আল-লুলু ওয়াল মারজান ৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩. নবী (ﷺ) এর মু'জিযাসমূহ।

১৪৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম, তখন আসরের সালাতের সময় হয়ে গিয়েছিল। আর লোকজন উযূর পানি খুঁজতে লাগল কিন্তু পেল না। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু পানি আনা হল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে পাত্রে তাঁর হাত রাখলেন এবং লোকজনকে তা থেকে উযূ করতে বললেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সে সময় আমি দেখলাম, তাঁর আঙ্গুলের নীচ থেকে পানি উপচে পড়ছে। এমনকি তাদের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত তার দ্বারা উযূ করল।

في معجزات النبيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث أَنسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَانَتْ صَلاَة الْعَصْرِ، فَالْتَمَسَ النَّاسُ الْوَضُوءَ، فَلَمْ يَجِدُوهُ، فَأُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوءٍ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي ذلِكَ الإِنَاءِ يَدَهُ، وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّؤُوا مِنْهُ قَالَ: فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبَعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ، حَتَّى تَوَضَّؤُوا مِنْ عِنْدَ آخِرِهِمْ

حديث انس بن مالك، قال: رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم، وحانت صلاة العصر، فالتمس الناس الوضوء، فلم يجدوه، فاتي رسول الله صلى الله عليه وسلم بوضوء، فوضع رسول الله صلى الله عليه وسلم، في ذلك الاناء يده، وامر الناس ان يتوضووا منه قال: فرايت الماء ينبع من تحت اصابعه، حتى توضووا من عند اخرهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৩. নবী (ﷺ) এর মু'জিযাসমূহ।

১৪৬৯. আবূ‌ হুমায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাবূকের যুদ্ধে শরীক হয়েছি। যখন তিনি ওয়াদিউল কুরা নামক স্থানে পৌছলেন, তখন এক মহিলা তার নিজের বাগানে উপস্থিত ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা এই বাগানের ফলগুলোর পরিমাণ আন্দাজ কর। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে দশ ওয়াসাক পরিমাণ আন্দাজ করলেন। অতঃপর মহিলাকে বললেনঃ উৎপন্ন ফলের হিসাব রেখো। আমরা তাবূক পৌছলে, তিনি বললেনঃ সাবধান! আজ রাতে প্রবল ঝড় প্রবাহিত হবে। কাজেই কেউ যেন দাঁড়িয়ে না থাকে এবং প্রত্যেকেই যেন তার উট বেঁধে রাখে। তখন আমরা নিজ নিজ উট বেঁধে নিলাম। প্রবল ঝড় হতে লাগল। এক ব্যক্তি দাঁগিয়ে গেলে ঝড় তাকে ত্বাই নামক পর্বতে নিক্ষেপ করল।

আয়লা নগরীর শাসনকর্তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য একটি সাদা খচ্চর ও চাদর হাদিয়া দিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেখানকার শাসনকর্তারূপে বহাল থাকার লিখিত নির্দেশ দিলেন। (ফেরার পথে) ওয়াদিল কুরা পৌঁছে সেই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার বাগানে কী পরিমাণ ফল হয়েছে? মহিলা বলল, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুমিত পরিমাণ দশ ওয়াসাকই হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি দ্রুত মদীনায় পৌছতে ইচ্ছুক। তোমাদের কেউ আমার সাথে দ্রুত যেতে চাইলে দ্রুত কর।

অতঃপর যখন তিনি মদীনা দেখতে পেলেন তখন বলরেন। এটা ত্ববাহ (মদীনার অপর নাম)। এরপর যখন তিনি উহুদ পর্বত দেখতে পেলেন তখন বললেনঃ এই পর্বত আমাদেরকে ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। আনসারদের সর্বোত্তম গোত্রটি সম্পর্কে আমি তোমাদের খবর দিব কি? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ বনূ নাজ্জার গোত্র, অতঃপর বনূ ’আবদুল আশহাল গোত্র, এরপর বনূ সায়ীদা গোত্র অথবা বনূ হারিস ইবনু খাযরাজ গোত্র। আনসারদের সকল গোত্রেই কল্যাণ রয়েছে।

(আবু হুমায়দ বলেন) আমরা সাদ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তখন আবূ উসায়দ (রাঃ) বললেন, আপনি কি শোনেননি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের পরস্পরের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে আমাদেরকে সকলের শেষ পর্যায়ে স্থান দিয়েছেন। তা শুনে সা’দ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আনসার গোত্রগুলোক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবং আমাদেরকে সকলের শেষ স্তরে স্থান দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, এটা কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, তোমরাও শ্রেষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছ?

في معجزات النبيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ تَبُوكَ فَلَمَّا جَاءَ وَادِيَ الْقُرَى، إِذَا امْرَأَةٌ فِي حَدِيقَةٍ لَهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لأَصْحَابِهِ اخْرُصُوا وَخَرَصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ فَقَالَ لَهَا: أَحْصِي مَا يَخْرُجُ مِنْهَا فَلَمَّا أَتَيْنَا تَبُوكَ، قَالَ: أَمَا إِنَّهَا سَتَهُبُّ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَلاَ يَقُومَنَّ أَحَدٌ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ بَعِيرٌ فَلْيَعْقِلْهُ فَعَقَلْنَاهَا وَهَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ؛ فَقَامَ رَجُلٌ فَأَلْقَتْهُ بِجَبَلِ طَيِّء
وَأَهْدَى مَلِكُ أَيْلَةَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَغْلَةً بَيْضَاءَ، وَكَسَاهُ بُرْدًا وَكَتَبَ لَهُ بِبَحْرِهِمْ
فَلَمَّا أَتى وَادِيَ الْقُرَى، قَالَ لِلْمَرْأَةِ: كَمْ جَاءَ حِدِيقَتُكِ قَالَتْ: عَشَرَةَ أَوْسُقٍ، خَرْصَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي مُتَعَجِّلٌ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَعَجَّلَ مَعِي فَلْيَتَعَجَّلْ
فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ، قَالَ: هذِهِ طَابَةُ فَلَمَّا رَأَى أُحُدًا، قَالَ: هذَا جُبَيْلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ، أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الأَنْصَارِ قَالُوا: بَلَى قَالَ: دُورُ بَنِي النَّجَّارِ، ثُمَّ دُورُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ، ثُمَّ دُورُ بَنِي سَاعِدَةَ، أَوْ دُورُ بَنِي الْحارثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ يَعْنِي خَيْرًا
فَلَحِقْنَا سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَيَّرَ الأَنْصَارَ فَجَعَلَنَا أَخِيرًا فَأَدْرَكَ سَعْدٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ خُيِّرَ دُورُ الأَنْصَارِ فَجُعِلْنَا آخِرًا فَقَالَ: أَوَلَيْسَ بِحَسْبكُمْ أَنْ تَكُونُوا مِنَ الْخِيَارِ

حديث ابي حميد الساعدي قال: غزونا مع النبي صلى الله عليه وسلم غزوة تبوك فلما جاء وادي القرى، اذا امراة في حديقة لها فقال النبي صلى الله عليه وسلم، لاصحابه اخرصوا وخرص رسول الله صلى الله عليه وسلم عشرة اوسق فقال لها: احصي ما يخرج منها فلما اتينا تبوك، قال: اما انها ستهب الليلة ريح شديدة، فلا يقومن احد، ومن كان معه بعير فليعقله فعقلناها وهبت ريح شديدة؛ فقام رجل فالقته بجبل طيء واهدى ملك ايلة للنبي صلى الله عليه وسلم بغلة بيضاء، وكساه بردا وكتب له ببحرهم فلما اتى وادي القرى، قال للمراة: كم جاء حديقتك قالت: عشرة اوسق، خرص رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم: اني متعجل الى المدينة، فمن اراد منكم ان يتعجل معي فليتعجل فلما اشرف على المدينة، قال: هذه طابة فلما راى احدا، قال: هذا جبيل يحبنا ونحبه، الا اخبركم بخير دور الانصار قالوا: بلى قال: دور بني النجار، ثم دور بني عبد الاشهل، ثم دور بني ساعدة، او دور بني الحارث بن الخزرج، وفي كل دور الانصار يعني خيرا فلحقنا سعد بن عبادة فقال ابو اسيد: الم تر ان نبي الله صلى الله عليه وسلم، خير الانصار فجعلنا اخيرا فادرك سعد النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله خير دور الانصار فجعلنا اخرا فقال: اوليس بحسبكم ان تكونوا من الخيار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭০

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৪. আল্লাহ তা'আলার উপর তাঁর ভরসা এবং মানুষের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তা'আলার তাঁকে হিফাযাত করণ।

১৪৭০. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যোগদান করেছি। কাঁটা গাছে ভরা উপত্যকায় প্রচণ্ড গরম লাগলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গাছের নিচে অবতরণ করে তার ছায়ায় আশ্রয় নিলেন এবং তরবারিখানা লটকিয়ে রাখেন। সাহাবীগণ সকলেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য ছড়িয়ে পড়লেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, হঠাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ডাকলেন। আমরা তাঁর নিকট গিয়ে দেখলাম, এক গ্রাম্য আরব তাঁর সামনে বসে আছে। তিনি বললেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় সে আমার কাছে এসে আমার তরবারিখানা নিয়ে উঁচিয়ে ধরল। এতে আমি জেগে গিয়ে দেখলাম, সে খোলা তরবারি হাতে আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বলছে, এখন তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ। এতে সে তরবারিখানা খাপে ঢুকিয়ে বসে পড়ে। এ-ই সেই লোক। বর্ণনাকারী জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন শাস্তি দিলেন না।

توكله على الله تعالى وعصمة الله تعالى له من الناس

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ نَجْدٍ فَلَمَّا أَدْرَكَتْهُ الْقَائِلَةُ، وَهُوَ فِي وَادٍ كَثِيرِ الْعِضَاهِ، فَنَزَلَ تَحْتَ شَجَرَةٍ، وَاسْتَظَلَّ بِهَا، وَعَلَّقَ سَيْفَهُ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الشَّجَرِ يَسْتَظِلُّونَ وَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ دَعَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْنَا، فَإِذَا أَعْرَابِيٌّ قَاعِدٌ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: إِنَّ هذَا أَتَانِي وَأَنَا نَائِمٌ فَاخْتَرَطَ سَيْفِي فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي، مُخْتَرِطٌ صَلْتًا قَالَ: مَنْ يَمْنَعكَ مِنِّي قُلْتُ: اللهُ فَشَامَهُ، ثُمَّ قَعَدَ فَهُوَ هذَا قَالَ: وَلَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث جابر بن عبد الله، قال: غزونا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم غزوة نجد فلما ادركته القاىلة، وهو في واد كثير العضاه، فنزل تحت شجرة، واستظل بها، وعلق سيفه فتفرق الناس في الشجر يستظلون وبينا نحن كذلك اذ دعانا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فجىنا، فاذا اعرابي قاعد بين يديه فقال: ان هذا اتاني وانا ناىم فاخترط سيفي فاستيقظت وهو قاىم على راسي، مخترط صلتا قال: من يمنعك مني قلت: الله فشامه، ثم قعد فهو هذا قال: ولم يعاقبه رسول الله صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭১

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৫. “হিদায়াত ও ইলম” যা নিয়ে মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে পাঠানো হয়েছে তার দৃষ্টান্তের বর্ণনা।

১৪৭১. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা আমাকে যে হিদায়াত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল যমীনের উপর পতিত প্ৰবল বর্ষণের ন্যায়। কোন কোন ভূমি থাকে উর্বর যা সে পানি শুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে। আর কোন কোন ভূমি থাকে কঠিন যা পানি আটকে রাখে। পরে আল্লাহ তা’আলা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন; তারা নিজেরা পান করে ও (পশুপালকে) পান করায় এবং তা দ্বারা চাষাবাদ করে। আবার কোন কোন জমি রয়েছে যা একেবারে মসৃণ ও সমতল; তা না পানি আটকে রাখে, আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে। এই হল সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যে দীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাতে সে উপকৃত হয়। ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিখায়। আর সে ব্যক্তিরও দৃষ্টান্ত যে সে দিকে মাথা তুলে দেখে না এবং আল্লাহর যে হিদায়ত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি, তা গ্রহণ করে না। অন্য বর্ণনায় আছে। তিনি হলেন এমন ভূমির মত যার উপর কমই পানি জমে থাকে।

بيان مثل ما بعث النبيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ من الهدى والعلم

حديث أَبِي مُوسى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللهُ بِهِ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ، كَمَثَلِ الْغَيْثِ الْكَثِيرِ، أَصَابَ أَرْضًا، فَكَانَ مِنْهَا نَقِيَّةٌ قَبِلَتِ الْمَاءَ فَأَنْبَتَتِ الْكَلأَ وَالْعُشْبَ الْكَثِيرَ وَكَانَ مِنْهَا أَجَادِبُ أَمْسَكَتِ الْمَاءَ فَنَفَعَ اللهُ بِهَا النَّاسَ فَشَرِبُوا وَسَقَوْا وَزَرَعُوا وَأَصَابَتْ مِنْهَا طَائِفَةً أُخْرَى، إِنَّمَا هِيَ قِيعَانٌ لاَ تُمْسِكُ مَاءً، وَلاَ تَنْبتُ كَلأَ، فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ فَقِهَ فِي دِينِ اللهِ وَنَفَعَهُ مَا بَعَثَنِي اللهُ بِهِ، فَعَلِمَ وَعَلَّمَ وَمَثَلُ مَنْ لَمْ يَرْفَعْ بِذَلِكَ رَأْسًا وَلَمْ يَقْبَلْ هُدَى اللهِ الَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ
وَفِي رِوَايَةٍ: وَكَانَ مِنْهَا طَائِفَةٌ قَيَّلَتِ الْمَاءَ

حديث ابي موسى، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: مثل ما بعثني الله به من الهدى والعلم، كمثل الغيث الكثير، اصاب ارضا، فكان منها نقية قبلت الماء فانبتت الكلا والعشب الكثير وكان منها اجادب امسكت الماء فنفع الله بها الناس فشربوا وسقوا وزرعوا واصابت منها طاىفة اخرى، انما هي قيعان لا تمسك ماء، ولا تنبت كلا، فذلك مثل من فقه في دين الله ونفعه ما بعثني الله به، فعلم وعلم ومثل من لم يرفع بذلك راسا ولم يقبل هدى الله الذي ارسلت به وفي رواية: وكان منها طاىفة قيلت الماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭২

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৬. উম্মাতের উপর মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর দয়াদ্রতা ও যা তাদের ক্ষতি সাধন করবে তা থেকে স্পষ্ট সতর্কীকরণ।

১৪৭২. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, আমার ও লোকদের দৃষ্টান্ত এমন ব্যক্তির ন্যায়, যে আগুন জ্বালালো আর যখন তার চতুর্দিক আলোকিত হয়ে গেল, তখন পতঙ্গ ও ঐ সমস্ত প্ৰাণী যেগুলো আগুনে পড়ে, তারা তাতে পড়তে লাগলো। তখন সে সেগুলোক আগুন থেকে বাঁচাবার জন্য টানতে লাগলো। কিন্তু তারা আগুনে পুড়ে মরলো। তদ্রুপ আমি আমাদের কোমর ধরে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করি অথচ তারা তাতেই প্রবেশ করছে।

شفقته صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ على أمته ومبالغته في تحذيرهم مما يضرهم

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ النَّاسِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا، فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ، جَعَلَ الْفَرَاشُ وَهذِهِ الدَّوَابُّ الَّتِي تَقَعُ فِي النَّارِ يَقَعْنَ فِيهَا، فَجَعَلَ يَنْزِعُهُنَّ وَيَغْلِبُنَهُ، فَيَقْتَحِمنَ فِيهَا فَأَنَا آخُذُ بِحُجَزِكُمْ عَنِ النَّارِ وَهُمْ يَقْتَحِمُونَ فِيهَا

حديث ابي هريرة، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: انما مثلي ومثل الناس كمثل رجل استوقد نارا، فلما اضاءت ما حوله، جعل الفراش وهذه الدواب التي تقع في النار يقعن فيها، فجعل ينزعهن ويغلبنه، فيقتحمن فيها فانا اخذ بحجزكم عن النار وهم يقتحمون فيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৭. তাঁর (ﷺ) সর্বশেষ নবী হওয়ার বর্ণনা।

১৪৭৩. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের অবস্থা এমন, এক ব্যক্তি যেন একটি গৃহ নিৰ্মাণ করল, তাকে সুশোভিত ও সুসজ্জিত করল, কিন্তু এক পাশে একটি ইটের জায়গা খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকজন এর চারপাশে ঘুরে আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল ঐ শূন্যস্থানের ইটটি লাগানো হল না কেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমিই সে ইট। আর আমিই সর্বশেষ নবী।

ذكر كونه صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خاتم النبيين

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَجْمَلَهُ إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ مِنْ زَاوِيَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِهِ، وَيَعْجَبُونَ لَهُ، وَيَقُولُونَ: هَلاَّ وُضِعَتْ هذِهِ اللَّبِنَةُ فَأَنَا اللَّبِنَةُ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ان مثلي ومثل الانبياء من قبلي كمثل رجل بنى بيتا فاحسنه واجمله الا موضع لبنة من زاوية، فجعل الناس يطوفون به، ويعجبون له، ويقولون: هلا وضعت هذه اللبنة فانا اللبنة، وانا خاتم النبيين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৭. তাঁর (ﷺ) সর্বশেষ নবী হওয়ার বর্ণনা।

১৪৭৪. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমার ও অন্যান্য নবীগণের অবস্থা এমন, যেন কেউ একটি গৃহ নিৰ্মাণ করলো আর একটি ইটের স্থান শূন্য রেখে নির্মাণ কাজ শেষ করে গৃহটিকে সুসজ্জিত করে নিল। জনগণ মুগ্ধ হল এবং তারা বলাবলি করতে লাগল, যদি একটি ইটের জায়গাটুকু খালি রাখা না হত।

ذكر كونه صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خاتم النبيين

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَثَلِي وَمَثَلُ الأَنْبِيَاءِ كَرَجُلٍ بَنى دَارًا فَأَكْمَلَهَا وَأَحْسَنَهَا إِلاَّ مَوْضِعَ لَبِنَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَدْخُلُونَهَا وَيَتَعَجَّبُونَ وَيَقُولُونَ: لَوْلاَ مَوُضِعُ اللَّبِنَةِ

حديث جابر بن عبد الله قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: مثلي ومثل الانبياء كرجل بنى دارا فاكملها واحسنها الا موضع لبنة فجعل الناس يدخلونها ويتعجبون ويقولون: لولا موضع اللبنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৫. জুনদাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌছব।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث جُنْدَبٍ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: أَنَا فَرَطكُمْ عَلَى الْحَوْضِ

حديث جندب، قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول: انا فرطكم على الحوض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৬. সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌছব। যে আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে, সে হাউসের পানি পান করবে। আর যে পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না। নিঃসন্দেহে কিছু সম্প্রদায় আমার সামনে (হাউযে) উপস্থিত হবে। আমি তাদেরকে চিনতে পারব আর তারাও আমাকে চিনতে পারবে। এরপর আমার এবং তাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেয়া হবে।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ، مَنْ مَرَّ عَلَيَّ شَرِبَ، وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي، ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ

حديث سهل بن سعد، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: اني فرطكم على الحوض، من مر علي شرب، ومن شرب لم يظما ابدا ليردن علي اقوام اعرفهم ويعرفوني، ثم يحال بيني وبينهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৭. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর নিকট হতে এতটুকু অধিক বর্ণিত। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ] আমি তখন বলব যে এরা তো আমারই উম্মাত। তখন বলা হবে, তুমি তো জান না তোমার পরে এরা কি সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তখন আমি বলব, দূর হও! আমার পরে যারা দীনের মাঝে পরিবর্তন এনেছ তারা আল্লাহর রহমত থেকে দূর হও।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، يَزِيدُ فِيهِ فَأَقُولُ: إِنَّهُمْ مِنِّي، فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ، فَأَقُولُ: سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ غَيَّرَ بَعْدِي

حديث ابي سعيد الخدري، يزيد فيه فاقول: انهم مني، فيقال انك لا تدري ما احدثوا بعدك، فاقول: سحقا سحقا لمن غير بعدي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৮. আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার হাউয (হাউস কাউসার) এক মাসের দূরত্ব সমান (বড়) হবে। তার পানি দুধের চেয়ে শুভ্র, তার ঘ্ৰাণ মিশক-এর চেয়ে সুগন্ধযুক্ত এবং তার পানপাত্রগুলি হবে আকাশের তারকার মত অধিক। যে ব্যক্তি তা থেকে পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ، مَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنَ اللَّبَنِ، وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ، وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ، مَنْ شَرِبَ مِنْهَا فَلاَ يَظْمَأُ أَبَدًا

حديث عبد الله بن عمرو، قال النبي صلى الله عليه وسلم: حوضي مسيرة شهر، ماوه ابيض من اللبن، وريحه اطيب من المسك، وكيزانه كنجوم السماء، من شرب منها فلا يظما ابدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৭৯. আসমা বিনত আবু বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি হাউযের ধারে থাকব। তোমাদের মাঝ থেকে যারা আমার কাছে আসবে আমি তাদেরকে দেখতে পাব। কিছু লোককে আমার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্ৰভু! এরা আমার লোক, এরা আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, তুমি কি জান তোমার পরে এরা কী সব করেছে? আল্লাহর কসম! এরা দীন থেকে সর্বদাই পশ্চাদমুখী হয়েছিল। তখন ইবনু আবূ মুলায়কা বললেন, হে আল্লাহ্! দীন থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করা থেকে অথবা দীনের ব্যাপারে ফিতনায় পতিত হওয়া থেকে আমরা তোমার কাছে আশ্রয় চাই।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رضي الله عنهما قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ حَتَّى أَنْظُرَ مَنْ يَرِدُ عَلَيَّ مِنْكُمْ، وَسَيُؤْخَذُ نَاسٌ دُونِي، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ مِنِّي ومِنْ أُمَّتِي فَيُقَالُ: هَلْ شَعَرْتَ مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ، وَاللهِ مَا بَرِحُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ
فَكَانَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ (رَاوِي هذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَسْمَاءَ) يَقُولُ: اللهُمَّ إِنَّا نعُوذُ بِكَ أَنْ نَرْجِعَ عَلَى أَعْقَابِنَا، أَوْ نُفْتَنَ عَنْ دِينِنَا

حديث اسماء بنت ابي بكر رضي الله عنهما قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: اني على الحوض حتى انظر من يرد علي منكم، وسيوخذ ناس دوني، فاقول: يا رب مني ومن امتي فيقال: هل شعرت ما عملوا بعدك، والله ما برحوا يرجعون على اعقابهم فكان ابن ابي مليكة (راوي هذا الحديث عن اسماء) يقول: اللهم انا نعوذ بك ان نرجع على اعقابنا، او نفتن عن ديننا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮০. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আট বছর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের জন্য (কবরস্থানে) এমনভবে দুআ করলেন যেমন কোন বিদায় গ্রহণকারী জীবিত ও মৃতদের জন্য দুআ করেন। তারপর তিনি (ফিরে এসে) মিম্বরে উঠে বললেন, আমি তোমাদের অগ্রে প্রেরিত এবং আমিই আমাদের সাক্ষীদাতা। এরপর হাউযে কাউসারের ধারে তোমাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটবে। আমার এ স্থান থেকেই আমি হাউযে কাউসার দেখতে পাচ্ছি। তোমরা শিরকে জড়িয়ে যাবে আমি এ ভয় করি না। তবে আমার আশঙ্কা হয় যে, তোমরা দুনিয়ায় সুখ-শান্তি লাভে প্রতিযোগিতা করবে।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ، بَعْدَ ثَمَانِي سِنِينَ، كَالْمُوَدِّعِ لِلأَحْيَاءِ وَالأَمْوَاتِ، ثُمَّ طَلَعَ الْمِنْبَرَ، فَقَالَ: إِنِّي بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فَرَطٌ، وَأَنَا عَلَيْكُمْ شَهِيدٌ، وَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْحَوْضُ، وَإِنِّي لأَنْظُرُ إِلَيْهِ مِنْ مَقَامِي هذَا، وَإِنِّي لَسْتُ أَخْشى عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا، وَلكِنِّي أَخْشى عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا، أَنْ تَنَافَسُوهَا

حديث عقبة بن عامر قال: صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم على قتلى احد، بعد ثماني سنين، كالمودع للاحياء والاموات، ثم طلع المنبر، فقال: اني بين ايديكم فرط، وانا عليكم شهيد، وان موعدكم الحوض، واني لانظر اليه من مقامي هذا، واني لست اخشى عليكم ان تشركوا، ولكني اخشى عليكم الدنيا، ان تنافسوها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮১

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮১. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউয-এর কাছে গিয়ে পৌছব। আর (ঐ সময়) তোমাদের কতিপয় লোককে নিঃসন্দেহে আমার সামনে উঠানো হবে। আবার আমার সামনে থেকে তাদেরকে পৃথক করে নেয়া হবে। তখন আমি আরয করব, প্রভু হে! এরা তো আমার উম্মাত; তখন বলা হবে, তোমার পরে এরা কী কীর্তি করেছে তাতো তুমি জান না।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ، وَلَيُرْفَعَنَّ رِجَالٌ مِنْكُمْ، ثُمَّ لَيُخْتَلَجُنَّ دُونِي، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ أَصْحَابى فَيُقَالُ: إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ

حديث عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: انا فرطكم على الحوض، وليرفعن رجال منكم، ثم ليختلجن دوني، فاقول: يا رب اصحابى فيقال: انك لا تدري ما احدثوا بعدك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮২. হারিসাহ ইবনু ওয়াহব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাউযে কাউসারের আলোচনা করতে শুনেছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ হাউযে কাউসার মদীনাহ এবং সানআ নামক স্থানের মধ্যকার দূরত্বের মতো।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث حارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْحَوْضَ فَقَالَ كَمَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَصَنْعَاءَ

حديث حارثة بن وهب، قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، وذكر الحوض فقال كما بين المدينة وصنعاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮৩. তখন মুসতাওরিদ তাঁকে বললেন যে, ’আল আওয়ানী যে বলেছেন তা কি তুমি শুননি? তিনি বললেন, না। মুসতাওরিদ বললেন, এর পাত্রগুলো তারকারাজির মত পরিলক্ষিত হবে।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث فَقَالَ لَهُ الْمُسْتَوْرِدُ، أَلَمْ تَسْمَعْهُ قَالَ الأَوَانِي قَالَ: لاَ قَالَ الْمُسْتَوْرِدُ: تُرَى فِيهِ الآنِيَةُ مِثْلَ الْكَوَاكِبِ

حديث فقال له المستورد، الم تسمعه قال الاواني قال: لا قال المستورد: ترى فيه الانية مثل الكواكب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮৪. ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের সামনে আমার হাউয এর দূরত্ব হবে এতটুকু যতটুকু দূরত্ব জারবা ও আযরুহ্ নামক স্থানদ্বয়ের মাঝে।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ: أَمَامَكُمْ حَوْضٌ كَمَا بَيْنَ جَرْبَاءَ وَأَذْرَحَ

حديث ابن عمر، عن النبي قال: امامكم حوض كما بين جرباء واذرح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি নিশ্চয়ই (কিয়ামতের দিন) আমার ইউয (কাউসার) হতে কিছু লোকদেরকে এমনভাবে তাড়াব, যেমন অপরিচিত উট হাউয হতে তাড়ানো হয়।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنهما، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَذُودَنَّ رِجَالاً عَنْ حَوْضِي، كَمَا تُذَادُ الْغَرِيبَةُ مِنَ الإِبِلِ عَنِ الْحَوْضِ

حديث ابي هريرة رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: والذي نفسي بيده لاذودن رجالا عن حوضي، كما تذاد الغريبة من الابل عن الحوض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার হাউযের পরিমাণ হল ইয়ামানের আয়লা ও সানআ নামক স্থানদ্বয়ের দূরত্বের সমান আর তার পানপাত্র সমূহ আকাশের তারকারাজির সংখ্যাতুল্য।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ قَدْرَ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ وَصَنْعَاءَ مِنَ الْيَمَنِ، وَإِنَّ فِيهِ مِنَ الأَبَارِيقِ، كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ان قدر حوضي كما بين ايلة وصنعاء من اليمن، وان فيه من الاباريق، كعدد نجوم السماء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
১৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৩/৯. নাবী (ﷺ)-এর জন্য 'হাওজ' এর প্রমাণ ও তার বৈশিষ্ট্য।

১৪৮৭. আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন আমার সামনে আমার উম্মতের কতিপয় লোক হাউসের কাছে আসবে। তাদেরকে আমি চিনে নিব। আমার সামনে থেকে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা আমার উম্মাত! তখন আল্লাহ্ বলবেন, তুমি জান না তোমার পরে এরা কী সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে।

إِثبات حوض نبينا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وصفاته

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِي الْحَوْضَ حَتَّى عَرَفْتُهُمُ اخْتُلِجُوا دُونِي، فَأَقُولُ: أَصْحَابِي فَيَقُولُ: لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ

حديث انس بن مالك، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ليردن علي ناس من اصحابي الحوض حتى عرفتهم اختلجوا دوني، فاقول: اصحابي فيقول: لا تدري ما احدثوا بعدك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ ফাযায়েল (كتاب الفضائل)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »