আল-লুলু ওয়াল মারজান ৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১. কাফিরদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার পর তাদেরকে আক্রমণের সংবাদ না দিয়ে আক্রমণ জায়িয।

১১২৯. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিল। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মুমিনীন)-কে লাভ করেন। (নাফি’ (রহ.) বলেন) ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।

جواز الإغارة على الكفار الذين بلغتهم دعوة الإسلام من غير تقدم الإعلام بالإغارة

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَغَارَ عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ، وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ، فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ، وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ جُوَيْرِيَةَ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ

حديث عبد الله بن عمر، ان النبي صلى الله عليه وسلم اغار على بني المصطلق وهم غارون، وانعامهم تسقى على الماء، فقتل مقاتلتهم، وسبى ذراريهم، واصاب يومىذ جويرية وكان عبد الله بن عمر في ذلك الجيش

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৩. সহজ আচরণের নির্দেশ ও অনীহা সৃষ্টি নিষিদ্ধ।

১১৩০. আবু বুরদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার দাদা আবু মূসা ও মুআয (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (শাসক হিসেবে) ইয়ামানে পাঠালেন। এ সময় তিনি বললেন, তোমরা লোকজনের সঙ্গে সহজ আচরণ করবে। কখনো কঠিন আচরণ করবে না। মানুষের মনে সুসংবাদের মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি করবে। কখনো তাদের মনে অনীহা সৃষ্টি করবে না এবং একে অপরকে মেনে চলবে।

في الأمر بالتيسير وترك التنفير

حديث أَبِي مُوسى وَمُعَاذٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَدَّهُ أَبَا موسى وَمُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ، فَقَالَ: يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا، وَتَطَاوَعَا

حديث ابي موسى ومعاذ عن سعيد بن ابي بردة عن ابيه، قال: بعث النبي صلى الله عليه وسلم جده ابا موسى ومعاذا الى اليمن، فقال: يسرا ولا تعسرا، وبشرا ولا تنفرا، وتطاوعا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩১

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৩. সহজ আচরণের নির্দেশ ও অনীহা সৃষ্টি নিষিদ্ধ।

১১৩১. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না, মানুষকে সুসংবাদ দাও, বি.ক্তি সৃষ্টি করো না।

في الأمر بالتيسير وترك التنفير

حديث أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: يَسِّرُوا وَلاَ تعَسِّرُوا، وَبَشِّرُوا وَلاَ تُنَفِّرُوا

حديث انس، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: يسروا ولا تعسروا، وبشروا ولا تنفروا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৪. বিশ্বাসঘাতকতা হারাম।

১১৩২. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্ৰতিজ্ঞা ভঙ্গকারীর জন্য কিয়ামত দিবসে একটা পতাকা স্থাপন করা হবে। আর বলা হবে যে, এটা অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।

تحريم الغدر

حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ: هذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ

حديث ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ان الغادر ينصب له لواء يوم القيامة فيقال: هذه غدرة فلان بن فلان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৪. বিশ্বাসঘাতকতা হারাম।

১১৩৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ওয়াদা ভঙ্গকারীর জন্য কিয়ামতের দিন একটি পতাকা হবে এবং তা দিয়ে তার পরিচয় দেয়া হবে।

تحريم الغدر

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يُنْصَبُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُعْرَفُ بِهِ

حديث عبد الله بن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لكل غادر لواء يوم القيامة، ينصب يوم القيامة يعرف به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৫. যুদ্ধে (শত্রুপক্ষকে) ধোঁকা দেয়া জায়িয।

১১৩৪. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুদ্ধ হচ্ছে কৌশল।

جواز الخداع في الحرب

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْحَرْبُ خُدْعَةٌ

حديث جابر بن عبد الله، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: الحرب خدعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৫. যুদ্ধে (শত্রুপক্ষকে) ধোঁকা দেয়া জায়িয।

১১৩৫. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধকে কৌশল নামে অভিহিত করেছেন।

جواز الخداع في الحرب

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَرْبَ خُدْعَةً

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: سمى النبي صلى الله عليه وسلم الحرب خدعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৬. শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার ইচ্ছে করা অপছন্দনীয় এবং মোকাবেলার সময় ধৈর্য ধারণের নির্দেশ।

১১৩৬. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা শত্রুর মুখোমুখী হওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছে পোষণ করবে না। আর যখন তোমরা তাদের মুখোমুখী হবে তখন ধৈর্য অবলম্বন করবে।

كراهة تمني لقاء العدوّ، والأمر بالصبر عند اللقاء

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ تَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ، فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا تمنوا لقاء العدو، فاذا لقيتموهم فاصبروا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৬. শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার ইচ্ছে করা অপছন্দনীয় এবং মোকাবেলার সময় ধৈর্য ধারণের নির্দেশ।

১১৩৭. আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ ’আওফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি হারুরিয়ার দিকে অভিযানে বের হওয়ার সময় উমর ইবনু ’উবায়দুল্লাহকে একখানি পত্র লিখেন। (তাতে লেখা ছিল যে) শত্রুর সঙ্গে কোন এক মুখোমুখী যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করলেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাহাবীদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন, ’হে লোক সকল! তোমরা শত্রুর সঙ্গে মুকাবিলা করার কামনা করবে না এবং আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নিরাপত্তার দুআ করবে। অতঃপর যখন তোমরা শত্রুর সামনাসামনি হবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে। জেনে রাখবে, জান্নাত তরবারির ছায়ায় অবস্থিত। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করলেন, কুরআন অবতীর্ণকারী, মেঘমালা চালনাকারী, সৈন্য দলকে পরাভূতকারী ’হে আল্লাহ্! আপনি কাফিরদেরকে পরাস্ত করুন এবং আমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করুন।

كراهة تمني لقاء العدوّ، والأمر بالصبر عند اللقاء

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ، حِينَ خَرَجَ إِلَى الْحرُورِيَّةِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ الَّتِي لَقِيَ فِيهَا الْعَدُوَّ انْتَظَرَ حَتَّى مَالَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ قَامَ فِي النَّاسِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ لاَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ، وَسَلُوا اللهَ الْعَافِيَةَ، فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا، وَاعْلَمُوا أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ ثُمَّ قَالَ: اللهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، وَمُجْرِيَ السَّحَابِ، وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ

حديث عبد الله بن ابي اوفى كتب الى عمر بن عبيد الله، حين خرج الى الحرورية، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض ايامه التي لقي فيها العدو انتظر حتى مالت الشمس، ثم قام في الناس فقال: ايها الناس لاتمنوا لقاء العدو، وسلوا الله العافية، فاذا لقيتموهم فاصبروا، واعلموا ان الجنة تحت ظلال السيوف ثم قال: اللهم منزل الكتاب، ومجري السحاب، وهازم الاحزاب اهزمهم وانصرنا عليهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৮. যুদ্ধে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হারাম।

১১৩৮. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক যুদ্ধে এক নারীকে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী ও শিশুদের হত্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

تحريم قتل النساء والصبيان في الحرب

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ امْرَأَةً وُجِدَتْ، فِي بَعْضِ مَغَازِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَقْتُولَةً؛ فَأَنْكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتْلَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ

حديث عبد الله بن عمر، ان امراة وجدت، في بعض مغازي النبي صلى الله عليه وسلم، مقتولة؛ فانكر رسول الله صلى الله عليه وسلم قتل النساء والصبيان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৯. নৈশ আক্রমণে অনিচ্ছায় নারী ও শিশুদের হত্যা জায়িয।

১১৩৯. সা’ব ইবনু জাস্‌সামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে আমার কাছ দিয়ে অতিক্রম করেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, যে সকল মুশরিকদের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে, যদি রাত্রিকালীন আক্রমণে তাদের মহিলা ও শিশুরা নিহত হয়, তবে কী হবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারাও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।

جواز قتل النساء والصبيان في البيات من غير تعمد

حديث الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ، قَالَ: مَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ، وَسُئِلَ عَنْ أَهْلِ الدَّارِ يُبَيَّتُونَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فيُصَابُ مِنْ نِسَائِهِمْ وَذَرَارِيِّهِمْ قَالَ: هُمْ مِنْهُمْ

حديث الصعب بن جثامة، قال: مر بي النبي صلى الله عليه وسلم بالابواء او بودان، وسىل عن اهل الدار يبيتون من المشركين، فيصاب من نساىهم وذراريهم قال: هم منهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪০

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১০. কাফিরদের বৃক্ষ কর্তন ও জ্বালিয়ে দেয়া জায়িয।

১১৪০. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুওয়াইরাই নামক জায়গায় বনু নাযীর গোত্রের যে খেজুর গাছ ছিল তার কিছু জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন এবং কিছু কেটে ফেলেছিলেন। এ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়ঃ তোমরা যে খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলেছ অথবা যেগুলো কান্ডের উপর ঠিক রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই অনুমতিক্ৰমে- (সূরাহ হাশর ৫৯/৫)।

جواز قطع أشجار الكفار وتحريقها

حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: حَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ، وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ، فَنَزَلَتْ (مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبإِذْنِ اللهِ)

حديث ابن عمر، قال: حرق رسول الله صلى الله عليه وسلم نخل بني النضير وقطع، وهي البويرة، فنزلت (ما قطعتم من لينة او تركتموها قاىمة على اصولها فباذن الله)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪১

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১১. বিশেষভাবে এ উম্মতের জন্য গানীমাতের মাল হালাল।

১১৪১. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’কোন একজন নবী জিহাদ করেছিলেন। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, এমন কোন ব্যক্তি আমার অনুসরণ করবে না, যে কোন মহিলাকে বিবাহ করেছে এবং তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছে রাখে, কিন্তু সে এখনো মিলিত হয়নি। এমন ব্যক্তিও না যে ঘর তৈরি করেছে কিন্তু তার ছাদ তোলেনি। আর এমন ব্যক্তিও না যে গর্ভবতী ছাগল বা উটনী কিনেছে এবং সে তার প্রসবের অপেক্ষায় আছে। অতঃপর তিনি জিহাদে গেলেন এবং আসরের সালাতের সময় কিংবা এর কাছাকাছি সময়ে একটি জনপদের নিকটে আসলেন। তখন তিনি সূর্যকে বললেন, তুমিও আদেশ পালনকারী আর আমিও আদেশ পালনকারী। হে আল্লাহ! সূর্যকে থামিয়ে দিন। তখন তাকে থামিয়ে দেয়া হল। অবশেষে আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন।

অতঃপর তিনি গানীমাত একত্র করলেন। তখন সেগুলো জ্বালিয়ে দিতে আগুন এল কিন্তু আগুন তা জ্বালিয়ে দিল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, আমাদের মধ্যে (গানীমাতের আত্মসাৎকারী রয়েছে। প্রত্যেক গোত্র হতে একজন যেন আমার নিকট বাইআত করে। সে সময় একজনের হাত নবীর হাতের সঙ্গে আটকে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেই আত্মসাৎকারী রয়েছে। কাজেই তোমার গোত্রর লোকরা যেন আমার নিকট বাইআত করে। এ সময় দু’ ব্যক্তির বা তিন ব্যক্তির হাত তাঁর হাতের সঙ্গে আটকে গেল। তখন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেই আত্মসাৎকারী রয়েছে। অবশেষে তারা একটি গাভীর মস্তক পরিমাণ স্বর্ণ উপস্থিত করল এবং তা রেখে দিল। অতঃপর আগুন এসে তা জ্বালিয়ে ফেলল। অতঃপর আল্লাহ আমাদের জন্য গানীমাত হালাল করে দিলেন এবং আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা লক্ষ্য করে তা আমাদের জন্য তা হালাল করে দিলেন।

تحليل الغنائم لهذه الأمة خاصة

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: غَزَا نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ، فَقَالَ لِقَوْمِهِ: لاَ يَتْبَعْنِي رَجُلٌ مَلَكَ بُضْعَ امْرَأَةٍ، وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَبْنِي بِهَا وَلَمَّا يَبْنِ بِهَا، وَلاَ أَحَدٌ بَنَى بُيُوتًا وَلَمْ يَرْفَعْ سُقُوفَهَا، وَلاَ أَحَدٌ اشْتَرَى غَنَمًا أَوْ خَلِفَاتٍ وَهُوَ يَنْتَظِرُ وِلاَدَهَا فَغَزَا، فَدَنَا مِنَ الْقَرْيَةِ صَلاَةَ الْعَصْرِ، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذلِكَ فَقَالَ لِلشَّمْسِ: إِنَّكِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيْنَا فَحُبِسَتْ حَتَّى فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ؛ فَجَمَعَ الْغَنَائِمَ، فَجَاءَتْ (يَعْنِي النَّارَ) لِتَأْكُلَهَا فَلَمْ تَطْعَمْهَا؛ فَقَالَ: إِنَّ فِيكُمْ غُلُولاً، فَلْيُبَايِعْنِي مِنْ كُلِّ قبيلة رَجُلٌ، فَلَزِقَتْ يَدُ رَجُلٍ بِيدِهِ فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ فَلْيُبَايِعْنِى قَبِيلَتُكَ فَلَزِقَتْ يَدُ رَجُلَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ بِيَدِهِ فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ فَجَاءُوأ بِرَأْسٍ مِثْلِ رَأْس بَقَرَةٍ مِنَ الذَّهَبِ فَوَضَعُوهَا، فَجَاءَتِ النَّارُ فَأَكَلَتْهَا ثُمَّ أَحَلَّ اللهُ لَنَا الْغَنَائِمَ، رَأَى ضَعْفَنَا وَعَجْزَنَا فَأَحَلَّهَا لَنَا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: غزا نبي من الانبياء، فقال لقومه: لا يتبعني رجل ملك بضع امراة، وهو يريد ان يبني بها ولما يبن بها، ولا احد بنى بيوتا ولم يرفع سقوفها، ولا احد اشترى غنما او خلفات وهو ينتظر ولادها فغزا، فدنا من القرية صلاة العصر، او قريبا من ذلك فقال للشمس: انك مامورة وانا مامور، اللهم احبسها علينا فحبست حتى فتح الله عليه؛ فجمع الغناىم، فجاءت (يعني النار) لتاكلها فلم تطعمها؛ فقال: ان فيكم غلولا، فليبايعني من كل قبيلة رجل، فلزقت يد رجل بيده فقال: فيكم الغلول فليبايعنى قبيلتك فلزقت يد رجلين او ثلاثة بيده فقال: فيكم الغلول فجاءوا براس مثل راس بقرة من الذهب فوضعوها، فجاءت النار فاكلتها ثم احل الله لنا الغناىم، راى ضعفنا وعجزنا فاحلها لنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪২

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১২. যুদ্ধলব্ধ সম্পদ।

১১৪২. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদের দিকে একটি সেনাদল পাঠালেন, যাদের মধ্যে ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। এ যুদ্ধে গনীমত হিসেবে তাঁরা বহু উট লাভ করেন। তাঁদের প্রত্যেকের ভাগে এগারোটি কিংবা বারটি করে উট পড়েছিল এবং তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে আরো একটি করে উট দেয়া হয়।

الأنفال

حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً، فِيهَا عَبْدُ اللهِ، قِبَلَ نَجْدٍ، فَغَنِمُوا إِبِلاً كَثِيرًا، فَكَانَتْ سِهَامُهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا أَوْ أَحَدَ عَشَرَ بَعِيرًا؛ وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا

حديث ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث سرية، فيها عبد الله، قبل نجد، فغنموا ابلا كثيرا، فكانت سهامهم اثني عشر بعيرا او احد عشر بعيرا؛ ونفلوا بعيرا بعيرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১২. যুদ্ধলব্ধ সম্পদ।

১১৪৩. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত কোন কোন সেনা দলে কোন কোন ব্যক্তিকে সাধারণ সৈন্যদের প্রাপ্য অংশের চেয়ে অতিরিক্ত দান করতেন।

الأنفال

حديث ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ مِنَ السَّرَايَا لأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً، سِوَى قِسْمِ عَامَّةِ الْجَيْشِ

حديث ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينفل بعض من يبعث من السرايا لانفسهم خاصة، سوى قسم عامة الجيش

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১৩. যুদ্ধে নিহত ব্যক্তির মালামালের অধিকতর হকদার হচ্ছে হত্যাকারী।

১১৪৪. আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনাইনের বছর আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন শত্ৰুর সম্মুখীন হলাম, তখন মুসলিম দলের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হল। এমন সময় আমি মুশরিকদের এক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে একজন মুসলিমের উপর চেপে বসেছে। আমি ঘুরে তার পেছনের দিক দিয়ে এসে তরবারী দ্বারা তার ঘাড়ের রগে আঘাত করলাম। তখন সে আমার দিকে এগিয়ে এল এবং আমাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরল যে, আমি তাতে মৃত্যুর আশংকা করলাম। মৃত্যু তাকেই ধরল এবং আমাকে ছেড়ে দিল। অতঃপর আমি উমার (রাঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললাম, লোকদের কী হয়েছে? উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর হুকুম।

অতঃপর লোকজন ফিরে এলো এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন, তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করেছে এবং তার নিকট এর সাক্ষ্য রয়েছে, তার নিকট হতে প্রাপ্ত মাল-সামান তারই প্রাপ্য। তখন আমি দাঁড়িয়ে বললাম, কে আছ যে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে? অতঃপর আমি বসে পড়লাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করেছে এবং তার নিকট এর সাক্ষ্য রয়েছে, তার নিকট হতে প্রাপ্ত মাল-সামান তারই প্রাপ্য। আমি দাঁড়িয়ে বললাম, কে আছ যে, আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে? অতঃপর আমি বসে পড়লাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়বার ঐরূপ বললেন, আমি আবার দাঁড়ালাম, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ কাতাদাহ! তোমার কী হয়েছে? আমি তখন পুরো ঘটনা বললাম।

তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আবু কাতাদাহ ঠিক বলেছে। সে ব্যক্তির নিকট হতে প্রাপ্ত মাল-সামান আমার নিকট আছে। আপনি আমার পক্ষ হতে একে সম্মত করিয়ে দিন। তখন আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, কক্ষনো না, আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এমন করবেন না যে, আল্লাহর সিংহদের মধ্যে হতে কোন সিংহ আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষে যুদ্ধ করবে আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির মাল-সামান তোমাকে দিবেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবু বাকর ঠিকই বলেছে। ফলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা আমাকে দিলেন। আমি তা হতে একটি বর্ম বিক্রি করে বানূ সালমায় একটি বাগান কিনি। এটাই ইসলামে প্রবিষ্ঠ হওয়ার পর আমার প্রথম সম্পত্তি, যা আমি পেয়েছিলাম।

استحقاق القاتل سلب القتيل

حديث أَبِي قَتَادَةَ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ، فَرَأَيْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلاَ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاسْتَدَرْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ حَتَّى ضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ، فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقُلْتُ: مَا بَالُ النَّاسِ قَالَ: أَمْرُ الله

ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا، وَجَلَسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ، فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُمْتُ فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ، فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُمْتُ فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ الثَالِثَةَ مِثْلَهُ فَقَالَ رَجُلٌ: صَدَقَ يَا رَسُولَ اللهِ وَسَلَبُهُ عِنْدِي، فَأَرْضِهِ عَنِّي فَقَالَ أَبُو بَكْر الصِّدِّيق رضي الله عنه: لاَهَا اللهِ، إِذَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللهِ، يُقَاتِلُ عَنِ اللهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ فَأَعْطَاهُ، فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرِفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ، فَإِنَّهُ لأَوَّلُ مَالٍ تَأْثَّلْتهُ فِي الإِسْلاَمِ

حديث ابي قتادة رضي الله عنه، قال: خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم عام حنين فلما التقينا كانت للمسلمين جولة، فرايت رجلا من المشركين علا رجلا من المسلمين فاستدرت حتى اتيته من وراىه حتى ضربته بالسيف على حبل عاتقه، فاقبل علي فضمني ضمة وجدت منها ريح الموت ثم ادركه الموت فارسلني فلحقت عمر بن الخطاب، فقلت: ما بال الناس قال: امر الله ثم ان الناس رجعوا، وجلس النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: من قتل قتيلا له عليه بينة، فله سلبه فقمت فقلت: من يشهد لي ثم جلست ثم قال: من قتل قتيلا له عليه بينة، فله سلبه فقمت فقلت: من يشهد لي ثم جلست ثم قال الثالثة مثله فقال رجل: صدق يا رسول الله وسلبه عندي، فارضه عني فقال ابو بكر الصديق رضي الله عنه: لاها الله، اذا يعمد الى اسد من اسد الله، يقاتل عن الله ورسوله صلى الله عليه وسلم، يعطيك سلبه فقال النبي صلى الله عليه وسلم: صدق فاعطاه، فبعت الدرع فابتعت به مخرفا في بني سلمة، فانه لاول مال تاثلته في الاسلام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১৩. যুদ্ধে নিহত ব্যক্তির মালামালের অধিকতর হকদার হচ্ছে হত্যাকারী।

১১৪৫. আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি বদর যুদ্ধে সারিতে দাঁড়িয়ে আছি, আমি আমার ডানে বামে তাকিয়ে দেখলাম, অল্প বয়স্ক দু’জন আনসার যুবকের মাঝখানে আছি। আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল, তাদের চেয়ে শক্তিশালীদের মধ্যে থাকি। তখন তাদের একজন আমাকে খোঁচা দিয়ে জিজ্ঞেস করল, চাচা! আপনি কি আবু জাহলকে চিনেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তবে ভাতিজা; তাতে তোমার দরকার কী? সে বলল, আমাকে জানানো হয়েছে যে, সে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালাগালি করে। সে মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ। আমি যদি তাকে দেখতে পাই, তবে আমার দেহ তার দেহ হতে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না আমাদের মধ্যে যার মৃত্যু আগে নির্ধারিত, সে মারা যায়। আমি তার কথায় আশ্চর্য হলাম। তা শুনে দ্বিতীয়জন আমাকে খোঁচা দিয়ে ঐ রকমই বলল। তৎক্ষণাৎ আমি আবূ জাহলকে দেখলাম, সে লোকজনের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তখন আমি বললাম, এই যে আমাদের সেই ব্যক্তি যার সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে। তারা তৎক্ষণাৎ নিজের তরবারী নিয়ে তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং তাকে আঘাত করে হত্যা করল। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে ফিরে এসে তাকে জানালো। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে তাকে হত্যা করেছে? তারা উভয়ে দাবী করল, আমি তাকে হত্যা করেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের তরবারি তোমরা মুছে ফেলনি তো? তারা উভয়ে বলল, না। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়ের তরবারী দেখলেন এবং বললেন, তোমরা উভয়ে তাকে হত্যা করেছে। অবশ্য তার নিকট হতে প্রাপ্ত মালামাল মুআয ইবনু আমর ইবনু জামূহের জন্য। তারা দু’জন হলো, মুআয ইবনু আফরা ও মুআয ইবনু আমর ইবনু জামূই। মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেছেন, তিনি ইউসুফ ও তাঁর পিতা ইবরাহীম (রহঃ)-কে সৎ ব্যক্তি হিসেবে শুনেছেন।

استحقاق القاتل سلب القتيل

حديث عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ: بَيْنَا أَنَا وَاقِفٌ فِي الصَّفِّ يَوْمَ بَدْرٍ، فَنظَرْتُ عَنْ يَمِينِي وَشِمَالِي، فَإِذَا أَنَا بِغُلاَمَيْنِ مِنَ الأَنْصَارِ حَدِيثَةٍ أَسْنَانُهُمَا، تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ بَيْنَ أَضْلَعَ مِنْهُمَا، فَغَمَزَنِي أَحَدُهُمَا، فَقَالَ: يَا عَمِّ هَلْ تَعْرِفُ أَبا جَهْلٍ قُلْتُ: نَعَمْ، مَا حَاجَتُكَ إِلَيْهِ يَا ابْنَ أَخِي قَالَ: أُخْبِرْتُ أَنَّهُ يَسُبُّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ رَأَيْتُهُ لاَ يُفَارِقُ سَوَادِي سَوَادَهُ حَتَّى يَمُوتَ الأَعْجَلُ مِنَّا فَتَعَجَّبْتُ لِذلِكَ فَغَمَزَنِي الآخَرُ، فَقَالَ لِي مِثْلَهَا فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ نَظَرْتُ إِلَى أَبِي جَهْلٍ يَجُولُ فِي النَّاس، قلْتُ: أَلاَ إِنَّ هذَا صَاحِبُكُمَا الَّذِي سَأَلْتُمَانِي فَابْتَدَرَاهُ بِسَيْفِيْهِمَا، فَضَرَبَاهُ حَتَّى قَتَلاَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرَاهُ، فَقَالَ: أَيُّكُمَا قَتَلَهُ قَالَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا: أَنَا قَتَلْتُهُ؛ فَقَالَ: هَلْ مَسَحْتُمَا سَيْفَيْكُمَا قَالاَ: لاَ فَنَظَرَ فِي السَّيْفَيْنِ، فَقَالَ: كِلاَكُمَا قَتَلَهُ، سَلَبُهُ لِمُعَاذٍ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ وَكَانَا مُعَاذَ بْنَ عَفْرَاءَ، وَمُعَاذَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ

حديث عبد الرحمن بن عوف، قال: بينا انا واقف في الصف يوم بدر، فنظرت عن يميني وشمالي، فاذا انا بغلامين من الانصار حديثة اسنانهما، تمنيت ان اكون بين اضلع منهما، فغمزني احدهما، فقال: يا عم هل تعرف ابا جهل قلت: نعم، ما حاجتك اليه يا ابن اخي قال: اخبرت انه يسب رسول الله صلى الله عليه وسلم، والذي نفسي بيده لىن رايته لا يفارق سوادي سواده حتى يموت الاعجل منا فتعجبت لذلك فغمزني الاخر، فقال لي مثلها فلم انشب ان نظرت الى ابي جهل يجول في الناس، قلت: الا ان هذا صاحبكما الذي سالتماني فابتدراه بسيفيهما، فضرباه حتى قتلاه، ثم انصرفا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاخبراه، فقال: ايكما قتله قال كل واحد منهما: انا قتلته؛ فقال: هل مسحتما سيفيكما قالا: لا فنظر في السيفين، فقال: كلاكما قتله، سلبه لمعاذ بن عمرو بن الجموح وكانا معاذ بن عفراء، ومعاذ بن عمرو بن الجموح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১৫. ফাইয়ের মালের বিধান।

১১৪৬. ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনু নযীরের সম্পদ আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’ফায়’ হিসেবে দান করেছিলেন। এতে মুসলিমগণ অশ্ব বা সাওয়ারী চালনা করেনি। এ কারণে তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। এ সম্পদ থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবারকে এক বছরের খরচ দিয়ে দিতেন এবং বাকী আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের প্রস্তুতির জন্য হাতিয়ার ও ঘােড়া ইত্যাদিতে ব্যয় করতেন।

حكم الفيء

حديث عُمَرَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ، فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، وَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ فِي السِّلاَحِ وَالْكُرَاعِ، عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللهِ

حديث عمر رضي الله عنه، قال: كانت اموال بني النضير مما افاء الله على رسوله صلى الله عليه وسلم مما لم يوجف المسلمون عليه بخيل ولا ركاب، فكانت لرسول الله صلى الله عليه وسلم خاصة، وكان ينفق على اهله نفقة سنته، ثم يجعل ما بقي في السلاح والكراع، عدة في سبيل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১৫. ফাইয়ের মালের বিধান।

১১৪৭. মালিক ইবনু আওস ইনু হাদাসান নাসিরী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, (একদা) ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তাকে ডাকলেন। এ সময় তার দ্বাররক্ষী ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, ’আবদুর রাহমান, যুবায়র এবং সা’দ (রাঃ) আপনার নিকট আসার অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ তাদেরকে আসতে বল। কিছুক্ষণ পরে এসে বলল, আব্বাস এবং ’আলী (রাঃ) আপনার নিকট অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তাঁরা উভয়েই ভিতরে প্রবেশ করলেন। ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে, আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং তাঁর মাঝে (বিবাদের) মীমাংসা করে দিন। বনূ নাযীরের সম্পদ থেকে আল্লাহ্ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসেবে যা দিয়েছিলেন তা নিয়ে। তাদের উভয়ের মাঝে বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে তারা তর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন, (এ দেখে আগত) দলের সকলেই বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! তাদের মাঝে একটি মীমাংসা করে তাদের এ বিবাদ থেকে মুক্তি দিন।

তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, তাড়াহুড়া করবেন না। আমি আপনাদেরকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, যার আদেশে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সম্বন্ধে বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না। যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবেই গণ্য হয়। এর দ্বারা তিনি নিজের কথাই বললেন। উপস্থিত সকলেই বললেন, হ্যাঁ, তিনি এ কথা বলেছেন। ’উমার (রাঃ) ’আলী এবং আব্বাসের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে এ কথা বলেছেন, আপনারা তা জানেন কি? তারা উভয়েই বললেন, হ্যাঁ।

এরপর তিনি বললেন, এখন আমি আপনাদেরকে এ বিষয়ে আসল অবস্থা খুলে বলছি। ফাই এর কিছু অংশ আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রসূলের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যা তিনি আর অন্য কাউকে দেননি। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেনঃ “আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তাঁর রাসুলকে যে ফায় দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা অশ্ব কিংবা উষ্ট চালিয়ে যুদ্ধ করনি; আল্লাহ্ তো তার রাসূলকে যার উপর ইচ্ছে তার উপর কর্তৃত্ব দান করেন; আল্লাহ্ সৰ্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান” (সূরা আন’আম ৬/৫৯)। অতএব এ ফাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যই খাস ছিল। আল্লাহর কম! এরপর তিনি আমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের জন্য এ সম্পদকে সংরক্ষিত রাখেননি এবং নিজের জন্য নির্ধারিতও করে যাননি। বরং এ অর্থকে তিনি আমাদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে এ মাল উদৃত্ত আছে।

এ মাল থেকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবার পরিজনের এক বছরের খোরপোশ দিতেন। এর থেকে যা অবশিষ্ট থাকত তা তিনি আল্লাহর পথে খরচ করতে দিতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় এরূপই করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এখন থেকে আমিই হলাম রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওলী। এরপর আবূ বকর (রাঃ) তা স্বীয় তত্ত্বাবধানে নিয়ে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন তিনিও সে নীতিই অনুসরণ করে চললেন। তিনি আলী ও আব্বাসের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আজ আপনারা যা বলছেন এ বিষয়ে আপনারা আবু বাকরের সঙ্গেও এ ধরনেরই আলোচনা করেছিলেন। আল্লাহর কসম! তিনিই জানেন, এ বিষয়ে আবু বকরের সঙ্গেও এ ধরনের আলোচনা করেছিলেন। আল্লাহর কসম! তিনিই জানেন, এ বিষয়ে আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ এবং হকের অনুসারী এক মহান ব্যক্তিত্ব।

এরপর আবূ বকরের ইন্তিকাল হলে আমি বললাম, (আজ থেকে) আমিই হলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকরের ওলী। এরপর এ সম্পদকে আমি আমার খিলাফতের দুই বছরকাল আমার তত্ত্বাবধানে রাখি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বকরের অনুসৃত নীতিই অনুসরণ করে চলছি। আল্লাহ্ তা’আলাই ভাল জানেন, এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ ও হকের একনিষ্ঠ অনুসারী। তা সত্ত্বেও পুনরায় আপনারা দু’জনই আমার নিকট এসেছেন। আমি আপনাদের উভয়কেই বলেছিলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী করি না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবেই গণ্য হয়। এরপর এ সম্পদটি আপনাদের উভয়ের তত্ত্বাবধানে দেয়ার বিষয়টি যখন আমার নিকট স্পষ্ট হল তখন আমি বলেছিলাম, যদি আপনারা চান তাহলে একটি শর্তে তা আমি আপনাদের নিকট অর্পণ করব।

শর্তটি হচ্ছে আপনারা আল্লাহর নির্দেশ ও তার দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী এমনভাবে কাজ করবেন যেভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বাকর করেছেন। আমার তত্ত্বাবধানে আসার পর আমি করেছি। অন্যথায় এ বিষয়ে আপনারা আমার সঙ্গে আর কোন আলোচনা করবেন না। তখন আপনারা বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের নিকট অর্পণ করুন। আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ করেছি। এখন আপনারা আমার নিকট অন্য কোন ফয়সালা কামনা করেন কি? আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যার আদেশে আসমান যমীন স্থির আছে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত আমি এর বাইরে অন্য কোন ফয়সালা দিতে পারব না। আপনারা যদি এর দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে আমার নিকট ফিরিয়ে দিন। আপনাদের এ দায়িত্ব পালনে আমিই যথেষ্ট।

حكم الفيء

حديث عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رضي الله عنه، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رضي الله عنه، دَعَاهُ، إِذْ جَاءَهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمنِ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأذِنُونَ فَقَالَ: نَعَمْ، فَأَدْخِلْهُمْ فَلَبِثَ قَلِيلاً، ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ يَسْتَأذِنَانِ قَالَ: نَعَمْ فَلَمَّا دَخَلاَ قَالَ عَبَّاسٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هذَا، وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِي الَّذِي أَفَاءَ الله عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ؛ فَاسْتَبَّ عَلِيٌّ وَالْعَبَّاسُ فَقَالَ الرَّهْطُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ فَقَالَ عُمَرُ: اتَّئِدُوا، أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ يُرِيدُ بِذلِكَ نَفْسَهُ قَالُوا: قَدْ قَالَ ذلِكَ فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ قَالاَ: نَعَمْ قَالَ: فَإِنِّي أُحَدِّثكُمْ عَنْ هذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللهَ سُبْحَانَهُ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ، فَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ إِلَى قَوْلِهِ قَدِيرٌ فَكَانَتْ هذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ، وَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَقَسَمَهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ هذَا الْمَالُ مِنْهَا، فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللهِ فَعَمِل ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيَاتَهُ ثُمَّ تُوفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَأَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبَضَهُ أَبُو بَكْرٍ، فَعَمِلَ فِيهِ بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه

وسلم، وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ، وَقَالَ: تَذْكُرَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ فِيهِ كَمَا تَقُولاَنِ، وَاللهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ فِيهِ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تَوَفَّى اللهُ أَبَا بَكْرٍ، فَقُلْتُ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، فَقَبَضْتُهُ سَنَتَيْنِ مِنْ إِمَارَتِي أَعْمَل فِيهِ بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَاللهُ يَعْلَمُ أَنِّي فِيهِ صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ للْحَقِّ ثُمَّ جِئْتُمَانِي كِلاَكُمَا وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ، وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، فَجِئْتَنِي (يَعْنِي عَبَّاسًا) فَقُلْتُ لَكُمَا: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ فَلَمَّا بَدَا لِي أَنْ أَدْفَعَهُ إِلَيْكُمَا، قُلْتُ: إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا، عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللهِ وَمِيثَاقَهُ، لَتَعْمَلاَنِ فِيهِ بِمَا عَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَمَا عَمِلْتُ فِيهِ مُذْ وَلِيتُ، وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي فَقُلْتمَا: ادْفَعْهُ إِلَيْنَا بِذلِكَ، فَدَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءَ غَيْرِ ذَلِكَ فَوَاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهِ بِقَضَاءٍ غَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزتُمَا عَنْهُ فَادْفَعَا إِلَيَّ، فَأَنَا أَكْفِيكمَاهُ

حديث عمر بن الخطاب رضي الله عنه، عن مالك بن اوس بن الحدثان النصري، ان عمر بن الخطاب رضي الله عنه، دعاه، اذ جاءه حاجبه يرفا، فقال: هل لك في عثمان وعبد الرحمن والزبير وسعد يستاذنون فقال: نعم، فادخلهم فلبث قليلا، ثم جاء فقال: هل لك في عباس وعلي يستاذنان قال: نعم فلما دخلا قال عباس: يا امير المومنين اقض بيني وبين هذا، وهما يختصمان في الذي افاء الله على رسوله صلى الله عليه وسلم من بني النضير؛ فاستب علي والعباس فقال الرهط: يا امير المومنين اقض بينهما وارح احدهما من الاخر فقال عمر: اتىدوا، انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: لا نورث، ما تركنا صدقة يريد بذلك نفسه قالوا: قد قال ذلك فاقبل عمر على عباس وعلي، فقال: انشدكما بالله هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد قال ذلك قالا: نعم قال: فاني احدثكم عن هذا الامر، ان الله سبحانه كان خص رسوله صلى الله عليه وسلم في هذا الفيء بشيء لم يعطه احدا غيره، فقال جل ذكره وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل ولا ركاب الى قوله قدير فكانت هذه خالصة لرسول الله صلى الله عليه وسلم ثم، والله ما احتازها دونكم، ولا استاثرها عليكم، لقد اعطاكموها وقسمها فيكم حتى بقي هذا المال منها، فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينفق على اهله نفقة سنتهم من هذا المال، ثم ياخذ ما بقي فيجعله مجعل مال الله فعمل ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم حياته ثم توفي النبي صلى الله عليه وسلم، فقال ابو بكر: فانا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقبضه ابو بكر، فعمل فيه بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم، وانتم حينىذ فاقبل على علي وعباس، وقال: تذكران ان ابا بكر فيه كما تقولان، والله يعلم انه فيه لصادق بار راشد تابع للحق ثم توفى الله ابا بكر، فقلت: انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم وابي بكر، فقبضته سنتين من امارتي اعمل فيه بما عمل رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر، والله يعلم اني فيه صادق بار راشد تابع للحق ثم جىتماني كلاكما وكلمتكما واحدة، وامركما جميع، فجىتني (يعني عباسا) فقلت لكما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: لا نورث، ما تركنا صدقة فلما بدا لي ان ادفعه اليكما، قلت: ان شىتما دفعته اليكما، على ان عليكما عهد الله وميثاقه، لتعملان فيه بما عمل فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر، وما عملت فيه مذ وليت، والا فلا تكلماني فقلتما: ادفعه الينا بذلك، فدفعته اليكما افتلتمسان مني قضاء غير ذلك فوالله الذي باذنه تقوم السماء والارض لا اقضي فيه بقضاء غير ذلك حتى تقوم الساعة، فان عجزتما عنه فادفعا الي، فانا اكفيكماه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
১১৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৩২/১৬. নবী (ﷺ)-এর বাণীঃ (আমাদের সম্পদের কেউ উত্তরাধিকারী হবে না, আমরা যা ছেড়ে যাই তা হচ্ছে সদাকাহ)।

১১৪৮. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের কোন উত্তরাধিকারী হবে না। আমরা যা কিছু রেখে যাব সবই হবে সাদাকা স্বরূপ।

قول النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا نورث ما تركنا فهو صدقة

حديث عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ إِلَى بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ مِيرَاثَهُنَّ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَلَيْسَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ نَورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

حديث عاىشة، ان ازواج النبي صلى الله عليه وسلم، حين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم، اردن ان يبعثن عثمان الى بكر يسالنه ميراثهن، فقالت عاىشة: اليس قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا نورث، ما تركنا صدقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »