পরিচ্ছেদঃ ১. তিনটি কারণের কোন একটি ব্যতীত কোন মুসলিমের রক্তপাত বৈধ নয়
২১৫৮। আবূ উমামা ইবনু সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উসমান (রাঃ) বিদ্রোহীদের দ্বারা বাড়ীতে অবরুদ্ধ থাকাকালে (বিদ্রোহীদের) বলেন, আমি আল্লাহর শপথ করে তোমাদেরকে বলছিঃ তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিনটি অপরাধের কোন একটি ব্যতীত মুসলিম ব্যক্তিকে খুন করা হালাল নয়? বিয়ে করার পর যিনা করা, ইসলাম কুবুল করার পর ধর্মত্যাগী হওয়া এবং কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে খুন করা। এগুলোর যে কোন একটি অপরাধের কারণে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যায়"। আল্লাহর শপথ। আমি জাহিলী আমলেও যিনা করিনি এবং ইসলাম কুবুলের পরেও নয়। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যেদিন আনুগত্যের শপথ (বাই’আত) গ্রহণ করেছি সেদিন হতে ধর্মত্যাগীও হইনি। আর এরূপ কোন প্রাণও আমি হত্যা করিনি যার হত্যা আল্লাহ তা’আলা অবৈধ করেছেন। আমাকে কি কারণে তোমরা হত্যা করবে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৫৩৩), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, ইবনু মাসউদ, আইশা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে হাম্মাদ ইবনু সালামা মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন। আর এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তানসহ একাধিক বর্ণনাকারী মাওকুফভাবে বর্ণনা করেছেন, মারফুভাবে নয়। উসমান (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একাধিকসূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، أَشْرَفَ يَوْمَ الدَّارِ فَقَالَ أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ زِنًا بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوِ ارْتِدَادٍ بَعْدَ إِسْلاَمٍ أَوْ قَتْلِ نَفْسٍ بِغَيْرِ حَقٍّ فَقُتِلَ بِهِ " . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلاَ فِي إِسْلاَمٍ وَلاَ ارْتَدَدْتُ مُنْذُ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ قَتَلْتُ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ فَبِمَ تَقْتُلُونَنِي قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَرَفَعَهُ . وَرَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ هَذَا الْحَدِيثَ فَأَوْقَفُوهُ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُثْمَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرْفُوعًا .
Abu Umamah bin Sahl bin Hunaif narrated that on the day of siege, 'Uthman bin 'Affan stood overlooking the people, and he said:
"I swear to you by Allah! You know that the Messenger of Allah (s.a.w) said: 'The blood of a Muslim man is not lawful, except for one of three (cases):Illegitimate sexual relations after Ihsan (having been married), or apostasy after Islam, or taking a life without right, for which he is killed.' By Allah! I have never committed illegitimate sexual relations, not during Jahiliyyah nor during Islam, and I have not committed apostasy since I gave my pledge to the Messenger of Allah (s.a.w), and I have not taken a life that Allah had made unlawful. So for what do you fight me?"'
পরিচ্ছেদঃ ২. পরস্পরের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম
২১৫৯। সুলাইমান ইবনু আমর (রহঃ) হতে তার বাবা আমর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জে জনগণের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ এটা কোন দিন? জনগণ বলল, বড় হাজের দিন। তিনি বললেনঃ আজকের এ দিন ও তোমাদের এ শহর যেমন হারাম (মহাপবিত্র) অনুরূপভাবে তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্ত্রম পরস্পরের জন্য হারাম। সাবধান! অপরাধী তার অপরাধের জন্য নিজেই দায়ী। সাবধান! সন্তানের প্রতি জনকের অপরাধ এবং জনকের প্রতি সন্তানের অপরাধ বর্তায় না। জেনে রাখো, শাইতানের কোন ইবাদাত তোমাদের এ নগরে কখনো হবে না, সে এ ক্ষেত্রে নিরাশ হয়ে গেছে। তবে তোমরা যে সকল কাজকে তুচ্ছ মনে কর অতি শীঘ্রই সে সকল কাজে তার অনুসরণ করা হবে এবং সে তাতে সন্তুষ্ট হবে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৫৫)।
ইবনু আমর আস-সাদী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যাইদাও একইরকম হাদীস শাবীব ইবনু গারকাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র শাবীব ইবনু গারকাদার সূত্রেই জেনেছি।
باب مَا جَاءَ دِمَاؤُكُمْ وَأَمْوَالُكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ لِلنَّاسِ " أَىُّ يَوْمٍ هَذَا " . قَالُوا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ أَلاَ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ مِنْ أَنْ يُعْبَدَ فِي بِلاَدِكُمْ هَذِهِ أَبَدًا وَلَكِنْ سَتَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِيمَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَسَيَرْضَى بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَحُذَيْمِ بْنِ عَمْرٍو السَّعْدِيِّ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى زَائِدَةُ عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ نَحْوَهُ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ .
Sulaiman bin 'Amr bin Al-Ahwas narrated from his father who said:
"During the Farewell Pilgrimage, I heard the Messenger of Allah(s.a.w) saying: 'Which day is this?' They said:'The day of Al-Hajj Al-Akbar.'He said:'Indeed your blood, your wealth, your honour is sacred to each other, just as this day of yours is sacred in this city of yours. Indeed, no one commits a crime except against himself. Indeed none commits a crime for which his son is accountable, nor does a child commit a crime for which his father is held accountable. Indeed Ash-Shaitan has lost hope of ever being worshipped in this city of yours, but he will have compliance in what deeds of yours you consider insignificant, which he will be content with."'
পরিচ্ছেদঃ ৩. এক মুসলিমকে অপর মুসলিমের ভীতি প্রদর্শন করা বৈধ নয়
২১৬০। সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের লাঠিতে ঠাট্টাস্বরূপ বা প্রকৃতই যেন হাত না দেয়। যদি কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের লাঠি নিয়ে যায় তাহলে সে যেন তাকে তা ফেরত দেয়।
সহীহ, লিগাইরিহি, সহীহাহ (৯২১)।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ বিষয়ে আমাদের ইবনু আবী যিবের বর্ণনা ব্যতীত আর কিছু জানা নেই। সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচার্য্য পেয়েছেন। তিনি নাবালেগ থাকাকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে অনেক হাদীস শুনেছেন। সাইব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুকালে সাত বছরের বালক ছিলেন। তার বাবা ইয়াযীদ ইবনুস সাইব (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম সাহাবী। তিনি কয়েকটি হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি ছিলেন নামিরের বোনের ছেলে।
باب مَا جَاءَ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَأْخُذْ أَحَدُكُمْ عَصَا أَخِيهِ لاَعِبًا أَوْ جَادًّا فَمَنْ أَخَذَ عَصَا أَخِيهِ فَلْيَرُدَّهَا إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَسُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدَ وَجَعْدَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ . وَالسَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ لَهُ صُحْبَةٌ قَدْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ وَهُوَ غُلاَمٌ وَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ وَوَالِدُهُ يَزِيدُ بْنُ السَّائِبِ لَهُ أَحَادِيثُ هُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالسَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ ابْنُ أُخْتِ نَمِرٍ
'Abdullah bin As-Sa'ib bin Yazid narrated from his father, from his grandfather who said:
"The Messenger of Allah (s.a.w) said: 'Let one of you not take his brother's staff, neither in play nor seriousness. Whoever took his brother's staff, then let him return it to him."'
পরিচ্ছেদঃ ৩. এক মুসলিমকে অপর মুসলিমের ভীতি প্রদর্শন করা বৈধ নয়
২১৬১। সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াযীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বিদায় হাজ্জ পালন করেন, আমি সে সময় সাত বছরের বালক ছিলাম। আলী ইবনুল মাদীনী ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান (রাহঃ)-এর সূত্রে বলেন, হাদীস শাস্ত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ একজন বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী। সাইব ইবনু ইয়াযীদ তার নানা ছিলেন। মুহাম্মাদ ইউসুফ বলতেন সাইব ইবনু ইয়াযীদ আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তিনি আমার নানা হন।
সনদ হাসান, মাওকুফ।
باب مَا جَاءَ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا
. حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ حَجَّ يَزِيدُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَجَّةَ الْوَدَاعِ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ . فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ ثَبْتًا صَاحِبَ حَدِيثٍ وَكَانَ السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ جَدَّهُ وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ يَقُولُ حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ وَهُوَ جَدِّي مِنْ قِبَلِ أُمِّي .
Muhammad bin Yusuf narrated that As-Sa'ib bin Yazid said:
"Yazid performed Hajj in the Farewell Pilgrimage with the Prophet (s.a.w) when I was seven years old." So 'Ali bin Al-Madini narrated from Yahya bin Sa'eed Al-Qattan: "Muhammad bin Yusuf was a very reliable narrator of Hadith, and As-Sa'ib bin Yazid was his grandfather, and Muhammad bin Yusuf would say: 'As-Sa'ib bin Yazid narrated to me- and he is my grandfather from my mother's side."'
পরিচ্ছেদঃ ৪. কোন ব্যক্তির তলোয়ার দ্বারা মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ইশারা করা
২১৬২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে তার ভাইয়ের দিকে লৌহ (তলোয়ার) দ্বারা ইশারা করে, ফিরিশতাগণ তাকে অভিসম্পাত করেন।
সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (৪৪৬), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ বকরা, আইশা ও জাবির (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং এ সূত্রে গারীব। খালিদ আল-হাযযার কারণে এতে গারীবী এসেছে। একইরকম হাদীস আইয়ূব মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তবে তা মারফুভাবে নয়। আর সেই হাদীসে “ওয়াইন কানা আখাহু লিআবীহি ওয়া উম্মিহি” (যদিও সে তার সহোদর ভাই হয়) কথাটুকুও আছে। এ বর্ণনাটি কুতাইবা-হাম্মাদ ইবনু যাইদ এর বরাতে আইয়ূব (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي إِشَارَةِ الْمُسْلِمِ إِلَى أَخِيهِ بِالسِّلاَحِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْعَطَّارُ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَشَارَ عَلَى أَخِيهِ بِحَدِيدَةٍ لَعَنَتْهُ الْمَلاَئِكَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ .
وَرَوَاهُ أَيُّوبُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَزَادَ فِيهِ " وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ لأَبِيهِ وَأُمِّهِ " . قَالَ وَأَخْبَرَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ بِهَذَا .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Whoever points a piece of iron at his brother, the angels curse him."
পরিচ্ছেদঃ ৫. কোষমুক্ত অবস্থায় তলোয়ার আদান-প্রদান নিষেধ
২১৬৩। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোষমুক্ত অবস্থায় তলোয়ার আদান-প্রদান করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারণ করেছেন।
সহীহ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৫২৭)
আবূ ঈসা বলেন, আবূ বকরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং হাম্মাদ ইবনু সালামার বর্ণনা হিসেবে গারীর। আবু্য যুবাইর-জাবির হতে, তিনি বান্নাতুল জুহানী (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে ইবনু লাহীআ (রহঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আমার মতে হাম্মাদ ইবনু সালামা হতে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنْ تَعَاطِي السَّيْفِ، مَسْلُولاً
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَعَاطَى السَّيْفُ مَسْلُولاً . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ . وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنْ بَنَّةَ الْجُهَنِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عِنْدِي أَصَحُّ .
Jabir narrated :
"The Messenger of Allah(s.a.w) prohibited passing an unsheathed sword."
পরিচ্ছেদঃ ৬. যে লোক ফজরের নামায আদায় করে সে আল্লাহ তা'আলার হিফাযাতে থাকে
২১৬৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের নামায যে লোক আদায় করে, সে আল্লাহ তা’আলার হিফাযাতে থাকে। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে যেন তার দায়িত্ব প্রসঙ্গে অভিযুক্ত না করেন।
সহীহ, সহীহুত তারগীব (৪৬১), তা’লীকুর রাগীব (১/১৪১, ১৫৫৫, ১৬৩)
আবূ ঈসা বলেন, জুনদাব ও ইবনু উমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং এ সূত্রে গারীব।
باب مَا جَاءَ مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مَعْدِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلاَ يُتْبِعَنَّكُمُ اللَّهُ بِشَيْءٍ مِنْ ذِمَّتِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ جُنْدَبٍ وَابْنِ عُمَرَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Abu Hurairah narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Whoever prays Subh, then he is under the protection of Allah's covenant, so do not infringe at all upon Allah's covenant."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সংঘবদ্ধ হয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা
২১৬৫৷ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ’জাবিয়া’ (সিরিয়ার অন্তর্গত) নামক জায়গায় উমর (রাঃ) আমাদের সামনে খুতবাহ দেয়ার উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে বলেনঃ হে উপস্থিত জনতা! যেভাবে আমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়াতেন, সেভাবে তোমাদের মাঝে আমিও দাড়িয়েছি। তারপর তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আমার সাহাবীদের ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি (তাদের যমানা শ্রেষ্ঠ যমানা), তারপর তাদের পরবর্তীদের যমানা, তারপর তাদের পরবর্তীদের যমানা, তারপর মিথ্যাচারের বিস্তার ঘটবে। এমনকি কাউকে শপথ করতে না বলা হলেও সে শপথ করবে, আর সাক্ষ্য প্রদান করতে না বলা হলেও সাক্ষ্য প্রদান করবে।
সাবধান! কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হলে সেখানে অবশ্যই তৃতীয়জন হিসাবে শাইতান অবস্থান করে (এবং পাপাচারে প্ররোচনা দেয়)। তোমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস কর। বিচ্ছিন্নতা হতে সাবধান থেকো। কেননা, শাইতান বিচ্ছিন্নজনের সাথে থাকে এবং সে দুজন হতে অনেক দূরে অবস্থান করে। যে লোক জান্নাতের মধ্যে সবচাইতে উত্তম জায়গার ইচ্ছা পোষণ করে সে যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকে (মুসলিম সমাজে)। যার সৎ আমল তাকে আনন্দিত করে এবং বদ্ আমল কষ্ট দেয় সেই হলো প্রকৃত ঈমানদার।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৩৬৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু সূকার সূত্রে ইবনুল মুবারাকও বর্ণনা করেছেন। একাধিক সূত্রে উমার (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي لُزُومِ الْجَمَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو الْمُغِيرَةِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ خَطَبَنَا عُمَرُ بِالْجَابِيَةِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قُمْتُ فِيكُمْ كَمَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِينَا فَقَالَ " أُوصِيكُمْ بِأَصْحَابِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَحْلِفَ الرَّجُلُ وَلاَ يُسْتَحْلَفُ وَيَشْهَدَ الشَّاهِدُ وَلاَ يُسْتَشْهَدُ أَلاَ لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ عَلَيْكُمْ بِالْجَمَاعَةِ وَإِيَّاكُمْ وَالْفُرْقَةَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ الْوَاحِدِ وَهُوَ مِنَ الاِثْنَيْنِ أَبْعَدُ مَنْ أَرَادَ بُحْبُوحَةَ الْجَنَّةِ فَلْيَلْزَمِ الْجَمَاعَةَ مَنْ سَرَّتْهُ حَسَنَتُهُ وَسَاءَتْهُ سَيِّئَتُهُ فَذَلِكَ الْمُؤْمِنُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Ibn 'Umar narrated:
" 'Umar delivered a Khutbah to us at Al-Jabiyah. He said: 'O you people! Indeed I have stood among you as the Messenger of Allah(s.a.w) stood among us, and he said: "I order you (to stick to) my Companions, then those who come after them, then those who come after them. Then lying will spread until a man will take an oath when no oath was sought from him, and a witness will testify when his testimony was not sought. Behold! A man is not alone with a woman but the third of them is Ash-Shaitan. Adhere to the Jama'ah, beware of separation, for indeed Ash-Shaitan is with one, and he is further away from two. Whoever wants the best place in Paradise, then let him stick to the Jama'ah. Whoever rejoices with his good deeds and grieves over his evil deeds, then that is the believer among you.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. সংঘবদ্ধ হয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা
২১৬৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জামাআতের উপর আল্লাহ্ তা’আলার (রহমতের) হাত প্রসারিত।
সহীহ, তাখরীজু ইসলাহিল মাসাজিদ (৬১), যিলালুল জান্নাত (১-৮১), মিশকাত (১৭৩), তাহকীক বিদায়াতুস সূল (৭০/১৩৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রেই জেনেছি।
باب مَا جَاءَ فِي لُزُومِ الْجَمَاعَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَدُ اللَّهِ مَعَ الْجَمَاعَةِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Ibn 'Abbas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Allah's Hand is with the Jama'ah."
পরিচ্ছেদঃ ৭. সংঘবদ্ধ হয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা
২১৬৭। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মাতকে অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উন্মাতকে কখনোও গোমরাহীর উপর সমবেত করবেন না। আর জামা’আতের উপর আল্লাহ তা’আলার হাত (সাহায্য) প্রসারিত। যে লোক (মুসলিম সমাজ হতে) আলাদা হয়ে গেছে, সে বিচ্ছিন্নভাবেই জাহান্নামে যাবে।
হাদীসে বর্ণিত “মান শাযযা শাযযা ফিননার” অংশটুকু ব্যতীত হাদীসটি সহীহ।
মিশকাত (১৭৩), আযযিলাল (৮০)।
আবূ ঈসা বলেন, উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। সুলাইমান আল-মাদানী বলতে আমার মতে সুলাইমান ইবনু সুফিয়ানকে বুঝায়। আবূ দাউদ আত-তায়ালিসী, আবূ আমির আল-আল আক্কাদী প্রমুখ বিশেষজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা আরো বলেন, হাদীস বিশারদগণের মতে “আল-জামা’আত’ বলতে ফিকহ ও হাদীসসহ অন্যান্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধারক বিশেষজ্ঞ আলিমগণের জামা’আতকে বুঝায় (জনগণকে তাদের সাথে সংঘবদ্ধ থাকতে হবে)।
আমি আল-জারূদ ইবনু মুআযকে বলতে শুনেছি, আমি আলী ইবনুল হাসানকে বলতে শুনেছি, আমি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের নিকট জামাআত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, আবূ বকর ও উমর (রাঃ)-এর দলকে বুঝায়। তাকে বলা হলো, তারা তো মারা গেছেন। তিনি বলেন, অমুক এবং অমুক। তাকে বলা হলো, অমুক ও অমুকও তো মারা গেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, আবূ হামযা আস-সুককারী হলেন জামাআত (কেন্দ্রবিন্দু)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হামযার নাম মুহাম্মাদ, পিতা মাইমূন। তিনি ছিলেন একজন সৎকর্মপরায়ণ বুযুর্গ। আবূ হামযা আমাদের নিকট জীবিত থাকাকালে ইবনুল মুবারক একথা বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي لُزُومِ الْجَمَاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنِي الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الْمَدَنِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَجْمَعُ أُمَّتِي - أَوْ قَالَ أُمَّةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم - عَلَى ضَلاَلَةٍ وَيَدُ اللَّهِ مَعَ الْجَمَاعَةِ وَمَنْ شَذَّ شَذَّ إِلَى النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَسُلَيْمَانُ الْمَدَنِيُّ هُوَ عِنْدِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَتَفْسِيرُ الْجَمَاعَةِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ هُمْ أَهْلُ الْفِقْهِ وَالْعِلْمِ وَالْحَدِيثِ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ بْنَ مُعَاذٍ يَقُولُ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ مَنِ الْجَمَاعَةُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ . قِيلَ لَهُ قَدْ مَاتَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ . قَالَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ . قِيلَ لَهُ قَدْ مَاتَ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَبُو حَمْزَةَ السُّكَّرِيُّ جَمَاعَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو حَمْزَةَ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونٍ وَكَانَ شَيْخًا صَالِحًا وَإِنَّمَا قَالَ هَذَا فِي حَيَاتِهِ عِنْدَنَا .
Ibn 'Umar narrated that the Messenger of Allah(s.a.w) said:
'Indeed Allah will not gather my Ummah " - or he said: "[Muhammad's]Ummah upon deviation, and Allah's Hand is over the Jama'ah, and whoever deviates, he deviates to the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৮. অন্যায় কাজ প্রতিরোধ না করা হলে আযাব অবতীর্ণ হওয়া প্রসঙ্গে
২১৬৮। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হে লোকসকল! তোমরা তো অবশ্যই এই আয়াত তিলাওয়াত করে থাকঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের নিজেদেরই কর্তব্য তোমাদেরকে সংশোধন করা। যদি তোমরা সৎপথে থাক তাহলে যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না” (সূরাঃ মাইদা- ১০৫)। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ মানুষ যদি কোন অত্যাচারীকে অত্যাচারে লিপ্ত দেখেও তার দুহাত চেপে ধরে তাকে প্রতিহত না করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা অতি শীঘ্রই তাদের সকলকে তার ব্যাপক শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত করবেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪০০৫)।
উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-ইয়াযীদ ইবনু হারুন হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, আইশা, উম্মু সালামা, নুমান ইবনু বাশীর, আবদুল্লাহ ইবনু উমার ও হুযাইফা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি সহীহ। ইসমাঈলের সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী ইয়াযীদ হতে বর্ণিত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এটি ইসমাঈল হতে কেউ মারফু হিসাবে আবার কেউ মাওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي نُزُولِ الْعَذَابِ إِذَا لَمْ يُغَيَّرِ الْمُنْكَرُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّهُ قَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الآيَةَ : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لاَ يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ) وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوُا الظَّالِمَ فَلَمْ يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللَّهُ بِعِقَابٍ مِنْهُ " .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ، وَأُمِّ سَلَمَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَحُذَيْفَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ، وَاحِدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، نَحْوَ حَدِيثِ يَزِيدَ وَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، وَأَوْقَفَهُ، بَعْضُهُمْ .
Abu Bakr As-Siddiq said:
"O you people! You recite this Ayah: Take care of yourselves! If you follow the guidance no harm shall come to you. I indeed heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'When the people see the wrongdoer and they do not take him by the hand, then soon Allah shall envelope you in a punishment from him.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯. সৎকাজের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিরোধ
২১৬৯। হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তা’আলা শীঘ্রই তোমাদের উপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার নিকট দুআ করলেও তিনি তোমাদের সেই দু’আ গ্রহণ করবেন না।
সহীহ, সহীহাহ (২৮৬৮), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় আবূ আমর (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىِ عَنِ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
Hudhaifah bin Al-Yaman narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"By the One in Whose Hand is my soul! Either you command good and forbid evil, or Allah will soon send upon you a punishment from Him, then you will call upon Him, but He will not respond to you. "
পরিচ্ছেদঃ ৯. সৎকাজের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিরোধ
২১৭০। হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের ইমামকে হত্যা করবে এবং পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হবে এবং নিকৃষ্টতম ব্যক্তিরা তোমাদের দুনিয়ার হর্তাকর্তা হবে, ততক্ষণ কিয়ামত সংঘটিত হবে না।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৪০৪৩)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমর ইবনু আবূ আমরের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীসটি জেনেছি।
باب مَا جَاءَ فِي الأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىِ عَنِ الْمُنْكَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَنْصَارِيُّ الأَشْهَلِيُّ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتُلُوا إِمَامَكُمْ وَتَجْتَلِدُوا بِأَسْيَافِكُمْ وَيَرِثَ دُنْيَاكُمْ شِرَارُكُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو .
Hudhaifah bin Al-Yaman narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"By the One in Whose Hand is my soul! The Hour will not be established until you fight your A'immah, and you strike each other with your swords, and your world will be inherited by the evilest among you."
পরিচ্ছেদঃ ১০. একটি স্বৈরাচারী সামরিক বাহিনী ধসে যাবে
২১৭১৷ উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কোন একদিন একটি সামরিক বাহিনী প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা করলেন, যারা ভূমিতে (জীবন্ত) ধসে যাবে। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, তাদের মধ্যে কিছু লোককে হয়তো জবরদস্তিমূলকভাবে ভর্তি করা হয়ে থাকবে। তিনি বললেনঃ তাদের নিয়্যাত অনুসারে তাদেরকে পুনরুত্থান করা হবে।
সহীহ, তা’লীক আলা ইবনু মা-জাহ, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। নাফি ইবনু জুবাইর হতে আইশা (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেও এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।
باب
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذَكَرَ الْجَيْشَ الَّذِي يُخْسَفُ بِهِمْ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ لَعَلَّ فِيهِمُ الْمُكْرَهَ . قَالَ " إِنَّهُمْ يُبْعَثُونَ عَلَى نِيَّاتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ أَيْضًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Umm Salamah narrated that the Prophet (s.a.w) mentioned the army that the earth would swallow, so Umm Salamah said:
'Perhaps there are those among them who are averse to it." He said: "They will be resurrected on their intentions."
পরিচ্ছেদঃ ১১. হাতের শক্তি অথবা ভাষা অথবা অন্তর দ্বারা হলেও অন্যায় প্রতিহত করতে হবে
২১৭২। তারিক ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মারওয়ান ঈদের নামাযের পূর্বে সর্বপ্রথম খুতবাহর প্রচলন করেন। তখন কোন একজন লোক এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মারওয়ানকে বলেন, আপনি তো সুন্নাত (বিধান) পরিপন্থী কাজ করলেন। মারওয়ান বলল, হে মিয়া! ঐ পন্থা এখানে বাতিল হয়ে আছে। আবূ সাঈদ (রাঃ) পরবর্তীতে বলেন, এ প্রতিবাদকারী তার দায়িত্ব পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যদি তোমাদের মধ্যে কোন লোক কোন অন্যায় সংঘটিত হতে দেখে তাহলে সে যেন তার হাত দ্বারা (ক্ষমতা প্রয়োগে) তা প্রতিহত করে। যদি এই যোগ্যতা তার না থাকে সে যেন তার মুখ দ্বারা তা প্রতিহত করে। যদি এই যোগ্যতাও তার না থাকে তাহলে সে যেন তার অন্তর দ্বারা তা প্রতিহত করে (অন্যায়কে ঘৃণা করে)। আর এটা হলো দুর্বলতম ঈমান।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১২৭৫), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي تَغْيِيرِ الْمُنْكَرِ بِالْيَدِ أَوْ بِاللِّسَانِ أَوْ بِالْقَلْبِ
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَوَّلُ مَنْ قَدَّمَ الْخُطْبَةَ قَبْلَ الصَّلاَةِ مَرْوَانُ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ لِمَرْوَانَ خَالَفْتَ السُّنَّةَ . فَقَالَ يَا فُلاَنُ تُرِكَ مَا هُنَالِكَ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَلْيُنْكِرْهُ بِيَدِهِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Tariq bin Shihab said:
"The first to advance the Khutbah before the Salat was Marwan. A man stood to say to Marwan: 'You have contradicted the Sunnah.' So he said: 'O so-and-so! What was there it has been left.' So Abu Sa'eed said: 'As for this, he has fulfilled what is upon him. I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'Whomever among you sees an evil, then let him stop it with his hand. Whomever is not able,then with his tongue, and whomever is not able, then with his heart. That is the weakest of faith."'
পরিচ্ছেদঃ ১২. একই বিষয় প্রসঙ্গে
২১৭৩৷ নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা আল্লাহ তা’আলার বিধানকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে এবং যারা অবহেলা করে তাদের উদাহরণ হলো সমুদ্রগামী একটি জাহাজের যাত্রীদের অনুরূপ, যারা লটারীর মাধ্যমে এর দুই তলায় আসন নির্ধারণ করল। একদল উপর তলায় অন্যদল নীচের তলায়। নীচের তলার লোকেরা পানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে উপর তলায় উঠত। ফলে উপরের লোকদের ঐখানে পানি পড়ত। উপর তলার লোকেরা বলল, আমাদের এখানে পানি ফেলে তোমরা আমাদেরকে কষ্ট দিচ্ছ। সুতরাং আমরা তোমাদেরকে উপরে উঠতে দিব না। নীচের তলার লোকেরা বলল, তাহলে জাহাজের তলা ছিদ্র করে আমরা পানি সংগ্রহ করব। এরকম পরিস্থিতিতে উপরের তলার লোকেরা যদি নীচের তলার লোকদের হাত জাপটে ধরে তাদেরকে ছিদ্র করা হতে বিরত রাখতে পারে তাহলে সকলেই বেঁচে যাবে। কিন্তু তারা যদি এদেরকে এ কাজ করতে ছেড়ে দেয় (প্রতিরোধ না করে) তাহলে সকলেই ডুবে মরবে।
সহীহ, সহীহাহ (৬৯), তা’লীকুর রাগীব (২/১৬৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَثَلُ الْقَائِمِ عَلَى حُدُودِ اللَّهِ وَالْمُدْهِنِ فِيهَا كَمَثَلِ قَوْمٍ اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَةٍ فِي الْبَحْرِ فَأَصَابَ بَعْضُهُمْ أَعْلاَهَا وَأَصَابَ بَعْضُهُمْ أَسْفَلَهَا فَكَانَ الَّذِينَ فِي أَسْفَلِهَا يَصْعَدُونَ فَيَسْتَقُونَ الْمَاءَ فَيَصُبُّونَ عَلَى الَّذِينَ فِي أَعْلاَهَا فَقَالَ الَّذِينَ فِي أَعْلاَهَا لاَ نَدَعُكُمْ تَصْعَدُونَ فَتُؤْذُونَنَا فَقَالَ الَّذِينَ فِي أَسْفَلِهَا فَإِنَّا نَنْقُبُهَا مِنْ أَسْفَلِهَا فَنَسْتَقِي فَإِنْ أَخَذُوا عَلَى أَيْدِيهِمْ فَمَنَعُوهُمْ نَجَوْا جَمِيعًا وَإِنْ تَرَكُوهُمْ غَرِقُوا جَمِيعًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
An-Nu'man bin Bashir narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The parable of the one who upholds Allah's laws and the one who breaches them, is that of a people who drew lots on a ship at sea. Some of them got the upper part, and some of them the lower part. Those on the lower part ascended to get water, spilling it upon those upper part. So those in the upper part say: 'We will not leave you to come up here and bother us.' Then those on the lower part say: 'We should make a hole in the lower part, so we can get water.' If they take them by the hand and stop them, then they will save all of them, and if they leave them, they will all drown."'
পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বৈরাচারী শাসকের সামনে হক কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ
২১৭৪। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সবচেয়ে উত্তম জিহাদ হচ্ছে স্বৈরাচারী শাসকের সামনে ন্যায্য কথা বলা।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪০১০)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ উমামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
باب مَا جَاءَ أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُصْعَبٍ أَبُو يَزِيدَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الْجِهَادِ كَلِمَةَ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed, among the greatest types of Jihad is a just statement before a tyrannical ruler."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. উম্মাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিনিটি দু’আ
২১৭৫৷ আবদুল্লাহ ইবনু খাব্বাব ইবনুল আরাত (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা খুব দীর্ঘায়িত করে নামায আদায় করেন। সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আপনি তো কখনো এভাবে নামায আদায় করেননি! তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এ নামায ছিল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও ভীতিপূর্ণ। আমি এতে তিনটি বিষয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আবেদন করেছি। তিনি আমাকে দুটি দিয়েছেন এবং একটি দেননি। আমি তার নিকট আবেদন করেছি, তিনি আমার উম্মাতকে যেন দুর্ভিক্ষে নিক্ষেপ করে ধ্বংস না করে দেন। আমার এ দু’আ তিনি কুবুল করেছেন। তারপর আমি আবেদন করেছি যে, তিনি বিজাতীয় শত্রুদেরকে যেন তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে না দেন। আমার এ দু’আও তিনি কুবুল করেছেন। আমি আরো আবেদন জানিয়েছি যে, তারা যেন পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহের আস্বাদ না নেয়। আমার এ দুআ তিনি কুবুল করেননি।
সহীহ, সিফাতুস সালাত।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। সা’দ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي سُؤَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فِي أُمَّتِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابِ بْنِ الأَرَتِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةً فَأَطَالَهَا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّيْتَ صَلاَةً لَمْ تَكُنْ تُصَلِّيهَا قَالَ " أَجَلْ إِنَّهَا صَلاَةُ رَغْبَةٍ وَرَهْبَةٍ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ فِيهَا ثَلاَثًا فَأَعْطَانِي اثْنَتَيْنِ وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً سَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُهْلِكَ أُمَّتِي بِسَنَةٍ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَعْطَانِيهَا وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ فَمَنَعَنِيهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ عُمَرَ .
'Abdullah bin Khabbab bin Al-Aratt narrated from his father:
"The Messenger of Allah (s.a.w) performed Salat, making it long. They said: 'O Messenger of Allah! You have performed Salat (in a manner) which you do not ordinarily perform it.' He said: 'Yes, It was a prayer of hope and fear. In it I asked Allah for three things. He granted me two, and withheld one from me. I asked him that my Ummah not be destroyed by drought. He granted that. I asked him that they not be overcome by enemies from other then them. He granted that. And I asked him that some of them not suffer from the harm of others, and He withheld that."'
পরিচ্ছেদঃ ১৪. উম্মাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিনিটি দু’আ
২১৭৬। সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার জন্য দুনিয়াকে আল্লাহ তা’আলা সংকুচিত করেন। ফলে আমি এর পূর্ব-পশ্চিম সকলদিক দর্শন করি। আমার জন্য দুনিয়ার যেটুকু পরিমাণ সংকুচিত করা হয়েছে, আমার উন্মাতের রাজত্ব শীঘ্রই ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করবে। আর আমাকে লাল-সাদা (সোন-রূপা) দুটি খনিজ ভাণ্ডারই প্রদান করা হয়েছে। অধিকন্তু আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রভুর নিকট আবেদন করেছি যে, তিনি যেন তাদেরকে মারাত্মক দুর্ভিক্ষে ফেলে ধ্বংস না করে দেন এবং তাদের ব্যতীত বিজাতি দুশমনদেরকে যেন তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে না দেন যাতে তারা তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করার সূযোগ পেতে পারে। আমার প্রভু বলেন, হে মুহাম্মাদ! আমি কোন ফায়সালা করলে তা কোন ক্রমেই পরিবর্তিত হওয়ার নয়। আমি তোমার উম্মাতের জন্য কবুল করলাম যে, প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে তাদের ধ্বংস করব না, তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য কোন দুশমনদেরকে তাদের উপর আধিপত্যশালী করব না যাতে তারা তোমার উম্মাতকে বিনাশ করতে সুযোগ না পায়, এমনকি (দুনিয়ার) সকল অঞ্চল হতে তারা একজোট হয়ে এলেও। তবে তারা পরস্পর পরস্পরকে ধ্বংস করবে এবং কতক কতককে বন্দী করবে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৫২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي سُؤَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثًا فِي أُمَّتِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَصْفَرَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ عَامَّةٍ وَأَنَّ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَإِنِّي أَعْطَيْتُكَ لأُمَّتِكَ أَنْ لاَ أُهْلِكَهُمْ بِسَنَةٍ عَامَّةٍ وَأَنْ لاَ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بِأَقْطَارِهَا أَوْ قَالَ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Thawban narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Indeed Allah gathered the earth for me so that I saw its east and its west. And surely my Ummah's authority shall reach over all that was shown to me of it. And I have been granted the two treasures; the red and the white. I asked my Lord that my Ummah is not to be destroyed by a universal drought, and that He does not overcome them by enemies outside of them, reaching to their heart of power. My Lord said: 'O Muhammad! When I issue a decree it is not reversed. I have granted for your Ummah that they shall not be destroyed by universal drought. And that they not be overcome by enemies outside of themselves reaching to their heart of power- even if they gather against them from all the regions."' Or he said: "Among the regions. But some of them will destroy others, and some will capture others."'
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ফিতনায় পতিত ব্যক্তি প্রসঙ্গে
২১৭৭। উম্মু মালিক আল-বাহযিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন একদিন একটি ফিতনার উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তা খুবই নিকটবর্তী। বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। এ ফিতনা চলাকালে সর্বত্তোম ব্যক্তি কে হবে? তিনি বললেনঃ যে লোক তার পশুপাল নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, পশুপালের হক (যাকাত) প্রদান করবে এবং তার প্রভুর ইবাদাত করবে। আর যে লোক তার ঘোড়ার মাথা ধরে থাকবে এবং শত্রুদের ভীতি প্রদর্শন করবে এবং তারাও তাকে ভয় দেখাবে।
সহীহ, সহীহাহ (৬৯৮), তা’লীকুর রাগীব (২/১৫৩)।
আবূ ঈসা বলেন, উম্মু মুবাশশির, আবূ সাঈদ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। এ হাদীসটি তাউস-উম্মু মালিক আল-বাহযিয়া (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে লাইস ইবনু আবূ সুলাইমও বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ كَيْفَ يَكُونُ الرَّجُلُ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ، قَالَتْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةً فَقَرَّبَهَا قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ خَيْرُ النَّاسِ فِيهَا قَالَ " رَجُلٌ فِي مَاشِيَتِهِ يُؤَدِّي حَقَّهَا وَيَعْبُدُ رَبَّهُ وَرَجُلٌ آخِذٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ يُخِيفُ الْعَدُوَّ وَيُخِيفُونَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ أُمِّ مَالِكٍ الْبَهْزِيَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Umm Malik Al-Bahziyyah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) mentioned Fitnah, such that it was drawing near. She said:
"I said: 'O Messenger of Allah! Who is the best of people during it?' He said: 'A man among his livestock, who pays what is due on them, and worships his Lord. And a man clutching a head of his horse, terrified of his enemy, and they terrified oh him."'