সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ)
২৫২৩

পরিচ্ছেদঃ ১. জান্নাতের গাছের বর্ণনা

২৫২৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে এক বিশাল গাছ আছে, যার ছায়াতলে যে কোন যাত্রী একশত বছর ধরে চলতে থাকবে (কিন্তু তা অতিক্রম করে যেতে পারবে না)।

সহীহঃ বুখারী (৩২৫২)।

আনাস ও আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَشَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث، عن سعيد بن ابي سعيد المقبري، عن ابيه، عن ابي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ ان في الجنة لشجرة يسير الراكب في ظلها ماىة سنة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن انس وابي سعيد ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Verily, in Paradise there is a tree, a rider will travel in it's shade for a hundred years."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৪

পরিচ্ছেদঃ ১. জান্নাতের গাছের বর্ণনা

২৫২৪। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, যার ছায়াতলে যে কোন যাত্রী একশত বছর ধরে চলতে থাকবে কিন্তু তা অতিক্রম করে যেতে পারবে না। আর এটাই হলো (কুরআনে বর্ণিত) “সম্প্রসারিত ছায়া”। (সূরা ওয়াকিআহ ৩০)

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ সাঈদ (রাঃ)-এর বর্ণনা হিসেবে হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لاَ يَقْطَعُهَا وَقَالَ ذَلِكَ الظِّلُّ الْمَمْدُودُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

حدثنا عباس الدوري، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن شيبان، عن فراس، عن عطية، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها ماىة عام لا يقطعها وقال ذلك الظل الممدود ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من حديث ابي سعيد ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"In Paradise there is a tree, a rider will travel in its shade for a hundred years without reaching an end."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৫

পরিচ্ছেদঃ ১. জান্নাতের গাছের বর্ণনা

২৫২৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের প্রতিটি গাছের কাণ্ডই স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত।

সহীহ, তা’লীকুর রাগীব (৪/২৫৭)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ সাঈদের বর্ণনা হিসেবে গারীব।

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ الْفُرَاتِ الْقَزَّازُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ إِلاَّ وَسَاقُهَا مِنْ ذَهَبٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، حدثنا زياد بن الحسن بن الفرات القزاز، عن ابيه، عن جده، عن ابي حازم، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما في الجنة شجرة الا وساقها من ذهب ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من حديث ابي سعيد ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"There is not a tree in Paradise except that its tree is of gold."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৬

পরিচ্ছেদঃ ২. জান্নাত ও এর উপকরণাদির বর্ণনা

২৫২৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কি হলো যে, আমরা দুনিয়ার প্রতি উদাসীন হয়ে যাই এবং আমাদেরকে পরকালবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করতে থাকি। তারপর আপনার কাছ থেকে সরে গিয়ে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে গিয়ে দুনিয়াবী কাজে জড়িয়ে পড়ি এবং সন্তানাদির সুগন্ধ পেতে থাকি, তখন আমাদের অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে যায়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা যে অবস্থায় আমার নিকট হতে বেরিয়ে যাও, সবসময় যদি সেই অবস্থায় থাকতে তাহলে ফেরেশতারা তোমাদের বাড়ীতে গিয়ে তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতো। আর তোমরা অপরাধ না করলে আল্লাহ তা’আলা নতুন প্রাণী সৃষ্টি করতেন। যাতে তারা অপরাধ করে আর তিনি তাদেরকে ক্ষমা করেন।

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি প্রশ্ন করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কি দিয়ে প্রাণী সৃষ্টি করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ পানি দিয়ে। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, কি দিয়ে জান্নাত তৈরি করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ সোনা-রুপার ইট দিয়ে। একটি রূপার ইট, তারপর একটি সোনার ইট, এভাবে গাথা হয়েছে। এর গাথুনির উপকরণ (চুন-সুরকি-সিমেন্ট) সুগন্ধি মৃগনাভি এবং কংকরসমূহ মণি-মুক্তার ও মাটি হলো জাফরান। জান্নাতে প্রবেশকারী লোক অত্যন্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দে থাকবে, কোন দুঃখ-কষ্ট ও অভাব-অনটন তাকে স্পর্শ করবে না। সে অনন্তকাল এতে অবস্থান করবে আর মৃত্যুবরণ করবে না। না তার পরনের পোশাক পুরাতন হবে আর না তার যৌবনকাল শেষ হবে (অনন্তযৌবনা হবে)।

তিনি পুনরায় বললেনঃ তিনজনের দু’আ ফিরিয়ে দেয়া হয়নাঃ ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু’আ, রোযাদারের ইফতারের সময়কালীন দু’আ এবং মাযলুমের দু’আ আল্লাহ তা’আলা একে (মায়ালুমের দু’আ) মেঘমালার উপর তুলে নেন, তার জন্য আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমার ইজ্জাত ও সম্মানের শপথ! কিছু দেরিতে হলেও আমি তোমাকে সাহায্য করবো।

“কি দিয়ে প্রাণী সৃষ্টি করা হয়েছে" অংশটুকু ব্যতীত হাদীসটি সহীহ, সহীহাহ (২/৬৯২-৬৯৩), গাইয়াতুল মারাম (৩৭৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসের সনদ খুব একটা মজবুত নয়। আর আমার মতে এর সনদসূত্র মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত) নয়। এই হাদীসটি অন্য সনদেও আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، عَنْ زِيَادٍ الطَّائِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا إِذَا كُنَّا عِنْدَكَ رَقَّتْ قُلُوبُنَا وَزَهِدْنَا فِي الدُّنْيَا وَكُنَّا مِنْ أَهْلِ الآخِرَةِ فَإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِكَ فَآنَسْنَا أَهَالِيَنَا وَشَمَمْنَا أَوْلاَدَنَا أَنْكَرْنَا أَنْفُسَنَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ أَنَّكُمْ تَكُونُونَ إِذَا خَرَجْتُمْ مِنْ عِنْدِي كُنْتُمْ عَلَى حَالِكُمْ ذَلِكَ لَزَارَتْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ فِي بُيُوتِكُمْ وَلَوْ لَمْ تُذْنِبُوا لَجَاءَ اللَّهُ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ كَىْ يُذْنِبُوا فَيَغْفِرَ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مِمَّ خُلِقَ الْخَلْقُ قَالَ ‏"‏ مِنَ الْمَاءِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا الْجَنَّةُ مَا بِنَاؤُهَا قَالَ ‏"‏ لَبِنَةٌ مِنْ فِضَّةٍ وَلَبِنَةٌ مِنْ ذَهَبٍ وَمِلاَطُهَا الْمِسْكُ الأَذْفَرُ وَحَصْبَاؤُهَا اللُّؤْلُؤُ وَالْيَاقُوتُ وَتُرْبَتُهَا الزَّعْفَرَانُ مَنْ يَدْخُلْهَا يَنْعَمْ وَلاَ يَبْأَسْ وَيُخَلَّدْ وَلاَ يَمُوتْ لاَ تَبْلَى ثِيَابُهُمْ وَلاَ يَفْنَى شَبَابُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ ثَلاَثَةٌ لاَ تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ الإِمَامُ الْعَادِلُ وَالصَّائِمُ حِينَ يُفْطِرُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا فَوْقَ الْغَمَامِ وَتُفَتَّحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَيَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ وَعِزَّتِي لأَنْصُرَنَّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ الْقَوِيِّ وَلَيْسَ هُوَ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ بِإِسْنَادٍ آخَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا محمد بن فضيل، عن حمزة الزيات، عن زياد الطاىي، عن ابي هريرة، قال قلنا يا رسول الله ما لنا اذا كنا عندك رقت قلوبنا وزهدنا في الدنيا وكنا من اهل الاخرة فاذا خرجنا من عندك فانسنا اهالينا وشممنا اولادنا انكرنا انفسنا ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لو انكم تكونون اذا خرجتم من عندي كنتم على حالكم ذلك لزارتكم الملاىكة في بيوتكم ولو لم تذنبوا لجاء الله بخلق جديد كى يذنبوا فيغفر لهم ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا رسول الله مم خلق الخلق قال ‏"‏ من الماء ‏"‏ ‏.‏ قلنا الجنة ما بناوها قال ‏"‏ لبنة من فضة ولبنة من ذهب وملاطها المسك الاذفر وحصباوها اللولو والياقوت وتربتها الزعفران من يدخلها ينعم ولا يباس ويخلد ولا يموت لا تبلى ثيابهم ولا يفنى شبابهم ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ ثلاثة لا ترد دعوتهم الامام العادل والصاىم حين يفطر ودعوة المظلوم يرفعها فوق الغمام وتفتح لها ابواب السماء ويقول الرب عز وجل وعزتي لانصرنك ولو بعد حين ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث ليس اسناده بذاك القوي وليس هو عندي بمتصل وقد روي هذا الحديث باسناد اخر عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Abu Hurairah narrated:
"We said: 'O Messenger of Allah! What is wrong with us that when we are with you our hearts are softened and we feel free of desire for this world, and we are of the people of the Hereafter. But when we depart from you and socialize with our families and our children, we do not recognize ourselves(i.e., we are changed persons)?' So the Messenger of Allah (s.a.w) said: 'If you were to be in that condition when you depart from me, the angels would have surely visited you in your houses. And if you did not sin, Allah would surely have brought anew creation that they may sin, so that then He may forgive them.'"He said: "I said: 'O Messenger of Allah! From what was the creation created?' He said: 'From water.' We said: 'Paradise, what is it constructed of?' He said,'Bricks of silver and bricks of gold. Its mortar is musk of a strong fragrance, and its pebbles are pearls and rubies, and its earth is saffron. Whoever enters it shall live and shall not suffer, and shall feel joy and shall not die, nor shall their clothes wear out, nor shall their youth come to an end.' Then he said: 'Three persons , their supplication is not rejected: The just ruler, the fasting person when he breaks his fast, and the supplication of the wronged person. It is raised up above the clouds, and the gates of Heaven are opened up for it, and the Lord, Blessed and Exalted says: I shall surely come to your aid, even if after a time.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. জান্নাতের প্রাসাদসমূহের বিবরণ

২৫২৭। আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের প্রাসাদগুলো এমন হবে যে, এর ভিতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যাবে এবং বাইরে থেকে ভিতরের সবকিছু দেখা যাবে। এক বেদুঈন উঠে দড়িয়ে প্রশ্ন করলে, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব প্রসাদ কাদের জন্য? তিনি বললেনঃ যারা উত্তম ও সুমধুর কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়, প্রায়ই রোযা রাখে এবং লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় জাগ্রত থেকে আল্লাহ তা’আলার জন্য নামায আদায় করে তাদের জন্য।

হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব (২/৪৬), মিশকাত (১২৩৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। কোন কোন হাদীস বিশারদ আবদুর রাহমান ইবনু ইসহাকের স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। তিনি কুফার বাসিন্দা। অন্যদিকে আবদুর রাহমান ইবনু ইসহাক আল-কুরাশী মদীনার অধিবাসী। ইনি প্রথম ব্যক্তির চাইতে বেশি নির্ভরযোগ্য।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَغُرَفًا يُرَى ظُهُورُهَا مِنْ بُطُونِهَا وَبُطُونُهَا مِنْ ظُهُورِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ لِمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ هِيَ لِمَنْ أَطَابَ الْكَلاَمَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَأَدَامَ الصِّيَامَ وَصَلَّى لِلَّهِ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ هَذَا مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَهُوَ كُوفِيٌّ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ الْقُرَشِيُّ مَدَنِيٌّ وَهُوَ أَثْبَتُ مِنْ هَذَا ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا علي بن مسهر، عن عبد الرحمن بن اسحاق، عن النعمان بن سعد، عن علي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان في الجنة لغرفا يرى ظهورها من بطونها وبطونها من ظهورها ‏"‏ ‏.‏ فقام اليه اعرابي فقال لمن هي يا رسول الله قال ‏"‏ هي لمن اطاب الكلام واطعم الطعام وادام الصيام وصلى لله بالليل والناس نيام ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ وقد تكلم بعض اهل العلم في عبد الرحمن بن اسحاق هذا من قبل حفظه وهو كوفي وعبد الرحمن بن اسحاق القرشي مدني وهو اثبت من هذا ‏.‏


'Ali narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Indeed in Paradise there are chambers whose outside can be seen from their inside, and their inside can be seen fom their outside." A Bedouin stood and said: "Who are they for O Prophet of Allah?" he said: "For those who speak well, feed others, fast regularly, and perform Salat for Allah during the night while the people sleep."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. জান্নাতের প্রাসাদসমূহের বিবরণ

২৫২৮। আবদুল্লাহ ইবনু কাইস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে দুটি বাগান আছে, যার সকল পাত্রসমূহ ও অন্যান্য সামগ্রী রুপা দিয়ে নির্মিত এবং আরো দুটি বাগান আছে, যার পাত্রসমূহ ও এতে যা কিছু আছে সবই স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত। আর আদন নামক জান্নাতে মানুষ ও তাদের পালনকর্তার সাক্ষাতের মাঝে মহাপরাক্রমশালীর গৌরবের চাদর ছাড়া আর কিছুই অন্তরাল থাকবে না।

“সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৬), বুখারী, মুসলিম।

একই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ জান্নাতে মণি-মুক্তা দিয়ে নির্মিত একটি তাবুর প্রস্থ ষাট মাইল। এর প্রতিটি কোণে এক একজন করে হুর থাকবে। অন্যরা তাকে দেখতে পাবে না। ঈমানদারগণ তাদের (নিজ নিজ হুরের) নিকট যাতায়াত করবে।

সহীহঃ বুখারী (৩২৪৩), মুসলিম (৮/১৪৮)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ ইমরান আল-জাওনীর নাম ’আবদুল মালিক ইবনু হাবীব। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহঃ) বলেন, আবূ বকর ইবনু আবূ মূসার নাম অজানা। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাযিঃ)-এর নাম ’আবদুল্লাহ ইবনু কাইস। আবূ মালিক আল-আশ’আর (রাযিঃ)-এর নাম সা’দ ইবনু তারিক ইবনু আশইয়াম।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ جَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ فِضَّةٍ وَجَنَّتَيْنِ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا مِنْ ذَهَبٍ وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ ‏"‏ ‏.‏

وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ دُرَّةٍ مُجَوَّفَةٍ عَرْضُهَا سِتُّونَ مِيلاً فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ مَا يَرَوْنَ الآخَرِينَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ الْمُؤْمِنُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ يُعْرَفُ اسْمُهُ ‏.‏ وَأَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ وَأَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقِ بْنِ أَشْيَمَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد العزيز بن عبد الصمد ابو عبد الصمد العمي، عن ابي عمران الجوني، عن ابي بكر بن عبد الله بن قيس، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان في الجنة جنتين انيتهما وما فيهما من فضة وجنتين انيتهما وما فيهما من ذهب وما بين القوم وبين ان ينظروا الى ربهم الا رداء الكبرياء على وجهه في جنة عدن ‏"‏ ‏.‏ وبهذا الاسناد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان في الجنة لخيمة من درة مجوفة عرضها ستون ميلا في كل زاوية منها اهل ما يرون الاخرين يطوف عليهم المومن ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏ وابو عمران الجوني اسمه عبد الملك بن حبيب وابو بكر بن ابي موسى قال احمد بن حنبل لا يعرف اسمه ‏.‏ وابو موسى الاشعري اسمه عبد الله بن قيس وابو مالك الاشعري اسمه سعد بن طارق بن اشيم ‏.‏


Abu Bakr bin 'Abdullah bin Qais narrated from his father that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed, in Paradise, there are two gardens, their vessels and all that are in them are of silver. And, there are two gardens, their vessels and all that are in them are of gold. There is nothing between the people and their seeing their Lord except the Cloak of Greatness upon his Face in the Garden of Eternity." And from the chain it is reported from the Prophet (s.a.w) he said: "Indeed in Paradise there is a great tent of hollowed pearl, its breadth is sixty miles, in every corner of it is a family, they do not see the others, and the believer goes around to them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫২৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. জান্নাতের স্তরসমূহের বিবরণ

২৫২৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের একশত স্তর (ধাপ) রয়েছে। প্রত্যেক দু স্তরের মাঝখানে রয়েছে একশত বছরের ব্যবধান।

সহীহঃ সহীহাহ (৯২২), মিশকাত (৫৬৩২)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ فِي الْجَنَّةِ مِائَةُ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ مِائَةُ عَامٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عباس العنبري، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا شريك، عن محمد بن جحادة، عن عطاء، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ في الجنة ماىة درجة ما بين كل درجتين ماىة عام ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"In Paradise, there are a hundred levels, between every two levels is (the distance of) a hundred years."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩০

পরিচ্ছেদঃ ৪. জান্নাতের স্তরসমূহের বিবরণ

২৫৩০। মু’আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক রামাযানের রোযা রেখেছে, নামায আদায় করেছে এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ আদায় করেছে, বর্ণনাকারী বলেন, মু’আয (রাযিঃ) যাকাতের কথা বলেছেন কি-না আমার মনে নেই, তার অপরাধ ক্ষমা করা আল্লাহ তা’আলার দায়িত্ব হয়ে যায়, চাই সে আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় হিজরত করুক কিংবা আপন জন্মস্থানেই অবস্থান করুক। মু’আয (রাযিঃ) বলেন, আমি কি মানুষের নিকট এই খবর পৌছে দিব না?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লোকদেরকে ’আমল করতে ছেড়ে দাও। কেননা, জান্নাতে একশ স্তর রয়েছে। প্রত্যেক দু’স্তরের মাঝখানে আসমান-যমীনের সমান ব্যবধান বিদ্যমান। আর সর্বোচ্চ ও সর্বোৎকৃষ্ট জান্নাত হচ্ছে ফিরদাউস। এর উপরেই রয়েছে আল্লাহ তা’আলার আরশ এবং এখান থেকেই জান্নাতের ঝর্ণাসমূহ প্রবাহমান। সুতরাং তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাউসের প্রার্থনা করবে।

সহীহঃ সহীহাহ (৯২১)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি এভাবেই হিশাম ইবনু সাঈদ হতে, মুআয ইবনু জাবাল হতে এই সনদে বর্ণিত হয়েছে। আমার মতে এই হাদীসটি অধিক সহীহ। হাম্মামের সূত্রে যাইদ ইবনু আসলাম হতে, তিনি আতা ইবনু ইয়াসার হতে, তিনি উবাদাহ ইবনু সামিত হতে এই সনদে বর্ণিত হাদীসের চাইতে। আতা মুআয ইবনু জাবালের সাক্ষাৎ পাননি। মু’আজ ইবনু জাবাল উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَصَلَّى الصَّلَوَاتِ وَحَجَّ الْبَيْتَ لاَ أَدْرِي أَذَكَرَ الزَّكَاةَ أَمْ لاَ إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ إِنْ هَاجَرَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَكَثَ بِأَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُعَاذٌ أَلاَ أُخْبِرُ بِهَذَا النَّاسَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ذَرِ النَّاسَ يَعْمَلُونَ فَإِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلَى الْجَنَّةِ وَأَوْسَطُهَا وَفَوْقَ ذَلِكَ عَرْشُ الرَّحْمَنِ وَمِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏ وَعَطَاءٌ لَمْ يُدْرِكْ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَمُعَاذٌ قَدِيمُ الْمَوْتِ مَاتَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، واحمد بن عبدة الضبي البصري، قالا حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن زيد بن اسلم، عن عطاء بن يسار، عن معاذ بن جبل، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من صام رمضان وصلى الصلوات وحج البيت لا ادري اذكر الزكاة ام لا الا كان حقا على الله ان يغفر له ان هاجر في سبيل الله او مكث بارضه التي ولد بها ‏"‏ ‏.‏ قال معاذ الا اخبر بهذا الناس فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ذر الناس يعملون فان في الجنة ماىة درجة ما بين كل درجتين كما بين السماء والارض والفردوس اعلى الجنة واوسطها وفوق ذلك عرش الرحمن ومنها تفجر انهار الجنة فاذا سالتم الله فسلوه الفردوس ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا روي هذا الحديث عن هشام بن سعد عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار عن معاذ بن جبل وهذا عندي اصح من حديث همام عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار عن عبادة بن الصامت ‏.‏ وعطاء لم يدرك معاذ بن جبل ومعاذ قديم الموت مات في خلافة عمر ‏.‏


Mu'adh bin Jabal narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Whoever fasts Ramadan, performs the Salat, performs Hajj to the House" - I do not know whether he mentioned Zakat or not - "except that it is binding on Allah that He forgive him, whether he emigrated in the cause of Allah, or remained in his land in which he was born." Mu'adh said: "Should I not inform the people of this?" The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Leave the people to do deeds, for verily in Paradise there are a hundred levels, what is between every two levels is like what is between the heavens and the earth. Al-Firdaus is the highest of Paradise and its most expansive, and above that is the Throne of Ar-Rahman (the Most Merciful), and from it the rivers of Paradise are made to flow forth. So when you ask Allah, ask Him for Al-Firdaus."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩১

পরিচ্ছেদঃ ৪. জান্নাতের স্তরসমূহের বিবরণ

২৫৩১। উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে একশতটি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মাঝে আসমান-যমীনের সমান ব্যবধান বর্তমান। ফিরদাউস হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু স্তরের জান্নাত, সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবং এর উপরেই (আল্লাহ তা’আলার) আরশ স্থাপিত। তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাউসের প্রার্থনা করবে।

সহীহঃ প্রাগুক্ত।

যাইদ ইবনু আসলাম (রাহঃ) হতে এই সূত্রেও উপরের হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فِي الْجَنَّةِ مِائَةُ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلاَهَا دَرَجَةً وَمِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ الأَرْبَعَةُ وَمِنْ فَوْقِهَا يَكُونُ الْعَرْشُ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا يزيد بن هارون، اخبرنا همام، حدثنا زيد بن اسلم، عن عطاء بن يسار، عن عبادة بن الصامت، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ في الجنة ماىة درجة ما بين كل درجتين كما بين السماء والارض والفردوس اعلاها درجة ومنها تفجر انهار الجنة الاربعة ومن فوقها يكون العرش فاذا سالتم الله فسلوه الفردوس ‏"‏ ‏.‏ حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، حدثنا همام، عن زيد بن اسلم، نحوه ‏.‏


'Ubadah bin As-Samit narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"In Paradise, there are a hundred levels, what is between every two levels is like what is between the heavens and the earth. Al-Firdaus is ts highest level, and from it the four rivers of Paradise are made to flow forth. So when you ask Allah, ask Him for Al-Firdaus."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩২

পরিচ্ছেদঃ ৪. জান্নাতের স্তরসমূহের বিবরণ

২৫৩২। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে এক শত স্তর (তলা) রয়েছে। সমস্ত দুনিয়াবাসীও যদি একই স্তরে এসে জমা হয়, তবুও তাতেই তাদের সংকুলান হবে।

যঈফ, মিশকাত (৫৬৩৩), যঈফা (১৮৮৬)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ لَوْ أَنَّ الْعَالَمِينَ اجْتَمَعُوا فِي إِحْدَاهُنَّ لَوَسِعَتْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابن لهيعة، عن دراج ابي السمح، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان في الجنة ماىة درجة لو ان العالمين اجتمعوا في احداهن لوسعتهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏


Abu Sa'eed narrated that the Prophet (ﷺ) said:
"Indeed there are a hundred levels in Paradise, if all of the People of Paradise were to be gathered in one of them, it would have sufficed them."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. জান্নাতী রমণীদের বিবরণ

২৫৩৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সত্তর জোড়া (পরত) কাপড়ের ভেতর হতেও জান্নাতী মহিলাদের পায়ের গোছার উজ্জ্বলতা দেখা যাবে, এমনকি এর অস্থিও দেখা যাবে। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ “তারা (হুরগণ) যেন মহামূল্যবান পদ্মরাগমণি ও মুক্তা”— (সূরা আর-রহমানঃ ৫৮)। আর পদ্মরাগমণি তো এমন একটি পাথর যে, এর মধ্যে তুমি একটি সুতা ঢুকিয়ে তারপর তা পরিষ্কার করে দেখতে চাও, তাহলে এর বাইরে হতেও তা দেখতে পারবে।

(য"ঈফ; তা’লীকুর রাগীব-হাঃ নং- ৪/২৬৩)

এ হাদীসটি হান্নাদ আবীদাহ ইবনু হুমাইদ হতেও উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ، أَخْبَرَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ مِنْ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ لَيُرَى بَيَاضُ سَاقِهَا مِنْ وَرَاءِ سَبْعِينَ حُلَّةً حَتَّى يُرَى مُخُّهَا وَذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يَقُولُ‏:‏ ‏(‏كَأََنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ ‏)‏ فَأَمَّا الْيَاقُوتُ فَإِنَّهُ حَجَرٌ لَوْ أَدْخَلْتَ فِيهِ سِلْكًا ثُمَّ اسْتَصْفَيْتَهُ لأُرِيتَهُ مِنْ وَرَائِهِ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، حدثنا فروة بن ابي المغراء، اخبرنا عبيدة بن حميد، عن عطاء بن الساىب، عن عمرو بن ميمون، عن عبد الله بن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ ان المراة من نساء اهل الجنة ليرى بياض ساقها من وراء سبعين حلة حتى يرى مخها وذلك بان الله يقول‏:‏ ‏(‏كانهن الياقوت والمرجان ‏)‏ فاما الياقوت فانه حجر لو ادخلت فيه سلكا ثم استصفيته لاريته من وراىه ‏"‏ ‏.‏ حدثنا هناد، حدثنا عبيدة بن حميد، عن عطاء بن الساىب، عن عمرو بن ميمون، عن عبد الله بن مسعود، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


'Abdullah bin Mas'ud narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed, a woman from the wives of the people of Paradise, the whiteness of her shin is visible through seventy garments until her marrow is seen, and that is because Allah, he Exalted, says: As if they are corundum and Marjan. So, as for the corundum, it is a stone that if you were to enter a wire through it, then you polished its cloudiness away, you would surely be able to see it through it."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. জান্নাতী রমণীদের বিবরণ

২৫৩৪। হান্নাদ স্বীয় সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মারফুরূপে নয়।

(দেখুন পূর্বের হাদীস)

আর এ হাদীস পূর্বোক্ত আবীদার হাদীসের তুলনায় অধিক সহীহ। এভাবেই জারীর প্রমুখগণ আতা ইবনু আস-সায়িব হতে আবূল আহ ওয়াসের মতই বর্ণনা করেছেন। মাওকুফরুপে আর এটি সঠিক।

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبِيدَةَ بْنِ حُمَيْدٍ وَهَكَذَا رَوَى جَرِيرٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ ‏.‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ أَصْحَابُ عَطَاءٍ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو الاحوص، عن عطاء بن الساىب، عن عمرو بن ميمون، عن عبد الله بن مسعود، نحوه بمعناه ولم يرفعه ‏.‏ وهذا اصح من حديث عبيدة بن حميد وهكذا روى جرير وغير واحد عن عطاء بن الساىب ولم يرفعوه ‏.‏ حدثنا قتيبة، حدثنا جرير، عن عطاء بن الساىب، نحو حديث ابي الاحوص ولم يرفعه اصحاب عطاء وهذا اصح ‏.‏


(Another chain:) From 'Abdullah bin Mas'ud, similar in meaning, and he did not report it in Marfu' form. And this is more correct than the narration of 'Abidah bin Humaid (a narrator in no.2533), and it has been reported like this by Jarir and more than one from 'Ata' bin As-Sa'ib, and they did not mention it in Marfu' form.[Qutaibah repoted to us (he said): "Jarir reported to us, from 'Ata' bin As-Sa'ib and it is similar to the narration of Abu Al-Ahwas. The companions of 'Ata' did not narrate it in Marfu' form, and this is more correct.]


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. জান্নাতী রমণীদের বিবরণ

২৫৩৫। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দলটি কিয়ামত দিবসে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে, দলের মুখমণ্ডল হবে আকাশে মুক্তার ন্যায় জ্বলজ্বলে তারকার মতো উজ্জ্বল। তাদের মধ্যে প্রত্যেক পুরুষের জন্য দু’জন করে স্ত্রী (হুর) থাকবে এবং প্রত্যেক স্ত্রীর সত্তরজোড়া জামা থাকবে। এই জামার ভিতর দিয়েও তার পায়ের জংঘার অস্থিমজ্জা দেখা যাবে।

সহীহঃ সহীহাহ (১৭৩৬), মিশকাত তাহকীক সানী (৫৬৩৫), তা’লীকুর রাগীব (২৬১)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْءُ وُجُوهِهِمْ عَلَى مِثْلِ ضَوْءِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ وَالزُّمْرَةُ الثَّانِيَةُ عَلَى مِثْلِ أَحْسَنِ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ عَلَى كُلِّ زَوْجَةٍ سَبْعُونَ حُلَّةً يُرَى مُخُّ سَاقِهَا مِنْ وَرَائِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا ابي، عن فضيل بن مرزوق، عن عطية، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان اول زمرة يدخلون الجنة يوم القيامة ضوء وجوههم على مثل ضوء القمر ليلة البدر والزمرة الثانية على مثل احسن كوكب دري في السماء لكل رجل منهم زوجتان على كل زوجة سبعون حلة يرى مخ ساقها من وراىها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"Indeed the first batch to enter Paradise will appear like the moon of a night that is full. The second will appear like the color of the most beautiful (brightest) star in the sky. Each man among them shall have two wives, each wife wearing seventy bracelets, with the marrow of their shins being visible from behind them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. জান্নাতীদের সঙ্গমশক্তি

২৫৩৬। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতে প্রত্যেক মুমিনকে এত এত পরিমাণ সঙ্গমশক্তি প্রদান করা হবে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারা এমন করতে সক্ষম হবে? তিনি বলেনঃ প্রত্যেককে একশত জনের সমান সঙ্গমশক্তি প্রদান করা হবে।

হাসান সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ৫৬৩৬)।

যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ গারীব। ইমরান আল-কাত্তান (রাহঃ) ছাড়া কাতাদা হতে আনাস (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটি সম্বন্ধে আমাদের জানা নেই।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يُعْطَى الْمُؤْمِنُ فِي الْجَنَّةِ قُوَّةَ كَذَا وَكَذَا مِنَ الْجِمَاعِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَيُطِيقُ ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ يُعْطَى قُوَّةَ مِائَةٍ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، ومحمود بن غيلان، قالا حدثنا ابو داود الطيالسي، عن عمران القطان، عن قتادة، عن انس، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ يعطى المومن في الجنة قوة كذا وكذا من الجماع ‏"‏ ‏.‏ قيل يا رسول الله اويطيق ذلك قال ‏"‏ يعطى قوة ماىة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن زيد بن ارقم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح غريب لا نعرفه من حديث قتادة عن انس الا من حديث عمران القطان ‏.‏


Anas narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"The believer shall be given in paradise such and such strength in intercourse ." it was said: "O Messenger of Allah! And will he able to do that?" He said: "He will be given the strength of a hundred."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৭. জান্নাতবাসীগণের বৈশিষ্ট্য

২৫৩৭। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দলটি সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেই দলের মানুষদের আকৃতি হবে পূর্ণিমার চাদের মতো উজ্জ্বল। তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, নাকের শিকনিও বের হবে না, প্রস্ৰাব-পায়খানাও করবে না। তাদের ব্যবহার্য পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণের তৈরি আর সোনা-রুপার সংমিশ্রণে তৈরি হবে চিরুনি। চন্দন কাঠ ও আগরবাতি জ্বালানো থাকবে। তাদের শরীরের ঘাম হবে মিশকের মতো সুগন্ধময়। তাদের প্রত্যেকের জন্য দুজন করে স্ত্রী (হুর) থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে মাংসের ভিতর দিয়ে তাদের পায়ের জংঘার হাড়ের মজ্জা পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হবে। তাদের মধ্যে না থাকবে ঝগড়া-বিবাদ, আর না থাকবে হিংসা-বিদ্বেষ। তাদের সকলের অন্তর যেন একটি অন্তরে পরিণত হবে। সকাল-বিকাল তারা আল্লাহ তা’আলার পবিত্রতা বর্ণনা করবে।

সহীহঃ বুখারী (৩২৪৫), মুসলিম (৮/১৪৬-১৪৭)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ। আল উলুওয়াতুঃ চন্দন কাঠ।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَلِجُ الْجَنَّةَ صُورَتُهُمْ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لاَ يَبْصُقُونَ فِيهَا وَلاَ يَمْتَخِطُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ آنِيَتُهُمْ فِيهَا الذَّهَبُ وَأَمْشَاطُهُمْ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَمَجَامِرُهُمْ مِنَ الأَلُوَّةِ وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ وَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ يُرَى مُخُّ سُوقِهِمَا مِنْ وَرَاءِ اللَّحْمِ مِنَ الْحُسْنِ لاَ اخْتِلاَفَ بَيْنَهُمْ وَلاَ تَبَاغُضَ قُلُوبُهُمْ قَلْبُ رَجُلٍ وَاحِدٍ يُسَبِّحُونَ اللَّهَ بُكْرَةً وَعَشِيًّا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالأَلُوَّةُ هُوَ الْعُودُ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا معمر، عن همام بن منبه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اول زمرة تلج الجنة صورتهم على صورة القمر ليلة البدر لا يبصقون فيها ولا يمتخطون ولا يتغوطون انيتهم فيها الذهب وامشاطهم من الذهب والفضة ومجامرهم من الالوة ورشحهم المسك ولكل واحد منهم زوجتان يرى مخ سوقهما من وراء اللحم من الحسن لا اختلاف بينهم ولا تباغض قلوبهم قلب رجل واحد يسبحون الله بكرة وعشيا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏ والالوة هو العود ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The first batch to enter Paradise will appear like the moon of a night that it is full, they do not spit, nor do their noses run, nor do they defecate. Their vessels are of gold, their combs are of silver and gold, their perfume is of Aluwwah, and their sweat is musk. Each one of them has two wives, so beautiful that the marrow of their shins can be seen through the flesh. There is no differing among them nor mutual hatred, and their hearts are like the heart of one man, and they glorify Allah morning and evening."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. জান্নাতবাসীগণের বৈশিষ্ট্য

২৫৩৮। সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যদি জান্নাতের কোন জিনিসের এক চিমটি পরিমাণও (পৃথিবীতে) আসতে পারতো তাহলে আসমান-যমীন সকল স্থান আলোকিত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে যেতো। কোন জান্নাতী যদি দুনিয়াতে উকি দিত এবং তার হস্তালংকার প্রকাশিত হয়ে পড়তো তাহলে তা সূর্যের আলোকে নিস্তেজ করে দিত যেভাবে সূর্যের আলো নক্ষত্রসমূহের আলোকে নিস্তেজ করে দেয়।

সহীহঃ মিশকাত তাহকীক ছানী (৫৬৩৭)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। এই হাদীসটি শুধুমাত্র ইবনু লাহীআর বর্ণনা হিসেবেই আমরা জেনেছি। ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব এই হাদীসটি ইয়াযীদ ইবনু আবূ হাবীবের সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং (আমির-এর স্থলে) উমর ইবনু সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, এই সূত্র উল্লেখ করেছেন।

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْ أَنَّ مَا يُقِلُّ ظُفُرٌ مِمَّا فِي الْجَنَّةِ بَدَا لَتَزَخْرَفَتْ لَهُ مَا بَيْنَ خَوَافِقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَوْ أَنَّ رَجُلاً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ اطَّلَعَ فَبَدَا أَسَاوِرُهُ لَطَمَسَ ضَوْءَ الشَّمْسِ كَمَا تَطْمِسُ الشَّمْسُ ضَوْءَ النُّجُومِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ وَقَالَ عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله بن المبارك، اخبرنا ابن لهيعة، عن يزيد بن ابي حبيب، عن داود بن عامر بن سعد بن ابي وقاص، عن ابيه، عن جده، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لو ان ما يقل ظفر مما في الجنة بدا لتزخرفت له ما بين خوافق السموات والارض ولو ان رجلا من اهل الجنة اطلع فبدا اساوره لطمس ضوء الشمس كما تطمس الشمس ضوء النجوم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه بهذا الاسناد الا من حديث ابن لهيعة ‏.‏ وقد روى يحيى بن ايوب هذا الحديث عن يزيد بن ابي حبيب وقال عن عمر بن سعد بن ابي وقاص عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Dawud bin Amir bin Sa'd bin Abi Waqqas narrated from his father, from his grandfather that the Prophet (s.a.w) said:
"If as little as what can be placed on a fingernail of what is in Paradise were to become apparent, it would have beautified all the far corners of the heavens and the earth. And if a man among the people of Paradise were to appear and his bracelets were to become apparent, it would have blotted out the light of the sun, as the sun blots out the light of the stars."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. জান্নাতীদের পোশাকের বর্ণনা

২৫৩৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতীদের শরীরে কোন লোম থাকবে না, দাঁড়ি-গোফ থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। কখনো তাদের যৌবন শেষ হবে না, জামাও পুরাতন হবে না।

হাসানঃ মিশকাত তাহকীক সানী (৫৬৩৮, ৫৬৩৯), তা’লীকুর রাগীব (৪/২৪৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَهْلُ الْجَنَّةِ جُرْدٌ مُرْدٌ كُحْلٌ لاَ يَفْنَى شَبَابُهُمْ وَلاَ تَبْلَى ثِيَابُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، وابو هشام الرفاعي قالا حدثنا معاذ بن هشام، عن ابيه، عن عامر الاحول، عن شهر بن حوشب، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اهل الجنة جرد مرد كحل لا يفنى شبابهم ولا تبلى ثيابهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Abu Hurairah narrated from the Messenger of Allah (s.a.w) that he said:
"The people of Paradise are without body hair, Murd, with Kuhl(on their eyelids), their youth does not come to an end, and their clothes do not wear out."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৪০

পরিচ্ছেদঃ ৮. জান্নাতীদের পোশাকের বর্ণনা

২৫৪০। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা’আলার বাণী “সুউচ্চ বিছানা থাকবে” (সূরাঃ ওয়াকিয়া- ৩৪) প্রসঙ্গে বলেন, এর উচ্চতা হবে আসমান-যমিনের উচ্চতার সমান আর তা হবে পাঁচ শত বছরের দূরত্বের সমান।

যঈফ, মিশকাত (৫৬৩৪)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র রিশদীন ইবনু সাদের রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীসের ব্যাখ্যায় কিছু আলিম বলেন, সেই বিছানাসমূহের এক স্তর হতে আরেক স্তরের উচ্চতা হবে আসমান-যমিনের মাঝখানের দূরত্বের সমান।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ‏:‏ ‏(‏وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ ‏)‏ قَالَ ‏"‏ ارْتِفَاعُهَا لَكَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ مَسِيرَةَ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي تَفْسِيرِ هَذَا الْحَدِيثِ إِنَّ مَعْنَاهُ الْفُرُشَ فِي الدَّرَجَاتِ وَبَيْنَ الدَّرَجَاتِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا رشدين بن سعد، عن عمرو بن الحارث، عن دراج ابي السمح، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله‏:‏ ‏(‏وفرش مرفوعة ‏)‏ قال ‏"‏ ارتفاعها لكما بين السماء والارض مسيرة خمسماىة سنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث رشدين بن سعد ‏.‏ وقال بعض اهل العلم في تفسير هذا الحديث ان معناه الفرش في الدرجات وبين الدرجات كما بين السماء والارض ‏.‏


Abu Sa'eed narrated concerning His (Allah's) statement "And couches, elevated ..." (Al Wa'qiah 56:
34) that the Prophet (s.a.w) said: "Their elevation is indeed like what is between the heavens and the earth, a distance of five-hundred years."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৪১

পরিচ্ছেদঃ ৯. জান্নাতীদের ফলের বর্ণনা

২৫৪১। আসমা বিনতু আবূ বকর (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে সিদরাতুল মুনতাহা (প্রান্তসীমার কুলগাছ) সম্পর্কে আলোচনা করা হলে আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ সেই গাছের একটি শাখার ছায়াতলে কোন যাত্রী এক শত বছর পর্যন্ত চলতে থাকবে (তবুও তা অতিক্রম করতে পারবে না) অথবা বলেছেনঃ এক শত সাওয়ারী এর ছায়াতলে অবস্থান করবে (ইয়াহইয়া ইবনু আবদুল্লাহ সংশয়ে পতিত হয়েছেন যে, তার ঊর্ধ্বতন রাবী কোন কথাটি বলেছেন)। সে গাছে অসংখ্য সোনার পতঙ্গ আছে এবং এর ফলগুলো মটকার মত বড় বড়।

(য’ঈফ; মিশকাত তাহকীক ছানী, হাঃ নং- ৫৬৪০; তা’লীকুর রাগীব-হাঃ নং- ৪/২৫৬)

আবূ ঈস বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَذُكِرَ لَهُ سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى قَالَ ‏ "‏ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّ الْفَنَنِ مِنْهَا مِائَةَ سَنَةٍ أَوْ يَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا مِائَةُ رَاكِبٍ شَكَّ يَحْيَى فِيهَا فَرَاشُ الذَّهَبِ كَأَنَّ ثَمَرَهَا الْقِلاَلُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا يونس بن بكير، عن محمد بن اسحاق، عن يحيى بن عباد بن عبد الله بن الزبير، عن ابيه، عن اسماء بنت ابي بكر، قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول وذكر له سدرة المنتهى قال ‏ "‏ يسير الراكب في ظل الفنن منها ماىة سنة او يستظل بظلها ماىة راكب شك يحيى فيها فراش الذهب كان ثمرها القلال ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


'Aishah narrated from Asma' bint Abi Bakr that she said:
"I heard the Messenger of Allah (s.a.w) while mentioning the Lote-Tree of the Utmost Boundary, saying: 'A rider will travel in the shade of one of its branches for a hundred years,' or 'a hundred riders will seek to shade themselves with its shade'-(lne of the narrators) Yahya' was in doubt- 'in it are butterflies of gold, it is as if its fruits are Qilal."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
২৫৪২

পরিচ্ছেদঃ ১০. জান্নাতের পাখির বর্ণনা

২৫৪২। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাওযে কাওসার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ তা একটি ঝর্ণা যা আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে আমাকে প্রদান করেছেন। এর পানি দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। এতে অনেক পাখি রয়েছে যাদের ঘাড় উটের ঘাড়ের মতো উচু। উমর (রাযিঃ) বলেন, তাহলে তো এগুলো সতেজ হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যারা এগুলো আহার করবে, তারা আরো সুন্দর ও সুখী হবে।

সহীহঃ মিশকাত (৫৬৪১), সহীহাহ (২৫১৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিম হলেন ইবনু শিহাব যুহরীর ভাইয়ের ছেলে। ’আবদুল্লাহ ইবনু মুসলিম ইবনু উমার ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا الْكَوْثَرُ قَالَ ‏"‏ ذَاكَ نَهْرٌ أَعْطَانِيهِ اللَّهُ يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ فِيهَا طَيْرٌ أَعْنَاقُهَا كَأَعْنَاقِ الْجُزُرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُمَرُ إِنَّ هَذِهِ لَنَاعِمَةٌ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَكَلَتُهَا أَنْعَمُ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ هُوَ ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسْلِمٍ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الله بن مسلمة، عن محمد بن عبد الله بن مسلم، عن ابيه، عن انس بن مالك، قال سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم ما الكوثر قال ‏"‏ ذاك نهر اعطانيه الله يعني في الجنة اشد بياضا من اللبن واحلى من العسل فيها طير اعناقها كاعناق الجزر ‏"‏ ‏.‏ قال عمر ان هذه لناعمة ‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اكلتها انعم منها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ ومحمد بن عبد الله بن مسلم هو ابن اخي ابن شهاب الزهري وعبد الله بن مسلم قد روى عن ابن عمر وانس بن مالك ‏.‏


Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) was asked:
"What is Al-Kawthar?" He said: "That is a river that Allah has given me"- that is, in Paradise- 'whiter than milk and sweeter than honey. In it are birds whose necks are like the necks of camels." 'Umar said: "Indeed this is plump and luxurious then." So the Messenger of Allah (s.a.w) said, "Those who consume it are more plumb than it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ জান্নাতের বিবরণ (كتاب صفة الجنة عن رسول الله ﷺ) 36. Chapters on the description of Paradise
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »