পরিচ্ছেদঃ ১. মাতৃ উদরে মানুষ সৃষ্টির অবস্থা (ক্রমধারা), তার রিযক, তার মৃত্যু, তার আমল এবং তার দুর্ভাগ্য ও তার সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ
৬৪৮৭। মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালফ (রহঃ) ... আবূ তুফায়ল (রহঃ) আবূ সারীহা হুযায়ফা ইবনু আসীদ গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, আমি আমার এই দুই কানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, শুক্র জরায়ুতে চল্লিশ রাত অবস্থান করে। এরপর একজন ফিরিশতা তাকে আকৃতি দান করেন। রাবী যুহায়র (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা মতে তিনি বলেছেন, (যিনি আল্লাহর হুকুমে) তাকে সৃষ্টি করেন। তখন তিনি বলতে থাকেন, হে আমার প্রতিপালক! সে কি পুরুষ না স্ত্রীলোক? এরপর আল্লাহ তাকে পূরুষ কিংবা স্ত্রীলোক বানিয়ে দেন। এরপর তিনি (ফিরিশতা) বলতে থাকেন, হে আমার প্রতিপালক! সে কি পূর্ণাঙ্গ হবে না অপূর্ণাঙ্গ্য? তখন আল্লাহ তাকে পূর্ণাঙ্গ কিংবা অপূর্ণ করে দেন। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে আমার প্রতিপালক! তার জীবিকা, তার বয়স, তার চরিত্র কি হবে? এরপর আল্লাহ তাকে দুর্ভাগা কিংবা ভাগ্যবান বানিয়ে দেন।
بَاب كَيْفِيَّةِ خَلْقِ الْآدَمِيِّ فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَكِتَابَةِ رِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَشَقَاوَتِهِ وَسَعَادَتِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَطَاءٍ، أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ خَالِدٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ حَدَّثَهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي سَرِيحَةَ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأُذُنَىَّ هَاتَيْنِ يَقُولُ " إِنَّ النُّطْفَةَ تَقَعُ فِي الرَّحِمِ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ يَتَصَوَّرُ عَلَيْهَا الْمَلَكُ " . قَالَ زُهَيْرٌ حَسِبْتُهُ قَالَ الَّذِي يَخْلُقُهَا " فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَذَكَرٌ أَوْ أُنْثَى فَيَجْعَلُهُ اللَّهُ ذَكَرًا أَوْ أُنْثَى ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ أَسَوِيٌّ أَوْ غَيْرُ سَوِيٍّ فَيَجْعَلُهُ اللَّهُ سَوِيًّا أَوْ غَيْرَ سَوِيٍّ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ مَا رِزْقُهُ مَا أَجَلُهُ مَا خُلُقُهُ ثُمَّ يَجْعَلُهُ اللَّهُ شَقِيًّا أَوْ سَعِيدًا " .
Abu Tufail reported:
I visited Abu Sariha Hudhaifa b. Usaid al-Ghifari who said: I listened with these two ears of mine Allahs Messenger (ﷺ) as saying: The semen stays in the womb for forty nights, then the angel, gives it a shape. Zubair said: I think that he said: One who fashions that and decides whether he would be male or female. Then he (the angel) says: Would his limbs be full or imperfect? And then the Lord makes thein full and perfect or otherwise as He desires. Then he says: My Lord, what about his livelihood, and his death and what about his disposition? And then the Lord decides about his misfortune and fortune.
পরিচ্ছেদঃ ১. মাতৃ উদরে মানুষ সৃষ্টির অবস্থা (ক্রমধারা), তার রিযক, তার মৃত্যু, তার আমল এবং তার দুর্ভাগ্য ও তার সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ
৬৪৮৮। আবদুল ওয়ারিস ইবনু আবদুস সামাদ (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী হুযায়ফা ইবনু আসীদ গিফারী (রাঃ) থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত মারফু’ সনদে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একজন ফিরিশতা গর্ভাশয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। যখন আল্লাহ্ তার নির্দেশত্রুমে কোন কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা করেন তখন চল্লিশ দিনের কিছু বেশী অতিক্রান্ত হলে ...... এরপর তিনি তাদের হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন।
بَاب كَيْفِيَّةِ خَلْقِ الْآدَمِيِّ فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَكِتَابَةِ رِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَشَقَاوَتِهِ وَسَعَادَتِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ كُلْثُومٍ، حَدَّثَنِي أَبِي كُلْثُومٌ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ الْحَدِيثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَّ مَلَكًا مُوَكَّلاً بِالرَّحِمِ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَخْلُقَ شَيْئًا بِإِذْنِ اللَّهِ لِبِضْعٍ وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
Hadhaifa b. Usaid Ghifari, a Companion of Allah's Messenger (ﷺ), reported it directly from Allah's Messenger (may peace upon him). as he said:
There is an angel who looks after the womb when Allah decides to create any- thing after more than forty nights are over; the rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১২. কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে।
৪২৬০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... হুযায়ফা ইব্ন উসায়দ গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরের ছায়ায় বসে ছিলাম। আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এ সময় আমাদের কন্ঠস্বর চড়ে গেলে, তখন রাসুসূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামত কখনো হবে না, অথবা কিয়ামত ততক্ষণ কায়েম হবে না, যতক্ষণ না তার পূর্বে দশটি আলামত প্রকাশ পায়। তা হলোঃ
১। সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে, ২। দাববাতুল আরদ বের হবে; ৩। ইয়াজুজ মাজুজ বের হবে; ৪। দাজ্জাল বের হবে; ৫। ঈসা ইব্ন মারয়াম আসমান থেকে অবতরণ করবে; ৬। ধোঁয়া প্রকাশ পাবে; ৭। তিনটি স্থান ধসে যাবে-পশ্চিমে; ৮। পূর্বে; ৯। আরব উপদ্বীপ এবং ১০। সবশেষে ইয়ামনের আদন প্রান্তর হতে আগুন বের হবে, যা লোকদের সিরিয়ার ’মাহ্শার’ নামক স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
باب أَمَارَاتِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَهَنَّادٌ، - الْمَعْنَى - قَالَ مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا فُرَاتٌ الْقَزَّازُ، عَنْ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ، - وَقَالَ هَنَّادٌ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، - عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ كُنَّا قُعُودًا نَتَحَدَّثُ فِي ظِلِّ غُرْفَةٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا السَّاعَةَ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَنْ تَكُونَ - أَوْ لَنْ تَقُومَ - السَّاعَةُ حَتَّى يَكُونَ قَبْلَهَا عَشْرُ آيَاتٍ طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَخُرُوجُ الدَّابَّةِ وَخُرُوجُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَالدَّجَّالُ وَعِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَالدُّخَانُ وَثَلاَثُ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ تَخْرُجُ نَارٌ مِنَ الْيَمَنِ مِنْ قَعْرِ عَدَنَ تَسُوقُ النَّاسَ إِلَى الْمَحْشَرِ " .
Hudhaifah b. Asid al-Ansari said :
We were sitting in the shade of the chamber of the Messenger of Allah (ﷺ) discussing (something) and when we mentioned the last hour, our voices rose high. The Messenger of Allah (ﷺ) said: The last hour will not come or happen until there appear ten signs before it : the rising of the sun in its place of setting, the coming forth of the beast, the coming forth of Gog and Magog, the Dajjal (Antichrist), (the descent of) Jesus son of Mary, the smoke, and three collapses of the earth: one in the west, one in the east, and one in the Arabian Peninsula. The last of that will be the emergence of a fire from Yemen, from the lowest part of Aden, and drive mankind to their place of assembly.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৩৩. নাজাশীর জানযার সালাত সম্পর্কে।
৪/১৫৩৭। হুযাইফাহ ইবনু উসাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সাথে নিয়ে বের হয়ে বলেনঃ অন্য দেশে মৃত্যুবরণকারী তোমাদের এক ভাইয়ের জানাযার সালাত পড়ো। তারা বলেনঃ তিনি কে? তিনি বলেনঃ নাজাশী।
بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى النَّجَاشِيِّ
- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ بِهِمْ فَقَالَ صَلُّوا عَلَى أَخٍ لَكُمْ مَاتَ بِغَيْرِ أَرْضِكُمْ قَالُوا مَنْ هُوَ قَالَ النَّجَاشِيُّ
It was narrated from Hudhaifah bin Asid that the Prophet (ﷺ) led them out and said:
“Pray for a brother of yours who has died in a land other than yours.” They said: “Who is he?” He said: “Najashi.”
পরিচ্ছেদঃ ভূমি ধ্বস।
২১৮৬. বুন্দার (রহঃ) ..... হুযায়ফা ইবন উসায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তাঁর হুজরা থেকে উকি দিয়ে আমাদের দিকে তাকালেন। আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এরপর তিনি বললেন, দশটি আলামত না দেখা পর্যন্ত কিয়ামত ঘটবে না-পশ্চিম থেকে সূর্যোদয় হওয়া, ইয়াজুজ-মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ, তিনটি ভূমি ধ্বস একটা পূর্বে, একটা পশ্চিমে, আরেকটা আরব উপদ্বীপে। একটা মহাআগুন (ইয়ামানের) আদনের মধ্যে থেকে বের হবে যা মানুষকে হাকিয়ে নিয়ে যাবে (বা তাদের একত্রিত করবে) সুতরাং তারা যেখানে রাত কাটাবে সেখানে তাদের সাথে এ-ও রাত্রি কাটাবে তারা যেখানে দুপুরের বিশ্রাম নিবে সেখানে তাদের সাথে এ-ও দুপুরে বিশ্রাম নিবে। সহীহ, মুসলিম ৮/১৭৮-১৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৮৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... সুফইয়ান (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে ধোয়া সম্পর্কেও উল্লেখ আছে। হান্নাদ (রহঃ) ... ফুরাত কাযযায (রহঃ) থেকেও ওয়াকী-সুফইয়ান (রহঃ) সূত্রের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ফুরাত কাযযায (রহঃ) থেকে আবদুর রহমান-সুফইয়ান-ফুরাত (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে দাজ্জাল অথবা ধোয়া কথাটি অতিরিক্ত আছে।
আবূ মূসা ইবন মুহাম্মদ মুছান্না (রহঃ)-ফুরাত (রহঃ) থেকে আবূ দাউদ-শু’বা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এতে আছে দশম হল প্রচন্ড বাতাস যা তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে কিংবা ঈসা ইবন মারয়াম (আঃ)-এর অবতরণ।
এ বিষয়ে আলী, আবূ হুরায়রা, উম্মু সালামা ও সাফিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب ما جاء في الخسف
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ، قَالَ أَشْرَفَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ غُرْفَةٍ وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ السَّاعَةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَرَوْا عَشْرَ آيَاتٍ طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَيَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَالدَّابَّةُ وَثَلاَثَةُ خُسُوفٍ خَسْفٍ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٍ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٍ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَنَارٌ تَخْرُجُ مِنْ قَعْرِ عَدَنَ تَسُوقُ النَّاسَ أَوْ تَحْشُرُ النَّاسَ فَتَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا وَتَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا " .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ فُرَاتٍ، نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ " الدُّخَانَ " .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، نَحْوَ حَدِيثِ وَكِيعٍ عَنْ سُفْيَانَ، .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، وَالْمَسْعُودِيِّ، سَمِعَا مِنْ، فُرَاتٍ الْقَزَّازِ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ فُرَاتٍ وَزَادَ فِيهِ " الدَّجَّالَ أَوِ الدُّخَانَ " .
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ فُرَاتٍ، نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ، وَزَادَ، فِيهِ قَالَ " وَالْعَاشِرَةُ إِمَّا رِيحٌ تَطْرَحُهُمْ فِي الْبَحْرِ وَإِمَّا نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ
Hudhaifah bin Asid said:
"The Messenger of Allah (s.a.w) stood over us on a balcony, and we were discussing the Hour. So the Messenger of Allah(s.a.w) said: 'The Hour shall not be established until you see ten signs. The sun rising from its setting place, Ya'juj and Ma'juj, the beast of the earth, and three collapses of the earth: A collapse in the east, a collapse in the west and a collapse in the 'Arabian peninsula. And a fire that comes out of a place within 'Adan, driving the people, or gathering the people, camping where they camp, and resting where they rest."'
পরিচ্ছেদঃ ২১. ভূমিধস প্রসঙ্গে
২১৮৩। হুযাইফা ইবনু উসাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন একদিন কিয়ামত প্রসঙ্গে আমরা কথা-বার্তা বলছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম সময় তার ঘর হতে বেরিয়ে আমাদের সামনে এলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখা পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে নাঃ
(১) পশ্চিম প্রান্ত হতে সূর্য উঠবে, (২) ইয়াজুজ ও মাজুজের আত্মপ্রকাশ ঘটবে, (৩) দাব্বাতুল আরদ নামক প্রাণীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে, তিনটি ভুমি ধস হবেঃ (৪) একটি প্রাচ্যে (৫) একটি পাশ্চাত্যে এবং (৬) একটি আরব উপদ্বীপে, (৭) ইয়ামানের অন্তর্গত আদন (এডেন)-এর একটি গভীর কূপ হতে অগ্লুৎপাত হবে, যা মানুষকে তাড়িয়ে নেবে বা একত্র করবে, তারা যেখানে রাত্রি যাপন করবে আগুনও সেখানে রাত্রি কাটাবে এবং তারা যেখানে দিনের বেলায় বিশ্রাম করবে, আগুনও সেখানেই বিশ্রাম করবে।
সহীহ, মুসলিম (৮/১৭৮-১৭৯)।
উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস মাহমূদ ইবনু গাইলান-ওয়াকী হতে, তিনি সুফিয়ান (রাহঃ) হতে এই সনদসূত্রে বর্ণিত আছে। তাতে আছেঃ আদ-দুখান অর্থাৎ ধোয়া নির্গত হবে। এ বর্ণনাটিও সহীহ। হান্নাদ-আবূল আহওয়াস হতে, তিনি ফুরাত আল-কাযযায (রহঃ)-এর সূত্রেও সুফিয়ান হতে ওয়াকী (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণিত আছে। মাহমূদ ইবনু গাইলান-আবূ দাউদ আত-তাইয়ালিসী হতে, তিনি শুবা ও মাসউদী-ফুরাত আল-কাযযায (রহঃ) হতে ফুরাতের সূত্রে সুফিয়ান বর্ণিত পূর্বোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণিত আছে।
এই বর্ণনায় দাজ্জাল ও ধোয়ার উল্লেখ আছে। এ বর্ণনাটিও সহীহ। আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না-আবূন নুমান আল-হাকাম ইবনু আবদুল্লাহ আল-ইজলী হতে, তিনি শুবা হতে, তিনি ফুরাত (রাহঃ)-এর সূত্রে আবূ দাউদ-শুবা (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে আরো আছেঃ “কিয়ামতের দশম নিদর্শন হলো এমন প্রবল বাতাস যা তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে অথবা ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ)-এর অবতরণ"। সহীহ, প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আলী, আবূ হুরাইরা, উম্মু সালামা ও সাফিয়্যা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْخَسْفِ
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ، قَالَ أَشْرَفَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ غُرْفَةٍ وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ السَّاعَةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَرَوْا عَشْرَ آيَاتٍ طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَيَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَالدَّابَّةُ وَثَلاَثَةُ خُسُوفٍ خَسْفٍ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٍ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٍ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَنَارٌ تَخْرُجُ مِنْ قَعْرِ عَدَنَ تَسُوقُ النَّاسَ أَوْ تَحْشُرُ النَّاسَ فَتَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا وَتَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا " .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ فُرَاتٍ، نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ " الدُّخَانَ " .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ فُرَاتٍ الْقَزَّازِ، نَحْوَ حَدِيثِ وَكِيعٍ عَنْ سُفْيَانَ، .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، وَالْمَسْعُودِيِّ، سَمِعَا مِنْ، فُرَاتٍ الْقَزَّازِ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ فُرَاتٍ وَزَادَ فِيهِ " الدَّجَّالَ أَوِ الدُّخَانَ " .
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ فُرَاتٍ، نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ، وَزَادَ، فِيهِ قَالَ " وَالْعَاشِرَةُ إِمَّا رِيحٌ تَطْرَحُهُمْ فِي الْبَحْرِ وَإِمَّا نُزُولُ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Hudhaifah bin Asid said:
"The Messenger of Allah (s.a.w) stood over us on a balcony, and we were discussing the Hour. So the Messenger of Allah(s.a.w) said: 'The Hour shall not be established until you see ten signs. The sun rising from its setting place, Ya'juj and Ma'juj, the beast of the earth, and three collapses of the earth: A collapse in the east, a collapse in the west and a collapse in the 'Arabian peninsula. And a fire that comes out of a place within 'Adan, driving the people, or gathering the people, camping where they camp, and resting where they rest."'
পরিচ্ছেদঃ ১. মায়ের উদরে মানুষের সৃষ্টি রহস্য, তার ভাগ্যের রিয্ক, মৃত্যুস্থান, আমল, হতভাগ্য ও সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ
৬৬১৮-(২/২৬৪৪) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... হুযইফাহ্ ইবনু আসীদ (রহঃ) হতে মারফু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জরায়ুতে চল্লিশ অথবা পয়তাল্লিশ দিন রেণু জমা থাকার পর সেখানে ফেরেশতা গমন করে। অতঃপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রভু! সে কি হতভাগ্য না সৌভাগ্যবান? তখন উভয়টাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর সে বলতে থাকে, হে আমার রব! সে কি পুরুষ না মহিলা? তখন আদেশ অনুসারে উভয়টা লিপিবদ্ধ করা হয়। তার আমল, আচরণ, মৃত্যুক্ষণ ও জীবনোপকরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর ফলকটিকে পেঁচিয়ে দেয়া হয়। তাতে কোন অতিরিক্ত করা হবে না এবং ঘাটতিও হবে না! (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৮৪, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৩৬)
بَاب كَيْفِيَّةِ خَلْقِ الْآدَمِيِّ فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَكِتَابَةِ رِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَشَقَاوَتِهِ وَسَعَادَتِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَدْخُلُ الْمَلَكُ عَلَى النُّطْفَةِ بَعْدَ مَا تَسْتَقِرُّ فِي الرَّحِمِ بِأَرْبَعِينَ أَوْ خَمْسَةٍ وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَيُكْتَبَانِ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَذَكَرٌ أَوْ أُنْثَى فَيُكْتَبَانِ وَيُكْتَبُ عَمَلُهُ وَأَثَرُهُ وَأَجَلُهُ وَرِزْقُهُ ثُمَّ تُطْوَى الصُّحُفُ فَلاَ يُزَادُ فِيهَا وَلاَ يُنْقَصُ " .
Hudhaifa b. Usaid reported directly from Allah's Messenger (ﷺ) that he said:
When the drop of (semen) remains in the womb for forty or fifty (days) or forty nights, the angel comes and says: My Lord, will he be good or evil? And both these things would be written. Then the angel says: My Lord, would he be male or female? And both these things are written. And his deeds and actions, his death, his livelihood; these are also recorded. Then his document of destiny is rolled and there is no addition to nor subtraction from it.
পরিচ্ছেদঃ ১. মায়ের উদরে মানুষের সৃষ্টি রহস্য, তার ভাগ্যের রিয্ক, মৃত্যুস্থান, আমল, হতভাগ্য ও সৌভাগ্য লিপিবদ্ধকরণ
৬৬২২-(.../...) আবদুল ওয়ারিস ইবনু আবদুস সামাদ (রহঃ) ..... রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবা হুযাইফাহ্ ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত মারফু সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন আল্লাহ তার আদেশ অনুসারে কোন কিছু সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা করেন তখন জরায়ুতে একজন ফেরেশতা প্রেরণ করে দেন চল্লিশের কিছু বেশি দিন পরে। তারপর তিনি তাদের হাদীসের হুবহু হাদীস উল্লেখ করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৮৮, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৪০)
بَاب كَيْفِيَّةِ خَلْقِ الْآدَمِيِّ فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَكِتَابَةِ رِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَشَقَاوَتِهِ وَسَعَادَتِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ كُلْثُومٍ، حَدَّثَنِي أَبِي كُلْثُومٌ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ الْحَدِيثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَّ مَلَكًا مُوَكَّلاً بِالرَّحِمِ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَخْلُقَ شَيْئًا بِإِذْنِ اللَّهِ لِبِضْعٍ وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
Hadhaifa b. Usaid Ghifari, a Companion of Allah's Messenger (ﷺ), reported it directly from Allah's Messenger (may peace upon him). as he said:
There is an angel who looks after the womb when Allah decides to create any- thing after more than forty nights are over; the rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কিয়ামতের আগে যেসব নিদর্শন দৃশ্য হবে
৭১৭৭-(৩৯/২৯০১) আবূ খাইসামাহ যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবু উমার আল মাক্কি (রহঃ) ..... হুযাইফাহ ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা (বিভিন্ন বিষয়ে) আলোচনা করছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন এবং প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলোচনা করছ? উত্তরে তারা বললেন, আমরা কিয়ামতের ব্যাপারে আলোচনা করছি। এ কথা শুনে তিনি বললেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না তোমরা দশটি বিশেষ আলামত দেখবে। তারপর তিনি ধুম্র, দাজ্জাল, দাব্বা, পশ্চিমাকাশ হতে সূর্যোদয় হওয়া, মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) এর অবতরণ, ইয়া’জুজ মা’জুজ এবং তিনবার ভূখণ্ড ধ্বসে যাওয়া তথা পূর্ব দিকে ভূখণ্ড ধ্বস, পশ্চিম দিকে ভূখণ্ড ধ্বস এবং আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধ্বসের কথা বর্ণনা করলেন। এ আলামতসমূহের পর এক অগ্ন্যুৎপাতের প্রকাশিত হবে, যা তাদেরকে ইয়ামান থেকে হাশরের মাঠ পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭০২১, ইসলামিক সেন্টার ৭০৭৮)
باب فِي الآيَاتِ الَّتِي تَكُونُ قَبْلَ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ فُرَاتٍ، الْقَزَّازِ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ اطَّلَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ " مَا تَذَاكَرُونَ " . قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ . قَالَ " إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ " . فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صلى الله عليه وسلم وَيَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلاَثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ .
Hudhaifa b. Usaid al-Ghifari reported:
Allah's Messenger (ﷺ) came to us all of a sudden as we were (busy in a discussion). He said: What do you discuss about? They (the Companions) said. We are discussing about the Last Hour. Thereupon he said: It will not come until you see ten signs before and (in this connection) he made a mention of the smoke, Dajjal, the beast, the rising of the sun from the west, the descent of Jesus son of Mary (Allah be pleased with him), the Gog and Magog, and land-slides in three places, one in the east, one in the west and one in Arabia at the end of which fire would burn forth from the Yemen, and would drive people to the place of their assembly.
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা
৫৪৬৪-[১] হুযায়ফাহ্ ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা পরস্পরে কথাবার্তা বলছিলাম, এমন সময় নবী (সা.) - আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি সম্পর্কে আলোচনা করছ? তারা বললেন, আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছি। সে সময় তিনি (সা.) বললেন, তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখা পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে না। আর তা হলো- ১. ধোয়া, ২. দাজ্জাল, ৩. চতুষ্পদ জন্তু, ৪. পশ্চিমাকাশ হতে সূর্য উদিত হওয়া, ৫. ঈসা ইবনু মারইয়াম আলায়হিস-এর (আকাশ হতে) অবতরণ, ৬. ইয়াজুজ ও মাজুজ আগমন, ৭,৮,৯, তিনটি ভূমিধস, পূর্বাঞ্চলে, পশ্চিমাঞ্চলে এবং আরব উপদ্বীপে; ১০. সর্বশেষে ইয়ামান হতে এমন এক অগ্নি বের হবে যা মানুষদেরকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হওয়ার স্থান (সিরিয়ার) দিকে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, ’আদান (এডেন)-এর অভ্যন্তর থেকে আগুন বের হবে, যা মানুষদেরকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়িয়ে নেবে এবং অন্য এক রিওয়ায়াতে দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এমন এক বাতাস প্রবাহিত হবে যা মানুষদেরকে (কাফিরদেরকে) সাগরে নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)
عَن حذيفةَ بن أسيد الْغِفَارِيّ قَالَ: اطَّلَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ. فَقَالَ: «مَا تَذْكُرُونَ؟» . قَالُوا: نَذْكُرُ السَّاعَةَ. قَالَ: إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْا قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ وَيَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ: خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ . وَفِي رِوَايَةٍ: «نَارٌ تَخْرُجُ مِنْ قَعْرِ عَدَنَ تَسُوقُ النَّاسَ إِلَى الْمَحْشَرِ» . وَفِي رِوَايَةٍ فِي الْعَاشِرَةِ «وَرِيحٌ تُلْقِي النَّاسَ فِي الْبَحْر» . رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (39 / 2901 ، 40 / 2901)، (7285 و 7286) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْا قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ) “তা ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখবে।”
(فَذَكَرَ الدُّخَانَ) অতঃপর তিনি (সা.) ধোঁয়ার কথা বললেন। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, পবিত্র কুরআনে সূরা দুখানে এর বর্ণনা হয়েছে- “যখন আকাশ ধোয়ার ছেয়ে যাবে”- (সূরাহ আদ দুখা-ন ৪:১০)। আর এটা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর যুগে প্রকাশ পেয়েছিল।
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন- ধোঁয়া বলতে সেই অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে যা দ্বারা কুরায়শরা আক্রান্ত হয়েছিল। কুরায়শরা দুর্ভিক্ষের কারণে তাদের মাঝে ও আকাশের মাঝে বাতাসকে ধোঁয়ার মতো দেখতে পেয়েছিল। ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর মতকে অনেকেই সমর্থন করেছেন। কিন্তু হুযায়ফাহ (রাঃ), বলেন- এটা হবে বাস্তব ধোঁয়া। কেননা নবী (সাঃ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এটা পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত ছেয়ে যাবে এবং ৪০ দিন অবস্থান করবে। মু'মিনগণ এর দ্বারা সর্দিতে আক্রান্ত হবে আর কাফিরগণ মাতাল হয়ে যাবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই ধোয়া এখনো প্রকাশ পায়নি, কিয়ামতের পূর্বের প্রকাশ পাবে। অথবা উভয় সাহাবীর মতের সমন্বয়ে বলা যেতে পারে। এখানে দু' ধরনের ধোয়ার সম্ভাবনাই রয়েছে। (শারহুন নাবাবী ১৮/২৯০১)
(دَّابَّةَ) (দাব্বাহ্) বা জন্তু বলতে যা বুঝায় তা হলো পবিত্র কুরআনের ভাষায় (اَخۡرَجۡنَا لَهُمۡ دَآبَّۃً مِّنَ الۡاَرۡضِ تُکَلِّمُهُمۡ) “যখন প্রতিশ্রুত (কিয়ামত) সমাগত হবে, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে।” (সূরা আন্ নামল ২৭: ৮২)
মুফাসসিরগণ বলেন, এটা হবে বিরাট এক জীব যা সাফা পাহাড়ের ফাটল থেকে বের হবে। ইবনুল মালিক বলেন, দাব্বা বা বড় জন্তুটি তিনবার প্রকাশ পাবে- ইমাম মাহদীর সময়ে, এরপর ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর সময়ে, অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে উদয়ের পর।
(وَنُزُولَ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَاسَّلَمُ) এবং ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর অবতরণ। এখানে ইমাম মাহদীর কথা বলা হয়নি। মূলত ঈসা আলাইহিস সালাম ইমাম মাহদীর একই সময় অবতীর্ণ হবেন। ইমাম ত্ববারানী আওস ইবনু আওস থেকে মারফু সূত্রে উল্লেখ করেন, ‘ঈসা আলাইহিস সালাম দামিশকের একটি সাদা মিনারায় অবতরণ করবেন। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনু মারইয়াম সিরিয়ার ‘লুদ' নামক স্থানে প্রবেশ করে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এরপর ইয়াজুজ ও মাজুজ বের হবে। হাদীসে ধারাবাহিকভাবে নিদর্শনগুলো উল্লেখ না করে সাধারণভাবে একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত প্রথম নিদর্শন হবে ধোয়া, এরপর ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর অবতরণ, এরপর ইয়াজুজ মাজুজ, অতঃপর দাব্বাহ্ বা ভূমি থেকে একটি বিরাট জন্তুর আত্মপ্রকাশ, সর্বশেষে সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হওয়া। কেননা ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর সময়ে মানুষ ইসলামে প্রবেশ করবে। যদি দাজ্জাল ও ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর পূর্বে সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হয় তাহলে তো ঈমান কবুলই হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
(وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ) এবং তিনটি ভূমিধস হবে। একটি প্রাচ্যে, একটি প্রাশ্চাত্যে এবং একটি আরব উপদ্বীপে।
(وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ) এবং সর্বশেষ নিদর্শন হবে ইয়ামান দেশ থেকে আগুন বের হবে। আর মানুষকে হাশরের ময়দানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, হিজায থেকে দুটি আগুন বের হবে। দুদিক থেকে মানুষকে এক জায়গায় একত্রিত করবে। অথবা আগুনের সূচনা হবে ইয়ামানে
এবং শেষ হবে হিজাযে গিয়ে। অপর এক বর্ণনায়, দশম নিদর্শন আগুনের পরিবর্তে বাতাস বলা হয়েছে। অর্থাৎ- অগ্নি মিশ্রিত প্রচণ্ড বাতাস কাফিরদেরকে সাগরে নিয়ে ফেলবে। আর তা হবে কাফির ও পাপীদের একত্রিত হওয়ার স্থান। আর তখন সাগর আগুনে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, (وَ اِذَا الۡبِحَارُ سُجِّرَتۡ) “যখন সমুদ্রগুলোকে প্রজ্বলিত করে উত্তাল করা হবে।” (সূরা আত্ তাকভীর ৮১: ৬)।
এর বিপরীত হবে মু'মিনদের আগুন। মূলত আগুন মু'মিনদের ভীতির কারণ হবে এবং চাবুকের ন্যায় তাদেরকে তাড়িয়ে হাশরের দিকে তাড়িয়ে নিবে। আল্লাহই এ ব্যাপারে অধিক জানেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১২. কিয়ামতের আলামাতসমূহ
৪৩১১। হুযাইফা ইবনু আসিদ আল-গিফরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরের ছায়ায় বসে কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। আমাদের কণ্ঠস্বর চরমে উঠলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দশটি আলামত প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কখনো কিয়ামত হবে না। সেগুলো হলোঃ পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় ’দাব্বাতুল আরদ’ নামক জন্তুর আবির্ভাব, ইয়াজূজ-মাজূজ দাজ্জাল ও ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) ও ধোয়ার প্রকাশ, আর তিনটি ভূমিধ্বস; পাশ্চাত্যে, প্রাচ্যে একটি ও আরব উপদ্বীপে একটি। এগুলোর পরেই ইয়ামেনের আদান নামক স্থানে নীচ ভূমি থেকে আগুন বের হবে, যা মানুষকে হাশরের (সিরিয়ার) দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।[1]
সহীহ।
بَابُ أَمَارَاتِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَهَنَّادٌ، الْمَعْنَى، قَالَ مُسَدَّدٌ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا فُرَاتٌ الْقَزَّازُ، عَنْ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ - وَقَالَ هَنَّادٌ: عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ - عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِيِّ، قَالَ: كُنَّا قُعُودًا نَتَحَدَّثُ فِي ظِلِّ غُرْفَةٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم، فَذَكَرْنَا السَّاعَةَ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَنْ تَكُونَ - أَوْ لَنْ تَقُومَ - السَّاعَةُ حَتَّى يَكُونَ قَبْلَهَا عَشْرُ آيَاتٍ: طُلُوعُ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا، وَخُرُوجُ الدَّابَّةِ، وَخُرُوجُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ، وَالدَّجَّالُ، وَعِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، وَالدُّخَانُ، وَثَلَاثَةُ خُسُوفٍ، خَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ، وَخَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ، وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَآخِرُ ذَلِكَ تَخْرُجُ نَارٌ مِنَ الْيَمَنِ، مِنْ قَعْرِ عَدَنٍ، تَسُوقُ النَّاسَ إِلَى الْمَحْشَرِ
صحيح
Hudhaifah b. Asid al-Ansari said :
We were sitting in the shade of the chamber of the Messenger of Allah (ﷺ) discussing (something) and when we mentioned the last hour, our voices rose high. The Messenger of Allah (ﷺ) said: The last hour will not come or happen until there appear ten signs before it : the rising of the sun in its place of setting, the coming forth of the beast, the coming forth of Gog and Magog, the Dajjal (Antichrist), (the descent of) Jesus son of Mary, the smoke, and three collapses of the earth: one in the west, one in the east, and one in the Arabian Peninsula. The last of that will be the emergence of a fire from Yemen, from the lowest part of Aden, and drive mankind to their place of assembly.