পরিচ্ছেদঃ ১. তাকদীর বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করা নিষেধ
২১৩৩। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একসময় আমাদের সামনে এসে দেখলেন যে, আমরা তাকদীর বিষয়ক তর্কে-বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি। তিনি ভীষণ রাগান্বিত হলেন, এতে তার মুখমণ্ডল এমন লালবর্ণ ধারণ করল যেন তার দুই গালে ডালিম নিংড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা কি এজন্য আদেশপ্রাপ্ত হয়েছ, না আমি তোমাদের প্রতি এটা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি? এ বিষয়ে তোমাদের পূর্ববর্তী জনগণের যখনই বাক-বিতণ্ডা করেছে তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাথে তোমাদেরকে বলছিঃ তোমরা এ বিষয়ে কখনো যেন বিতর্কে লিপ্ত না হও।
হাসান, মিশকাত (৯৮, ৯৯)।
আবূ ঈসা বলেন, উমার, আইশা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ বিষয়ে সালিহ আল-মুররীর বর্ণনা ব্যতীত আর কিছু জানি না। তার আরো কিছু গারীব পর্যায়ভুক্ত একক বর্ণনা আছে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي الْقَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ الرُّمَّانُ فَقَالَ " أَبِهَذَا أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَتَنَازَعُوا فِيهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَائِشَةَ وَأَنَسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ . وَصَالِحٌ الْمُرِّيُّ لَهُ غَرَائِبُ يَنْفَرِدُ بِهَا لاَ يُتَابَعُ عَلَيْهَا .
Abu Hurairah narrated:
"The Messenger of Allah(s.a.w) came out to us while we were discussing about Al-Qadar. He became angry such that his face became red, as if a pomegranate was bursting through his cheeks. He said: 'Is this what I ordered you to do?' - or: 'Is this what I have been sent to you with? The people before you were only ruined when they differed about this matter. I order you [I order you] to not debate about it.'"
পরিচ্ছেদঃ ২. আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ)-এর পারস্পরিক বিতর্ক
২১৩৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (রূহ জগতে) আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হন। মূসা (আঃ) আদম (আঃ)-কে বলেনঃ আপনি তো সেই আদম, যাকে আল্লাহ তা’আলা নিজ হাতে বানিয়েছেন এবং আপনার মধ্যে তার রূহ সঞ্চার করেছেন। আর আপনিই মানবজাতির বিপথগামী ও তাদেরকে জান্নাত হতে বহিষ্কারের কারণ হলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর আদম (আঃ) বললেনঃ আপনিই তো মূসা, আল্লাহ তা’আলা তার সাথে কথা বলার জন্য আপনাকে মনোনীত করেছেন। আপনি এরূপ একটি কাজের জন্য আমাকে অভিযুক্ত করছেন, যা করার সিদ্ধান্তকে আল্লাহ তা’আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির পূর্বেই আমার জন্য লিখে রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর সেই বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮০), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, উমার ও জুনদাব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং সুলাইমান আত-তাইনী-আমাশের সূত্রে গারীব। আর আমাশের কিছু শিষ্য-আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর কিছু বর্ণনাকারী আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ . قَالَ فَقَالَ آدَمُ وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ عَمِلْتُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ قَالَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَجُنْدَبٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الأَعْمَشِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Abu Hurairah narrated that the Prophet(S.A.W) said:
"Adam and Musa argued, Musa said: "O Adam! You are the one that Allah created with His Hand, and blew into you of His Spirit, and you misled the people and caused them to be expelled from Paradise.' So Adam said: 'You are Musa, the one Allah selected with His Speech! Are you blaming me for something I did which Allah had decreed for me, before creating the heavens and the earth?'" He said: " So Adam confuted Musa."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য
২১৩৫৷ আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমলের ক্ষেত্রে আপনার অভিমত কি? আমরা যেসব কাজ করি তা কি নতুনভাবে ঘটল না আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে? তিনি বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তা আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। আর সকলের করণীয় বিষয় সহজ করে রাখা হয়েছে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত তারা অবশ্যই সাওয়াবের কাজ সম্পাদন করে আর যারা দুর্ভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত তারা দুর্ভাগ্যজনক কাজই সম্পাদন করে থাকে।
সহীহ, যিলালুল জান্নাহ (১৬১, ১৬৭)।
আবূ ঈসা বলেন, আলী, হুযাইফা ইবনু উসাইদ, আনাস ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَا نَعْمَلُ فِيهِ أَمْرٌ مُبْتَدَعٌ أَوْ مُبْتَدَأٌ أَوْ فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ فَقَالَ " فِيمَا قَدْ فُرِغَ مِنْهُ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشَّقَاءِ فَإِنَّهُ يَعْمَلُ لِلشَّقَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ وَأَنَسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
'Asim bin 'Ubaidullah said:
' I heard Salim bin 'Abdullah narrating a Hadith from his father who said: "'Umar said : "O Messenger of Allah! Do you see that what we do is a new matter- or a matter initiated – or it is a matter already concluded?” He (s.a.w) said: “ O Ibn Al-Khattab! It is a matter already concluded. For everyone is suited (for that for which he is created). As for one who is among the people of happiness, then he works for happiness, and as for the one who is among the people of misery, then he works for his misery.” (Hasan)
পরিচ্ছেদঃ ৩. সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য
২১৩৬। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে অবস্থান করছিলাম। তিনি তখন কাঠি দিয়ে মাটির মধ্যে দাগ কাটছিলেন। হঠাৎ আকাশের দিকে মাথা উঠিয়ে তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার ঠিকানা জাহান্নামে বা জান্নাতে চিহ্নিত করে বা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়নি। তারা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। তাহলে আমরা কি (সেই লেখার উপর) নির্ভর করে থাকবো না? তিনি বললেনঃ না, বরং কাজ সম্পাদন করতে থাক। কেননা, যাকে যে কাজের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সেই কাজকে সহজ করে দেয়া হয়।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৭৮), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَنْكُتُ فِي الأَرْضِ إِذْ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ قَدْ عُلِمَ وَقَالَ وَكِيعٌ إِلاَّ قَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ " . قَالُوا أَفَلاَ نَتَّكِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لاَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
'Ali narrated:
"We were with the Messenger of Allah (s.a.w) and he was scraping the ground, when he raised his head to the heavens, then said: 'There is not one of you but (his place) is known' – Waki said: 'His place has been decreed (be it) in the Fire, and (or) his place in Paradise.' They said: 'Shall we not rely upon this O Messenger of Allah?' He said: 'No. Work, for everyone is facilitated for what he was created.'”(Sahih)
পরিচ্ছেদঃ ৪. আমল শেষ অবস্থার উপর নির্ভরশীল
২১৩৭। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, আর তিনি তো সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃতঃ তোমাদের সকলেই তার মায়ের গর্ভে সৃষ্টির চল্লিশদিন পর্যন্ত (জমাট বাঁধা) শুক্ররূপে সমন্বিত হতে থাকে, তারপর রক্তপিণ্ডরূপে চল্লিশদিন বিদ্যমান থাকে, তারপর অনুরূপ দিনে মাংসপিণ্ডের রূপ ধারণ করে। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার নিকট একজন ফিরিশতা প্রেরণ করেন এবং তার মধ্যে রূহ সঞ্চার করেন। আর চারটি বিষয়ে তাকে আদেশ করা হয়। সুতরাং তার রিযিক, মৃত্যু, তার কার্যক্রম এবং সে সৌভাগ্যবান না দুর্ভাগ্যবান এই বিষয়গুলো সেই ফিরিশতা লিখে দেন।
সেই সত্তার শপথ, যিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই! তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি জান্নাতীদের আমল করতে থাকে, এমনকি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকে। এমতাবস্থায় তার সেই ভাগ্যের লেখা তার সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন জাহান্নামীদের আমলের উপর তার পরিসমাপ্তি ঘটে, ফলে সে জাহান্নামেই চলে যায়। আর তোমাদের কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের কর্ম সম্পাদন করতে থাকে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে। এমতাবস্থায় তার সামনে ভাগ্যের সেই লেখা এসে। হাযির হয় এবং জান্নাতীদের আমলের উপর তার পরিসমাপ্তি ঘটে, ফলে সে জান্নাতে চলে যায়।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৭৬), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনু ইবনু ওয়াহব হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন...... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
বর্ণনাকারী বলেন, আহমাদ ইবনুল হাসানকে আমি বলতে শুনেছি, আমি আহমাদ ইবনু হাম্বলকে বলতে শুনেছিঃ আমি আমার চোখে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তানের মতো ব্যক্তিত্ব আর দেখিনি। এই সনদসূত্রে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। আমাশের সূত্রে শুবা ও সাওরীও একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু আলা ওয়াকী হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি যাইদ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ " إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ فِي أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ إِلَيْهِ الْمَلَكَ فَيَنْفُخُ فِيهِ وَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعٍ يَكْتُبُ رِزْقَهُ وَأَجَلَهُ وَعَمَلَهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ ثُمَّ يَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مِثْلَهُ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ . وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ بِعَيْنِي مِثْلَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدٍ، نَحْوَهُ .
'Abdullah bin Mas'ud said:
The Messenger of Allah (s.a.w) narrated to us - and he is the truthful and entrusted one: 'Indeed the creation of one of you is gathered inside his mother in forty days. Then, for a similar period, he is a clot. Then, for a similar period, he is a piece of flesh. Then Allah sends the angel to him to blow the soul into him, and he is ordered to write four (things): To write his provision, his life-span, his works, and whether he will be wretched or happy. By the One besides Whom there is none other worthy of worship! One of you will do deeds of the people of Paradise, until there is between him and it but a forearm span, then he is overcome by what is written for him, and he is sealed off with the deeds of the people of the Fire, so that he enters it. And indeed one of you will do deeds of the people of the Fire, until there is between him and it but a forearm span, then he is overcome by what is written for him, and he is sealed off with the deeds of the people of Paradise, so that he enters it.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রত্যেক শিশু প্রকৃতিগত স্বভাবের উপর জন্মগ্রহণ করে
২১৩৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার বিধানের অনুগত হিসাবেই প্রত্যেকটি সন্তান জন্ম নেয়। তারপর তার বাবা-মা তাকে ইয়াহুদী, খৃষ্টান অথবা মুশরিক হিসাবে গড়ে তোলে। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। যেসব সন্তান এর আগেই (শিশু থাকাবস্থায়) মৃত্যুবরণ করে? তিনি বললেনঃ তারা (জীবিত থাকলে) কি ধরনের আমল করত সে বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা অধিক অবগত।
সহীহ, ইরওয়া (১২২০), বুখারী, মুসলিম।
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে আবূ কুরাইব ও হুসাইন ইবনু হুরাইস হতে, তারা ওয়াকী হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। আর এই হাদীসে “ইউলাদু আলাল-মিল্লাতি”-এর স্থলে “ইউলাদু আলাল ফিতরাতি” (প্রকৃতিগত স্বভাবের উপর জন্ম নেয়) বাক্য এসেছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদীসটি শুবা ও অন্যান্যরা আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তাতেও “ইউলাদু আলাল ফিতরাতি” উল্লেখ আছে। আসওয়াদ ইবনু সারী হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رَبِيعَةَ الْبُنَانِيُّ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْمِلَّةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُشَرِّكَانِهِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ هَلَكَ قَبْلَ ذَلِكَ قَالَ " اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ بِهِ " .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَقَالَ " يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُهُ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . وَفِي الْبَابِ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ .
'Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Every child is born upon the Millah, then his parents make him a Jew, a Christian, or a idolater." It was said: "O Messenger of Allah! What about those who die before that?" He said: "Allah knows best what they would have done."
পরিচ্ছেদঃ ৬. দু’আ ব্যতীত ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না
২১৩৯। সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’আ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।
হাসান, সহীহাহ (১৫৪)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ উসাইদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান এবং সালমান (রাঃ)-এর বর্ণনা হিসাবে গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ইয়াহইয়া ইবনুষ যুরাইসের সূত্রে জেনেছি। আবূ মাওদূদ দুই ব্যক্তি। এ দুজনের মধ্যে একজনের নাম ফিযযাহ, আল-বাসরী যিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অন্যজন হলেন আবদুল আযীয ইবনু আবী সুলাইমান আল-মাদানী। আর তারা ছিলেন সমসাময়িক।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الضُّرَيْسِ، عَنْ أَبِي مَوْدُودٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلاَّ الدُّعَاءُ وَلاَ يَزِيدُ فِي الْعُمُرِ إِلاَّ الْبِرُّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَلْمَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ الضُّرَيْسِ . وَأَبُو مَوْدُودٍ اثْنَانِ أَحَدُهُمَا يُقَالُ لَهُ فِضَّةٌ وَهُوَ الَّذِي رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ اسْمُهُ فِضَّةٌ بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ أَحَدُهُمَا بَصْرِيٌّ وَالآخَرُ مَدَنِيٌّ وَكَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ .
'Salman narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Nothing turns back the Decree except supplication, and nothing increases the life-span except righteousness."
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহ তা'আলার দুই আঙ্গুলের মধ্যে সমস্ত অন্তর অবস্থিত
২১৪০। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ অধিক পাঠ করতেনঃ হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমরা ঈমান এনেছি আপনার উপর এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর। আপনি আমাদের ব্যাপারে কি কোনরকম আশংকা করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা, আল্লাহ তা’আলার আঙ্গুলসমূহের মধ্যকার দুটি আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরই অবস্থিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৮৩৪)।
আবূ ঈসা বলেন, নাওয়াস ইবনু সাম্আন, উম্মু সালামা, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে আবূ সুফিয়ানের বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ " يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ آمَنَّا بِكَ وَبِمَا جِئْتَ بِهِ فَهَلْ تَخَافُ عَلَيْنَا قَالَ " نَعَمْ إِنَّ الْقُلُوبَ بَيْنَ أَصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهَا كَيْفَ يَشَاءُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَحَدِيثُ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ أَنَسٍ أَصَحُّ .
'Anas narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) would often say: Ya Muqallibal-qulub, thabbit qalbi 'ala dinik('O Changer of the Hearts! Strengthen my heart upon Your Religion.)' So I said: 'O Prophet of Allah! We believe in you and what you have come with, but do you fear for us?' He said: 'Yes. Indeed the hearts are between two Fingers of Allah's Fingers, He changes them as He wills.'"
পরিচ্ছেদঃ ৮. জান্নাতী ও জাহান্নামীদের জন্য একটি করে গ্রন্থ আল্লাহ তা’আলা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন
২১৪১। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি গ্রন্থ তার দুই হাতে নিয়ে আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা এই দুটি গ্রন্থের ব্যাপারে কি জান? আমরা বললাম, না, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। তবে যদি আপনি আমাদেরকে জানিয়ে দিন। তিনি তার ডানহাতের গ্রন্থের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটা রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে একটি কিতাব। এতে জান্নাতী সকল ব্যক্তির নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম ও তাদের গোত্রের নাম লিখা আছে। আর শেষে এর যোগফল রয়েছে এবং এতে কম-বেশি করা হবে না। তারপর তিনি তার বামহাতের গ্রন্থের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটাও আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে একটি গ্রন্থ। এতে জাহান্নামী সকল ব্যক্তির নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম ও গোত্রের নাম লিখা আছে। এর শেষেও যোগফল রয়েছে। এতে কখনো কমানো-বাড়ানো হবে না। তার সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। বিষয়টি এরূপভাবেই চূড়ান্ত হয়ে থাকলে তবে আর আমলের কি প্রয়োজন?
তিনি বললেনঃ তোমরা সঠিক পথে থেকে সঠিকভাবে কাজ করতে থাক এবং আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য হাসিলে চেষ্টা কর। কেননা, জান্নাতী লোকের শেষ মুহুর্তের আমল জান্নাতীদের আমলই হবে, সে পূর্বে যে আমলই করুক না কেন। আবার জাহান্নামীর শেষ মুহুর্তের কাজ জাহান্নামীদের আমলই হবে, সে পূর্বে যে আমলই করুক না কেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দুইহাতে ইশারা করেন এবং কিতাব দুটি ফেলে দিয়ে বলেনঃ তোমাদের প্রভু তার বান্দাহদের আমল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। একদল জান্নাতে প্রবেশ করবে আর অন্যদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হাসান, মিশকাত (৯৬), সহীহাহ (৮৪৮), আযযিলা-ল (৩৪৮)।
কুতাইবা-বাকর ইবনু মুযার হতে, তিনি আবূ কাবীল (রাহঃ) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আর আবূ কবীলের নাম হুয়াই ইবনু হানী।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنْ شُفَىِّ بْنِ مَاتِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي يَدِهِ كِتَابَانِ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ مَا هَذَانِ الْكِتَابَانِ " . فَقُلْنَا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ أَنْ تُخْبِرَنَا . فَقَالَ لِلَّذِي فِي يَدِهِ الْيُمْنَى " هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ أُجْمِلَ عَلَى آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا " . ثُمَّ قَالَ لِلَّذِي فِي شِمَالِهِ " هَذَا كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ فِيهِ أَسْمَاءُ أَهْلِ النَّارِ وَأَسْمَاءُ آبَائِهِمْ وَقَبَائِلِهِمْ ثُمَّ أُجْمِلَ عَلَى آخِرِهِمْ فَلاَ يُزَادُ فِيهِمْ وَلاَ يُنْقَصُ مِنْهُمْ أَبَدًا " . فَقَالَ أَصْحَابُهُ فَفِيمَ الْعَمَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَ أَمْرٌ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ فَقَالَ " سَدِّدُوا وَقَارِبُوا فَإِنَّ صَاحِبَ الْجَنَّةِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنْ عَمِلَ أَىَّ عَمَلٍ وَإِنَّ صَاحِبَ النَّارِ يُخْتَمُ لَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ وَإِنْ عَمِلَ أَىَّ عَمَلٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَيْهِ فَنَبَذَهُمَا ثُمَّ قَالَ " فَرَغَ رَبُّكُمْ مِنَ الْعِبَادِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ " . حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ عَنْ أَبِي قَبِيلٍ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَبِيلٍ اسْمُهُ حُيَىُّ بْنُ هَانِئٍ .
'Abdullah bin 'Amr narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) came out to us with two books in hand. And he said: 'Do you know what these two books are?' We said: 'No, O Messenger of Allah ! Unless you inform us.' He said about the one that was in his right hand: 'This is a book from the Lord of the worlds, in it are the names of the people of Paradise, and the name of their fathers and their tribes. Then there is a summary at the end of them, there being no addition to them nor deduction from them forever.' Then he said about the one that was in his left: 'This is a book from the Lord of the worlds, in it are the names of the people of Fire, and the name of their fathers and their tribes. Then there is a summary at the end of them, there being no addition to them nor deduction from them forever.' The companions said: 'So why work O Messenger of Allah! Since the matter is already decided (and over)?' He said: 'Seek to do what is right and draw nearer, for indeed the inhabitant of Paradise, shall have his work sealed off with the deeds of the people of Paradise, whichever deeds he did. And indeed the inhabitant of Fire, shall have his work sealed off with the deeds of the people of Fire, whichever deeds he did.' Then the Messenger of Allah motioned with his hands, casting them down and said: 'Your Lord finished with the slaves, a group in Paradise, and a group in the Blazing Fire.'"
পরিচ্ছেদঃ ৮. জান্নাতী ও জাহান্নামীদের জন্য একটি করে গ্রন্থ আল্লাহ তা’আলা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন
২১৪২। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যদি তার কোন বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন? তিনি বললেনঃ তিনি সেই বান্দাহকে মারা যাবার আগে সৎকাজের সুযোগ দান করেন।
সহীহ, আর-রাওযুন নাযীর (২/৮৭), মিশকাত (৫২৮৮), আযযিলা-ল (৩৯৭-৩৯৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ " . فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
'Anas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah wants good for a slave, He puts him in action." It was said: "How does he put him in action O Messenger Of Allah?" He said: "By making him meet up with the righteous deeds before death."
পরিচ্ছেদঃ ৯. রোগ সংক্রমণ, প্যাচার ডাক বা সফর মাস প্রসঙ্গে অশুভ ধারণা ঠিক নয়
২১৪৩৷ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ কোন কিছুই অন্য কিছুকে সংক্রমণ করতে পারে না। কোন এক মফস্বলের লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। যে উটের লিঙ্গে চর্মরোগ আছে সে তো সব উটকেই চর্মরোগাক্রান্ত করে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে প্রথম উটটিকে কে চর্মরোগাক্রান্ত করেছিল? ছোয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই এবং সফর মাসকেও অশুভ বলে ভাবার মতো কিছু নেই। আল্লাহ তা’আলা সকল প্রাণী সৃষ্টি করেছেন এবং তার জীবনকাল, রিযিক ও বিপদাপদ সবকিছু লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন।
সহীহ, সহীহাহ (১১৫২)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আমি মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু সাফওয়ান আস-সাকাকী আল-বাসরীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনুল মাদীনীকে বলতে শুনেছিঃ আমি রুকনে ইয়ামানী ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝখানে দাড়িয়ে শপথ করে বলতে পারি যে, আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী হতে অধিক বড় আলিম আমি আর দ্বিতীয়জন দেখিনি।
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا صَاحِبٌ، لَنَا عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ يُعْدِي شَيْءٌ شَيْئًا " . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْبَعِيرُ الْجَرِبُ الْحَشَفَةُ نُدْبِنُهُ فَيُجْرِبُ الإِبِلَ كُلَّهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَمَنْ أَجْرَبَ الأَوَّلَ لاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ خَلَقَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ وَكَتَبَ حَيَاتَهَا وَرِزْقَهَا وَمَصَائِبَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ صَفْوَانَ الثَّقَفِيَّ الْبَصْرِيَّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ لَوْ حَلَفْتُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ لَحَلفْتُ أَنِّي لَمْ أَرَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ .
'Ibn Mas'ud narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) stood among us and said: 'One thing does not infect another.' So a Bedouin said: 'O Messenger of Allah! If a camel gets mangy glands and we leave it at the resting place of camels, then all of the camels get mange?' The Messenger of Allah (s.a.w) said: 'Who caused the first to get manage? There is no 'Adwa nor safar. Allah created every soul, so he wrote its life, its provision, and its afflictions.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০. তাকদীর ও তার ভাল-মন্দের উপর ঈমান
২১৪৪। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দাহই মু’মিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে তাকদীর ও তার ভাল-মন্দের উপর ঈমান আনবে। এমনকি তার নিশ্চিত বিশ্বাস থাকতে হবে যে, যা কিছু ঘটেছে তা কিছুতেই অঘটিত থাকত না এবং যা কিছু ঘটে নাই তা কখনোও তাকে স্পর্শ করবে না।
সহীহ, সহীহাহ (২৪৩৯)।
আবূ ঈসা বলেন, উবাদা, জাবির ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আবদুল্লাহ ইবনু মাইমূনের সূত্রেই জেনেছি। আর হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে আবদুল্লাহ ইবনু মাইমূন মুনকার (প্রত্যাখ্যাত)।
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَيْمُونٍ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ .
Jabir bin 'Abdullah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'A slave (of Allah) shall not believe until he believes in Al-Qadar, its good and its bad, such that he knows that what struck him would not have missed him, and that what missed him would not have struck him."
পরিচ্ছেদঃ ১০. তাকদীর ও তার ভাল-মন্দের উপর ঈমান
২১৪৫। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকই ঈমানদার হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে চারটি বিষয়ের উপর ঈমান আনবেঃ (১) সে এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই এবং আমি মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, তিনি আমাকে সত্যসহকারে প্রেরণ করেছেন; (২) মৃত্যুর উপর ঈমান আনবে; (৩) মৃত্যুর পর পুনরুথানে ঈমান আনবে এবং (৪) তাকদীরের উপর ঈমান আনবে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮১)।
মাহমূদ ইবনু গাইলান-নাযার ইবনু শুমাইল হতে, তিনি শুবা (রহঃ) হতে উপরের হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এই সূত্রে রিবঈ জনৈক লোকের সূত্রে আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, নাযারের বর্ণিত হাদীসের চাইতে আবূ দাউদ কর্তৃকশুবা (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ। মানসূর-রিবঈ হতে, তিনি আলী (রাঃ)-এর সূত্রে আরো একাধিক বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। জারূদ আমাদেরকে বলেছেন, আমি ওয়াকীকে বলতে শুনেছিঃ আমি অবগত হয়েছি যে, রিবঈ ইবনু হিরাশ (খিরাশ) তার ইসলামী জীবনে কখনোও একটি মিথ্যা কথাও বলেননি।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بَعَثَنِي بِالْحَقِّ وَيُؤْمِنُ بِالْمَوْتِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَيُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ " .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ شُعْبَةَ، نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ رِبْعِيٌّ عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ، عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ النَّضْرِ وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ . حَدَّثَنَا الْجَارُودُ قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ بَلَغَنَا أَنَّ رِبْعِيًّا لَمْ يَكْذِبْ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً .
'Ali narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'A slave (of Allah) shall not believe until he believes in four: The testimony of La Ilaha Illallah, and that I am the Messenger of Allah whom He sent with the Truth, and he believes in the death, and he believes in the Resurrection after death, and he believes in Al-Qadar."
The narration of Abu Dawud from Shu'bah is more authentic in my view than the narration of An-Nadr. This is how it was reported by more than one narrator from Mansur, from Ribi, from 'Ali. Al-Jarud narrated to us, he said:
'I heard Waki' saying: 'It has been conveyed to me that Rabi' bin Hirash did not utter even one lie in Islam (i.e., after he professed Islam).'"
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে স্থানে যার মৃত্যু অবধারিত, তার সে স্থানেই মৃত্যু হবে
২১৪৬। মাতার ইবনু উকামিস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যখন যে জায়গায় কারো মৃত্যু হওয়ার ফায়সালা করেন, তখন ঐ জায়গায় গমনের উদ্দেশ্যে তার কোন প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন।
সহীহ, মিশকাত (১১০), সহীহাহ (১২২১)।
আবূ ঈসা বলেন, আবূ আযযা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মাতার ইবনু উকামিস (রাঃ)-এর এই হাদীসটি ছাড়া আর কোন হাদীস আছে বলে আমাদের জানা নেই। উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস মাহমূদ ইবনু গাইলান মুআম্মাল ও আবূ দাউদ আল-হুফারী-সুফিয়ান (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ إِلَيْهَا حَاجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي عَزَّةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَلاَ يُعْرَفُ لِمَطَرِ بْنِ عُكَامِسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، وَأَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، نَحْوَهُ .
Matar bin 'Ukamis narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah decrees that a slave (of His) is to die in a land, He makes him have some need from it."
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে স্থানে যার মৃত্যু অবধারিত, তার সে স্থানেই মৃত্যু হবে
২১৪৭। আবূ আযযা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন আল্লাহ তা’আলা কোন জায়গায় কোন বান্দাহর মৃত্যু হওয়া অবধারিত করেন তখন তার জন্য সেই জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন।
সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। আবূ আযযা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য পেয়েছেন। তার নাম ইয়াসার ইবনু আবদ। আবূল মালীহ-এর নাম আমির ইবনু উসামা ইবনু উমাইর আল-হুযালী। তিনি যাইদ ইবনু উসামা নামেও পরিচিত।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَبِي عَزَّةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَضَى اللَّهُ لِعَبْدٍ أَنْ يَمُوتَ بِأَرْضٍ جَعَلَ لَهُ إِلَيْهَا حَاجَةً أَوْ قَالَ بِهَا حَاجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو عَزَّةَ لَهُ صُحْبَةٌ وَاسْمُهُ يَسَارُ بْنُ عَبْدٍ وَأَبُو الْمَلِيحِ اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيُّ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ .
Abu 'Azzah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"When Allah decrees that a slave (of His) is to die in a land, He makes him have some need from it."Or, he said: "In it."
পরিচ্ছেদঃ ১২. ঝাড়ফুঁক বা ঔষধ কোন কিছুই আল্লাহ্ নির্ধারিত তাকদীর রদ করতে পারে না
২১৪৮। আবূ খিযামা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে বলেন, আমরা এই যে ঝাড়ফুঁক করাই বা ঔষধ ব্যবহারে চিকিৎসা গ্রহণ করি বা অন্য কোন উপায়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেই এগুলো কি আল্লাহ তা’আলা নির্ধারিত ভাগ্যের কিছু বাতিল করতে পারে বলে আপনি মনে করেন? তিনি বললেনঃ তোমাদের এসব চেষ্টা-তদবীরও আল্লাহ তা’আলা নির্ধারিত ভাগ্যের অন্তর্গত।
যঈফ, (১৯৮৩) নং হাদীস পূর্বে আলোচিত হয়েছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি যুহরী ব্যতীত আরো কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না। অবশ্য একাধিক রাবী এ হাদীসটি সুফিয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে যুহরী হতে তিনি আবূ খিযামা হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটি অনেক বেশী সহীহ। আর অনেকেই যুহরী (রাহঃ) হতে তিনি আবূ খিযামা হতে তার পিতার সূত্রে এরকমই বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي خُزَامَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رُقًى نَسْتَرْقِيهَا وَدَوَاءً نَتَدَاوَى بِهِ وَتُقَاةً نَتَّقِيهَا هَلْ تَرُدُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ شَيْئًا فَقَالَ " هِيَ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ وَهَذَا أَصَحُّ هَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ .
Ibn Abi Khizamah narrated from his father,that a man came to the Prophet(s.a.w) and said:
"O Messenger of Allah! Do you think that the Ruqyah we use, the treatments we use, and what we seek to protect ourselves with prevent anything from Allah's Decree?' He said: 'They are from Allah's Decree.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তাকদীরে অবিশ্বাসী কাদারিয়াদের প্রসঙ্গে
২১৪৯। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের দুই ধরনের লোক, যাদের জন্য ইসলামের কোন অংশ নেইঃ মুরজিআ ও কাদারিয়া।
যঈফ, মিশকাত (১০৫) আযযিলাল (৩৩৪, ৩৩৫)
আবূ ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে উমার, ইবনু উমার ও রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি-মুহাম্মাদ ইবনু বিশর হতে তিনি সাল্লাম ইবনু আবূ আমরাহ হতে তিনি ইকরিমা হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু বিশর-আলী ইবনু (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরে বর্ণিত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حَبِيبٍ، وَعَلِيِّ بْنِ نِزَارٍ، عَنْ نِزَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَيْسَ لَهُمَا فِي الإِسْلاَمِ نَصِيبٌ الْمُرْجِئَةُ وَالْقَدَرِيَّةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ وَأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ نِزَارٍ عَنْ نِزَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Ibn 'Abbas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) and said:
"There are two groups in my Ummah for whom there is no share in Islam: The Murji'ah and the Qadariyyah."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. বার্ধক্য ও মৃত্যুর বিপদ অনতিক্রম্যনীয়
২১৫০। আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা শিখখীর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম-সন্তানের রূপক আকৃতির সাথে তার পাশেই থাকে নিরানব্বই ধরনের মৃত্যু সংঘটিত হওয়ার মতো বিপদ। সে এ সকল বিপদ অতিক্রম করে যেতে পারলে উপনীত হয় বার্ধক্যে, অবশেষে মারা যায় (বার্ধক্য ও মৃত্যুর বিপদ হতে আর মুক্তি পায় না)।
হাসান, মিশকাত (১৫৬৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এই সূত্র ব্যতীত হাদীসটি প্রসঙ্গে আমাদের জানা নেই।
حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، مُحَمَّدُ بْنُ فِرَاسٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَثَلُ ابْنِ آدَمَ وَإِلَى جَنْبِهِ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ مَنِيَّةً إِنْ أَخْطَأَتْهُ الْمَنَايَا وَقَعَ فِي الْهَرَمِ حَتَّى يَمُوتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو الْعَوَّامِ هُوَ عِمْرَانُ وَهُوَ ابْنُ دَاوَرَ الْقَطَّانُ .
Mutarrif bin 'Abdullah bin Ash-Shikh-khir narrated from his father, from the Prophet (s.a.w), who said:
'Ibn Adam was fashioned with ninety-nine calamities surrounding him, if the calamities miss him, he is stricken by decrepitude until he dies."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. আল্লাহর ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা
২১৫১। সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম-সন্তানের জন্য আল্লাহ যা ফায়সালা করে রেখেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকাই হল তার সৌভাগ্য। আর আল্লাহ তা’আলার নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করা ছেড়ে দেয়াই হচ্ছে তার দুর্ভাগ্য এবং আল্লাহ তা’আলার ফায়সালার উপর নাখোশ হওয়াও তার দুর্ভাগ্য।
যঈফ, যঈফা (১৯০৬), তা’লীকুর রাগীব (১/২৪৪)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র মুহাম্মাদ ইবনু আবূ হুমাইদের সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। তাকে হাম্মাদ ইবনু আবূ হুমাইদও বলা হয়। তিনি হলেন আবূ ইবরাহীম আল-মাদানী। হাদীসবেত্তাদের মতে তিনি তেমন মজবুত রাবী নন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةَ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سَخَطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ . وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا حَمَّادُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ وَهُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
Sa'd narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
'From (the signs of) the son of Adam's prosperity, is his satisfaction with what Allah decreed for him, and from the son of Adam's misery is his avoiding to request guidance from Allah, and from the son of Adam's misery is his anger with what Allah decreed for him."
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ভাগ্য অবিশ্বাসীদের পরিণতি
২১৫২। নাফি (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, ইবনু উমার (রাঃ)-এর নিকট একটি লোক এসে বলল, অমুকে আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি বললেন, আমি জানতে পারলাম, সে নাকি বিদ’আতী। সে যদি প্রকৃতপক্ষেই তা-ই হয় তাহলে আমার পক্ষ হতে তাকে সালাম বলবে না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমার উম্মাতের কাদারিয়া তাকদীর অস্বীকারকারী আকীদা পোষণকারীদের মধ্যে ভূমিধস, চেহারা বিকৃতি ঘটবে।
হাসান, ইবনু মা-জাহ (৪০৬১)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ সাখরের নাম হুমাইদ ইবনু যিয়াদ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ فُلاَنًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلاَمَ . فَقَالَ لَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ فَلاَ تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلاَمَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَكُونُ فِي هَذِهِ الأُمَّةِ أَوْ فِي أُمَّتِي الشَّكُّ مِنْهُ خَسْفٌ أَوْ مَسْخٌ أَوْ قَذْفٌ فِي أَهْلِ الْقَدَرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو صَخْرٍ اسْمُهُ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ .
Nafi' narrated that a man came to Ibn 'Umar and said:
"So-and-so conveys his Salam to you." So he said: "It has been conveyed to me that he has innovated, so if he has indeed innovated, then do not convey my Salam to him, for I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'In this Ummah' or: 'In my Ummah'" - the doubt was his - "a collapse of the earth, or a transformation, or stones shall rain upon the people of Al-Qadr.'"