পরিচ্ছেদঃ ৪৮/ হাদিস পড়া ও মুহাদ্দিসের কাছে পেশ করা
হাসান (বসরী), সুফইয়ান সাউরী এবং মালিক (রহঃ)-এর মতে মুহাদ্দিসের সামনে পাঠ করা জায়েয। কোন কোন মুহাদ্দিস উস্তাদের সামনে পাঠ করার স্বপক্ষে যিমাম ইবনু সা’লাবা (রাঃ)-এর হাদীস পেশ করেন। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেছিলেন, ’আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার ব্যাপারে আল্লাহ্ কি আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ’হ্যাঁ’। রাবী বলেন, এগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পাঠ করা। যিমাম (রাঃ) তাঁর গোত্রের নিকট এ নির্দেশগুলো জানান এবং তাঁরা তা গ্রহণ করেন। (ইমাম) মালিক (রহঃ) তাঁর মতের সমর্থনে লিখিত দলীলকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন, যা লোকদের সামনে পাঠ করা হলে তারা বলে, অমুক আমাদের সাক্ষী বানিয়েছেন। শিক্ষকের সামনে পাঠ করে পাঠক বলে, অমুক আমাকে পড়িয়েছেন।
৬১। মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উস্তাদের সামনে শাগরিদের পাঠ করতে কোন বাধা নেই। ’উবায়দুল্লাহ্ ইবন মূসা (রহঃ) সুফিয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যখন মুহাদ্দিসের সামনে (কোন হাদীস) পাঠ করা হয় তখন حَدَّثَنِي (তিনি আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন) বলায় কোন আপত্তি নেই। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবূ ’আসিমকে মালিক ও সুফিয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, ’উস্তাদের সামনে পাঠ করা এবং উস্তাদের নিজে পাঠ করা একই পর্যায়ের।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ إِذَا قُرِئَ عَلَى الْمُحَدِّثِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ حَدَّثَنِي قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا عَاصِمٍ يَقُولُ عَنْ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ الْقِرَاءَةُ عَلَى الْعَالِمِ وَقِرَاءَتُهُ سَوَاءٌ.
-
English Translation not found for this hadith.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮১. হাসান ইব্ন আলী (রাঃ) সম্পর্কে নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ আমার এ সন্তনটি নেতৃস্থানীয় । সম্ভবত আল্লাহ্ এর মাধ্যমে দু’টি বড় দলের মাঝে সন্ধি স্থাপন করাবেন। আর আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তোমরা তাদের উভয় দলের মাঝে মীমাংসা করে দাও। (৪৯ঃ ৯)
২৫২৩। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) পর্বত সদৃশ সেনাদল নিয়ে মু’আবিয়া (রাঃ) এর মুখোমুখি হলেন। আমার ইবনু আস (রাঃ) বললেন, আমি এমন সেনাদল দেখতে পাচ্ছি যারা প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে ফির যাবে না। মু’আবিয়া (রাঃ) তখন বললেন, আল্লাহর কসম! (আর মু’আবিয়া ও আমর ইবনুল ’আস) (রাঃ) উভয়ের মধ্যে মু’আবিয়া (রাঃ) ছিলেন উত্তম ব্যাক্তি। ’হে ’আমর! এরা ওদের এবং ওরা এদের হত্যা করলে আমি কাকে দিয়ে লোকের সমস্যার সমাধান করব? তাদের নারীদের কে তত্ত্ববধান করবে? তাদের দূর্বল ও শিশুদের কে রক্ষণাবেক্ষণ করবে? তারপর তিনি কুরায়শের বানূ আবদে শামস শাখার দু’জন আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) কে হাসান (রাঃ) এর কাছে পাঠালেন। তিনি তাদের বললেন, ’তোমরা উভয়ে এই লোকটির কাছে যাও এবং তার কাছে (সন্ধির) প্রস্তাব পেশ করো, তাঁর সঙ্গে আলোচনা কর ও তার বক্তব্য জানতে চেষ্টা কর।’
তারা তার কাছে গেলেন এবং তার সঙ্গে কখা বললেন, আলাপ-আলোচনা করলেন এবং তার বক্তব্য জানলেন। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) তাদের বললেন, ’আমরা আবদুল মুত্তালিবের সন্তান, এই সম্পদ (বায়তুল মালের) আমরা পেয়েছি। আর এরা রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছে।’ তারা উভয়ে বললেন, (মু’আবিয়া (রাঃ) আপনার কাছে এরূপ বক্তব্য পেশ করেছেন। আর আপনার বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন ও সন্ধি কামনা করেছেন। তিনি বললেন, ’এ দায়িত্ব কে নেবে? তারা বললেন, আমরা আপনার জন্য এ দায়িত্ব গ্রহণ করছি।’ এরপর তিনি তাদের কাছে যে সব প্রশ্ন করলেন, তারা (তার জওয়াবে) বললেন, ’আমরা এ দায়িত্ব নিচ্ছি।’ তারপর তিনি তার সাথে সন্ধি করলেন।
হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বকরা (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ কে আমি মিম্বরের উপর দেখেছি, হাসান (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে আর একবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, আমার এ সন্তান নেতৃস্থানীয়। সম্ভবত তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা মুসলিমের দু’টি বড় দলের মধ্যে মীমাংসা করাবেন।’ আবূ আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আলী ইবনু আবদুল্লাহ আমাকে বলেছেন যে, এ হাদীসের মাধ্যমেই আবূ বকরা (রাঃ) থেকে হাসানের শ্রুতি আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে।
ابُ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ» وَقَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا}
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ اسْتَقْبَلَ وَاللَّهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مُعَاوِيَةَ بِكَتَائِبَ أَمْثَالِ الْجِبَالِ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِنِّي لأَرَى كَتَائِبَ لاَ تُوَلِّي حَتَّى تَقْتُلَ أَقْرَانَهَا. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ ـ وَكَانَ وَاللَّهِ خَيْرَ الرَّجُلَيْنِ ـ أَىْ عَمْرُو إِنْ قَتَلَ هَؤُلاَءِ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ هَؤُلاَءِ مَنْ لِي بِأُمُورِ النَّاسِ مَنْ لِي بِنِسَائِهِمْ، مَنْ لِي بِضَيْعَتِهِمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، فَقَالَ اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فَاعْرِضَا عَلَيْهِ، وَقُولاَ لَهُ، وَاطْلُبَا إِلَيْهِ. فَأَتَيَاهُ، فَدَخَلاَ عَلَيْهِ فَتَكَلَّمَا، وَقَالاَ لَهُ، فَطَلَبَا إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِنَّا بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَدْ أَصَبْنَا مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَإِنَّ هَذِهِ الأُمَّةَ قَدْ عَاثَتْ فِي دِمَائِهَا. قَالاَ فَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكَ كَذَا وَكَذَا وَيَطْلُبُ إِلَيْكَ وَيَسْأَلُكَ. قَالَ فَمَنْ لِي بِهَذَا قَالاَ نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَمَا سَأَلَهُمَا شَيْئًا إِلاَّ قَالاَ نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَصَالَحَهُ، فَقَالَ الْحَسَنُ وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى جَنْبِهِ، وَهْوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ أُخْرَى وَيَقُولُ " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ". قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِنَّمَا ثَبَتَ لَنَا سَمَاعُ الْحَسَنِ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ.
Narrated Al-Hasan Al-Basri:
By Allah, Al-Hasan bin `Ali led large battalions like mountains against Muawiya. `Amr bin Al-As said (to Muawiya), "I surely see battalions which will not turn back before killing their opponents." Muawiya who was really the best of the two men said to him, "O `Amr! If these killed those and those killed these, who would be left with me for the jobs of the public, who would be left with me for their women, who would be left with me for their children?" Then Muawiya sent two Quraishi men from the tribe of `Abd-i-Shams called `Abdur Rahman bin Sumura and `Abdullah bin 'Amir bin Kuraiz to Al-Hasan saying to them, "Go to this man (i.e. Al-Hasan) and negotiate peace with him and talk and appeal to him." So, they went to Al-Hasan and talked and appealed to him to accept peace. Al-Hasan said, "We, the offspring of `Abdul Muttalib, have got wealth and people have indulged in killing and corruption (and money only will appease them)." They said to Al-Hasan, "Muawiya offers you so and so, and appeals to you and entreats you to accept peace." Al-Hasan said to them, "But who will be responsible for what you have said?" They said, "We will be responsible for it." So, whatever Al- Hasan asked they said, "We will be responsible for it for you." So, Al-Hasan concluded a peace treaty with Muawiya. Al-Hasan (Al-Basri) said: I heard Abu Bakr saying, "I saw Allah's Messenger (ﷺ) on the pulpit and Al-Hasan bin `Ali was by his side. The Prophet (ﷺ) was looking once at the people and once at Al-Hasan bin `Ali saying, 'This son of mine is a Saiyid (i.e. a noble) and may Allah make peace between two big groups of Muslims through him."
পরিচ্ছেদঃ ২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৭। মুহাম্মদ (রহঃ) ... হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, জুনদুব ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) বসরার এর মসজিদে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেন। সে দিন থেকে আমরা না হাদীস ভুলেছি না আশংকা করেছি যে, জুনদুব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে একজন লোক আঘাত পেয়েছিল তাতে কাতর হয়ে পড়েছিল। এরপর সে একটি ছুরি হাতে নিল এবং তা দিয়ে সে তার হাতটি কেটে ফেলল। ফলে রক্ত আর বন্ধ হল না। শেষ পর্যন্ত সে মারা গেল। মহান আল্লাহ বললেন, আমার বান্দাটি নিজেই প্রান দেয়ার ব্যাপারে আমার চেয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করল (অর্থাৎ সে আত্মহত্যা করল)। কাজেই, আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا جُنْدُبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فِي هَذَا الْمَسْجِدِ، وَمَا نَسِينَا مُنْذُ حَدَّثَنَا، وَمَا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ جُنْدُبٌ كَذَبَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ بِهِ جُرْحٌ، فَجَزِعَ فَأَخَذَ سِكِّينًا فَحَزَّ بِهَا يَدَهُ، فَمَا رَقَأَ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى بَادَرَنِي عَبْدِي بِنَفْسِهِ، حَرَّمْتُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ".
Narrated Jundub:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Amongst the nations before you there was a man who got a wound, and growing impatient (with its pain), he took a knife and cut his hand with it and the blood did not stop till he died. Allah said, 'My Slave hurried to bring death upon himself so I have forbidden him (to enter) Paradise.' "
পরিচ্ছেদঃ ২৪৬২. যারা বলে, ওলী বা অভিভাবক ব্যতীত শাদী শুদ্ধ হয় না, তারা আল্লাহ্ তা’আলার কালাম দলীল হিসাবে পেশ করেঃ ‘‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও তাদের নির্দিষ্ট ইদ্দত পূর্ণ করে তখন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বামীর সাথে বিবাহে বাধা দিও না‘‘-এ নির্দেশের আওতায় বয়স্কা বিবাহিতা মহিলারা যেমন, তদ্রূপ কুমারী মেয়েরাও এসে গেছে। মহান আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, "তোমরা মুশরিক মহিলাদেরকে কখনও বিবাহ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান না আনবে।" আল্লাহ্ তা’আলা আরও বলেন, "তোমাদের ভিতরে যারা অবিবাহিতা আছে তাদের শাদী দিয়ে দাও"
৪৭৫৮। আহমদ ইবনু আবূ আমর (রহঃ) ... আল হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, "তোমরা তাদেরকে আটকিয়ে রেখো না" এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে বলেন, মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) বলেছেন যে, উক্ত আয়াত তার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার বোনকে এক ব্যাক্তির সাথে শাদী দেই, সে তাকে তালাক দিয়ে দেয়। যখন তার ইদ্দতকাল অতিক্রান্ত হয় তখন সেই ব্যাক্তি আমার কাছে আসে এবং তাকে পুনরায় শাদীর পয়গাম দেয়। কিন্তু আমি তাকে বলে দেই, আমি তাকে তোমার সাথে শাদী দিয়েছিলাম এবং তোমরা মেলামেশা করেছ এবং আমি তোমাকে মর্যাদা দিয়েছি। তারপরেও তুমি তাকে তালাক দিলে? পুনরায় তুমি তাকে চাওয়ার জন্য এসেছ? আল্লাহর কসম, সে আবার কখনও তোমার কাছে ফিরে যাবে না। মা’কিল বলেন, সে লোকটি অবশ্য খারাপ ছিল না এবং তার স্ত্রীও তার কাছে ফিরে যেতে আগ্রহী ছিল। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ "তাদেরকে বাঁধা দিও না" এরপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার বোনকে তার কাছে শাদী দেব। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে তার সাথে পুনঃ শাদী দিলেন।
بَابُ مَنْ قَالَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ} فَدَخَلَ فِيهِ الثَّيِّبُ وَكَذَلِكَ الْبِكْرُ. وَقَالَ: {وَلاَ تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُوا} وَقَالَ: {وَأَنْكِحُوا الأَيَامَى مِنْكُمْ}
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، (فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ) قَالَ حَدَّثَنِي مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ قَالَ زَوَّجْتُ أُخْتًا لِي مِنْ رَجُلٍ فَطَلَّقَهَا، حَتَّى إِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا جَاءَ يَخْطُبُهَا، فَقُلْتُ لَهُ زَوَّجْتُكَ وَفَرَشْتُكَ وَأَكْرَمْتُكَ، فَطَلَّقْتَهَا، ثُمَّ جِئْتَ تَخْطُبُهَا، لاَ وَاللَّهِ لاَ تَعُودُ إِلَيْكَ أَبَدًا، وَكَانَ رَجُلاً لاَ بَأْسَ بِهِ وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تُرِيدُ أَنَّ تَرْجِعَ إِلَيْهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَةَ (فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ) فَقُلْتُ الآنَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ فَزَوَّجَهَا إِيَّاهُ.
Narrated Al-Hasan:
concerning the Verse: 'Do not prevent them' (2.232) Ma'qil bin Yasar told me that it was revealed in his connection. He said, "I married my sister to a man and he divorced her, and when her days of 'Idda (three menstrual periods) were over, the man came again and asked for her hand, but I said to him, 'I married her to you and made her your bed (your wife) and favored you with her, but you divorced her. Now you come to ask for her hand again? No, by Allah, she will never go back to you (again)!' That man was not a bad man and his wife wanted to go back to him. So Allah revealed this Verse: 'Do not prevent them.' (2.232) So I said, 'Now I will do it (let her go back to him), O Allah's Messenger (ﷺ)."So he married her to him again.
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তাদের স্বামীরা (ইদ্দতের মধ্যে) তাদের ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার রাখে এবং এক বা দু’তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি সম্পর্কে।
৪৯৪৪। মুহাম্মদ (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মা’কাল তার বোনকে বিয়ে দিলে, তার স্বামী তাকে এক তালাক প্রদান করে।
بَابُ: {وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ} فِي الْعِدَّةِ، وَكَيْفَ يُرَاجِعُ الْمَرْأَةَ إِذَا طَلَّقَهَا وَاحِدَةً أَوْ ثِنْتَيْنِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ زَوَّجَ مَعْقِلٌ أُخْتَهُ فَطَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً.
Narrated Al-Hasan:
Ma'qil gave his sister in marriage and later her husband divorced her once.
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তাদের স্বামীরা (ইদ্দতের মধ্যে) তাদের ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার রাখে এবং এক বা দু’তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি সম্পর্কে।
৪৯৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মাকাল ইবনু ইয়াসারেব বোন এক ব্যাক্তির বিবাহাধীন ছিল। সে তাকে তালাক দিল। পুনরায় ফিরিয়ে আনলোনা, এভাবে তার ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে সে আবার তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। মাকাল (রাঃ) ক্রোধান্বিত হলেন, তিনি বললেনঃ সময় সুযোগ থাকতে ফিরিয়ে নিল না, এখন আবার প্রস্তাব দিচ্ছে। তিনি তাদের মাঝে (পুনর্বিবাহে) প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ালেন। এরপর আল্লাহ তাআলা এ আয়াতটি অবর্তীর্ন করেনঃ তোমরা যখন স্ত্রীকে তোমরা তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দত-কাল পূর্ন করে, তখন তারা নিজেদের স্বামীদেরকে বিবাহ করতে চাইলে তোমরা বাধা দিও না। (বাকারাঃ ২৩২)। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকলেন এবং তার সামনে আয়াতটি পাঠ করলেন। তিনি তার জিদ পরিত্যাগ করে আল্লাহর আদেশের অনুসরণ করেন।
بَابُ: {وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ} فِي الْعِدَّةِ، وَكَيْفَ يُرَاجِعُ الْمَرْأَةَ إِذَا طَلَّقَهَا وَاحِدَةً أَوْ ثِنْتَيْنِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ، كَانَتْ أُخْتُهُ تَحْتَ رَجُلٍ فَطَلَّقَهَا، ثُمَّ خَلَّى عَنْهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا، ثُمَّ خَطَبَهَا فَحَمِيَ مَعْقِلٌ مِنَ ذَلِكَ أَنَفًا فَقَالَ خَلَّى عَنْهَا وَهْوَ يَقْدِرُ عَلَيْهَا، ثُمَّ يَخْطُبُهَا فَحَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ، فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ عَلَيْهِ، فَتَرَكَ الْحَمِيَّةَ وَاسْتَقَادَ لأَمْرِ اللَّهِ.
Narrated Al-Hasan:
The sister of Ma'qil bin Yasar was married to a man and then that man divorced her and remained away from her till her period of the 'Iddah expired. Then he demanded for her hand in marriage, but Ma'qil got angry out of pride and haughtiness and said, "He kept away from her when he could still retain her, and now he demands her hand again?" So Ma'qil disagreed to remarry her to him. Then Allah revealed: 'When you have divorced women and they have fulfilled the term of their prescribed period, do not prevent them from marrying their (former) husbands.' (2.232) So the Prophet (ﷺ) sent for Ma'qil and recited to him (Allah's order) and consequently Ma'qil gave up his pride and haughtiness and yielded to Allah's order.
পরিচ্ছেদঃ ২৯৮৬. দু’জন মুসলিম তরবারী নিয়ে পরস্পরে মারমুখী হলে
৬৬০৩। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহাব (রহঃ) ... হাসান বসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ফিতনা কবলিত রজনীতে (অর্থাৎ জঙ্গে জামাল কিংবা জঙ্গে সিফফীনে) আমি হাতিয়ার নিয়ে বের হলাম। হঠাৎ আবূ বকরা (রাঃ) আমার সামনে পড়লেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচাত ভাইয়ের সাহায্যার্থে যাচ্ছি। তখন তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি দু’জন মুসলিম তরবারী নিয়ে পরস্পর সংঘর্যের জন্য মুখোমুখী হয়, তাহলে উভয়েই জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হত্যাকারী তো জাহান্নামী। কিন্তু নিহত ব্যাক্তির কি অপরাধ? তিনি বললেনঃ সেও তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করার সংকল্প করেছিল।
বর্ণনাকারী হাম্মাদ ইবনু যায়িদ বলেন, আমি এ হাদীসটি আইউব ও ইউনুস ইবনু আবদুল্লাহর কাছে পেশ করলাম। আমি চাচ্ছিলাম তাঁরা এ হাদীসটি আমাকে বর্ণনা করবেন। তারা বললেন, এ হাদীসটি হাসান বসরী (রহঃ) আহনাফ ইবনু কায়সের মধ্যস্থতায় আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ رَجُلٍ، لَمْ يُسَمِّهِ عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ خَرَجْتُ بِسِلاَحِي لَيَالِيَ الْفِتْنَةِ فَاسْتَقْبَلَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أُرِيدُ نُصْرَةَ ابْنِ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَكِلاَهُمَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ". قِيلَ فَهَذَا الْقَاتِلُ، فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ " إِنَّهُ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ ". قَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لأَيُّوبَ وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ يُحَدِّثَانِي بِهِ فَقَالاَ إِنَّمَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْحَسَنُ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ.
Narrated Al-Hasan:
(Al-Ahnaf said:) I went out carrying my arms during the nights of the affliction (i.e. the war between `Ali and `Aisha) and Abu Bakra met me and asked, "Where are you going?" I replied, "I intend to help the cousin of Allah's Messenger (ﷺ) (i.e.,`Ali)." Abu Bakra said, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'If two Muslims take out their swords to fight each other, then both of them will be from amongst the people of the Hell- Fire.' It was said to the Prophet, 'It is alright for the killer but what about the killed one?' He replied, 'The killed one had the intention to kill his opponent.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৯৯৬. হাসান ইবন আলী (রাঃ) সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর উক্তিঃ অবশ্যই আমার এই পৌত্র সরদার। আর সম্ভবত মহান আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের (বিবাদমান) দু’টি দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করবেন
৬৬২৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... হাসান বসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হাসান ইবনু আলী (রাঃ) সেনাবাহিনী নিয়ে মুআবিয়া (রাঃ) এর মুকাবিলায় রওনা হলেন, তখন আমর ইবনু আস (রাঃ) মুআবিয়া (রাঃ) কে বললেন, আমি এরুপ এক সেনাবাহিনী দেখছি, যারা বিপক্ষকে না ফিরিয়ে পিছু হটবে না। মুআবিয়া (রাঃ) বললেন, তাহলে মুসলিমদের সন্তান-সন্ততির তত্তাবধান কে করবে? আমর ইবনু আস (রাঃ) বললেন, আমি। এ সময় আবদুল্লাহ ইবনু আমির (রাঃ) ও আব্দুর রহমান ইবনু সামুরা (রাঃ) বললেন, আমরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব এবং তাকে সন্ধির কথা বলব।
হাসান বসরী (রহঃ) বলেনঃ আমি আবূ বকরা (রাঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় হাসান (রাঃ) আসলেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখে) বললেনঃ আমার এ পৌত্র সরদার আর সম্ভবত আল্লাহ-তা’আলা তার মাধ্যমে মুসলিমদের দু’টি (বিবদমান) দলের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করবেন।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: «إِنَّ ابْنِي هَذَا لَسَيِّدٌ وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ أَبُو مُوسَى، وَلَقِيتُهُ، بِالْكُوفَةِ جَاءَ إِلَى ابْنِ شُبْرُمَةَ فَقَالَ أَدْخِلْنِي عَلَى عِيسَى فَأَعِظَهُ. فَكَأَنَّ ابْنَ شُبْرُمَةَ خَافَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَفْعَلْ. قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ لَمَّا سَارَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنهما ـ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالْكَتَائِبِ. قَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ لِمُعَاوِيَةَ أَرَى كَتِيبَةً لاَ تُوَلِّي حَتَّى تُدْبِرَ أُخْرَاهَا. قَالَ مُعَاوِيَةُ مَنْ لِذَرَارِيِّ الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ أَنَا. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ نَلْقَاهُ فَنَقُولُ لَهُ الصُّلْحَ. قَالَ الْحَسَنُ وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ قَالَ بَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ جَاءَ الْحَسَنُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ".
Narrated Al-Hasan Al-Basri:
When Al-Hasan bin `Ali moved with army units against Muawiya, `Amr bin AL-As said to Muawiya, "I see an army that will not retreat unless and until the opposing army retreats." Muawiya said, "(If the Muslims are killed) who will look after their children?" `Amr bin Al-As said: I (will look after them). On that, `Abdullah bin 'Amir and `Abdur-Rahman bin Samura said, "Let us meet Muawaiya and suggest peace." Al-Hasan Al-Basri added: No doubt, I heard that Abu Bakra said, "Once while the Prophet was addressing (the people), Al-Hasan (bin `Ali) came and the Prophet (ﷺ) said, 'This son of mine is a chief, and Allah may make peace between two groups of Muslims through him."
পরিচ্ছেদঃ ৩০১২. জনগনের নেতৃত্ব লাভের পর তাদের কল্যান কামনা না করা
৬৬৬৫। আবু নুআয়ম (রহঃ) ... হাসান বসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) মাকিল ইবনু ইয়াসারের মৃত্যুশয্যায় তাকে দেখতে গেলেন। তখন মাকিল (রাঃ) তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করছি যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি যে, কোন বান্দাকে যদি আল্লাহ তা’আলা জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন, আর সে কল্যাণকামিতার সাথে তাদের তত্বাবধান না করে, তাহলে সে বেহেশতের ঘ্রাণও পাবে না।
باب مَنِ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً فَلَمْ يَنْصَحْ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، عَادَ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ اسْتَرْعَاهُ اللَّهُ رَعِيَّةً، فَلَمْ يَحُطْهَا بِنَصِيحَةٍ، إِلاَّ لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ ".
Narrated Ma'qil:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Any man whom Allah has given the authority of ruling some people and he does not look after them in an honest manner, will never feel even the smell of Paradise."
পরিচ্ছেদঃ ৩০১২. জনগনের নেতৃত্ব লাভের পর তাদের কল্যান কামনা না করা
৬৬৬৬। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... হাসান বসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মাকিল ইবনু ইয়াসারের কাছে তার শুশ্রূষার জন্য আসলাম। এ সময় উবায়দুল্লাহ প্রবেশ করল। তখন মাকিল (রাঃ) বললেনঃ আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করে শোনাব, যা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, যদি কোন দায়িত্বশীল ব্যাক্তি মুসলিম জনগণের দায়িত্ব লাভ করল এবং তার মৃত্যু হল এ অবস্থায় যে, সে ছিল খিয়ানতকারী, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।
باب مَنِ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً فَلَمْ يَنْصَحْ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، قَالَ زَائِدَةُ ذَكَرَهُ عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ أَتَيْنَا مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ نَعُودُهُ فَدَخَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَيَمُوتُ وَهْوَ غَاشٌّ لَهُمْ، إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ ".
Narrated Ma'qil:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If any ruler having the authority to rule Muslim subjects dies while he is deceiving them, Allah will forbid Paradise for him."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. আত্মহত্যা করা মহাপাপ, যে ব্যাক্তি যে বস্তুদ্বারা আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামে সে বস্তু দ্বারা তাকে শাস্তি দেয়া হবে এবং মুসলিম ব্যাতিত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না
২০৯। মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর আল মুকাদ্দামী (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জুনদুব ইবনু আবদুল্লাহ বাজালী এ মসজিদে বসেই আমাদিগকে নসীহত করেছেন। তারপর আমরা তা ভুলে যাইনি। আর আমরা আশঙ্কা করি না যে, জুনদুব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছেন। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পুর্ববর্তী উম্মতের মধ্যে এক ব্যাক্তির ফোঁড়া হয়েছিল ... তারপরের অংশ উপরের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
باب غِلَظِ تَحْرِيمِ قَتْلِ الإِنْسَانِ نَفْسَهُ وَإِنَّ مَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِشَيْءٍ عُذِّبَ بِهِ فِي النَّارِ وَأَنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ حَدَّثَنَا جُنْدَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، فِي هَذَا الْمَسْجِدِ فَمَا نَسِينَا وَمَا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ جُنْدَبٌ كَذَبَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَرَجَ بِرَجُلٍ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ خُرَاجٌ " . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
It is reported on the authority of Hasan:
Jundab b. 'Abdullah al-Bajali narrated this hadith in this mosque which we can neither forget and at the same time we have no apprehension that Jundab could attribute a lie to the Messenger of Allah (ﷺ). He (the Holy Prophet) observed: A person belonging to the people of the past suffered from a boil, and then the rest of the hadith was narrated.
পরিচ্ছেদঃ ৬২. জনগনের সঙ্গে খিয়ানতকারী শাসক জাহান্নামের যোগ্য
২৬১। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, মাকিল ইবনু ইয়াসারের মৃত্যু শয্যায় উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ তার সাক্ষাতে যান। মাকিল তাকে বললেন, আজ তোমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শোনা এমন একটি হাদীস শোনাব যা আমি আরো বেঁচে থাকব বলে জানলে তা কিছুতেই শোনাতাম না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা’আলা যে বান্দাকে জনগণের দায়িত্ব দিয়েছেন, কিন্তু তাদের সঙ্গে খেয়ানতকারীরুপে যদি তার মৃত্যু হয় তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।
باب اسْتِحْقَاقِ الْوَالِي الْغَاشِّ لِرَعِيَّتِهِ النَّارَ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ عَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ الْمُزَنِيَّ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ . قَالَ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ عَلِمْتُ أَنَّ لِي حَيَاةً مَا حَدَّثْتُكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ " .
Hasan reported:
'Ubaidullah b. Ziyad paid a visit to Ma'qil b. Yasar Muzani in his illness of which he (later on) died. (At this juncture) Ma'qil said: I am going to narrate to you a hadith which I have heard from the Messenger of Allah (ﷺ) and which I would not have transmitted if I knew that I would survive. Verily I have heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There is none amongst the bondsmen who was entrusted with the affairs of his subjects and he died in such a state that he was dishonest in his dealings with those over whom he ruled that the Paradise is not forbidden for him.
পরিচ্ছেদঃ ৬২. জনগনের সঙ্গে খিয়ানতকারী শাসক জাহান্নামের যোগ্য
২৬২। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মাকিল ইবনু ইয়াসারের অসুস্থ অবস্হায় উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ তার সাক্ষাতে গেলেন এবং কিছু জানতে চাইলেন। তখন মা’কিল (রাঃ) বলেন, আজ তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব, যা আমি আগে তোমাকে বর্ণনা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যে বান্দাকে জনগণের শাসনভার প্রদান করেন আর সে যদি তাদের সঙ্গে খেয়ানতকারীরুপে মৃত্যুবরণ করে, তবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন। উবায়দুল্লাহ বললেন, আপনি কি আজ পর্যন্ত এ হাদীস আমাকে বর্ণনা করেননি? তিনি বললেন, না কখনো বর্ণনা করি নাই। অথবা রাবী এ কথা বলেছেন, বর্ণনা করতে ইচ্ছুক ছিলাম না।
باب اسْتِحْقَاقِ الْوَالِي الْغَاشِّ لِرَعِيَّتِهِ النَّارَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ دَخَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَهُوَ وَجِعٌ فَسَأَلَهُ فَقَالَ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا لَمْ أَكُنْ حَدَّثْتُكَهُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَسْتَرْعِي اللَّهُ عَبْدًا رَعِيَّةً يَمُوتُ حِينَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهَا إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ " . قَالَ أَلاَّ كُنْتَ حَدَّثْتَنِي هَذَا قَبْلَ الْيَوْمِ قَالَ مَا حَدَّثْتُكَ أَوْ لَمْ أَكُنْ لأُحَدِّثَكَ .
Hasan reported:
Ubaidullah b. Ziyad went to see Ma'qil b. Yasir and he was ailing. He ('Ubaidullah) inquired (about his health) to which he (Ma'qil) replied: I am narrating to you a hadith which I avoided narrating to you (before). Verily the Messenger of Allah (ﷺ) observed: Allah does not entrust to his bondsman the responsibility of managing the affairs of his subjects and he dies as a dishonest (ruler) but Paradise is forbidden by Allah for such a (ruler). He (Ibn Ziyad) said: Why did you not narrate it to me before this day? He replied: I (in fact) did not narrate it to you as it was not (fit) for me to narrate that to you.
পরিচ্ছেদঃ ৬২. জনগনের সঙ্গে খিয়ানতকারী শাসক জাহান্নামের যোগ্য
২৬৩। আল কাসিম ইবনু যাকারিয়্যা (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) এর অসুস্থতাকালে তাঁর কুশলাদি জানতে গিয়েছিলাম। ইত্যবসরে উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ (রাঃ) সেখানে উপস্থিত হন। মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) তাকে বললেন, আজ তোমাকে একটি হাদীস শোনাব, যা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রবণ করেছি...। পরে তিনি উল্লেখিত হাদীসদ্বয়ের অর্থের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
باب اسْتِحْقَاقِ الْوَالِي الْغَاشِّ لِرَعِيَّتِهِ النَّارَ
وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، - يَعْنِي الْجُعْفِيَّ - عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ كُنَّا عِنْدَ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ نَعُودُهُ فَجَاءَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ إِنِّي سَأُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِهِمَا .
Hasan reported:
We were with Ma'qil b. Yasar inquiring about his health that Ubaidullah b. Ziyad came there. Ma'qil said to him: Verily I am going to narrate to you a hadith which I heard from the Messenger of Allah (ﷺ). Then he narrated the hadith like those two (mentioned above).
পরিচ্ছেদঃ ৫. ন্যায়পরায়ণ শাসকের ফযীলত ও যালিম শাসকের শাস্তি। শাসিতদের প্রতি নম্রতা অবলম্বন ও কঠোরতা বর্জন
৪৫৭৭। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ মা’কিল ইবনু ইয়াসার মুযানী (রাঃ) কে তাঁর মৃত্যুরোগে আক্রান্ত অবস্থায় দেখতে যান। তখন মা’কিল তাকে বলেনঃ আমি তোমার কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে আমার শ্রুত হাদীস বর্ণনা করবো। যদি আমি জানতাম যে, আমার আরও আয়ু আছে তবে আমি তোমার কাছে তা বর্ণনা করতাম না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে বান্দাকে আল্লাহু কোন প্রজাকুলের (জনতার) উপর দায়িত্বশীল করেছেন অথচ সে যখন মারা যায় তখনও সে তার প্রজাকুলের প্রতি প্রতারণাকারী থাকে তবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দেন।
باب فَضِيلَةِ الإِمَامِ الْعَادِلِ وَعُقُوبَةِ الْجَائِرِ وَالْحَثِّ عَلَى الرِّفْقِ بِالرَّعِيَّةِ وَالنَّهْيِ عَنْ إِدْخَالِ الْمَشَقَّةِ عَلَيْهِمْ
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ عَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ الْمُزَنِيَّ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ عَلِمْتُ أَنَّ لِي حَيَاةً مَا حَدَّثْتُكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ " .
It has been narrated on the authority of Hasan who said:
Ubaidullah b Ziyad visited Ma'qil b. Yasir al-Muzani in his last iliness. Ma'qil said (to him): I am narrating to you a tradition I heard from the Messenger of Allah (ﷺ). If I knew that I am to survive this illness. I would, not narrate it to you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: If God appointed anyone ruler over a people and he died while he was still treacherous to his people, God would forbid his entry into Paradise.
পরিচ্ছেদঃ ৫. ন্যায়পরায়ণ শাসকের ফযীলত ও যালিম শাসকের শাস্তি। শাসিতদের প্রতি নম্রতা অবলম্বন ও কঠোরতা বর্জন
৪৫৭৮। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু যিয়াদ (রহঃ) মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রহঃ) এর কাছে উপনীত হলেন। তিনি তখন (গুরুতর) পিড়ায় ভুগছেন। তারপর আবূল আশহাব (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী অধিক বলেছেন, আপনি আজকের আগে এ হাদীস আমার কাছে ব্যক্ত করেননি কেন? তিনি বলেন, আমি পূর্বে তোমার কাছে (ইচ্ছা করেই) ব্যক্ত করিনি, অথবা বলেছেন আমি তা (বিশেষ কারণে) তোমার কাছে ব্যক্ত করতে চাইনি।
باب فَضِيلَةِ الإِمَامِ الْعَادِلِ وَعُقُوبَةِ الْجَائِرِ وَالْحَثِّ عَلَى الرِّفْقِ بِالرَّعِيَّةِ وَالنَّهْيِ عَنْ إِدْخَالِ الْمَشَقَّةِ عَلَيْهِمْ
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ دَخَلَ ابْنُ زِيَادٍ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَهُوَ وَجِعٌ . بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي الأَشْهَبِ وَزَادَ قَالَ أَلاَّ كُنْتَ حَدَّثْتَنِي هَذَا، قَبْلَ الْيَوْمِ قَالَ مَا حَدَّثْتُكَ أَوْ، لَمْ أَكُنْ لأُحَدِّثَكَ .
It has been narrated through a different chain of transmitters on the authority of Hasan who said:
Ibn, Ziyad paid a visit to Ma'qil b. Yasir who was seriously ill. Here follows the same tradition as has gone before with the addition that Ibn Ziyad asked: Why didn't you narrate this tradition to me before this day? Ma'qil reprimanded him and said: I did not narrate it to you or I was not going to narrate it to you.
পরিচ্ছেদঃ ৫. ন্যায়পরায়ণ শাসকের ফযীলত ও যালিম শাসকের শাস্তি। শাসিতদের প্রতি নম্রতা অবলম্বন ও কঠোরতা বর্জন
৪৫৮১। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবী আ’ইয ইবনু আমর (রাঃ) একদা উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়ার এর কাছে গেলেন। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, বৎস! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি নিকৃষ্টতম রাখাল (দায়িত্বশীল ও প্রশাসক) হচ্ছে অত্যাচারী শাসক। তুমি তাদের অন্তর্তুক্ত হওয়া থেকে সাবধান থাকবে। তখন সে বললো, বসে পড়! তুমি হচ্ছো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণের ভূষি স্বরূপ। জবাবে তিনি বললেন, তাঁদের মধ্যেও কি ভূষি রয়েছে? ভূষি তো তাদের পরবর্তীদের এবং অন্যান্যদের মধ্যে।
باب فَضِيلَةِ الإِمَامِ الْعَادِلِ وَعُقُوبَةِ الْجَائِرِ وَالْحَثِّ عَلَى الرِّفْقِ بِالرَّعِيَّةِ وَالنَّهْيِ عَنْ إِدْخَالِ الْمَشَقَّةِ عَلَيْهِمْ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو، - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ أَىْ بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ " . فَقَالَ لَهُ اجْلِسْ فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ وَهَلْ كَانَتْ لَهُمْ نُخَالَةٌ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفِي غَيْرِهِمْ .
It has been narrated on the authority of Hasan that A'idh b. 'Amr who was one of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) called on 'Ubaidullah b. Ziyad and said (to him):
O my son, I have heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The worst of guardians is the cruel ruler. Beware of being one of them. Ubaidullah said (to him out of arrogance): Sit you down. You are from the chaff of the Companions of Muhammad (ﷺ). A'idh said: Was there worthless chaff among them? Such worthless chaff appeared after them and among other people.
পরিচ্ছেদঃ ৬৭. উযুর মধ্যে কোন অঙ্গ ধৌত করা বাদ পড়লে।
১৭৪. মূসা ইবনু ইসমাঈল ইউনুস ও হুমায়েদ .... হাসান (রহঃ) হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কাদাতা (রহঃ) বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
باب تَفْرِيقِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَحُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى قَتَادَةَ .
حكم : صحيح لغيره (الألباني
Hasan narrated from the Prophet (ﷺ) a tradition conveying the same meaning as that of Qatadah.
Grade: Sahih li ghairih (Al-Albani)
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. (ইমামকে রুকুতে দেখে) কাতারে না পৌঁছেই রুকুতে যাওয়া।
৬৮৩. হুমায়দ ইবনু মাসআদা .... আল-হাসান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকরা (রাঃ) বলেছেন। একদা তিনি মসজিদে প্রবেশ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রুকূ অবস্থায় পান। রাবী বলেন, তখন আমি কাতারে না পৌছেই রুকূতে যাই। নামাযান্তে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইবাদাতের প্রতি আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরো বৃদ্ধি করুন। তুমি পুনর্বার এরূপ করবে না। (বুখারী,নাসাঈ)।
باب الرَّجُلِ يَرْكَعُ دُونَ الصَّفِّ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ زِيَادٍ الأَعْلَمِ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ أَبَا بَكْرَةَ، حَدَّثَ أَنَّهُ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَنَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَاكِعٌ - قَالَ - فَرَكَعْتُ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ " .
Abu Bakrah said that he came to the mosque when the prophet (ﷺ) was bowing. So I bowed outside the row (before joining it). The prophet (ﷺ) said; May Allah increase your eagerness! But do not do it again.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯. নামাযের প্রারম্ভে চুপ থাকার বর্ণনা।
৭৭৭. ইয়াকুব ইবনু ইব্রাহীম .... আল-হাসান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সামূরা (রাঃ) বলেন, নামাযের মধ্যে যে দুই স্থানে চুপ থাকতে হয় তা আমি স্মরণ রেখেছি। প্রথমত হল যখন তাকবীরে তাহরীমা বলে তখন হতে কিরাআত শুরু করা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়ত ইমাম সূরা ফাতিহা ও কিরাআত পাঠের পর রুকূতে যাওয়ার পূর্বে। ইমরান ইবনু হুসায়েন (রাঃ) এ কথা মেনে নিতে অস্বীকার করলে তারা মদীনায় উবাই ইবনু কাব (রাঃ) এর নিকট এ সম্পর্কে জানার জন্য পত্র লেখেন। তিনি সামুরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছটি সমর্থন করেন। (ইবনু মাজাহ)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, রাবী হুমায়েদ অনুরূপভাবে এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ঐ হাদীছেও কিরআত সমাপ্তির পর ক্ষণিক চুপ থাকা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।
باب السَّكْتَةِ عِنْدَ الاِفْتِتَاحِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ قَالَ سَمُرَةُ حَفِظْتُ سَكْتَتَيْنِ فِي الصَّلاَةِ سَكْتَةً إِذَا كَبَّرَ الإِمَامُ حَتَّى يَقْرَأَ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ عِنْدَ الرُّكُوعِ قَالَ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَالَ فَكَتَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى الْمَدِينَةِ إِلَى أُبَىٍّ فَصَدَّقَ سَمُرَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ حُمَيْدٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَسَكْتَةً إِذَا فَرَغَ مِنَ الْقِرَاءَةِ .
Narrated Samurah ibn Jundub:
I remember two period of silence in prayer, one when the imam said the takbir; and one when he finished reciting the Fatihah and the surah when he was about to bow. But Imran ibn Husayn took it as something strange. So they wrote about it to Ubayy (ibn Ka'b) in Medina. He verified the statement of Samurah.
Abu Dawud said: Humaid also narrated in this tradition the words "and one period silence when he finished the recitation (of the Qur'an)"