সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ)
২৪১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. কিয়ামত প্রসঙ্গে

২৪১৫। আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সকলের সাথেই তার প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে কথা বলবেন। তার ও তার প্রতিপালকের মধ্যে কোন দোভাষী থাকবে না। সে তার কোন কিছুই দেখতে পাবে না। সে তার বাম পাশে তাকিয়েও তার দুনিয়াবী জীবনে কৃত আমল ব্যতীত আর কোন কিছুই দেখতে পাবে না। তারপর সে তার সম্মুখে তাকাতেই জাহান্নাম দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এক টুকরা খেজুরের বিনিময়ে হলেও জাহান্নাম হতে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয় সে যেন তাই করে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৫), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূস সাইব বলেন, উপরোক্ত হাদীসটি একদিন ওয়াকী (রাহঃ) আমাদের নিকট আমাশের সূত্রে বর্ণনা করেন। বর্ণনাশেষে তিনি বলেন, যদি খুরাসানবাসী কোন ব্যক্তি এখানে উপস্থিত থাকে তাহলে সে যেন এ হাদীসটি খুরাসানে প্রচার করাকে সাওয়াবের কাজ মনে করে। কেননা, জাহমিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এটা (মানুষের সাথে আল্লাহ্ তা’আলার কথা বলার বিষয়টি) অস্বীকার করে। আবূস সাইবের নাম সালম ইবনু জুনাদা ইবনু সালম ইবনু খালিদ ইবনু জাবির ইবনু সামুরা আল-কুফী।

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ رَجُلٍ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى شَيْئًا إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى شَيْئًا إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ تِلْقَاءَ وَجْهِهِ فَتَسْتَقْبِلُهُ النَّارُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَقِيَ وَجْهَهُ حَرَّ النَّارِ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، يَوْمًا بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الأَعْمَشِ، فَلَمَّا فَرَغَ وَكِيعٌ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ مَنْ كَانَ هَا هُنَا مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ فَلْيَحْتَسِبْ فِي إِظْهَارِ هَذَا الْحَدِيثِ بِخُرَاسَانَ لأَنَّ الْجَهْمِيَّةَ يُنْكِرُونَ هَذَا ‏.‏ اسْمُ أَبِي السَّائِبِ سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمِ بْنِ خَالِدِ بْنِ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ الْكُوفِيُّ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن خيثمة، عن عدي بن حاتم، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما منكم من رجل الا سيكلمه ربه يوم القيامة وليس بينه وبينه ترجمان فينظر ايمن منه فلا يرى شيىا الا شيىا قدمه ثم ينظر اشام منه فلا يرى شيىا الا شيىا قدمه ثم ينظر تلقاء وجهه فتستقبله النار ‏"‏ ‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من استطاع منكم ان يقي وجهه حر النار ولو بشق تمرة فليفعل ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا ابو الساىب، حدثنا وكيع، يوما بهذا الحديث عن الاعمش، فلما فرغ وكيع من هذا الحديث قال من كان ها هنا من اهل خراسان فليحتسب في اظهار هذا الحديث بخراسان لان الجهمية ينكرون هذا ‏.‏ اسم ابي الساىب سلم بن جنادة بن سلم بن خالد بن جابر بن سمرة الكوفي ‏.‏


'Adi bin Hatim narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"There is no man among you except that his Lord shall converse with him on the Day Of Judgement, there being no interpreter between him and Him(Allah). Then he looks to the south (his right) and does not see anything ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. কিয়ামত প্রসঙ্গে

২৪১৬। ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা’আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।

সহীহ, সহীহাহ (৯৪৬), তা’লীকুর রাগীব (১/৭৬), বাওযুন নায়ীর (৬৪৮)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীসটি শুধুমাত্র হুসাইন ইবনু কাইসের রিওয়ায়াত হিসাবে ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর বরাতে (দায়িত্বে) জেনেছি। হাদীসের বর্ণনাকারী হুসাইন ইবনু কাইস তার স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার জন্য সমালোচিত। আবূ বারযা ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ أَبُو مِحْصَنٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ قَيْسٍ الرَّحَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَزُولُ قَدَمَا ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَا أَبْلاَهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ قَيْسٍ ‏.‏ وَحُسَيْنُ بْنُ قَيْسٍ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

حدثنا حميد بن مسعدة، حدثنا حصين بن نمير ابو محصن، حدثنا حسين بن قيس الرحبي، حدثنا عطاء بن ابي رباح، عن ابن عمر، عن ابن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا تزول قدما ابن ادم يوم القيامة من عند ربه حتى يسال عن خمس عن عمره فيما افناه وعن شبابه فيما ابلاه وماله من اين اكتسبه وفيم انفقه وماذا عمل فيما علم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه من حديث ابن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم الا من حديث الحسين بن قيس ‏.‏ وحسين بن قيس يضعف في الحديث من قبل حفظه ‏.‏ وفي الباب عن ابي برزة وابي سعيد ‏.‏


Ibn Mas'ud narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The feet of the son of Adam shall not move from before his Lord on the Day of Judgement, until he is asked about five things: about his life and what he did with it, about his youth and what he wore it out in, about his wealth and how he earned it and spent it upon, and what he did with what he knew."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪১৭

পরিচ্ছেদঃ ১. কিয়ামত প্রসঙ্গে

২৪১৭। আবূ বারযা আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দার পদদ্বয় (কিয়ামত দিবসে) এতটুকুও সরবে না, তাকে এ কয়টি বিষয় সম্পর্কে যে পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ না করা হবে? কিভাবে তার জীবনকালকে অতিবাহিত করেছে; তার অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কি আমল করেছে; কোথা হতে তার ধন-সম্পদ উপার্জন করেছে ও কোন কোন খাতে ব্যয় করেছে এবং কি কি কাজে তার শরীর বিনাশ করেছে।

সহীহ, প্রাগুক্ত, তাখরীজ ইকতিযাউল ইলমি আল-আমল (১৫/১)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সাঈদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু জুরাইজ ছিলেন বসরার অধিবাসী এবং আবূ বারযা আল-আসলামী (রাঃ)-এর মুক্তদাস। আবূ বারযা (রাঃ)-এর নাম নাযলা ইবনু উবাইদ।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَزُولُ قَدَمَا عَبْدٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ عُمْرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ عِلْمِهِ فِيمَا فَعَلَ وَعَنْ مَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَا أَنْفَقَهُ وَعَنْ جِسْمِهِ فِيمَا أَبْلاَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُرَيْجٍ هُوَ بَصْرِيٌّ وَهُوَ مَوْلَى أَبِي بَرْزَةَ وَأَبُو بَرْزَةَ اسْمُهُ نَضْلَةُ بْنُ عُبَيْدٍ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا الاسود بن عامر، حدثنا ابو بكر بن عياش، عن الاعمش، عن سعيد بن عبد الله بن جريج، عن ابي برزة الاسلمي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا تزول قدما عبد يوم القيامة حتى يسال عن عمره فيما افناه وعن علمه فيما فعل وعن ماله من اين اكتسبه وفيما انفقه وعن جسمه فيما ابلاه ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وسعيد بن عبد الله بن جريج هو بصري وهو مولى ابي برزة وابو برزة اسمه نضلة بن عبيد ‏.‏


Abu Barzah Al-Aslami narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The feet of the slave of Allah shall not move [on the Day of Judgement] until he is asked about five things: about his life and what he did with it, about his knowledge and what he did with it, about his wealth and how he earned it and where he spent it on, about his body and for what did he wear it out."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪১৮

পরিচ্ছেদঃ ২. হিসাব-নিকাশ ও প্রতিশোধ প্রসঙ্গে

২৪১৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি জান, দেউলিয়া কে? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মধ্যে দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার দিরহামও (নগদ অর্থ) নেই, কোন সম্পদও নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে সেই ব্যক্তি হচ্ছে দেউলিয়া যে কিয়ামত দিবসে নামায, রোযা, যাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সাথে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে, ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল হতে এ ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, ও ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেয়ার আগেই তার সৎ আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহসমূহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

সহীহ, সহীহাহ (৮৪৫), আহকামুল জানাইয (৪), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْمُفْلِسُ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَتِهِ وَصِيَامِهِ وَزَكَاتِهِ وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيَقْعُدُ فَيَقْتَصُّ هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْتَصَّ مَا عَلَيْهِ مِنَ الْخَطَايَا أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتدرون ما المفلس ‏"‏ ‏.‏ قالوا المفلس فينا يا رسول الله من لا درهم له ولا متاع ‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ المفلس من امتي من ياتي يوم القيامة بصلاته وصيامه وزكاته وياتي قد شتم هذا وقذف هذا واكل مال هذا وسفك دم هذا وضرب هذا فيقعد فيقتص هذا من حسناته وهذا من حسناته فان فنيت حسناته قبل ان يقتص ما عليه من الخطايا اخذ من خطاياهم فطرح عليه ثم طرح في النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"DO you know who the bankrupt is?" They said: "O Messenger of Allah! The bankrupt among us is the one who has no Dirham nor property." The Messenger of Allah (s.a.w) said: "The bankrupt in my Ummah is the one who comes with Salat and fasting and Zakat on the Day of Judgement, but he comes having abused this one, falsely accusing that one, wrongfully consuming the wealth of this one, spilling the blood of that one, and beating this one. SO he is seated, and this one is requited from his rewards. If his rewards are exhausted before the sins that he committed are requited, then some of their sins will be taken and cast upon him, then he will be cast into the Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪১৯

পরিচ্ছেদঃ ২. হিসাব-নিকাশ ও প্রতিশোধ প্রসঙ্গে

২৪১৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই বান্দার উপর আল্লাহ তা’আলা রহমত বর্ষণ করুন, যে তার কোন ভাইয়ের মান-সম্মান ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে যুলুম করেছে। কিয়ামত দিবসে এ ব্যাপারে তাকে পাকড়াও করার পূর্বেই যেন সে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। কারণ, সে স্থানে (আখিরাতে) দিরহাম, দীনারের (বিনিময় প্রদানের) ব্যবস্থা থাকবে না। সুতরাং তার কোন ভালো আমল থাকলে (যুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী) তা নিয়ে যাওয়া হবে। আর যদি কোন ভালো আমল না থাকে, তাহলে মাযলুমদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।

সহীহ, সহীহাহ (৩২৬৫)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং সাঈদ আল-মাকবুরীর রিওয়ায়াত হিসাবে গারীব। মালিক ইবনু আনাস-সাঈদ আল-মাকবুরী হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রেও উপরের হাদীসের মতোই বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَنَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رَحِمَ اللَّهُ عَبْدًا كَانَتْ لأَخِيهِ عِنْدَهُ مَظْلَمَةٌ فِي عِرْضٍ أَوْ مَالٍ فَجَاءَهُ فَاسْتَحَلَّهُ قَبْلَ أَنْ يُؤْخَذَ وَلَيْسَ ثَمَّ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ فَإِنْ كَانَتْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ حَسَنَاتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ حَمَّلُوا عَلَيْهِ مِنْ سَيِّئَاتِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا هناد، ونصر بن عبد الرحمن الكوفي، قال حدثنا المحاربي، عن ابي خالد، يزيد بن عبد الرحمن عن زيد بن ابي انيسة، عن سعيد المقبري، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رحم الله عبدا كانت لاخيه عنده مظلمة في عرض او مال فجاءه فاستحله قبل ان يوخذ وليس ثم دينار ولا درهم فان كانت له حسنات اخذ من حسناته وان لم تكن له حسنات حملوا عليه من سيىاتهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من حديث سعيد المقبري ‏.‏ وقد رواه مالك بن انس عن سعيد المقبري عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"May Allah have mercy upon a servant who has wronged his brother in his honor of his wealth, then he comes to him to seek his pattern before (his right) is taken, when he has no Dinar nor Dirham. Then if he has any rewards, it will be taken from his rewards, and if he have no rewards, Then some of his (brothers) bad deeds will be levied upon him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২০

পরিচ্ছেদঃ ২. হিসাব-নিকাশ ও প্রতিশোধ প্রসঙ্গে

২৪২০। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে (কিয়ামত দিবসে) সকল হকদারের হক আদায় করা হবে। এমনকি শিংবিহীন বকরীর পক্ষে শিংবিশিষ্ট বকরীর (গুতোর) বদলা নেওয়া হবে।

সহীহ, সহীহাহ (১৫৮৮)।

আবূ যার ও আবদুল্লাহ ইবনু উনাইস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَتُؤَدَّنَّ الْحُقُوقُ إِلَى أَهْلِهَا حَتَّى يُقَادَ لِلشَّاةِ الْجَلْحَاءِ مِنَ الشَّاةِ الْقَرْنَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لتودن الحقوق الى اهلها حتى يقاد للشاة الجلحاء من الشاة القرناء ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي ذر وعبد الله بن انيس ‏.‏ قال ابو عيسى وحديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Rights will be given to their due, such that the hornless sheep would get its claim from the horned sheep."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২১

পরিচ্ছেদঃ ২. হিসাব-নিকাশ ও প্রতিশোধ প্রসঙ্গে

২৪২১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী মিকদাদ (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামত দিবসে সূর্যকে মানুষের এত নিকটে আনা হবে যে, তা মাত্র এক অথবা দুই মাইল ব্যবধানে থাকবে। সুলাইম ইবনু আমির (রাহঃ) বলেন, আমি জানি না উক্ত মাইল দ্বারা যামীনের দূরত্ব জ্ঞাপক মাইল বুঝানো হয়েছে, না চোখে সুরমা লাগানোর শলাকা বুঝানো হয়েছে। তিনি বলেন, সূর্য তাদের গলিয়ে দেবে। তারা তখন নিজেদের আমল (গুনাহ) অনুপাতে ঘামের মধ্যে হাবুডুবু খাবে। আর তা কারো পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত, কারো হাটু পর্যন্ত, কারো কোমর পর্যন্ত এবং কারো মুখ পর্যন্ত ঘাম পৌছে লাগামের মতো বেষ্টন করবে। এই কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত দ্বারা মুখের দিকে ইশারা করেন, অর্থাৎ লাগামের মতো বেষ্টন করাকে বুঝালেন।

সহীহ, সহীহাহ (১৩৮২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ সাঈদ ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا الْمِقْدَادُ، صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أُدْنِيَتِ الشَّمْسُ مِنَ الْعِبَادِ حَتَّى تَكُونَ قِيدَ مِيلٍ أَوِ اثْنَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمٌ لاَ أَدْرِي أَىَّ الْمِيلَيْنِ عَنَى أَمَسَافَةَ الأَرْضِ أَمِ الْمِيلَ الَّذِي تُكْتَحَلُ بِهِ الْعَيْنُ قَالَ ‏"‏ فَتَصْهَرُهُمُ الشَّمْسُ فَيَكُونُونَ فِي الْعَرَقِ بِقَدْرِ أَعْمَالِهِمْ فَمِنْهُمْ مَنْ يَأْخُذُهُ إِلَى عَقِبَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَأْخُذُهُ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَأْخُذُهُ إِلَى حَقْوَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يُلْجِمُهُ إِلْجَامًا ‏"‏ ‏.‏ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى فِيهِ أَىْ يُلْجِمُهُ إِلْجَامًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا ابن المبارك، اخبرنا عبد الرحمن بن يزيد بن جابر، حدثني سليم بن عامر، حدثنا المقداد، صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ اذا كان يوم القيامة ادنيت الشمس من العباد حتى تكون قيد ميل او اثنين ‏"‏ ‏.‏ قال سليم لا ادري اى الميلين عنى امسافة الارض ام الميل الذي تكتحل به العين قال ‏"‏ فتصهرهم الشمس فيكونون في العرق بقدر اعمالهم فمنهم من ياخذه الى عقبيه ومنهم من ياخذه الى ركبتيه ومنهم من ياخذه الى حقويه ومنهم من يلجمه الجاما ‏"‏ ‏.‏ فرايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يشير بيده الى فيه اى يلجمه الجاما ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وفي الباب عن ابي سعيد وابن عمر ‏.‏


Sulaim bin 'Amir narrated from Al-Miqdad, a Companion of the Messenger of Allah (s.a.w) who said:
"I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'On the Day of Judgement, the sun will be drawn near the servants, until it has come a mile or two (away).'" Sulaim bin 'Amir said: " I do not know if it is miles that refer to distance on the lnd, or Al-Mil which is used to apply Kuhl for the eyes." He (the Prophet (s.a.w)): "The sun will melt them, until they will be in sweat according to their deeds. Among them one will be covered up to his ankles, and among them will be one who is covered upto his knees, and among them will be one who is covered up to his waist, and among them will be one who is bridled with it.' I saw the Messenger ODF Allah (s.a.w) indicating with his hand toward his mouth, meaning that one would be bridled with it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২২

পরিচ্ছেদঃ ২. হিসাব-নিকাশ ও প্রতিশোধ প্রসঙ্গে

২৪২২। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এ হাদীসটি মারফুভাবে অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। “মানুষ যেদিন জগতসমূহের প্রতিপালকের সামনে দাড়াবে" (সূরা মুতাফফিফীনঃ ৬) আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ কানের অর্ধেক পর্যন্ত ঘামে ডুবে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে থাকবে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪২৭৮), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস হান্নাদ-ঈসা ইবনু ইউনুস হতে, তিনি ইবনু আওন হতে, তিনি নাফি হতে, তিনি ইবনু উমর (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا أَبُو زَكَرِيَّا، يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَمَّادٌ وَهُوَ عِنْدَنَا مَرْفُوعٌ ‏(‏يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ قَالَ يَقُومُونَ فِي الرَّشْحِ إِلَى أَنْصَافِ آذَانِهِمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا ابو زكريا، يحيى بن درست البصري حدثنا حماد بن زيد، عن ايوب، عن نافع، عن ابن عمر، قال حماد وهو عندنا مرفوع ‏(‏يوم يقوم الناس لرب العالمين ‏)‏ قال يقومون في الرشح الى انصاف اذانهم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا هناد، حدثنا عيسى بن يونس، عن ابن عون، عن نافع، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Hammad bin Zayd narrated from Ayub, from Nafi', from Ibn 'Umar – Hammad said - :
“And it is Marfu` in our view.” (He said): “The Day when all mankind will stand before the Lord of all that exists. They will be standing in their sweat up to the middle of their ears.” (Sahih)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. হাশরের ময়দানের অবস্থা

২৪২৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে মানুষকে খালি পায়ে, উলঙ্গ শরীরে ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় হাযির করা হবে, যেভাবে প্রথমবার সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “আমি যেভাবে প্রথমবার সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবেই আবার সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা আমার কর্তব্য, আমি তা পালন করবই" (সূরাঃ আম্বিয়া- ১০৪)।

ইবরাহীম (আঃ)-কে সকল সৃষ্টির মধ্যে সর্বপ্রথম পোশাক পরিধান করানো হবে। আমার সাহাবীগণের মধ্যকার কিছু সংখ্যক লোককে বন্দী করে ডানে-বামে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্ৰভু! এরা তো আমার অনুসারী। আমাকে তখন বলা হবে, আপনি তো জানেন না, আপনার পরে এরা যে কি সব বিদ’আতী কাজ করেছে। আপনি তাদের কাছ থেকে পৃথক হওয়ার পর হতে তারা পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে আরম্ভ করেছে। তখন আমি আল্লাহ তা’আলার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাহ (ঈসা (আঃ)-এর মতো বলব, (সূরাঃ মাইদা— ১১৮) “আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন তাহলে তারা তো আপনারই বান্দাহ, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়"।

সহীহ, বুখারী, মুসলিম।

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না-মুহাম্মাদ ইবনু জাফর হতে, তিনি শুবা হতে, তিনি মুগীরা ইবনু নুমান হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতোই বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً كَمَا خُلِقُوا ثُمَّ قَرَأََ ‏(‏كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ ‏)‏ وَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى مِنَ الْخَلاَئِقِ إِبْرَاهِيمُ وَيُؤْخَذُ مِنْ أَصْحَابِي بِرِجَالٍ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي ‏.‏ فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ ‏.‏ فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُْ‏:‏ ‏(‏إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ‏)‏ ‏"‏‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو احمد الزبيري، حدثنا سفيان، عن المغيرة بن النعمان، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يحشر الناس يوم القيامة حفاة عراة غرلا كما خلقوا ثم قرا ‏(‏كما بدانا اول خلق نعيده وعدا علينا انا كنا فاعلين ‏)‏ واول من يكسى من الخلاىق ابراهيم ويوخذ من اصحابي برجال ذات اليمين وذات الشمال فاقول يا رب اصحابي ‏.‏ فيقال انك لا تدري ما احدثوا بعدك انهم لم يزالوا مرتدين على اعقابهم منذ فارقتهم ‏.‏ فاقول كما قال العبد الصالح‏:‏ ‏(‏ان تعذبهم فانهم عبادك وان تغفر لهم فانك انت العزيز الحكيم‏)‏ ‏"‏‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، ومحمد بن المثنى، قالا حدثنا محمد بن جعفر، عن شعبة، عن المغيرة بن النعمان، بهذا الاسناد فذكر نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn 'Abbas narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The people will be gathered on the Day of Resurrection bare-foot, naked and uncircumcised as they were created." Then he recited: "As we begin the first creation, we shall repeat it: A promise binding upon Us. Truly We shall do it. And the first of people to be clothed will be Ibrahim. Among my companions will be some men who are taken to the right and to the left. I will say: 'O my Lord! My companions!' It will be said: 'You do not know what they innovated after you, they continued to be apostates since you parted from them.' So I will say as the righteous worshipper said: If you punish them, they are your slaves, and if You forgive them, indeed You, only You are the Almighty, the All-Wise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. হাশরের ময়দানের অবস্থা

২৪২৪। বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) হতে তার বাবা, অতঃপর তার দাদার সুত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ (কিয়ামত দিবসে) তোমাদের পায়ে হাটিয়ে, সাওয়ারী হিসাবে এবং কিছু সংখ্যককে মুখের উপর উপুড় করে টেনে হাযির করা হবে।

সহীহ, ফাযাইলুশশাম (১৩)।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ رِجَالاً وَرُكْبَانًا وَتُجَرُّونَ عَلَى وُجُوهِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا بهز بن حكيم، عن ابيه، عن جده، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ انكم محشورون رجالا وركبانا وتجرون على وجوهكم ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


Bahz bin Hakim narrated from his father, from his grandfather, that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Yyou shall be gathered walking, riding, and dragged upon your faces."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয়

২৪২৫। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন’ মানুষকে তিনবার হাযির করা হবে। দুইবারের হাযিরা হবে ঝগড়া-বিবাদ ও বিভিন্ন ওযর-আপত্তি শুনানী প্রসঙ্গে এবং তৃতীয়বারের হাযিরাতে প্রত্যেকের (নিজ নিজ) আমলনামা উড়তে থাকবে। কেউ তা পাবে ডান হাতে আর কেউ পাবে বাম হাতে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৪২৭৭)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে সহীহ নয়। কারণ হাসান বাসরী (রাহঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে সরাসরি কিছু শুনেননি। কিছু রাবী আলী আর রিফাঈর সুত্রে আল হাসান হতে তিনি আবু মুসা (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটিও সহীহ নয়, কারণ হাসান আবূ মূসার নিকট হাদীস শুনেন নাই।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يُعْرَضُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَ عَرَضَاتٍ فَأَمَّا عَرْضَتَانِ فَجِدَالٌ وَمَعَاذِيرُ وَأَمَّا الْعَرْضَةُ الثَّالِثَةُ فَعِنْدَ ذَلِكَ تَطِيرُ الصُّحُفُ فِي الأَيْدِي فَآخِذٌ بِيَمِينِهِ وَآخِذٌ بِشِمَالِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ قِبَلِ أَنَّ الْحَسَنَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيِّ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ قِبَلِ أَنَّ الْحَسَنَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي مُوسَى ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، عن علي بن علي، عن الحسن، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يعرض الناس يوم القيامة ثلاث عرضات فاما عرضتان فجدال ومعاذير واما العرضة الثالثة فعند ذلك تطير الصحف في الايدي فاخذ بيمينه واخذ بشماله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى ولا يصح هذا الحديث من قبل ان الحسن لم يسمع من ابي هريرة ‏.‏ وقد رواه بعضهم عن علي بن علي الرفاعي عن الحسن عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى ولا يصح هذا الحديث من قبل ان الحسن لم يسمع من ابي موسى ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The people will face three presentations on the Day of Judgement. As for (the first) two presentations, they are the arguments and the excuses, as for the third presentation, upon that the records will fly into the hands. Some will take them in their right hand, and some will take them in their left hand."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. (সহজ হিসাব)

২৪২৬। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ পুঙ্খানুপঙ্খভাবে যার হিসাব গ্রহণ করা হবে সে তো ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্ তা’আলা তো বলেছেন, “যে ব্যক্তির ডানহাতে তার আমলনামা প্রদান করা হবে, খুব সহজেই তার হিসাব-নিকাশ হবে" (সূরাঃ ইনশিকাক- ৭-৮)। তিনি বললেনঃ সেটা তো শুধু নামমাত্র উপস্থাপন করা।

সহীহ, যিলালুল জান্নাত (৮৮৫), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইবনু আবী মুলাইকার সূত্রে আইয়ূব (রাহঃ)-ও বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ هَلَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولَُ‏:‏ ‏(‏فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ * فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ ذَلِكَ الْعَرْضُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ وَرَوَاهُ أَيُّوبُ أَيْضًا عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا ابن المبارك، عن عثمان بن الاسود، عن ابن ابي مليكة، عن عاىشة، قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ من نوقش الحساب هلك ‏"‏ ‏.‏ قلت يا رسول الله ان الله تعالى يقول‏:‏ ‏(‏فاما من اوتي كتابه بيمينه * فسوف يحاسب حسابا يسيرا ‏)‏ قال ‏"‏ ذلك العرض ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح حسن ورواه ايوب ايضا عن ابن ابي مليكة ‏.‏


Ibn 'Abi Mulaikah narrated that 'Aishah said:
"I heard the Messenger of Allah (s.a.w) saying: 'Whoever his account is questioned about , he shall be ruined.' I said: 'O Messenger of Allah! Indeed Allah [Most High] has said: Then as for him who shall be given his Record in his right hand. He surely will receive an easy reckoning.' Then he said: 'That is the presentation.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. একই বিষয় প্রসঙ্গে

২৪২৭। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের দিন আদম-সন্তানকে ভেড়ার (সদ্য প্রসূত) বাচ্চার ন্যায় অবস্থায় হাযির করা হবে। তারপর তাকে আল্লাহ তা’আলার সামনে দাঁড় করানো হবে। আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রশ্ন করবেন, আমি তোমাকে ক্ষেত-খামার, দাস-দাসী ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দান করেছিলাম এবং আরো বিভিন্ন ধরনের অনুগ্রহ দিয়েছিলাম। তুমি কি আমল করে এসেছ? সে বলবে, হে রব! আমি সেগুলো সঞ্চয় করে রেখেছি, বহু গুণে বৃদ্ধি করেছি এবং যা ছিল তার চাইতে অনেক বাড়িয়ে রেখে এসেছি। আমাকে একটুখানি ফেরত যেতে দিন, আমি সেগুলো আপনার নিকটে নিয়ে আসব। তিনি তাকে বলবেন, তুমি কি কি আমল করে এসেছ আগে তা আমাকে দেখাও।

সে তখন বলবে, হে রব। সেগুলো তো আমি জমা করে রেখে এসেছি, যা ছিলো তার চাইতে বহু গুণে বৃদ্ধি করে রেখে এসেছি। সুতরাং আমাকে একটিবার ফেরত যেতে দিন, আমি তার সবগুলো আপনার নিকটে নিয়ে আসব। তিনি তাকে বলবেন, তুমি কি আমল করে এসেছ তা আমাকে দেখাও, অতঃপর দেখা যাবে সে এমন এক বান্দা,যে কোন ভাল কাজই করে নাই ফলে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (৩/১১)

আবূ ঈসা বলেন, একাধিক রাবী উপরোক্ত হাদীসটি হাসান বাসরী (রাহঃ)-এর বক্তব্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তারা এটিকে মুসনাদ হাদীস হিসাবে বর্ণনা করেননি। রাবী ইসমাঈল ইবনু মুসলিম তার স্মরণশক্তির দুর্বলতার জন্য সমালোচিত। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা ও আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يُجَاءُ بِابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُ بَذَجٌ فَيُوقَفُ بَيْنَ يَدَىِ اللَّهِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَعْطَيْتُكَ وَخَوَّلْتُكَ وَأَنْعَمْتُ عَلَيْكَ فَمَاذَا صَنَعْتَ ‏.‏ فَيَقُولُ يَا رَبِّ جَمَعْتُهُ وَثَمَّرْتُهُ فَتَرَكْتُهُ أَكْثَرَ مَا كَانَ فَارْجِعْنِي آتِكَ بِهِ ‏.‏ فَيَقُولُ لَهُ أَرِنِي مَا قَدَّمْتَ ‏.‏ فَيَقُولُ يَا رَبِّ جَمَعْتُهُ وَثَمَّرْتُهُ فَتَرَكْتُهُ أَكْثَرَ مَا كَانَ فَارْجِعْنِي آتِكَ بِهِ ‏.‏ فَإِذَا عَبْدٌ لَمْ يُقَدِّمْ خَيْرًا فَيُمْضَى بِهِ إِلَى النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْحَسَنِ قَوْلَهُ وَلَمْ يُسْنِدُوهُ ‏.‏ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا ابن المبارك، اخبرنا اسماعيل بن مسلم، عن الحسن، وقتادة، عن انس، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يجاء بابن ادم يوم القيامة كانه بذج فيوقف بين يدى الله فيقول الله له اعطيتك وخولتك وانعمت عليك فماذا صنعت ‏.‏ فيقول يا رب جمعته وثمرته فتركته اكثر ما كان فارجعني اتك به ‏.‏ فيقول له ارني ما قدمت ‏.‏ فيقول يا رب جمعته وثمرته فتركته اكثر ما كان فارجعني اتك به ‏.‏ فاذا عبد لم يقدم خيرا فيمضى به الى النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روى هذا الحديث غير واحد عن الحسن قوله ولم يسندوه ‏.‏ واسماعيل بن مسلم يضعف في الحديث من قبل حفظه ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وابي سعيد الخدري ‏.‏


Anas narrated that the Prophet (s.a.w)said:
"The son of Adam will be brought on the Day of Judgement as if he is a goat kid to be stood before Allah, Most High. Allah will say to him: 'I gave to you, I granted you, and I bestowed favors upon you. So what did you do?' So he says: 'I collected it, increased it, and left it as more than what it was. So return me and I shall give it all to You.' So He will say to him: 'Show me what you have prepared.'So he says: 'My Lord! I collected it, increased it and left it more than it was, So return me and I shall give it all to You.' So when the servant does not present any good he will be entered into the Fire."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. একই বিষয় প্রসঙ্গে

২৪২৮। আবূ হুরাইরা (রাঃ) ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তারা দুজনেই বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন কোন বান্দাকে উপস্থিত করা হবে। আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রশ্ন করবেন, আমি কি তোমাকে কান, চোখ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দেইনি এবং তোমার অধীনে জীব-জন্তু ও খেত-খামার দেইনি? তোমাকে তো স্বাধীনভাবে ছেড়ে রেখেছিলাম সর্দারী করতে এবং মানুষের নিকট হতে এক-চতুর্থাংশ গ্রহণ করতে (জাহিলী যুগের একটি রীতি)। তুমি কি ধারণা করতে যে, এই দিনে আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে, না। তিনি তাকে বলবেন, তুমি যেভাবে আমাকে ভুলে গিয়েছিলে, আমিও আজ তোমাকে ভুলে গেলাম।

সহীহ, যিলালুল জান্নাত (৬৩২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব। “তোমাকে ভুলে গেলাম” কথার অর্থ এই যে, আমি আজ তোমাকে শাস্তি প্রদান করলাম।

আবূ ঈসা বলেন, কিছু আলিম (“আজ আমি তাদের ভুলে গেছি”) (সূরাঃ আরাফ- ৫১) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আজ আমি তাদের শাস্তি কার্যকর করলাম।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ سُعَيْرٍ أَبُو مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُؤْتَى بِالْعَبْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ سَمْعًا وَبَصَرًا وَمَالاً وَوَلَدًا وَسَخَّرْتُ لَكَ الأَنْعَامَ وَالْحَرْثَ وَتَرَكْتُكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ فَكُنْتَ تَظُنُّ أَنَّكَ مُلاَقِيَّ يَوْمَكَ هَذَا قَالَ فَيَقُولُ لاَ ‏.‏ فَيَقُولُ لَهُ الْيَوْمَ أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏"‏ الْيَوْمَ أَنْسَاكَ ‏"‏ ‏.‏ يَقُولُ الْيَوْمَ أَتْرُكُكَ فِي الْعَذَابِ ‏.‏ هَكَذَا فَسَّرُوهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذِهِ الآيَةَ‏:‏ ‏(‏ الْيَوْمَ نَنْسَاهُمْ ‏)‏ قَالُوا إِنَّمَا مَعْنَاهُ الْيَوْمَ نَتْرُكُهُمْ فِي الْعَذَابِ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد الزهري البصري، حدثنا مالك بن سعير ابو محمد التميمي الكوفي، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، وعن ابي سعيد، قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يوتى بالعبد يوم القيامة فيقول الله له الم اجعل لك سمعا وبصرا ومالا وولدا وسخرت لك الانعام والحرث وتركتك تراس وتربع فكنت تظن انك ملاقي يومك هذا قال فيقول لا ‏.‏ فيقول له اليوم انساك كما نسيتني ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح غريب ‏.‏ ومعنى قوله ‏"‏ اليوم انساك ‏"‏ ‏.‏ يقول اليوم اتركك في العذاب ‏.‏ هكذا فسروه ‏.‏ قال ابو عيسى وقد فسر بعض اهل العلم هذه الاية‏:‏ ‏(‏ اليوم ننساهم ‏)‏ قالوا انما معناه اليوم نتركهم في العذاب ‏.‏


Abu Salih reported from Aabil Huraurah and Abu Sa;eed that the Messenger of allah (s.a.w)said:
"The servant will be brought on the Day of Judgement, and He will say to hi: 'Did I not give you hearing. Sight, wealth, children, and did I not make the cattle and tillage subservient to you, and did I not leave you as the head of people taking from their wealth? Did you not think that you would have to meet with Me on this Day of yours?' So he will say: 'No.' So it will be said to him: 'Today you shall be forgotten just as you have forgotten Me.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪২৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. (পৃথিবী তার বৃত্তান্ত পেশ করবে)

২৪২৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "যেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত পরিবেশন করবে" (সূরাঃ যিলযাল - ৪) তিলাওয়াত করে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি জান পৃথিবীর পরিবেশনযোগ্য বৃত্তান্ত কি? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তার বৃত্তান্ত এই যে, সে সমস্ত নারী-পুরুষের সেইসব কাজের সাক্ষ্য দিবে, যা তারা তার উপরে করেছে। সে বলবে, অমুক দিন অমুক ব্যক্তি এই এই কাজ করেছে। এভাবে সে সাক্ষ্য দেবে। তিনি বললেন, এটাই হবে পৃথিবীর পেশকৃত বৃত্তান্ত।

দুর্বল সনদ

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلمْ ‏(‏يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ أَتَدْرُونَ مَا أَخْبَارُهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ أَخْبَارَهَا أَنْ تَشْهَدَ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ بِمَا عَمِلَ عَلَى ظَهْرِهَا أَنْ تَقُولَ عَمِلَ كَذَا وَكَذَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَهَذِهِ أَخْبَارُهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا سعيد بن ابي ايوب، حدثنا يحيى بن ابي سليمان، عن سعيد المقبري، عن ابي هريرة، قال قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏(‏يومىذ تحدث اخبارها ‏)‏ قال ‏"‏ اتدرون ما اخبارها ‏"‏ ‏.‏ قالوا الله ورسوله اعلم ‏.‏ قال ‏"‏ فان اخبارها ان تشهد على كل عبد او امة بما عمل على ظهرها ان تقول عمل كذا وكذا يوم كذا وكذا قال فهذه اخبارها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


"Abu Hurairah narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) recited: That Day it will declare its information. And said: 'Do you know what its information is?' they said: 'Allah and His Messenger know best.' He said: 'Indeed its information is that it will testify against every servant, male and female, It will say that he did such and such, on such and such a day.' He said: 'With this it shall be ordered.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ৮. শিঙ্গার ফুৎকার প্রসঙ্গে

২৪৩০। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক গ্রাম্য লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে প্রশ্ন করল, শিঙ্গা কি? তিনি বললেনঃ এটা একটা শিং যাতে ফুৎকার দেয়া হবে।

সহীহ, সহীহাহ (১০৮০)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। একাধিক বর্ণনাকারী সুলাইমান আত-তাইনীর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র তার রিওয়ায়াত হিসাবেই জেনেছি।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَسْلَمَ الْعِجْلِيِّ، عَنْ بِشْرِ بْنِ شَغَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا الصُّورُ قَالَ ‏ "‏ قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا سليمان التيمي، عن اسلم العجلي، عن بشر بن شغاف، عن عبد الله بن عمرو بن العاصي، قال جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال ما الصور قال ‏ "‏ قرن ينفخ فيه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد روى غير واحد عن سليمان التيمي ولا نعرفه الا من حديثه ‏.‏


"'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As said:
"A Bedouin came to the Prophet (S.a.w) and said: 'What is the Sur?' He said: 'A horn that will be blown into'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪৩১

পরিচ্ছেদঃ ৮. শিঙ্গার ফুৎকার প্রসঙ্গে

২৪৩১। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কিভাবে নিশ্চিন্তে আরাম করতে পারি, অথচ শিঙ্গাওয়ালা (ফিরিশতা ইসরাফীল আঃ) মুখে শিঙ্গা নিয়ে অধীর আগ্রহে কান পেতে শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার নির্দেশ শোনার অপেক্ষায় আছেন, কখন ফুঁ দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হবে, আর অমনি তিনি ফুঁ দিবেন। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের নিকট অত্যন্ত ভীতিকর মনে হলো। তখন তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা বল যে, আমাদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলাই যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহ্ তা’আলার উপর ভরসা করলাম।

সহীহ, সহীহাহ (২০৭৯)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ সূত্র ছাড়াও আতিয়া হতে, তিনি আবূ সাইদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে হাদীসটি একইরকম বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ أَبُو الْعَلاَءِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كَيْفَ أَنْعَمُ وَصَاحِبُ الْقَرْنِ قَدِ الْتَقَمَ الْقَرْنَ وَاسْتَمَعَ الإِذْنَ مَتَى يُؤْمَرُ بِالنَّفْخِ فَيَنْفُخُ ‏"‏ ‏.‏ فَكَأَنَّ ذَلِكَ ثَقُلَ عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ قُولُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا سويد، اخبرنا عبد الله، اخبرنا خالد ابو العلاء، عن عطية، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كيف انعم وصاحب القرن قد التقم القرن واستمع الاذن متى يومر بالنفخ فينفخ ‏"‏ ‏.‏ فكان ذلك ثقل على اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فقال لهم ‏"‏ قولوا حسبنا الله ونعم الوكيل على الله توكلنا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد روي من غير وجه هذا الحديث عن عطية عن ابي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Abu Sa'eed narrated:
"The Messenger of Allah (s.a.w) said: 'How can I be comfortable when the one with the horn is holding it to his lip, his ears listening for when he will be ordered to blow, so he can blow.' It was as if that was very hard upon the Companions of the Prophet (s.a.w), so he said to them: 'Say: "Allah is sufficent for us and what a good protector He is, and upon Allah we rely."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪৩২

পরিচ্ছেদঃ ৯. পুলসিরাতের অবস্থা

২৪৩২। মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পুলসিরাত পার হওয়ার সময় মু’মিনদের নিদর্শন হবেঃ হে প্ৰভু! রক্ষা কর রক্ষা কর।

যঈফ, যঈফা (১৯৭৩)

আবূ ঈসা বলেন, মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র আবদুর রহমান ইবনু ইসহাকের সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ شِعَارُ الْمُؤْمِنِ عَلَى الصِّرَاطِ رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، اخبرنا علي بن مسهر، عن عبد الرحمن بن اسحاق، عن النعمان بن سعد، عن المغيرة بن شعبة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ شعار المومن على الصراط رب سلم سلم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب من حديث المغيرة بن شعبة لا نعرفه الا من حديث عبد الرحمن بن اسحاق ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة ‏.‏


Al-Mughirah bin Shu'bah narrated that The Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The sign of the believers upon the Sirat is: O lord, protect (us), protect (us).'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. পুলসিরাতের অবস্থা

২৪৩৩। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিবেদন করলাম যে, তিনি যেন কিয়ামত দিবসে আমার জন্য সুপারিশ করেন। তিনি বললেন, ঠিক আছে আমি সুপারিশ করব। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি আপনাকে কোথায় খোঁজ করব? তিনি বললেন, তুমি সর্বপ্রথম আমাকে পুলসিরাতের সামনে খোঁজ করবে। আমি বললাম, পুলসিরাতে যদি আপনাকে না পাই? তিনি বললেন, তাহলে মীযানের ঐখানে খুঁজবে। আমি আবার বললাম, মীযানের ঐখানেও যদি আপনাকে না পাই? তিনি বললেন, তাহলে হাওযে কাওসারের সামনে খুঁজবে। আমি এ তিনটি জায়গার যে কোন একটিতে অবশ্যই উপস্থিত থাকব।

সহীহ, মিশকাত (৫৫৯৫), তা’লীকুর রাগীব (৪/২১১)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদিসটি শুধুমাত্র উপরোক্ত সুত্রেই জেনেছি।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ مَيْمُونٍ الأَنْصَارِيُّ أَبُو الْخَطَّابِ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَشْفَعَ لِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ ‏"‏ أَنَا فَاعِلٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيْنَ أَطْلُبُكَ قَالَ ‏"‏ اطْلُبْنِي أَوَّلَ مَا تَطْلُبُنِي عَلَى الصِّرَاطِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عَلَى الصِّرَاطِ قَالَ ‏"‏ فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْمِيزَانِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عِنْدَ الْمِيزَانِ قَالَ ‏"‏ فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْحَوْضِ فَإِنِّي لاَ أُخْطِئُ هَذِهِ الثَّلاَثَ الْمَوَاطِنَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن الصباح الهاشمي، حدثنا بدل بن المحبر، حدثنا حرب بن ميمون الانصاري ابو الخطاب، حدثنا النضر بن انس بن مالك، عن ابيه، قال سالت النبي صلى الله عليه وسلم ان يشفع لي يوم القيامة فقال ‏"‏ انا فاعل ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا رسول الله فاين اطلبك قال ‏"‏ اطلبني اول ما تطلبني على الصراط ‏"‏ ‏.‏ قال قلت فان لم القك على الصراط قال ‏"‏ فاطلبني عند الميزان ‏"‏ ‏.‏ قلت فان لم القك عند الميزان قال ‏"‏ فاطلبني عند الحوض فاني لا اخطى هذه الثلاث المواطن ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏


An-Nadr bin Anas bin Malik narrated from his father who said:
"I asked the Prophet (s.a.w) to intercede for me on the Day of Judgement. He said: 'I am the one to do so.'" [He said:] "I said: 'O Messenger of Allah! Then where shall I seek you?' He said: 'Seek me, the first time you should seek me is on the Sirat.'" [He said:] "I said: 'If I do not meet you upon the Sirat?' He said: 'Then seek me at the Mizan.' I said:'And if I do not meet you at the Mizan?' He said: 'Then seek me at the Hawd, for indeed I will not me missed at these three locations.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
২৪৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. শাফা’আত প্রসঙ্গে

২৪৩৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে মাংস আনা হলো। তারপর তাকে সামনের একটি রান উঠিয়ে দেয়া হলো। তিনি তা খুবই পছন্দ করতেন- আর তিনি তা দাঁত দিয়ে ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকলেন। তারপর তিনি বললেনঃ কিয়ামত দিবসে আমিই হবো সকল মানুষের নেতা। তোমরা কি জান এর কারণ কি? আল্লাহ তা’আলা সেদিন পূর্বেকার ও পরের সকল মানুষকে এক জায়গায় সমবেত করবেন।

একজনের আওয়াজই সবার কাছে পৌছে যাবে এবং সবাই একজনের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকবে। সূর্য তাদের খুব নিকটে এসে যাবে। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ ও সামর্থ্যের অতীত দুর্ভাবনায় পড়ে যাবে এবং ধৈর্যহারা হয়ে পড়বে। তারা পরস্পরকে বলবে, তোমরা কি এ দুঃসহ বিপদ দেখতে পাচ্ছ না? তোমাদের প্রভুর নিকট তোমাদের জন্য সুপারিশ করতে পারে এরূপ কাউকে খুঁজে দেখছ না কেন? লোকেরা একে অপরকে বলবে, তোমাদের উচিত আদম (আঃ)-এর কাছে যাওয়া। অতএব, তারা আদম (আঃ)-এর নিকট গিয়ে বলবে, আপনি তো মানব জাতির আদি পিতা। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে তার নিজ হাতে বানিয়েছেন এবং আপনার মধ্যে তার সৃষ্ট রূহ ফুকে দিয়েছেন।

তারপর ফিরিশতাদের নির্দেশ দিলে তারা আপনাকে সিজদা করেছেন। আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না আমরা কি অবস্থার মধ্যে পতিত আছি? আপনি কি লক্ষ্য করছেন না আমরা দুঃখ-দুর্দশার শেষ সীমায় পৌছে গেছি!

আদম (আঃ) তাদেরকে বলবেন, আমার প্রভু তো আজ এতই ক্রোধান্বিত হয়েছেন যেরূপ ইতিপূর্বে আর কখনো হননি এবং পরেও কখনো হবেন না। তিনি আমাকে একটি গাছের ব্যাপারে (তার ফল খেতে) নিষেধ করেছিলেন। আমি সেটা অমান্য করেছি। নাফসী, নাফসী, নাফসী (অর্থাৎ- আমারই তো কোন উপায় দেখছি না)। তোমরা অন্য কারো নিকটে যাও। তোমরা বরং নূহ (আঃ)-এর নিকট যাও।

তারা তখন নূহ (আঃ)-এর নিকট গিয়ে বলবে, হে নূহ! আপনি তো দুনিয়াবাসীদের জন্য প্রথম রাসূল। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে আবদ শাকুর (কৃতজ্ঞ বান্দাহ) উপাধি দিয়েছেন, আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না যে, আমরা কি অবস্থায় পতিত আছি, আপনি কি লক্ষ্য করছেন না আমরা দুঃখ-দুর্দশার শেষ সীমায় পৌছে গেছি!

নূহ (আঃ) তাদেরকে বলবেন, আজ আমার প্রতিপালক এতই রাগান্বিত হয়েছেন যেমনটি এরপূর্বে আর কখনো হননি এবং পরেও হবেন না। আমাকে একটি দু’আ করার অধিকার দেয়া হয়েছিল (যে উদ্দেশ্যেই দুআ করব আল্লাহ তা’আলা তা কুবুল করবেন বলে অঙ্গীকার ছিল)। কিন্তু আমি আমার উম্মাতের বিরুদ্ধে সেই দুআ করেছি। নাফসী, নাফসী, নাফসী। তোমরা অন্য কারো কাছে যাও। তোমরা বরং ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট যাও।

তারা ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট গিয়ে বলবে, হে ইবরাহীম! আপনি আল্লাহর নবী এবং দুনিয়াবাসীদের মধ্যে তার অন্তরঙ্গ বন্ধু। আমরা কি অবস্থার মধ্যে পতিত আছি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন।

তিনি বলবেন, আমার পরোয়ারদিগার আজ এতই রাগন্বিত হয়েছেন, যেমনটি এরপূর্বে তিনি আর কখনো হননি এবং পরেও কখনো হবেন না। আমি তিনটি মিথ্যা কথা বলেছি। আবূ হাইয়্যান তার বর্ণিত হাদীসে সেগুলো উল্লেখ করেছেন। নাফসী, নাফসী, নাফসী (আমি আজ আমার নিজের চিন্তায় অস্থির)। তোমরা বরং অন্য কারো নিকট যাও, তোমরা মূসা (আঃ)-এর নিকট যাও।

তখন তারা মূসা (আঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলবে, হে মূসা। আপনি তো আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা আপনাকে মানুষের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন। আপনি কি আমাদের প্রাণান্তকর এ করুণ অবস্থা দেখছেন না? আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন।

তিনি বলবেন, আল্লাহ তা’আলা তো আজ এতই ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যেমনটি এরপূর্বে তিনি আর কখনো হননি আর পরেও হবেন না। আমি তো এক লোককে হত্যা করেছি। অথচ তাকে হত্যার নির্দেশ আমাকে প্রদান করা হয়নি। নাফসী, নাফসী, নাফসী। তোমরা বরং অন্য কারো নিকট যাও। তোমরা ঈসা (আঃ)-এর নিকট যাও।

তখন ঈসা (আঃ)-এর নিকট গিয়ে তারা বলবে, হে ঈসা। আপনি আল্লাহর রাসূল, তার একটি বাণী যা তিনি মারইয়ামের গর্ভে নিক্ষেপ করেছেন এবং তার সৃষ্ট আত্মা। আপনি দোলনায় থাকাবস্থায় মানুষের সাথে কথা বলেছেন। আপনি কি আমাদের এ করুণ অবস্থা দেখছেন না? আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন।

তখন ঈসা (আঃ) বলবেন, আমার পরোয়ারদিগার আজ এতই রাগান্বিত হয়েছেন, যেমনটি এর আগে তিনি আর কখনো হননি এবং পরে কখনো হবেন না। তিনি কোন গুনাহের কথা উল্লেখ করবেন না। তিনি বললেন, নাফসী, নাফসী, নাফসী। তোমরা অন্য কারো নিকট যাও। তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাও।

তখন তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হাযির হয়ে বলবে, হে মুহাম্মাদ। আপনি আল্লাহর রাসূল, নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী, আপনার পূর্বাপর সমস্থ গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। আপনি কি দেখছেন না আমরা কি অবস্থায় পতিত আছি! আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রভুর নিকট সুপারিশ করুন।

তখন আমি রাওয়ানা হয়ে আরশের নীচে উপস্থিত হবো। তারপর আমার প্রভুর উদ্দেশ্যে সাজদায় লুটিয়ে পড়ব। তারপর আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য তার প্রশংসা ও সর্বোত্তম গুণগানের এমন কিছু উন্মুক্ত করে দিবেন যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! তুমি মাথা উঠাও এবং আবেদন কর, তোমার আবেদন পূরণ করা হবে, সুপারিশ কর তোমার সুপারিশ কুবুল করা হবে।

তারপর আমি মাথা তুলে বলব, হে পরোয়ারদিগার! আমার উন্মাত, হে পরোয়ারদিগার! আমার উম্মাত (তাদের রক্ষা করুন)। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, হে মুহাম্মাদ! তোমার উন্মাতের মধ্যে যাদের কোন হিসাব-নিকাশ নেই তাদেরকে তুমি জান্নাতের ডান দরজা দিয়ে প্রবেশ করাও। অধিকন্তু তারা অন্য মানুষের সাথে শরীক হয়ে অন্যান্য দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অধিকারও পাবে।

তারপর তিনি বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ সেই মহান সত্তার শপথ! জান্নাতের দরজার দুটি চৌকাঠের মধ্যকার ব্যবধান মক্কা ও হাজার এবং মক্কা ও বুসরার মধ্যকার ব্যবধানের সমান।

সহীহ, তাখরীজ তাহাতীয়া (১৯৮), যিলালুল জান্নাত (৮১১)।

আবূ বকর সিদ্দীক, আনাস, উকবা ইবনু আমির ও আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ হাইয়্যান আত-তাইনীর নাম ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ইবনু হাইয়্যান। তিনি কৃফার অধিবাসী এবং বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী।

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ فَأَكَلَهُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَلْ تَدْرُونَ لِمَ ذَاكَ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ وَتَدْنُو الشَّمْسُ مِنْهُمْ فَيَبْلُغُ النَّاسُ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لاَ يُطِيقُونَ وَلاَ يَحْتَمِلُونَ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَلَيْكُمْ بِآدَمَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ آدَمُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ نَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُ نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ ‏.‏ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُونَ يَا نُوحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَقَدْ سَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ نُوحٌ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ كَانَ لِي دَعْوَةٌ دَعَوْتُهَا عَلَى قَوْمِي نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُونَ يَا إِبْرَاهِيمُ أَنْتَ نَبِيُّ اللَّهِ وَخَلِيلُهُ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَدْ كَذَبْتُ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ فَذَكَرَهُنَّ أَبُو حَيَّانَ فِي الْحَدِيثِ نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُوسَى ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُونَ يَا مُوسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَضَّلَكَ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ وَبِكَلاَمِهِ عَلَى الْبَشَرِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَدْ قَتَلْتُ نَفْسًا لَمْ أُومَرْ بِقَتْلِهَا نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُونَ يَا عِيسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَكَلَّمْتَ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَيَقُولُ عِيسَى إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ ذَنْبًا نَفْسِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُحَمَّدٍ ‏.‏ قَالَ فَيَأْتُونَ مُحَمَّدًا فَيَقُولُونَ يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَخَاتَمُ الأَنْبِيَاءِ وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ فَأَنْطَلِقُ فَآتِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَأَخِرُّ سَاجِدًا لِرَبِّي ثُمَّ يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَىَّ مِنْ مَحَامِدِهِ وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ عَلَى أَحَدٍ قَبْلِي ثُمَّ يُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهُ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي يَا رَبِّ أُمَّتِي يَا رَبِّ أُمَّتِي ‏.‏ فَيَقُولُ يَا مُحَمَّدُ أَدْخِلْ مِنْ أُمَّتِكَ مَنْ لاَ حِسَابَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ الأَيْمَنِ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَهُمْ شُرَكَاءُ النَّاسِ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الأَبْوَابِ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرَ وَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَبُصْرَى ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَأَنَسٍ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ كُوفِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ وَأَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ اسْمُهُ هَرِمٌ ‏.‏

اخبرنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا ابو حيان التيمي، عن ابي زرعة بن عمرو بن جرير، عن ابي هريرة، قال اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم بلحم فرفع اليه الذراع فاكله وكانت تعجبه فنهس منها نهسة ثم قال ‏ "‏ انا سيد الناس يوم القيامة هل تدرون لم ذاك يجمع الله الناس الاولين والاخرين في صعيد واحد فيسمعهم الداعي وينفذهم البصر وتدنو الشمس منهم فيبلغ الناس من الغم والكرب ما لا يطيقون ولا يحتملون فيقول الناس بعضهم لبعض الا ترون ما قد بلغكم الا تنظرون من يشفع لكم الى ربكم فيقول الناس بعضهم لبعض عليكم بادم ‏.‏ فياتون ادم فيقولون انت ابو البشر خلقك الله بيده ونفخ فيك من روحه وامر الملاىكة فسجدوا لك اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فيقول لهم ادم ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله وانه قد نهاني عن الشجرة فعصيت نفسي نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى نوح ‏.‏ فياتون نوحا فيقولون يا نوح انت اول الرسل الى اهل الارض وقد سماك الله عبدا شكورا اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فيقول لهم نوح ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله وانه قد كان لي دعوة دعوتها على قومي نفسي نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى ابراهيم ‏.‏ فياتون ابراهيم فيقولون يا ابراهيم انت نبي الله وخليله من اهل الارض اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه فيقول ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله واني قد كذبت ثلاث كذبات فذكرهن ابو حيان في الحديث نفسي نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى موسى ‏.‏ فياتون موسى فيقولون يا موسى انت رسول الله فضلك الله برسالته وبكلامه على البشر اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه فيقول ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله واني قد قتلت نفسا لم اومر بقتلها نفسي نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى عيسى ‏.‏ فياتون عيسى فيقولون يا عيسى انت رسول الله وكلمته القاها الى مريم وروح منه وكلمت الناس في المهد اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه فيقول عيسى ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله ولم يذكر ذنبا نفسي نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى محمد ‏.‏ قال فياتون محمدا فيقولون يا محمد انت رسول الله وخاتم الانبياء وقد غفر لك ما تقدم من ذنبك وما تاخر اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه فانطلق فاتي تحت العرش فاخر ساجدا لربي ثم يفتح الله على من محامده وحسن الثناء عليه شيىا لم يفتحه على احد قبلي ثم يقال يا محمد ارفع راسك سل تعطه واشفع تشفع ‏.‏ فارفع راسي فاقول يا رب امتي يا رب امتي يا رب امتي ‏.‏ فيقول يا محمد ادخل من امتك من لا حساب عليه من الباب الايمن من ابواب الجنة وهم شركاء الناس فيما سوى ذلك من الابواب ثم قال والذي نفسي بيده ان ما بين المصراعين من مصاريع الجنة كما بين مكة وهجر وكما بين مكة وبصرى ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي بكر الصديق وانس وعقبة بن عامر وابي سعيد ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وابو حيان التيمي اسمه يحيى بن سعيد بن حيان كوفي وهو ثقة وابو زرعة بن عمرو بن جرير اسمه هرم ‏.‏


Abu Hurairah narrated:
""Some meat was brought to the Prophet (s.a.w) and a foreleg was presented to him, and he used to like it, so he bit from it. Then he said: 'I will be the 'Leader' of the people on the Day of Resurrection. Do you know why that is? Allah will gather the people, the first and the last, on one level ground where they will (all) be able to hear a caller, and all of them will be visible, and the sun will be brought near such that the people will suffer distress and trouble that they cannot tolerate nor bear. Then some people will say: "Don't you see the state you have reached? Why don't you look for a person who can intercede for you with your Lord? " Some of them will say to others: " You should go to Adam." So they will go to Adam and say, "You are the father of all mankind, Allah created you with His Own Hands, and breathed into you from His spirit (which He creted for you) and ordered the angels to prostrate for you. Will you not intercede for us with your Lord? Don't you see what has happened to us? Don't you see the state we have reached?" On that Adam will reply, "Today my Lord has become angry such that He has never before been angry, and will never be thereafter. He forbade me (to eat from) the tree, but I disobeyed(Him), Myself! Myself! Myself! Go to somebody else; Go to Nuh." They will go to Nuh and say: "O Nuh! You are the first among the Messengers to the people of the earth, and Allah named you a thankful slave. Will you not intercede for us with your Lord? Don't you see what has happened to us? Don't you see the state we have reached?" Nuh will say to them : "Today my Lord has become angry as He has never before been angry, and will never be thereafter. I had been given one supplication, and I supplicated against my own people. Myself! Myself! Myself! Go to someone else! Go to Ibrahim." They will go to Ibrahim and say: "O Ibrahim! You are Allah's Prophet and His Khalil among the people of the earth, so intercede for us with your Lord, don't you see what hads happened to us?" He will say: "Today my Lord has become angry as He has never before been angry and will never be thereafter. Indeed I uttered three lies."- Abu Hayyyan (a narrator) mentioned them in his narration - " Myself! Myself! Myself! Go to someone else! Go to Musa." So they will go to Musa and say: "O Musa! You are the Messenger of Allah who Allah distinguished above the people with His Message and His Speech, intercede for us with your Lord. Don't you see what has happened to us?" So he will say "Today my Lord has become angry as He has never before been angry and will never be thereafter. Indeed I killed a person whom I was ordered not to kill. Myself! Myself! Myself! Go to someone else; Go to 'Eisa." They will go to 'Eisa and say: "O 'Eisa ! You are the Messenger of Allah and His Word which He placed into Mariam, and a Spirit from Him, and you spoke to the people in the cradle. Intercede for us with your Lord. Don't you see what has happened to us?" Then 'Eisa will say: "Today my Lord has become angry as He has never before been angry and will never be thereafter." He will not mention a sin, but will say: "Myself! Myself! Myself! Go to someone else! Go to Muhammad." He said: 'They will go to Muhammad(s.a.w) and they say: "O Muhammad! You are the Messenger of Allah and the last of the Prophets, and your past and future sins have been pardoned. Will you not intercede for us with your Lord, don't you see what has happened to us?" Then I will depart until I come to under the Throne to fall prostrating before my Lord. Then Allah will guide me to such praises and beautiful statements of glorification which He did not guide anyone to before me. Then He will say: "O Muhammad! Raise your head. Ask,so that you may be granted and intercede so that your intercession may be accepted." I will raise my head and say: "O Lord! My Ummah! O Lord! My Ummah! O Lord! My Ummah!" He will say: "O Muhammad! Let those of your Ummah who have no accounts enter the gate on the right among the gates of Paradise, and they shall share in the gates other than that with the people.'" Then he (s.a.w) said: 'By the One in Whose Hand is my soul! What is between every two gate-posts in Paradise is as what is between Makkah and Hajar, and what is between Makkah and Busra.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ কিয়ামত ও মর্মস্পর্শী বিষয় (كتاب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله ﷺ) 35. Chapters on the description of the Day of Judgement, Ar-Riqaq, and Al-Wara'
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 পরের পাতা »