পরিচ্ছেদঃ ১. মক্কা মুকাররমার মর্যাদা প্রসঙ্গে
৮০৯। আবু শুরাইহু আল-আদাওবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন মদীনার গভর্নর আমর ইবনু সাঈদ (আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইরের বিরুদ্ধে) মক্কাতে সৈন্যবাহিনী পাঠাচ্ছিলেন তখন তিনি (আবু শুরাইহ) তাকে বললেনঃ হে আমীর! আপনি আমাকে অনুমতি দিন একটি হাদীস বর্ণনা করার। মক্কা বিজয়ের পরদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসটি বলেছিলেন। তখন তা আমার কর্ণদ্বয় শুনেছিল, আমার হৃদয় তা সংরক্ষণ করেছিল এবং আমার চক্ষুদ্বয় তা প্রত্যক্ষ করেছিল।
তিনি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন, তারপর বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ্ তা’আলা “হারাম” ঘোষণা করেছেন, তাকে কোন মানুষ “হারাম" করেনি। অতএব, আল্লাহ্ তা’আলা ও আখিরাতের প্রতি যে লোক ঈমান রাখে এখানে সে লোকের জন্য রক্তপাত করা বা এখানকার কোন বৃক্ষ কাটা বৈধ নয়। যদি কোন লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক এখানে (মক্কা বিজয়কালে) যুদ্ধ করার অজুহাত তুলে এখানে কোনরকম যুদ্ধাভিযান চালানোর সুযোগ খোঁজ করে তাহলে তোমরা সে লোককে বলে দিবে, আল্লাহ তা’আলা বিশেষভাবে অনুমতি দিয়েছেন কেবল তার রাসূলকেই, এর অনুমতি তোমাকে দেননি। শুধু দিনের কিছু সময়ের জন্য তিনি আমাকেও এর অনুমতি দিয়েছিলেন। যেমনি গতকাল তা হারাম ছিল তেমনিভাবে আজও সেটা হারাম। তোমাদের উপস্থিত লোক যেন (একথা) অনুপস্থিত লোকের কাছে পৌছে দেয়।
- সহীহ বুখারী, মুসলিম |
আবু শুরাইহ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, তখন আমর ইবনু সাঈদ আপনাকে কি বলেছিল? তিনি বললেন, সে বলেছিল, হে আবূ শুরাইহ! আমি এই হাদীস প্রসঙ্গে আপনার চেয়ে বেশি অবগত। কোন পাপী, পলাতক খুনী ও পলাতক অপরাধীকে হারাম শারীফ আশ্রয় দেয় না।
আবু ঈসা বলেন, ওয়ালা ফাররান বিখারবাতিন -এর স্থল ওয়ালা ফাররান-ও বর্ণিত আছে। আবু হুরাইরা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ শুরাইহ বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ শুরাইহ আল-খুযাঈর মূল নাম খুওয়াইলিদ ইবনু আমর আল-আদাওবী আল-কা’বী। ওয়ালা ফাররান বিখারবাতিন -এর অর্থ ’অপরাধী’। বাক্যটির অর্থ হল, কোন লোক কোন ফৌজদারী অপরাধ করে অথবা খুন করে হারাম শারীফে আশ্রয় নিলে সে লোকের উপর হাদ্দ (নির্ধারিত শাস্তি) কার্যকর হবে।
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ وَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا أَوْ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَأْذَنْ لَكَ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهِ سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ " .
فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى وَلاَ فَارًّا بِخِزْيَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي شُرَيْحٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ اسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ الْعَدَوِيُّ وَهُوَ الْكَعْبِيُّ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ " وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ " يَعْنِي الْجِنَايَةَ يَقُولُ مَنْ جَنَى جِنَايَةً أَوْ أَصَابَ دَمًا ثُمَّ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ فَإِنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ .
Sa'eed bin Abi Sa'eed Al Maqbury narrated:
"Abu Shuraih Al-Adawi said tat when Amr bin Sa'eed was sending troops to Makkah he said to him: 'O Amr! Allow me to tell you what the Messenger of Allah said on the day following the Conquest of Makkah. My ears heard it, my heard understood it thoroughly, and with my own eyes, I saw the Prophet when he - after glorifying and praising Allah - said: "Indeed Allah, the Most High, made Makkah a sanctuary, it was not made a sanctuary by the people. So it is not lawful for a man who believes in Allah and the Last Day to shed blood it, nor to cut down its trees. If anybody tries to use the Messenger of Allah to make an excuse for fighting in it, then say to him: 'Indeed Allah permitted His Messenger and He did not permit you.' Allah only allowed it for me for a few hours of one day, and today its sanctity has returned as it was before. So let the one who is present convey to the one who is absent." Abu Shuraih was asked: "What was Amr bin Sa'eeds reply to you?" He said: "I am more knowledgeable about that than you Abu Shuraih! The Haram does not give protection to a disobedient person, nor a person fleeing for murder, nor fleeing for (Kharbah) lawlessness."
পরিচ্ছেদঃ ২. হজ্জ ও উমরা আদায়ের সাওয়াব প্রসঙ্গে
৮১০। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা হাজ্জ ও উমরা পরপর একত্রে আদায় কর। কেননা, এ হাজ্জ ও উমরা দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়। একটি কুবুল হাজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়। - হাসান সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৮৭)
উম্মু সালামা ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ .
Abdullah (bin Mas'ud) narrated that:
The Messenger of Allah said: "Alternate between Hajj and Umrah; for those two remove poverty and sins just as the bellows removes filth from iron, gold, and silver - and there is no reward for Al-Hajj Al-Mabrur except for Paradise."
পরিচ্ছেদঃ ২. হজ্জ ও উমরা আদায়ের সাওয়াব প্রসঙ্গে
৮১১। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক যদি হজ্জ করে এবং তাতে কোন রকম অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ না করে তাহলে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। — সহীহ হাজ্জাতুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (পৃঃ ৫), বুখারি, মুসলিম
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবু হাযিম আল-কূফীই হলেন আল-আশজাঈ, তার নাম সালমান। তিনি আযযা আল-আশজাঈয়ার আযাদকৃত গোলাম ছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَازِمٍ كُوفِيٌّ وَهُوَ الأَشْجَعِيُّ وَاسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ .
Abu Hurairah narrated that :
The Messenger of Allah said: "Whoever performs Hajj for Allah, and he does not have sexual relations nor commit any sin, then his previous sins will be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ৩. হজ্জ পরিত্যাগ করা প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি
৮১২। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার ঘর পর্যন্ত পৌছার মত সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হাজ্জ না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহ তা’আলার) কোন ভাবনা নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা তার কিতাবে বলেনঃ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহ্ তা’আলার উদ্দেশে ঐ ঘরের হাজ করা তার অবশ্য কর্তব্য”। (সূরাঃ আল-ইমরান - ৯৭)।
যঈফ, মিশকাত (২৫২১)। তা’লীকুর রাগীব (২/১৩৪)
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ব্যতীত এটি প্রসঙ্গে আমরা কিছু জানি না। এটির সনদ প্রসঙ্গে সমালোচনা আছে। হিলাল ইবনু আবদুল্লাহ অপরিচিত লোক এবং হারিসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলা হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي التَّغْلِيظِ فِي تَرْكِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ الْبَاهِلِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي كِتَابِهِ : (وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ . وَهِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَجْهُولٌ وَالْحَارِثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .
Ali narrated that :
The Messenger of Allah said: "Whoever has the provisions and the means to convey him to Allah's House and he does not perform Hajj, then it does not matter if he dies as a Jew or a Christian. That is because Allah said in His Book: 'And Hajj to the House is a duty that mankind owes to Allah, for whomever is able to bear the journey.'
পরিচ্ছেদঃ ৪. পাথেয় ও বাহন থাকলে হজ্জ ফরয হয়
৮১৩। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কিসে হাজ্জ ওয়াজিব হয়? তিনি বললেনঃ সম্বল ও বাহন (থাকলে)।
খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ (২৮৯৬)
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান। আলিমগণ এই হাদীসের আলোকে বলেন, কোন ব্যক্তি সম্বল ও বাহন সংগ্রহে সক্ষম হলেই তার উপর হাজ্জ ফরয হয়। ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আল-খুওয়ী আল-মক্কীর স্মৃতিশক্তি প্রশ্নবিদ্ধ।
باب مَا جَاءَ فِي إِيجَابِ الْحَجِّ بِالزَّادِ وَالرَّاحِلَةِ .
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً وَجَبَ عَلَيْهِ الْحَجُّ . وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ الْخُوزِيُّ الْمَكِّيُّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Ibn Umar narrated:
"A man came to the Prophet and said: 'O Messenger of Allah! What is it that makes Hajj obligatory?' He said: "The provisions and a means of conveyance."
পরিচ্ছেদঃ ৫. কতবার হজ্জ করা ফরয?
৮১৪। আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হলঃ মানুষের মধ্যে যার সেখানে গমনের ক্ষমতা আছে আল্লাহ তা’আলার স্মরণে ঐ ঘরের হাজ্জ করা তার অপরিহার্যভাবে করণীয়, তখন সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি?” তিনি নীরব হয়ে রইলেন। তারা আবার বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! প্রতি বছরই কি? তিনি বললেনঃ না। আমি যদি বলতাম হ্যাঁ, তবে তোমাদের উপর তা (প্রতি বছর) ফরয হয়ে যেত। তারপর আল্লাহ্ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন কর না যা জাহির হলে তোমরা দুঃখিত হবে।" (সূরাঃমাইদা -১০১)
যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৮৮৪)
এই অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আলী বর্ণিত হাদীসটি হাসান গারীব। আবূল বাখতারীর নাম সাঈদ ইবনু আবূ ইমরান। ইনি হলেন সাঈদ ইবনু ফাইরোয।
باب مَا جَاءَ كَمْ فُرِضَ الْحَجُّ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ( وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ قَالَ " لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ " . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَاسْمُ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ فَيْرُوزَ .
Ali bin Abi Talib narrated:
"When Allah revealed: And Hajj to the House is a duty that mankind owes to Allah, for whomever is able to bear the journey. They said: 'O Messenger of Allah! Is that every year?' He remained silent. So they said: 'O Messenger of Allah! Is that every year?' He said: 'No. If I had said yes, then it would have been made obligatory.' So Allah revealed: O you who believe! Do not ask about things which, if made plain to you, may cause you trouble.
পরিচ্ছেদঃ ৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার হজ্জ করেছেন?
৮১৫/১। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জ করেছেন তিনবারঃ দু’বার হিজরতের আগে এবং এক বার হিজরতের পর। তিনি এই (শেষোক্ত) হাজের সাথে উমরাও করেছেন। তিনি তেষট্টিটি কুরবানীর উট এনেছিলেন এবং ইয়ামান হতে আলী (রাঃ) অবশিষ্ট (৩৭টি) উটগুলি এনেছিলেন। আবু জাহালের একটি উটও ছিল এই উটগুলির মধ্যে। একটি রূপার শিকল এর নাসারন্ত্রে (নাকের ছিদ্রে) পরানো ছিল। তিনি এটাকেও যবেহ করেছিলেন। প্রতিটি কুরবানীর উট হতে এক টুকরো করে মাংস আনার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন। এগুলো রান্না করা হলে তিনি এর শুরুয়া (ঝোল) পান করেন। - সহীহ, হাজ্জাতুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (৬৭-৮৩), মুসলিম, হিজরতের পূর্বে ২ হাজ্জ এবং আবু জাহল এই ব্যাক্যাংশ ছাড়া।
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা গারীব বলেছেন। শুধুমাত্র যাইদ ইবনু ইবাবের সূত্রেই আমরা এ হাদীসটি জানতে পেরেছি। আব্দুল্লাহ ইবনু বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস সম্বন্ধে আমি মুহাম্মাদ আল-বুখারীকে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু এই হাদীস উপরোক্ত সনদে বর্ণিত আছে বলে তিনি জানতে পারেননি। আমি দেখেছি এই হাদীসটিকে তিনি সংরক্ষিত বলে গণ্য করতেন না। তিনি বলেন, এটি সাওরী-আবূ ইসহাক-মুজাহিদের সনদে মুরসালভাবে বর্ণিত আছে।
৮১৫/২। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার হাজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার হাজ্জ এবং চারবার উমরা করেছেন। যিলকাদ মাসে একটি উমরা, হুদাইবিয়ার উমরা, হাজ্জের সাথে একটি এবং হুনাইন যুদ্ধের গানীমাত বন্টনকালে জিরানা হতে একটি উমরা।
— সহীহ বুখারী, মুসলিম
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। হাব্বান ইবনু হিলাল (আবু হাবীব আল-বাসরী) একজন মর্যাদাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। তাকে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলে মন্তব্য করেছেন।
باب مَا جَاءَ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَجَّ ثَلاَثَ حِجَجٍ حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ وَمَعَهَا عُمْرَةٌ فَسَاقَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً وَجَاءَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ بِبَقِيَّتِهَا فِيهَا جَمَلٌ لأَبِي جَهْلٍ فِي أَنْفِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ فَنَحَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَطُبِخَتْ وَشَرِبَ مِنْ مَرَقِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ . وَرَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي كُتُبِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَلَمْ يَعْرِفْهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَأَيْتُهُ لاَ يَعُدُّ هَذَا الْحَدِيثَ مَحْفُوظًا . وَقَالَ إِنَّمَا يُرْوَى عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلاً .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةٌ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةٌ مَعَ حَجَّتِهِ وَعُمْرَةُ الْجِعِرَّانَةِ إِذْ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَحَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ هُوَ أَبُو حَبِيبٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ جَلِيلٌ ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
Qatadah narrated:
"I said to Anas bin Malik: 'How many times did the Prophet perform Hajj?' He said: 'He performed one Hajj and he performed four Umrah: An Umrah during Dhul-Qa'dah; the Umrah of Al-Hudaibiyah, and Umrah with his Hajj, and an Umrah from Al-Ji'irranah when he divided up the war spoils of Hunain.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার উমরা করেছেন?
৮১৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেনঃ হুদাইবিয়ার উমরা, দ্বিতীয় উমরা এর পরের বছর, যিলকাদ মাসে কাযা উমরা হিসেবে ছিলো এটি, জিরানা নামক জায়গা হতে হচ্ছে তৃতীয় উমরা এবং তার হাজের সাথে আদায় করেন চতুর্থ উমরা।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০০৩)
আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এই হাদীসটি ইবনু উআইনা আমর ইবনু দীনার-ইকরিমার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেন। তিনি এই সনদে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি। উক্ত সনদটি নিম্নরূপঃ
সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান আল-মাখযুমী সুফিয়ান ইবনু উআইনা হতে, তিনি আমর ইবনু দিনার হতে, তিনি ইকরিমা হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে।
باب مَا جَاءَ كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الثَّانِيَةِ مِنْ قَابِلٍ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةَ الثَّالِثَةِ مِنَ الْجِعِرَّانَةِ وَالرَّابِعَةِ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Ibn Abbas narrared:
"The Messenger of Allah performed four Umrah: The Umrah of Al-Hudaibiyah, a second Umrah the following (year), (which was) the Umrah of Al-Qisas during Dhul-Qa'dah, a third Umrah from Al-Ji'irranah, and the fourth which accompanied his Hajj."
পরিচ্ছেদঃ ৮. কোন জায়গা হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বেঁধেছেন?
৮১৭। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্জ করতে মনস্থ করলেন তখন লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন। তারা একত্র হল। অতঃপর তিনি যখন বাইদা নামক জায়গায় পৌছলেন তখন ইহরাম বাধলেন।
— সহীহ, হাজ্জাতুন নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (৪৫/২)
ইবনু উমার, আনাস ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবৃ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ مِنْ أَىِّ مَوْضِعٍ أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْحَجَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ فَاجْتَمَعُوا فَلَمَّا أَتَى الْبَيْدَاءَ أَحْرَمَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Jabir bin Abdullah narrated:
"When the Prophet wanted to Perform Hajj, he announced it to the people, and they gathered (to accompany him). When he reached Al-Baida he assumed Ihram"
পরিচ্ছেদঃ ৮. কোন জায়গা হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বেঁধেছেন?
৮১৮। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, তারা বাইদা নামক জায়গাকে কেন্দ্র করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জড়িয়ে (ইহরাম প্রসঙ্গে) মিথ্যারোপ করছে। আল্লাহর শপথ! মসজিদের নিকটেই একটি গাছের পাশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরামের তাকবীর ধ্বনি করেছিলেন।
- সহীহ বুখারী, মুসলিম
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ مِنْ أَىِّ مَوْضِعٍ أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ الْبَيْدَاءُ الَّتِي يَكْذِبُونَ فِيهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهِ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ مِنْ عِنْدِ الشَّجَرَةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn Umar narrated:
"Al-Baida the one they lie about regarding the Messenger of Allah. By Allah! The Messenger of Allah did not start the Talbiyah except from near the Masjid, near the tree."
পরিচ্ছেদঃ ৯. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখন ইহরাম বাধেন?
৮১৯। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পর ইহরামের তাকবীর উচ্চারণ করেছেন।
(য’ঈফ, য’ঈফ আবূ দাউদ ৩১২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবদুস সালাম ইবনু হারব ব্যতীত আর কেউ এটি বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। (ইহরামের) নামাযের পর ইহরাম বাধা আলিমগণ মুস্তাহাব বলেছেন।
باب مَا جَاءَ مَتَى أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ . وَهُوَ الَّذِي يَسْتَحِبُّهُ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ يُحْرِمَ الرَّجُلُ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ .
Ibn Abbas narrated:
"The Prophet started the Talbiyah after the Salat."
পরিচ্ছেদঃ ১০. ইফরাদ হজ্জ
৮২০। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফরাদ হাজ করেছেন। (শাজ, ইবনু মাযাহ ২৯৬৪, বুখারী ও মুসলিম)
এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইবনু উমার (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
একদল আলিম এ হাদীস মুতাবিক ’আমল করার কথা বলেছেন। ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছেঃ রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফরাদ হাজ করেছেন এবং আবূ বকর, উমার ও উসমান (রাযিঃ)-ও ইফরাদ হাজ করেছেন।
(সনদ সহীহ, কিন্তু তা শাজ, দেখুন পরবর্তী হাদীস বিশেষ করে ৮২৩ নং হাদীস)
باب مَا جَاءَ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، قِرَاءَةً عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ .
وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ وَأَفْرَدَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ .
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ الثَّوْرِيُّ إِنْ أَفْرَدْتَ الْحَجَّ فَحَسَنٌ وَإِنْ قَرَنْتَ فَحَسَنٌ وَإِنْ تَمَتَّعْتَ فَحَسَنٌ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ مِثْلَهُ . وَقَالَ أَحَبُّ إِلَيْنَا الإِفْرَادُ ثُمَّ التَّمَتُّعُ ثُمَّ الْقِرَانُ .
Aishah narrated:
"the Messenger of Allah performed the Ifrad form of Hajj."
পরিচ্ছেদঃ ১১. হজ্জ ও উমরা দুটি একসাথে আদায় করা
৮২১। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি উমরা ও হাজ্জ উভয়ের একত্রে ইহরাম বেঁধে লাব্বায়িক বলতে শুনেছি।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯৬৮, ২৯৬৯)
উমার ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী কতিপয় আলিম আমল করেছেন। এই মতকে পছন্দ করেছেন কুফাবাসী ফকীহগণ ও অপরাপর আলিম।
باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . وَاخْتَارُوهُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ .
Anas narrated:
"I heard the Prophet saying: (Labbaika Bi'umratin wa Hajjah) 'Here I am for 'Umrah and Hajj.'"
পরিচ্ছেদঃ ১২. তামাত্তু হজ্জ
৮২২। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, উমার ও উসমান (রাঃ) তামাত্তু হাজ্জ করেছেন। মুআবিয়া (রাঃ)-ই সর্বপ্রথম তা করতে নিষেধ করেন।
- সনদ দুর্বল
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَأَوَّلُ مَنْ نَهَى عَنْهَا مُعَاوِيَةُ
Ibn Abbas narrated:
"The Messenger of Allah performed Tamattu, as did Abu Bakr, Umar and Uthman. And the first to prohibit it was Mu'awiyah."
পরিচ্ছেদঃ ১২. তামাত্তু হজ্জ
৮২৩। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হারিস ইবনু নাওফাল (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি হাজের সাথে উমরা একত্র করে তামাত্তু হাজ প্রসঙ্গে সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও যাহহাক ইবনু কাইস (রাঃ)-কে আলোচনা করতে শুনেছেন। যাহহাক ইবনু কাইস (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ প্রসঙ্গে জ্ঞানহীন ব্যক্তি ছাড়া কেউ এটা করতে পারে না। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে ভাতিজা! তুমি বড় অপ্রীতিকর কথা বললে। যাহহাক বললেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তো এটা করতে মানা করেছেন। সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেছেন এবং আমরাও তার সাথে তা করেছি।
- সনদ দুর্বল
ইমাম তিরমিয়ী বলেনঃ এই হাদীসটি সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَهُمَا، يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ لاَ يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلاَّ مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ . فَقَالَ سَعْدٌ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي . فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ . فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
Muhammad bin Abdullah bin Al-Harith bin Nawfal narrated that:
He heard Sa'd bin Abi Waqas, and Ad-Dahhak bin Qais while they were mentioning Tamattu after "Umrah until Hajj. Ad-Dahhak bin Qais said: "No one does that except one who is ignorant of the order of Allah, Most High." Sa'd said: "How horrible is it what you have said O my nephew!" So Ad-Dahhak (bin Qais) said: "Indeed Umar bin Al-Khattab has prohibited that." So Sa'd said: "The Messenger of Allah did it, and we did it with him."
পরিচ্ছেদঃ ১২. তামাত্তু হজ্জ
৮২৪। সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জের সঙ্গে একত্র করে তামাত্তু করা সম্পর্কে তিনি জনৈক সিরিয়াবাসী ব্যক্তিকে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনেছেন। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, তা করা বৈধ। সিরিয়াবাসী ব্যক্তিটি বলল, আপনার পিতা তো তা করতে নিষেধ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, তুমি কি মনে কর, কোন বিষয় যদি আমার পিতা নিষেধ করেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে কি আমার পিতার অনুসরণ করা হবে, না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করা হবে? লোকটি বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাজেরই তো (অনুসরণ করা হবে)। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা (তামাত্তু) করেছেন।
এ হাদিসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আলী, উসমান, জাবির, সা’দ, আসমা বিনত আবূ বকর ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের একদল (হজ্জ ও) উমরা একসঙ্গে করে তামাত্তু করার বিষয়টিকে পছন্দনীয় বলে গ্রহণ করেছেন। তামাত্তু হল একজন (মীকাত থেকে) হজ্জের মাসসমূহে উমরার (এর ইহরাম বেঁধে মক্কায়) দাখিল হবে এবং তা সমাধা করে হজ্জ করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় অবস্থান করবে। এমতাবস্থায় এই ব্যক্তিটি হবে মুতামাত্তি- তামাত্তু পালনকারী। তার জন্য যে প্রকারের হাদী (কুরবানীর পশু) সহজ হয় তা কুরবানী করবে।
যদি কেউ তাতে সক্ষম না হয় তবে সে হজ্জের সময় তিন এবং বাড়ি প্রত্যাবর্তনকালে সাত দিন সিয়াম পালন করবে। তামাত্তু পালনকারী যখন হজ্জের সময় দিন সিয়াম পালন করবে তখন মুস্তাহাব হল যিল হাজ্জ মাসের দশ দিনের মধ্যে এমনভাবে তা করতে যে আরাফার দিন যেম তার সিয়ামের শেষ দিন হয়। যদি সে এই দশের ভিতর সিয়াম পালন না করে। তবে কতক সাহাবীর মতে সে আইয়্যামে তাশরীকের মাঝে (যিল হজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখ) তা পালন করবে। এ হল ইবনু উমার ও আয়িশা (রাঃ)-এর অভিমত। ইমাম মালিক,শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) ও এই মত ব্যক্ত করেছেন। কতক আলেম বলেন, আইয়্যামে তাশরীকে সিয়াম পালন করবে না। এ হল কুফাবাসী আলিমগণ -এর অভিমত। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিস বিশেষজ্ঞ আলিমগণ হজ্জের সঙ্গে উমরা করে তামাত্তু করা পছন্দনীয় আমল বলে গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) (প্রমুখ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَهُوَ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ هِيَ حَلاَلٌ . فَقَالَ الشَّامِيُّ إِنَّ أَبَاكَ قَدْ نَهَى عَنْهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَبِي نَهَى عَنْهَا وَصَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَأَمْرَ أَبِي نَتَّبِعُ أَمْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الرَّجُلُ بَلْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَقَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ وَجَابِرٍ وَسَعْدٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَابْنِ عُمَرَ . وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ . وَالتَّمَتُّعُ أَنْ يَدْخُلَ الرَّجُلُ بِعُمْرَةٍ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ يُقِيمَ حَتَّى يَحُجَّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ وَعَلَيْهِ دَمٌ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَيُسْتَحَبُّ لِلْمُتَمَتِّعِ إِذَا صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَنْ يَصُومَ فِي الْعَشْرِ وَيَكُونَ آخِرُهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فَإِنْ لَمْ يَصُمْ فِي الْعَشْرِ صَامَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فِي قَوْلِ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَعَائِشَةُ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَصُومُ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ . وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَهْلُ الْحَدِيثِ يَخْتَارُونَ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ فِي الْحَجِّ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Salim bin Abdullah narrated that :
he had heard a man from Ash-Sham asking Abdullah bin Umar about Tamattu after Umrah until Hajj, so Abdullah bin Umar said: "It is lawful." The man from Ash-Sham said: "But your father prohibited it." So Abdullah bin Umar said: "Is the order to follow my father or is the order (to follow) for the Messenger of Allah?" The man said: "Rather it is for the Messenger of Allah." So he said: "Indeed the Messenger of Allah did it."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তালবিয়া পাঠ করা
৮২৫। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নরূপ তালবিয়া পাঠ করতেনঃ “আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির; সকল প্রশংসা ও সকল নিয়ামাত তোমারই, সমস্ত বিশ্বের রাজত্ব তোমারই; তোমার কোন শরীক নেই।”
– সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯১৮), বুখারী, মুসলিম
আবু ঈসা বলেন, ইবনু মাসউদ, জাবির, আইশা, ইবনু আব্বাস ও আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি আরও বলেন, ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও অপরাপর আলিম আমল করার কথা বলেছেন। এই অভিমত সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন, কোন লোক যদি আল্লাহ তা’আলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ নিজের পক্ষ নেই। কিন্তু আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাঠকৃত তালবিয়াতে সন্তুষ্ট থাকাই বেশি প্রিয়।
ইমাম শাফিঈ বলেন, “তালবিয়ার মধ্যে আল্লাহ্ তা’আলার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ যুক্ত করাতে কোন সমস্যা নেই” ইবনু উমার (রাঃ)-এর এই রিওয়ায়াতটি হল আমার এই কথার দলীল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তিনি তালবিয়ার শব্দ সংরক্ষণ করেছেন। এরপরও তিনি এতে নিজের পক্ষ হতে বাড়িয়েছেন (নিম্নের হাদীস)।
باب مَا جَاءَ فِي التَّلْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كَانَتْ " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنْ زَادَ فِي التَّلْبِيَةِ شَيْئًا مِنْ تَعْظِيمِ اللَّهِ فَلاَ بَأْسَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنَّمَا قُلْنَا لاَ بَأْسَ بِزِيَادَةِ تَعْظِيمِ اللَّهِ فِيهَا لِمَا جَاءَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ حَفِظَ التَّلْبِيَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي تَلْبِيَتِهِ مِنْ قِبَلِهِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ .
Ibn Umar narrated:
"The Prophet would say the following for the Talbiyah: "Labbaik Allahumma labbaik. Labbaik la sharika laka labbaik. Innal-hamda wan-ni;mata laka wal-mulk, la sharika laka." ('I respond to Your call O Allah! I respond to Your call. You have no partner. I respond to Your call. All praise, thanks and blessings are for You. All sovereignty is for You. And You have no partners with You).'"
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তালবিয়া পাঠ করা
৮২৬। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, ইহরাম বাঁধার সময় তিনি উচ্চস্বরে বলতেনঃ “লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলকা, লা-শারীকা লাকা” বর্ণনাকারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলতেন, এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তালবিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তালবিয়ার সাথে নিজের পক্ষ হতে তিনি এটুকু অংশ বাড়িয়ে পাঠ করতেনঃ লাব্বাইকা, লাব্বাইকা ও সা’দাইকা ওয়াল খাইরু কী ইয়াদাইকা, লাব্বাইকা ওয়ার রাগবা-উ ইলাইকা ওয়াল আমলু।
আমি হাযির, আমি হাযির, আমি ভাগ্যবান, সকল প্রকার কল্যাণ তোমারই হাতে, আমি হাযির, সকল প্রকার আশা-আকাংক্ষা তোমার প্রতিই, আমলও তোমার (সন্তুষ্টির) জন্যই”। — সহীহ, প্রাগুক্ত, বুখারী, মুসলিম
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّلْبِيَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ أَهَلَّ فَانْطَلَقَ يُهِلُّ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ هَذِهِ تَلْبِيَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَكَانَ يَزِيدُ مِنْ عِنْدِهِ فِي أَثَرِ تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Nafi` narrated:
When Ibn Umar would say the talbiyah he would continue saying: "Labbaik Allahumma labbaik. Labbaik la sharika laka labbaik. Innal-hamda wan-ni`mata laka wal-mulk, la sharika laka" (I respond to Your call O Allah! I respond to Your call, You have no partner, I respond to You call. All praise, thanks and blessings are for You. And You have no partners with You). He said: "Abdullah bin Umar would say: 'This is the Talbiyah of the Messenger of Allah.' He would himself add the following after the Talbiyah of the Messenger of Allah: "Labbaik labbaika wa-sa'daik, wal-khairuu fi yadaik. Labbaika war-raghba'u ilaika wal-amal" ('I respond to Your call, and I am obedient to Your orders, all good is in Your Hands. I respond to Your call and the requests and deeds are for You).'"
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তালবিয়া ও কুরবানীর ফযীলত
৮২৭। আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হল, কোন প্রকার হাজ্জ সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেনঃ চিৎকার করা (উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ) ও রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী দেওয়া)। - সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৯২৪)
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ التَّلْبِيَةِ وَالنَّحْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ " الْعَجُّ وَالثَّجُّ " .
Abu Bakr As-Siddiq narrated that:
The Messenger of Allah was asked: "Which Hajj is the most virtuous?" He said: "That with raised voices (Al-Ajj) and the flow of blood (of the sacrifice) (Ath-Thajj)."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তালবিয়া ও কুরবানীর ফযীলত
৮২৮। সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডান ও বামে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সবকিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। এমনকি পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ও প্রান্ত পর্যন্ত (তালবিয়া পাঠকারীদের দ্বারা) পূর্ণ হয়ে যায়।
— সহীহ, মিশকাত (২৫৫০)
ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশের হাদীসের ন্যায় উবাইদ ইবনু হুমাইদের বরাতে সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে। ইবনু উমার ও জাবির (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবু বাকরের হাদীসটিকে গরীব বলেছেন। তিনি বলেন, ইবনু আবু ফুদাইক-দাহহাক ইবনু উসমানের সূত্র ব্যতীত এটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। আর আবদুর রাহমান ইবনু ইয়ারবুর নিকট হতে মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির কোন হাদীস শুনেননি। বরং অন্য একটি হাদীস তিনি সাঈদ ইবনু আবদুর রাহমান ইবনু ইয়ারবুর মাধ্যমে তার পিতার সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। আবু নুআইম আত-তাহহান-যিরার ইবনু সুরাদ এই হাদীসটিকে ইবনু আবূ ফুদাইক যাহহাক ইবনু উসমান হতে, তিনি মোহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে, তিনি সাইদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু ইয়ারবু হতে, তিনি তার পিতার সূত্রে-আবু বাকর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু যিরার তার বর্ণনায় ভুল করেছেন।
আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহঃ) বলেছেন, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির-ইবনু আব্দুর রহামান ইবনু ইয়ারবু হতে, তিনি তার পিতা হতে যিনি হাদীসটির সূত্র এইভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি ভুল করেছেন।
আবু ঈসা বলেন, আমি যিরার ইবনু সুরাদ আবু ফুদাইকের সুত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি মুহাম্মাদ আল-বুখারীর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, এটি ভুল। আমি বললাম, ইবনু আবূ ফুদাইক হতে যিরার ছাড়াও অন্যান্য বর্ণনাকারী এরকমই বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, এগুলো কিছু নয়। এরা ইবনু আবূ ফুদাইক হতে বর্ণনা করেছেন অথচ এতে সাঈদ ইবনু আবদুর রাহমানের নাম উল্লেখ করেননি। যিরার ইবনু সুরাদকে ইমাম বুখারী দুর্বল বর্ণনাকারী সাব্যস্ত করেছেন।
আল-আজ্জ’ অর্থ উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং “আস-সাজ্জ” অর্থ পশু কুরবানী করা।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ التَّلْبِيَةِ وَالنَّحْرِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُلَبِّي إِلاَّ لَبَّى مَنْ عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ مَدَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا " .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ . وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ الطَّحَّانُ ضِرَارُ بْنُ صُرَدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَأَخْطَأَ فِيهِ ضِرَارٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ مَنْ قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِيهِ فَقَدْ أَخْطَأَ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ وَذَكَرْتُ لَهُ حَدِيثَ ضِرَارِ بْنِ صُرَدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ فَقَالَ هُوَ خَطَأٌ . فَقُلْتُ قَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ أَيْضًا مِثْلَ رِوَايَتِهِ . فَقَالَ لاَ شَىْءَ إِنَّمَا رَوَوْهُ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ . وَرَأَيْتُهُ يُضَعِّفُ ضِرَارَ بْنَ صُرَدٍ . وَالْعَجُّ هُوَ رَفْعُ الصَّوْتِ بِالتَّلْبِيَةِ . وَالثَّجُّ هُوَ نَحْرُ الْبُدْنِ .
Sahl bin Sa'd narrated that :
the Messenger of Allah said: "There is no Muslim who says the Talbiyah except that - on his right and left, until the end f the land, from here to there - the rocks, or trees, or mud say the Talbiyah."