আল-লুলু ওয়াল মারজান ৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৩

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১. শপথ করার দায়িত্ব বাদীর।

১১১৩. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। দু’জন মহিলা একটি ঘর কিংবা একটি কক্ষে সেলাই করছিল। হাতের তালুতে সুই বিদ্ধ হয়ে তাদের একজন বেরিয়ে পড়ল এবং অপরজনের বিরুদ্ধে সুই ফুটিয়ে দেয়ার অভিযোগ করল। এই ব্যাপারটি ইবন আব্বাস (রাঃ) এর নিকট পেশ করা হলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি শুধুমাত্র দাবীর উপর ভিত্তি করে মানুষের দাবী পূরণ করা হয়, তাহলে তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা থাকবে না। সুতরাং তোমরা বিবাদীদের আল্লাহর নামে শপথ করাও এবং এ আয়াত তার সম্মুখে পাঠ কর। এরপর তারা তাকে শপথ করাল এবং সে নিজ দোষ স্বীকার করল। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শপথ বিবাদীকে করতে হবে।

اليمين على المدعى عليه

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ امْرَأَتَيْنِ كَانَتَا تَخْرِزَانِ فِي بَيْتٍ أَوْ فِي الْحُجْرَةِ، فَخَرَجَتْ إِحْداهُمَا وَقَدْ أُنْفِذَ بإِشْفًا فِي كَفِّهَا، فَادَّعَتْ عَلَى الأُخْرَى، فَرُفِعَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بدَعْوَاهُمْ لَذَهَبَ دِمَاءُ قَوْمٍ وَأَمْوَالُهُمْ ذَكِّرُوهَا بِاللهِ، وَاقْرَءُوا عَلَيْهَا (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللهِ) فَذَكَّرُوهَا فَاعْتَرَفَتْ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ

حديث ابن عباس ان امراتين كانتا تخرزان في بيت او في الحجرة، فخرجت احداهما وقد انفذ باشفا في كفها، فادعت على الاخرى، فرفع الى ابن عباس، فقال ابن عباس: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لو يعطى الناس بدعواهم لذهب دماء قوم واموالهم ذكروها بالله، واقرءوا عليها (ان الذين يشترون بعهد الله) فذكروها فاعترفت فقال ابن عباس: قال النبي صلى الله عليه وسلم: اليمين على المدعى عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৪

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৩. বাহ্যিক অবস্থার ভিত্তিতে ফায়সালা এবং যে ব্যক্তি তার যুক্তি প্রদর্শনে বাকপটু।

১১১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর ঘরের দরজার নিকটে ঝগড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন। (তার কাছে বিচার চাওয়া হল) তিনি বললেন, আমি তো একজন মানুষ। আমার কাছে (কোন কোন সময়) ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের চেয়ে অধিক বাকপটু। তখন আমি মনে করি যে, সে সত্য বলেছে। তাই আমি তার পক্ষে রায় দেই। বিচারে যদি আমি ভুলবশত অন্য কোন মুসলিমের হক তাকে দিয়ে থাকি, তবে তা দোযখের টুকরা। এখন সে তা গ্রহণ করুক বা ত্যাগ করুক।

الحكم بالظاهر واللحن بالحجة

حديث أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ سَمِعَ خُصُومَةً بِبَابِ حُجْرَتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّه يَأْتِينِي الْخَصْمُ، فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ، فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَدَقَ فَأَقْضِيَ لَهُ بِذلِكَ؛ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ فَلْيَتْرُكْهَا

حديث ام سلمة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، انه سمع خصومة بباب حجرته، فخرج اليهم، فقال: انما انا بشر، وانه ياتيني الخصم، فلعل بعضكم ان يكون ابلغ من بعض، فاحسب انه صدق فاقضي له بذلك؛ فمن قضيت له بحق مسلم فانما هي قطعة من النار فلياخذها او فليتركها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৫

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৪. হিন্দার ফায়সালা।

১১১৫. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। হিনদা বিনত উতবা (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুইয়ান একজন কৃপণ লোক। আমাকে এত পরিমাণ খরচ দেন না, যা আমার ও আমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হতে পারে যতক্ষণ না আমি তার অজান্তে মাল থেকে কিছু নিই। তখন তিনি বললেনঃ তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যা যথেষ্ট হয় তা তুমি নিতে পার।

قضية هند

حديث عَائِشَةَ، أَنَّ هِنْدَ بِنْتَ عُتْبَةَ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ، وَلَيْسَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَوَلَدِي، إِلاَّ مَا أَخَذْتُ مِنْهُ وَهُوَ لاَ يَعْلَمُ فَقَالَ: خُذِي مَا يَكْفِيكِ وَوَلَدَكِ بِالْمَعْرُوفِ

حديث عاىشة، ان هند بنت عتبة، قالت: يا رسول الله ان ابا سفيان رجل شحيح، وليس يعطيني ما يكفيني وولدي، الا ما اخذت منه وهو لا يعلم فقال: خذي ما يكفيك وولدك بالمعروف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৬

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৪. হিন্দার ফায়সালা।

১১১৬. আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, উতবাহর মেয়ে হিন্দ (রাঃ) এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এক সময় আমার মনের অবস্থা পৃথিবীর বুকে কোন পরিবারকে লাঞ্ছিত হতে দেখা আমার নিকট আপনার পরিবারকে অপমানিত দেখার চেয়ে অধিক কাঙ্ক্ষিত ছিল না। কিন্তু এখন আমার অবস্থা এমন হয়েছে যে দুনিয়ার বুকে কোন পরিবারকে সম্মানিত হতে দেখা আমার নিকট আপনার পরিবারকে সম্মানিত দেখার চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। তারপর সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ সুফইয়ান হচ্ছে একজন কৃপণ ব্যক্তি। যদি তার মাল আমি ছেলে-মেয়েদের জন্য ব্যয় করি তবে তাতে কি আমার কিছু হবে? তিনি বললেন, না, যদি যথাযথ ব্যয় করা হয়।

قضية هند

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: جَاءَتْ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ مِنْ أَهْلِ خِبَاءٍ، أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَذِلُّوا مِنْ أَهْلِ خِبَائِكَ، ثُمَّ مَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَهْلُ خِبَاءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ يَعِزُّوا مِنْ أَهْلِ خِبائِكَ، قَالَ: وَأَيْضًا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ مِسِّيكٌ، فَهَلْ عَلَيَّ حَرَجٌ أَنْ أُطْعِمَ مِنَ الَّذِي لَهُ عِيَالَنَا قَالَ: لاَ أُرَاهُ إِلاَّ بِالْمَعْرُوفِ

حديث عاىشة، قالت: جاءت هند بنت عتبة، قالت: يا رسول الله ما كان على ظهر الارض من اهل خباء، احب الي ان يذلوا من اهل خباىك، ثم ما اصبح اليوم على ظهر الارض اهل خباء احب الي ان يعزوا من اهل خباىك، قال: وايضا والذي نفسي بيده قالت: يا رسول الله ان ابا سفيان رجل مسيك، فهل علي حرج ان اطعم من الذي له عيالنا قال: لا اراه الا بالمعروف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৫. বিনা প্রয়োজনে অধিক প্রশ্ন করা, গরীব ও অন্যান্যদের অধিকার আদায় না করা এবং হাক্বদার না হয়ে কোন কিছু চাওয়া নিষিদ্ধ।

১১১৭. মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া। আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা।

النهي عن كثرة المسائل من غير حاجة والنهي عن منع وهات، وهو الامتناع من أداء حق لزمه، أو طلب ما لا يستحقه

حديث الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدَ الْبَنَاتِ، وَمَنعَ وَهَاتِ، وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ

حديث المغيرة بن شعبة، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ان الله حرم عليكم عقوق الامهات، وواد البنات، ومنع وهات، وكره لكم قيل وقال، وكثرة السوال، واضاعة المال

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৮

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬. বিচারকের সওয়াব যখন সে সঠিক ফায়সালায় পৌছতে আপ্রাণ চেষ্টা করে- তার ফায়সালা ঠিক হোক বা ভুল হোক।

১১১৮. আমর ইবনু ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, কোন বিচারক ইজতিহাদে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর যদি কোন বিচারক ইজতিহাদে ভুল করেন তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার।

بيان أجر الحاكم إِذا اجتهد فأصاب أو أخطأ

حديث عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ

حديث عمرو بن العاص، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: اذا حكم الحاكم فاجتهد ثم اصاب فله اجران، واذا حكم فاجتهد ثم اخطا فله اجر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১১৯

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৭. রাগান্বিত অবস্থায় বিচারকের বিচার করা অপছন্দনীয়।

১১১৯. আবু বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আবূ বকরাহ (রাঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন— সে সময় তিনি সিজিস্তানে অবস্থানরত ছিলেন যে, তুমি রাগের অবস্থায় বিবদমান দু’ব্যক্তির মাঝে ফায়সালা করো না। কেননা, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কোন বিচারক রাগের অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না।

كراهة قضاء القاضي وهو غضبان

حديث أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى ابْنِهِ، وَكَانَ بِسِجِسْتَانَ، بِأَنْ لاَ تَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لاَ يَقْضِيَنَّ حَكَمٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ

حديث ابي بكرة، انه كتب الى ابنه، وكان بسجستان، بان لا تقضي بين اثنين وانت غضبان، فاني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول: لا يقضين حكم بين اثنين وهو غضبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১২০

পরিচ্ছেদঃ ৩০/৮. বাতিল রায় ও নব-আবিষ্কৃত বিষয়াবলী প্রত্যাখ্যান করা।

১১২০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’কেউ আমাদের এ শরীয়াতে নাই এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা বাতিল।

نقض الأحكام الباطلة ورد محدثات الأمور

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ

حديث عاىشة، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من احدث في امرنا هذا ما ليس فيه فهو رد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১২১

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১০. মুজতাহিদগণের মতভেদ প্রসঙ্গে।

১১২১. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সাথে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সঙ্গের একজন মহিলা বললো, তোমার ছেলেটিই বাঘে নিয়ে গেছে। অন্য মহিলাটি বললো, না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে। অতঃপর উভয় মহিলাই দাউদ (আঃ)-এর নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হলো। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন। অতঃপর তারা উভয়ে বেরিয়ে দাউদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ)-এর নিকট দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা দু’জনে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার নিকট একখানা ছােরা নিয়ে আস। আমি ছেলেটিকে দু’ টুকরা করে তাদের দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেই। এ কথা শুনে অল্প বয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুন। ছেলেটি তারই। তখন তিনি ছেলেটি সম্পর্কে অল্প বয়স্কা মহিলাটির অনুকূলে রায় দিলেন।

بيان اختلاف المجتهدين

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كَانَتِ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا ابْنَاهُمَا، جَاءَ الذِّئْب فَذَهَبَ بِابْنِ إِحْدَاهُمَا، فَقَالَتْ صَاحِبَتُهَا إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ، وَقَالَتِ الأُخْرَى إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ؛ فَتَحَاكَمَتَا إِلَى دَاوُدَ، فَقَضى بِهِ لِلْكُبْرَى؛ فَخَرَجَتَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، فَأَخْبَرَتَاهُ فَقَالَ: ائْتُونِي بِالسِّكِّينِ أَشُقُّهُ بَيْنَهُمَا، فَقَالَتِ الصُغْرَى: لاَ تَفْعَلْ، يَرْحَمُكَ اللهُ، هُوَ ابْنُهَا فَقَضى بِهِ لِلصُّغْرَى

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: كانت امراتان معهما ابناهما، جاء الذىب فذهب بابن احداهما، فقالت صاحبتها انما ذهب بابنك، وقالت الاخرى انما ذهب بابنك؛ فتحاكمتا الى داود، فقضى به للكبرى؛ فخرجتا على سليمان بن داود، فاخبرتاه فقال: اىتوني بالسكين اشقه بينهما، فقالت الصغرى: لا تفعل، يرحمك الله، هو ابنها فقضى به للصغرى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
১১২২

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১১. দু’দলের ঝগড়া বিচারক কর্তৃক মীমাংসা করে দেয়া মুস্তাহাব।

১১২২. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক লোক অপর লোক হতে একখণ্ড জমি ক্রয় করেছিল। ক্রেতা খরিদকৃত জমিতে একটা স্বৰ্ণ ভৰ্তি ঘড়া পেল। ক্রেতা বিক্রেতাকে তা ফেরত নিতে অনুরোধ করে বলল, কারণ আমি জমি ক্রয় করেছি, স্বর্ণ ক্ৰয় করিনি। বিক্রেতা বলল, আমি জমি এবং এতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করে দিয়েছি। অতঃপর তারা উভয়ই অপর এক লোকের কাছে এর মীমাংসা চাইল। তিনি বললেন, আমাদের কি ছেলে-মেয়ে আছে? একজন বলল, আমার একটি ছেলে আছে। অন্য লোকটি বলল, আমার একটি মেয়ে আছে। মীমাংসাকারী বললেন, তোমার মেয়েকে তার ছেলের সঙ্গে বিবাহ দাও আর প্রাপ্ত স্বর্ণের মধ্যে কিছু তাদের বিবাহে ব্যয় কর এবং বাকী অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও।

استحباب إِصلاح الحاكم بين الخصمين

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اشْتَرَى رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ عَقَارًا لَهُ، فَوَجَدَ الرَّجُلُ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ فِي عَقَارِهِ جَرَّةً فِيهَا ذَهَبٌ، فَقَالَ لَهُ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ: خذْ ذَهَبَكَ مِنِّي، إِنَّمَا اشْتَرَيْتُ مِنْكَ الأَرْضَ وَلَمْ أَبْتَعْ مِنْكَ الذَّهَبَ وَقَالَ الَّذِي لَهُ الأَرْضُ: إِنَّمَا بِعْتُكَ الأَرْضَ وَمَا فِيهَا؛ فَتَحَاكَمَا إِلَى رَجُلٍ فَقَالَ الَّذِي تَحَاكَمَا إِلَيْهِ: أَلَكُمَا وَلَدٌ قَالَ أَحَدُهُمَا: لِي غُلاَمٌ، وَقَالَ الآخَرُ: لِي جَارِيَةٌ؛ قَالَ: أَنْكِحُوا الْغُلاَمَ الْجَارِيَةَ، وَأَنْفِقُوا عَلَى أَنْفُسِهِمَا مِنْهُ وَتَصَدَّقَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: اشترى رجل من رجل عقارا له، فوجد الرجل الذي اشترى العقار في عقاره جرة فيها ذهب، فقال له الذي اشترى العقار: خذ ذهبك مني، انما اشتريت منك الارض ولم ابتع منك الذهب وقال الذي له الارض: انما بعتك الارض وما فيها؛ فتحاكما الى رجل فقال الذي تحاكما اليه: الكما ولد قال احدهما: لي غلام، وقال الاخر: لي جارية؛ قال: انكحوا الغلام الجارية، وانفقوا على انفسهما منه وتصدقا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩০/ বিচার-ফায়সালা (كتاب الأقضية)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে