পরিচ্ছেদঃ ১. বিতর নামাযের ফযীলত
৪৫২। খারিজা ইবনু হুযাফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকটে বের হয়ে আসলেন। তিনি বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা একটি নামায দিয়ে তোমাদের সাহায্য করেছেন। এটা তোমাদের জন্য অনেক লাল উটের চেয়েও উত্তম তা হল বিতরের নামায। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য এটা ইশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়ের জন্য নির্ধারণ করেছেন —সহীহ। “এটা তোমাদের জন্য অনেক লাল উটের চেয়েও উত্তম” এই অংশ বাদে। ইবনু মাজাহ– (১১৬৮)।
এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, বুরাইদা ও আবু বাসরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ খারিজা ইবনু হুযাফার হাদীসটি গারীব। কেননা এটা আমরা শুধুমাত্র ইয়াযীদ ইবনু আবু হাবীবের সূত্রেই জেনেছি। কিছু মুহাদ্দিস এ হাদীস সম্পর্কে সন্দেহে পড়েছেন এবং আবদুল্লাহ ইবনু রাশিদ আয-যাওফীকে আয-যুরাকী বলে উল্লেখ করেছেন, তা ঠিক নয়। আবু বাসরাহ আল গিফারীর নাম হুমাইল ইবনু বাসরাহ। কোন কোন ব্যক্তি তার নাম জামীল বলেও উল্লেখ করেছেন। তা সঠিক নয়। আরেক আবু বাসরাহ গিফারী রয়েছেন যিনি আবু যার গিফারী থেকে হাদীস বর্ণনা করেও তিনি আবু যারের ভাইপো।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَاشِدٍ الزَّوْفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُرَّةَ الزَّوْفِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ أَمَدَّكُمْ بِصَلاَةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ الْوِتْرُ جَعَلَهُ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ . وَقَدْ وَهِمَ بَعْضُ الْمُحَدِّثِينَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَاشِدٍ الزُّرَقِيِّ وَهُوَ وَهَمٌ فِي هَذَا . وَأَبُو بَصْرَةَ الْغِفَارِيُّ اسْمُهُ حُمَيْلُ بْنُ بَصْرَةَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ جَمِيلُ بْنُ بَصْرَةَ وَلاَ يَصِحُّ . وَأَبُو بَصْرَةَ الْغِفَارِيُّ رَجُلٌ آخَرُ يَرْوِي عَنْ أَبِي ذَرٍّ وَهُوَ ابْنُ أَخِي أَبِي ذَرٍّ .
Kharijab bin Hudhafah narrated:
"Allah's Messenger came out to us and he said: 'Indeed Allah has assisted you with a Salat that is better for you than red camels: Al-Witr which Allah made for you between the Isha prayer till Al-Fajr has begun."
পরিচ্ছেদঃ ২. বিতরের নামায ফরয নয়
৪৫৩। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বিতরের নামায তোমাদের ফরয নামাযসমূহের মত অত্যাবশ্যকীয় (ফরয) নামায নয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ নামায) তোমাদের জন্য সুন্নাতরূপে প্রবর্তন করেছেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বিতর (বেজোড়), তিনি বিতরকে ভালবাসেন। হে কুরআনের বাহকগণ (মুমিনগণ)! তোমরা বিতর আদায় কর। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৬৯)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু উমার, ইবনু মাসউদ ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ’আলী (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْوِتْرُ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَصَلاَتِكُمُ الْمَكْتُوبَةِ وَلَكِنْ سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ فَأَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Ali said:
"Al-Witr is not incumbent like your obligatory prayers, but it is a Sunnah of Allah's Messenger who said: "Indeed Allah is Witr (One), and He loves Al-Witr, so perform Al-Witr O people of the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ২. বিতরের নামায ফরয নয়
৪৫৪। সুফিয়ান সাওরী ও অন্যান্যরা আবু ইসহাক হতে, তিনি আসিম ইবনু যামরাহ হতে, তিনি ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (আলী) বলেছেন, বিতরের নামায ফরয নামাযের মত জরুরী নামায নয়। বরং এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত নামায। —সহীহ। সহীহুত তারগীব- (৫৯০)।
এ হাদীসটি পূর্ববতী আবু বাকার ইবনু আয়্যাশের হাদীসের চেয়ে বেশি সহীহ। মানসূর ইবনু মু’তামিরও এ হাদীসটি আবু ইসহাক হতে আবু বাকার ইবনু আয়্যাশের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ
وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَغَيْرُهُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْوِتْرُ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَهَيْئَةِ الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ وَلَكِنْ سُنَّةٌ سَنَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ . وَقَدْ رَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ نَحْوَ رِوَايَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ .
Sufyan Ath-Thawri and others reported from Abu Ishaq, from Asim bin Damrah, that :
Ali said: "Al-Witr is not incumbent like the status of the obligatory prayers, but it is a Sunnah which Allah's Messenger practiced."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতরের পূর্বে ঘুমানো মাকরূহ
৪৫৫। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায়ের আদেশ করেছেন। -সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১১৮৭)।
ইমাম শাবী রাতের প্রথম দিকেই বিতর আদায় করতেন অতঃপর ঘুমাতেন। এ অনুচ্ছেদে আবু যার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরাহ হাদীসটি হাসান গারীব। আবু সাওর আল আয্দীর নাম হাবীব ইবনু আবী মুলাইকাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও তাদের পরবর্তীরা কোন ব্যক্তির বিতর আদায়ের পূর্বে না ঘুমানোই পছন্দ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শেষ রাতে উঠতে পারবে না বলে আশংকা করে সে যেন রাতের প্রথম দিকেই বিতর আদায় করে নেয়। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শেষ রাতে দাড়ানোর (নামায আদায়ের) আগ্রহ পোষণ করে সে যেন শেষ রাতেই বিতর আদায় করে। কেননা শেষ রাতের কুরআন পাঠ করায় ফেরেশতাগণ হাযির হন। আর এটাই উত্তম।” এ হাদীসটি জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৮৭), মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّوْمِ قَبْلَ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عِيسَى بْنِ أَبِي عَزَّةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي ثَوْرٍ الأَزْدِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُوتِرَ قَبْلَ أَنْ أَنَامَ . قَالَ عِيسَى بْنُ أَبِي عَزَّةَ وَكَانَ الشَّعْبِيُّ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَنَامُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَأَبُو ثَوْرٍ الأَزْدِيُّ اسْمُهُ حَبِيبُ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ . وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ أَنْ لاَ يَنَامَ الرَّجُلُ حَتَّى يُوتِرَ .
وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ خَشِيَ مِنْكُمْ أَنْ لاَ يَسْتَيْقِظَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ أَوَّلِهِ وَمَنْ طَمِعَ مِنْكُمْ أَنْ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَإِنَّ قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ فِي آخِرِ اللَّيْلِ مَحْضُورَةٌ وَهِيَ أَفْضَلُ " . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ هَنَّادٌ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ .
Abu Hurairah narrated:
"Allah's Messenger ordered me to perform Al-Witr before sleeping."
পরিচ্ছেদঃ ৪. বিতর নামায রাতের প্রথম অথবা শেষাংশে আদায় করা
৪৫৬। মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিতর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, তিনি রাতের সকল ভাগেই বিতর আদায় করেছেন, হয় রাতের প্রথম ভাগে অথবা মধ্যভাগে অথবা শেষ ভাগে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বিতর ভোর রাত পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৫৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুসাইনের নাম উসমান ইবনু আসিম আল-আসাদী এ অনুচ্ছেদে আলী, জাবির, আবু মাসউদ আনসারী ও আবু কাতাদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু "ঈসা বলেনঃ আয়িশাহ’র হাদীসটি হাসান সহীহ। একদল আলিম শেষ রাতেই বিতর আদায় করা পছন্দ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ وَآخِرِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَآخِرِهِ فَانْتَهَى وِتْرُهُ حِينَ مَاتَ إِلَى السَّحَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو حَصِينٍ اسْمُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ الأَسَدِيُّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَجَابِرٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ وَأَبِي قَتَادَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوِتْرُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ .
Masruq narrated that :
he asked Aishah about the Witr of the Prophet. She said: "He would perform Witr during all of the night; (either) its beginning, its middle, or its end. So when he died, his Witr ended, during the approachof As-Sahar."
পরিচ্ছেদঃ ৫. বিতর নামায সাত রাক’আত আদায় করা
৪৫৭। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের রাকাআত বিতর আদায় করতেন। যখন তিনি বার্ধক্যে পৌছলেন এবং দুর্বল হয়ে পড়লেন তখন সাত রাকাআত বিতর আদায় করেছেন। -সনদ সহীহ।
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ উম্মু সালামার হাদীসটি হাসান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিতরের নামায তের, এগার, নয়, সাত, পাঁচ, তিন এবং এক রাকাআত বর্ণিত আছে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তের রাকাআত বিতর আদায়ের যে বর্ণনা রয়েছে তার তাৎপর্য হল, রাতের বেলা তিনি (তাহাজ্জুদসহ) তের রাকাআত বিতর আদায় করতেন। এজন্যই রাতের নামাযকে বিতর বলা হয়েছে (বিতরের নামায বলা হয়নি)। এ প্রসংগে ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর একটি হাদীস বর্ণিত আছে। ইসহাক বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে কুরআনের ধারকগণ! বিতর আদায় কর। এই বলে তিনি রাতের নামায বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি (ইসহাক) এর অর্থ করেছেন, হে কুরআনের ধারকগণ রাতে দাঁড়ানো (নামায আদায় করা) জরুরী।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِسَبْعٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً فَلَمَّا كَبِرَ وَضَعُفَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْوِتْرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَتِسْعٍ وَسَبْعٍ وَخَمْسٍ وَثَلاَثٍ وَوَاحِدَةٍ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ مَعْنَى مَا رُوِيَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ قَالَ إِنَّمَا مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَعَ الْوِتْرِ فَنُسِبَتْ صَلاَةُ اللَّيْلِ إِلَى الْوِتْرِ . وَرَوَى فِي ذَلِكَ حَدِيثًا عَنْ عَائِشَةَ وَاحْتَجَّ بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ " . قَالَ إِنَّمَا عَنَى بِهِ قِيَامَ اللَّيْلِ يَقُولُ إِنَّمَا قِيَامُ اللَّيْلِ عَلَى أَصْحَابِ الْقُرْآنِ .
Umm Salamah narrated:
"The Prophet would perform Witr with thirteen [Rak'ah]. When he was older and became weak he performed Witr with seven."
পরিচ্ছেদঃ ৫. বিতর নামায সাত রাক’আত আদায় করা
৪৫৮। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের রাকাআত বিতর আদায় করতেন। যখন তিনি বার্ধক্যে পৌছলেন এবং দুর্বল হয়ে পড়লেন তখন সাত রাকাআত বিতর আদায় করেছেন। -সনদ সহীহ।
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ উম্মু সালামার হাদীসটি হাসান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিতরের নামায তের, এগার, নয়, সাত, পাঁচ, তিন এবং এক রাকাআত বর্ণিত আছে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তের রাকাআত বিতর আদায়ের যে বর্ণনা রয়েছে তার তাৎপর্য হল, রাতের বেলা তিনি (তাহাজ্জুদসহ) তের রাকাআত বিতর আদায় করতেন। এজন্যই রাতের নামাযকে বিতর বলা হয়েছে (বিতরের নামায বলা হয়নি)। এ প্রসংগে ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর একটি হাদীস বর্ণিত আছে। ইসহাক বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে কুরআনের ধারকগণ! বিতর আদায় কর। এই বলে তিনি রাতের নামায বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি (ইসহাক) এর অর্থ করেছেন, হে কুরআনের ধারকগণ রাতে দাঁড়ানো (নামায আদায় করা) জরুরী।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِسَبْعٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً فَلَمَّا كَبِرَ وَضَعُفَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْوِتْرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ وَإِحْدَى عَشْرَةَ وَتِسْعٍ وَسَبْعٍ وَخَمْسٍ وَثَلاَثٍ وَوَاحِدَةٍ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ مَعْنَى مَا رُوِيَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِثَلاَثَ عَشْرَةَ قَالَ إِنَّمَا مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَعَ الْوِتْرِ فَنُسِبَتْ صَلاَةُ اللَّيْلِ إِلَى الْوِتْرِ . وَرَوَى فِي ذَلِكَ حَدِيثًا عَنْ عَائِشَةَ وَاحْتَجَّ بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ " . قَالَ إِنَّمَا عَنَى بِهِ قِيَامَ اللَّيْلِ يَقُولُ إِنَّمَا قِيَامُ اللَّيْلِ عَلَى أَصْحَابِ الْقُرْآنِ .
Umm Salamah narrated:
"The Prophet would perform Witr with thirteen [Rak'ah]. When he was older and became weak he performed Witr with seven."
পরিচ্ছেদঃ ৬. বিতর নামায পাঁচ রাক‘আত
৪৫৯। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের নামাযের সংখ্যা ছিল তের রাকাআত। এর মধ্যে পাঁচ রাকাআত তিনি বিতর আদায় করতেন। এ পাঁচ রাক’আত আদায় শেষ করেই তিনি বসতেন। মুয়াযযিন আযান দিলে তিনি উঠে হালকা দুই রাকাআত নামায আদায় করতেন। সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১২০৯, ১২১০), সালাতুত তারাবীহ, মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবু আইউব (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আয়িশাহ’র হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও অন্যরা বিতর নামায পাঁচ রাকাআত হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এর কোন রাকাআতেই বসবে না, সর্বশেষ রাকাআতে বসবে।
আবু ঈসা বলেনঃ “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় বা সাত রাকাআত বিতর পড়তেন” এই হাদীস সম্পর্কে আমি মুসআব আল-মাদীনীকে জিজ্ঞেস করলাম। আমি বললাম, তিনি কিভাবে নয় বা পড়ার পর সালাম ফিরাতেন এবং শেষে এক রাকাআত বিতর পড়তেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِخَمْسٍ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكَوْسَجُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْ ذَلِكَ بِخَمْسٍ لاَ يَجْلِسُ فِي شَيْءٍ مِنْهُنَّ إِلاَّ فِي آخِرِهِنَّ فَإِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْوِتْرَ بِخَمْسٍ وَقَالُوا لاَ يَجْلِسُ فِي شَيْءٍ مِنْهُنَّ إِلاَّ فِي آخِرِهِنَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَأَلْتُ أَبَا مُصْعَبٍ الْمَدِينِيَّ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِالتِّسْعِ وَالسَّبْعِ قُلْتُ كَيْفَ يُوتِرُ بِالتِّسْعِ وَالسَّبْعِ قَالَ يُصَلِّي مَثْنَى مَثْنَى وَيُسَلِّمُ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ .
Aishah narrated:
"The night prayer of Allah's Messenger was thirteen Rak'ah, five of which were his Witr, not sitting in any of them except at the end of them. When the Mu'adh-dhin called the Adhan he would stand to perform two light (Rak'ah)."
পরিচ্ছেদঃ ৭. বিতরের নামায তিন রাক'আত
৪৬০। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাক’আত বিতরের নামায আদায় করতেন। তিনি এতে মুফাসসাল সূরাসমূহের নয়টি সুরা পাঠ করতেন, প্রতি রাকাআতে তিনটি করে সূরা পাঠ করতেন, এর মধ্যে সর্বশেষ সূরা ছিল “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ”।
অত্যন্ত দুর্বল, মিশকাত (১২৮১)
এ অনুচ্ছেদে ইমরান ইবনু হুসাইন, আইশা, ইবনু আব্বাস, আবূ আইউব, আবদুর রহমান ইবনু আবযা উবাই ইবনু কা’ব প্রমুখ সাহাবী হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও অন্যরা তিন রাক’আত বিতর আদায়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, তুমি চাইলে বিতরের নামায পাঁচ, তিন বা এক রাক’আতও আদায় করতে পার। তিনি আরো বলেছেন, আমি তিন রাকাআত বিতর পড়া পছন্দ করি। ইবনুল মুবারাক ও কুফাবাসীগণের অভিমতও ইহাই। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেছেন, তারা (নিজেরা) পাঁচ রাকাআতও আদায় করতেন, তিন রাকাআতও আদায় করতেন এবং এক রাকাআতও আদায় করতেন। তারা এর প্রতিটিকেই উত্তম মনে করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِثَلاَثٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِثَلاَثٍ يَقْرَأُ فِيهِنَّ بِتِسْعِ سُوَرٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِثَلاَثِ سُوَرٍ آخِرُهُنَّْ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي أَيُّوبَ . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبْزَى عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَيُرْوَى أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . هَكَذَا رَوَى بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أُبَىٍّ وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أُبَىٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُوتِرَ الرَّجُلُ بِثَلاَثٍ . قَالَ سُفْيَانُ إِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِخَمْسٍ وَإِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِثَلاَثٍ وَإِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِرَكْعَةٍ . قَالَ سُفْيَانُ وَالَّذِي أَسْتَحِبُّ أَنْ أُوتِرَ بِثَلاَثِ رَكَعَاتٍ . وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ كَانُوا يُوتِرُونَ بِخَمْسٍ وَبِثَلاَثٍ وَبِرَكْعَةٍ وَيَرَوْنَ كُلَّ ذَلِكَ حَسَنًا .
Ali narrated:
"Allah's Messenger would perform Al-Witr with three, reciting nine Surah from the Mufassal in them, reciting three Surah in each Rak'ah with Say: "Allah is One." At the end of them."Muhammad bin Sirin said: "They would perform Al-Witr with five, with three, and with one Rak'ah, and they considered all of that to be good."
পরিচ্ছেদঃ ৮. বিতর নামায এক রাক’আত
৪৬১। আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আমি কি সকালের দুই রাকাআত (সুন্নাত) দীর্ঘ করতে পারি? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের নামায দুই দুই রাকাআত করে আদায় করতেন এবং এক রাকাআত বিতর আদায় করতেন। অতঃপর দুই রাকাআত (সুন্নাত) আদায় করতেন এমনভাবে যে, তখনও তার কানে আযানের শব্দ আসত অর্থাৎ তিনি সংক্ষিপ্ত করতেন। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৪৪, ১৩১৮), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ্, জাবির, ফযল ইবনু আব্বাস, আবু আইয়ুব ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনু উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু সাহাবী ও তাবিঈ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা বলেন, দুই রাক’আত আদায় করে সালাম ফিরাবে, পরে এক রাকাআত বিতর আদায় করবে। ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ কথা বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِرَكْعَةٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ فَقُلْتُ أُطِيلُ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ وَكَانَ يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ وَالأَذَانُ فِي أُذُنِهِ . يَعَنِي يُخَفِّفُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ رَأَوْا أَنْ يَفْصِلَ الرَّجُلُ بَيْنَ الرَّكْعَتَيْنِ وَالثَّالِثَةِ يُوتِرُ بِرَكْعَةٍ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Anas bin Sirin narrated that :
he asked Ibn Umar about the length of the two Rak'ah (before) Al-Fajr. He said: "The Prophet would pray two and two during the night, and he would perform Al-Witr with one Rak'ah. And he would pray two Rak'ah while he was hearing the Adhan [meaning that they were light]."
পরিচ্ছেদঃ ৯. বিতর নামাযের কিরা'আত
৪৬২। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের প্রথম রাকাআতে “সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা", দ্বিতীয় রাকাআতে “কুল ইয়া আয়ুহাল কাফিরূন” ও তৃতীয় রাকাআতে “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ" সূরা পাঠ করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৭২)।
এ অনুচ্ছেদে আলী, ’আয়িশাহ, আবদুর রহমান ইবনু আবযা এবং উবাই ইবনু কাব (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের তৃতীয় রাকাআতে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করতেন। কিছু সাহাবা ও তাবিঈ ইবনু আব্বাসের হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَا يُقْرَأُ بِهِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْوِتْرِ بِـ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) وَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) فِي رَكْعَةٍ رَكْعَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَيُرْوَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَ فِي الْوِتْرِ فِي الرَّكْعَةِ الثَّالِثَةِ بِالْمُعَوِّذَتَيْنِ وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) . وَالَّذِي اخْتَارَهُ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ أَنْ يُقْرَأَ بِـ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) وَ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) . يُقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ مِنْ ذَلِكَ بِسُورَةٍ .
Ibn Abbas narrated:
"Allah's Messenger would recite during Al-Witr: "Glorify the Name of your Lord the Most High' and, 'Say: O you disbelievers!' and, 'Say: Allah is One,' in each Rak'ah."
পরিচ্ছেদঃ ৯. বিতর নামাযের কিরা'আত
৪৬৩। আবদুল আযীয ইবনু জুরাইজ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাযে কোন কোন সূরা পাঠ করতেন। তিনি বলেন, তিনি প্রথম রাকাআতে সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা’, দ্বিতীয় রাকাআতে কুল ইয়া আয়ুহাল কাফিরূন এবং তৃতীয় রাকাআতে “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরব্বিন-নাস" সূরা পাঠ করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ- (১১৭৩)।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গরীব। রাবী আব্দুল আয়ীজ তিনি ইবনু জুরাইজের পিতা ’আতা’র শাগরিদ। ইবনু জুরাইজের নাম আব্দুল মালিক ইবনু আব্দুল আযীজ ইবনু জুরাইজ। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদও আমরার সূত্রে, তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَا يُقْرَأُ بِهِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَائِشَةَ بِأَىِّ شَيْءٍ كَانَ يُوتِرُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ يَقْرَأُ فِي الأُولَى بِـ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) وَفِي الثَّانِيَةِ بِـ(قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَفِي الثَّالِثَةِ بِـ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ هَذَا هُوَ وَالِدُ ابْنِ جُرَيْجٍ صَاحِبِ عَطَاءٍ وَابْنُ جُرَيْجٍ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ . وَقَدْ رَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Abdul-Aziz bin Juraij said:
"I asked Aishah about what (recitation) Allah's Messenger would perform Al-Witr with. She said: 'In the first he would recite: Glorify the Name of your Lord the Most High, in the second: Say: O you disbelievers!, and in the third: Say: Allah is One" and, Al-Mu'awwidhatain.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০. বিতর নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা
৪৬৪। আবুল হাওরা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলো আমি বিতরের নামাযে পাঠ করে থাকিঃ
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
“হে আল্লাহ! যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছো আমাকেও তাদের সাথে হিদায়াত কর, যাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছ তুমি তাদের সাথে আমার প্রতিও উদারতা দেখাও। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ কর। তুমি আমাকে যা দান করেছ তার মধ্যে বারকাত দাও। তোমার নির্ধারিত খারাবি হতে আমাকে রক্ষা কর। কেননা তুমিই নির্দেশ দিতে পার, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। যাকে তুমি বন্ধু ভেবেছ সে কখনও অপমানিত হয় না। তুমি কল্যাণময়, তুমি সুউচ্চ”। সহীহ। ইরওয়া— (৪২৯), মিশকাত— (১২৭৩), তা’লীক আলা-ইবনু খুজাইমাহ– (১০৯৫), সহীহ আবু দাউদ- (১৪২৫)।
এ অনুচ্ছেদে আলী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। আবুল হাওরার সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা এ হাদীসটি জানতে পারিনি। আবুল হাওরার নাম বার’আহ ইবনু শাইবান।
বিতরে দু’আ কুনুতের ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসের চেয়ে বেশি ভাল হাদীস আমাদের জানা নেই। বিতরের কুনুতের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, সারা বছর (প্রতি রাতে) বিতরের নামাযে কুনুত পাঠ করতে হবে। তিনি রুকূ করার পূর্বে কুনূত পাঠ করা পছন্দ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞের এটাই মত। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগণও একইরকম মত দিয়েছেন। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি কেবল রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করতেন, অন্য সময়ে কুনুত পাঠ করতেন না। কিছু বিশেষজ্ঞ এ মত দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ কথাই বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . وَلاَ نَعْرِفُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَقْنُتُ إِلاَّ فِي النِّصْفِ الآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দোয়া পাঠ করাকে কুনূতের দোয়া বলা হয়। বেতর নামাজে কুনূতের দোয়া পাঠ করার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে নির্ভরযোগ্য পন্থায় সাব্যস্ত হয় নি। তবে তিনি আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] কে বেতর নামাজের কুনূতে পাঠ করার জন্য এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন বেতর নামাজে কুনূতের এই দোয়াটি কোনো কোনো সময় পাঠ করে।
২। বেতর নামাজের শেষ রাকাতে রুকূর পূর্বে অথবা রুকূ থেকে উঠার পর, উভয় অবস্থায় কুনূতের দোয়া পাঠ করা জায়েজ। কুনূতের দোয়াটি হলো এই যে,
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
Al-Hasan bin Ali [may Allah be pleased with him] said:
"Allah's Messenger taught me some phrases to say during Al-Witr (Allahummahdini fiman hadait, wa a'fini fiman afait, wa tawallani fiman tawallait, wa barik Li fima atait, wa qini sharra ma qadait, fa Innaka taqdi wa la yuqda Alaik, wa innahu la yadhillu man walait, tabarakta Rabbana wa ta'alait.) 'O Allah guide me among those You have guided, pardon me among those You have pardoned, befriend me among those You have befriended, bless me in what You have granted, and save me from the evil that You decreed. Indeed You decree, and none can pass decree, and none can pass decree upon You, indeed he is not humiliated whom You have befriended, blessed are You our Lord and Exalted.'"
পরিচ্ছেদঃ ১১. ঘুমের কারনে অথবা ভুলে বিতরের নামায ছুটে গেলে
৪৬৫। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিতরের নামায না আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ল অথবা তা আদায় করতে ভুলে গেল সে যেন মনে হওয়ার সাথে সাথে অথবা ঘুম হতে উঠার সাথে সাথে তা আদায় করে নেয়। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৮৮)।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَنَامُ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ يَنْسَاهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ نَامَ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ فَلْيُصَلِّ إِذَا ذَكَرَ وَإِذَا اسْتَيْقَظَ " .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির বাহ্যিক অবস্থার দ্বারা এটা প্রতিমান হয় যে, যে ব্যক্তি বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে শুয়ে যাওয়ার কারণে অথবা ভুলে যাওয়ার কারণে, সে ব্যক্তি যখনই তা স্মরণ করবে কিংবা নিদ্রা থেকে জেগে উঠবে, রাত্রিবেলায় অথবা দিনের বেলায়, তখনই সে বেতরের নামাজ পড়ে নিবে। যেহেতু আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: “কোনো ব্যক্তি কোনো নামাজ ভুলে গেলে কিংবা কোনো ব্যক্তির ঘুমের কারণে নামাজ ছুটে গেলে তার কাফফারা হলো এই যে, সে উক্ত নামাজের কথা স্মরণ করলেই সাথে সাথে সেই নামাজ পড়ে নিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩১৫ - (৬৮৪) ]।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্মের কতকগুলি পণ্ডিত বলেছেন: যে ব্যক্তি ঘুমের কারণে বেতরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে ব্যক্তি বেতরের নামাজ পড়বে চাশতের নামাজের সময়ে। তবে সে বেতরের নামাজ বিজোড় ও অযুগ্ম পড়বে না বরং যুগ্ম করে পড়বে। যেহেতু আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রিয়তমা আয়েশা উম্মুল মুমেনীন [রাদিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যখন কোনো নফল নামাজ পড়তেন, তখন তিনি তা নিয়মিতভাবেই পড়তে পছন্দ করতেন। তবে যদি তাঁর উপর ঘুম প্রবল হতো অথবা তাঁর কোনো প্রকার কষ্ট হতো, তাহলে তিনি দিনে বারো রাকাআত নফল নামাজ পড়তেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৯ - (৭৪৬) ]।
৩। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি বেতরের নামাজ কাজা করার বিষয়ে উল্লিখিত দুইটি মতের মধ্যে থেকে যে মতটি তার পছন্দ হবে সে মতটি সে গ্রহণ করবে, তবে প্রথম মতটি বেশি প্রাধান্য দেওয়ার উপযোগী। আর এই বিষয়ে মহান আল্লাহই বেশি জানেন।
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that :
Allah's Messenger said: "Whoever sleeps past Al-Witr or forgets it, then let him pray it when he remembers it or when he awakens."
পরিচ্ছেদঃ ১১. ঘুমের কারনে অথবা ভুলে বিতরের নামায ছুটে গেলে
৪৬৬। যাইদ ইবনু আসলাম (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি বিতরের নামায না আদায় করে ঘুমিয়ে গেল সে যেন সকাল বেলা তা আদায় করে নেয়। —সহীহ। ইরওয়া— (৪২২)।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি পূর্ববর্তী হাদীসের তুলনায় বেশি সহীহ। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ’আবদুর রহমান ইবনু যাইদকে ’আলী ইবনু আবদুল্লাহ দুর্বল বলেছেন। বুখারী (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু যাইদকে সিকাহ রাবী বলেছেন। একদল কুফাবাসী এ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, যখন বিতরের কথা মনে হবে তখনই তা আদায় করে নিবে, এমনকি সূর্য উঠার পরে মনে হলেও। সুফিয়ান সাওরী এই মত পোষণ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَنَامُ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ يَنْسَاهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ نَامَ عَنْ وِتْرِهِ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ السِّجْزِيَّ يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ الأَشْعَثِ يَقُولُ سَأَلْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ فَقَالَ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ لاَ بَأْسَ بِهِ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَذْكُرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ ضَعَّفَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ثِقَةٌ . قَالَ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْكُوفَةِ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالُوا يُوتِرُ الرَّجُلُ إِذَا ذَكَرَ وَإِنْ كَانَ بَعْدَ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ .
Zaid bin Aslam narrated from his father that:
the Prophet said: "Whoever sleeps past his Al-Witr then let him pray it in the morning."
পরিচ্ছেদঃ ১২. ভোর হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নেয়া
৪৬৭। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ভোর হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নিবে। সহীহ। ইরওয়া— (২/১৫৪), সহীহ আবু দাউদ- (১২৯০)।
আবু ঈসা বলেন হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي مُبَادَرَةِ الصُّبْحِ بِالْوِتْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَادِرُوا الصُّبْحَ بِالْوِتْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn Umar narrated that :
the Prophet said: "Precede the morning with Al-Witr."
পরিচ্ছেদঃ ১২. ভোর হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নেয়া
৪৬৮। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভোর হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নাও। সহীহ। ইবনু মাজাহ- (১১৮৯), মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي مُبَادَرَةِ الصُّبْحِ بِالْوِتْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوْتِرُوا قَبْلَ أَنْ تُصْبِحُوا " .
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that :
Allah's Messenger said: "Perform Witr before the morning comes upon you."
পরিচ্ছেদঃ ১২. ভোর হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নেয়া
৪৬৯। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন ভোর হয় তখন রাতের সব নামায এবং বিতরের সময় চলে যায়। অতএব তোমরা সকাল হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করে নাও। —সহীহ। ইরওয়া- (২/১৫৪), সহীহ আবু দাউদ- (১২৯০)।
আবু ঈসা বলেনঃ সুলাইমান ইবনু মূসাই কেবল উপরোক্ত শব্দে হাদীসটি রিওয়াত করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ “সকালের নামাযের পর কোন বিতর নেই।” অনেক বিদ্বানগণের এটাই অভিমত।
ইমাম শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাক বলেছেন, ফজরের নামাযের পর বিতরের ওয়াক্ত থাকে না।
باب مَا جَاءَ فِي مُبَادَرَةِ الصُّبْحِ بِالْوِتْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ فَقَدْ ذَهَبَ كُلُّ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالْوِتْرُ فَأَوْتِرُوا قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى قَدْ تَفَرَّدَ بِهِ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ . وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " لاَ وِتْرَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ " . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ الْوِتْرَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ .
Ibn Umar narrated that :
Allah's Messenger said: "When Fajr begins, then every Salat of the night and Al-Witr have gone, so perform Al-Witr before Fajr begins."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. এক রাতে দুই বার বিতরের নামায নেই
৪৭০। তলক ইবনু ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ এক রাতে দুইবার বিতর নেই। -সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১২৯৩)।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। যে ব্যক্তি রাতের প্রথম অংশে বিতর আদায় করেছে সে আবার শেষ রাতে নামায আদায় করতে উঠলে তাকে আবার বিতর আদায় করতে হবে কিনা এ ব্যাপারে মনীষীদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। একদল সাহাবী ও তাবিঈর মত হল, সে তার বিতর নষ্ট করে দিবে। তারা বলেন, সে আরো এক রাকাআত করবে। সব নামাযের শেষে বিতর আদায় করবে। এ পদ্ধতি মানার কারণ হল, রাতে একবারের বেশি বিতর নেই। ইমাম ইসহাক এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।
অপর একদল সাহাবা ও তাবিঈর মত হল, যে ব্যক্তি প্রথম রাতে বিতর আদায় করেছে সে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করতে উঠলে যত রাকাআত ইচ্ছা আদায় করে নিবে। বিতর নষ্ট করার বা আবার আদায় করার প্রয়োজন নেই। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, মালিক, শাফিঈ, কুফাবাসী এবং আহমাদ এ মত দিয়েছেন এবং এই মতই বেশি সহীহ। কেননা একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর আদায় করার পর নফল আদায় করেছেন।
باب مَا جَاءَ لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الَّذِي يُوتِرُ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ ثُمَّ يَقُومُ مِنْ آخِرِهِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ نَقْضَ الْوِتْرِ وَقَالُوا يُضِيفُ إِلَيْهَا رَكْعَةً وَيُصَلِّي مَا بَدَا لَهُ ثُمَّ يُوتِرُ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ لأَنَّهُ " لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ " . وَهُوَ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ إِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِذَا أَوْتَرَ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَا بَدَا لَهُ وَلاَ يَنْقُضُ وِتْرَهُ وَيَدَعُ وِتْرَهُ عَلَى مَا كَانَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَحْمَدَ . وَهَذَا أَصَحُّ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ صَلَّى بَعْدَ الْوِتْرِ .
Qais bin Talq bin Ali narrated that :
his father said: I heard Allah's Messenger saying: "There are no two Witr in one night."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. এক রাতে দুই বার বিতরের নামায নেই
৪৭১। উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাযের পর দুই রাক’আত নামায আদায় করতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৯৫)।
আবু উমামা, আয়িশাহ (রাঃ) ও অন্যান্যরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে এরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مُوسَى الْمَرَئِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْوِتْرِ رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنْ أَبِي أُمَامَةَ وَعَائِشَةَ وَغَيْرِ وَاحِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Umm Salamah narrated:
"The Prophet would pray two Rak'ah after Al-Witr."