মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৪৪ টি

পরিচ্ছেদঃ ২২৯৩. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের ত্বালাক্ব দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ইদ্দত্’কাল পূর্ণ করে তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিও না (যদি তারা পরস্পর সম্মত হয়) (২ঃ ২৩২)

৪১৭৩। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমার এক বোনের বিয়ের পয়গাম আমার নিকট পেশ করা হয়। আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন যে, ইবরাহীম (রহঃ) ইউনুস (রহঃ) থেকে, তিনি হাসান বসরী (রহঃ) থেকে এবং তিনি মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবূ মা’মার (রহঃ) হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)-এর বোনকে তার স্বামী তালাক দিয়ে তারপর পৃথক করে রাখে। যখন ’ইদ্দত পালন পূর্ণ হয় তখন তার স্বামী তাকে আবার পয়গাম পাঠায়। মা’কিল (রাঃ) অমত পোষণ করে তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়।‏فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ’’তারা তাদের স্বামীর সাথে পুনরায় বিধিমত বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হতে চাইলে তাদের তোমরা বাঁধা দিওনা। (২: ২৩২)

باب وإذا طلقتم النساء فبلغن أجلهن فلا تعضلوهن أن ينكحن أزواجهن

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ رَاشِدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ، قَالَ كَانَتْ لِي أُخْتٌ تُخْطَبُ إِلَىَّ‏.‏ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، حَدَّثَنِي مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ،‏.‏ حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ أُخْتَ، مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا، فَتَرَكَهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا، فَخَطَبَهَا فَأَبَى مَعْقِلٌ، فَنَزَلَتْ ‏(‏فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ‏)‏‏.‏


Narrated Al-Hasan: The sister of Ma'qal bin Yasar was divorced by her husband who left her till she had fulfilled her term of 'Iddat (i.e. the period which should elapse before she can Remarry) and then he wanted to remarry her but Maqal refused, so this Verse was revealed:-- "Do not prevent them from marrying their (former) husbands." (2.232)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. ইমাম কর্তৃক যুদ্ধের অভিপ্রায়কালে সেনাদলের বায়আত গ্রহন করা উত্তম এবং (বাবলা) বৃক্ষতলে বায়'আতে (হুদায়বিয়ার) রিযওয়ান প্রসঙ্গ

৪৬৬৪। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নিজেকে (হুদায়বিয়ার বায়আত) বৃক্ষ দিবসে দেখেছি (আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন লোকদের বায়আত গ্রহণ করছিলেন আর আমি তাঁর মাথার উপর থেকে বৃক্ষের একটি ডাল উঁচু করে রেখেছিলাম। আমরা তখন সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দশ। রাবী বলেন, আমরা তার কাছে মৃত্যুর বায়আত গ্রহণ করিনি, বরং আমরা পালাবো না সে শপথ গ্রহণ করেছিলাম।

باب اسْتِحْبَابِ مُبَايَعَةِ الإِمَامِ الْجَيْشَ عِنْدَ إِرَادَةِ الْقِتَالِ وَبَيَانِ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ الأَعْرَجِ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ الشَّجَرَةِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُبَايِعُ النَّاسَ وَأَنَا رَافِعٌ غُصْنًا مِنْ أَغْصَانِهَا عَنْ رَأْسِهِ وَنَحْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً قَالَ لَمْ نُبَايِعْهُ عَلَى الْمَوْتِ وَلَكِنْ بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نَفِرَّ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Ma'qil b. Yasar who aaid: I remember being present on the Day of the Tree, and the Prophet (ﷺ) was taking the oath of the people and I was holding a twig of the tree over his head. We were fourteen hundred (in number). We did not take oath to the death, but to the effect that we would not run away from the battlefield.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. ফিতনা-দুর্যোগকালে ইবাদত করার ফযীলত

৭১৩৩। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (অন্য সনদে) কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ফিতনা-দুর্যোগের সময় ইবাদত করা আমার নিকট হিজরত করার সমতুল্য।

আবূ কামিল (রহঃ) ... হাম্মাদ (রহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب فَضْلِ الْعِبَادَةِ فِي الْهَرْجِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ، قُرَّةَ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، رَدَّهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ رَدَّهُ إِلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ رَدَّهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْعِبَادَةُ فِي الْهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إِلَىَّ ‏"‏ ‏.‏
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏


Ma'qil b. Yasar reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying: Worshiping during the period of widespread turmoil is like emigration towards me. The previous hadith is narrated through Abu Kamil from Hammad with the same chain.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

২/৬৫৯। আবূ য়্যা’লা মা’ক্বিল ইবনে য়্যাসার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’কোনো বান্দাকে আল্লাহ কোন প্রজার উপর শাসক বানালে, যেদিন সে মরবে সেদিন যদি সে প্রজার প্রতি ধোঁকাবাজি করে মরে, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দেবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’অতঃপর সে (শাসক) তার হিতাকাঙ্ক্ষিতার সাথে তাদের অধিকারসমূহ রক্ষা করল না, সে জান্নাতের সুগন্ধটুকুও পাবে না।’’

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’যে কোনো আমীর মুসলিমদের দেখাশুনার দায়িত্ব নিল, অতঃপর সে তাদের (সমস্যা দূর করার) চেষ্টা করল না এবং তাদের হিতাকাঙ্ক্ষী হল না, সে তাদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’’

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن أَبي يَعلَى مَعْقِل بنِ يَسارٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَستَرْعِيهِ اللهُ رَعِيَّةً، يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ، إِلاَّ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الجَنَّة ». متفقٌ عليه
وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَمْ يَحُطْهَا بِنُصْحِهِ لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الجَنَّة
وَفي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ: مَا مِنْ أميرٍ يَلِي أُمُورَ المُسْلِمينَ، ثُمَّ لاَ يَجْهَدُ لَهُمْ وَيَنْصَحُ لَهُمْ، إِلاَّ لَمْ يَدْخُلْ مَعَهُمُ الْجَنَّةَ

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


Abu Ya'la Ma'qil bin Yasar (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Any slave whom Allah makes him in charge of subjects and he dies while he is not sincere to them, Allah will make Jannah unlawful for him." [Al-Bukhari and Muslim]. Another narration is: Allah's Messenger (ﷺ) said, "He who does not look after his subjects with goodwill and sincerity, will be deprived of the fragrance of Jannah." A narration in Muslim is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "A ruler who, having control over the affairs of the Muslims, does not strive diligently for their betterment and does not serve them sincerely, will not enter Jannah with them." Commentary: Here the attention of rulers has been invited to their obligations. They are told that their designation is very important because they are responsible for tackling the problems and affairs of millions of people. If their single-minded devotion, determined efforts and heartfelt feelings of well-wishing will not go to solving these problems, they will be deemed guilty by Allah. Rulers are, therefore, warned, lest power should go to their head and make them unheedful of people's problems, rights and concerns. Instead being fully conscious of their accountability to Allah (SWT) they are apt to make full efforts to provide justice and peace to people. By "forbid from entering Jannah'' means they will not enter it with the first successful people until they get punished for their wrongdoings. If however, they were treacherous to their subjects while regarding this injustice lawful, thus disobeying Allah and His Commands, they will stay in Hell forever because this way they have made permissible and lawful what Allah has forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৯: ফিতনা-ফাঁসাদের সময় উপাসনা করার ফযীলত

১/১৩৭৪। মাকিল ইবনে য়্যাসার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ফিতনা-ফাঁসাদের সময় ইবাদত-বন্দেগী করা, আমার দিকে ’হিজরত’ করার সমতুল্য।”(মুসলিম) [1]


* (ঈমান ও দ্বীন বাঁচানোর জন্য স্বদেশত্যাগ করাকে ’হিজরত’ করা বলে।)

بَابُ فَضْلِ الْعِبَادَةِ فِي الْهَرْجِ وَهُوَ الْاِخْتِلَاطُ وَالْفِتَنُ وَنَحْوُهَا

عَن مَعْقِلِ بنِ يَسَارٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «العِبَادَةُ في الهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إِليَّ». رواه مسلم

(239) Chapter: The Excellence of Worship in the time of Tribulations


Ma'qil bin Yasar (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The reward of worship performed at a time of trials is equal in reward to an emigration to me." [Muslim]. Commentary: When turmoil is rampant and society is plagued with evils, the worship and obedience of Allah becomes very difficult. The reason being that in such a situation evils are widespread and therefore everyone easily inclines to them. In such circumstances, worship of Allah and compliance of His Orders are merits of great eminence and their reward have been likened to the reward of going for Hijrah (Emigration) to Al-Madinah at that time when this migration was Wajib (obligatory). Emigration was at that time obligatory and to bid farewell to home, property, business and homeland was sacrifice of the highest order. But this sacrifice was worth its reward. A similar reward is promised to those who will be obedient to Allah and worship Him in an age of mischief. A believer should avoid taking part in turmoil and occupy himself worshipping Allah instead. (Editor's Note)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৮. কুমারী নারীকে বিবাহ করা।

২০৪৬. আহমদ ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ..... মা’কাল ইবন ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলে, আমি এক সুন্দরী এবং সদ্বংশীয়া রমনীর সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সে কোন সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা)। আমি কি তাকে বিবাহ করব? তিনি বলেন, না। অতঃপর সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে নিষেধ করেন। পরে তৃতীয়বার সে ব্যক্তি এলে তিনি বলেন, তোমরা এমন স্ত্রীলোকদের বিবাহ করবে, যারা স্বামীদের অধিক মহাব্বাত করে এবং অধিক সন্তান প্রসব করে। কেননা আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে (পূর্ববর্তী উম্মতের উপর) গর্ব প্রকাশ করব।

باب فِي تَزْوِيجِ الأَبْكَارِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدِ ابْنُ أُخْتِ، مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ مَنْصُورٍ، - يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ - عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَصَبْتُ امْرَأَةً ذَاتَ حَسَبٍ وَجَمَالٍ وَإِنَّهَا لاَ تَلِدُ أَفَأَتَزَوَّجُهَا قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَنَهَاهُ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ ‏"‏ تَزَوَّجُوا الْوَدُودَ الْوَلُودَ فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Ma'qil ibn Yasar: A man came to the Prophet (ﷺ) and said: I have found a woman of rank and beauty, but she does not give birth to children. Should I marry her? He said: No. He came again to him, but he prohibited him. He came to him third time, and he (the Prophet) said: Marry women who are loving and very prolific, for I shall outnumber the peoples by you.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৫. স্ত্রীলোকদের বিবাহে বাধা প্রদান।

২০৮৩. মুহাম্মদ ইবন মুসান্না .... মা’কাল ইবন ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একটি ভগ্নি ছিল, যার বিবাহ সম্পর্কে আমার নিকট পয়গাম আসত। অতঃপর আমার চাচাত ভাইয়ের তরফ হতে প্রস্তাব আসলে, আমি তাকে তার সাথে বিবাহ দেই। অতঃপর সে তাকে তালাকে রাজ’ঈ প্রদান করে এবং পরে তাকে (রুজ’আত না করে) পরিত্যাগ করে। এমতাবস্থায় তার ইদ্দতও পূর্ণ হয়। অতঃপর যখন অপর একজন তাকে বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেয়, তখন সে (আমার চাচাত ভাই) আমার নিকট এসে পুনরায় তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব পেশ করে এবং এতে বাধা প্রদান করে। আমি বলি, আল্লাহর শপথ! আমি আর কখনোও তোমার সাথে তার বিবাহ দেব না। রাবী (মা’কাল) বলেন, তখন আমার সম্পর্কেই এ আয়াত নাযিল হয়ঃ ’’যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দাও, আর সে তার ইদ্দতও পূর্ণ করে, তখন তোমরা তাদেরকে অন্য স্বামী গ্রহণে বাধা প্রদান করো না।’’ রাবী বলেন, অতঃপর আমি আমার শপথ ত্যাগ করি এবং তাকে (বোনকে) পুনরায় তার সাথে বিবাহ দেই।

باب فِي الْعَضْلِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، حَدَّثَنِي مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ، قَالَ كَانَتْ لِي أُخْتٌ تُخْطَبُ إِلَىَّ فَأَتَانِي ابْنُ عَمٍّ لِي فَأَنْكَحْتُهَا إِيَّاهُ ثُمَّ طَلَّقَهَا طَلاَقًا لَهُ رَجْعَةٌ ثُمَّ تَرَكَهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَلَمَّا خُطِبَتْ إِلَىَّ أَتَانِي يَخْطُبُهَا فَقُلْتُ لاَ وَاللَّهِ لاَ أُنْكِحُهَا أَبَدًا ‏.‏ قَالَ فَفِيَّ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلاَ تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ فَكَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي فَأَنْكَحْتُهَا إِيَّاهُ ‏.‏


Ma’qil bin Yasar said: I had a sister and I was asked to give her in marriage. My cousin came to me and I married her to him. He then divorced her one revocable divorce. He abandoned her till her waiting period passed. When I was asked to give her in marriage, he again came to me and asked her in marriage. Thereupon I said to him “No, by Allah, I will never marry her to you. Then the following verse was revealed about my case: “And when ye have divorced women and they reach their term, place not difficulties in the way of their marrying their husbands.” So I expiated for my oath, and married her off to him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. যুদ্ধের জন্য উত্তম সময় কোনটি?

২৬৪৭. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... মা’কিল ইবন ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নু’মান অর্থাৎ ইবন মুকাররিন বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যুদ্ধে হাযির থাকতাম। তিনি যখন পূর্বাহ্নে যুদ্ধ শুরু না করতেন, তখন তা পিছিয়ে দিতেন- এমন কি সূর্য অস্তগামী হত, বাতাস প্রবাহিত হত এবং সাহায্য নাযিল হত।

باب فِي أَىِّ وَقْتٍ يُسْتَحَبُّ اللِّقَاءُ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ النُّعْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُقَرِّنٍ - قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ أَخَّرَ الْقِتَالَ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ وَتَهُبَّ الرِّيَاحُ وَيَنْزِلَ النَّصْرُ ‏.‏


Narrated An-Nu'man ibn Muqarrin: I was present at fighting along with the Messenger of Allah (ﷺ), and when he did not fight at the beginning of the day, he waited till the sun had passed the meridian, the winds blew, and help came down.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৩. মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির নিকট কুরআন তিলাওয়াত করা সম্পর্কে।

৩১০৭. মুহাম্মদ ইবন আলা ও মুহাম্মদ ইবন মাক্কী (রহঃ) ..... মা’কাল ইবন ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত্যু বরণকারী ব্যক্তির নিকট ’সূরা ইয়াসীন’ পাঠ করবে।

باب الْقِرَاءَةِ عِنْدَ الْمَيِّتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَكِّيٍّ الْمَرْوَزِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، - وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اقْرَءُوا ‏(‏ يس ‏)‏ عَلَى مَوْتَاكُمْ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Ma'qil ibn Yasar: The Prophet (ﷺ) said: Recite Surah Ya-Sin over your dying men. This is the version of Ibn al-Ala'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা অনুচিত

৩২৩০. আব্দুর রহমান ইবন খালিদ (রহঃ) ... মা’কাল ইবন ইয়াসার (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে আরয করলোঃ আমি এমন এক মহিলার সন্ধান পেয়েছি, যে বংশ গৌরবের অধিকারিণী ও মর্যাদাবান, কিন্তু সে বন্ধ্যা, আমি কি তাকে বিবাহ করবো? তিনি তাকে নিষেধ করলেন। দ্বিতীয় দিন তাঁর নিকট আসলে তিনি নিষেধ করলেন। এরপর তৃতীয় দিন তাঁর খেদমতে আসলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন এবং বললেনঃ তোমরা অধিক সন্তান প্রসবা নারীকে বিবাহ করবে, যে তোমাদেরকে ভালবাসবে। কেননা, আমি তোমাদের দ্বারা সংখ্যাধিক্য লাভ করবো।

كَرَاهِيَةُ تَزْوِيجِ الْعَقِيمِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ أَنْبَأَنَا الْمُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي أَصَبْتُ امْرَأَةً ذَاتَ حَسَبٍ وَمَنْصِبٍ إِلَّا أَنَّهَا لَا تَلِدُ أَفَأَتَزَوَّجُهَا فَنَهَاهُ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَنَهَاهُ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَنَهَاهُ فَقَالَ تَزَوَّجُوا الْوَلُودَ الْوَدُودَ فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ


Narrated Ma'qil bin Yasar: It was narrated that Ma'qil bin Yasar said: "A man came to the Messenger of Allah and said: 'I have found a woman who is from a good family and of good status, but she does not bear children, should I marry her?' He told him not to. Then he came to him a second time and he told him not to (marry her). Then he came to him a third time and he told him not to (marry her), then he said: 'Marry the one who is fertile and loving, for I will boast of your great numbers.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬/৪. রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে যে দু‘আ পড়তে হয়।

২/১৪৪৮। মাকিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃতদের কাছে সূরা ইয়াসিন পড়ো।

بَاب مَا جَاءَ فِيمَا يُقَالُ عِنْدَ الْمَرِيضِ إِذَا حُضِرَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ يَعْنِي يس


It was narrated from Ma’qil bin Yasar that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “Recite Qur’an near your dying ones,” meaning Ya-Sin.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৩১. মুসলিমের জীবনের মূল্য এক সমান

২/২৬৮৪। মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমগণ অন্যদের (বিজাতীয় শত্রুর) বিরুদ্ধে একটি হাতস্বরূপ। তাদের জীবনের মূল্য এক সমান।

بَاب الْمُسْلِمُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ أَبُو ضَمْرَةَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ أَبِي الْجَنُوبِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمُسْلِمُونَ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ وَتَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ma'qil bin Yasar that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The Muslims are one hand against others, and their blood is equal.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৩. দাদার ওয়ারিসী স্বত্ব

১/২৭২২। মা’কিল ইবনে ইয়াসার আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছি যে, একটি ফারায়েযের বিষয় উত্থাপিত হলো, যাতে দাদাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি দাদাকে এক-তৃতীয়াশ বা এক-ষষ্ঠাংশ দিয়েছেন।

بَاب فَرَائِضِ الْجَدِّ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِفَرِيضَةٍ فِيهَا جَدٌّ فَأَعْطَاهُ ثُلُثًا أَوْ سُدُسًا ‏.‏


It was narrated that Ma’qil bin Yasar Al-Muzani said: “I heard the Prophet (ﷺ) when a case was brought to him which involved the share of a grandfather. He gave him one third, or one sixth.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৩. দাদার ওয়ারিসী স্বত্ব

২/২৭২৩। মাকিল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যেকার দাদাকে এক-যষ্ঠাংশ ওয়ারিসী স্বত্ব প্রদানের নির্দেশ দিলেন।

بَاب فَرَائِضِ الْجَدِّ

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَدٍّ كَانَ فِينَا بِالسُّدُسِ ‏.‏


It was narrated that Ma’qil bin Yasar said: “The Messenger of Allah (ﷺ) ruled concerning a grandfather who was among us, that he should receive one sixth.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/১৩. খাবারের গ্রাস নিচে পড়ে গেলে

১/৩২৭৮। মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, একদা তিনি সকালের খাবার খাচ্ছলেন। হঠাৎ তার একটি গ্রাস নিচে পড়ে গেলো। তিনি তা তুলে নিয়ে তার ময়লা দূর করে আহার করেন। এতে অনারব কৃষকরা চোখ টিপাটিপি করতে লাগলো। বলা হলো, আল্লাহ নেতাকে কল্যাণের সাথে রাখুন। নিচে পতিত খাবার তুলে নেয়ায় এসব কৃষক আপানার প্রতি চোখ টিপাটিপি করছে। তিনি বলেন, এসব অনারবের কারণে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে শ্রুত কথা ত্যাগ করতে প্রস্তুত নই। আমাদের মধ্যে কারো খাবারের গ্রাস পড়ে গেলে তাকে নির্দেশ দেয়া হতো যে, সে যেন তা তুলে নিয়ে তার ময়লা দূর করে খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য ফেলে না রাখে।

بَاب اللُّقْمَةِ إِذَا سَقَطَتْ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يَتَغَدَّى إِذْ سَقَطَتْ مِنْهُ لُقْمَةٌ فَتَنَاوَلَهَا فَأَمَاطَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ أَذًى فَأَكَلَهَا فَتَغَامَزَ بِهِ الدَّهَاقِينُ فَقِيلَ أَصْلَحَ اللَّهُ الأَمِيرَ إِنَّ هَؤُلاَءِ الدَّهَاقِينَ يَتَغَامَزُونَ مِنْ أَخْذِكَ اللُّقْمَةَ وَبَيْنَ يَدَيْكَ هَذَا الطَّعَامُ ‏.‏ قَالَ إِنِّي لَمْ أَكُنْ لأَدَعَ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِهَذِهِ الأَعَاجِمِ إِنَّا كُنَّا نَأْمُرُ أَحَدَنَا إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَتُهُ أَنْ يَأْخُذَهَا فَيُمِيطَ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ أَذًى وَيَأْكُلَهَا وَلاَ يَدَعَهَا لِلشَّيْطَانِ ‏.‏


It was narrated from Hasan about Ma’qil bin Yasar: “While (he) was eating lunch, a morsel of food fell on the floor. He picked it up, removed whatever dirt had gotten onto it, and ate it. The villagers and farmers winked at one another (finding it odd) and it was said: ‘May Allah help the chief! These villagers and farmers are winking at one another because you picked up a morsel (from the ground) when you have this food in front of you.’ He said: ‘I am not going to give up something I heard from the Messenger of Allah (ﷺ) for these non- Arabs. We were told, if one of us dropped a morsel of food, to pick it up, remove whatever dirt was on it, and eat it, and not to leave it for Satan.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যে মুহুর্তে যুদ্ধ করা মুস্তাহাব।

১৬১৯। হাসান ইবনু আলী খাল্লাল (রহঃ) ... মাকিল ইবনু ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু নু’মান ইবনু মুকাররিনকে হুরমুযান-এর বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন। এরপর বর্ণনাকারী হাদীসটি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। (এতে রয়েছে) নু’মান ইবনু মুকাররিন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যুদ্ধে শরীক হয়েছি। তিনি যদি দিনের শুরুতে যুদ্ধ না করতেন তবে অপেক্ষা করতেন। শেষে সূর্য যখন পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ত, হাওয়া প্রবাহিত হত, আল্লাহর নুসরত ও সাহায্য নেমে আসত তখন যুদ্ধ শুরু করতেন। সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ ২৩৮৫, মিশকাত, তাহকীক ছানী ৩৯৩৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬১৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই হাদীসটি হাসান-সহীহ রাবী আলকামা ইবনু আবদুল্লাহ হলেন বাকর ইবনু আবদুল্লাহ মুযানী (রহঃ) এর ভাই।

باب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي يُسْتَحَبُّ فِيهَا الْقِتَالُ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَالْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، بَعَثَ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ إِلَى الْهُرْمُزَانِ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ فَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ أَوَّلَ النَّهَارِ انْتَظَرَ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ وَتَهُبَّ الرِّيَاحُ وَيَنْزِلَ النَّصْرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَلْقَمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ أَخُو بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ ‏.‏


Narrated Ma'qil bin Yasar: "Umar bin Al-Khattab sent An-Nu'man bin Muqarrin to Al-Hurmuzan." And he mentioned the Hadith in its entirety. An-Nu'man bin Muqarrin said: "I participated (in battles) with the Messenger of Allah (ﷺ). So when he did not fight in the beginning if the daytime, he would wait until the sun passed the zenith, and the wind of victory would rage, and victory would descent upon them." [Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih. 'Alqamah bin 'Abdullah (one of the narrators) is the brother of Bakr bin 'Abdullah Al-Muzani.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ গনহত্যা এবং সে যুগে ইবাদাত করা।

২২০৪. কুতায়বা (রহঃ) ..... মা’কিল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হারাজ বা হত্যাযজ্ঞের যুগে ইবাদত করা আমার কাছে হিজরতের মত। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৮৫, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি সহীহ-গারীব। কেবল মুআল্লাহ ইবন যিয়াদের সূত্রেই এটি সম্পর্কে আমরা জানি।

بَابُ مَا جَاءَ فِي الهَرْجِ وَالعِبَادَةِ فِيهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُعَلَّى بْنِ زِيَادٍ، رَدَّهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ رَدَّهُ إِلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ رَدَّهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْعِبَادَةُ فِي الْهَرْجِ كَالْهِجْرَةِ إِلَىَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ الْمُعَلَّى ‏.‏


Ma'qil bin Yasar narrated that the Prophet(s.a.w) said: "Worship during Al-Harj is like Hijrah to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।

২৯২২. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... মা’কিল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে তিনবার পাঠ করবেঃ

أَعُوذُ بِاللهِ السَّمِيعِ العَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

এরপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যাঁরা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকেন। এই দিন যদি সে মারা যায় তবে তার শহীদী মৃত্যু হয়। আর যদি বিকালে পাঠ করে তবুও ঐ ফযীলতই হবে।

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব ২/২৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو الْعَلاَءِ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نَافِعٍ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَقَرَأَ ثَلاَثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ مَاتَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ مَاتَ شَهِيدًا وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي كَانَ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


Narrated Ma'qil bin Yasar: that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever says three times when he gets up in the morning: 'A'udhu Billahis-Sami Al-'Alim Min Ash-Shaitanir-Rajim' and he recites three Ayat from the end of Surah Al-Hashr - Allah appoints seventy-thousand angels who say Salat upon him until the evening. If he dies on that day, he dies a martyr, and whoever reaches the evening, he holds the same status."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৮১. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... মা’কিল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর ভগ্নিকে জনৈক মুসলিম ব্যক্তির কাছে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তার কাছে যতদিন জীবন যাপন করার করলেন। পরে তার স্বামী তাকে এক তালাক দিয়ে দেয়। ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে রাজআত করলেন না। কিন্তু এরপর স্বামীও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন আর তার স্ত্রীও স্বামীর দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাই অন্যান্য প্রস্তাব দানকারীদের মধ্যে তিনিও তাকে আবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। তখন ভাই মা’কিল রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ হে ইতর, এই মহিলার মাধ্যমে তোমাকে আমি সম্মান দিয়েছিলাম। তাকে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম। কিন্তু তুমি তাকে তালাক দিয়ে দিলে। আল্লাহর কসম! তুমি আর কখনও তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে নিতে পারবে না। এ-ই তোমার সাথে সম্পর্ক শেষ।

রাবী বলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তা’আলা জানতেন এই স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর টানের কথা এবং এই স্বামীর প্রতি ঐ মহিলার টানের কথা। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ ‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏‏ وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ

’তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে। তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে এই স্ত্রীরা নিজেদের (পূর্ব) স্বামীদের বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিবে না। এ দ্বারা তাদের উপদেশ প্রদান করা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান রাখে। এই তোমাদের জন্য শুদ্ধতম ও পবিত্র বিষয়। আল্লাহ্ জানেন, তোমরা জান না।’ (২ঃ ২৩২)

মা’কিল রাদিয়াল্লাহু আনহু এই আয়াত শোনার পর বললেনঃ আমার পরওয়ারদিগারের আদেশ আমি শুনছি এবং তা শিরোধার্য করে নিচ্ছি। এরপর তিনি উক্ত ভগ্নিপতিকে ডেকে আনলেন এবং বললেনঃ তোমরা কাছে আমি (আমার বোনকে পুনরায়) বিয়ে দিচ্ছি আর আমি তোমার সম্মান রক্ষা করছি।

হাদীসটি হাসান-সহীহ। হাসান (রহঃ) থেকে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।

হাদীসটি এই কথার প্রমাণ করে যে, ওলী ছাড়া নিকাহ জায়েয নয়। কেননা, মা’কিল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর ভগ্নি বিবাহিতা ছিলেন। বিবাহের বিষয়টি যদি ওলী ছাড়া তাঁর ক্ষমতাধীন থাকত, তবে তিনি নিজেই বিয়ে বসতে পারতেন। তাঁর ওলী মা’কিল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর তিনি মুখাপেক্ষী হতেন না। দ্বিতীয়ত আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াতে ওলীদেরকেই সম্বোন করে বলেছেনঃ (لَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ) তোমরা বাধা দিবে না তাদেরকে নিজেদের স্বামীদের বিয়ে করতে।

সহীহ, ইরওয়া ১৮৪৩, সহিহ আবু দাউদ ১৮২০, বুখারি ৪৫২৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ زَوَّجَ أُخْتَهُ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَتْ عِنْدَهُ مَا كَانَتْ ثُمَّ طَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً لَمْ يُرَاجِعْهَا حَتَّى انْقَضَتِ الْعِدَّةُ فَهَوِيَهَا وَهَوِيَتْهُ ثُمَّ خَطَبَهَا مَعَ الْخُطَّابِ فَقَالَ لَهُ يَا لُكَعُ أَكْرَمْتُكَ بِهَا وَزَوَّجْتُكَهَا فَطَلَّقْتَهَا وَاللَّهِ لاَ تَرْجِعُ إِلَيْكَ أَبَدًا آخِرُ مَا عَلَيْكَ قَالَ فَعَلِمَ اللَّهُ حَاجَتَهُ إِلَيْهَا وَحَاجَتَهَا إِلَى بَعْلِهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏ وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏‏(‏ وَأَنْتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ ‏)‏ فَلَمَّا سَمِعَهَا مَعْقِلٌ قَالَ سَمْعًا لِرَبِّي وَطَاعَةً ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ أُزَوِّجُكَ وَأُكْرِمُكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ بِغَيْرِ وَلِيٍّ لأَنَّ أُخْتَ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَوْ كَانَ الأَمْرُ إِلَيْهَا دُونَ وَلِيِّهَا لَزَوَّجَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تَحْتَجْ إِلَى وَلِيِّهَا مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ وَإِنَّمَا خَاطَبَ اللَّهُ فِي الآيَةِ الأَوْلِيَاءَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏ولَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ‏)‏ فَفِي هَذِهِ الآيَةِ دَلاَلَةٌ عَلَى أَنَّ الأَمْرَ إِلَى الأَوْلِيَاءِ فِي التَّزْوِيجِ مَعَ رِضَاهُنَّ ‏.‏


Narrated Al-Hasan: from Ma'qil bin Yasar that he married his sister to a man among the Muslims during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). She remained with him as long as she did, then he divorced her once without taking her back until her 'Iddah elapsed, but they desired each other again. He (Ma'qil) said to him: 'You ingrate! I honored you by marrying her to you, then you divorced her. By Allah! She will never be returned to you again.' Allah knew of his heed for her and her need for a husband, so Allah, Blessed and Most High, revealed: 'And when you have divorced women and they have fulfilled the term of their prescribed period...' up to His saying: '... and you do not know (2:232).' So when Ma'qil heard that he said: 'I heard my Lord and obey.' Then he called for him and said: 'I marry you, and honor you.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৪০. আল্লাহর বাণীঃ আর যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ‘ইদ্দাত’কাল পূর্ণ করতে থাকে তখন যদি তারা পরস্পর সম্মত হয়ে নিজেদের স্বামীদের বিধিমত বিয়ে করতে চায় তাহলে তোমরা তাদের বাধা দিবে না। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/২৩২)

৪৫২৯. মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার এক বোনের বিয়ের পয়গাম আমার নিকট পেশ করা হয়। আবূ ’আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন যে, ইবরাহীম (রহ.) ইউনুস (রহ.) থেকে, তিনি হাসান বসরী (রহ.) থেকে এবং তিনি মা’কির ইবনু ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন।

আবূ মা’মার (রহ.) ..... হাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)-এর বোনকে তার স্বামী তালাক দিয়ে আলাদা করে রাখে। যখন ইদ্দত কাল পূর্ণ হয় তখন তার স্বামী তাকে আবার পয়গাম পাঠায়। মা’কিল (রাঃ) অমত করে পুনর্বিবাহে তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। فَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ’’তখন যদি তারা পরস্পর সম্মত হয়ে নিজেদের স্বামীদের বিধিমত বিয়ে করতে চায় তাহলে তোমরা তাদের বাধা দিবে না’’- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/২৩২)। [৫১৩০, ৫৩৩০, ৫৩৩১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৭০)

بَاب :{وَإِذَا طَلَّقْتُمْ النِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ}

عُبَيْدُ اللهِ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ رَاشِدٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ كَانَتْ لِيْ أُخْتٌ تُخْطَبُ إِلَي
وَقَالَ إِبْرَاهِيْمُ عَنْ يُوْنُسَ عَنِ الْحَسَنِ حَدَّثَنِيْ مَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ ح حَدَّثَنَا أَبُوْ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا يُوْنُسُ عَنِ الْحَسَنِ أَنَّ أُخْتَ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا فَتَرَكَهَا حَتَّى انْقَضَتْ عِدَّتُهَا فَخَطَبَهَا فَأَبَى مَعْقِلٌ فَنَزَلَتْ (فَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ)


Narrated Al-Hasan: The sister of Ma'qal bin Yasar was divorced by her husband who left her till she had fulfilled her term of 'Iddat (i.e. the period which should elapse before she can Remarry) and then he wanted to remarry her but Maqal refused, so this Verse was revealed:-- "Do not prevent them from marrying their (former) husbands." (2.232)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »