের কাছে কোন ছুরি নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি ত্বরান্বিত করবে কিংবা তিনি বলেছেন তাড়াতাড়ি (যবহ) করবে। যা রক্ত প্রবাহিত করে এবং এতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়, তা খাও। তবে দাঁত ও নখ দ্বারা নয়। তোমাকে বলছিঃ দাঁত হল হাড় আর নখ হল হাবশীদের ছুরি। আমরা কিছু উট ও বকরী গনীমত হিসাবে পেলাম। সেগুলো থেকে একটি উট পালিয়ে যায়। একজন সেটির উপর তীর নিক্ষেপ করলে আল্লাহ উটটি আটকিয়ে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সকল গৃহপালিত উটের মধ্য বন্যপশুর স্বভাব রয়েছে। কাজেই তন্মধ্যে কোনটি যদি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তা হলে তার সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করবে।

جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إِلا السن والظفر وسائر العظام

حديث رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا لاَقُو الْعَدُوِّ غَدًا، وَلَيْسَتْ مَعَنَا مُدًى فَقَالَ: اعْجَلْ أَوْ أَرِنْ، مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللهِ فَكُلْ، لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفُرَ، وَسَأُحَدِّثُكَ أَمَّا السِّنُّ فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفُرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ وَأَصَبْنَا نَهْبَ إِبِلٍ وَغَنَمٍ، فَنَدَّ مِنْهَا بَعِيرٌ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ، فَحَبَسَهُ فَقَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِهذِهِ الإِبِلِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ، فَإِذَا غَلَبَكُمْ مِنْهَا شَيْءٌ فَافْعَلُوا بِهِ هكَذَا

حديث رافع بن خديج، قال: قلت يا رسول الله انا لاقو العدو غدا، وليست معنا مدى فقال: اعجل او ارن، ما انهر الدم وذكر اسم الله فكل، ليس السن والظفر، وساحدثك اما السن فعظم، واما الظفر فمدى الحبشة واصبنا نهب ابل وغنم، فند منها بعير، فرماه رجل بسهم، فحبسه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان لهذه الابل اوابد كاوابد الوحش، فاذا غلبكم منها شيء فافعلوا به هكذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. রক্ত প্রবাহিত করে এমন বস্তু দিয়ে যব্‌হ করা জায়িয তবে দাঁত, নখ ও হাড় ব্যতীত।

১২৮৬. রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যুলহুলায়ফাতে ছিলাম। সাহাবীগণ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন, তারা কিছু উট ও বকরী পেলেন। রাফি (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দলের পিছনে ছিলেন। তারা তাড়াহুড়া করে গনীমতের মাল বণ্টনের পূর্বে সেগুলোক যবহ করে পাত্রে চড়িয়ে দিলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে পাত্র উলটিয়ে ফেলা হল। তারপর তিনি (গনীমতের মাল) বণ্টন শুরু করলেন। তিনি একটি উটের সমান দশটি বকরী নির্ধারণ করেন। হঠাৎ একটি উট পালিয়ে গেল। সাহাবীগণ উটকে ধরার জন্য ছুটলেন, কিন্তু উটটি তাঁদেরকে ক্লান্ত করে ছাড়ল । সে সময় তাদের নিকট অল্প সংখ্যক ঘোড়া ছিল। অবশেষে তাঁদের মধ্যে একজন সেটির প্রতি তীর ছুঁড়লেন। তখন আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দিলেন।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই পলায়নপর বন্য জন্তুদের মত এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে কতক পলায়নপর হয়ে থাকে। কাজেই যদি এসব জন্তুর কোনটা আমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠে তবে তার সাথে এরূপ করবে। (রাবী বলেন), তখন আমার দাদা [রাফি’ (রাঃ)] বললেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে, কাল শত্ৰুর সাথে মুকাবিলা হবে। আর আমাদের নিকট কোন ছুরি নেই। তাই আমরা ধারালো বাঁশ দিয়ে যবেহ করতে পারব কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে বস্তু রক্ত প্রবাহিত করে এবং যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটা তোমরা আহার করতে পার। কিন্তু দাঁত বা নখ দিয়ে যেন যবেহ না করা হয়। আমি আমাদেরকে এর কারণ বলে দিচ্ছি। দাঁত তো হাড় আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি।

جواز الذبح بكل ما أنهر الدم إِلا السن والظفر وسائر العظام

حديث رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِذِي الْحُلَيْفَةِ، فَأَصَابَ النَّاسَ جُوعٌ، فَأَصَابُوا إِبِلاً وَغَنَمًا، قَالَ: وَكَانَ النَّبِيُّ فِي أُخْرَيَاتِ الْقَوْمِ، فَعَجِلوا وَذَبَحُوا وَنَصَبُوا الْقُدُورَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَالْقُدُورِ فَأُكْفِئَتْ، ثُمَّ قَسَمَ، فَعَدَلَ عَشَرَةً مِنَ الْغَنَمِ بِبَعِيرٍ، فَنَدَّ مِنْهَا بَعِيرٌ، فَطَلَبُوهُ فَأَعْيَاهُمْ وَكَانَ فِي الْقَوْمِ خَيْلٌ يَسِيرَةٌ فَأَهْوَى رَجُلٌ مِنْهُمْ بِسَهْمٍ، فَحَبَسَهُ اللهُ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ لِهذِهِ الْبَهَائِمِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ، فَمَا غَلَبَكُمْ مِنْهَا فَاصْنَعُوا بِهِ هكَذَا قُلْتُ: إِنَّا نَرْجُو أَوْ نَخَافُ الْعَدُوَّ غَدًا، وَلَيْسَتْ مُدًى، أَفَنَذْبَحُ بِالْقَصَبِ قَالَ: مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ، فَكُلُوهُ، لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفُرَ، وَسَأُحَدِّثُكُمْ عنْ ذلِكَ أَمَّا السِّنُّ فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفُرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ

حديث رافع بن خديج، قال: كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم، بذي الحليفة، فاصاب الناس جوع، فاصابوا ابلا وغنما، قال: وكان النبي في اخريات القوم، فعجلوا وذبحوا ونصبوا القدور فامر النبي صلى الله عليه وسلم بالقدور فاكفىت، ثم قسم، فعدل عشرة من الغنم ببعير، فند منها بعير، فطلبوه فاعياهم وكان في القوم خيل يسيرة فاهوى رجل منهم بسهم، فحبسه الله ثم قال: ان لهذه البهاىم اوابد كاوابد الوحش، فما غلبكم منها فاصنعوا به هكذا قلت: انا نرجو او نخاف العدو غدا، وليست مدى، افنذبح بالقصب قال: ما انهر الدم وذكر اسم الله عليه، فكلوه، ليس السن والظفر، وساحدثكم عن ذلك اما السن فعظم، واما الظفر فمدى الحبشة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৭. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরবানীর মাংস থেকে তোমরা তিন দিন পর্যন্ত খাও। ’আবদুল্লাহ (রাঃ) মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কুরবানীর মাংস থেকে বিরত থাকার কারণে যায়তুন খাদ্য গ্রহণ করতেন।

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُوا مِنَ الأَضَاحِي ثَلاَثًا وَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَأْكُلُ بِالزَّيْتِ حِينَ يَنْفِرُ مِنْ مِنًى مِنْ أَجْلِ لُحُومِ الْهَدْيِ

حديث عبد الله بن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: كلوا من الاضاحي ثلاثا وكان عبد الله ياكل بالزيت حين ينفر من منى من اجل لحوم الهدي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৮. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনায় অবস্থানের সময় আমরা কুরবানীর মাংসের মধ্যে লবণ মিশ্রিত করে রেখে দিতাম। এরপর তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেশ করতাম।। তিনি বলতেনঃ তোমরা তিন দিনের পর খাবে না। তবে এটি জরুরী নয়। বরং তিনি চেয়েছেন যে, তা থেকে যেন অন্যদের খাওয়ানো হয়। আল্লাহ অধিক অবগত।

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: الضَّحِيَّةُ كُنَّا نُمَلِّحُ مِنْهُ، فَنَقْدَمُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، فَقَالَ: لاَ تَأْكُلُوا إِلاَّ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيْسَتْ بِعَزِيمَةٍ، وَلكِنْ أَرَادَ أَنْ يُطْعِمَ مِنْهُ، وَاللهُ أَعْلَمُ

حديث عاىشة، قالت: الضحية كنا نملح منه، فنقدم به الى النبي صلى الله عليه وسلم بالمدينة، فقال: لا تاكلوا الا ثلاثة ايام وليست بعزيمة، ولكن اراد ان يطعم منه، والله اعلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কুরবানীর মাংস মিনা’র তিন দিনের বেশি খেতাম না। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ খাও এবং সঞ্চয় করে রাখ। তাই আমরা খেলাম এবং সঞ্চয়ও করলাম।

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى، فَرَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: كُلُوا وَتَزَوَّدُوا فَأَكَلْنَا وَتَزَوَّدْنَا

حديث جابر بن عبد الله، قال: كنا لا ناكل من لحوم بدننا فوق ثلاث منى، فرخص لنا النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: كلوا وتزودوا فاكلنا وتزودنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৯০. সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানী করেছে, সে যেন তৃতীয় দিবসে এমতাবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে, তার ঘরে কুরবানীর মাংস কিছু পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এরপর যখন পরবর্তী বছর আসল, তখন সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি সেরূপ করব, যেরূপ গত বছর করেছিলাম? তখন তিনি বললেনঃ তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ, কেননা গত বছর তো মানুষের মধ্যে ছিল অভাব অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম যে, তোমরা তাতে সাহায্য কর।

حديث سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ ضَحَّى مِنْكُمْ فَلاَ يُصْبِحَنَّ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَفِي بَيْتِهِ مِنْهُ شَيْءٌ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ الْمَاضِي قَالَ: كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا، فَإِنَّ ذَلِكَ الْعَامَ، كَانَ بِالنَّاسِ جَهْدٌ فَأَرَدْتُ أَنْ تُعِينُوا فِيهَا

حديث سلمة بن الاكوع، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: من ضحى منكم فلا يصبحن بعد ثالثة وفي بيته منه شيء فلما كان العام المقبل، قالوا: يا رسول الله نفعل كما فعلنا عام الماضي قال: كلوا واطعموا وادخروا، فان ذلك العام، كان بالناس جهد فاردت ان تعينوا فيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
১২৯১

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৬. ফারা'আ ও ‘আতিরার বর্ণনা।

১২৯১. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (ইসলামে) ফারা’আ বা আতীরাহ্ নেই। ফারা’আ হল উটের সে প্রথম বাচ্চা, যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবহ করত।

الفرع والعتيرة

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ فَرَعَ وَلاَ عَتِيرَةَ وَالْفَرَعَ أَوَّلُ النِّتَاجِ كَانُوا يَذْبَحُونَهُ لَطَوَاغِيتِهِمْ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا فرع ولا عتيرة والفرع اول النتاج كانوا يذبحونه لطواغيتهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে