সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) ০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) - Introduction

পরিচ্ছেদঃ ১.নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) রাবীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করা এবং মিথ্যাবাদী রাবীদের প্রত্যাখ্যান করা কর্তব্য, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি মিথ্যারোপকারীদের প্রতি হুশিয়ারী

পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি

ভুমিকা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক। মুত্তাকীদের জন্যই রয়েছে উত্তম পরিণতি। আর সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মহান আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।

হামদ ও সালাতের পর। আল্লাহ তা’আলা তোমার প্রতি "রহমত বর্ষণ করুন" তোমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ কৃপায় তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পরিপূর্ণ দীন-ইসলাম ও শারীআতের বিধান (আদেশ-নিষেধ) সম্পর্কিত এবং পুরস্কার ও শাস্তি, উৎসাহ ও ভীতি ইত্যাদি সংক্রান্ত যে সব সহীহ হাদীস অবিচ্ছিন্ন সনদ পরম্পরায় চলে আসছে, আর হাদীস শাস্ত্রবিশারদ মুহাদ্দিসগণ যা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করে আসছেন, তা জানার জন্য আমার নিকট আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে এবং তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করেছে (আল্লাহ তোমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন) সে সমস্ত হাদীস একই স্থানে সংকলন আকারে পাওয়ার জন্য। তুমি আমাকে অনুরোধ করেছিলে যে, আমি যেন এ হাদীসগুলো সংকলন করতে গিয়ে কোন হাদীস বারবার উল্লেখ না করি এবং সংকলনটি যেন সংক্ষিপ্তাকারে প্রস্তুত করি। তোমার ধারণা একই হাদীসের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তার নিগুঢ় তত্ত্ব অনুধাবন করা এবং তা থেকে বিভিন্ন মাসআলা বের করা যা তোমার মূল উদ্দেশ্য- তা ব্যাহত হবে। আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করুন। যে মহৎ কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য তুমি আমাকে অনুরোধ করছে সে সম্পর্কে চিন্তা করে আমি যে সুন্দর ফলাফল দেখতে পাচ্ছি, আল্লাহ চান তো (ইনশাআল্লাহ) তা খুবই চমৎকার ও স্থায়ী ফলপ্রদ হবে।

তুমি আমাকে যে কষ্ট স্বীকার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি চিন্তা করে দেখেছি, যদি আমার দ্বারা এ কাজ সম্পন্ন হয় এবং আমার চেষ্টা ও সাধনা সার্থক প্রমাণিত হয় তা হলে আমিই প্রথমে এ সুফল লাভ করব। এর অনেক কারণ রয়েছে। সে সবের বর্ণনা করতে গেলে আলোচনা দীর্ঘ হয়ে পড়বে। তবে সার কথা হচ্ছে, অধিক সংখ্যক হাদীস আলোচনার চাইতে অল্প সংখ্যক হাদীস বিশুদ্ধ ও যথাযথাভাবে মনে রাখা লোকদের পক্ষে সহজ। এতে তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। কারণ, তারা অন্যের সাহায্য ব্যতীত সহীহ এবং ত্রুটিপূর্ণ হাদীসের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে সক্ষম নয়। এমতাবস্থায় তাদের জন্য অধিক সংখ্যক দুর্বল হাদীস বর্ণনা করার পরিবর্তে অল্প সংখ্যক সহীহ হাদীস বর্ণনা করা উত্তম। অবশ্য বিশেষ কিছু লোক যারা ইলমে হাদীসে বিশেষ পাণ্ডিত্যের অধিকারী এবং হাদীসের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিরূপণে সক্ষম অধিক সংখ্যক হাদীন বর্ণনা, সংকলন এবং পুনরাবৃত্তি তাদের উপকারে আসতে পারে। এ সব লোক নিজেদের যোগ্যতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে হাদীসের বিরাট সংকলন থেকে আল্লাহ চান তো লাভবান হতে পারে। পক্ষান্তরে সাধারণ লোকের পক্ষে অধিক সংখ্যক হাদীসের খোজাখুঁজি অর্থহীন। কেননা তারা অল্প সংখ্যক হাদীসের মধ্যেই সহীহ য’ঈফ (বিশুদ্ধ ও দুর্বল) ইত্যাদি নির্ণয়ে অক্ষম।

অতঃপর তোমার আকাঙ্ক্ষাতে আল্লাহ চান তো হাদীস সংকলনের কাজে আমি একটি নীতি অবলম্বন করে এগিয়ে যাব। আর তা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যে সব হাদীস অবিচ্ছিন্ন সনদ পরম্পরায় (মুত্তাসিল) বর্ণিত হয়ে আসছে, আমি শুধুমাত্র সেগুলো থেকেই সংকলন করব। অতঃপর বর্ণনাকারীদের তিনটি স্তর অনুযায়ী হাদীসগুলোকে পূরণ ছাড়া তিন ভাগে বিভক্ত করব বলে ইচ্ছা করেছি। তবে যদি কোন হাদীসের পুনরুল্লেখ অপরিহার্য হয়ে পড়ে তাহলে ভিন্ন কথা। এর দুটি কারণ-

প্রথমতঃ পরবর্তী বর্ণনায় কিছু বাড়তি বিষয় আছে। দ্বিতীয়তঃ কোন বিশেষ কারণে একটি সনদের সমর্থনে আরেকটি সনদ আনার প্রয়োজন হয়। কেননা, একটি বর্ধিত বিষয় একটি পূর্ণ হাদীসে স্থলাভিষিক্ত হয় বলে পুনর্বার উল্লেখ করা প্রয়োজন। কিংবা যদি সম্ভব হয়, তাহলে আমরা এ বর্ধিত অংশটুকু সংক্ষিপ্ত আকারে পূর্ণ হাদীস থেকে পৃথক করে বর্ণনা করব। তবে অনেক সময় পূর্ণ হাদীস থেকে সে অংশ পৃথক করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে পূর্ণ হাদীসটির পুনরাবৃত্তি করাই নিরাপদ। অবশ্য যদি আমরা পূর্ণ হাদীসটির পুনরোল্লেখ না করে অতিরিক্ত অংশ পৃথকভাবে বর্ণনা করতে পারি তাহলে কেবল সনদ সহকারে অতিরিক্ত অংশটুকুই বর্ণনা করবো ইনশাআল্লাহ।

প্রথম শ্রেণীতে আমরা এমন হাদীস বর্ণনা করবো, যেগুলো সব দিক থেকে ত্রুটি-বিচ্যুতিমুক্ত। কারণ এগুলোর বর্ণনাকারী হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে নিষ্কলুষ চরিত্রবান, ন্যায়পরায়ণ, নিষ্ঠাবান ও আস্থাভাজন। তাদের বর্ণনার মধ্যে বড় রকমের বিরোধ নেই কিংবা তেমন গরমিলও নেই, যেমনটা অনেক রাবীর মধ্যে দেখা যায় এবং তাদের বর্ণনায় তা স্পষ্টভাবে প্রকাশও পেয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা এমন হাদীস বর্ণনা করবো, যার বর্ণনাকারীদের কেউ কেউ প্রথম স্তরের রাবীদের অনুরূপ মেধা, স্মৃতিশক্তি ও সুখ্যাতির অধিকারী নন। এরা প্রথম স্তরের রাবীদের সমান মর্যাদা সম্পন্ন না হলেও এদের দোষত্রুটি প্রকাশ পায়নি এবং সত্যবাদী ও হাদীসের রাবী হিসেবে এরা গণ্য হয়েছেন। হাদীস বিশারদগণ এদের পরিত্যাগ না করে বরং এদের কাছে নিদ্বিধায় ইলম হাসিল করেছেন। যেমন আতা ইবনু সায়িব, ইয়াযীদ ইবনু আবূ যিয়াদ ও লায়স ইবনু আবূ সুলায়ম এবং এ ধরনের অন্যান্য রাবীগণ। এরা যদিও জ্ঞান, চরিত্র ও যোগ্যতার দিক থেকে আলিমদের কাছে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, কিন্তু তারা সমকালীন সিকাহ (স্মরণশক্তি ও বর্ণনার দৃঢ়তায় উত্তীর্ণ) রাবীদের সম-মর্যাদার অধিকারী নন। হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট এ স্মৃতিশক্তি ও বিশ্বস্ততা, উন্নত মর্যাদা ও উত্তম বৈশিষ্ট্যের মাপকাঠি। তুমি কি লক্ষ্য করছে না যে, যদি উপরোক্ত তিনজন অর্থাৎ আতা, ইয়াযীদ ও লায়সকে মানসূর ইবনু মু’তামির, সুলাইমান আল-আমাশ ও ইসমাঈল ইবনু আবূ খালিদের সাথে হাদীস সংরক্ষণে দৃঢ়তা ও মজবুতির মান তুলনা কর দেখতে পাবে- তাদের মর্যাদা সম্পূর্ণ আলাদা। তারা মানসূর, আমাশ ও ইসমাঈলের কাছেও পৌছতে সক্ষম নন। নিঃসন্দেহে মানসূর, আমাশ ও ইসমাঈলের স্মৃতিশক্তি ও বিশ্বস্ততা হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছে যতখানি প্রসিদ্ধি পেয়েছে ’আতা, ইয়াযীদ ও লায়সের ক্ষেত্রে ততখানি নয়।

যদি তুমি ইবনু আওন ও আইয়ুব সাখতিয়ানীকে সমকালীন রাবী আওফ ইবনু আবূ জামীলাহ আশ’আস হুমরানীর সঙ্গে তুলনা কর তবে দেখতে পাবে মর্যাদার পূর্ণতায় ও বর্ণনার নির্ভুলতায় তাদের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে। অথচ ইবনু আওন ও আইয়ূব এবং আওফ ও আশ’আস চারজনই হাসান বাসরী ও ইবনু সীরনের শাগরিদ। আর হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে শেষোক্ত দুজনও সত্যনিষ্ঠ ও আমানতদার। তদুপরি হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট প্রথমোক্ত দু’জনের সঙ্গে এ দু’জনের মর্যাদার পার্থক্য বিদ্যমান। আমরা এখানে কয়েকজন রাবীর নাম উল্লেখ করে উদাহরণ পেশ করছি। হাদীস বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে যে মর্যাদাগত ও যোগ্যতার তারতম্য রয়েছে, তা যার জানা নেই এ দৃষ্টান্ত তার জন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে। ফলে উচ্চমর্যাদা ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য মর্যাদা থেকে খাটো করে দেখা হবে না এবং নিম্ন মর্যাদা ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য মর্যাদার উপরে স্থান দেয়া হবে না। বরং প্রত্যেককে তার প্রাপ্য অধিকার দিয়ে স্বীয় মর্যাদায় সমাসীন করাই আমাদের কাম্য।

আয়িশাহ সিদীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন প্রত্যেককে তার আপন আপন মর্যাদা দেই। বিষয়টি কুরআনে এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। ইরশাদ হচ্ছেঃ “প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর রয়েছে এক মহাজ্ঞানী"- (সূরাহ ইউসুফ ১২ঃ ৭৬)। তোমার অনুরোধে আমরা উল্লেখিত শর্ত সামনে রেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস সংকলন করব।

কিন্তু হাদীস বিশারদদের সবাই কিংবা তাদের অধিকাংশ যে সব রাবীর সমালোচনা করেছেন বা দোষ-ত্রুটি নির্দেশ করেছেন কিংবা তাদের মিথ্যাচারী বলে উল্লেখ করেছেন, আমরা এদের বর্ণিত হাদীস পরিত্যাগ করব। যেমন "আবদুল্লাহ ইবনু মিসওয়ার, আবূ জাফার আল মাদায়িনী, আমর ইবনু খালিদ, আবদুল কুদ্দুস শামী, মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আল মাসলুব, গিয়াস ইবনু ইবনু ইবরাহীম, সুলাইমান ইবনু উমার, আবূ দাউদ নাখ’ঈ এবং এদের মতো আরও অন্যান্য রাবীগণ। এদের বিরুদ্ধে জাল হাদীস বর্ণনা করার এবং মনগড়া হাদীস রচনার অভিযোগ রয়েছে। আর যাদের বর্ণনা নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পরিপন্থী (মুনকার) অথবা ভুল-ভ্রান্তি প্রমাণিত হয়েছে তাদের বর্ণিত হাদীসও গ্রহণ করা থেকে আমরা বিরত থাকব।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) মুনকার হাদীসের সংজ্ঞা দিতে দিয়ে বলেছেনঃ মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) হাদীসের নিদর্শন এই যে, কোন রাবীর বর্ণনাকে কোন স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন এবং সর্বজন-মান্য রাবীর বর্ণনার সাথে তুলনা করলে যদি দেখা যায় যে, প্রথমোক্ত রাবীর বর্ণনা শেষোক্ত (নির্ভরযোগ্য) রাবীর বর্ণনার সম্পূর্ণ বিরোধী কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গরমিল রয়েছে, সেরূপ হাদীসকে মুনকার হাদীস বলা হয়। সুতরাং যদি তার অধিকাংশ বর্ণনাই এরূপ হয় তাহলে তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য নয় এবং প্রয়োগযোগ্যও নয়। এ পর্যায়ের রাবীদের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহ ইবনু মুহাররার, ইয়াহইয়া ইবনু আবূ উনাইসাহ, আল ইবনু সুহবান এবং তাদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনাকারগণ- যারা মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতএব আমরা এদের বর্ণিত হাদীসের প্রতি ভ্ৰক্ষেপ করব না এবং তাদের হাদীস বর্ণনাও করব না। একক রাবীর (মুফরাদ) বর্ণনা সম্পর্কে হাদীস বিশারদগণ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁদের যে মাযহাব জানা গেছে তা হলোঃ যে হাদীসটি মাত্র একজন রাবী বর্ণনা করেছেন, তিনি যদি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সিকাহ এবং হাফিযুল হাদীস রাবীদের সাথে পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে শারীক থাকেন এবং তাদের বর্ণনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার প্রতি যত্নবান হন, তার বর্ণিত হাদীসে যদি কিছু অতিরিক্ত অংশ থাকে যা তাদের বর্ণনায় নেই তাহলে তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে।

হাদীস চর্চার ক্ষেত্রে ইমাম যুহরীর স্থান ও মর্যাদা অনেক উর্ধ্বে। তার বহু ছাত্র হাফিযুল হাদীস এবং শক্তিশালী রাবী হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তারা তার ও অপরাপর মুহাদ্দিসের হাদীসসমূহও নিখুঁতভাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীস বিশারদদের মধ্যে ইমাম যুহরী ও হিশাম ইবনু উরওয়ার বর্ণিত হাদীস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। এ দু’জনের ছাত্রগণ ঐকমত্যে তাদের বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। এমতাবস্থায় যদি দেখা যায় যে, কোন ব্যক্তি তাদের উভয়ের (যুহরী ও হিশাম) থেকে অথবা তাদের কোন একজনের কাছ থেকে এমন কোন হাদীস বর্ণনা করার দাবী করে যে সম্পর্কে তাদের ছাত্রগণ অবহিত নন, তাছাড়া সে ব্যক্তি তাদের কারো সাথে কোন সহীহ বর্ণনায় শারীকও নয় এরূপ লোকের বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

আর আমরা হাদীস ও হাদীস বর্ণনাকারীদের কয়েকটি মূলনীতির ব্যাখ্যা দিলাম, যাতে যিনি মুহাদ্দিসগণের পথ অনুসরণ করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং আল্লাহ তা’আলা যাকে এ পথে চলার তাওফীক দান করেন, তিনি এ দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে পারেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা যথাস্থানে মু’আল্লালাহ (ক্ৰটিযুক্ত) হাদীস সম্পর্কে বর্ণনা করার সময় এ সম্পর্কে অধিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়াস পাব। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তোমার প্রতি সদয় হোন।

আর তোমার প্রতি আল্লাহর রহম করে, এর পরে স্বঘোষিত মুহাদ্দিসদের অপকৰ্ম আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। তারা জানে এবং স্বীকারও করে যে, তারা শারী’আহ বিষয়ে জ্ঞানহীনদের কাছে ছড়িয়ে দেয় যেগুলো এমন সব লোক হতে বর্ণিত যারা আহলুল হাদীসগণের নিকট মিথ্যা বর্ণনার অভিযোগে অভিযুক্ত। যা মুনকার, অথচ উচিত ছিল এ সব মুনকার হাদীস বর্ণনা থেকে বিরত থাকা। তাদের উচিত কেবল সেসব হাদীস বর্ণনা করা যেগুলো সহীহ ও মাশহর, যেগুলো বিশ্বাসভাজন নিষ্ঠাবাস ও ন্যায়পরায়ণতায় প্রসিদ্ধ রাবীগণ বর্ণনা করেছেন। সেসব মহান রাবীগণের মধ্যে রয়েছেন মালিক ইবনু আনাস, শু’বাহ ইবনু হাজ্জাজ, সুফইয়ান ইবনু উওয়াইনাহ, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান, ’আবদুর রহমান ইবনু মাহদী প্রমুখ। কেবল তোমার অনুরোধে সহীহ হাদীসগুলো বাছাই করার কষ্ট স্বীকার করা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না; কিন্তু যখন দেখতে পেলাম, তথাকথিত মুহাদ্দিসরা সাধারণের মধ্যে মুনকার ও মিথ্যা হাদীস প্রচার করছে তখনই কাজে সাড়া দেয়া আমার পক্ষে সহজ হলো।


জেনে রাখ, যারা সহীহ এবং নির্ভুল হাদীসের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে সক্ষম এবং যাদের নির্ভরযোগ্য ও সন্দেহজনক রাবীদের যাচাই করার ক্ষমতা আছে তাদের কেবল এমন হাদীস বর্ণনা করার কর্তব্য যেগুলোর উৎস সহীহ এবং যেগুলোর রাবীগণের কোন দোষ প্রমাণিত হয়নি। তারা এমন হাদীস বর্ণনা করবেন না, যেগুলো এমন লোক বর্ণনা করেছে যারা অপবাদপ্রাপ্ত বিদ্বেষপ্রবণ, বিদ’আতী এবং দোষী।

আমরা যা বললাম তার এমন শক্ত দলীল পেশ করব যাতে তা মেনে নেয়া অপরিহার্য হয় আর তার বিরোধিতা করার কোন সুযোগ না থাকে। তা হচ্ছে মহান আল্লাহর বাণীঃ "হে মু’মিনগণ! যদি কোন ফাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশতঃ কোন মানবগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধন করবে বসবে আর পরে নিজেদের কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে" (সূরাহ আল হুজুরাত ৪৯ঃ ৬)। অপর এক আয়াতে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ "তোমার পছন্দমত সাক্ষী নিযুক্ত কর" (সূরাহ আল বাকারাহ ২ঃ ২৮২)। তিনি আরো বলেনঃ "তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে"- (সূরাহ আত তালাক ৬৫ঃ ২)। এসব আয়াত থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ফাসিক লোকের খবর বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য এবং যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয় তার সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কোন কোন বিষয়ে রিওয়ায়াত ও শাহাদাতের মধ্যে (সাক্ষ্যদানের) পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানতঃ এ দুটি এক ও অভিন্ন। হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছে ফাসিক ব্যক্তির খবর যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি তার শাহাদাত বা সাক্ষ্যও সবার নিকট প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কুরআনুল মাজীদে যেমন ফাসিকের খবর পরিত্যাজ্য বলে প্রমাণিত, তেমনি হাদীসেও মুনকার রিওয়ায়াত বর্ণনা করা না-জায়িয বলে প্রমাণিত। এ প্রসিদ্ধ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার পক্ষ হতে এমন হাদীস বর্ণনা করে, যা সে জানে যে, তা মিথ্যা, তবে সেও মিথ্যাবীদের একজন। অর্থাৎ যদিও সে ঐ হাদীসটি নিজ হতে বানায়নি কিন্তু তার মনে মনে বুঝে যে, ঐ হাদীস সঠিক নয় তবুও যে সেটা বর্ণনা করে সেক্ষেত্রে সেও মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত।* (অথবা সে দুই মিথ্যাবাদীর অন্যতম)

(../.) এ হাদীসটি আবূ বকর ইবনু আবী শাইবাহ (রহঃ), সামুরাহ ইবনু জুনদাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

باب وُجُوبِ الرِّوَايَةِ عَنِ الثِّقَاتِ، وَتَرْكِ الْكَذَّابِينَ

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ. الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ خَاتَمِ النَّبِيِّينَ وَعَلَى جَمِيعِ الأَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِينَ. أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّكَ يَرْحَمُكَ اللَّهُ بِتَوْفِيقِ خَالِقِكَ ذَكَرْتَ أَنَّكَ هَمَمْتَ بِالْفَحْصِ عَنْ تَعَرُّفِ جُمْلَةِ الأَخْبَارِ الْمَأْثُورَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُنَنِ الدِّينِ وَأَحْكَامِهِ وَمَا كَانَ مِنْهَا فِي الثَّوَابِ وَالْعِقَابِ وَالتَّرْغِيبِ وَالتَّرْهِيبِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ صُنُوفِ الأَشْيَاءِ بِالأَسَانِيدِ الَّتِي بِهَا نُقِلَتْ وَتَدَاوَلَهَا أَهْلُ الْعِلْمِ فِيمَا بَيْنَهُمْ فَأَرَدْتَ- أَرْشَدَكَ اللَّهُ- أَنْ تُوَقَّفَ عَلَى جُمْلَتِهَا مُؤَلَّفَةً مُحْصَاةً وَسَأَلْتَنِي أَنْ أُلَخِّصَهَا لَكَ فِي التَّأْلِيفِ بِلاَ تَكْرَارٍ يَكْثُرُ فَإِنَّ ذَلِكَ- زَعَمْتَ- مِمَّا يَشْغَلُكَ عَمَّا لَهُ قَصَدْتَ مِنَ التَّفَهُّمِ فِيهَا وَالاِسْتِنْبَاطِ مِنْهَا. وَلِلَّذِي سَأَلْتَ- أَكْرَمَكَ اللَّهُ- حِينَ رَجَعْتُ إِلَى تَدَبُّرِهِ وَمَا تَؤُولُ بِهِ الْحَالُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَاقِبَةٌ مَحْمُودَةٌ وَمَنْفَعَةٌ مَوْجُودَةٌ وَظَنَنْتُ- حِينَ سَأَلْتَنِي تَجَشُّمَ ذَلِكَ- أَنْ لَوْ عُزِمَ لِي عَلَيْهِ وَقُضِيَ لِي تَمَامُهُ كَانَ أَوَّلُ مَنْ يُصِيبُهُ نَفْعُ ذَلِكَ إِيَّايَ خَاصَّةً قَبْلَ غَيْرِي مِنَ النَّاسِ لأَسْبَابٍ كَثِيرَةٍ يَطُولُ بِذِكْرِهَا الْوَصْفُ إِلاَّ أَنَّ جُمْلَةَ ذَلِكَ أَنَّ ضَبْطَ الْقَلِيلِ مِنْ هَذَا الشَّانِ وَإِتْقَانَهُ أَيْسَرُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ مُعَالَجَةِ الْكَثِيرِ مِنْهُ. ولاسيما عِنْدَ مَنْ لاَ تَمْيِيزَ عِنْدَهُ مِنَ الْعَوَامِّ إِلاَّ بِأَنْ يُوَقِّفَهُ عَلَى التَّمْيِيزِ غَيْرُهُ. فَإِذَا كَانَ الأَمْرُ فِي هَذَا كَمَا وَصَفْنَا فَالْقَصْدُ مِنْهُ إِلَى الصَّحِيحِ الْقَلِيلِ أَوْلَى بِهِمْ مِنَ ازْدِيَادِ السَّقِيمِ وَإِنَّمَا يُرْجَى بَعْضُ الْمَنْفَعَةِ فِي الاِسْتِكْثَارِ مِنْ هَذَا الشَّانِ وَجَمْعِ الْمُكَرَّرَاتِ مِنْهُ لِخَاصَّةٍ مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ رُزِقَ فِيهِ بَعْضَ التَّيَقُّظِ وَالْمَعْرِفَةِ بِأَسْبَابِهِ وَعِلَلِهِ فَذَلِكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ يَهْجُمُ بِمَا أُوتِيَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى الْفَائِدَةِ فِي الاِسْتِكْثَارِ مِنْ جَمْعِهِ. فَأَمَّا عَوَامُّ النَّاسِ الَّذِينَ هُمْ بِخِلاَفِ مَعَانِي الْخَاصِّ مِنْ أَهْلِ التَّيَقُّظِ وَالْمَعْرِفَةِ فَلاَ مَعْنَى لَهُمْ فِي طَلَبِ الْكَثِيرِ وَقَدْ عَجَزُوا عَنْ مَعْرِفَةِ الْقَلِيلِ
ثُمَّ إِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ مُبْتَدِئُونَ فِي تَخْرِيجِ مَا سَأَلْتَ وَتَأْلِيفِهِ عَلَى شَرِيطَةٍ سَوْفَ أَذْكُرُهَا لَكَ وَهُوَ إِنَّا نَعْمِدُ إِلَى جُمْلَةِ مَا أُسْنِدَ مِنَ الأَخْبَارِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَقْسِمُهَا عَلَى ثَلاَثَةِ أَقْسَامٍ وَثَلاَثِ طَبَقَاتٍ مِنَ النَّاسِ عَلَى غَيْرِ تَكْرَارٍ. إِلاَّ أَنْ يَأْتِيَ مَوْضِعٌ لاَ يُسْتَغْنَى فِيهِ عَنْ تَرْدَادِ حَدِيثٍ فِيهِ زِيَادَةُ مَعْنًى أَوْ إِسْنَادٌ يَقَعُ إِلَى جَنْبِ إِسْنَادٍ لِعِلَّةٍ تَكُونُ هُنَاكَ لأَنَّ الْمَعْنَى الزَّائِدَ فِي الْحَدِيثِ الْمُحْتَاجَ إِلَيْهِ يَقُومُ مَقَامَ حَدِيثٍ تَامٍّ فلابد مِنْ إِعَادَةِ الْحَدِيثِ الَّذِي فِيهِ مَا وَصَفْنَا مِنَ الزِّيَادَةِ أَوْ أَنْ يُفَصَّلَ ذَلِكَ الْمَعْنَى مِنْ جُمْلَةِ الْحَدِيثِ عَلَى اخْتِصَارِهِ إِذَا أَمْكَنَ. وَلَكِنْ تَفْصِيلُهُ رُبَّمَا عَسُرَ مِنْ جُمْلَتِهِ فَإِعَادَتُهُ بِهَيْئَتِهِ إِذَا ضَاقَ ذَلِكَ أَسْلَمُ
فَأَمَّا مَا وَجَدْنَا بُدًّا مِنْ إِعَادَتِهِ بِجُمْلَتِهِ مِنْ غَيْرِ حَاجَةٍ مِنَّا إِلَيْهِ فَلاَ نَتَوَلَّى فِعْلَهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَأَمَّا الْقِسْمُ الأَوَّلُ فَإِنَّا نَتَوَخَّى أَنْ نُقَدِّمَ الأَخْبَارَ الَّتِي هِيَ أَسْلَمُ مِنَ الْعُيُوبِ مِنْ غَيْرِهَا وَأَنْقَى مِنْ أَنْ يَكُونَ نَاقِلُوهَا أَهْلَ اسْتِقَامَةٍ فِي الْحَدِيثِ وَإِتْقَانٍ لِمَا نَقَلُوا لَمْ يُوجَدْ فِي رِوَايَتِهِمِ اخْتِلاَفٌ شَدِيدٌ وَلاَ تَخْلِيطٌ فَاحِشٌ كَمَا قَدْ عُثِرَ فِيهِ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ وَبَانَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِمْ
فَإِذَا نَحْنُ تَقَصَّيْنَا أَخْبَارَ هَذَا الصِّنْفِ مِنَ النَّاسِ أَتْبَعْنَاهَا أَخْبَارًا يَقَعُ فِي أَسَانِيدِهَا بَعْضُ مَنْ لَيْسَ بِالْمَوْصُوفِ بِالْحِفْظِ وَالإِتْقَانِ كَالصِّنْفِ الْمُقَدَّمِ قَبْلَهُمْ عَلَى أَنَّهُمْ وَإِنْ كَانُوا فِيمَا وَصَفْنَا دُونَهُمْ فَإِنَّ اسْمَ السِّتْرِ وَالصِّدْقِ وَتَعَاطِي الْعِلْمِ يَشْمَلُهُمْ كَعَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ وَلَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ وَأَضْرَابِهِمْ مِنْ حُمَّالِ الآثَارِ وَنُقَّالِ الأَخْبَارِ
فَهُمْ وَإِنْ كَانُوا بِمَا وَصَفْنَا مِنَ الْعِلْمِ وَالسِّتْرِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مَعْرُوفِينَ فَغَيْرُهُمْ مِنْ أَقْرَانِهِمْ مِمَّنْ عِنْدَهُمْ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الإِتْقَانِ وَالاِسْتِقَامَةِ فِي الرِّوَايَةِ يَفْضُلُونَهُمْ فِي الْحَالِ وَالْمَرْتَبَةِ لأَنَّ هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ دَرَجَةٌ رَفِيعَةٌ وَخَصْلَةٌ سَنِيَّةٌ
أَلاَ تَرَى أَنَّكَ إِذَا وَازَنْتَ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةَ الَّذِينَ سَمَّيْنَاهُمْ عَطَاءً وَيَزِيدَ وَلَيْثًا بِمَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ وَسُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ فِي إِتْقَانِ الْحَدِيثِ وَالاِسْتِقَامَةِ فِيهِ وَجَدْتَهُمْ مُبَايِنِينَ لَهُمْ لاَ يُدَانُونَهُمْ لاَ شَكَّ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْحَدِيثِ فِي ذَلِكَ لِلَّذِي اسْتَفَاضَ عِنْدَهُمْ مِنْ صِحَّةِ حِفْظِ مَنْصُورٍ وَالأَعْمَشِ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِتْقَانِهِمْ لِحَدِيثِهِمْ وَأَنَّهُمْ لَمْ يَعْرِفُوا مِثْلَ ذَلِكَ مِنْ عَطَاءٍ وَيَزِيدَ وَلَيْثٍ
وَفِي مِثْلِ مَجْرَى هَؤُلاَءِ إِذَا وَازَنْتَ بَيْنَ الأَقْرَانِ كَابْنِ عَوْنٍ وَأَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ مَعَ عَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ وَأَشْعَثَ الْحُمْرَانِيِّ وَهُمَا صَاحِبَا الْحَسَنِ وَابْنِ سِيرِينَ كَمَا أَنَّ ابْنَ عَوْنٍ وَأَيُّوبَ صَاحِبَاهُمَا إِلاَّ أَنَّ الْبَوْنَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ هَذَيْنِ بَعِيدٌ فِي كَمَالِ الْفَضْلِ وَصِحَّةِ النَّقْلِ وَإِنْ كَانَ عَوْفٌ وَأَشْعَثُ غَيْرَ مَدْفُوعَيْنِ عَنْ صِدْقٍ وَأَمَانَةٍ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَلَكِنَّ الْحَالَ مَا وَصَفْنَا مِنَ الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ
وَإِنَّمَا مَثَّلْنَا هَؤُلاَءِ فِي التَّسْمِيَةِ لِيَكُونَ تَمْثِيلُهُمْ سِمَةً يَصْدُرُ عَنْ فَهْمِهَا مَنْ غَبِيَ عَلَيْهِ طَرِيقُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي تَرْتِيبِ أَهْلِهِ فِيهِ فَلاَ يُقَصَّرُ بِالرَّجُلِ الْعَالِي الْقَدْرِ عَنْ دَرَجَتِهِ وَلاَ يُرْفَعُ مُتَّضِعُ الْقَدْرِ فِي الْعِلْمِ فَوْقَ مَنْزِلَتِهِ وَيُعْطَى كُلُّ ذِي حَقٍّ فِيهِ حَقَّهُ وَيُنَزَّلُ مَنْزِلَتَهُ
وَقَدْ ذُكِرَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُنَزِّلَ النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ. مَعَ مَا نَطَقَ بِهِ الْقُرْآنُ مِنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (وَفَوْقَ كُلِّ ذِي عِلْمٍ عَلِيمٌ).
فَعَلَى نَحْوِ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الْوُجُوهِ نُؤَلِّفُ مَا سَأَلْتَ مِنَ الأَخْبَارِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَأَمَّا مَا كَانَ مِنْهَا عَنْ قَوْمٍ هُمْ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ مُتَّهَمُونَ أَوْ عِنْدَ الأَكْثَرِ مِنْهُمْ فَلَسْنَا نَتَشَاغَلُ بِتَخْرِيجِ حَدِيثِهِمْ كَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مِسْوَرٍ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَدَائِنِيِّ وَعَمْرِو بْنِ خَالِدٍ وَعَبْدِ الْقُدُّوسِ الشَّامِيِّ وَمُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الْمَصْلُوبِ وَغِيَاثِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَسُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرٍو أَبِي دَاوُدَ النَّخَعِيِّ وَأَشْبَاهِهِمْ مِمَّنِ اتُّهِمَ بِوَضْعِ الأَحَادِيثِ وَتَوْلِيدِ الأَخْبَارِ
وَكَذَلِكَ مَنِ الْغَالِبُ عَلَى حَدِيثِهِ الْمُنْكَرُ أَوِ الْغَلَطُ أَمْسَكْنَا أَيْضًا عَنْ حَدِيثِهِمْ
وَعَلاَمَةُ الْمُنْكَرِ فِي حَدِيثِ الْمُحَدِّثِ إِذَا مَا عُرِضَتْ رِوَايَتُهُ لِلْحَدِيثِ عَلَى رِوَايَةِ غَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْحِفْظِ وَالرِّضَا خَالَفَتْ رِوَايَتُهُ رِوَايَتَهُمْ أَوْ لَمْ تَكَدْ تُوَافِقُهَا فَإِذَا كَانَ الأَغْلَبُ مِنْ حَدِيثِهِ كَذَلِكَ كَانَ مَهْجُورَ الْحَدِيثِ غَيْرَ مَقْبُولِهِ وَلاَ مُسْتَعْمَلِهِ
فَمِنْ هَذَا الضَّرْبِ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَرَّرٍ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ وَالْجَرَّاحُ بْنُ الْمِنْهَالِ أَبُو الْعَطُوفِ وَعَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ وَحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضُمَيْرَةَ وَعُمَرُ بْنُ صُهْبَانَ وَمَنْ نَحَا نَحْوَهُمْ فِي رِوَايَةِ الْمُنْكَرِ مِنَ الْحَدِيثِ. فَلَسْنَا نُعَرِّجُ عَلَى حَدِيثِهِمْ وَلاَ نَتَشَاغَلُ بِهِ
لأَنَّ حُكْمَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالَّذِي نَعْرِفُ مِنْ مَذْهَبِهِمْ فِي قَبُولِ مَا يَتَفَرَّدُ بِهِ الْمُحَدِّثُ مِنَ الْحَدِيثِ أَنْ يَكُونَ قَدْ شَارَكَ الثِّقَاتِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْحِفْظِ فِي بَعْضِ مَا رَوَوْا وَأَمْعَنَ فِي ذَلِكَ عَلَى الْمُوَافَقَةِ لَهُمْ فَإِذَا وُجِدَ كَذَلِكَ ثُمَّ زَادَ بَعْدَ ذَلِكَ شَيْئًا لَيْسَ عِنْدَ أَصْحَابِهِ قُبِلَتْ زِيَادَتُهُ
فَأَمَّا مَنْ تَرَاهُ يَعْمِدُ لِمِثْلِ الزُّهْرِيِّ فِي جَلاَلَتِهِ وَكَثْرَةِ أَصْحَابِهِ الْحُفَّاظِ الْمُتْقِنِينَ لِحَدِيثِهِ وَحَدِيثِ غَيْرِهِ أَوْ لِمِثْلِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَحَدِيثُهُمَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مَبْسُوطٌ مُشْتَرَكٌ قَدْ نَقَلَ أَصْحَابُهُمَا عَنْهُمَا حَدِيثَهُمَا عَلَى الاِتِّفَاقِ مِنْهُمْ فِي أَكْثَرِهِ فَيَرْوِي عَنْهُمَا أَوْ عَنْ أَحَدِهِمَا الْعَدَدَ مِنَ الْحَدِيثِ مِمَّا لاَ يَعْرِفُهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِمَا وَلَيْسَ مِمَّنْ قَدْ شَارَكَهُمْ فِي الصَّحِيحِ مِمَّا عِنْدَهُمْ فَغَيْرُ جَائِزٍ قَبُولُ حَدِيثِ هَذَا الضَّرْبِ مِنَ النَّاسِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ
قَدْ شَرَحْنَا مِنْ مَذْهَبِ الْحَدِيثِ وَأَهْلِهِ بَعْضَ مَا يَتَوَجَّهُ بِهِ مَنْ أَرَادَ سَبِيلَ الْقَوْمِ وَوُفِّقَ لَهَا وَسَنَزِيدُ- إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى- شَرْحًا وَإِيضَاحًا فِي مَوَاضِعَ مِنَ الْكِتَابِ عِنْدَ ذِكْرِ الأَخْبَارِ الْمُعَلَّلَةِ إِذَا أَتَيْنَا عَلَيْهَا فِي الأَمَاكِنِ الَّتِي يَلِيقُ بِهَا الشَّرْحُ وَالإِيضَاحُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
وَبَعْدُ- يَرْحَمُكَ اللَّهُ- فَلَوْلاَ الَّذِي رَأَيْنَا مِنْ سُوءِ صَنِيعِ كَثِيرٍ مِمَّنْ نَصَبَ نَفْسَهُ مُحَدِّثًا فِيمَا يَلْزَمُهُمْ مِنْ طَرْحِ الأَحَادِيثِ الضَّعِيفَةِ وَالرِّوَايَاتِ الْمُنْكَرَةِ وَتَرْكِهِمْ الاِقْتِصَارَ عَلَى الأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ الْمَشْهُورَةِ مِمَّا نَقَلَهُ الثِّقَاتُ الْمَعْرُوفُونَ بِالصِّدْقِ وَالأَمَانَةِ بَعْدَ مَعْرِفَتِهِمْ وَإِقْرَارِهِمْ بِأَلْسِنَتِهِمْ أَنَّ كَثِيرًا مِمَّا يَقْذِفُونَ بِهِ إِلَى الأَغْبِيَاءِ مِنَ النَّاسِ هُوَ مُسْتَنْكَرٌ وَمَنْقُولٌ عَنْ قَوْمٍ غَيْرِ مَرْضِيِّينَ مِمَّنْ ذَمَّ الرِّوَايَةَ عَنْهُمْ أَئِمَّةُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِثْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الأَئِمَّةِ- لَمَا سَهُلَ عَلَيْنَا الاِنْتِصَابُ لِمَا سَأَلْتَ مِنَ التَّمْيِيزِ وَالتَّحْصِيلِ
وَلَكِنْ مِنْ أَجْلِ مَا أَعْلَمْنَاكَ مِنْ نَشْرِ الْقَوْمِ الأَخْبَارَ الْمُنْكَرَةَ بِالأَسَانِيدِ الضِّعَافِ الْمَجْهُولَةِ وَقَذْفِهِمْ بِهَا إِلَى الْعَوَامِّ الَّذِينَ لاَ يَعْرِفُونَ عُيُوبَهَا خَفَّ عَلَى قُلُوبِنَا إِجَابَتُكَ إِلَى مَا سَأَلْتَ

وَاعْلَمْ- وَفَّقَكَ اللَّهُ تَعَالَى- أَنَّ الْوَاجِبَ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ عَرَفَ التَّمْيِيزَ بَيْنَ صَحِيحِ الرِّوَايَاتِ وَسَقِيمِهَا وَثِقَاتِ النَّاقِلِينَ لَهَا مِنَ الْمُتَّهَمِينَ أَنْ لاَ يَرْوِيَ مِنْهَا إِلاَّ مَا عَرَفَ صِحَّةَ مَخَارِجِهِ. وَالسِّتَارَةَ فِي نَاقِلِيهِ. وَأَنْ يَتَّقِيَ مِنْهَا مَا كَانَ مِنْهَا عَنْ أَهْلِ التُّهَمِ وَالْمُعَانِدِينَ مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ.

وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ الَّذِي قُلْنَا مِنْ هَذَا هُوَ اللاَّزِمُ دُونَ مَا خَالَفَهُ قَوْلُ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ) وَقَالَ جَلَّ ثَنَاؤُهُ: (مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الْشُّهَدَاءِ) وَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ: (وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ) فَدَلَّ بِمَا ذَكَرْنَا مِنْ هَذِهِ الآيِ أَنَّ خَبَرَ الْفَاسِقِ سَاقِطٌ غَيْرُ مَقْبُولٍ وَأَنَّ شَهَادَةَ غَيْرِ الْعَدْلِ مَرْدُودَةٌ وَالْخَبَرُ وَإِنْ فَارَقَ مَعْنَاهُ مَعْنَى الشَّهَادَةِ فِي بَعْضِ الْوُجُوهِ فَقَدْ يَجْتَمِعَانِ فِي أَعْظَمِ مَعَانِيهِمَا إِذْ كَانَ خَبَرُ الْفَاسِقِ غَيْرَ مَقْبُولٍ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَمَا أَنَّ شَهَادَتَهُ مَرْدُودَةٌ عِنْدَ جَمِيعِهِمْ وَدَلَّتِ السُّنَّةُ عَلَى نَفْيِ رِوَايَةِ الْمُنْكَرِ مِنَ الأَخْبَارِ كَنَحْوِ دَلاَلَةِ الْقُرْآنِ عَلَى نَفْيِ خَبَرِ الْفَاسِقِ. وَهُوَ الأَثَرُ الْمَشْهُورُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَدَّثَ عَنِّي بِحَدِيثٍ يُرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ».

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ. (ح) وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ أَيْضًا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ عَنْ حَبِيبٍ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالاَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ.

بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والعاقبة للمتقين وصلى الله على محمد خاتم النبيين وعلى جميع الانبياء والمرسلين. اما بعد فانك يرحمك الله بتوفيق خالقك ذكرت انك هممت بالفحص عن تعرف جملة الاخبار الماثورة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في سنن الدين واحكامه وما كان منها في الثواب والعقاب والترغيب والترهيب وغير ذلك من صنوف الاشياء بالاسانيد التي بها نقلت وتداولها اهل العلم فيما بينهم فاردت- ارشدك الله- ان توقف على جملتها مولفة محصاة وسالتني ان الخصها لك في التاليف بلا تكرار يكثر فان ذلك- زعمت- مما يشغلك عما له قصدت من التفهم فيها والاستنباط منها. وللذي سالت- اكرمك الله- حين رجعت الى تدبره وما توول به الحال ان شاء الله عاقبة محمودة ومنفعة موجودة وظننت- حين سالتني تجشم ذلك- ان لو عزم لي عليه وقضي لي تمامه كان اول من يصيبه نفع ذلك اياي خاصة قبل غيري من الناس لاسباب كثيرة يطول بذكرها الوصف الا ان جملة ذلك ان ضبط القليل من هذا الشان واتقانه ايسر على المرء من معالجة الكثير منه. ولاسيما عند من لا تمييز عنده من العوام الا بان يوقفه على التمييز غيره. فاذا كان الامر في هذا كما وصفنا فالقصد منه الى الصحيح القليل اولى بهم من ازدياد السقيم وانما يرجى بعض المنفعة في الاستكثار من هذا الشان وجمع المكررات منه لخاصة من الناس ممن رزق فيه بعض التيقظ والمعرفة باسبابه وعلله فذلك ان شاء الله يهجم بما اوتي من ذلك على الفاىدة في الاستكثار من جمعه. فاما عوام الناس الذين هم بخلاف معاني الخاص من اهل التيقظ والمعرفة فلا معنى لهم في طلب الكثير وقد عجزوا عن معرفة القليل ثم انا ان شاء الله مبتدىون في تخريج ما سالت وتاليفه على شريطة سوف اذكرها لك وهو انا نعمد الى جملة ما اسند من الاخبار عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فنقسمها على ثلاثة اقسام وثلاث طبقات من الناس على غير تكرار. الا ان ياتي موضع لا يستغنى فيه عن ترداد حديث فيه زيادة معنى او اسناد يقع الى جنب اسناد لعلة تكون هناك لان المعنى الزاىد في الحديث المحتاج اليه يقوم مقام حديث تام فلابد من اعادة الحديث الذي فيه ما وصفنا من الزيادة او ان يفصل ذلك المعنى من جملة الحديث على اختصاره اذا امكن. ولكن تفصيله ربما عسر من جملته فاعادته بهيىته اذا ضاق ذلك اسلم فاما ما وجدنا بدا من اعادته بجملته من غير حاجة منا اليه فلا نتولى فعله ان شاء الله تعالى. فاما القسم الاول فانا نتوخى ان نقدم الاخبار التي هي اسلم من العيوب من غيرها وانقى من ان يكون ناقلوها اهل استقامة في الحديث واتقان لما نقلوا لم يوجد في روايتهم اختلاف شديد ولا تخليط فاحش كما قد عثر فيه على كثير من المحدثين وبان ذلك في حديثهم فاذا نحن تقصينا اخبار هذا الصنف من الناس اتبعناها اخبارا يقع في اسانيدها بعض من ليس بالموصوف بالحفظ والاتقان كالصنف المقدم قبلهم على انهم وان كانوا فيما وصفنا دونهم فان اسم الستر والصدق وتعاطي العلم يشملهم كعطاء بن الساىب ويزيد بن ابي زياد وليث بن ابي سليم واضرابهم من حمال الاثار ونقال الاخبار فهم وان كانوا بما وصفنا من العلم والستر عند اهل العلم معروفين فغيرهم من اقرانهم ممن عندهم ما ذكرنا من الاتقان والاستقامة في الرواية يفضلونهم في الحال والمرتبة لان هذا عند اهل العلم درجة رفيعة وخصلة سنية الا ترى انك اذا وازنت هولاء الثلاثة الذين سميناهم عطاء ويزيد وليثا بمنصور بن المعتمر وسليمان الاعمش واسماعيل بن ابي خالد في اتقان الحديث والاستقامة فيه وجدتهم مباينين لهم لا يدانونهم لا شك عند اهل العلم بالحديث في ذلك للذي استفاض عندهم من صحة حفظ منصور والاعمش واسماعيل واتقانهم لحديثهم وانهم لم يعرفوا مثل ذلك من عطاء ويزيد وليث وفي مثل مجرى هولاء اذا وازنت بين الاقران كابن عون وايوب السختياني مع عوف بن ابي جميلة واشعث الحمراني وهما صاحبا الحسن وابن سيرين كما ان ابن عون وايوب صاحباهما الا ان البون بينهما وبين هذين بعيد في كمال الفضل وصحة النقل وان كان عوف واشعث غير مدفوعين عن صدق وامانة عند اهل العلم ولكن الحال ما وصفنا من المنزلة عند اهل العلم وانما مثلنا هولاء في التسمية ليكون تمثيلهم سمة يصدر عن فهمها من غبي عليه طريق اهل العلم في ترتيب اهله فيه فلا يقصر بالرجل العالي القدر عن درجته ولا يرفع متضع القدر في العلم فوق منزلته ويعطى كل ذي حق فيه حقه وينزل منزلته وقد ذكر عن عاىشة رضي الله تعالى عنها انها قالت امرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان ننزل الناس منازلهم. مع ما نطق به القران من قول الله تعالى: (وفوق كل ذي علم عليم). فعلى نحو ما ذكرنا من الوجوه نولف ما سالت من الاخبار عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فاما ما كان منها عن قوم هم عند اهل الحديث متهمون او عند الاكثر منهم فلسنا نتشاغل بتخريج حديثهم كعبد الله بن مسور ابي جعفر المداىني وعمرو بن خالد وعبد القدوس الشامي ومحمد بن سعيد المصلوب وغياث بن ابراهيم وسليمان بن عمرو ابي داود النخعي واشباههم ممن اتهم بوضع الاحاديث وتوليد الاخبار وكذلك من الغالب على حديثه المنكر او الغلط امسكنا ايضا عن حديثهم وعلامة المنكر في حديث المحدث اذا ما عرضت روايته للحديث على رواية غيره من اهل الحفظ والرضا خالفت روايته روايتهم او لم تكد توافقها فاذا كان الاغلب من حديثه كذلك كان مهجور الحديث غير مقبوله ولا مستعمله فمن هذا الضرب من المحدثين عبد الله بن محرر ويحيى بن ابي انيسة والجراح بن المنهال ابو العطوف وعباد بن كثير وحسين بن عبد الله بن ضميرة وعمر بن صهبان ومن نحا نحوهم في رواية المنكر من الحديث. فلسنا نعرج على حديثهم ولا نتشاغل به لان حكم اهل العلم والذي نعرف من مذهبهم في قبول ما يتفرد به المحدث من الحديث ان يكون قد شارك الثقات من اهل العلم والحفظ في بعض ما رووا وامعن في ذلك على الموافقة لهم فاذا وجد كذلك ثم زاد بعد ذلك شيىا ليس عند اصحابه قبلت زيادته فاما من تراه يعمد لمثل الزهري في جلالته وكثرة اصحابه الحفاظ المتقنين لحديثه وحديث غيره او لمثل هشام بن عروة وحديثهما عند اهل العلم مبسوط مشترك قد نقل اصحابهما عنهما حديثهما على الاتفاق منهم في اكثره فيروي عنهما او عن احدهما العدد من الحديث مما لا يعرفه احد من اصحابهما وليس ممن قد شاركهم في الصحيح مما عندهم فغير جاىز قبول حديث هذا الضرب من الناس والله اعلم قد شرحنا من مذهب الحديث واهله بعض ما يتوجه به من اراد سبيل القوم ووفق لها وسنزيد- ان شاء الله تعالى- شرحا وايضاحا في مواضع من الكتاب عند ذكر الاخبار المعللة اذا اتينا عليها في الاماكن التي يليق بها الشرح والايضاح ان شاء الله تعالى وبعد- يرحمك الله- فلولا الذي راينا من سوء صنيع كثير ممن نصب نفسه محدثا فيما يلزمهم من طرح الاحاديث الضعيفة والروايات المنكرة وتركهم الاقتصار على الاحاديث الصحيحة المشهورة مما نقله الثقات المعروفون بالصدق والامانة بعد معرفتهم واقرارهم بالسنتهم ان كثيرا مما يقذفون به الى الاغبياء من الناس هو مستنكر ومنقول عن قوم غير مرضيين ممن ذم الرواية عنهم اىمة اهل الحديث مثل مالك بن انس وشعبة بن الحجاج وسفيان بن عيينة ويحيى بن سعيد القطان وعبد الرحمن بن مهدي وغيرهم من الاىمة- لما سهل علينا الانتصاب لما سالت من التمييز والتحصيل ولكن من اجل ما اعلمناك من نشر القوم الاخبار المنكرة بالاسانيد الضعاف المجهولة وقذفهم بها الى العوام الذين لا يعرفون عيوبها خف على قلوبنا اجابتك الى ما سالت واعلم- وفقك الله تعالى- ان الواجب على كل احد عرف التمييز بين صحيح الروايات وسقيمها وثقات الناقلين لها من المتهمين ان لا يروي منها الا ما عرف صحة مخارجه. والستارة في ناقليه. وان يتقي منها ما كان منها عن اهل التهم والمعاندين من اهل البدع. والدليل على ان الذي قلنا من هذا هو اللازم دون ما خالفه قول الله جل ذكره: (يا ايها الذين امنوا ان جاءكم فاسق بنبا فتبينوا ان تصيبوا قوما بجهالة فتصبحوا على ما فعلتم نادمين) وقال جل ثناوه: (ممن ترضون من الشهداء) وقال عز وجل: (واشهدوا ذوي عدل منكم) فدل بما ذكرنا من هذه الاي ان خبر الفاسق ساقط غير مقبول وان شهادة غير العدل مردودة والخبر وان فارق معناه معنى الشهادة في بعض الوجوه فقد يجتمعان في اعظم معانيهما اذ كان خبر الفاسق غير مقبول عند اهل العلم كما ان شهادته مردودة عند جميعهم ودلت السنة على نفي رواية المنكر من الاخبار كنحو دلالة القران على نفي خبر الفاسق. وهو الاثر المشهور عن رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من حدث عني بحديث يرى انه كذب فهو احد الكاذبين». حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة حدثنا وكيع عن شعبة عن الحكم عن عبد الرحمن بن ابي ليلى عن سمرة بن جندب. (ح) وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة ايضا حدثنا وكيع عن شعبة وسفيان عن حبيب عن ميمون بن ابي شبيب عن المغيرة بن شعبة قالا: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ذلك.

Chapter: The Obligation of Transmitting on Authority of Trustworthy Narrators and Abandoning the Liars


In the Name of Allah, the Merciful, the Beneficent-

All praise is due to Allah, Lord of the worlds, and the [praiseworthy] end is for those who fear Him; and may Allah send blessings upon Muhammad, seal of the Prophets, and upon all the Prophets and Messengers.

As for what follows:

Indeed you mentioned, may Allah have mercy on you, by the guidance of your Creator, that you were interested in an examination of what is known of all the transmitted reports on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings upon him, regarding traditions of the Dīn, its rulings, and everything from it regarding rewards, punishments, motivations, admonishments, and other descriptive topics through chains of narration which were related by and circulated between Ahl ul-Ilm.

Thus you wished, may Allah guide you aright, to be informed about all of [the transmitted reports] in the form of a calculated composition and you asked me to abridge [it] for you in writing without a great amount of repetition. You allege that [much repetition] would distract you from what you intended in terms of understanding and deriving rulings from [the reports].

And because of that which you have asked, may Allah be generous with you, when I am attributed to its successful management and whatever condition can be construed by it, if Allah wills, (it will lead to) a praiseworthy ending and obtainable benefit.

I thought at the time you asked me to undertake that [task]- if it was determined for me to do so, and preordained for me to complete it- that the first to benefit from that would be me specifically before anyone else and this is due to a great number of reasons which are too lengthy to describe except [to say] that in summary, having precision regarding a select few [narrations], and accuracy in them, is easier for a person than to undertake of a great number of them, and especially for one who is indistinguishable in it from the common people [in this matter] unless someone else informs him of the distinction.

If the matter is just as we described, then focusing on the few authentic narrations is worthier for them than seeking an abundance of weak narrations. Although indeed it is hoped for that some benefit is attained by seeking after a large number [of Ḥadīth] of this type, and gathering the repetitions for them, but only for the elite who are endowed with some awareness and knowledge in their means [of ascertaining authenticity] and defects.

Thus that, if Allah wills, will happen through whatever will be brought to bear of that [awareness, distinction, knowledge of the means, and defects] on the advantage in seeking large numbers of [the various categories of Ḥadīth]. And as for the common people who are different from the elite in terms of awareness and knowledge, then it is senseless for them to seek large numbers [of various categories of Ḥadīth], while they are unaware of the few [Sahīh].

Then we, if Allah wills, will begin to extract and compose what you have asked upon conditions which we shall mention to you. We set ourselves upon the entirety of what is transmitted from the reports on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings upon him. Then we divided it up into three sections and three levels of people without repetition except:

1) When coming to a point where it was essential to repeat a narration in which there is an addition that clarifies the meaning of the first one; or

2) When there is a second chain that supports the first one in some hidden defect present since the additional significance in the second Ḥadīth assumes the position of a complete Ḥadīth.

Repeating narrations which have the kind of ‘addition’ we described is inevitable [since it eliminates the perceived hidden defect of the first narration]; or that significance [of the addition] is separated from the entire narration by abbreviating it when it is possible [to understand the significance from a small part of the narration], however separating the relevant part of the narration from the rest might make it difficult to understand the link between them, so repeating it in its original form when that proves difficult is safest.

Thus when we find that it is avoidable to repeat the narrations in their entirety we take care not to do so, if Allah wills.

As for the first category, we aspired to advance the report which is safer from defects than any others, and is purified due to being related by people of integrity in Ḥadīth, and certitude for what they relate; there are no strong disputes found [compared to the reports of other Thiqāt] regarding their transmissions, and no excessive inconsistencies [in their own reports] - just as is the case regarding a great number of Muhaddithīn and which appears in their narrations.

Thus when we examined reports of this description from the people, we also came across reports in whose chains there fell some of those who are not described with memorization and precision, like those of the previous description before them. Although they fell below what we described [from the first group], they still have the designation of protection [from ill-repute] and truthfulness; and they acquired knowledge, included among them are the likes of Atā’ bin is-Sā’ib, and Yazīd bin Abī Ziyād, and Layth bin Abī Sulaym, from among the carriers of Āthār and the relaters of Akhbār.

So even though they possessed what we described of knowledge, protection and being known as scholars among Ahl ul-Ilm, their contemporaries who we mentioned as precise and sound in transmission were above them in status and rank because this [the first category] is a high rank and sublime characteristic according to Ahl ul-Ilm.

Do you not see that when you weigh these three people we mentioned- Atā’, Yazīd, and Layth- with Mansūr bin il-Mu’tamir, Sulaymān al-A’mash and Ismā’īl bin Abī Khālid in regards to precision in Ḥadīth and soundness in it, you will find them distinct from others and not near them [in rank?]- there is no doubt regarding that among the people knowledgeable in Ḥadīth since the soundness of the memorization of Mansūr, al-A’mash, and Ismā’īl, and their precision in Ḥadīth was well-known among [the people knowledgeable in Ḥadīth] and they were not aware of examples of that from Atā’, Yazīd, and Layth.

Upon the same course as the above, when you weigh between the two levels like Ibn Awn and Ayyūb as-Sakhtiyānī with Awf ibn Abī Jamīlah and Ash’ath al-Humrānī- and all 4 are companions of al-Hasan and Ibn Sīrīn- there is disparity between the two groups. Between these two groups is a distance in terms of perfection of virtue and soundness of reporting even though Awf and Ash’ath are not repelled from [the status] of truthfulness and honesty according to Ahl ul-Ilm, rather the situation is as we described regarding their position.

We only mentioned these examples by way of naming them specifically so that their examples might be an indication for whoever is ignorant of the path to return to understanding of Ahl ul-Ilm regarding the ranking of its people. Thus there is no shortchanging the men of elevated rank any amount of what is due his level, and there is no elevation of those who are lower any amount of knowledge above his position- and each who possesses the right is given his right and is settled in his rank.

It has been mentioned on authority of Ā’ishah, may Allah be pleased with her, that she said: ‘The Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, ordered us to afford people their (rightful) positions according to what the Qur’ān states: {And above all who possess knowledge is another who is knowledgeable}[Yūsuf: 76] . Thus based on the example of what we mentioned [regarding the narrators of Hifẓ and Itqān, and narrations which lack excessive inconsistency or strong contradiction], we compiled what you asked for of [those kind] of reports on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him.

As for anything of that wherein the people were charged [with some criticism] by the people of Ḥadīth, or by the majority of [the people of Ḥadīth], then we did not preoccupy ourselves with bringing forward their narrations, such as Abd Allah ibn Miswar Abī Ja’far il-Madā’inī, Amr bin Khālid, Abd il-Quddūs ash-Shāmī, Muhammad ibn Sa’īd il-Maslūb, Ghiyāth ibn Ibrāhīm, Sulaymān bin Amr Abī Dāwud an-Nakha’ī, and those like them whereof they were accused of fabricating narrations and manufacturing reports; and like that are those whose narrations are dominated with Munkar, or mistakes- we withheld from their narrations as well.

An indication of Munkar in the narration of a Muhaddith is when his transmission differs with the transmission of a Muhaddith from the people of memorization and acceptance, or does not agree with it when the two are compared. When the majority of a person’s narrations are like that, he is abandoned [Mahjūr] in Ḥadīth, and not accepted in it, and his narrations are not acted upon. The following are those Muhaddithīn who are among this group: Abd Allah ibn Muharrar, Yahyā bin Abī Unaysah, Al-Jarrāh bin ul-Minhāl Abūl-Atūf, Abbād bin Kathīr, Husayn bin Abd Illah ibn Ḍumayrah, Umar bin Suhbān, and those of the same type in terms of transmission of Munkar Ḥadīth. We did not pause upon their narrations or preoccupy ourselves with them due to the ruling of Ahl ul-Ilm.

That which we are aware of from their school of thought in accepting what is singularly reported by a Muhaddith from the narrations is that (the Muhaddith) took part along with the trustworthy narrators from Ahl ul-Ilm wal-Hifẓ in transmitting some of what they transmitted, and [the Muhaddith] is predominantly in agreement with them; when one is found like that, then if he adds to [the transmission] anything not found with his companions, then his addition is accepted.

As for those who you see resorting to the likes of az-Zuhrī due to his greatness, and due to the great number of his companions being among the precise Huffāẓ, [resorting to] his Ḥadīth and the Ḥadīth of those like him, or to the likes of Hishām ibn Urwah, then their Ḥadīth are extensively shared among Ahl ul-Ilm. The greater majority of their companions related their Ḥadīth in agreement with one another [with few having contradictions]. Thus to transmit from [Urwah and az-Zuhrī], or one of them, from among the multitude of Ḥadīth, what is not known among any of their companions, and [the Rāwī] is not of those who share in the Sahīh narrations [found] among them, then it is not allowed to accept the narrations of this category of people, and Allah knows best.

We have explained from the school of Ḥadīth and its people some of what those who wish to traverse the path of [the Muhaddithīn] should aim for, and be guided towards. We will, if Allah wills, add to the explanation and clarification in another place in this book upon the mention of defective reports [Mu’allalah] when we come to it, in the places where explanation and clarification are appropriate, if Allah wills.

And what follows:

May Allah have mercy on you, if not for that which we saw of an evil act, largely from those who claim to be Muhaddithīn, in what they were supposed to adhere to when putting forward weak narrations and abominable transmissions and their neglect for the investigation of famous Sahīh narrations related by the trustworthy narrators, well-known for their truthfulness and honesty, after knowledge of them and affirmation with their tongues, that a great many of [weak and abominable narrations] which were cast towards heedless people are denounced and spoken of as not acceptable whereof the A’immah of the people of Ḥadīth criticized their transmissions- A’immah like Mālik ibn Anas, Shu’bat bin al-Hajjāj, Sufyān bin Uyaynah, Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, Abd ir-Rahman ibn Mahdī, and other A’immah- then the establishment of what you asked for of distinction [between the types of Ḥadīth] and collection [of those which were Sahīh] would be easy for us. However on account of what we informed you of regarding the people’s circulation of abominable reports with weak, unknown chains, and their casting them towards the common people who are not aware of their defects, responding to what you asked became lighter upon our hearts.

Know - may Allah, exalted is He, grant you success – that what is obligatory upon everyone who is aware of the distinction between the Sahīh transmissions and their weak, the trustworthy narrators from those who stand accused, is to not transmit from them except what is known for the soundness of its emergence and the protection of its narrators; and that they fear what may be from those accused (of deficiency in narrating) and the stubborn people of innovation.

The proof that what we have said is required above what opposes it is in the verse: {Oh you who believe! If a sinful person comes to you with news, then verify it lest you afflict people through ignorance then you become sorry about what you did}[al-Hujurāt: 6]; and the verse: {… from whom you are pleased with from the witnesses}[al-Baqarah: 282] and the verse: {And let two who possess integrity among you bare witness}[at-Talāq: 2]. Thus it demonstrates what we mentioned from these two verses that the report of the sinful is dropped and not accepted, and that the testimony [Shahādah] of one who does not possess integrity is rejected, and the report [Khabar] as well- even though its significance is separated from the meaning of testimony in some respects, they are in agreement regarding the overall conditions they share since the report of the sinful is not acceptable according to Ahl ul-Ilm just as his testimony is rejected according to all of them . The Sunnah demonstrates the prohibition of transmitting abominable transmissions just as in the example from the Qur’ān regarding the prohibition of the report of the sinful.

There is a famous narration on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, that: ‘Whoever relates on my authority a narration while aware that it is a lie, then he is one of the liars’ . Abū Bakr ibn Abī Shaybah narrated it to us that Wakī narrated to us, on authority of Shu’bah, on authority of al-Hakam, on authority of Abd ir-Rahman ibn Abī Laylā, on authority of Samurah bin Jundab. And also Abū Bakr ibn Abī Shaybah narrated to us, that Wakī narrated to us, on authority of Shu’bah and Sufyān, on authority of Habīb, on authority of Maymūn ibn Abī Shabīb, on authority of al-Mughīrat ibn Shu’bah, they both said that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said the same thing.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) হাজ্জাজ (রহঃ) ..... সাল্লাম ইবনু আবূ মুতী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আইয়ুবের কাছে এ সংবাদ পৌছল যে, আমি ’আমরের কাছে আসা যাওয়া করি। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি ধারণা, যার দীনদারীর ব্যাপারে তুমি আস্থা রাখতে পার না তার হাদীসের উপর তুমি কিরূপে আস্থা রাখতে পার?


(.../...) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... আবূ মূসা (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমর ইবনু উবায়দ তার নতুন ভ্রান্ত আকীদাহ প্রকাশ করার পূর্বে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমি ওয়াসিত শহরের কাজী আবূ শাইবাহ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে শু’বার নিকট চিঠি লিখে পাঠালাম। জবাবে তিনি আমাকে লিখে পাঠালেন, তার কাছ থেকে কিছুই লিখবে না আর আমার এ চিঠিখানা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে।


(.../...) আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন, ’আফফান থেকে বর্ণিত, আমি সালিহ আল মুররীর সূত্রে বর্ণিত সাবিতের একটি রিওয়ায়াত হাম্মামের নিকট বর্ণনা করলাম, তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। আমি হাম্মামকে সালিহ মুররীর একটি হাদীস পড়ে শুনালে তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।


(.../...) মাহমূদ ইবনু গাইলান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ দাউদ বলেছেনঃ শু’বাহ আমাকে বললেন, তুমি জারীর ইবনু হাযিমের নিকট যাও এবং তাকে বলো, হাসান ইবনু উমারাহ থেকে হাদীস গ্রহণ করা তোমার জন্য ঠিক নয়। কেননা, সে মিথ্যা বলে। আবূ দাউদ বলেন, আমি শুবাকে জিজ্ঞেস করলাম, তার মিথ্যা বলাটা কিভাবে বুঝা গেল?

তিনি (শু’বাহ) বললেন, হাসান ইবনু উমামাহ্ আমাদের কাছে হাকাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেছে। আমি তার কোন ভিত্তি খুঁজে পাইনি। আবূ দাউদ বলেন, আমি বললাম সেগুলো কোন কোন হাদীস? শুবাহ বললেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি উহুদের শহীদদের জানাযার সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, তিনি তাদের জানাযার সালাত আদায় করেননি।" অতঃপর হাসান ইবনু উমারাহ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জানাযার সালাত আদায় করেছেন এবং দাফনও করেছেন।” শুবাহ বলেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম "জারজ সন্তানের সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?" তিনি বললেন, "তাদের জানাযা পড়তে হবে"। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কোন হাদীস থেকে প্রমাণিত এবং এর বর্ণনাকারী কে? হাকাম বললেন, হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর হাসান ইবনু উমরাহ বলেন, হাকাম আমাদের ইয়াহইয়া ইবনু জাৰ্য্যার-এর সূত্রে ’আলী (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ بَلَغَ أَيُّوبَ أَنِّي آتِي عَمْرًا فَأَقْبَلَ عَلَىَّ يَوْمًا فَقَالَ أَرَأَيْتَ رَجُلاً لاَ تَأْمَنُهُ عَلَى دِينِهِ كَيْفَ تَأْمَنُهُ عَلَى الْحَدِيثِ

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، ‏.‏

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، كَتَبْتُ إِلَى شُعْبَةَ أَسْأَلُهُ عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، قَاضِي وَاسِطٍ فَكَتَبَ إِلَىَّ لاَ تَكْتُبْ عَنْهُ شَيْئًا وَمَزِّقْ كِتَابِي ‏.‏

وَحَدَّثَنَا الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ حَدَّثْتُ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ عَنْ ثَابِتٍ، فَقَالَ كَذَبَ ‏.‏ وَحَدَّثْتُ هَمَّامًا، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ فَقَالَ كَذَبَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ قَالَ لِي شُعْبَةُ ايتِ جَرِيرَ بْنَ حَازِمٍ فَقُلْ لَهُ لاَ يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَرْوِيَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ فَإِنَّهُ يَكْذِبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُلْتُ لِشُعْبَةَ وَكَيْفَ ذَاكَ فَقَالَ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَكَمِ بِأَشْيَاءَ لَمْ أَجِدْ لَهَا أَصْلاً ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لَهُ بِأَىِّ شَىْءٍ قَالَ قُلْتُ لِلْحَكَمِ أَصَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ فَقَالَ لَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَيْهِمْ وَدَفَنَهُمْ ‏.‏ قُلْتُ لِلْحَكَمِ مَا تَقُولُ فِي أَوْلاَدِ الزِّنَا قَالَ يُصَلَّى عَلَيْهِمْ ‏.‏ قُلْتُ مِنْ حَدِيثِ مَنْ يُرْوَى قَالَ يُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ ‏.‏ فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏

وحدثني حجاج، حدثنا سليمان بن حرب، قال سمعت سلام بن ابي مطيع، يقول بلغ ايوب اني اتي عمرا فاقبل على يوما فقال ارايت رجلا لا تامنه على دينه كيف تامنه على الحديث وحدثني سلمة بن شبيب، حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، قال سمعت ابا موسى، يقول حدثنا عمرو بن عبيد، قبل ان يحدث، ‏.‏ حدثني عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي قال، كتبت الى شعبة اساله عن ابي شيبة، قاضي واسط فكتب الى لا تكتب عنه شيىا ومزق كتابي ‏.‏ وحدثنا الحلواني، قال سمعت عفان، قال حدثت حماد بن سلمة، عن صالح المري، بحديث عن ثابت، فقال كذب ‏.‏ وحدثت هماما، عن صالح المري، بحديث فقال كذب ‏.‏ وحدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود، قال قال لي شعبة ايت جرير بن حازم فقل له لا يحل لك ان تروي عن الحسن بن عمارة فانه يكذب ‏.‏ قال ابو داود قلت لشعبة وكيف ذاك فقال حدثنا عن الحكم باشياء لم اجد لها اصلا ‏.‏ قال قلت له باى شىء قال قلت للحكم اصلى النبي صلى الله عليه وسلم على قتلى احد فقال لم يصل عليهم ‏.‏ فقال الحسن بن عمارة عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى عليهم ودفنهم ‏.‏ قلت للحكم ما تقول في اولاد الزنا قال يصلى عليهم ‏.‏ قلت من حديث من يروى قال يروى عن الحسن البصري ‏.‏ فقال الحسن بن عمارة حدثنا الحكم عن يحيى بن الجزار عن علي ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Hajjāj narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, he said, I heard Sallām bin Abī Mutī’ saying, it reached Ayyūb that I would go to Amr so he turned to me and said:
‘Have you seen a man whose Dīn you do not trust- how do you trust him regarding Ḥadīth?’

Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said I heard Abū Mūsā [Isrā’īl bin Mūsā al-Basrī] saying:
‘Amr bin Ubayd narrated to us before what happened’ [i.e. before he became Mu’tazilī].

Ubayd Allah bin Mu’ādh al-Anbarī narrated to me, my father narrated to us, he said:
‘I wrote to Shu’bah asking him about Abū Shaybah , a judge of Wāsit, so he wrote to me: ‘Do not write anything from him [of Ḥadīth] and tear up my letter [to you about this]’.

Al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Affān [bin Muslim] say:
‘I narrated to Hammād bin Salamah [bin Dīnār al-Basrī], on authority of Sālih al-Murrī , a Ḥadīth on authority of Thābit [bin Aslam al-Banānī], then [Hammād] said: ‘[Sālih] lied’. I also narrated to Hammām on authority of Sālih al-Murrī a Ḥadīth then [Hammām] said: ‘[Sālih] lied’.

Mahmūd bin Ghaylān narrated to us, Abū Dāwud narrated to us, he said, Shu’bah said to me:
‘Go to Jarīr bin Hāzim and say to him, ‘It is not allowed for you to transmit from al-Hasan bin Umārah for indeed he lies’.’ Abū Dāwud said, I said to Shu’bah: ‘And how do you know that?’ So [Shu’bah] said: ‘He narrated to us on authority of al-Hakam things that were not found to have any basis’. [Abū Dāwud] said: ‘What things?’ [Shu’bah] said, I said to al-Hakam: ‘Did the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, pray over the martyrs of Uhud?’ [al-Hakam] said: ‘He did not pray over them’. Al-Hasan bin Umārah said, on authority of al-Hakam, on authority of Miqsam, on authority of Ibn Abbās: ‘Indeed the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, prayed over them and buried them ’. I [Shu’bah] said to al-Hakam: ‘What do you say about the children born from fornication?’ [Al-Hakam] said: ‘Pray over them ’. I [Shu’bah] said: ‘From whose Ḥadīth is it transmitted?’ [Al-Hakam] said: ‘It is transmitted on authority of al-Hasan al-Basrī’.’ Al-Hasan bin Umārah said: ‘Al-Hakam narrated to us, on authority of Yahyā bin al-Jazzār, on authority of Alī.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন যে, আমি ইয়ামীদ ইবনু হারূনকে যিয়াদ ইবনু মাইমুন সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি শপথ করেছি তার (যিয়াদ) থেকে কোন কিছুই বর্ণনা করবো না এবং খালিদ ইবনু মাহদূজ থেকেও। ইয়াযীদ ইবনু হারূন বলেন, একবার আমি যিয়াদ ইবনু মাইমূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। সে এ হাদীসটি আমাকে বাকর আর মুযানীর সূত্রে বর্ণনা করলো। দ্বিতীয়বার গিয়ে আমি তাকে সে হাদীসটি আমাকে বাকর আল মুযানীর সূত্রে বর্ণনা করলো দ্বিতীয়বার গিয়ে আমি তাকে সে হাদীসটির সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে তা মুওয়াররিক এর সূত্রে বর্ণনা করলো। আমি তৃতীয়বার গিয়ে তাকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে হাসান বাসরীর সূত্রে বর্ণনা করলো। ইয়াযীদ ইবনু হারূন তাদের উভয়কে (যিয়াদ বিন মাইমুন ও খালিদ বিন মাহদূজ) মিথ্যাবাদী বলতেন।

হুলওয়ানী বলেন, আমি আবদুস সামাদের নিকট যিয়াদ ইবনু মাইমুন সম্পর্কে আলোচনা করলে, তিনি তাকে মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করেন।


(.../...) মাহমূদ ইবনু গাইলান (রহঃ) বলেন যে, আমি আবূ দাউদ তায়ালিসীকে বললাম, আপনি তো আব্বাস ইবনু মানসূর থেকে অনেক হাদীসই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আপনি কি তার থেকে আত তারাহ নাম্নী মহিলার হাদীস শুনেননি বা হাদীস শুনেননি যা নাযুর ইবনু শুমায়ল আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন? তিনি আমাকে বললেন, চুপ কর। আমি ও আবদুর রহমান ইবনু মাহদী যিয়াদ ইবনু মাইমূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি যে এসব হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করো, তা কতটুকু সহীহ ও সঠিক? যিয়াদ বললো, আপনাদের কী অভিমত, যদি কোন ব্যক্তি গুনাহ করার পর তওবা করে, তবে আল্লাহ তা’আলা কি তার তওবা কবুল করবেন না? আবূ দাউদ বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, কবুল করবেন। যিয়াদ বললো, সত্য কথা হচ্ছে, আমি আনাস (রাযিঃ) থেকে কম বা বেশি কিছু শুনিনি। অন্য লোকেরা যদি অবগত না থাকে, তাহলে আপনারাও কি জানবেন না যে, আমি কখনো আনাস (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি।

আবূ দাউদ বলে, এর স্বল্পকাল পরে আমাদের নিকট সংবাদ পৌছলো যে, সে পুনরায় আনাস (রাযিঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করে। পুনরায় আমি ও আবদুর রহমান তার নিকট গেলে সে বললো, আমি তওবা করলাম। এরপরও দেখা গেল যে, সে আগের মতই হাদীস বর্ণনা করছে। তখন থেকে আমরা তাকে বর্জন করলাম।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন, আমি শাবাবাহকে বলতে শুনেছি যে, আবদুল কুদ্দুস আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন এবং বলতেন, সুওয়াইদ ইবনু আকালাহ (আসলে সুওয়াইদ ইবনু গাফালাহ) শাবাবাহ বলেন, আমি আবদুল কুদ্দুসকে আরো বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পার্শ্বের থেকে বায়ু গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। শাবাবাহ বলেন, কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলো, এ কথাটির অর্থ কী? তখন বললেন, কেউ যেন নির্মল বায়ু গ্রহণ করার উদ্দেশে পাশ্বের দেয়া জানালা বা ছিদ্র তৈরি না করে।


(.../...) মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারিরীকে বলতে শুনেছি, তিন বলেন, আমি হাম্মাদ বিন যায়দ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি এমন এক ব্যক্তিকে বললেন, যিনি কিছুদিন মাহদী ইবনু হিলালের সাহচর্যে ছিলেন, ওটা কেমন একটি লবণাক্ত ঝরণা, যা তোমাদের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে? সে বললো, হে আবূ ইসমাঈল! (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপনাম) হ্যাঁ, সত্যিই ওটা লোনা পানির ঝরণাই বটে।


(.../...) আল হাসান আল হুলওয়ানী বলেন, আমি আফফানকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি আবূ ’আওয়ানাহকে বলতে শুনেছি, হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে যে হাদীসই আমার নিকট পৌছাতো আমি তা আবান ইবনু আবূ ’আইয়্যাশ-এর কাছে পেশ করতাম। সে আমাকে তা পড়ে শুনাতো। (সে আমার কাছ থেকে শোনা কথা সম্পর্কে দাবী করত সে হাসান বাসরী থেকে বর্ণনা করছে, ফলে মুহাদ্দিসীনের নিকট সে মিথ্যাবাদী )

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، ‏.‏ وَذَكَرَ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَقَالَ حَلَفْتُ أَلاَّ أَرْوِيَ عَنْهُ شَيْئًا وَلاَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَحْدُوجٍ ‏.‏ وَقَالَ لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ حَدِيثٍ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ بَكْرٍ الْمُزَنِيِّ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ مُوَرِّقٍ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنِ الْحَسَنِ ‏.‏ وَكَانَ يَنْسُبُهُمَا إِلَى الْكَذِبِ ‏.‏ قَالَ الْحُلْوَانِيُّ سَمِعْتُ عَبْدَ الصَّمَدِ وَذَكَرْتُ عِنْدَهُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَنَسَبَهُ إِلَى الْكَذِبِ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ قَدْ أَكْثَرْتَ عَنْ عَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ فَمَا لَكَ لَمْ تَسْمَعْ مِنْهُ حَدِيثَ الْعَطَّارَةِ الَّذِي رَوَى لَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ لِيَ اسْكُتْ فَأَنَا لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ فَسَأَلْنَاهُ فَقُلْنَا لَهُ هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَرْوِيهَا عَنْ أَنَسٍ فَقَالَ أَرَأَيْتُمَا رَجُلاً يُذْنِبُ فَيَتُوبُ أَلَيْسَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ مَا سَمِعْتُ مِنْ أَنَسٍ مِنْ ذَا قَلِيلاً وَلاَ كَثِيرًا إِنْ كَانَ لاَ يَعْلَمُ النَّاسُ فَأَنْتُمَا لاَ تَعْلَمَانِ أَنِّي لَمْ أَلْقَ أَنَسًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ فَبَلَغَنَا بَعْدُ أَنَّهُ يَرْوِي فَأَتَيْنَاهُ أَنَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَتُوبُ ‏.‏ ثُمَّ كَانَ بَعْدُ يُحَدِّثُ ‏.‏ فَتَرَكْنَاهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَبَابَةَ، قَالَ كَانَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ يُحَدِّثُنَا فَيَقُولُ سُوَيْدُ بْنُ عَقَلَةَ ‏.‏ قَالَ شَبَابَةُ وَسَمِعْتُ عَبْدَ الْقُدُّوسِ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ يُتَّخَذَ الرَّوْحُ عَرْضًا ‏.‏ قَالَ فَقِيلَ لَهُ أَىُّ شَىْءٍ هَذَا قَالَ يَعْنِي تُتَّخَذُ كُوَّةٌ فِي حَائِطٍ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ الرَّوْحُ ‏.‏

قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حَمَّادَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ لِرَجُلٍ بَعْدَ مَا جَلَسَ مَهْدِيُّ بْنُ هِلاَلٍ بِأَيَّامٍ مَا هَذِهِ الْعَيْنُ الْمَالِحَةُ الَّتِي نَبَعَتْ قِبَلَكُمْ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا إِسْمَاعِيلَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَوَانَةَ، قَالَ مَا بَلَغَنِي عَنِ الْحَسَنِ، حَدِيثٌ إِلاَّ أَتَيْتُ بِهِ أَبَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَرَأَهُ عَلَىَّ ‏.‏

وحدثنا الحسن الحلواني، قال سمعت يزيد بن هارون، ‏.‏ وذكر زياد بن ميمون فقال حلفت الا اروي عنه شيىا ولا عن خالد بن محدوج ‏.‏ وقال لقيت زياد بن ميمون فسالته عن حديث فحدثني به عن بكر المزني ثم عدت اليه فحدثني به عن مورق ثم عدت اليه فحدثني به عن الحسن ‏.‏ وكان ينسبهما الى الكذب ‏.‏ قال الحلواني سمعت عبد الصمد وذكرت عنده زياد بن ميمون فنسبه الى الكذب ‏.‏ وحدثنا محمود بن غيلان، قال قلت لابي داود الطيالسي قد اكثرت عن عباد بن منصور فما لك لم تسمع منه حديث العطارة الذي روى لنا النضر بن شميل قال لي اسكت فانا لقيت زياد بن ميمون وعبد الرحمن بن مهدي فسالناه فقلنا له هذه الاحاديث التي ترويها عن انس فقال ارايتما رجلا يذنب فيتوب اليس يتوب الله عليه قال قلنا نعم ‏.‏ قال ما سمعت من انس من ذا قليلا ولا كثيرا ان كان لا يعلم الناس فانتما لا تعلمان اني لم الق انسا ‏.‏ قال ابو داود فبلغنا بعد انه يروي فاتيناه انا وعبد الرحمن فقال اتوب ‏.‏ ثم كان بعد يحدث ‏.‏ فتركناه ‏.‏ حدثنا حسن الحلواني، قال سمعت شبابة، قال كان عبد القدوس يحدثنا فيقول سويد بن عقلة ‏.‏ قال شبابة وسمعت عبد القدوس يقول نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يتخذ الروح عرضا ‏.‏ قال فقيل له اى شىء هذا قال يعني تتخذ كوة في حاىط ليدخل عليه الروح ‏.‏ قال مسلم وسمعت عبيد الله بن عمر القواريري، يقول سمعت حماد بن زيد، يقول لرجل بعد ما جلس مهدي بن هلال بايام ما هذه العين المالحة التي نبعت قبلكم قال نعم يا ابا اسماعيل ‏.‏ وحدثنا الحسن الحلواني، قال سمعت عفان، قال سمعت ابا عوانة، قال ما بلغني عن الحسن، حديث الا اتيت به ابان بن ابي عياش فقراه على ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Yazīd bin Hārūn mention Ziyād bin Maymūn, and he said:
‘I swore that I would not transmit anything from him or Khālid bin Mahdūj’. [Yazīd] said: ‘I met Ziyād bin Maymūn and asked him about a Ḥadīth, so he narrated it to me on authority of Bakr al-Muzanī, then I returned to him and he narrated [the same Ḥadīth] to me on authority of Muwarriq; then I returned to him and he narrated it to me on authority of al-Hasan.’ [Al-Hulwānī said]: ‘He [Yazīd] would charge both of them with lying [i.e. Ziyād bin Maymūn and Khālid bin Mahdūj].’ Al-Hulwānī said: ‘I heard [Ḥadīth] from Abd as-Samad and I mentioned Ziyād bin Maymūn near him and he charged him with lying’.

Mahmūd bin Ghaylān narrated to us, he said, I said to Abū Dāwud at-Tayālisī:
‘You transmit a great deal on authority of Abbād bin Mansūr - so how is it that you did not hear the Ḥadīth of ‘the lady perfume seller’ from him which an-Naḍr bin Shumayl transmitted to us?’ [Abū Dāwud] said to me: ‘Be quiet, for Abd ar-Rahma bin Mahdī and I met Ziyād bin Maymūn and asked him, saying to him, ‘Are these Ḥadīth you transmit on authority of Anas?’ [Ziyād] said: ‘Have you seen a man sin and then repent- does Allah not turn to him?’ [Abū Dāwud] said: ‘We said, ‘Yes’.’ [Ziyād] said: ‘I did not hear from Anas whether a little or a lot; if the people did not know, then you two would not know that I did not meet Anas’. Abū Dāwud said: ‘So it reached us afterwards that he was transmitting [from Anas], then Abd ar-Rahman and I went to him and he said: ‘I repented’. Then afterwards he was narrating [again in the same fashion] so we abandoned him ’.

Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Shabābah say:
‘Abd ul-Quddūs was narrating to us saying,‘Suwayd bin Aqalah said…’ [when it should be ‘bin Ghafalah’] Shabābah said: ‘And I heard Abd ul-Quddūs saying, ‘The Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, prohibited taking a Rawḥ by accident’. [Shabābah] said: ‘So it was said to him, ‘What does this mean?’ [Abd ul-Quddūs] said: ‘It means to make an opening in a wall [thus letting] a breeze enter [by accident]’.’ [He changed the original Ḥadīth, switching ‘Rūḥ’ meaning ‘soul’ to ‘Rawḥ’ or ‘breeze’, and he switched ‘Gharaḍān’ meaning ‘as a target’ to ‘Arḍān’ or ‘accidentally’. All simply by changing a few letters in the words]

Muslim said, I heard Ubayd Allah bin Umar al-Qawārīrī saying, I heard Hammād bin Zayd saying to a man after he sat with Mahdī bin Hilāl for days: ‘What is this salty well [i.e. useless or harmful] which has sprung up in your direction?’ He said: ‘Yes, oh Abā Ismā’īl [in agreement]’.

Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Affān say, I heard Abū Awānah say:
‘A Ḥadīth did not reach me on authority of al-Hasan except I presented it to Abān bin Abī Ayyāsh , then he read it to me ’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আলী ইবনু মুসহির বলেছেন, আমি ও হামযাহ্ আয যাইয়্যাত আবান ইবনু আবূ ’আইয়্যাশ থেকে প্রায় এক হাজার হাদীস শুনেছি। ’আলী বলেন, একদিন আমি হামযার সাথে সাক্ষাৎ করলে, তিনি আমাকে অবহিত করলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন এবং আবান থেকে যে সমস্ত হাদীস শুনেছিলেন তা (স্বপ্লের মধ্যে) তাকে শুনিয়েছেন। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামান্য কটি অর্থাৎ পাঁচটি বা ছয়টি ছাড়া একটিরও স্বীকৃতি দেননি।


(.../..) আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, যাকারিয়্যা ইবনু আদী বলেন, আবূ ইসহাক আল ফাযারী আমাকে বলেছেন, যে, বাকিয়্যাহ্ (নামক রাবী) যে সব হাদীস প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের কাছ থেকে বর্ণনা করে, শুধু সেগুলো লিখে নাও এবং যে সব হাদীস অখ্যাত ও অপরিচিত লোকদের থেকে বর্ণনা করে তা লিখো না। কিন্তু ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ এর কোন হাদীসই গ্রহণ করো না, তা পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি থেকেই হোক অপরিচিত ও অখ্যাত ব্যক্তিদের থেকেই হোক।


(.../...) ইসহাক ইবনু আল হানযালী (রহঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) এর কোন এক ছাত্রের কাছে শুনেছি যে, ইবনু মুবারক (রহঃ) বলেছেন, বাকিয়্যাহ উত্তম ব্যক্তিই ছিলেন, যদি তার মধ্যে একটি দোষ না থাকতো। তিনি রাবীর (বর্ণনাকারী) নামকে কুনইয়্যাত (ডাক নাম) এবং কুনইয়াতকে নাম দ্বারা প্রকাশ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আবূ সাঈদ উহাযীর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে আমরা খোজ নিয়ে জানলাম যে, উহাযী হলেন সে আবদুল কুদ্দুস (যাকে হাদীস বিশারদগণ বর্জন করেছেন)।


(.../...) আহমাদ ইবনু ইউসুফ আয্‌দী বলেন, আমি আবদুর রাযযাককে বলতে শুনেছি আমি ইবনু মুবারক (রহঃ) কে সুস্পষ্ট ভাষায় ’আবদুল কুদ্দুস ছাড়া আর কেউকে মিথ্যাবাদী বলতে দেখিনি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, আবদুল কুদ্দুস চরম মিথ্যাবাদী।


(.../...) আহমাদ ইবনু আবদুর রহমান আদ দারিমী বলেন, আবূ নুআয়ম একদা মু’আল্লা ইবনু ইরফান এর আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন, মু’আল্লা বলেছে যে, আবূ ওয়ায়িল আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, সিফফীনের যুদ্ধে ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা শুনে আবূ নুআয়ম বললেন, তোমার কী ধারণা, তিনি কি মৃত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন?*

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَا وَحَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، مِنْ أَبَانَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ نَحْوًا مِنْ أَلْفِ حَدِيثٍ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ فَلَقِيتُ حَمْزَةَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَنَامِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَا سَمِعَ مِنْ أَبَانَ فَمَا عَرَفَ مِنْهَا إِلاَّ شَيْئًا يَسِيرًا خَمْسَةً أَوْ سِتَّةً ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ اكْتُبْ عَنْ بَقِيَّةَ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْهُ مَا رَوَى عَنْ غَيْرِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ عَنْ غَيْرِهِمْ، ‏.‏

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ بَعْضَ، أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ نِعْمَ الرَّجُلُ بَقِيَّةُ لَوْلاَ أَنَّهُ كَانَ يَكْنِي الأَسَامِيَ وَيُسَمِّي الْكُنَى كَانَ دَهْرًا يُحَدِّثُنَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْوُحَاظِيِّ فَنَظَرْنَا فَإِذَا هُوَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّزَّاقِ، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ يُفْصِحُ بِقَوْلِهِ كَذَّابٌ إِلاَّ لِعَبْدِ الْقُدُّوسِ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَهُ كَذَّابٌ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نُعَيْمٍ، ‏.‏ وَذَكَرَ الْمُعَلَّى بْنَ عُرْفَانَ فَقَالَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا ابْنُ مَسْعُودٍ بِصِفِّينَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ أَتُرَاهُ بُعِثَ بَعْدَ الْمَوْتِ

وحدثنا سويد بن سعيد، حدثنا علي بن مسهر، قال سمعت انا وحمزة الزيات، من ابان بن ابي عياش نحوا من الف حديث ‏.‏ قال علي فلقيت حمزة فاخبرني انه راى النبي صلى الله عليه وسلم في المنام فعرض عليه ما سمع من ابان فما عرف منها الا شيىا يسيرا خمسة او ستة ‏.‏ حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن الدارمي، اخبرنا زكرياء بن عدي، قال قال لي ابو اسحاق الفزاري اكتب عن بقية، ما روى عن المعروفين، ولا تكتب عنه ما روى عن غير المعروفين، ولا تكتب عن اسماعيل بن عياش، ما روى عن المعروفين، ولا عن غيرهم، ‏.‏ وحدثنا اسحاق بن ابراهيم الحنظلي، قال سمعت بعض، اصحاب عبد الله قال قال ابن المبارك نعم الرجل بقية لولا انه كان يكني الاسامي ويسمي الكنى كان دهرا يحدثنا عن ابي سعيد الوحاظي فنظرنا فاذا هو عبد القدوس ‏.‏ وحدثني احمد بن يوسف الازدي، قال سمعت عبد الرزاق، يقول ما رايت ابن المبارك يفصح بقوله كذاب الا لعبد القدوس فاني سمعته يقول له كذاب ‏.‏ وحدثني عبد الله بن عبد الرحمن الدارمي، قال سمعت ابا نعيم، ‏.‏ وذكر المعلى بن عرفان فقال قال حدثنا ابو واىل، قال خرج علينا ابن مسعود بصفين ‏.‏ فقال ابو نعيم اتراه بعث بعد الموت

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Suwayd bin Sa’īd narrated to us, Alī bin Mus’hir narrated to us, he said:
‘Hamzah az-Zayyāt and I heard from Abān bin Abī Ayyāsh something like one thousand Ḥadīth’. Alī said: ‘So I met Hamzah then he informed me that he saw the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, [in a dream], and he produced for him what he heard from Abān. However he [the Prophet] didn’t recognize any except a small amount [like] five or six [Ḥadīth]’.

Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Zakariyyā’ bin Adī informed us, he said, Abū Ishāq al-Fazarī said to me:
‘Write from Baqiyyah what he transmits on authority of those who are well-known, and do not write from him what he transmits on authority of those who are not; do not write from Ismā’īl bin Ayyāsh what he transmits on authority of those who are well-known or otherwise ’.

Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī [bin Rāhwayh] narrated to us, he said, I heard one of the companions of Abd Allah [bin al-Mubārak] say, Ibn al-Mubārak said:
‘What an excellent man is Baqiyyah, if it were not for the fact that he would provide a nickname for [those who were better-known by] the birth name, and he would provide the birth name for [those who were better-known by] a nickname. For a long time he would narrated to us on authority of Abī Sa’īd al-Wuhāthī, then when we investigated [we were surprised that] he was Abd ul-Quddūs ’.

Ahmad bin Yūsuf al-Azdī narrated to me, he said, I heard Abd ar-Razzāq saying:
‘I did not see Ibn al-Mubārak express so plainly the charge of ‘lying’ except towards Abd ul-Quddūs; for indeed I heard him saying to him ‘[You are] a liar’.’

Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to me, he said:
‘I heard Abū Nu’aym and he mentioned al-Mu’allā bin Urfān, so [Abū Nu’aym] said, [al-Mu’allā] said: ‘Abū Wā’il narrated to us, he said ‘Ibn Mas’ūd attacked us on the day of Siffīn’. So Abū Nu’aym said: ‘Do you think he was raised after death? [Ibn Mas’ūd passed away in 32 or 33H, several years before the day in question]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) ’আমর ইবনু ’আলী ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আফফান ইবনু মুসলিম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা ইসমাঈল ইবনু উলাইয়্যার নিকট বসা ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি অন্য আর এক ব্যক্তি থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করলো। তখন আমি বললাম, "সে ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার উপযুক্ত নয়।” আফফান বলেন, আমার কথা শুনে ঐ ব্যক্তি বললো, তুমি তো তার গীবত করলে। ইসমাঈল বললেন, না, সে তার গীবাত করেনি, বরং সে যে হাদীস বর্ণনা করার উপযুক্ত নয়, সে সত্যটিকে উদঘাটন করছে। (হাদীসের ইমামদের দোষ বর্ণনা গীবাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং ফাতাওয়া ও সিদ্ধান্ত দেয়ার নামান্তর।)


(.../...) আবূ জাফার আদ দারিমী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, বিশর ইবনু উমার বলেন, আমি মালিক ইবনু আনাসকে সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। মালিক ইবনু আনাস বললেন, সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে তাওয়ামার আযাদকৃত গোলাম সালিহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে আবুল হুওয়াইরিস সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য রাবী নয়। তারপর আমি তাকে শু’বার ব্যাপারে জানতে চাইলাম, যার থেকে ইবনু আবু যিব হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বললেন, তিনিও নির্ভরযোগ্য নয়। এরপর আমি তাঁকে হারাম ইবনু উসমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। তারপর আমি মালিক ইবনু আনাস এর নিকট উক্ত পাঁচ ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, এদের সবাই হাদীস রিওয়ায়াতে নির্ভরযোগ্য নয়। পরিশেষে আমি তাকে আর একজনের ব্যাপারে জানতে তিনি বললেন, যার নাম এখন আমার মনে নেই। তার ব্যাপারে তিনি বললেন, তার কোন হাদীস তুমি আমার কিতাবগুলোতে দেখেছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, যদি সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য হতো তাহলে তুমি অবশ্যই আমার কিতাবের মাঝে তার নামের উল্লেখ পেতে (কাজে সেও নির্ভরযোগ্য নয়)।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল থেকে বর্ণিত যে, ইবনু আবূ যি’ব শুরাহবীল ইবনু সা’দ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ শুরাহবীল ছিল অভিযুক্ত। (তিনি সত্যবাদী ছিলেন, তবে বৃদ্ধ বয়সে স্মরণ শক্তি হারিয়ে ফেলেন)


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাহযাযা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক তালাকানীকে বলতে শুনেছি যে, ইবনু মুবারককে বলতে শুনেছি, যদি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করা এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহারর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মধ্যে ইখতিয়ার দেয়া হত তাহলে প্রথমে আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করে পরে জান্নাতে প্রবেশ করতাম। পরে যখন আমি তাকে দেখলাম, তখন উটের গোবরও (বিষ্ঠা) আমার কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট মনে হলো।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল থেকে বর্ণিত আছে যে, ওয়ালীদ ইবনু সালিহ আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। উবাইদুল্লাহ ইবনু আমর বলেছেন যে, যায়দ, অর্থাৎ ইবনু আবূ উনাইসাহ বলেন, তোমরা আমার ভাই (ইয়াহইয়া) থেকে হাদীস গ্রহণ করো না।


(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম দাওরাকী থেকে বর্ণিত। ’আবদুস সালাম আল ওয়াবিসী বলেছেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু জাফার আর রাককী (রহঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনু আমর থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, ইয়াহইয়া ইবনু উনাইসাহ মিথ্যাবাদী ছিলেন।


(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণনা করেন যে, আইয়ুবের নিকট ফারকাদ সম্পর্কে আলোচনা হলো। তিনি বললেন, ফারকাদ হাদীস বর্ণনার যোগ্য নয়।


(.../...) আবদুর রহমান ইবনু বিশর আল আব্‌দী (রহঃ) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) এর কাছে মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উবায়দ ইবনু উমায়র লাইসীর উল্লেখ করলে, তিনি তাকে অত্যন্ত য’ঈফ (দুর্বল) বলে মন্তব্য করেছেন। এ সময় কেউ ইয়াহইয়াকে জিজ্ঞেস করলো, সে কি ইয়াকুব ইবনু আতা থেকেও য’ঈফ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমায়র থেকে হাদীস বর্ণনা করা কারে জন্য সমীচীন নয়।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثَ رَجُلٌ، عَنْ رَجُلٍ، فَقُلْتُ إِنَّ هَذَا لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الرَّجُلُ اغْتَبْتَهُ ‏.‏ قَالَ إِسْمَاعِيلُ مَا اغْتَابَهُ ‏.‏ وَلَكِنَّهُ حَكَمَ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ سَأَلْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الَّذِي، يَرْوِي عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ شُعْبَةَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ حَرَامِ بْنِ عُثْمَانَ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ ‏.‏ وَسَأَلْتُ مَالِكًا عَنْ هَؤُلاَءِ الْخَمْسَةِ فَقَالَ لَيْسُوا بِثِقَةٍ فِي حَدِيثِهِمْ ‏.‏ وَسَأَلْتُهُ عَنْ رَجُلٍ آخَرَ نَسِيتُ اسْمَهُ فَقَالَ هَلْ رَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَوْ كَانَ ثِقَةً لَرَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي ‏.‏

وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، وَكَانَ، مُتَّهَمًا ‏.‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الطَّالَقَانِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ لَوْ خُيِّرْتُ بَيْنَ أَنْ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَبَيْنَ أَنْ أَلْقَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَرَّرٍ لاَخْتَرْتُ أَنْ أَلْقَاهُ ثُمَّ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ كَانَتْ بَعْرَةٌ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْهُ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا وَلِيدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ زَيْدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أُنَيْسَةَ لاَ تَأْخُذُوا عَنْ أَخِي، ‏.‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ السَّلاَمِ الْوَابِصِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ يَحْيَى بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ كَذَّابًا ‏.‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذُكِرَ فَرْقَدٌ عِنْدَ أَيُّوبَ فَقَالَ إِنَّ فَرْقَدًا لَيْسَ صَاحِبَ حَدِيثٍ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ذُكِرَ عِنْدَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ اللَّيْثِيُّ فَضَعَّفَهُ جِدًّا ‏.‏ فَقِيلَ لِيَحْيَى أَضْعَفُ مِنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَطَاءٍ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ أَحَدًا يَرْوِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ ‏.‏

حدثني عمرو بن علي، وحسن الحلواني، كلاهما عن عفان بن مسلم، قال كنا عند اسماعيل ابن علية فحدث رجل، عن رجل، فقلت ان هذا ليس بثبت ‏.‏ قال فقال الرجل اغتبته ‏.‏ قال اسماعيل ما اغتابه ‏.‏ ولكنه حكم انه ليس بثبت ‏.‏ وحدثنا ابو جعفر الدارمي، حدثنا بشر بن عمر، قال سالت مالك بن انس عن محمد بن عبد الرحمن الذي، يروي عن سعيد بن المسيب، فقال ليس بثقة ‏.‏ وسالته عن صالح، مولى التوامة فقال ليس بثقة ‏.‏ وسالته عن ابي الحويرث فقال ليس بثقة ‏.‏ وسالته عن شعبة الذي روى عنه ابن ابي ذىب فقال ليس بثقة ‏.‏ وسالته عن حرام بن عثمان فقال ليس بثقة ‏.‏ وسالت مالكا عن هولاء الخمسة فقال ليسوا بثقة في حديثهم ‏.‏ وسالته عن رجل اخر نسيت اسمه فقال هل رايته في كتبي قلت لا ‏.‏ قال لو كان ثقة لرايته في كتبي ‏.‏ وحدثني الفضل بن سهل، قال حدثني يحيى بن معين، حدثنا حجاج، حدثنا ابن ابي ذىب، عن شرحبيل بن سعد، وكان، متهما ‏.‏ وحدثني محمد بن عبد الله بن قهزاذ، قال سمعت ابا اسحاق الطالقاني، يقول سمعت ابن المبارك، يقول لو خيرت بين ان ادخل الجنة وبين ان القى عبد الله بن محرر لاخترت ان القاه ثم ادخل الجنة فلما رايته كانت بعرة احب الى منه ‏.‏ وحدثني الفضل بن سهل، حدثنا وليد بن صالح، قال قال عبيد الله بن عمرو قال زيد يعني ابن ابي انيسة لا تاخذوا عن اخي، ‏.‏ حدثني احمد بن ابراهيم الدورقي، قال حدثني عبد السلام الوابصي، قال حدثني عبد الله بن جعفر الرقي، عن عبيد الله بن عمرو، قال كان يحيى بن ابي انيسة كذابا ‏.‏ حدثني احمد بن ابراهيم، قال حدثني سليمان بن حرب، عن حماد بن زيد، قال ذكر فرقد عند ايوب فقال ان فرقدا ليس صاحب حديث ‏.‏ وحدثني عبد الرحمن بن بشر العبدي، قال سمعت يحيى بن سعيد القطان، ذكر عنده محمد بن عبد الله بن عبيد بن عمير الليثي فضعفه جدا ‏.‏ فقيل ليحيى اضعف من يعقوب بن عطاء قال نعم ‏.‏ ثم قال ما كنت ارى ان احدا يروي عن محمد بن عبد الله بن عبيد بن عمير ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Amr bin Alī and Hasan al-Hulwānī narrated to me, both of them on authority of Affān bin Muslim, he said:
‘We were near Ismā’īl bin Ulayyah, and a man narrated on authority of another man, so I said: ‘Indeed this is not reliable (Thabt)’. So the man said: ‘Are you backbiting him?’ Ismā’īl said: ‘He is not backbiting him; rather he is judging him unreliable’.

Abū Ja’far ad-Dārimī narrated to us, Bishr bin Umar narrated to us, he said:
‘I asked Mālik bin Anas about Muhammad bin Abd ar-Rahman who transmits on authority of Sa’īd bin al-Musayyib, so he said: ‘He is not trustworthy ‘. I asked him about Sālih, a freed slave of at-Taw’amah, then he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Abūl-Huwayrith , and he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Shu’bah on whose authority Ibn Abī Dhi’b transmitted, and he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Harām bin Uthmān , and he said ‘He is not trustworthy’. I asked Mālik about these five and he said: ‘They are not trustworthy in terms of their Ḥadīth’. I asked him about another man whose name I forget just now, and he said: ‘Did you see him in my book?’ I said: ‘No’. [Then] he said: ‘If he was trustworthy you would see him in my book’.

Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said:
‘Yahyā bin Ma’īn narrated to me, Hajjāj narrated to us, Ibn Abī Dhi’b narrated to us on authority of Shurahbīl bin Sa’d , and he was imputed [with lying regarding Ḥadīth near the end of his life]’.

Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh narrated to me, he said, I heard Abū Ishāq at-Tālqānī saying, I heard Ibn al-Mubārak saying:
‘If I had to choose between entering Paradise and meeting Abd Allah bin Muharrar, I would have chosen to meet him, then enter Paradise. Then when I saw him, dung was more preferred to me than him’.

Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, Walīd bin Sālih narrated to us, he said, Ubayd Allah bin Amr said, Zayd- meaning Ibn Abī Unaysah – said:
‘Do not take [Ḥadīth] from my brother ’.

Ahmad bin Ibrāhīm ad-Dawraqī narrated to me, he said, Abd us-Salām al-Wābisī narrated to me, he said, Abd Allah bin Ja’far ar-Raqqī narrated to me, on authority of Ubayd Allah bin Amr, he said:
‘Yahyā bin Abī Unaysah was a liar’.

Ahmad bin Ibrāhīm narrated to me, he said, Sulaymān bin Harb narrated to me, on authority of Hammād bin Zayd, he said, Farqad was mentioned near Ayyūb, so he said:
‘Indeed Farqad is not a companion of Ḥadīth’.

Abd ur-Rahman bin Bishr al-Abdī narrated to me, he said, I heard Muhammad bin Abd Allah bin Ubayd bin Umayr al-Laythī was mentioned near Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, so he weakened him severely. Then it was said to Yahyā:
‘More weak than Ya’qūb bin Atā ’?’ He said: ‘Yes’. Then he said: ‘I did not see anyone transmitting on authority of Muhammad bin Abd Allah bin Ubayd bin Umayr’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) বিশর ইবনুল হাকাম (রহঃ) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তানকে বলতে শুনেছি, তিনি হাকীম ইবনু যুবায়র ও ’আবদুল আ’লাকে (ইবনু আমির সালাবী) য’ঈফ আল কাত্তানকে বলতে শুনেছি, তিনি হাকীম ইবনু যুবায়র ও আবদুল আ’লাকে (ইবনু আমির সালাবী) য’ঈফ (দুর্বল) বলেছেন এবং ইয়াহইয়া ইবনু মূসা ইবনু দীনারকেও যাঈফ (দুর্বল) বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, তার হাদীস হচ্ছে বাতাসের মত তিনি মূসা ইবনু দিহকান ও ঈসা ইবনু আবূ ঈসা মাদানীকেও য’ঈফ বলেছেন।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি হাসান ইবনু ঈসা (রহঃ)-এর কাছে শুনেছি তিনি বলেন, আমাকে ইবনু মুবারক বলেছেন, যখন তুমি জারীরের নিকট যাবে তখন তিন ব্যক্তির হাদীস ছাড়া আর সমস্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করে নিও। এ তিন ব্যক্তি হচ্ছেঃ উবাইদাহ ইবনু মু’আত্তিব, আস্সারী ইবনু ইসমাঈল ও মুহাম্মাদ ইবনু সালিম।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, রাবীদের দোষ-ত্রুটি ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ’আলিমদের যে মতামত আমরা বর্ণনা করেছি তার ফিরিস্তি বেশ দীর্ঘ। এ সম্পর্কে কিছু আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে কিতাবের পরিধি লম্বা হয়ে যাবে। তবে আমরা এখানে যা আলোচনা করেছি তা যে কোন বিচক্ষণ ও হাদীস সম্পৰ্কীয় নীতি-পদ্ধতি ব্যক্তির পক্ষে যথেষ্ট। মুহাদ্দিসগণ রাবী এবং ঘটনা বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয়া অপরিহার্য মনে করেছেন। বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে যখনই তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তখনই তারা তা দীনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করে বৈধ বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন। কেননা, দীনের কোন কথা বর্ণনা করলে তার মাধ্যমে হয় কোন কাজ হালাল অথবা হারাম প্রমাণিত হবে, অথবা তাতে কোন কাজ করার নির্দেশ অথবা নিষেধ থাকবে, অথবা এর মাধ্যমে কোন কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে বা কোন কাজ না করার জন্য সাবধান করা হবে।

যা হোক, কোন রাবীর মধ্যে যদি সততা ও বিশ্বস্ততার উপাদান না থাকে, আর অন্য রাবী, তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনার সময় জানা সত্ত্বেও যদি তার সম্পর্কে লোকদের সামনে এ ত্রুটি তুলে না ধরে তবে সে গুনাহগার হবে এবং সাধারণ মুসলিমদের সাথে প্রতারক বলে গণ্য হবে। কেননা, যারা এ সব হাদীস শুনবে, তারা এ সবগুলোর উপর অথবা এর কোন একটির উপর আমল করবে। অথচ এর সবগুলো অথবা অধিকাংশই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। নির্ভরযোগ্য ও আস্থাশীল বর্ণনাকারীদের বর্ণিত নির্ভুল ও সহীহ হাদীসের এক বিরাট সম্ভার আমাদের সামনে রয়েছে। কাজেই এমন এক ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করার জন্য ব্যস্ত হওয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই যার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য নয় এবং সে নিজেও বিশ্বস্ত রাবী নয়।

আমি মনে করি না, যে সব লোক এ ধরনের য’ঈফ হাদীস এবং অখ্যাত সনদ বর্ণনা করে এবং এ সবের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও এর গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাদের উদ্দেশ্য হলো নিজেদের সাধারণ মানুষের কাছে বড় বিদ্বান হিসেবে পরিচিত করা এরং এজন্য যে, লোকেরা বলবে, সুবহানাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি কত হাদীস সংগ্রহ করেছে, কত হাদীস সংকলন করেছে। ইলমে হাদীসের ক্ষেত্রে যে এ নীতি অবলম্বন করে এবং এ পথে পা বাড়ায়, হাদীস শাস্ত্রে তার কোন স্থান নেই। বস্তুতঃ এমন ব্যক্তি আলিম (জ্ঞানী) হিসেবে আখ্যায়িত না হয়ে জাহিল (মূর্খ) নামে অভিহিত হওয়ার অধিক যোগ্য।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমাদের যুগের নিজ থেকে ত্বরিত ঘোষণাদাতা হাদীস বিশারদ হাদীসের সনদ সবল হওয়ার ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করেছেন। তার সে ভ্রান্ত অভিমত লিপিবদ্ধ করা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি আলোচনা করা থেকে বিরত থাকাই সঠিক মত ও পথ ছিল। কেননা, ভ্রান্ত মতামত নির্মুল করা এবং এর প্রবক্তার নাম মুছে ফেলার জন্যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নীরব থাকা উত্তম।

এ পদ্ধতি অশিক্ষিত লোকদের এসব ভ্রান্ত মতামত সম্বন্ধে অনবহিত রাখার উত্তম ব্যবস্থা। কিন্তু যখন মূর্খ লোকেদের ভুল মতামতের প্রতি তড়িৎ বিশ্বাস স্থাপন ও উলামায়ে কিরামের নিকট যা অগ্রহণযোগ্য সে সবের প্রতি তাদের আকৃষ্ট হওয়ার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে চিন্তা করলাম তখন আমরা এদের ভ্রান্ত মতের উল্লেখ করে তার মূলোৎপাটন করা জরুরী মনে করলাম। ইনশাআল্লাহ, এ কাজ মানুষের জন্যে হবে কল্যাণকর এবং এর পরিণামও হবে শুভ।

তিনি বলেন, যার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমরা আলোচনা শুরু করেছি এবং যার অগ্রহণযোগ্য রিওয়ায়াত আমরা বাতিল বলে ঘোষণা করেছি, তার অভিমত হচ্ছে, যদি সনদের মধ্যে অমুক অমুকের কাছ থেকে এভাবে উল্লেখ থাকে এবং এ কথা জানা যায় যে, তারা উভয়ই একই যুগের রাবী, একই সময়ে বর্তমান ছিলেন, তাছাড়া হাদীসটি সরাসরি শুনার এবং পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, কিন্তু সে তার উর্ধ্ব রাবীর কাছ থেকে শুনেছে বলে আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি এবং কোন রিওয়ায়াতেও আমরা পাইনি যে, তাদের উভয়ের কখনও সাক্ষাৎ ঘটেছে অথবা সামনাসামনি কথাবর্তা হয়েছে, তাহলে এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কাছে এভাবে যত হাদীস বর্ণিত হবে, তা দলীল হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না- যে পর্যন্ত প্রমাণিত না হবে তারা উভয়ে জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার কোথাও একত্রিত অথবা সামনাসামনি হয়েছিল এমন হাদীস পাওয়া যায়, যাতে উল্লেখ রয়েছে যে, জীবনে অন্ততঃ একত্রিত হয়েছে বা একবার তাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। সুতরাং যদি এ বর্ণনাকারী ও গ্রহণকারীর মধ্যে সাক্ষাতের কিংবা সামনাসামনি হওয়ার কথা না জানা যায় এবং কোন হাদীস বর্ণনায় যদি তাদের মধ্যে অন্ততঃ একবার সাক্ষাতের এবং তার থেকে কিছু শুনার প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে ঐ ব্যক্তি হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এ পর্যায়ের হাদীস গ্রহণ করা স্থগিত থাকবে- যে পর্যন্ত এক বা একাধিক হাদীস দ্বারা সাক্ষাৎ ও শুনার প্রমাণ না পাওয়া যায়।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ضَعَّفَ حَكِيمَ بْنَ جُبَيْرٍ وَعَبْدَ الأَعْلَى وَضَعَّفَ يَحْيَى مُوسَى بْنَ دِينَارٍ قَالَ حَدِيثُهُ رِيحٌ ‏.‏ وَضَعَّفَ مُوسَى بْنَ دِهْقَانَ وَعِيسَى بْنَ أَبِي عِيسَى الْمَدَنِيَّ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عِيسَى، يَقُولُ قَالَ لِيَ ابْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا قَدِمْتَ عَلَى جَرِيرٍ فَاكْتُبْ عِلْمَهُ كُلَّهُ إِلاَّ حَدِيثَ ثَلاَثَةٍ لاَ تَكْتُبْ حَدِيثَ عُبَيْدَةَ بْنِ مُعَتِّبٍ وَالسَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَمُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ ‏.‏

قَالَ مُسْلِمٌ وَأَشْبَاهُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ كَلاَمِ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي مُتَّهَمِي رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَإِخْبَارِهِمْ عَنْ مَعَايِبِهِمْ كَثِيرٌ يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهِ عَلَى اسْتِقْصَائِهِ وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ لِمَنْ تَفَهَّمَ وَعَقَلَ مَذْهَبَ الْقَوْمِ فِيمَا قَالُوا مِنْ ذَلِكَ وَبَيَّنُوا.


وَإِنَّمَا أَلْزَمُوا أَنْفُسَهُمُ الْكَشْفَ عَنْ مَعَايِبِ رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَنَاقِلِي الأَخْبَارِ وَأَفْتَوْا بِذَلِكَ حِينَ سُئِلُوا لِمَا فِيهِ مِنْ عَظِيمِ الْخَطَرِ إِذِ الأَخْبَارُ فِي أَمْرِ الدِّينِ إِنَّمَا تَأْتِي بِتَحْلِيلٍ أَوْ تَحْرِيمٍ أَوْ أَمْرٍ أَوْ نَهْىٍ أَوْ تَرْغِيبٍ أَوْ تَرْهِيبٍ فَإِذَا كَانَ الرَّاوِي لَهَا لَيْسَ بِمَعْدِنٍ لِلصِّدْقِ وَالأَمَانَةِ ثُمَّ أَقْدَمَ عَلَى الرِّوَايَةِ عَنْهُ مَنْ قَدْ عَرَفَهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ مَا فِيهِ لِغَيْرِهِ مِمَّنْ جَهِلَ مَعْرِفَتَهُ كَانَ آثِمًا بِفِعْلِهِ ذَلِكَ غَاشًّا لِعَوَامِّ الْمُسْلِمِينَ إِذْ لاَ يُؤْمَنُ عَلَى بَعْضِ مَنْ سَمِعَ تِلْكَ الأَخْبَارَ أَنْ يَسْتَعْمِلَهَا أَوْ يَسْتَعْمِلَ بَعْضَهَا وَلَعَلَّهَا أَوْ أَكْثَرَهَا أَكَاذِيبُ لاَ أَصْلَ لَهَا مَعَ أَنَّ الأَخْبَارَ الصِّحَاحَ مِنْ رِوَايَةِ الثِّقَاتِ وَأَهْلِ الْقَنَاعَةِ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يُضْطَرَّ إِلَى نَقْلِ مَنْ لَيْسَ بِثِقَةٍ وَلاَ مَقْنَعٍ.

وَلاَ أَحْسِبُ كَثِيرًا مِمَّنْ يُعَرِّجُ مِنَ النَّاسِ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ هَذِهِ الأَحَادِيثِ الضِّعَافِ وَالأَسَانِيدِ الْمَجْهُولَةِ وَيَعْتَدُّ بِرِوَايَتِهَا بَعْدَ مَعْرِفَتِهِ بِمَا فِيهَا مِنَ التَّوَهُّنِ وَالضَّعْفِ إِلاَّ أَنَّ الَّذِي يَحْمِلُهُ عَلَى رِوَايَتِهَا وَالاِعْتِدَادِ بِهَا إِرَادَةُ التَّكَثُّرِ بِذَلِكَ عِنْدَ الْعَوَامِّ وَلأَنْ يُقَالَ مَا أَكْثَرَ مَا جَمَعَ فُلاَنٌ مِنَ الْحَدِيثِ وَأَلَّفَ مِنَ الْعَدَدِ.‏

وَمَنْ ذَهَبَ فِي الْعِلْمِ هَذَا الْمَذْهَبَ وَسَلَكَ هَذَا الطَّرِيقَ فَلاَ نَصِيبَ لَهُ فِيهِ وَكَانَ بِأَنْ يُسَمَّى جَاهِلاً أَوْلَى مِنْ أَنْ يُنْسَبَ إِلَى عِلْمٍ ‏.‏

وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ مُنْتَحِلِي الْحَدِيثِ مِنْ أَهْلِ عَصْرِنَا فِي تَصْحِيحِ الأَسَانِيدِ وَتَسْقِيمِهَا بِقَوْلٍ لَوْ ضَرَبْنَا عَنْ حِكَايَتِهِ وَذِكْرِ فَسَادِهِ صَفْحًا لَكَانَ رَأْيًا مَتِينًا وَمَذْهَبًا صَحِيحًا.

إِذِ الإِعْرَاضُ عَنِ الْقَوْلِ الْمُطَّرَحِ أَحْرَى لإِمَاتَتِهِ وَإِخْمَالِ ذِكْرِ قَائِلِهِ وَأَجْدَرُ أَنْ لاَ يَكُونَ ذَلِكَ تَنْبِيهًا لِلْجُهَّالِ عَلَيْهِ غَيْرَ أَنَّا لَمَّا تَخَوَّفْنَا مِنْ شُرُورِ الْعَوَاقِبِ وَاغْتِرَارِ الْجَهَلَةِ بِمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ وَإِسْرَاعِهِمْ إِلَى اعْتِقَادِ خَطَإِ الْمُخْطِئِينَ وَالأَقْوَالِ السَّاقِطَةِ عِنْدَ الْعُلَمَاءِ رَأَيْنَا الْكَشْفَ عَنْ فَسَادِ قَوْلِهِ وَرَدَّ مَقَالَتِهِ بِقَدْرِ مَا يَلِيقُ بِهَا مِنَ الرَّدِّ أَجْدَى عَلَى الأَنَامِ وَأَحْمَدَ لِلْعَاقِبَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.

وَزَعَمَ الْقَائِلُ الَّذِي افْتَتَحْنَا الْكَلاَمَ عَلَى الْحِكَايَةِ عَنْ قَوْلِهِ وَالإِخْبَارِ عَنْ سُوءِ رَوِيَّتِهِ أَنَّ كُلَّ إِسْنَادٍ لِحَدِيثٍ فِيهِ فُلاَنٌ عَنْ فُلاَنٍ وَقَدْ أَحَاطَ الْعِلْمُ بِأَنَّهُمَا قَدْ كَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ وَجَائِزٌ أَنْ يَكُونَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَى الرَّاوِي عَمَّنْ رَوَى عَنْهُ قَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ وَشَافَهَهُ بِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ نَعْلَمُ لَهُ مِنْهُ سَمَاعًا وَلَمْ نَجِدْ فِي شيء مِنَ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُمَا الْتَقَيَا قَطُّ أَوْ تَشَافَهَا بِحَدِيثٍ- أَنَّ الْحُجَّةَ لاَ تَقُومُ عِنْدَهُ بِكُلِّ خَبَرٍ جَاءَ هَذَا الْمَجِيءَ حَتَّى يَكُونَ عِنْدَهُ الْعِلْمُ- بِأَنَّهُمَا قَدِ اجْتَمَعَا مِنْ دَهْرِهِمَا مَرَّةً فَصَاعِدًا أَوْ تَشَافَهَا بِالْحَدِيثِ بَيْنَهُمَا أَوْ يَرِدَ خَبَرٌ فِيهِ بَيَانُ اجْتِمَاعِهِمَا وَتَلاَقِيهِمَا مَرَّةً مِنْ دَهْرِهِمَا فَمَا فَوْقَهَا. فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ عِلْمُ ذَلِكَ وَلَمْ تَأْتِ رِوَايَةٌ صَحِيحَةٌ تُخْبِرُ أَنَّ هَذَا الرَّاوِيَ عَنْ صَاحِبِهِ قَدْ لَقِيَهُ مَرَّةً وَسَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا- لَمْ يَكُنْ فِي نَقْلِهِ الْخَبَرَ عَمَّنْ رَوَى عَنْهُ ذَلِكَ وَالأَمْرُ كَمَا وَصَفْنَا حُجَّةٌ وَكَانَ الْخَبَرُ عِنْدَهُ مَوْقُوفًا حَتَّى يَرِدَ عَلَيْهِ سَمَاعُهُ مِنْهُ لِشَيْءٍ مِنَ الْحَدِيثِ. قَلَّ أَوْ كَثُرَ فِي رِوَايَةٍ مِثْلِ مَا وَرَدَ

حدثني بشر بن الحكم، قال سمعت يحيى بن سعيد القطان، ضعف حكيم بن جبير وعبد الاعلى وضعف يحيى موسى بن دينار قال حديثه ريح ‏.‏ وضعف موسى بن دهقان وعيسى بن ابي عيسى المدني ‏.‏ قال وسمعت الحسن بن عيسى، يقول قال لي ابن المبارك اذا قدمت على جرير فاكتب علمه كله الا حديث ثلاثة لا تكتب حديث عبيدة بن معتب والسري بن اسماعيل ومحمد بن سالم ‏.‏ قال مسلم واشباه ما ذكرنا من كلام اهل العلم في متهمي رواة الحديث واخبارهم عن معايبهم كثير يطول الكتاب بذكره على استقصاىه وفيما ذكرنا كفاية لمن تفهم وعقل مذهب القوم فيما قالوا من ذلك وبينوا. وانما الزموا انفسهم الكشف عن معايب رواة الحديث وناقلي الاخبار وافتوا بذلك حين سىلوا لما فيه من عظيم الخطر اذ الاخبار في امر الدين انما تاتي بتحليل او تحريم او امر او نهى او ترغيب او ترهيب فاذا كان الراوي لها ليس بمعدن للصدق والامانة ثم اقدم على الرواية عنه من قد عرفه ولم يبين ما فيه لغيره ممن جهل معرفته كان اثما بفعله ذلك غاشا لعوام المسلمين اذ لا يومن على بعض من سمع تلك الاخبار ان يستعملها او يستعمل بعضها ولعلها او اكثرها اكاذيب لا اصل لها مع ان الاخبار الصحاح من رواية الثقات واهل القناعة اكثر من ان يضطر الى نقل من ليس بثقة ولا مقنع. ولا احسب كثيرا ممن يعرج من الناس على ما وصفنا من هذه الاحاديث الضعاف والاسانيد المجهولة ويعتد بروايتها بعد معرفته بما فيها من التوهن والضعف الا ان الذي يحمله على روايتها والاعتداد بها ارادة التكثر بذلك عند العوام ولان يقال ما اكثر ما جمع فلان من الحديث والف من العدد.‏ ومن ذهب في العلم هذا المذهب وسلك هذا الطريق فلا نصيب له فيه وكان بان يسمى جاهلا اولى من ان ينسب الى علم ‏.‏ وقد تكلم بعض منتحلي الحديث من اهل عصرنا في تصحيح الاسانيد وتسقيمها بقول لو ضربنا عن حكايته وذكر فساده صفحا لكان رايا متينا ومذهبا صحيحا. اذ الاعراض عن القول المطرح احرى لاماتته واخمال ذكر قاىله واجدر ان لا يكون ذلك تنبيها للجهال عليه غير انا لما تخوفنا من شرور العواقب واغترار الجهلة بمحدثات الامور واسراعهم الى اعتقاد خطا المخطىين والاقوال الساقطة عند العلماء راينا الكشف عن فساد قوله ورد مقالته بقدر ما يليق بها من الرد اجدى على الانام واحمد للعاقبة ان شاء الله. وزعم القاىل الذي افتتحنا الكلام على الحكاية عن قوله والاخبار عن سوء رويته ان كل اسناد لحديث فيه فلان عن فلان وقد احاط العلم بانهما قد كانا في عصر واحد وجاىز ان يكون الحديث الذي روى الراوي عمن روى عنه قد سمعه منه وشافهه به غير انه لا نعلم له منه سماعا ولم نجد في شيء من الروايات انهما التقيا قط او تشافها بحديث- ان الحجة لا تقوم عنده بكل خبر جاء هذا المجيء حتى يكون عنده العلم- بانهما قد اجتمعا من دهرهما مرة فصاعدا او تشافها بالحديث بينهما او يرد خبر فيه بيان اجتماعهما وتلاقيهما مرة من دهرهما فما فوقها. فان لم يكن عنده علم ذلك ولم تات رواية صحيحة تخبر ان هذا الراوي عن صاحبه قد لقيه مرة وسمع منه شيىا- لم يكن في نقله الخبر عمن روى عنه ذلك والامر كما وصفنا حجة وكان الخبر عنده موقوفا حتى يرد عليه سماعه منه لشيء من الحديث. قل او كثر في رواية مثل ما ورد

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Bishr bin al-Hakam narrated to me, he said, I heard Yahyā bin Sa’īd al-Qattān weaken Hakīm bin Jubayr and Abd al-A’lā; and he weakened Yahyā Mūsā bin Dīnār [there is no ‘bin’ between ‘Yahyā’ and ‘Mūsā’]; [Yahyā] said:
‘His Ḥadīth are Rīh or ‘wind’ [i.e., not established and weak]. [Yahyā] weakened Mūsā bin Dihqān and Īsā bin Abī Īsā al-Madanī. [Muslim] said, ‘I heard al-Hasan bin Īsā saying ‘Ibn al-Mubārak said to me: ‘When you go to Jarīr then write down all of his knowledge except the Ḥadīth of 3 [people] - do not write the Ḥadīth of Ubaydah bin Mu’attib, as-Sarī bin Ismā’īl, or Muhammad bin Sālim’.’

Muslim said: Similar instances to what we mentioned from the words of Ahl ul-Ilm regarding those transmitters who are imputed in Ḥadīth, and reports about their defects, are great in number, it would lengthen this book to mention its investigation, and what we [already] mentioned should be sufficient for whoever reflects upon and understands the way of the people [Muhaddithīn] in terms of what they said and clarified of all of that.


Indeed [the Muhaddithīn] concerned themselves with the unveiling of the defects of transmitters of Ḥadīth and narrators of reports; they delivered verdicts in that at the time they were asked when there was a great danger involved considering that the reports are regarding affairs of the Dīn; whether [the transmissions] present a permission or proscription, a command or prohibition, encouragement or admonition.


If the transmitter for it is not a source of truthfulness or reliability, then those who know [his condition], who risk transmitting on his authority, and not declaring [his condition] to others whom are ignorant of his [state], are sinning through doing that, and deceiving the common Muslims, since he should not feel secure in that some of those who heard these reports will act upon them, or act upon some of them, and perhaps they are lies which have no basis, or a majority of them; this along with the fact that authentic reports from the trustworthy chains and the people who are satisfactory [to the majority of Ahl ul-Ilm] are in too great a number to compel relating from those who are not trustworthy and who are not satisfactory.


I do not think highly of those who would permit from the people what we described of these weak narrations and unknown chains, and who judge by these transmissions after knowing what is in them of those who are imputed and weak unless he, through his conveyance and judgment by them, desires to accumulate [status] through that among the commoners, or that it can be said, ‘How great is the number of Ḥadīth that so-and-so has gathered and compiled!’. Those who held this ideology regarding knowledge and traversed this path have no share in it and that they were designated as being ignorant is more deserving than for them to be attributed to knowledge.

Some pretender to knowledge of Ḥadīth from the people of our time made a statement regarding authentication and weakening of chains; a statement that if we were to disregard relating it and disregard mentioning its evil, truly it would be a strong opinion and sound approach, since turning away from the renounced view and dropping any mention of its speaker are most appropriate for putting it to rest; and better suited so as to not draw the attention of the ignorant to it.

Other than for what we fear from the evil results and dangers of the ignorant in innovated matters and their hastening towards believing in the mistakes of those who err and the rejected statements according to the scholars, we think the unveiling of the evil of his statement and refutation of its speaker with the amount which is deserved from refutation is more beneficial upon the creation and more praiseworthy ultimately, if Allah wills.

The speaker who we introduced by way of speaking on the account of his opinion and the reports of the evil of his thinking, alleged that every chain for Ḥadīth which has in it ‘so-and-so narrated on authority of so-and-so’ [Mu’an’an], and he has knowledge that they were contemporaries, and the probability that the Ḥadīth which the narrator transmitted from whom he transmitted, had heard it from him, and spoke face to face with him; without our knowing [for certain] that the narrator heard from the one who transmitted to him, and without finding in any of the transmissions that they ever met and spoke face to face for the purpose of Ḥadīth- that the proof is not established according to him in any report which comes in this manner until he has knowledge of both transmitters meeting in their era one or more times and speaking face to face for the purpose of narration, or he wants a report in which their meeting is clarified, their having met once in their era, or more than that; then if he does not have knowledge of that and there does not come to him an authentic transmission reporting that this transmitter [who relates] on authority of his companion met him once AND heard from him something- [there] will be no [proof] of his relating the report from whom he transmitted on authority of.

The matter just as we described is a proof [transmitters being contemporaries and the possibility of having met existing] and the report according to him is unresolved until there arrives [the transmitters] hearing from him something from Ḥadīth, a little or a lot, in a transmission [clarifying the ‘hearing’] equal to what he narrated [with Mu’an’an].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৬. “আন আন" পদ্ধতিতে বর্ণিত হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণ করা জায়িয যদি এর রাবীদের পারস্পরিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তাদের কেউ তাদলীসকারী* না হয়।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, হে আবূ ইসহাক। আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। হাদীসের সনদসমূহ নষ্ট করার জন্যে এ এমন একটি মনগড়া অভিমত, যা এর আগে কেউ বলেনি। আর তাতে হাদীস বিশারদ ’আলিমদের কারো সমর্থনও নেই। কেননা অতীত ও বর্তমান কালের হাদীস বর্ণনাকারীদের ঐকমত্য হচ্ছে, কোন নির্ভরযোগ্য রাবী যখন কোন নির্ভরযোগ্য রাবী থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেন এবং তারা দু’জন একই যুগের লোক হওয়ার দরুন তাদের মধ্যে পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং কোন রিওয়ায়াত শুনার সম্ভাবনা থাকে; যদি কোন হাদীস বা খবর দ্বারা কখনো তাদের একত্রিত হওয়ার সঠিক কথা বা সামনাসামনি বসে আলোচনা করার কথা জানা নাও যায়, তবুও আলিমদের মতে এ জাতীয় হাদীস প্রামাণ্য বলে স্বীকৃত হবে এবং তা দলীল হিসেবে গৃহীত হবে। তবে হ্যা, যদি কোন স্থানে সুস্পষ্টভাবে এ প্রমাণ পাওয়া যায় যে, উক্ত রাবী যার থেকে বর্ণনা করে তার সাথে আদৌ তার সাক্ষাৎ হয়নি অথবা তার থেকে এ ব্যক্তি কোন কিছু শুনেওনি, তবে এ হাদীস দলীল হিসেবে গৃহীত হবে না। কিন্তু যেখানে ব্যাপারটি অস্পষ্ট এবং তাদের উভয়ের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তার সম্ভাবনা বিদ্যমান, সেখানে অধঃস্তন রাবী তার উধ্বতন রাবীর কাছে হাদীসটি শুনেছে বলে ধরে নেয়া হবে। এ নব মতবাদের আবিষ্কারক যার মতামতের কথা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি।

প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, অবশ্যই আপনি আলোচনায় এ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, একজন নির্ভরযোগ্য রাবীর হাদীস অন্য একজন নির্ভরযোগ্য রাবী থেকে বর্ণিত হলে তা দলীল হিসেবে স্বীকৃত এবং তদনুযায়ী আমল করা অনস্বীকার্য। পরে আপনি এ কথার পিছনে এ শর্তটি যোগ করে দিয়েছেন যে, "যতক্ষণ পর্যন্ত না জানা যাবে, তারা দু’জন একবার কিংবা একাধিকবার পরস্পর মিলিত হয়েছেন অথবা একজন থেকে কিছু শুনেছেন।" এখন আপনার কাছে জিজ্ঞাস্য, এ শর্তটির সমর্থন আপনি কি এমন কোন ব্যক্তি থেকে পেয়েছেন, যার কথা মেনে নেয়া অপরিহার্য? তা না হলে, আপনি নিজেই আপনার এ দাবীর সমর্থনে অন্য কোন প্রমাণ উপস্থিত করুন।

অতঃপর তিনি যদি দাবী করেন যে, তার এ শর্তের সমর্থনে উলামায়ে সালফের অভিমত বর্তমান রয়েছে, তবে তা পেশ করার জন্য তার কাছে দাবী করা যেতে পারে। কিন্তু তিনি বা আর কেউ এ আবিষ্কারের সমর্থনে এমন প্রমাণ উপস্থাপন করার কোন পথ পাবেন না। আর যদি তিনি অন্য কোন যুক্তি পেশ করতে চান, তবে বলা যেতে পারে যে, সে কী? আর যদি তিনি এ কথা বলেন যে, আমি অতীত ও বর্তমানে সব রাবীদের দেখেছি, তাঁদের একজন অপরজন থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু যেখানে একজন কখনও অন্যজনকে স্বচক্ষে দেখেননি এবং তাদের একজন অন্যজন থেকে কোন কিছু শ্রবণও করেননি সে ক্ষেত্রে, আমি দেখতে পেয়েছি তারা ঐ হাদীসের মধ্যে শ্রবণ না থাকা সত্ত্বেও এটিকে হাদীসে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করে বলে রায় দিয়েছেন। আর মুরসাল হাদীসসমূহের ব্যাপারে আমাদের মুহাদ্দিসীনের অভিমত হচ্ছে মুরসাল হাদীস দলীল হিসেবে পরিগণিত নয়। এজন্য আমি হাদীসের কোন বর্ণনাকারীর জন্য তার ঊর্ধ্বতন রাবীর কাছ থেকে শ্রবণ করার শর্তারোপ করেছি। যখন আমি প্রমাণ পেয়ে যাব যে, সে তার ঊর্ধ্বতন রাবীর কাছ থেকে হাদীসটি সরাসরি শুনেছে তখন আমি ধরে নেব যে, সে তার ঊর্ধ্বতন রাবীর সূত্রে যতগুলো হাদীস বর্ণনা করেছে তা সবই তার কাছ থেকে শুনেছে। অর্থাৎ তার কাছ থেকে যতগুলো হাদীস মু’আন আন হিসেবে বর্ণিত হবে, তার সবগুলোই আমার মতে মারফু হাদীসের অন্তর্ভুক্ত মাওকুফ হাদীস নামে অভিহিত করবে। ফলে তা মুরসাল হওয়ার সম্ভাবনায় আমার নিকট দলীল হিসেবে পরিগণিত হবে না।

তাকে বলা যায়, কোন হাদীসের মুরসাল হওয়ার সম্ভাবনাই যদি সে হাদীসটি যাঈফ বলে পরিগণিত হওয়ার বা তা দলীল হিসেবে গৃহীত না হওয়ার কারণ হয়, তাহলে আপনাদের মত অনুযায়ী মু’আন আন হাদীসের সনদে উল্লেখিত প্রথম রাবী থেকে শেষ রাবী পর্যন্ত প্রত্যেকে তার উর্ধ্বতন রাবীর কাছে সরাসরি শুনেছেন বলে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সে সনদটি প্রামাণ্য বলে গ্রহণ করতে পারেন না।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি হাদীস হিশাম ইবনু উরওয়াহ থেকে তার পিতার সূত্রে এবং তার পিতা থেকে আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়ে আমাদের নিকট পৌছেছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস হিশাম নিশ্চিতই তার পিতার কাছ থেকে শুনেছেন এবং তার পিতা আয়িশাহ (রাযিঃ) এর কাছে শুনেছেন। যেমন আমরা জানি যে, আয়িশাহ্ (রাযিঃ) নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে শুনেছেন।

এরূপ নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও যদি কোন বর্ণনায় হিশাম (রহঃ), "আমি আমার পিতার কাছে শুনেছি অথবা তিনি আমাকে খবর দিয়েছেন" না বলে যদি কেবল ’আন শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেন, যদি উরওয়াহ (রহঃ) এর কাছে শুনে হিশাম (রহঃ) কে খবর দিয়েছেন। হিশাম (রহঃ) সরাসরি তার পিতার কাছে এ হাদীস শুনেননি। কিন্তু হিশাম (রহঃ) কে খবর দিয়েছেন। হিশাম (রহঃ) সরাসরি তার পিতার কাছে এ হাদীস শুনেননি। কিন্তু হিশাম (রহঃ) এর হাদীসটি ’মুরলাল’ হিসেবে বর্ণনা করার ইচ্ছা করলেন। তিনি যার মাধ্যমে শুনেছেন তার নাম উল্লেখ করলেন না।

আর তাছাড়া হিশাম (রহঃ) ও তার পিতার মাঝখানে যেমন অন্য কোন রাবী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুরূপভাবে উরওয়াহ ও “আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর মাঝখানেও অন্য কোন রাবী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এভাবে হাদীসের এমন প্রত্যেক সনদে যেখানে একে অন্যের কাছ থেকে শুনার কথা উল্লেখ নেই সেখানে ঐ একই সম্ভাবনা রয়েছে।

আর যদিও এ কথা জানা রয়েছে যে, এক রাবী অপর রাবীর কাছে অনেক হাদীস শুনেছেন, তবে এও হতে পারে যে, তিনি তার কতকগুলো বর্ণনা অন্য রাবীর কাছে শুনে তা মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এগুলো তিনি যার কাছে শুনেছেন কখনো তার নাম উল্লেখ করেননি; আবার কখনো অস্পষ্টতা দূর করার জন্য নাম উল্লেখ করে ইরসাল বাদ দিয়েছেন।

অধঃস্তন ও ঊর্ধ্বতন রাবীদ্বয়ের মধ্যে বারবার দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া সত্ত্বেও তাদের বর্ণিত হাদীস মুরসাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আমরা যে অভিমত প্রকাশ করছি তা নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিস ও বিশেষজ্ঞ আলিমদের বর্ণনার মধ্যেও বিদ্যমান।

আর ইনশাআল্লাহ এ পর্যায়ে আমরা তাদের বর্ণিত হাদীস থেকে আমাদের বক্তব্যের সমর্থনে দলীল হিসেবে কিছু সংখ্যক হাদীস পেশ করছি।

অতঃপর এটা থেকে নিশ্চয়ই আইয়ুব সাখতিয়ানী ইবনু মুবারক, ওয়াকী’, ইবনু নুমায়র এবং আরো বহু রাবী হিশাম ইবনু উরওয়াহ থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ "আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তার ইহরাম বাধার সময় ও ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধি লাগিয়েছি যা আমার কাছে ছিল।"

অতঃপর হুবহু এ হাদীসটিই লায়স ইবনু সা’দ দাউদ আল আত তার ও হুমায়দ ইবনু আল আসওয়াদ উহায়ব ইবনু খালিদ ও আবূ উসামাহ্ (রহঃ) হিশামের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হিশাম বলেছেন, আমাকে উসমান ইবনু “উরওয়াহ অবহিত করেছেন, তিনি উরওয়াহ থেকে, তিনি ’আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

আর হিশাম তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি ’আয়িশাহ (রাযিঃ) এর থেকে। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিকাফে থাকাকালীন অবস্থায় আমার দিকে তার মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন এবং আমি তার মাথা আঁচড়ে দিতাম। অথচ আমি ছিলাম ঋতুবতী।

অপরদিকে হুবহু এ হাদীসটিই মালিক ইবনু আনাস সূত্রে যুহরী থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

আর যুহরী ও সালিহ ও ইবনু আবূ হাস্সান (রহঃ) আবূ হাসসান (রহঃ) আবূ সালামাহ থেকে তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সায়িম (রোযাদার) অবস্থায় চুমু খেতেন।

ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কালীর ’চুমু খাওয়া’ সম্পর্কিত এ হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন, আবূ সালামাহ আমাকে খবর দিয়েছেন, "উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তাকে খবর দিয়েছেন, উরওয়াহ তাকে খবর দিয়েছেন, ’আয়িশাহ (রাযিঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সায়িম অবস্থায় তাকে চুমু দিতেন।

ইবনু উয়াইনাহ ও অপরাপর রাবীগণ আমর ইবনু দীনার থেকে, তিনি জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ঘোড়ার মাংস খাইয়েছেন। তিনি আমাদের গৃহপালিত গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন।

অতঃপর ঠিক এ হাদীসটিই হাম্মাদ ইবনু যায়দ আমর থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী থেকে, তিনি জাবির (রাযিঃ) থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

এ জাতীয় সনদে বর্ণিত অসংখ্য হাদীস রয়েছে। আমরা যে কয়টি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছি বুদ্ধিমান, চিন্তাশীল ও বিবেকবান লোকেদের জন্য তাই যথেষ্ট।

ঊর্ধ্বতন রাবীর নিকট থেকে সরাসির ’শ্রুত না হওয়ার কারণে এতে ইরসাল এর সম্ভাবনা থাকে, হাদীস ত্রুটিপূর্ণ হওয়া সম্পর্কে পূর্ববর্তী ব্যক্তিদের পেশকৃত এ যুক্তি যদি সঙ্গত বলে মেনে নিতে হয় তবে যে হাদীসটিতে ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে শ্রুতির উল্লেখ আছে, সেটি ছাড়া অন্য সব রিওয়ায়াত বাতিল বলে গণ্য হয়, কেননা এ ক্ষেত্রেও অনুরূপ ইরসাল হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। কেননা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, হাদীসের রাবীদের বিভিন্ন অবস্থা হতে পারে। কখনো তারা স্বেচ্ছায় হাদীসকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেন এবং যার কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন তার নাম উল্লেখ করেন না। আবার কখনো তাদের পূর্ণ সনদ উল্লেখ করেন। ফলে তারা যদি নুযুল বা ইরসাল করতে চান, তখন তাই করেন। আবার যদি সুউদ বা মারফু করার ইচ্ছা করেন তখন তাই করেন।

পূর্বসূরী সালফে সালিহীন ইমামদের মধ্যে যারা হাদীসের প্রয়োগ ও ব্যবহার করতেন এবং সনদের বিশুদ্ধতা বা অবিশুদ্ধতা ও দুর্বলতা যাচাই করতেন, যেমন হাদীস বিশারদ আইয়ুব সাখতিয়ানী, ইবনু আওন, মালিক ইবনু আনাস, শুবাহ ইবনু হাজ্জাজ, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান, আবদুর রহমান ইবনু মাহদী এবং পরবর্তী স্তরের মুহাদ্দিসগণের কেউ সানাদে রাবীদের পরস্পরের ’শ্রবণস্থল’ সন্ধান করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। যেমন আমাদের পূর্বোক্ত আলোচক দাবী করেন।

আর অবশ্য যিনি মুদাল্লিস রাবী হিসেবে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ, কেবল তার রিওয়ায়াত গ্রহণ করার সময়ই তারা "সরাসরি শুনার" ব্যাপার অনুসন্ধান করে দেখতেন এবং তা পর্যালোচনা করতেন যাতে সনদ থেকে তাদলীস করার বদ-অভ্যাস দূর করে।

কিন্তু যিনি মুদাল্লিস রাবী নন তার বেলায়ও সাক্ষাতে শুনার ব্যাপারে উল্লেখিত মনীষীগণ অনুসন্ধান করেছেন বলে আমাদের জানা নেই; যেমন পূর্বোল্লিখিত আলোচক দাবী করে থাকেন।

অতঃপর এটা থেকে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, নিশ্চয়ই আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ আল আনসারী (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছেন। তা সত্ত্বেও তিনি (তার সমসাময়িক ও সমবয়সী) সাহাবা হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাযিঃ) এবং আবূ মাসউদ (উকবাহ ইবনু আমির) আল আনসারী (রাযিঃ) এতদুভয় থেকে একটি করে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং এর সনদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে সংযোজন করেছেন। অথচ তার কোথাও এ দু’জন সাহাবা থেকে সরাসরি শোনার কথা উল্লেখ নেই। তাছাড়া ’আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রাযিঃ) কখনো হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) এবং আবূ মাসউদ (রাযিঃ) এর সঙ্গে মুখোমুখী আলাপ করেছেন এবং তাদের কাছে হাদীস শুনেছেন বলেও উল্লেখ নেই। এমনকি, তিনি তাদের দু’জনকে চাক্ষুষ দেখেছেন বলেও সুনির্দিষ্ট বর্ণনা আমরা পাইনি।

আর আমরা হাদীস বিশারদগণের কারও থেকে শুনিনি। হাদীস বিশারদগণের মধ্যে যারা অতীত হয়েছেন এবং যাদেরকে আমরা পেয়েছি তাদের কেউই আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রাযিঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হুযাইফাহ (রাযিঃ) ও আবূ মাসউদ (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীস দুটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দোষারোপ করেননি বরং হাদীস বিশারদদের মধ্যে যাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে; তারা সকলে এ হাদীস দু’টো এবং এর অনুরূপ বর্ণনাগুলোকে সহীহ এবং সবল হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তারা এসব হাদীস প্রয়োগ করা এবং এগুলো দলীল হিসেবে গ্রহণ করা জায়িয বলেছেন। কিন্তু আমাদের পূর্বোক্ত সমালোচিত ব্যক্তির মতানুযায়ী এগুলো গৰ্হিত ও অকেজো হাদীসরূপে গণ্য হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সাক্ষাৎ’ এবং শ্রবণ প্রমাণিত না হবে।

মুহাদ্দিসীনে কিরামের নিকট যে সমস্ত হাদীস সহীহ ও নির্দোষ হিসেবে স্বীকৃত কিন্তু আমাদের সমালোচিত ব্যক্তির নিকট সে সব য’ঈফ (দুর্বল) হিসেবে চিহ্নিত, যদি আমরা সে সবের পরিপূর্ণ সংখ্যা হিসাব করার চেষ্টা করি তাহলে নিশ্চয়ই আমরা অক্ষম হয়ে পড়বো এবং সবগুলোর আলোচনা করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে নমুনা স্বরূপ এর কিছু আমরা এখানে উল্লেখ করতে চাই।

যেমন, আর এ আবূ উসমান আন নাহদী (আবদুর রহমান ইবনু মাল্লা, ১৩০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন) এবং আবূ রাফি’ সায়িগ (নুফাই মাদানী)। তারা উভয়ে জাহিলী যুগ পেয়েছেন (কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভে সমর্থ হননি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট সাহাবাদের সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাদের থেকে হাদীসও বর্ণনা করেছেন। এমনকি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ), ইবনু উমর (রাযিঃ) এবং তাদের মতো পরবর্তী যুগের আরো অনেকের সাহচর্য লাভ করেছেন। তারা উভয়ই উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর সূত্র বর্ণনা করেন বা সনদ প্রদান করেন। এতদসত্ত্বেও কোন নির্দিষ্ট বর্ণনার মাধ্যমে জানা যায়নি যে, তারা উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) কে দেখেছেন অথবা তার কাছে কিছু শুনেছেন।

আবূ আমর শাইবানী (সাদ ইবনু আইয়্যাশ) জাহিলী যুগও পেয়েছেন আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় তিনি ছিলেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি। তিনি এবং আবূ মামার আবদুল্লাহ ইবনু সাখবারাহ উভয়ে আবূ মাসউদ আনসার (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দুটি করে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আর আবূ উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পত্নী উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর সূত্রে তার একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ উবায়দ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন।

কায়স ইবনু আবূ হাযিম (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগ পেয়েছেন। আবূ মাসউদ আনসারী (রাযিঃ)এর সূত্রে তার তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আর আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা (রহঃ) উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে হাদীস লাভ করেছেন এবং আলী (রাযিঃ)-এর সাহচর্য পেয়েছেন। তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

বিরাঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দুটি হাদীস এবং আবূ বকরাহ নুফাই ইবনু হারিস কালাদাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ রিবাঈ (রহঃ) আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং বর্ণনা করেছেন।

নাফি ইবনু জুবায়র মুতাইম, আবূ শুরাইহ (খুওয়াইলিদ ইবনু আমর) আল খুযাঈ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

নুমান ইবনু আবূ আইয়্যাশ (রহঃ) আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আতা ইবনু ইয়াযীদ লাইলী তামীমুদ দারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

সুলাইমান ইবনু ইয়াসার, রাফি ইবনু খাদীজ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আর হুমায়দ ইবনু ’আবদুর রহমান হিম্‌ইয়ারী, আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনেকগুলো হাদীস বর্ণনা করেছেন। যে ক’জন তাবিঈর নাম আমরা এখানে উল্লেখ করলাম, তারা সাহাবাদের সূত্রেই হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা সাহাবাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে বলেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও এসব হাদীস এবং এর সনদ হাদীস বিশারদদের নিকট সহীহ বলে গৃহীত।

আর তাদের কেউ এর কোন একটি বর্ণনাকে য’ঈফ (দুর্বল) বলেছেন বলে অথবা বর্ণনাকারী সরাসরি শুনেছেন কি-না তা অনুসন্ধান করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

যখন তারা رواي ومروي عنه (রাবী ও মারবী আনহু যার থেকে বর্ণিত) একই যুগের লোক হওয়ার কারণে তাদের পরস্পরের মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল, আর তা অস্বাভাবিক নয়।

কিন্তু আমাদের সমালোচিত ব্যক্তি হাদীসকে দুর্বল ও হেয় করার জন্য যে কারণ দাড় করেছেন, তা বিবেচনারও যোগ্য নয়।

কেননা, এটা একটা নতুন মতবাদ এবং বানোয়াট কথা। পূর্বসূরী সালফে সালিহীনের কেউই এমন কথা বলেননি। পরবর্তীকালের বিশেষজ্ঞগণও এ মত প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং যা উল্লেখিত হলো তার চাইতে বেশি প্রতিবাদ করার প্রয়োজন নেই।

আর সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই জন্য, আমাদের নেতা মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাথীদের উপর আল্লাহ দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন।

باب صِحَّةِ الاِحْتِجَاجِ بِالْحَدِيثِ الْمُعَنْعَنِ

وَهَذَا الْقَوْلُ- يَرْحَمُكَ اللَّهُ- فِي الطَّعْنِ فِي الأَسَانِيدِ قَوْلٌ مُخْتَرَعٌ مُسْتَحْدَثٌ غَيْرُ مَسْبُوقٍ صَاحِبُهُ إِلَيْهِ وَلاَ مُسَاعِدَ لَهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْقَوْلَ الشَّائِعَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ بَيْنَ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالأَخْبَارِ وَالرِّوَايَاتِ قَدِيمًا وَحَدِيثًا أَنَّ كُلَّ رَجُلٍ ثِقَةٍ رَوَى عَنْ مِثْلِهِ حَدِيثًا وَجَائِزٌ مُمْكِنٌ لَهُ لِقَاؤُهُ وَالسَّمَاعُ مِنْهُ لِكَوْنِهِمَا جَمِيعًا كَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ وَإِنْ لَمْ يَأْتِ فِي خَبَرٍ قَطُّ أَنَّهُمَا اجْتَمَعَا وَلاَ تَشَافَهَا بِكَلاَمٍ فَالرِّوَايَةُ ثَابِتَةٌ وَالْحُجَّةُ بِهَا لاَزِمَةٌ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ هُنَاكَ دَلاَلَةٌ بَيِّنَةٌ أَنَّ هَذَا الرَّاوِيَ لَمْ يَلْقَ مَنْ رَوَى عَنْهُ أَوْ لَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ شَيْئًا فَأَمَّا وَالأَمْرُ مُبْهَمٌ عَلَى الإِمْكَانِ الَّذِي فَسَّرْنَا فَالرِّوَايَةُ عَلَى السَّمَاعِ أَبَدًا حَتَّى تَكُونَ الدَّلاَلَةُ الَّتِي بَيَّنَّا.

فَيُقَالُ لِمُخْتَرِعِ هَذَا الْقَوْلِ الَّذِي وَصَفْنَا مَقَالَتَهُ أَوْ لِلذَّابِّ عَنْهُ قَدْ أَعْطَيْتَ فِي جُمْلَةِ قَوْلِكَ أَنَّ خَبَرَ الْوَاحِدِ الثِّقَةِ عَنِ الْوَاحِدِ الثِّقَةِ حُجَّةٌ يَلْزَمُ بِهِ الْعَمَلُ ثُمَّ أَدْخَلْتَ فِيهِ الشَّرْطَ بَعْدُ فَقُلْتَ حَتَّى نَعْلَمَ أَنَّهُمَا قَدْ كَانَا الْتَقَيَا مَرَّةً فَصَاعِدًا أَوْ سَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا فَهَلْ تَجِدُ هَذَا الشَّرْطَ الَّذِي اشْتَرَطْتَهُ عَنْ أَحَدٍ يَلْزَمُ قَوْلُهُ وَإِلاَّ فَهَلُمَّ دَلِيلاً عَلَى مَا زَعَمْتَ.

فَإِنِ ادَّعَى قَوْلَ أَحَدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ بِمَا زَعَمَ مِنْ إِدْخَالِ الشَّرِيطَةِ فِي تَثْبِيتِ الْخَبَرِ طُولِبَ بِهِ وَلَنْ يَجِدَ هُوَ وَلاَ غَيْرُهُ إِلَى إِيجَادِهِ سَبِيلاً وَإِنْ هُوَ ادَّعَى فِيمَا زَعَمَ دَلِيلاً يَحْتَجُّ بِهِ قِيلَ لَهُ وَمَا ذَاكَ الدَّلِيلُ فَإِنْ قَالَ قُلْتُهُ لأَنِّي وَجَدْتُ رُوَاةَ الأَخْبَارِ قَدِيمًا وَحَدِيثًا يَرْوِي أَحَدُهُمْ عَنِ الآخَرِ الْحَدِيثَ وَلَمَّا يُعَايِنْهُ وَلاَ سَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا قَطُّ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمُ اسْتَجَازُوا رِوَايَةَ الْحَدِيثِ بَيْنَهُمْ هَكَذَا عَلَى الإِرْسَالِ مِنْ غَيْرِ سَمَاعٍ- وَالْمُرْسَلُ مِنَ الرِّوَايَاتِ فِي أَصْلِ قَوْلِنَا وَقَوْلِ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالأَخْبَارِ لَيْسَ بِحُجَّةٍ- احْتَجْتُ لِمَا وَصَفْتُ مِنَ الْعِلَّةِ إِلَى الْبَحْثِ عَنْ سَمَاعِ رَاوِي كُلِّ خَبَرٍ عَنْ رَاوِيهِ فَإِذَا أَنَا هَجَمْتُ عَلَى سَمَاعِهِ مِنْهُ لأَدْنَى شيء ثَبَتَ عِنْدِي بِذَلِكَ جَمِيعُ مَا يَرْوِي عَنْهُ بَعْدُ فَإِنْ عَزَبَ عَنِّي مَعْرِفَةُ ذَلِكَ أَوْقَفْتُ الْخَبَرَ وَلَمْ يَكُنْ عِنْدِي مَوْضِعَ حُجَّةٍ لإِمْكَانِ الإِرْسَالِ فِيهِ.

فَيُقَالُ لَهُ فَإِنْ كَانَتِ الْعِلَّةُ فِي تَضْعِيفِكَ الْخَبَرَ وَتَرْكِكَ الاِحْتِجَاجَ بِهِ إِمْكَانَ الإِرْسَالِ فِيهِ لَزِمَكَ أَنْ لاَ تُثْبِتَ إِسْنَادًا مُعَنْعَنًا حَتَّى تَرَى فِيهِ السَّمَاعَ مِنْ أَوَّلِهِ إِلَى آخِرِهِ?

وَذَلِكَ أَنَّ الْحَدِيثَ الْوَارِدَ عَلَيْنَا بِإِسْنَادِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ فَبِيَقِينٍ نَعْلَمُ أَنَّ هِشَامًا قَدْ سَمِعَ مِنْ أَبِيهِ وَأَنَّ أَبَاهُ قَدْ سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ كَمَا نَعْلَمُ أَنَّ عَائِشَةَ قَدْ سَمِعَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ يَجُوزُ إِذَا لَمْ يَقُلْ هِشَامٌ فِي رِوَايَةٍ يَرْوِيهَا عَنْ أَبِيهِ سَمِعْتُ أَوْ أَخْبَرَنِي أَنْ يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِيهِ فِي تِلْكَ الرِّوَايَةِ إِنْسَانٌ آخَرُ أَخْبَرَهُ بِهَا عَنْ أَبِيهِ وَلَمْ يَسْمَعْهَا هُوَ مِنْ أَبِيهِ لَمَّا أَحَبَّ أَنْ يَرْوِيَهَا مُرْسَلاً وَلاَ يُسْنِدَهَا إِلَى مَنْ سَمِعَهَا مِنْهُ.

وَكَمَا يُمْكِنُ ذَلِكَ فِي هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ فَهُوَ أَيْضًا مُمْكِنٌ فِي أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ.
وَكَذَلِكَ كُلُّ إِسْنَادٍ لِحَدِيثٍ لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ سَمَاعِ بَعْضِهِمْ مِنْ بَعْضٍ.

وَإِنْ كَانَ قَدْ عُرِفَ فِي الْجُمْلَةِ أَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ قَدْ سَمِعَ مِنْ صَاحِبِهِ سَمَاعًا كَثِيرًا فَجَائِزٌ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ أَنْ يَنْزِلَ فِي بَعْضِ الرِّوَايَةِ فَيَسْمَعَ مِنْ غَيْرِهِ عَنْهُ بَعْضَ أَحَادِيثِهِ ثُمَّ يُرْسِلَهُ عَنْهُ أَحْيَانًا وَلاَ يُسَمِّيَ مَنْ سَمِعَ مِنْهُ وَيَنْشَطَ أَحْيَانًا فَيُسَمِّيَ الرَّجُلَ الَّذِي حَمَلَ عَنْهُ الْحَدِيثَ وَيَتْرُكَ الإِرْسَالَ.
وَمَا قُلْنَا مِنْ هَذَا مَوْجُودٌ فِي الْحَدِيثِ مُسْتَفِيضٌ مِنْ فِعْلِ ثِقَاتِ الْمُحَدِّثِينَ وَأَئِمَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ.
وَسَنَذْكُرُ مِنْ رِوَايَاتِهِمْ عَلَى الْجِهَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا عَدَدًا يُسْتَدَلُّ بِهَا عَلَى أَكْثَرَ مِنْهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيَّ وَابْنَ الْمُبَارَكِ وَوَكِيعًا وَابْنَ نُمَيْرٍ وَجَمَاعَةً غَيْرَهُمْ رَوَوْا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحِلِّهِ وَلِحُرْمِهِ بِأَطْيَبِ مَا أَجِدُ.

فَرَوَى هَذِهِ الرِّوَايَةَ بِعَيْنِهَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَدَاوُدُ الْعَطَّارُ وَحُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ وَوُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ هِشَامٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَى هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَيَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ.

فَرَوَاهَا بِعَيْنِهَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَى الزُّهْرِيُّ وَصَالِحُ بْنُ أَبِي حَسَّانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ.

فَقَالَ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ فِي هَذَا الْخَبَرِ فِي الْقُبْلَةِ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِمٌ. وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ أَطْعَمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لُحُومَ الْخَيْلِ وَنَهَانَا عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ.

فَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَهَذَا النَّحْوُ فِي الرِّوَايَاتِ كَثِيرٌ يَكْثُرُ تَعْدَادُهُ وَفِيمَا ذَكَرْنَا مِنْهَا كِفَايَةٌ لِذَوِي الْفَهْمِ.

فَإِذَا كَانَتِ الْعِلَّةُ عِنْدَ مَنْ وَصَفْنَا قَوْلَهُ مِنْ قَبْلُ فِي فَسَادِ الْحَدِيثِ وَتَوْهِينِهِ إِذَا لَمْ يُعْلَمْ أَنَّ الرَّاوِيَ قَدْ سَمِعَ مِمَّنْ رَوَى عَنْهُ شَيْئًا إِمْكَانَ الإِرْسَالِ فِيهِ لَزِمَهُ تَرْكُ الاِحْتِجَاجِ فِي قِيَادِ قَوْلِهِ بِرِوَايَةِ مَنْ يُعْلَمُ أَنَّهُ قَدْ سَمِعَ مِمَّنْ رَوَى عَنْهُ إِلاَّ فِي نَفْسِ الْخَبَرِ الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ السَّمَاعِ لِمَا بَيَّنَّا مِنْ قَبْلُ عَنِ الأَئِمَّةِ الَّذِينَ نَقَلُوا الأَخْبَارَ أَنَّهُمْ كَانَتْ لَهُمْ تَارَاتٌ يُرْسِلُونَ فِيهَا الْحَدِيثَ إِرْسَالاً وَلاَ يَذْكُرُونَ مَنْ سَمِعُوهُ مِنْهُ وَتَارَاتٌ يَنْشَطُونَ فِيهَا فَيُسْنِدُونَ الْخَبَرَ عَلَى هَيْئَةِ مَا سَمِعُوا فَيُخْبِرُونَ بِالنُّزُولِ فِيهِ إِنْ نَزَلُوا وَبِالصُّعُودِ إِنْ صَعِدُوا كَمَا شَرَحْنَا ذَلِكَ عَنْهُمْ.

وَمَا عَلِمْنَا أَحَدًا مِنْ أَئِمَّةِ السَّلَفِ مِمَّنْ يَسْتَعْمِلُ الأَخْبَارَ وَيَتَفَقَّدُ صِحَّةَ الأَسَانِيدِ وَسَقَمَهَا مِثْلَ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ وَابْنِ عَوْنٍ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ فَتَّشُوا عَنْ مَوْضِعِ السَّمَاعِ فِي الأَسَانِيدِ كَمَا ادَّعَاهُ الَّذِي وَصَفْنَا قَوْلَهُ مِنْ قَبْلُ.

وَإِنَّمَا كَانَ تَفَقُّدُ مَنْ تَفَقَّدَ مِنْهُمْ سَمَاعَ رُوَاةِ الْحَدِيثِ مِمَّنْ رَوَى عَنْهُمْ إِذَا كَانَ الرَّاوِي مِمَّنْ عُرِفَ بِالتَّدْلِيسِ فِي الْحَدِيثِ وَشُهِرَ بِهِ فَحِينَئِذٍ يَبْحَثُونَ عَنْ سَمَاعِهِ فِي رِوَايَتِهِ وَيَتَفَقَّدُونَ ذَلِكَ مِنْهُ كَيْ تَنْزَاحَ عَنْهُمْ عِلَّةُ التَّدْلِيسِ.

فَمَنِ ابْتَغَى ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ مُدَلِّسٍ عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي زَعَمَ مَنْ حَكَيْنَا قَوْلَهُ فَمَا سَمِعْنَا ذَلِكَ عَنْ أَحَدٍ مِمَّنْ سَمَّيْنَا وَلَمْ نُسَمِّ مِنَ الأَئِمَّةِ.
فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الأَنْصَارِيَّ وَقَدْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَوَى عَنْ حُذَيْفَةَ وَعَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ وَعَنْ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَدِيثًا يُسْنِدُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَيْسَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْهُمَا ذِكْرُ السَّمَاعِ مِنْهُمَا وَلاَ حَفِظْنَا فِي شيء مِنَ الرِّوَايَاتِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ شَافَهَ حُذَيْفَةَ وَأَبَا مَسْعُودٍ بِحَدِيثٍ قَطُّ وَلاَ وَجَدْنَا ذِكْرَ رُؤْيَتِهِ إِيَّاهُمَا فِي رِوَايَةٍ بِعَيْنِهَا.

وَلَمْ نَسْمَعْ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِمَّنْ مَضَى وَلاَ مِمَّنْ أَدْرَكْنَا أَنَّهُ طَعَنَ فِي هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ اللَّذَيْنِ رَوَاهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ عَنْ حُذَيْفَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ بِضَعْفٍ فِيهِمَا بَلْ هُمَا وَمَا أَشْبَهَهُمَا عِنْدَ مَنْ لاَقَيْنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْحَدِيثِ مِنْ صِحَاحِ الأَسَانِيدِ وَقَوِيِّهَا يَرَوْنَ اسْتِعْمَالَ مَا نُقِلَ بِهَا وَالاِحْتِجَاجَ بِمَا أَتَتْ مِنْ سُنَنٍ وَآثَارٍ

وَهِيَ فِي زَعْمِ مَنْ حَكَيْنَا قَوْلَهُ مِنْ قَبْلُ وَاهِيَةٌ مُهْمَلَةٌ حَتَّى يُصِيبَ سَمَاعَ الرَّاوِي عَمَّنْ رَوَى وَلَوْ ذَهَبْنَا نُعَدِّدُ الأَخْبَارَ الصِّحَاحَ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِمَّنْ يَهِنُ بِزَعْمِ هَذَا الْقَائِلِ وَنُحْصِيهَا لَعَجَزْنَا عَنْ تَقَصِّي ذِكْرِهَا وَإِحْصَائِهَا كُلِّهَا وَلَكِنَّا أَحْبَبْنَا أَنْ نَنْصِبَ مِنْهَا عَدَدًا يَكُونُ سِمَةً لِمَا سَكَتْنَا عَنْهُ مِنْهَا.

وَهَذَا أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ وَأَبُو رَافِعٍ الصَّائِغُ وَهُمَا مِمَّنْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ وَصَحِبَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَدْرِيِّينَ هَلُمَّ جَرًّا وَنَقَلاَ عَنْهُمُ الأَخْبَارَ حَتَّى نَزَلاَ إِلَى مِثْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَذَوِيهِمَا قَدْ أَسْنَدَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا وَلَمْ نَسْمَعْ فِي رِوَايَةٍ بِعَيْنِهَا أَنَّهُمَا عَايَنَا أُبَيًّا أَوْ سَمِعَا مِنْهُ شَيْئًا.

وَأَسْنَدَ أَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ وَهُوَ مِمَّنْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ وَكَانَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلاً وَأَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَخْبَرَةَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَبَرَيْنِ وَأَسْنَدَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ وُلِدَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَأَسْنَدَ قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ وَقَدْ أَدْرَكَ زَمَنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَةَ أَخْبَارٍ.
وَأَسْنَدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى وَقَدْ حَفِظَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَصَحِبَ عَلِيًّا عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا.
وَأَسْنَدَ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثَيْنِ وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا وَقَدْ سَمِعَ رِبْعِيٌّ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَرَوَى عَنْهُ.
وَأَسْنَدَ نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا.
وَأَسْنَدَ النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ثَلاَثَةَ أَحَادِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَأَسْنَدَ عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا.
وَأَسْنَدَ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا.
وَأَسْنَدَ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ.

فَكُلُّ هَؤُلاَءِ التَّابِعِينَ الَّذِينَ نَصَبْنَا رِوَايَتَهُمْ عَنِ الصَّحَابَةِ الَّذِينَ سَمَّيْنَاهُمْ لَمْ يُحْفَظْ عَنْهُمْ سَمَاعٌ عَلِمْنَاهُ مِنْهُمْ فِي رِوَايَةٍ بِعَيْنِهَا وَلاَ أَنَّهُمْ لَقُوهُمْ فِي نَفْسِ خَبَرٍ بِعَيْنِهِ.
وَهِيَ أَسَانِيدُ عِنْدَ ذَوِي الْمَعْرِفَةِ بِالأَخْبَارِ وَالرِّوَايَاتِ مِنْ صِحَاحِ الأَسَانِيدِ لاَ نَعْلَمُهُمْ وَهَّنُوا مِنْهَا شَيْئًا قَطُّ وَلاَ الْتَمَسُوا فِيهَا سَمَاعَ بَعْضِهِمْ مِنْ بَعْضٍ.
إِذِ السَّمَاعُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ مُمْكِنٌ مِنْ صَاحِبِهِ غَيْرُ مُسْتَنْكَرٍ لِكَوْنِهِمْ جَمِيعًا كَانُوا فِي الْعَصْرِ الَّذِي اتَّفَقُوا فِيهِ.

وَكَانَ هَذَا الْقَوْلُ الَّذِي أَحْدَثَهُ الْقَائِلُ الَّذِي حَكَيْنَاهُ فِي تَوْهِينِ الْحَدِيثِ بِالْعِلَّةِ الَّتِي وَصَفَ أَقَلَّ مِنْ أَنْ يُعَرَّجَ عَلَيْهِ وَيُثَارَ ذِكْرُهُ.
إِذْ كَانَ قَوْلاً مُحْدَثًا وَكَلاَمًا خَلْفًا لَمْ يَقُلْهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ سَلَفَ وَيَسْتَنْكِرُهُ مَنْ بَعْدَهُمْ خَلَفَ فَلاَ حَاجَةَ بِنَا فِي رَدِّهِ بِأَكْثَرَ مِمَّا شَرَحْنَا.
إِذْ كَانَ قَدْرُ الْمَقَالَةِ وَقَائِلِهَا الْقَدْرَ الَّذِي وَصَفْنَاهُ. وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى دَفْعِ مَا خَالَفَ مَذْهَبَ الْعُلَمَاءِ وَعَلَيْهِ التُّكْلاَنُ.

وهذا القول- يرحمك الله- في الطعن في الاسانيد قول مخترع مستحدث غير مسبوق صاحبه اليه ولا مساعد له من اهل العلم عليه وذلك ان القول الشاىع المتفق عليه بين اهل العلم بالاخبار والروايات قديما وحديثا ان كل رجل ثقة روى عن مثله حديثا وجاىز ممكن له لقاوه والسماع منه لكونهما جميعا كانا في عصر واحد وان لم يات في خبر قط انهما اجتمعا ولا تشافها بكلام فالرواية ثابتة والحجة بها لازمة الا ان يكون هناك دلالة بينة ان هذا الراوي لم يلق من روى عنه او لم يسمع منه شيىا فاما والامر مبهم على الامكان الذي فسرنا فالرواية على السماع ابدا حتى تكون الدلالة التي بينا. فيقال لمخترع هذا القول الذي وصفنا مقالته او للذاب عنه قد اعطيت في جملة قولك ان خبر الواحد الثقة عن الواحد الثقة حجة يلزم به العمل ثم ادخلت فيه الشرط بعد فقلت حتى نعلم انهما قد كانا التقيا مرة فصاعدا او سمع منه شيىا فهل تجد هذا الشرط الذي اشترطته عن احد يلزم قوله والا فهلم دليلا على ما زعمت. فان ادعى قول احد من علماء السلف بما زعم من ادخال الشريطة في تثبيت الخبر طولب به ولن يجد هو ولا غيره الى ايجاده سبيلا وان هو ادعى فيما زعم دليلا يحتج به قيل له وما ذاك الدليل فان قال قلته لاني وجدت رواة الاخبار قديما وحديثا يروي احدهم عن الاخر الحديث ولما يعاينه ولا سمع منه شيىا قط فلما رايتهم استجازوا رواية الحديث بينهم هكذا على الارسال من غير سماع- والمرسل من الروايات في اصل قولنا وقول اهل العلم بالاخبار ليس بحجة- احتجت لما وصفت من العلة الى البحث عن سماع راوي كل خبر عن راويه فاذا انا هجمت على سماعه منه لادنى شيء ثبت عندي بذلك جميع ما يروي عنه بعد فان عزب عني معرفة ذلك اوقفت الخبر ولم يكن عندي موضع حجة لامكان الارسال فيه. فيقال له فان كانت العلة في تضعيفك الخبر وتركك الاحتجاج به امكان الارسال فيه لزمك ان لا تثبت اسنادا معنعنا حتى ترى فيه السماع من اوله الى اخره? وذلك ان الحديث الوارد علينا باسناد هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة فبيقين نعلم ان هشاما قد سمع من ابيه وان اباه قد سمع من عاىشة كما نعلم ان عاىشة قد سمعت من النبي صلى الله عليه وسلم وقد يجوز اذا لم يقل هشام في رواية يرويها عن ابيه سمعت او اخبرني ان يكون بينه وبين ابيه في تلك الرواية انسان اخر اخبره بها عن ابيه ولم يسمعها هو من ابيه لما احب ان يرويها مرسلا ولا يسندها الى من سمعها منه. وكما يمكن ذلك في هشام عن ابيه فهو ايضا ممكن في ابيه عن عاىشة. وكذلك كل اسناد لحديث ليس فيه ذكر سماع بعضهم من بعض. وان كان قد عرف في الجملة ان كل واحد منهم قد سمع من صاحبه سماعا كثيرا فجاىز لكل واحد منهم ان ينزل في بعض الرواية فيسمع من غيره عنه بعض احاديثه ثم يرسله عنه احيانا ولا يسمي من سمع منه وينشط احيانا فيسمي الرجل الذي حمل عنه الحديث ويترك الارسال. وما قلنا من هذا موجود في الحديث مستفيض من فعل ثقات المحدثين واىمة اهل العلم. وسنذكر من رواياتهم على الجهة التي ذكرنا عددا يستدل بها على اكثر منها ان شاء الله تعالى. فمن ذلك ان ايوب السختياني وابن المبارك ووكيعا وابن نمير وجماعة غيرهم رووا عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة رضي الله عنها قالت كنت اطيب رسول الله صلى الله عليه وسلم لحله ولحرمه باطيب ما اجد. فروى هذه الرواية بعينها الليث بن سعد وداود العطار وحميد بن الاسود ووهيب بن خالد وابو اسامة عن هشام قال: اخبرني عثمان بن عروة عن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم. وروى هشام عن ابيه عن عاىشة قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا اعتكف يدني الي راسه فارجله وانا حاىض. فرواها بعينها مالك بن انس عن الزهري عن عروة عن عمرة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم. وروى الزهري وصالح بن ابي حسان عن ابي سلمة عن عاىشة كان النبي صلى الله عليه وسلم يقبل وهو صاىم. فقال يحيى بن ابي كثير في هذا الخبر في القبلة اخبرني ابو سلمة بن عبد الرحمن ان عمر بن عبد العزيز اخبره ان عروة اخبره ان عاىشة اخبرته ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يقبلها وهو صاىم. وروى ابن عيينة وغيره عن عمرو بن دينار عن جابر قال اطعمنا رسول الله صلى الله عليه وسلم لحوم الخيل ونهانا عن لحوم الحمر. فرواه حماد بن زيد عن عمرو عن محمد بن علي عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم. وهذا النحو في الروايات كثير يكثر تعداده وفيما ذكرنا منها كفاية لذوي الفهم. فاذا كانت العلة عند من وصفنا قوله من قبل في فساد الحديث وتوهينه اذا لم يعلم ان الراوي قد سمع ممن روى عنه شيىا امكان الارسال فيه لزمه ترك الاحتجاج في قياد قوله برواية من يعلم انه قد سمع ممن روى عنه الا في نفس الخبر الذي فيه ذكر السماع لما بينا من قبل عن الاىمة الذين نقلوا الاخبار انهم كانت لهم تارات يرسلون فيها الحديث ارسالا ولا يذكرون من سمعوه منه وتارات ينشطون فيها فيسندون الخبر على هيىة ما سمعوا فيخبرون بالنزول فيه ان نزلوا وبالصعود ان صعدوا كما شرحنا ذلك عنهم. وما علمنا احدا من اىمة السلف ممن يستعمل الاخبار ويتفقد صحة الاسانيد وسقمها مثل ايوب السختياني وابن عون ومالك بن انس وشعبة بن الحجاج ويحيى بن سعيد القطان وعبد الرحمن بن مهدي ومن بعدهم من اهل الحديث فتشوا عن موضع السماع في الاسانيد كما ادعاه الذي وصفنا قوله من قبل. وانما كان تفقد من تفقد منهم سماع رواة الحديث ممن روى عنهم اذا كان الراوي ممن عرف بالتدليس في الحديث وشهر به فحينىذ يبحثون عن سماعه في روايته ويتفقدون ذلك منه كي تنزاح عنهم علة التدليس. فمن ابتغى ذلك من غير مدلس على الوجه الذي زعم من حكينا قوله فما سمعنا ذلك عن احد ممن سمينا ولم نسم من الاىمة. فمن ذلك ان عبد الله بن يزيد الانصاري وقد راى النبي صلى الله عليه وسلم قد روى عن حذيفة وعن ابي مسعود الانصاري وعن كل واحد منهما حديثا يسنده الى النبي صلى الله عليه وسلم وليس في روايته عنهما ذكر السماع منهما ولا حفظنا في شيء من الروايات ان عبد الله بن يزيد شافه حذيفة وابا مسعود بحديث قط ولا وجدنا ذكر رويته اياهما في رواية بعينها. ولم نسمع عن احد من اهل العلم ممن مضى ولا ممن ادركنا انه طعن في هذين الخبرين اللذين رواهما عبد الله بن يزيد عن حذيفة وابي مسعود بضعف فيهما بل هما وما اشبههما عند من لاقينا من اهل العلم بالحديث من صحاح الاسانيد وقويها يرون استعمال ما نقل بها والاحتجاج بما اتت من سنن واثار وهي في زعم من حكينا قوله من قبل واهية مهملة حتى يصيب سماع الراوي عمن روى ولو ذهبنا نعدد الاخبار الصحاح عند اهل العلم ممن يهن بزعم هذا القاىل ونحصيها لعجزنا عن تقصي ذكرها واحصاىها كلها ولكنا احببنا ان ننصب منها عددا يكون سمة لما سكتنا عنه منها. وهذا ابو عثمان النهدي وابو رافع الصاىغ وهما ممن ادرك الجاهلية وصحبا اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم من البدريين هلم جرا ونقلا عنهم الاخبار حتى نزلا الى مثل ابي هريرة وابن عمر وذويهما قد اسند كل واحد منهما عن ابي بن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا ولم نسمع في رواية بعينها انهما عاينا ابيا او سمعا منه شيىا. واسند ابو عمرو الشيباني وهو ممن ادرك الجاهلية وكان في زمن النبي صلى الله عليه وسلم رجلا وابو معمر عبد الله بن سخبرة كل واحد منهما عن ابي مسعود الانصاري عن النبي صلى الله عليه وسلم خبرين واسند عبيد بن عمير عن ام سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا وعبيد بن عمير ولد في زمن النبي صلى الله عليه وسلم. واسند قيس بن ابي حازم وقد ادرك زمن النبي صلى الله عليه وسلم عن ابي مسعود الانصاري عن النبي صلى الله عليه وسلم ثلاثة اخبار. واسند عبد الرحمن بن ابي ليلى وقد حفظ عن عمر بن الخطاب وصحب عليا عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا. واسند ربعي بن حراش عن عمران بن حصين عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثين وعن ابي بكرة عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا وقد سمع ربعي من علي بن ابي طالب وروى عنه. واسند نافع بن جبير بن مطعم عن ابي شريح الخزاعي عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا. واسند النعمان بن ابي عياش عن ابي سعيد الخدري ثلاثة احاديث عن النبي صلى الله عليه وسلم. واسند عطاء بن يزيد الليثي عن تميم الداري عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا. واسند سليمان بن يسار عن رافع بن خديج عن النبي صلى الله عليه وسلم حديثا. واسند حميد بن عبد الرحمن الحميري عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم احاديث. فكل هولاء التابعين الذين نصبنا روايتهم عن الصحابة الذين سميناهم لم يحفظ عنهم سماع علمناه منهم في رواية بعينها ولا انهم لقوهم في نفس خبر بعينه. وهي اسانيد عند ذوي المعرفة بالاخبار والروايات من صحاح الاسانيد لا نعلمهم وهنوا منها شيىا قط ولا التمسوا فيها سماع بعضهم من بعض. اذ السماع لكل واحد منهم ممكن من صاحبه غير مستنكر لكونهم جميعا كانوا في العصر الذي اتفقوا فيه. وكان هذا القول الذي احدثه القاىل الذي حكيناه في توهين الحديث بالعلة التي وصف اقل من ان يعرج عليه ويثار ذكره. اذ كان قولا محدثا وكلاما خلفا لم يقله احد من اهل العلم سلف ويستنكره من بعدهم خلف فلا حاجة بنا في رده باكثر مما شرحنا. اذ كان قدر المقالة وقاىلها القدر الذي وصفناه. والله المستعان على دفع ما خالف مذهب العلماء وعليه التكلان.

Chapter: The Soundness of Relying on Ḥadīth Related with the Term Meaning ‘On Authority of’


This statement, may Allah have mercy on you, of accusation regarding the [Mu’an’an] chains is an invented one, produced without precedent, and there is no one who supports him from Ahl ul-Ilm in that. The widespread opinion, which is agreed upon between Ahl ul-Ilm, with reports and transmissions early and recent, is that each trustworthy narrator who transmits a Ḥadīth from his equal, with the feasible probability for [the transmitter] to meet [who he transmits from] and hear from him due to their being together in the same era, even if there never came a report that they met or spoke face to face, then the transmission is affirmed, and [using it as a] proof is appropriate, unless there is clear evidence that this transmitter did not meet who he transmits from or that he did not hear anything from him.

Then as for when the matter is ambiguous regarding the possibility which we explained previously, then the transmission is always [accepted ]as coming by way of ‘hearing’ until there is evidence [otherwise] which we pointed out. Thus it is said to the inventor of this opinion whose speaker is as we have described, or to his defender- you have provided in the sum total of your statement that the report of the single trustworthy narrator on authority of the single trustworthy narrator is a proof which is required to act upon, then you introduced into it the condition afterwards, and you said ‘until we know that [the transmitter] had met once or more and heard something from [the one he transmits from]’. So have you found this condition which you stipulated from anyone [of Ahl ul-Ilm] who also required it? And if not then bring me evidence of what you allege. Thus if he claims there is a statement from one of the scholars of the Salaf for what he alleged in introducing the condition in affirming reports, [then] confirm it; [however] neither he, nor others, will ever find a way to produce it, even though he claims about what he alleges there is evidence to rely on. It is said ‘What is that evidence?’

Thus if he said: ‘I said it since I found transmitters of reports, early and recent, transmitting Ḥadīth from each other, and [the transmitter] did not ever see or hear anything from [from the one he transmits from]. Thus when I saw them permitting the transmission of Ḥadīth between them like this, Irsāl, without hearing [between transmitters], while the Mursal from the transmissions, in the foundation of our view and that of Ahl ul-Ilm in reports, is that it is not a proof; on account of what I described from the weakness, I rely on researching the hearing of the transmitter in each report on authority of [who he transmits from]. Thus when I unexpectedly come upon his hearing from [the one he transmits from] due to the low amount of a thing [i.e. transmissions on his authority], all of what he transmits on his authority becomes fixed to me thereafter. And if knowledge of [his actually hearing from whom he transmits from] is too distant from me, I withhold from the report and according to me it does not have a position of proof due to the possibility of Irsāl in it.’

Thus it is said to him: Then if the reason for your weakening the [Mu’an’an] report and your abandoning relying on it is due to the possibility of Irsāl in it, it obligates you to not affirm a chain of Mu’an’an until you see it has hearing [Simā’] from its first [transmitter] to its last.

And according to us it is possible that the Ḥadīth [you described] which has come to us on authority of Hishām bin Urwah, on authority of his father, on authority of Ā’ishah- we know with certainty that Hishām heard from his father and that his father heard from Ā’ishah, just as we know that Ā’ishah heard from the Prophet, peace and blessings upon him- it is possible that when Hishām does not say in the transmission that he transmits on authority of his father the words ‘I heard’ or ‘He informed me’, that there could be between him and his father another person who informed [Hishām] of it on authority of his father in this transmission, and he did not hear it from his father when he preferred transmitting it Mursal, and it is not attributed to who he really heard it from.

Just as that is possible from Hishām, on authority of his father, then it is also possible for his father on authority of Ā’ishah, and like that all chains for Ḥadīth in which the ‘hearing’ [of each transmitter] from the other is not mentioned. And if it was known in some transmissions that every single one of them did hear from his companion a great deal, then it is still possible for each one of them to drop in some of the transmissions, such that he hears from someone else some of his Ḥadīth, then expedites on authority [of his most famous companion] occasionally, while not designating who he [actually] heard from. And at times he is afraid and designates who he [actually] related the Ḥadīth from and abandons Irsāl. What we mention from this is found in Ḥadīth, from the actions of trustworthy Muhaddithīn and A’immah of Ahl ul-Ilm; and we will mention several of their transmissions upon the pathway which we mentioned demonstrating through them the great amount of [the above], if Allah, exalted is He, wills. Thus from that [are the following]:

That Ayyūb as-Sakhtiyānī, Ibn al-Mubārak, Wakī’, Ibn Numayr, and a group of others transmitted on authority of Hishām bin Urwah, on authority of his father, on authority of Ā’ishah, may Allah be pleased with her, she said: ‘I applied scent to the Messenger of Allah, peace and blessings upon him, at the time of entering and leaving Ihrām, with the most pleasant [scent] I found’.

Thus Layth bin Sa’d, Dāwud al-Attār, Humayd bin al-Aswad, Wuhayb bin Khālid, and Abū Usāmah transmitted this transmission on authority of none other than Hishām, he said, Uthmān bin Urwah informed me, on authority of Urwah, on authority of Ā’ishah, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him; and Hishām transmitted, on authority of his father, on authority of Ā’ishah, she said: ‘The Prophet, peace and blessings upon him, when he was in ‘Itikaf lowered his head towards me, then I combed [his hair] and I was menstruating’. Then Mālik bin Anas transmitted the exact narration, on authority of az-Zuhrī, on authority of Urwah, on authority of Amrah , on authority of Ā’ishah, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

Az-Zuhrī and Sālih bin Abī Hassān transmitted on authority of Abī Salamah, on authority of Ā’ishah: ‘The Prophet, peace and blessings upon him, would kiss while fasting’.

Thus Yahyā bin Abī Kathīr said about this report regarding ‘kissing’, Abū Salamah bin Abd ar-Rahman informed me that Umar bin Abd al-Azīz informed him that Urwah informed him that Ā’ishah informed him that: ‘The Prophet, peace and blessings upon him, would kiss her while fasting’.

Ibn Uyaynah and others transmitted on authority of Amr bin Dīnār, on authority of Jābir, he said ‘The Messenger of Allah, peace and blessings upon him, [allowed us] to eat horse meat and prohibited us from donkey meat’. And Hammād bin Zayd transmitted it, on authority of Amr, on authority of Muhammad bin Alī, on authority of Jābir, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him. And this manner of transmitting narrations is abundant, its enumeration being much, and what we mentioned is sufficient for those who possess understanding. Thus when the reason [for weakening these types of transmissions]- according to the one whose opinion we described before in terms of the invalidation of Ḥadīth and weakening them when it is not known that the transmitter heard anything through the one he transmits from- is that Irsāl is possible in them, his opinion leads to his being obligated to abandon relying on transmissions of those who are known to have heard through who they transmit from unless there is mention of ‘hearing’ in the report itself, due to what we clarified before of the A’immah who related reports that at times they would expedite the Ḥadīth as Irsāl, and not mention who they heard it from, and at times they would be so inclined, so they would provide the chain for the report in the form that they heard it- they would report [a narration] through ‘descent’ [from a peer or someone below them in age or status] if it was descended and with ‘elevation’ [with less narrators between them and the Prophet, peace and blessings upon him] if it was elevated, just as we explained about them. We are not aware of anyone from the A’immah of the Salaf who when he sought to act upon reports and investigate the soundness or weakness of the chains of transmission like [those of] Ayyūb as-Sakhtiyānī, Ibn Awn, Mālik bin Anas, Shu’bah bin al-Hajjāj, Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, Abd ar-Rahman bin Mahdī and those after them from the people of Ḥadīth, he examined the situation regarding [the manner of] ‘hearing’ in the chains, like what is claimed in the opinion of the one we described previously.

Those who investigated among [the scholars of Ḥadīth] would only investigate the ‘hearing’ of the transmitters of Ḥadīth they transmitted from when the transmitter was among those who were known for Tadlīs in Ḥadīth and famous for it. Thus when they investigated [a transmitter’s manner of] ‘hearing’ in his transmissions and they would research that about him in order to distance themselves from the defect of Tadlīs. Thus to research that about the non-Mudallis, from the perspective of the one who alleged what he did in the opinion we related, then we have not heard of that from anyone we designated and do not designate from the A’immah.

Thus from that is Abd Allah bin Yazīd al-Ansārī , who saw the Prophet, peace and blessings upon him; he transmitted a Ḥadīth on authority of Hudhayfah and Abī Mas’ūd al-Ansārī attributing it to the Prophet, peace and blessings upon him, and there is no mention of ‘hearing’ in his transmission from either of them . Also, we have not preserved in any of the transmissions that Abd Allah bin Yazīd ever met Hudhayfah or Abū Mas’ūd face to face for Ḥadīth. We have not found mention in an actual transmission his seeing either of them and we have not heard from any of Ahl ul-Ilm who have passed or who we have met who charged with weakness these two reports who Abd Allah bin Yazīd transmitted on authority of Hudhayfah and Abū Mas’ūd. Rather according to those we met from Ahl ul-Ilm in Ḥadīth those two [reports] and whatever is similar to them are among the authentic and strong chains; they held the view of acting by what was related by them, and relied upon what came from the Sunan and Āthār [in that manner]. And it is weak and abandoned in the allegation of the one whose view we related before, until ‘hearing’ of the transmitter is obtained from whoever transmits [them]. And even if we took to enumerating the authentic reports according to Ahl ul-Ilm whereof they are weak in the allegation of this speaker and we counted them, truly we would not be able to fully examine its mention and enumerate all of them; rather we prefer to place several as a symbol for what we remain silent on.

Abū Uthmān an-Nahdī and Abū Rāfi’ as-Sā’igh both were from among those who witnessed the age of Jahiliyyah [the time before Islam in the Arabian Peninsula] and were among the Companions of the Messenger of Allah, peace and blessings upon him, who witnessed the battle of Badr, and so on and so forth. They both related reports on authority of [the Companions] until they [related Ḥadīth from younger Companions] the likes of Abū Hurayrah and Ibn Umar. Each of these two transmitted a single Ḥadīth on authority of Ubayy bin K’ab, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him, and we did not hear in an actual transmission that they had seen Ubayy with their own eyes, or heard anything from him.

Abū Amr ash-Shaybānī witnessed al-Jahiliyyah and was an adult during the time of the Prophet, peace and blessings upon him, and Abū Ma’mar Abd Allah bin Sakhbarah each transmitted two reports on authority of Abū Mas’ūd al-Ansārī, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

Ubayd bin Umayr transmitted a Ḥadīth on authority of Umm Salamah, wife of the Prophet, peace and blessings upon him, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him, and Ubayd bin Umayr was born in the time of the Prophet, peace and blessings upon him.

Qays bin Abī Hāzim transmitted three reports on authority of Abū Mas’ūd al-Ansārī, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him and he witnessed the time of the Prophet, peace and blessings upon him.

Abd ar-Rahman bin Abī Laylā transmitted a Ḥadīth on authority of Anas bin Mālik, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him, and he heard from Umar bin al-Khattāb and accompanied Alī.

Rib’ī bin Hirāsh transmitted two Ḥadīth on authority of Imrān bin Husayn, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him; and a Ḥadīth on authority of Abū Bakrah, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him. Rib’ī heard from Alī bin Abī Tālib and transmitted on his authority.

Nāfi’ bin Jubayr bin Mut’im transmitted a Ḥadīth on authority of Abī Shurayh al-Khuzā’ī, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

An-Nu’mān bin Abī Ayyāsh transmitted three Ahādīth on authority of Abū Sa’īd al-Khudrī, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

Atā’ bin Yazīd al-Laythī transmitted a Ḥadīth on authority of Tamīm ad-Dārī, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

Sulaymān bin Yasār transmitted a Ḥadīth on authority of Rāfi’ bin Khadīj, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him.

Humayd bin Abd ar-Rahman al-Himyarī transmitted narrations on authority of Abū Hurayrah, on authority of the Prophet, peace and blessings upon him. Thus all of these Tabi’īn we named, whose transmissions are on authority of Companions, are not recorded in separate transmissions to have heard directly from them, to our knowledge, and are not recorded to have met them in the course of the actual report. They are sound chains of transmission according to those who possess knowledge of reports and transmissions; we do not know of them ever weakening anything of them or asking about whether they heard from each other, since the ‘hearing’ of each one of them from his companion is possible, without anyone rejecting [that], due to them all being together in the same time period.

This opinion that the speaker invented, which we related, regarding weakening the Ḥadīth, for the reason which he described, is too inferior to be relied upon or [too inferior] for its mention to be stirred up since it was an invented opinion and a backward discussion which no one from Ahl ul-Ilm stated before and those who came after them denounced it. Thus there is no need to for us to refute it with more than what we have already explained since the standing of the speech and its speaker is that which we described, and Allah is the one with whom aid is sought in repelling what differs from the school of the scholars and in Him alone complete trust is placed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) হাসান ইবনু রবী’ (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু সীরন (বিখ্যাত তাবি’ঈ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এ ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও। (অর্থাৎ সত্যবাদী, দীনদার এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ইলমে দীন শিক্ষা করা প্রযোজন।)


(.../...) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ (রহঃ) ..... ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিল যখন লোকেরা সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো না। কিন্তু পরে যখন ফিতনাহ (হাদীসের নামে মিথ্যা কথার আমদানী) দেখা দিল তখন লোকেরা হাদীস বর্ণনাকারীদেরকে বললো, তোমরা যাদের নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করেছ, আমাদের কাছে তাদের নাম বল। তারা এ কথা এ কারণে জানতে চাইত, যাতে দেখা যায় তারা আহলে সুন্নাত কিনা? যদি তারা এ সম্প্রদায়ের হয় তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি দেখা যায় তারা বিদ’আতী তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণ করা হবে না।


(.../...) সুলাইমান ইবনু মুসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেনঃ যদি সে ব্যক্তি নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে তার থেকে হাদীস গ্রহণ কর।


(.../...) সুলাইমান ইবনু মূসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) কে বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এ হাদীস বলেছেন। তিনি বললেন, তোমার নিকট হাদীস বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য হয় তাহলে তার থেকে তা গ্রহণ কর।


(.../...) ইবনু আবূ যিনাদ (রহঃ) (আসল নাম আবদুল্লাহ ইবনু যাকওয়ান যিনি হাদীসের একজন ইমাম) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, আমি মদীনায় একশ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন। তবুও তাদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা হতো না। কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করার ক্ষেত্রে যোগ্য নন।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল মাক্কী ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি; নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস গৃহীত হবে না।


(.../...) মার্ভ (স্পেনের একটি অঞ্চল)-এর অধিবাসী মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। যদি সনদ না থাকতো তাহলে যার যা ইচ্ছা তাই বলতো।

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমাদের ও লোকদের মাঝখানে রয়েছে সেতু বন্ধন বা খুঁটি অর্থাৎ সনদ।

আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু আত তালাকানী বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আবূ আবদুর রহমান! এ হাদীসটি সম্পর্কে আপনার কি অভিমত যাতে আছে, “অন্যতম সৎকাজ হলো আমার সালাতের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সালাত পড়ে নিও আর তোমার সিয়ামের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সিয়াম পালন করে নিও?” তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! কার বরাতে এ হাদীসটি বর্ণনা করছো? আমি বললাম, এটি শিহাব ইবনু খিরাশ থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তবে তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবনু দীনার থেকে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! হাজ্জাজ ইবনু দীনার ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাঝে এত বিশাল প্রান্ত রয়েছে যা অতিক্রম করতে গেলে উটের গর্দানও ভেঙ্গে পড়বে।* তবে পিতা-মাতার জন্য সাদাকা করার বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।

মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি শুনেছি আলী ইবনু শাকীককে সে বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করতে আমি শুনেছি যে, তিনি একদিন লোকেদের সামনে বলেছিলেন, তোমরা আমর ইবনু সাবিত (রহঃ) এর হাদীস বর্জন কর, কেননা সে সাহাবা তাবিঈনদের (সালফে সলিহীনদের) দোষারোপ করে।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَحَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ لَمْ يَكُونُوا يَسْأَلُونَ عَنِ الإِسْنَادِ، فَلَمَّا وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ قَالُوا سَمُّوا لَنَا رِجَالَكُمْ فَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ السُّنَّةِ فَيُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ وَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ الْبِدَعِ فَلاَ يُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ ‏.‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ ‏.‏ قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيَّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ قُلْتُ لِطَاوُسٍ إِنَّ فُلاَنًا حَدَّثَنِي بِكَذَا، وَكَذَا، ‏.‏ قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ ‏.‏
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ ‏.‏ مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ الإِسْنَادُ مِنَ الدِّينِ وَلَوْلاَ الإِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَا شَاءَ ‏.‏

وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْقَوَائِمُ ‏.‏ يَعْنِي الإِسْنَادَ ‏.‏

وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، إِبْرَاهِيمَ بْنَ عِيسَى الطَّالَقَانِيَّ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَدِيثُ الَّذِي جَاءَ ‏ "‏ إِنَّ مِنَ الْبِرِّ بَعْدَ الْبِرِّ أَنْ تُصَلِّيَ لأَبَوَيْكَ مَعَ صَلاَتِكَ وَتَصُومَ لَهُمَا مَعَ صَوْمِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَا أَبَا إِسْحَاقَ عَمَّنْ هَذَا قَالَ قُلْتُ لَهُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ شِهَابِ بْنِ خِرَاشٍ ‏.‏ فَقَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ ‏.‏ قَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏‏ قَالَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنَّ بَيْنَ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَفَاوِزَ تَنْقَطِعُ فِيهَا أَعْنَاقُ الْمَطِيِّ وَلَكِنْ لَيْسَ فِي الصَّدَقَةِ اخْتِلاَفٌ ‏.‏

وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ شَقِيقٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ دَعُوا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَسُبُّ السَّلَفَ ‏.‏

حدثنا حسن بن الربيع، حدثنا حماد بن زيد، عن ايوب، وهشام، عن محمد، وحدثنا فضيل، عن هشام، قال وحدثنا مخلد بن حسين، عن هشام، عن محمد بن سيرين، قال ان هذا العلم دين فانظروا عمن تاخذون دينكم ‏.‏ حدثنا ابو جعفر، محمد بن الصباح حدثنا اسماعيل بن زكرياء، عن عاصم الاحول، عن ابن سيرين، قال لم يكونوا يسالون عن الاسناد، فلما وقعت الفتنة قالوا سموا لنا رجالكم فينظر الى اهل السنة فيوخذ حديثهم وينظر الى اهل البدع فلا يوخذ حديثهم ‏.‏ حدثنا اسحاق بن ابراهيم الحنظلي، اخبرنا عيسى، - وهو ابن يونس - حدثنا الاوزاعي، عن سليمان بن موسى، قال لقيت طاوسا فقلت حدثني فلان، كيت وكيت ‏.‏ قال ان كان صاحبك مليا فخذ عنه ‏.‏ وحدثنا عبد الله بن عبد الرحمن الدارمي، اخبرنا مروان، - يعني ابن محمد الدمشقي - حدثنا سعيد بن عبد العزيز، عن سليمان بن موسى، قال قلت لطاوس ان فلانا حدثني بكذا، وكذا، ‏.‏ قال ان كان صاحبك مليا فخذ عنه ‏.‏ حدثنا نصر بن علي الجهضمي، حدثنا الاصمعي، عن ابن ابي الزناد، عن ابيه، قال ادركت بالمدينة ماىة كلهم مامون ‏.‏ ما يوخذ عنهم الحديث يقال ليس من اهله ‏.‏ حدثنا محمد بن ابي عمر المكي، حدثنا سفيان، ح وحدثني ابو بكر بن خلاد الباهلي، - واللفظ له - قال سمعت سفيان بن عيينة، عن مسعر، قال سمعت سعد بن ابراهيم، يقول لا يحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم الا الثقات ‏.‏ وحدثني محمد بن عبد الله بن قهزاذ، - من اهل مرو - قال سمعت عبدان بن عثمان، يقول سمعت عبد الله بن المبارك، يقول الاسناد من الدين ولولا الاسناد لقال من شاء ما شاء ‏.‏ وقال محمد بن عبد الله حدثني العباس بن ابي رزمة، قال سمعت عبد الله، يقول بيننا وبين القوم القواىم ‏.‏ يعني الاسناد ‏.‏ وقال محمد سمعت ابا اسحاق، ابراهيم بن عيسى الطالقاني قال قلت لعبد الله بن المبارك يا ابا عبد الرحمن الحديث الذي جاء ‏ "‏ ان من البر بعد البر ان تصلي لابويك مع صلاتك وتصوم لهما مع صومك ‏"‏ ‏.‏ قال فقال عبد الله يا ابا اسحاق عمن هذا قال قلت له هذا من حديث شهاب بن خراش ‏.‏ فقال ثقة عمن قال قلت عن الحجاج بن دينار ‏.‏ قال ثقة عمن قال قلت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏‏ قال يا ابا اسحاق ان بين الحجاج بن دينار وبين النبي صلى الله عليه وسلم مفاوز تنقطع فيها اعناق المطي ولكن ليس في الصدقة اختلاف ‏.‏ وقال محمد سمعت علي بن شقيق، يقول سمعت عبد الله بن المبارك، يقول على رءوس الناس دعوا حديث عمرو بن ثابت فانه كان يسب السلف ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Hasan bin ur-Rabī’ narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ayyūb and Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad [bin Sīrīn] ; and Fuḍayl [bin Īyāḍ] narrated to us on authority of Hishām [bin Hassān]; he said Mukhlad bin Husayn narrated to us, on authority of Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad bin Sīrīn , that he said:
‘Indeed this knowledge is faith, so carefully consider from whom you take your faith’.

Abū Ja’far Muhammad bin us-Sabbāh narrated to us, Ismā’īl bin Zakariyyā’ narrated to us, on authority of Āsim il-Ahwal, on authority of Ibn Sīrīn that he said:
‘They would not ask about the chains of narration, and when the Fitnah occurred, they said: ‘Name for us your men’. So Ahl us-Sunnah would be regarded, and their Ḥadīth were then taken, and Ahl ul-Bi’dah would be regarded, and their Ḥadīth were not taken’.

Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī narrated to us, Īsā, and he is Ibn Yūnus, informed us, al-Awzā’ī narrated to us, on authority of Sulyamān bin Mūsā, he said:
‘I came across Tāwus and said: ‘So-and-so narrated to me such-and-such’. Then he said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’

Abd Allah bin Abd ir-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Marwān, meaning Ibn Muhammad ad-Dimashqī informed us, Sa’īd bin Abd il-Azīz narrated to us, on authority of Sulaymān bin Mūsā, he said, I said to Tāwus:
‘So-and-so narrated to me like this-and-that’. He said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’

Nasr bin Alī al-Jahdhamī narrated to us, al-Asma’ī narrated to us, on authority of Ibn Abī-Zinād, on authority of his father, he said:
‘I met one hundred [transmitters] in al-Madīnah, each of whom were reliable. Narrations were not taken from one about who it was said, ‘he is not from its people’

Muhammad bin Abī Umar al-Makkī narrated to us, Sufyān narrated to us; and Abū Bakr bin Khallād al-Bāhilī narrated to us – and the wording is his, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah, on authority of Mis’ar, he said, I heard Sa’d bin Ibrāhīm saying:
‘There is to be no narrating on authority of the Messenger of Allah, may Allah send blessings and peace upon him, except by trustworthy narrators (Thiqāt)’.

Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh from the people of Marw narrated to us, he said I heard Abdān bin Uthmān saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying:
‘The chain of narration is from the Dīn, and were it not for the chain of narration whoever wished could say what he wanted’.

Muhammad bin Abd Allah said, al-Abbās bin Abī Rizmah narrated to me, he said I heard Abd Allah [bin al-Mubārak] saying: ‘Between us and the people are ‘the legs’ (meaning the chain of narration, i.e. if a Ḥadīth was like a creature)’.

Muhammad said, I heard Abā Ishāq Ibrāhīm bin Īsā at-Tālqānī say, I said to Abd Allah bin al-Mubārak: ‘Oh Abā Abd ir-Rahman! How is the Ḥadīth which goes ‘Indeed from al-Birr after al-Birr is that you pray for your parents after you pray for yourself and you fast for them both after you fast for yourself’? So [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! On whose authority is this?’ I said to him: ‘This is a Ḥadīth from Shihāb bin Khirāsh’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘on authority of al-Hajjāj bin Dīnār’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘He [al-Hajjāj said] the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’ [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! Indeed between al-Hajjāj bin Dīnār and the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, is a wilderness in which the necks of the mounts are severed, however, there is no difference of opinion regarding charity [offered on behalf of one’s parents]’.

Muhammad said, I heard Alī bin Shaqīq saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying in front of the people:
‘Abandon the Ḥadīth of Amr bin Thābit for indeed he would curse the Salaf [i.e., the Companions, may Allah be pleased with them]’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) আবূ বকর ইবনু আন নাযর ইবনু আবূ আন নাযর (রহঃ) বুহাইয়্যাহ্ (রহঃ) নামক মহিলা তাবিঈ এর আযাদকৃত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা আমি ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় ইয়াহইয়া (রহঃ) কাসিম (রহঃ) কে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! আপনাকে দীন ও শারীআত সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করে উত্তম ও ব্যাখ্যা না পাওয়া আপনার মতো ব্যক্তির পক্ষে শোভনীয় নয়। কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, কি কারণে? ইয়াহইয়া (রহঃ) বললেন, কেননা আপনি আবূ বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) এর মত দু’জন সত্যপন্থী মহান খলীফার বংশধর। রাবী বলেন, এর জবাবে কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা জ্ঞান দান করেছেন, তার দৃষ্টিতে এর চেয়েও জঘন্য হলো না জেনে কোন কথা বলা। কিংবা অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করা। আবূ আকীল (রহঃ) বলেন, এ কথা শুনে ইয়াহইয়া (রহঃ) নীরব হয়ে গেলেন, আর কোন উত্তর দিলেন না।


(.../...) বিশর ইবনু হাকাম আল আবদী (রহঃ) ..... বুহাইয়্যার আযাদৃকত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) এর কোন এক উত্তরসূরী (কাসিম) কে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল। এর উত্তর তার জানা ছিল না। তখন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) তাকে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার কাছে অবাক লাগছে যে, আপনার মত ব্যক্তিকে দীন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হলো অথচ তার কোন জবাব পাওয়া গেল না। আপনি হচ্ছেন দু’জন মহান নেতা উমার (রাযিঃ) ও ইবনু উমর (রাযিঃ) এর বংশধর। এর জবাবে তিনি (কাসিম) বললেন, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে এবং আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির দৃষ্টিতে এর চাইতে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো "যে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তা বলা কিংবা অনির্ভরযোগ্য লোক থেকে হাদীস বর্ণনা করা।" ইয়াহইয়া (রহঃ) ও কাসিম (রহঃ)--এর আলোচনার সময় আবূ আকীল ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


(.../...) ’আমর ইবনু আলী আবূ হাফস (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ), শুবাহ (রহঃ), মালিক (রহঃ) ও ’উয়াইনাহ (রহঃ) কে হাদীসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) নয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেউ যদি আমার কাছে তার সম্পর্কে জানতে চায় তবে কী বলব? তখন তারা বললেনঃ তুমি সে প্রশ্নকারীকে জানিয়ে দাও যে, ঐ ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার অযোগ্য।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন, নাযর (সুলাইম) (রহঃ) বলেছেন, একদিন ইবনু ’আওন তার দরজার চৌকাঠে দাঁড়ানো ছিলেন, তখন শাহর (ইবনু হাওশাব) বর্ণিত একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, শাহর সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। আবূল হুসায়ন মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, লোকেরা তার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... শু’বাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, শাহর এর (ইবনু হাওশাবের) সাথে আমি সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করি না।


(.../...) (মার্ভের অধিবাসী) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) কে বললাম, আব্বাদ ইবনু কাসীর সম্পর্কে আপনি তো সম্যক অবগত আছেন। সে হাদীস বর্ণনাকালে ঘোর অসত্য বলে থাকে। আপনি কি মনে করেন, আমি লোকদের বলে দিব যে, তারা যেন তার থেকে হাদীস বর্ণনা না করে। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) বলেন, তারপর থেকে আমি কোন মাজলিসে উপস্থিত থাকলে এবং সেখানে ’আব্বাদ সম্বন্ধে আলোচনা উঠলে আমি তার দীনদারীর প্রশংসা করতাম, কিন্তু বলে দিতাম যে, তোমরা তার নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করো না (অর্থাৎ তার থেকে সতর্ক থাক)।

আর মুহাম্মাদ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি শু’বার নিকট গেলে, তিনি বললেন, সে আব্বাদ ইবনু কাসীর থেকে তোমরা সতর্ক থাকবে।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) বলেন, আমি মু’আল্লা আর রায়ী (রহঃ) কে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যার থেকে আব্বাদ ইবনু কাসীর হাদীস বর্ণনা করতো, তিনি আমাকে ঈসা ইবনু ইউনুস এর সূত্রে অবহিত করলেন যে, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর গৃহদ্বারে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সুফইয়ান (রহঃ)-ও তার কাছে ছিলেন। যখন সুফইয়ান বাইরে এলেন, আমি তাকে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, সে বড় মিথ্যাবাদী।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، صَاحِبُ بُهَيَّةَ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ الْقَاسِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَقَالَ يَحْيَى لِلْقَاسِمِ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّهُ قَبِيحٌ عَلَى مِثْلِكَ عَظِيمٌ أَنْ تُسْأَلَ عَنْ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ هَذَا الدِّينِ فَلاَ يُوجَدَ عِنْدَكَ مِنْهُ عِلْمٌ وَلاَ فَرَجٌ - أَوْ عِلْمٌ وَلاَ مَخْرَجٌ - فَقَالَ لَهُ الْقَاسِمُ وَعَمَّ ذَاكَ قَالَ لأَنَّكَ ابْنُ إِمَامَىْ هُدًى ابْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ الْقَاسِمُ أَقْبَحُ مِنْ ذَاكَ عِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ آخُذَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ فَمَا أَجَابَهُ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ أَخْبَرُونِي عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، صَاحِبِ بُهَيَّةَ أَنَّ أَبْنَاءً، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ سَأَلُوهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ عِلْمٌ فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُعْظِمُ أَنْ يَكُونَ مِثْلُكَ وَأَنْتَ ابْنُ إِمَامَىِ الْهُدَى - يَعْنِي عُمَرَ وَابْنَ عُمَرَ - تُسْأَلُ عَنْ أَمْرٍ لَيْسَ عِنْدَكَ فِيهِ عِلْمٌ ‏.‏ فَقَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَاللَّهِ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أُخْبِرَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ وَشَهِدَهُمَا أَبُو عَقِيلٍ يَحْيَى بْنُ الْمُتَوَكِّلِ حِينَ قَالاَ ذَلِكَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ سَأَلْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ وَشُعْبَةَ وَمَالِكًا وَابْنَ عُيَيْنَةَ عَنِ الرَّجُلِ لاَ يَكُونُ ثَبْتًا فِي الْحَدِيثِ فَيَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيَسْأَلُنِي عَنْهُ ‏.‏ قَالُوا أَخْبِرْ عَنْهُ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ، يَقُولُ سُئِلَ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ حَدِيثٍ، لِشَهْرٍ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ فَقَالَ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ رَحِمَهُ اللَّهُ يَقُولُ أَخَذَتْهُ أَلْسِنَةُ النَّاسِ تَكَلَّمُوا فِيهِ ‏.‏
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ لَقِيتُ شَهْرًا فَلَمْ أَعْتَدَّ بِهِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قُلْتُ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ إِنَّ عَبَّادَ بْنَ كَثِيرٍ مَنْ تَعْرِفُ حَالَهُ ‏.‏ وَإِذَا حَدَّثَ جَاءَ، بِأَمْرٍ عَظِيمٍ فَتَرَى أَنْ أَقُولَ، لِلنَّاسِ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ قَالَ سُفْيَانُ بَلَى ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَكُنْتُ إِذَا كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ ذُكِرَ فِيهِ عَبَّادٌ أَثْنَيْتُ عَلَيْهِ فِي دِينِهِ وَأَقُولُ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ ‏.‏

وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ انْتَهَيْتُ إِلَى شُعْبَةَ فَقَالَ هَذَا عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ فَاحْذَرُوهُ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ مُعَلًّى الرَّازِيَّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الَّذِي، رَوَى عَنْهُ، عَبَّادٌ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، قَالَ كُنْتُ عَلَى بَابِهِ وَسُفْيَانُ عِنْدَهُ فَلَمَّا خَرَجَ سَأَلْتُهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ كَذَّابٌ ‏.‏

وحدثني ابو بكر بن النضر بن ابي النضر، قال حدثني ابو النضر، هاشم بن القاسم حدثنا ابو عقيل، صاحب بهية قال كنت جالسا عند القاسم بن عبيد الله ويحيى بن سعيد فقال يحيى للقاسم يا ابا محمد انه قبيح على مثلك عظيم ان تسال عن شىء من امر هذا الدين فلا يوجد عندك منه علم ولا فرج - او علم ولا مخرج - فقال له القاسم وعم ذاك قال لانك ابن امامى هدى ابن ابي بكر وعمر ‏.‏ قال يقول له القاسم اقبح من ذاك عند من عقل عن الله ان اقول بغير علم او اخذ عن غير ثقة ‏.‏ قال فسكت فما اجابه ‏.‏ وحدثني بشر بن الحكم العبدي، قال سمعت سفيان بن عيينة، يقول اخبروني عن ابي عقيل، صاحب بهية ان ابناء، لعبد الله بن عمر سالوه عن شىء لم يكن عنده فيه علم فقال له يحيى بن سعيد والله اني لاعظم ان يكون مثلك وانت ابن امامى الهدى - يعني عمر وابن عمر - تسال عن امر ليس عندك فيه علم ‏.‏ فقال اعظم من ذلك والله عند الله وعند من عقل عن الله ان اقول بغير علم او اخبر عن غير ثقة ‏.‏ قال وشهدهما ابو عقيل يحيى بن المتوكل حين قالا ذلك ‏.‏ وحدثنا عمرو بن علي ابو حفص، قال سمعت يحيى بن سعيد، قال سالت سفيان الثوري وشعبة ومالكا وابن عيينة عن الرجل لا يكون ثبتا في الحديث فياتيني الرجل فيسالني عنه ‏.‏ قالوا اخبر عنه انه ليس بثبت ‏.‏ وحدثنا عبيد الله بن سعيد، قال سمعت النضر، يقول سىل ابن عون عن حديث، لشهر وهو قاىم على اسكفة الباب فقال ان شهرا نزكوه ان شهرا نزكوه ‏.‏ قال مسلم رحمه الله يقول اخذته السنة الناس تكلموا فيه ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا شبابة، قال قال شعبة وقد لقيت شهرا فلم اعتد به ‏.‏ وحدثني محمد بن عبد الله بن قهزاذ، - من اهل مرو - قال اخبرني علي بن حسين بن واقد، قال قال عبد الله بن المبارك قلت لسفيان الثوري ان عباد بن كثير من تعرف حاله ‏.‏ واذا حدث جاء، بامر عظيم فترى ان اقول، للناس لا تاخذوا عنه قال سفيان بلى ‏.‏ قال عبد الله فكنت اذا كنت في مجلس ذكر فيه عباد اثنيت عليه في دينه واقول لا تاخذوا عنه ‏.‏ وقال محمد حدثنا عبد الله بن عثمان، قال قال ابي قال عبد الله بن المبارك انتهيت الى شعبة فقال هذا عباد بن كثير فاحذروه ‏.‏ وحدثني الفضل بن سهل، قال سالت معلى الرازي عن محمد بن سعيد الذي، روى عنه، عباد فاخبرني عن عيسى بن يونس، قال كنت على بابه وسفيان عنده فلما خرج سالته عنه فاخبرني انه كذاب ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Abū Bakr ibn in-Naḍr bin Abīn-Naḍr narrated to me, he said Abūn-Naḍr Hāshim bin ul-Qāsim narrated to me, Abū Aqīl, companion of Buhayyah, narrated to us, he said:
‘I was sitting near al-Qāsim bin Ubayd Allah and Yahyā bin Sa’īd [bin Qays al-Madanī al-Qāḍī], when Yahyā said to al-Qāsim: ‘Oh Abā Muhammad! Indeed it is gravely harmful for the likes of you to be asked about something from the affair of this Dīn, and then knowledge of it is not found with you, and no relief [in the form of an answer]’ -or- ‘…knowledge and no articulation’. So al-Qāsim said [to Yahyā bin Sa’īd]: ‘Where did that come from?’ [Yahyā] said: ‘It is because you are the son of two Imāms of guidance- a descendent of Abu Bakr and Umar.’ [al-Qāsim] said to him: ‘More harmful than that- according to whoever reflects about Allah- is to speak without knowledge or to take [Ḥadīth] from someone who is not trustworthy’. [Abū Aqīl] said: ‘So [Yahyā bin Sa’īd] was quiet and did not respond to him’.

Bishr bin ul-Hakam al-Abdī narrated to me, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah saying, they informed me on authority of Abī Aqīl, companion of Buhayyah, that a descendent of Abd Allah bin Umar was asked about something that he did not have knowledge about, so Yahyā bin Sa’īd said to him:
‘By Allah, indeed it is a grave matter that the likes of you, a descendent of two Imāms of guidance – meaning Umar and Ibn Umar – is asked about a matter and you have no knowledge of it’. So [al-Qāsim] said: ‘By Allah, more grave than that according to Allah, and to whoever reflects about Allah, is to speak without knowledge or to report on authority of one who is not trustworthy’. [Ibn Uyaynah] said that Abū Aqīl Yahyā bin al-Mutawakkil witnessed them both when they said that.

Amr bin Alī Abū Hafs narrated to us, he said I heard Yahyā bin Sa’īd, he said:
‘I asked Sufyān ath-Thawrī , Shu’bah, Mālik, and Ibn Uyaynah about a man who is not reliable (Thabt) in Ḥadīth, and someone comes and asks me about him, and they said: ‘Inform [others] against him that he is not reliable’.’

Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to us, he said, I heard an-Naḍr saying:
‘Ibn Awn was asked about the Ḥadīth of Shahr and he was standing at the threshold of the door, so [Ibn Awn] said: ‘Indeed they criticized Shahr, indeed they criticized Shahr’. Muslim, may Allah have mercy on him, said ‘He means- the tongues of men were busy criticizing him’.’

Hajjāj bin ush-Shā’ir narrated to me, Shabābah narrated to us, he said, Shu’bah said:
‘I had met Shahr then abandoned transmitting from him’.

Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh, from the people of Marw, narrated to me, he said Alī bin Husayn bin Wāqid informed me, he said Abd Allah bin al-Mubārak said, I said to Sufyān ath-Thawrī:
‘Indeed Abbād bin Kathīr, about whose condition you are aware, when he related [narrations] he introduced a grave matter- do you believe that it should be said to the people ‘Do not take from him?’ Sufyān said: ‘Indeed!’ Abd Allah [bin al-Mubārak] said: ‘So when I was in an assembly and Abbād was mentioned there, I praised him regarding his Dīn and said: ‘Do not take from him.’

Muhammad said, Abd Allah bin Uthmān narrated to us, he said, my father said, Abd Allah bin al-Mubārak said: ‘I ended up in an assembly of Shu’bah, and he said: ‘This is Abbād bin Kathīr so be warned against him.’

Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said, I asked Mu’allā ar-Rāzī about Muhammad bin Sa’īd whom Abbād transmitted from, so he informed me about what Īsā bin Yūnus said:
‘I was at his door and Sufyān was with [Muhammad bin Sa’īd], then when he came out I asked [Sufyān] about him. So he informed me that he was a liar.’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ’আত্তাব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, ’আফফান (রহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা সৎ ব্যক্তিদের অন্য কোন বস্তুর ব্যাপারে এতখানি মিথ্যা বলতে দেখিনি যতখানি দেখেছি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে। ইবনু আবূ আত্তাব (রহঃ) বলেন, আমি সরাসরি মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি তার পিতার সূত্রে বললেন, তুমি পুণ্যবান লোকদেরকে হাদীস বর্ণনার চাইতে অন্য কিছুতেই অধিক মিথ্যা বলতে দেখবে না। ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, মিথ্যা তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তারা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন না।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, খলীফাহ ইবনু মূসা (রহঃ) বলেছেন, আমি গালিব ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে হাদীস লিখাতে গিয়ে বললেন, মাকহুল (রহঃ) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এমন সময় তার প্রস্রাবের বেগ হলো। তিনি প্রস্রাব করতে চলে গেলেন। আমি এ অবসরে তার পাণ্ডুলিপিখানির প্রতি তাকিয়ে দেখলাম। তাতে লেখা রয়েছে, আবান (রহঃ) আনাস (রহঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আবান (রহঃ) অমুকের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ দেখে (মাকহুলের উল্লেখ না পেয়ে) আমি তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ না করে চলে এলাম।

তিনি [মুসলিম (রহঃ)] বলেন, আমি হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানীকে বলতে শুনেছি, আমি আফফান (রহঃ) এর গ্রন্থে আবূল মিকদাম হিশামের হাদীস দেখেছি, যা তিনি উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রহঃ) বলেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, তাকে অমুকের পুত্র ইয়াহইয়া (রহঃ) বলা হয়। তিনি মুহাম্মাদ ইবনু কাবের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হুলওয়ানী বলেন, আমি আফফান (রহঃ) কে বললাম, লোকেরা বলে হিশাম না কি মুহাম্মাদ ইবনু কাব (রহঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছেন। আফফান (রহঃ) বললেন, এ হাদীসটির কারণেই হিশাম বিপাকে পড়েছেন। তিনি এ হাদীসটির সনদে বলতেন, ইয়াহইয়া (রহঃ) আমাকে মুহাম্মাদের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে তিনি দাবী করেন যে, স্বয়ং মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে তিনি এ হাদীস শুনেছেন।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু জাবালাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে বললাম, ঐ ব্যক্তিটি কে যার থেকে আপনি "ঈদুল ফিতরের দিন পুরস্কার লাভের দিন" সম্পর্কিত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রহঃ) এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন? জবাবে ইবনু মুবারাক (রহঃ) বললেন, তিনি হলেন, সুলাইমান ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ)। ইবনু মুবারাক (রহঃ) আরো বললেন, লক্ষ্য করো আমি তার মারফত কী এক মূল্যবান বস্তু তোমার হাতে তুলে দিয়েছি।

ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “কারো শরীর থেকে এক দিরহাম পরিমাণ রক্ত বের হলে (তার ওযু নষ্ট হয়ে যাওয়া)" সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনাকার রাওহ ইবনু গুতায়ফ (রহঃ) কে দেখে আমি তার এক মাজলিসে বসলাম। আমার সঙ্গীদের কেউ আমাকে তার কাছে বসা অবস্থায় দেখে ফেলার লজ্জার আশঙ্কা করছিলাম। কেননা লোকেরা তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা পছন্দ করে না।


(.../...) ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাকিয়্যাহ (রহঃ) সত্যবাদী লোক। কিন্তু সে (সিকাহ য’ঈফ) সব ধরনের লোকের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (এ কারণে মুহাদ্দিসীনগণ তাকে য’ঈফ বা দুর্বল বলেছেন।)


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আল হামদানী আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছে কিন্তু সে ছিল মিথ্যাবাদী।


(.../...) আবূ আমির আবদুল্লাহ ইবনু বারুরাদ আল আশ’আরী (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে। এরপর শা’বী (রহঃ) শপথ করে বলেন, সে মিথ্যাবাদীদের অন্যতম।


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আলকামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি দু’বছরে কুরআন মজীদ পড়েছি। এ কথা শুনে হরিস বললো, কুরআন সহজ কিন্তু ওয়াহী কঠিন।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস বলেছে, আমি তিন বছরে কুরআন শিখেছি এবং ওয়াহী শিখেছি দু’বছরে। অথবা সে বলেছে, ওয়াহী শিখেছি তিন বছরে এবং কুরআন শিখেছি দু’বছরে।


(.../...) হাজ্জাজ (ইবনু শাইর) (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। (শী’আ মিথ্যাবাদী ও ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অনুসারী বলে )


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... হামযাহ আল যাইয়্যাত (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুররাতুল হামদানী (রহঃ) হারিস (রহঃ) এর কাছ থেকে দীন বিরোধী কিছু কথা শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, তুমি দরজায় বস। রাবী বলেন, মুররাহ (রহঃ) ঘরে প্রবেশ করে হাতে তরবারি তুলে নিলেন। রাবী বলেন, মন্দ পরিণতি ঘটতে পারে, এ আশঙ্কায় হারিস তখন পলায়ন করল।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ইবরাহীম (নাখ’ঈ) (রহঃ) আমাদের নিকট বললেন, তোমরা মুগীরাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ও আবূ আবদুর রহীমের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থেকো। কেননা তারা উভয়ই মিথ্যাবাদী।


(.../...) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ..... আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আবূ ’আবদুর রহমান সুলামী (রহঃ) এর কাছে যাওয়া আসা করতাম। এ সময় আমরা ছিলাম বয়সে তরুণ। তিনি আমাদের বলতেন, আবূল আহওয়াস ছাড়া অন্য কোন কিসসা-কাহিনীকারদের সাথে ওঠাবসা করো না। আর অবশ্যই তোমরা শাকীক থেকে সতর্ক থাকবে। কেননা এ শাকীক খারিজীদের আকীদাহ পোষণ করে। তবে আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) এ শাকীক নন।


(.../...) আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনু আমর আর রায়ী (রহঃ) বলেন, আমি জারীর (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি জাবির ইবনু ইয়াযীদ জুকীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কোন হাদীস লিখিনি, কেননা সে রাজ’আতে* বিশ্বাসী ছিল।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) বলেন, জাবির ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) তিনি নতুন মতবাদ আবিষ্কারের আগে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتَّابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَفَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ نَرَ الصَّالِحِينَ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏
قَالَ ابْنُ أَبِي عَتَّابٍ فَلَقِيتُ أَنَا مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ فَقَالَ عَنْ أَبِيهِ، لَمْ تَرَ أَهْلَ الْخَيْرِ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ يَقُولُ يَجْرِي الْكَذِبُ عَلَى لِسَانِهِمْ وَلاَ يَتَعَمَّدُونَ الْكَذِبَ

حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنِي خَلِيفَةُ بْنُ مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى غَالِبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَجَعَلَ يُمْلِي عَلَىَّ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، فَأَخَذَهُ الْبَوْلُ فَقَامَ فَنَظَرْتُ فِي الْكُرَّاسَةِ فَإِذَا فِيهَا حَدَّثَنِي أَبَانٌ عَنْ أَنَسٍ وَأَبَانٌ عَنْ فُلاَنٍ فَتَرَكْتُهُ وَقُمْتُ ‏.‏

قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيَّ، يَقُولُ رَأَيْتُ فِي كِتَابِ عَفَّانَ حَدِيثَ هِشَامٍ أَبِي الْمِقْدَامِ حَدِيثُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ هِشَامٌ حَدَّثَنِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ يَحْيَى بْنُ فُلاَنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قُلْتُ لِعَفَّانَ إِنَّهُمْ يَقُولُونَ هِشَامٌ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا ابْتُلِيَ مِنْ قِبَلِ هَذَا الْحَدِيثِ كَانَ يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدٍ ثُمَّ ادَّعَى بَعْدُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ جَبَلَةَ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي رَوَيْتَ عَنْهُ، حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏"‏ يَوْمُ الْفِطْرِ يَوْمُ الْجَوَائِزِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ الْحَجَّاجِ ‏.‏ انْظُرْ مَا وَضَعْتَ فِي يَدِكَ مِنْهُ ‏.‏

قَالَ ابْنُ قُهْزَاذَ وَسَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ زَمْعَةَ، يَذْكُرُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ رَأَيْتُ رَوْحَ بْنَ غُطَيْفٍ صَاحِبَ ‏"‏ الدَّمِ قَدْرِ الدِّرْهَمِ ‏"‏ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ مَجْلِسًا فَجَعَلْتُ أَسْتَحْيِي مِنْ أَصْحَابِي أَنْ يَرَوْنِي جَالِسًا مَعَهُ كُرْهَ حَدِيثِهِ

حَدَّثَنِي ابْنُ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ وَهْبًا، يَقُولُ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ بَقِيَّةُ صَدُوقُ اللِّسَانِ وَلَكِنَّهُ يَأْخُذُ عَمَّنْ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ الْهَمْدَانِيُّ، وَكَانَ، كَذَّابًا

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُفَضَّلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قَالَ عَلْقَمَةُ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ الْحَارِثُ الْقُرْآنُ هَيِّنٌ الْوَحْىُ أَشَدُّ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، قَالَ تَعَلَّمْتُ الْقُرْآنَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْوَحْىَ فِي سَنَتَيْنِ - أَوْ قَالَ الْوَحْىَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، اتُّهِمَ

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، قَالَ سَمِعَ مُرَّةُ الْهَمْدَانِيُّ، مِنَ الْحَارِثِ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ اقْعُدْ بِالْبَابِ ‏.‏ قَالَ فَدَخَلَ مُرَّةُ وَأَخَذَ سَيْفَهُ - قَالَ - وَأَحَسَّ الْحَارِثُ بِالشَّرِّ فَذَهَبَ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ قَالَ لَنَا إِبْرَاهِيمُ إِيَّاكُمْ وَالْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ وَأَبَا عَبْدِ الرَّحِيمِ فَإِنَّهُمَا كَذَّابَانِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيَّ وَنَحْنُ غِلْمَةٌ أَيْفَاعٌ فَكَانَ يَقُولُ لَنَا لاَ تُجَالِسُوا الْقُصَّاصَ غَيْرَ أَبِي الأَحْوَصِ وَإِيَّاكُمْ وَشَقِيقًا ‏.‏ قَالَ وَكَانَ شَقِيقٌ هَذَا يَرَى رَأْىَ الْخَوَارِجِ وَلَيْسَ بِأَبِي وَائِلٍ

حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرًا، يَقُولُ لَقِيتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ الْجُعْفِيَّ فَلَمْ أَكْتُبْ عَنْهُ كَانَ يُؤْمِنُ بِالرَّجْعَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، مَا أَحْدَثَ

وحدثني محمد بن ابي عتاب، قال حدثني عفان، عن محمد بن يحيى بن سعيد القطان، عن ابيه، قال لم نر الصالحين في شىء اكذب منهم في الحديث ‏.‏ قال ابن ابي عتاب فلقيت انا محمد بن يحيى بن سعيد القطان، فسالته عنه فقال عن ابيه، لم تر اهل الخير في شىء اكذب منهم في الحديث ‏.‏ قال مسلم يقول يجري الكذب على لسانهم ولا يتعمدون الكذب حدثني الفضل بن سهل، قال حدثنا يزيد بن هارون، قال اخبرني خليفة بن موسى، قال دخلت على غالب بن عبيد الله فجعل يملي على حدثني مكحول، حدثني مكحول، فاخذه البول فقام فنظرت في الكراسة فاذا فيها حدثني ابان عن انس وابان عن فلان فتركته وقمت ‏.‏ قال وسمعت الحسن بن علي الحلواني، يقول رايت في كتاب عفان حديث هشام ابي المقدام حديث عمر بن عبد العزيز قال هشام حدثني رجل يقال له يحيى بن فلان عن محمد بن كعب قال قلت لعفان انهم يقولون هشام سمعه من محمد بن كعب ‏.‏ فقال انما ابتلي من قبل هذا الحديث كان يقول حدثني يحيى عن محمد ثم ادعى بعد انه سمعه من محم حدثني محمد بن عبد الله بن قهزاذ، قال سمعت عبد الله بن عثمان بن جبلة، يقول قلت لعبد الله بن المبارك من هذا الرجل الذي رويت عنه، حديث عبد الله بن عمرو ‏"‏ يوم الفطر يوم الجواىز ‏"‏ ‏.‏ قال سليمان بن الحجاج ‏.‏ انظر ما وضعت في يدك منه ‏.‏ قال ابن قهزاذ وسمعت وهب بن زمعة، يذكر عن سفيان بن عبد الملك، قال قال عبد الله يعني ابن المبارك رايت روح بن غطيف صاحب ‏"‏ الدم قدر الدرهم ‏"‏ وجلست اليه مجلسا فجعلت استحيي من اصحابي ان يروني جالسا معه كره حديثه حدثني ابن قهزاذ، قال سمعت وهبا، يقول عن سفيان، عن ابن المبارك، قال بقية صدوق اللسان ولكنه ياخذ عمن اقبل وادبر حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن مغيرة، عن الشعبي، قال حدثني الحارث الاعور الهمداني، وكان، كذابا حدثنا ابو عامر عبد الله بن براد الاشعري، حدثنا ابو اسامة، عن مفضل، عن مغيرة، قال سمعت الشعبي، يقول حدثني الحارث الاعور، وهو يشهد انه احد الكاذبين ‏.‏ حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن مغيرة، عن ابراهيم، قال قال علقمة قرات القران في سنتين ‏.‏ فقال الحارث القران هين الوحى اشد ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا احمد، - يعني ابن يونس - حدثنا زاىدة، عن الاعمش، عن ابراهيم، ان الحارث، قال تعلمت القران في ثلاث سنين والوحى في سنتين - او قال الوحى في ثلاث سنين والقران في سنتين وحدثني حجاج، قال حدثني احمد، - وهو ابن يونس - حدثنا زاىدة، عن منصور، والمغيرة، عن ابراهيم، ان الحارث، اتهم وحدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن حمزة الزيات، قال سمع مرة الهمداني، من الحارث شيىا فقال له اقعد بالباب ‏.‏ قال فدخل مرة واخذ سيفه - قال - واحس الحارث بالشر فذهب ‏.‏ وحدثني عبيد الله بن سعيد، حدثنا عبد الرحمن، - يعني ابن مهدي - حدثنا حماد بن زيد، عن ابن عون، قال قال لنا ابراهيم اياكم والمغيرة بن سعيد وابا عبد الرحيم فانهما كذابان حدثنا ابو كامل الجحدري، حدثنا حماد، - وهو ابن زيد - قال حدثنا عاصم، قال كنا ناتي ابا عبد الرحمن السلمي ونحن غلمة ايفاع فكان يقول لنا لا تجالسوا القصاص غير ابي الاحوص واياكم وشقيقا ‏.‏ قال وكان شقيق هذا يرى راى الخوارج وليس بابي واىل حدثنا ابو غسان، محمد بن عمرو الرازي قال سمعت جريرا، يقول لقيت جابر بن يزيد الجعفي فلم اكتب عنه كان يومن بالرجعة حدثنا الحسن الحلواني، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا مسعر، قال حدثنا جابر بن يزيد، قبل ان يحدث، ما احدث

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Muhammad bin Abī Attāb narrated to me, he said Affān narrated to me, on authority of Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, on authority of his father, he said:
‘We do not see the righteous more false in anything than they are regarding Ḥadīth’.

Ibn Abī Attāb said: ‘So Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān and I met and I asked him about it and he said on authority of his father: ‘You will not see the people of good (Ahl ul-Khayr) more false in anything than they are regarding Ḥadīth.’ Muslim said: ‘He was saying that falsehood flows upon their tongues although they do not intend to lie’.

Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, he said Khalīfah bin Mūsā informed me, he said:
‘I entered upon Ghālib bin Ubayd Allah so he began dictating to me ‘Mak’hūl narrated to me this’ and ‘Mak’hūl narrated to me that’. So he prepared to answer the call of nature and stood up, then I looked in his notebook and in it was ‘Abān narrated to me, on authority of Anas’ and ‘Abān on authority of so-and-so’. So I abandoned [listening to his Ḥadīth] and stood up [to leave]’.

I heard al-Hasan bin Alī al-Hulwānī saying: ‘I saw in one of the books of Affān a Ḥadīth of Hishām Abīl-Miqdām meaning a Ḥadīth of Umar bin Abd il-Azīz. [In it was written] ‘Hishām said: ‘A man said to be Yahyā bin so-and-so narrated to me, on authority of Muhammad bin Ka’b…’ [Al-Hulwānī] said, I said to Affān: ‘They would say Hishām heard it [directly] from Muhammad bin Ka’b’. So [Affān] said: ‘Indeed Hishām was stricken [with accusations of lying] with regards to this Ḥadīth for he would say ‘Yahyā narrated to me on authority of Muhammad’, then he claimed afterwards that he heard it from Muhammad [directly]’.’

Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh narrated to me, he said I heard Abd Allah bin Uthmān bin Jabalah saying, I said to Abd Allah bin al-Mubārak:
‘Who is this man from whom you transmit the Ḥadīth of Abd Allah bin Amr, ‘The day of Fitr is the day of prizes…’?’ [Abd Allah] said: ‘Sulaymān bin al-Hajjāj. Look at what I placed in your hands [of praise] about him’.

Ibn Quhzādh said I heard Wahb bin Zam’ah mentioning about Sufyān bin Abd il-Mālik, he said, Abd Allah –meaning Ibn al-Mubārak- said: ‘I saw Rawh bin Ghutayf, the companion of blood the amount of a Dirham , and I took a seat in one of his audiences. Then I began to become ashamed for my companions to see me sitting with him while his Ḥadīth are disapproved of.’

Ibn Quhzādh narrated to me, he said, I heard Wahb [bin Zam’ah] saying, on authority of Sufyān [bin Abd il-Mālik], on authority of Ibn al-Mubārak, he said:
‘Baqiyyah [bin al-Walīd] is truthful of tongue however he transmits [Ḥadīth] from those who approach [the Muhaddithīn, i.e. are trustworthy] and from those who turn their backs on [the Muhaddithīn, i.e. and are weak]’.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of ash-Sha’bī, he said:
‘al-Hārith al-A’war ul-Hamdānī narrated to me, and he is a liar’.

Abū Āmir Abd Allah bin Barrād al-Ash’arī narrated to us, Abū Usāmah narrated to us, on authority of Mufaḍḍal, on authority of Mughīrah, he said I heard ash-Sha’bī saying:
‘al-Hārith al-A’war narrated to me,’ and he [ash-Sha’bī] was testifying that he was one of the liars’.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of Ibrāhīm [bin Yazīd an-Nakhā’ī], he said, Alqamah said:
‘I memorized the Qur’ān in two years’. Al-Hārith said: ‘The Qur’ān is easy; the revelation [i.e. the secret revelation to Alī in the belief of the Shī’ah] is more difficult ’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Ahmad- meaning Ibn Yūnus- narrated to us, Zā’idah narrated to us, on authority of al-A’mash, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith said:
‘I studied the Qur’ān for three years and the revelation for two years’; or he said: ‘…the revelation in three years and the Qur’ān in two years ’.

Hajjāj narrated to me, he said Ahmad- and he is Ibn Yūnus- narrated to me, Zā’idah narrated to us, on authority of Mansūr and al-Mughīrah, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith was imputed.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Hamzah az-Zayyāt, he said:
‘Murrah al-Hamdānī heard something from al-Hārith and said to him: ‘sit by the door’. [Hamzah] said: ‘So Murrah went inside and took his sword and al-Hārith sensed evil and left’.

Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to me, Abd ur-Rahman- meaning Ibn Mahdī- narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ibn Awn, he said, Ibrāhīm said to us:
‘Beware of al-Mughīrah bin Sa’īd and Abū Abd ar-Rahīm for they are both liars’.

Abū Kāmil al-Jahdarī narrated to us, Hammād- and he is Ibn Zayd- narrated to us, he said Āsim [bin Bahdalah] narrated to us, he said:
‘We would catch up with Abū Abd ar-Rahman as-Sulamī and at the time we were young men, so he would say to us: ‘Do not sit with story-tellers other than Abūl-Ahwas and beware of Shaqīq [Abū Abd ar-Rahīm]’. [Muslim] said: ‘This Shaqīq held the view of the Khawārij and is not Abū Wā’il [Shaqīq bin Salamah, the righteous Tabi’ī]’.

Abū Ghassān Muhammad bin Amr ar-Rāzī narrated to us, he said, I heard Jarīr [bin Abd al-Hamīd bin Qurt aḍ-Ḍabbī] saying:
‘I met Jābir bin Yazīd al-Ju’fī and did not write [Ḥadīth] from him; he believed in ar-Raj’ah’ [A Rāfiḍī belief regarding Alī returning].

Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, Yahyā bin Ādam narrated to us, Mis’ar narrated to us, he said:
‘Jābir bin Yazīd narrated to us before there took place what happened [i.e. before his false beliefs] ’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আকীদাহ প্রকাশের পূর্বে হাদীস বর্ণনা করত। তার ভ্রান্ত আকীদাহ প্রকাশের পর লোকেরা তাকে হাদীস বর্ণনায় মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল। কিছু সংখ্যক লোক তাকে বর্জন করল। সুফইয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল, সে কী আকীদাহ পোষণ করত? তিনি বললেন, সে রাজ’আতে বিশ্বাস করেছে।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) জাবির ইবনু ইয়াখীদ (রহঃ) বলেন, আবূ জাফার এর (ইমাম মুহাম্মাদ বাকির) সূত্রে আমার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সত্তর হাজার হাদীস মওজুদ আছে। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইমাম বাকির মধ্যে বিস্তার সময়ের ব্যবধান হেতু সমুদয় হাদীস মুনকাতি ও জাবিরের আকীদাহ খারাপ হওয়াতে রিওয়ায়াতগুলো মিথ্যা বলে প্রতীয়মান)।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ইয়াযীদ বলেছেন যে, আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার হাদীস মওজুদ আছে। আমি এর সামান্য কিছুও বর্ণনা করিনি। যুহায়র (রহঃ) বলেন, এরপর সে একদিন একটি হাদীস বর্ণনা করে বলল, এটা ঐ পঞ্চাশ হাজার হাদীসের একটি।


(.../...) ইবরাহীম ইবনু খালিদ আল ইয়াশকুরী (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ইয়াযীদ জুকী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পঞ্চাশ হাজার হাদীস মওজুদ আছে।


(.../...) সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... সুফইয়ান বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে জাবির জুফীকে প্রশ্ন করতে শুনেছিঃ "আমি কিছুতেই এ দেশ ত্যাগ করব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পিতা আমাকে অনুমতি না দেন অথবা আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য কোন সুরাহা না করেন। কেননা, তিনি উত্তম ফায়সালাকারী"— (সূরাহ ইউসুফ ১২ঃ ৮০)। এ আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তি জাবিরকে প্রশ্ন করেছিলেন। তখন জাবির বলেনঃ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা অদ্যাবধি প্রতিফলিত হয়নি। এ কথা শুনে সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, জাবির মিথ্যা বলেছে। (হুমাইদী বলেন) আমরা সুফইয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে এ আয়াত থেকে তার উদ্দেশ্য কি? সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, “রাফিযীরা বলে, ’আলী (রাযিঃ) মেঘের রাজ্যে অবস্থান করছেন। আমি তার বংশের কোন ব্যক্তির সমর্থনে জিহাদে বের হবো না, যে পর্যন্ত আলী (রাযিঃ) আকাশ থেকে আওয়াজ না দিয়ে বলবেন, তোমরা অমুকের সাথে জিহাদে বেরিয়ে পড়ো।" জাবির বলেন, এ হল আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা। সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, সে মিথ্যা বলেছে, কেননা এ আয়াত তো ইউসুফ (আঃ) এর ভাইদের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত।


(.../...) সালামাহ্ (রহঃ) ..... সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি জাবিরকে প্রায় ত্রিশ হাজার হাদীস বলতে শুনেছি। কিন্তু আমি তার থেকে সামান্য কিছু প্রকাশ করাও বৈধ মনে করি না, যদিও আমাকে এতো-এতো পরিমাণে (ধন-সম্পদ) দান করা হয়।

মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনু আমুর আর রাযী (রহঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আমি জারীর ইবনু আবদুল হামীদকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি হারিস ইবনু হাসীরাহ তার সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি একজন মিতভাষী প্রবীণ বৃদ্ধ। কিন্তু একটি গুরুতর কাজে বাড়াবাড়ি করেন। (রাফিযী বাতিল আকীদাহ পোষণ করে।)


(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা এক ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করে বললেন, তার কথার ঠিক নেই। (মানে ইচ্ছামত কম বেশি করে)। তিনি আরেক ব্যক্তির আলোচনা করে বললেন, সে হাদীসের মধ্যে সংযোজন করে (মিথ্যা জুড়ে দেয়)।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আইয়ূব (রহঃ) আমাকে বলেছেন, আমার এক প্রতিবেশী আছে। তিনি তার গুণাবলী ও ইলমের আলোচনা করে পরে বললেন, সে আমার সামনে দুটি খেজুরের ব্যাপারেও সাক্ষ্য দিলে আমি তার সাক্ষ্য বৈধ বলে গ্রহণ করব না।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ও হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... ’আবদুর রাযাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মামার (রহঃ) বলছেন, আমি আইয়ূব (রহঃ) কে কখনো গীবাত করতে দেখিনি। কিন্তু আবদুল কারীমের অর্থাৎ আবূ উমাইয়্যার গীবাত করতে দেখেছি। একদিন তিনি তার আলোচনা করে বলেছেন, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করুন। সে নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন ব্যক্তি নয়। একদা সে আমাকে ইকরিমাহ্ (রহঃ) এর একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। পরে সে তা এভাবে বর্ণনা করেছে, আমি ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে শুনেছি *।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَحْمِلُونَ عَنْ جَابِرٍ، قَبْلَ أَنْ يُظْهِرَ، مَا أَظْهَرَ فَلَمَّا أَظْهَرَ مَا أَظْهَرَ اتَّهَمَهُ النَّاسُ فِي حَدِيثِهِ وَتَرَكَهُ بَعْضُ النَّاسِ فَقِيلَ لَهُ وَمَا أَظْهَرَ قَالَ الإِيمَانَ بِالرَّجْعَةِ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، وَأَخُوهُ، أَنَّهُمَا سَمِعَا الْجَرَّاحَ بْنَ مَلِيحٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ عِنْدِي سَبْعُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهَا ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ سَمِعْتُ زُهَيْرًا، يَقُولُ قَالَ جَابِرٌ - أَوْ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ - إِنَّ عِنْدِي لَخَمْسِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا حَدَّثْتُ مِنْهَا بِشَىْءٍ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ حَدَّثَ يَوْمًا بِحَدِيثٍ فَقَالَ هَذَا مِنَ الْخَمْسِينَ أَلْفًا ‏.‏

وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ الْيَشْكُرِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْوَلِيدِ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا الْجُعْفِيَّ، يَقُولُ عِنْدِي خَمْسُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، سَأَلَ جَابِرًا عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ فَلَنْ أَبْرَحَ الأَرْضَ حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ‏)‏ فَقَالَ جَابِرٌ لَمْ يَجِئْ تَأْوِيلُ هَذِهِ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَكَذَبَ ‏.‏ فَقُلْنَا لِسُفْيَانَ وَمَا أَرَادَ بِهَذَا فَقَالَ إِنَّ الرَّافِضَةَ تَقُولُ إِنَّ عَلِيًّا فِي السَّحَابِ فَلاَ نَخْرُجُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مِنْ وَلَدِهِ حَتَّى يُنَادِيَ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ ‏.‏ يُرِيدُ عَلِيًّا أَنَّهُ يُنَادِي اخْرُجُوا مَعَ فُلاَنٍ ‏.‏ يَقُولُ جَابِرٌ فَذَا تَأْوِيلُ هَذِهِ الآيَةِ وَكَذَبَ كَانَتْ فِي إِخْوَةِ يُوسُفَ صلى الله عليه وسلم ‏‏

وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يُحَدِّثُ بِنَحْوٍ مِنْ ثَلاَثِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا أَسْتَحِلُّ أَنْ أَذْكُرَ مِنْهَا شَيْئًا وَأَنَّ لِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏

قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ أَبَا غَسَّانَ، مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو الرَّازِيَّ قَالَ سَأَلْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ الْحَمِيدِ فَقُلْتُ الْحَارِثُ بْنُ حَصِيرَةَ لَقِيتَهُ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ شَيْخٌ طَوِيلُ السُّكُوتِ يُصِرُّ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذَكَرَ أَيُّوبُ رَجُلاً يَوْمًا فَقَالَ لَمْ يَكُنْ بِمُسْتَقِيمِ اللِّسَانِ وَذَكَرَ آخَرَ فَقَالَ هُوَ يَزِيدُ فِي الرَّقْمِ ‏.‏

حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ أَيُّوبُ إِنَّ لِي جَارًا - ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ فَضْلِهِ - وَلَوْ شَهِدَ عِنْدِي عَلَى تَمْرَتَيْنِ مَا رَأَيْتُ شَهَادَتَهُ جَائِزَةً ‏.‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ قَالَ مَعْمَرٌ مَا رَأَيْتُ أَيُّوبَ اغْتَابَ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ عَبْدَ الْكَرِيمِ - يَعْنِي أَبَا أُمَيَّةَ - فَإِنَّهُ ذَكَرَهُ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ كَانَ غَيْرَ ثِقَةٍ لَقَدْ سَأَلَنِي عَنْ حَدِيثٍ لِعِكْرِمَةَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ ‏.‏

وحدثني سلمة بن شبيب، حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، قال كان الناس يحملون عن جابر، قبل ان يظهر، ما اظهر فلما اظهر ما اظهر اتهمه الناس في حديثه وتركه بعض الناس فقيل له وما اظهر قال الايمان بالرجعة ‏.‏ وحدثنا حسن الحلواني، حدثنا ابو يحيى الحماني، حدثنا قبيصة، واخوه، انهما سمعا الجراح بن مليح، يقول سمعت جابرا، يقول عندي سبعون الف حديث عن ابي جعفر، عن النبي صلى الله عليه وسلم كلها ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا احمد بن يونس، قال سمعت زهيرا، يقول قال جابر - او سمعت جابرا، يقول - ان عندي لخمسين الف حديث ما حدثت منها بشىء ‏.‏ قال ثم حدث يوما بحديث فقال هذا من الخمسين الفا ‏.‏ وحدثني ابراهيم بن خالد اليشكري، قال سمعت ابا الوليد، يقول سمعت سلام بن ابي مطيع، يقول سمعت جابرا الجعفي، يقول عندي خمسون الف حديث عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وحدثني سلمة بن شبيب، حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، قال سمعت رجلا، سال جابرا عن قوله عز وجل ‏(‏ فلن ابرح الارض حتى ياذن لي ابي او يحكم الله لي وهو خير الحاكمين‏)‏ فقال جابر لم يجى تاويل هذه ‏.‏ قال سفيان وكذب ‏.‏ فقلنا لسفيان وما اراد بهذا فقال ان الرافضة تقول ان عليا في السحاب فلا نخرج مع من خرج من ولده حتى ينادي مناد من السماء ‏.‏ يريد عليا انه ينادي اخرجوا مع فلان ‏.‏ يقول جابر فذا تاويل هذه الاية وكذب كانت في اخوة يوسف صلى الله عليه وسلم ‏‏ وحدثني سلمة، حدثنا الحميدي، حدثنا سفيان، قال سمعت جابرا، يحدث بنحو من ثلاثين الف حديث ما استحل ان اذكر منها شيىا وان لي كذا وكذا ‏.‏ قال مسلم وسمعت ابا غسان، محمد بن عمرو الرازي قال سالت جرير بن عبد الحميد فقلت الحارث بن حصيرة لقيته قال نعم ‏.‏ شيخ طويل السكوت يصر على امر عظيم حدثني احمد بن ابراهيم الدورقي، قال حدثني عبد الرحمن بن مهدي، عن حماد بن زيد، قال ذكر ايوب رجلا يوما فقال لم يكن بمستقيم اللسان وذكر اخر فقال هو يزيد في الرقم ‏.‏ حدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، قال قال ايوب ان لي جارا - ثم ذكر من فضله - ولو شهد عندي على تمرتين ما رايت شهادته جاىزة ‏.‏ وحدثني محمد بن رافع، وحجاج بن الشاعر، قالا حدثنا عبد الرزاق، قال قال معمر ما رايت ايوب اغتاب احدا قط الا عبد الكريم - يعني ابا امية - فانه ذكره فقال رحمه الله كان غير ثقة لقد سالني عن حديث لعكرمة ثم قال سمعت عكرمة ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said:
‘The people would transmit from Jābir before there appeared what appeared, then when there appeared what appeared, the people imputed him in his Ḥadīth and some of the people abandoned him’. So it was said to [Sufyān]: ‘What appeared?’ [Sufyān] said: ‘Belief in ar-Raj’ah’.

Hasan al-Hulwānī narrated to us, Abū Yahyā al-Himmānī narrated to us, Qabīsah and his brother [Sufyān bin Uqbah] narrated to us, that they heard al-Jarrāh bin Malīh saying, I heard Jābir say:
‘I have 70,000 Ḥadīth all of which are on authority of Abū Ja’far on authority of the Prophet, peace and blessings upon him’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Ahmad bin Yūnus narrated to us, he said, I heard Zuhayr saying, Jābir said, or, I heard Jābir saying:
‘Indeed I have fifty thousand Ḥadīth that I have not narrated from at all’. [Zuhayr] said: ‘Then that day he related a Ḥadīth and said, ‘This is from the fifty thousand’.

Ibrāhīm bin Khālid al-Yashkurī narrated to me, he said, I heard Abūl-Walīd saying, I heard Sallām bin Abī Mutī’ saying, I heard Jābir al-Ju’fī saying:
‘I have fifty thousand Ḥadīth on authority of the Prophet, peace and blessings upon him’.

Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said, I heard a man ask Jābir about the verse:
{Thus I will never depart from the land until my father permits me or Allah decides for me, and He is the best of Judges}[Yūsuf: 80]. Jābir said: ‘An interpretation has not come to me about these [verses]’. Sufyān said: ‘He lied’. We said to Sufyān: ‘What did he mean by this?’ [Sufyān] said: ‘Indeed the Rāfiḍah say, ‘Alī is in the clouds and we will not emerge along with he who will emerge from his children [the Khalīfah] until a caller calls from the heaven, meaning Alī: ‘Ride out along with so-and-so [meaning the promised Mahdī]’. Jābir said, ‘that is an interpretation for these verses’, and he would lie as they were regarding the brothers of Yūsuf, peace be upon him’.

Salamah narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said:
‘I heard Jābir talking about something like 30,000 Ḥadīth [that] I did not regard as permissible to mention anything from, and that to me was like this and that [Ḥadīth].’

Muslim said, I heard Abū Ghassān Muhammad bin Amr ar-Rāzī say, ‘I asked Jarīr bin Abd il-Hamīd: ‘Did you meet al-Hārith bin Hasīrah? He said: ‘Yes, [he is a] Shaykh of lengthy silence; he persisted in a grave matter.’

Ahmad bin Ibrāhīm ad-Dawraqī narrated to me, he said Abd ur-Rahman bin Mahdī narrated to me, on authority Hammād bin Zayd, he said, Ayyūb mentioned a man one day and said [about him]:
‘He is not upright in speech [i.e. he lies]’, and he mentioned another [person] and said: ‘He adds to records [i.e. he lies]’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, he said, Ayyūb said:
‘Indeed I have a neighbor’ and he mentioned some of his virtues, [and continued] ‘…even if he testified to me about two dates I would not see his testimony as permissible’.

Muhammad bin Rāfi’ and Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, they said Abd ur-Razzāq narrated to us, he said Ma’mar said:
‘I did not see Ayyūb speaking ill of anyone, ever, except for Abd al-Karīm- meaning Abū Umayyah’. So he mentioned him and said, may Allah have mercy on him ‘He is not trustworthy- he had asked me about a Ḥadīth of Ikrimah then said ‘I heard from Ikrimah’ [when relating the Ḥadīth].’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... আফফান ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হাম্মাম (রহঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, অন্ধ আবূ দাউদ (নাফি ইবনু হারিস) আমাদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগল বারা (রহঃ) এবং যায়দ ইবনু আরকাম (রহঃ) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন। আমরা কাতাদাহ (রহঃ) এর নিকট গিয়ে এ কথা আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। তাদের থেকে সে কিছুই শোনেনি। সে তো ছিল একজন ভিক্ষুক। বিধ্বংসকারী জারিফের* অর্থাৎ মহামারীর সময় লোকেদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতো।


(.../...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ... হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, অন্ধ আবূ দাউদ কাতাদাহ্ (রহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। সে চলে গেলে লোকেরা বললো যে, আবূ দাউদ দাবী করে যে, সে আঠার জন বাদরী (বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী) সাহাবার সাথে সাক্ষাৎ করেছে। এ কথা শুনে কাতাদাহ্ (রহঃ) বললেন, সে তো জারিফ মহামারীর পূর্বে ভিক্ষা করে বেড়াত। সে হাদীস শিক্ষা করার এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করার সুযোগ পায়নি। আল্লাহর কসম! হাসান বাসরী (রহঃ) সরাসরি কোন বাদরী সাহাবা থেকে আমাদেরকে হাদীস শোনাননি। সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) সা’দ ইবনু মালিক সা’দ ইবনু আবী ওয়াককাস (রাঃ) ছাড়া অন্য কোন বাদরী সাহাবা থেকে প্রত্যক্ষভাবে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেননি।


(.../...) উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) বলেন, জারীর (রহঃ) রাকাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ জাফার আল হাশিমী আল মাদানী (রহঃ) সর্বমহল পরিক্ষীত কথাকে রসূলের হাদীস বলে প্রচার করতেন। সেগুলো প্রকৃতপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস নয়।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সুফইয়ান (রহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ইউনুস ইবনু উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, ’আমর ইবনু উবায়দ হাদীসের মধ্যে মিথ্যা বলত।


(.../...) ’আমর ইবনু ’আলী আবূ হাফস (রহঃ) ..... আমর ইবনু উবায়দ হাসান আল বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলিমদের) উপর অস্ত্র উঠায়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" আওফ (রহঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ আমর মিথ্যা বলেছে। সে এ হাসীদটিকে তার বদ ’আকীদার সাথে একত্রিত করার অপচেষ্টা করেছে**।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারীরী (রহঃ) এর হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আইয়ুব (সুখতিয়ানীর) সাহচর্যে থেকে তার কাছ থেকে হাদীস শুনতো। একদিন আইয়ূব তাকে অনুপস্থিত দেখে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বললো, হে আবূ বকর। (আইয়ুবের উপনাম) সে তো আজকাল আমর ইবনু উবায়দের সাথে থাকে। হাম্মাদ বলেন, এর মধ্যে একদিন সকালে আমি আইয়ুবের সাথে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঐ লোকটি তার সামনে এলো। আইয়ূব তাকে সালাম করে তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তাকে বললেন, আমি জানতে পারলাম, তুমি না কি বর্তমানে ঐ ব্যক্তির সাহচর্যে আছো? হাম্মাদ বলেন, তিনি তার নাম উল্লেখ করে বললেন, "আমরের সাহচর্যে? সে বললো, হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। হে আবূ বকর! সে তো আমাদের আশ্চর্য ও অশ্রুপূর্ব কথা শোনায়। হাম্মাদ বলেন, আইয়ুব তাকে বললেন, আমরা এ ধরনের আশ্চর্যজনক কথাবার্তা থেকে এড়িয়ে চলি, অথবা বললেন, দূরে সরে থাকি।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... হাম্মাদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আইয়ূব (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ’আমর ইবনু উবায়দ হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না। তা কি ঠিক? তখন আইয়ুব বললেন, ’আমর ইবনু উবায়দ মিথ্যা বলেছে। আমি হাসান (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে শাস্তি দেয়া হবে।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى فَجَعَلَ يَقُولُ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، ‏.‏ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِقَتَادَةَ فَقَالَ كَذَبَ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ سَائِلاً يَتَكَفَّفُ النَّاسَ زَمَنَ طَاعُونِ الْجَارِفِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، قَالَ دَخَلَ أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى عَلَى قَتَادَةَ فَلَمَّا قَامَ قَالُوا إِنَّ هَذَا يَزْعُمُ أَنَّهُ لَقِيَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ بَدْرِيًّا ‏.‏ فَقَالَ قَتَادَةُ هَذَا كَانَ سَائِلاً قَبْلَ الْجَارِفِ لاَ يَعْرِضُ فِي شَىْءٍ مِنْ هَذَا وَلاَ يَتَكَلَّمُ فِيهِ ‏.‏ فَوَاللَّهِ مَا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً ‏.‏ وَلاَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً إِلاَّ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ رَقَبَةَ، أَنَّ أَبَا جَعْفَرٍ الْهَاشِمِيَّ الْمَدَنِيَّ، كَانَ يَضَعُ أَحَادِيثَ كَلاَمَ حَقٍّ وَلَيْسَتْ مِنْ أَحَادِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَرْوِيهَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ يَكْذِبُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَ بْنَ مُعَاذٍ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ قَالَ كَذَبَ وَاللَّهِ عَمْرٌو وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَحُوزَهَا إِلَى قَوْلِهِ الْخَبِيثِ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ قَدْ لَزِمَ أَيُّوبَ وَسَمِعَ مِنْهُ فَفَقَدَهُ أَيُّوبُ فَقَالُوا يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ قَدْ لَزِمَ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ فَبَيْنَا أَنَا يَوْمًا مَعَ أَيُّوبَ وَقَدْ بَكَّرْنَا إِلَى السُّوقِ فَاسْتَقْبَلَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ أَيُّوبُ وَسَأَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَيُّوبُ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَزِمْتَ ذَاكَ الرَّجُلَ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ سَمَّاهُ ‏.‏ يَعْنِي عَمْرًا ‏.‏ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ يَجِيئُنَا بِأَشْيَاءَ غَرَائِبَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ أَيُّوبُ إِنَّمَا نَفِرُّ أَوْ نَفْرَقُ مِنْ تِلْكَ الْغَرَائِبِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ زَيْدٍ، - يَعْنِي حَمَّادًا - قَالَ قِيلَ لأَيُّوبَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ رَوَى عَنِ الْحَسَنِ قَالَ لاَ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏ فَقَالَ كَذَبَ أَنَا سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏

حدثني الفضل بن سهل، قال حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا همام، قال قدم علينا ابو داود الاعمى فجعل يقول حدثنا البراء، قال وحدثنا زيد بن ارقم، ‏.‏ فذكرنا ذلك لقتادة فقال كذب ما سمع منهم انما كان ذلك ساىلا يتكفف الناس زمن طاعون الجارف ‏.‏ وحدثني حسن بن علي الحلواني، قال حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا همام، قال دخل ابو داود الاعمى على قتادة فلما قام قالوا ان هذا يزعم انه لقي ثمانية عشر بدريا ‏.‏ فقال قتادة هذا كان ساىلا قبل الجارف لا يعرض في شىء من هذا ولا يتكلم فيه ‏.‏ فوالله ما حدثنا الحسن عن بدري مشافهة ‏.‏ ولا حدثنا سعيد بن المسيب عن بدري مشافهة الا عن سعد بن مالك ‏.‏ حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن رقبة، ان ابا جعفر الهاشمي المدني، كان يضع احاديث كلام حق وليست من احاديث النبي صلى الله عليه وسلم وكان يرويها عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حدثنا الحسن الحلواني، قال حدثنا نعيم بن حماد، قال ابو اسحاق ابراهيم بن محمد بن سفيان وحدثنا محمد بن يحيى، قال حدثنا نعيم بن حماد، حدثنا ابو داود الطيالسي، عن شعبة، عن يونس بن عبيد، قال كان عمرو بن عبيد يكذب في الحديث ‏.‏ حدثني عمرو بن علي ابو حفص، قال سمعت معاذ بن معاذ، يقول قلت لعوف بن ابي جميلة ان عمرو بن عبيد حدثنا عن الحسن، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من حمل علينا السلاح فليس منا ‏"‏ قال كذب والله عمرو ولكنه اراد ان يحوزها الى قوله الخبيث ‏.‏ وحدثنا عبيد الله بن عمر القواريري، حدثنا حماد بن زيد، قال كان رجل قد لزم ايوب وسمع منه ففقده ايوب فقالوا يا ابا بكر انه قد لزم عمرو بن عبيد ‏.‏ قال حماد فبينا انا يوما مع ايوب وقد بكرنا الى السوق فاستقبله الرجل فسلم عليه ايوب وساله ثم قال له ايوب بلغني انك لزمت ذاك الرجل ‏.‏ قال حماد سماه ‏.‏ يعني عمرا ‏.‏ قال نعم يا ابا بكر انه يجيىنا باشياء غراىب ‏.‏ قال يقول له ايوب انما نفر او نفرق من تلك الغراىب ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا ابن زيد، - يعني حمادا - قال قيل لايوب ان عمرو بن عبيد روى عن الحسن قال لا يجلد السكران من النبيذ ‏.‏ فقال كذب انا سمعت الحسن يقول يجلد السكران من النبيذ ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Affān bin Muslim narrated to us, Hammām narrated to us, he said, Abū Dāwud al-A’mā came to us and began saying:
‘Al-Barā’ [bin Āzib, the Companion] narrated to us’; he said: ‘Zayd bin Arqam narrated to us’- and he mentioned that [those chains] to Qatādah. [Qatādah] said ‘He lied; he did not hear from them. He would beg the people asking [about Ḥadīth] at the time of the plague’ [circa 67H].

Hasan bin Alī al-Hulwānī narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, Hammām informed us, he said ‘Abū Dāwud al-A’mā entered upon Qatādah and when he stood, they said:
‘Indeed this one alleges he has met eighteen of the warriors of the battle of Badr’. Qatādah said: ‘This one was barely asking [about Ḥadīth] before the plague; he did not attend to anything from [seeking Ḥadīth] and he did not speak [to any scholars] regarding it. By Allah, al-Hasan did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary; and Sa’īd bin al-Musayyib did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary except from Sa’d bin Mālik’.

Uthmān bin Abī Shaybah narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Raqabah that ‘Abū Ja’far al-Hāshimī al-Madanī was fabricating narrations with words of truth, and they were not from the narrations of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, though he was transmitting them on authority of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him.’

Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said Nu’aym bin Hammād narrated to us, he said Abū Ishāq Ibrāhīm bin Muhammad bin Sufyān said; and Muhammad bin Yahyā narrated to us, he said, Nu’aym bin Hammād narrated to us, Abū Dāwud at-Tayālisī narrated to us, on authority of Shu’bah, on authority of Yūnus bin Ubayd, he said:
‘Amr bin Ubayd would lie regarding Ḥadīth’.

Amr bin Alī Abū Hafs narrated to me, he said I heard Mu’ādh bin Mu’ādh saying, I said to Awf bin Abī Jamīlah ‘Indeed Amr bin Ubayd narrated to us on authority of al-Hasan that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘Whoever carries arms against us then he is not from us’. [Awf bin Abī Jamīlah] said ‘Amr lied, by Allah. Rather he intended it as a way to permit his filthy opinion.’

Ubayd Allah bin Umar al-Qawārīrī narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, he said:
‘A man kept company with Ayyūb and listened [to Ḥadīth] from him, but then Ayyūb did not find him [one day]. [When Ayyūb asked, the people] said: ‘Oh Abā Bakr, indeed he keeps company with Amr bin Ubayd [now]’. Hammād said: ‘One day we were with Ayyūb, and we went to the market early in the morning. A man came to meet Ayyūb so he gave Salām to him, asked how he was doing, and then Ayyūb said to him: ‘It reached me that you kept company with that man’. Hammād said: ‘[Ayyūb] designated him, that is to say ‘Amr’.’ [The man] said: ‘Yes, Oh Abā Bakr. Indeed he came to us with strange things [i.e. reports]’. Ayyūb said to him: ‘Indeed we flee…’ or ‘…we fear from these strange things [transmissions]’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, Ibn Zayd, rather Hammād, narrated to us, he said, it was said to Ayyūb, ‘Indeed Amr bin Ubayd transmitted on authority of al-Hasan that he said:
‘There is no flogging the one who gets drunk from Nabīdh’.’ [Ayyūb] said: ‘He lied, for I heard al-Hasan saying, ‘Flog the one who gets drunk from Nabīdh’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ গুরুতর অপরাধ

(১/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... রিবাঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আলী (রাযিঃ)-কে খুৎবার মধ্যে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না, কেননা যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না এবং ইবনু বাশশারের সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

باب فِي التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا، - رضى الله عنه - يَخْطُبُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ يَكْذِبْ عَلَىَّ يَلِجِ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا غندر، عن شعبة، ح وحدثنا محمد بن المثنى، وابن، بشار قالا حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن منصور، عن ربعي بن حراش، انه سمع عليا، - رضى الله عنه - يخطب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا تكذبوا على فانه من يكذب على يلج النار ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Warning about Lying Upon the Messenger of Allah [peace and blessings of Allah upon him]


Abū Bakr ibn Abī Shaybah narrated to us that Ghundar narrated to us, on authority of Shu’bah; and Muhammad bin ul-Muthannā and Ibn Bashār both narrated to us, they said: Muhammad bin Ja’far narrated to us, Shu’bah narrated to us, on authority of Mansūr, on authority of Rab’iy ibn Hirāsh, that he heard Alī, may Allah be pleased with him, giving a Khutbah and he said that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said: ‘Do not lie upon me; indeed whoever lies upon me will enter the Fire’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ গুরুতর অপরাধ

(২/...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, তোমাদের কাছে অধিক সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করা থেকে যা আমাকে বিরত রাখে তা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন নিজের বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।

باب فِي التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّهُ لَيَمْنَعُنِي أَنْ أُحَدِّثَكُمْ حَدِيثًا كَثِيرًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ تَعَمَّدَ عَلَىَّ كَذِبًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني زهير بن حرب، حدثنا اسماعيل، - يعني ابن علية - عن عبد العزيز بن صهيب، عن انس بن مالك، انه قال انه ليمنعني ان احدثكم حديثا كثيرا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من تعمد على كذبا فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Warning about Lying Upon the Messenger of Allah [peace and blessings of Allah upon him]


Zuhayr bin Harb narrated to me, Ismā’īl, rather, Ibn Ulayyah narrated to us, on authority of Abd il-Azīz ibn Suhayb, on authority of Anas bin Mālik, that he said:
‘Indeed what prevents me from relating to you a great number of Ḥadīth is that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said: ‘Whoever intends to lie upon me, then let him take his seat in the Fire.’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ গুরুতর অপরাধ

(৩/...) মুহাম্মাদ ইবনু উবায়দ আল গুবারী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্ধারণ করে নেয়।

باب فِي التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن عبيد الغبري، حدثنا ابو عوانة، عن ابي حصين، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Warning about Lying Upon the Messenger of Allah [peace and blessings of Allah upon him]


Muhammad bin Ubayd il-Ghubarī narrated to us, Abū Awānah narrated to us, on authority of Abī Hasīn, on authority of Abī Sālih, on authority of Abū Hurayrah, he said, the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘Whoever lies upon me intentionally, then let him take his seat in the Fire’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ গুরুতর অপরাধ

(৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আলী ইবনু রাবী’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, "একদা আমি (কুফার) মসজিদে এলাম। এ সময় মুগীরাহ (রাযিঃ) কুফার আমীর ছিলেন।" মুগীরাহ (রাযিঃ) বলেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমার প্রতি মিথ্যারোপ করা তোমাদের কারো প্রতি মিথ্যারোপ করার মত নয়। যে ব্যক্তি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্ধারণ করে নেয়।


(.../...) ’আলী ইবনু হুজ্‌র আস্ সাদী (রহঃ) ..... মুগীরাহ ইবনু শুবাহ্ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, তবে "আমার প্রতি মিথ্যারোপ করা তোমাদের কারো প্রতি মিথ্যারোপ করার মত নয়" বাক্যটি তিনি উল্লেখ করেননি।

باب فِي التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ رَبِيعَةَ، قَالَ أَتَيْتُ الْمَسْجِدَ وَالْمُغِيرَةُ أَمِيرُ الْكُوفَةِ قَالَ فَقَالَ الْمُغِيرَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ كَذِبًا عَلَىَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ فَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ الأَسَدِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ الأَسَدِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ "‏ إِنَّ كَذِبًا عَلَىَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي، حدثنا سعيد بن عبيد، حدثنا علي بن ربيعة، قال اتيت المسجد والمغيرة امير الكوفة قال فقال المغيرة سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ان كذبا على ليس ككذب على احد فمن كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏ وحدثني علي بن حجر السعدي، حدثنا علي بن مسهر، اخبرنا محمد بن قيس الاسدي، عن علي بن ربيعة الاسدي، عن المغيرة بن شعبة، عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثله ولم يذكر ‏ "‏ ان كذبا على ليس ككذب على احد ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Warning about Lying Upon the Messenger of Allah [peace and blessings of Allah upon him]


Muhammad bin Abd Allah ibn Numayr narrated to us, my father narrated to us, Sa’īd bin Ubayd narrated to us, Alī bin Rabī’ah narrated to us, he said:
‘I arrived at the Masjid and al-Mughīrah, the Amīr of al-Kūfah said: ‘I heard the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, saying, ‘Indeed a lie upon me is not like a lie upon anyone else, for whoever lies upon me intentionally, then he shall take his seat in the Fire’.’


Alī bin Hujr as-Sa’dī narrated to us, Alī bin Mushir narrated to us, Muhammad bin Qays il-Asadī informed us, on authority of Alī ibn Rabī’at al-Asadī, on authority of al-Mughīrat ibn Shu’bah, on authority of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him a similar narration, however he did not mention the words ‘Indeed a lie upon me is not like a lie upon anyone else’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু রাবী'আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৩.যা শুনে তা বর্ণনা করা নিষিদ্ধ

(৫/...) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) ..... হাফস ইবনু আসিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়। মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ)-এর সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।


(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।


(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ উসমান আন নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায়।


(.../...) আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর (রহঃ) ..... ইবনু ওয়াহব (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মালিক (রহঃ) আমাকে বলেছেন, জেনে রাখ, যদি কোন ব্যক্তি যা শোনে তা বলে বেড়ায় তবে সে (মিথ্যা হতে) নিরাপদ নয়। আর যে ব্যক্তি যা শোনে তা বলে বেড়ায় সে কখনো ইমাম হবে না।


(../...) ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা বলে বেড়ায়।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রাযিঃ)-কে (যিনি হাদীসের একজন বড় ইমাম) বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তি অনুসরণযোগ্য ইমাম হতে পারবে না, যে পর্যন্ত সে শোনা কথা কতক (মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা) বর্ণনা করা থেকে বিরত না থাকবে।


(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... সুফইয়ান ইবনু হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত। ইয়াস ইবনু মুআবিয়াহ্ (রহঃ) আমাকে বললেন, অবশ্যই আমি দেখছি যে, তুমি কুরআন সম্পৰ্কীয় ইলম হাসিলে (ইলমে তাফসীর) বেশ পরিশ্রম করেছে। তুমি আমাকে একটি সূরাহ পড়ে শোনাও এবং তার তাফসীর কর। যাতে আমি দেখতে পারি, তোমার ইলম কতটুকু হলো। সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। অতঃপর ইয়াস (রহঃ) আমাকে বললেন, আমি তোমাকে যা বলছি তা স্মরণ রাখবে। তুমি দোষ-ত্রুটি সম্পন্ন হাদীস বর্ণনা থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, যে এ কাজ করে সে নিজেকে লাঞ্ছিত করেছে এবং হাদীস বর্ণনায় সে মিথ্যাবাদী বলে প্রতিপন্ন হয়েছে।


(.../...) আবূ তাহির এবং হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তুমি কোন সম্প্রদায়ের কাছে এমন কোন হাদীস বর্ণনা করবে, যা তাদের বুঝে আসে না তখন তা তাদের কারো কারো পক্ষে ফিতনাহ হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রত্যেককে তার জ্ঞানের পরিধি অনুযায়ী কথা শুনানো উচিত।

باب النَّهْىِ عَنِ الْحَدِيثِ، بِكُلِّ مَا سَمِعَ

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ ‏"‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ ذَلِكَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله تعالى عنه بِحَسْبِ الْمَرْءِ مِنَ الْكَذِبِ أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ لِي مَالِكٌ اعْلَمْ أَنَّهُ لَيْسَ يَسْلَمُ رَجُلٌ حَدَّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ وَلاَ يَكُونُ إِمَامًا أَبَدًا وَهُوَ يُحَدِّثُ بِكُلِّ مَا سَمِعَ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بِحَسْبِ الْمَرْءِ مِنَ الْكَذِبِ أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ لاَ يَكُونُ الرَّجُلُ إِمَامًا يُقْتَدَى بِهِ حَتَّى يُمْسِكَ عَنْ بَعْضِ مَا سَمِعَ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ مُقَدَّمٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، قَالَ سَأَلَنِي إِيَاسُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ إِنِّي أَرَاكَ قَدْ كَلِفْتَ بِعِلْمِ الْقُرْآنِ فَاقْرَأْ عَلَىَّ سُورَةً وَفَسِّرْ حَتَّى أَنْظُرَ فِيمَا عَلِمْتَ ‏.‏ قَالَ فَفَعَلْتُ ‏.‏ فَقَالَ لِيَ احْفَظْ عَلَىَّ مَا أَقُولُ لَكَ إِيَّاكَ وَالشَّنَاعَةَ فِي الْحَدِيثِ فَإِنَّهُ قَلَّمَا حَمَلَهَا أَحَدٌ إِلاَّ ذَلَّ فِي نَفْسِهِ وَكُذِّبَ فِي حَدِيثِهِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ مَا أَنْتَ بِمُحَدِّثٍ قَوْمًا حَدِيثًا لاَ تَبْلُغُهُ عُقُولُهُمْ إِلاَّ كَانَ لِبَعْضِهِمْ فِتْنَةً ‏.‏

وحدثنا عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي ح، وحدثنا محمد بن المثنى، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، قالا حدثنا شعبة، عن خبيب بن عبد الرحمن، عن حفص بن عاصم، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كفى بالمرء كذبا ان يحدث بكل ما سمع ‏"‏ ‏.‏ وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا علي بن حفص، حدثنا شعبة، عن خبيب بن عبد الرحمن، عن حفص بن عاصم، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثل ذلك ‏.‏ وحدثنا يحيى بن يحيى، اخبرنا هشيم، عن سليمان التيمي، عن ابي عثمان النهدي، قال قال عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه بحسب المرء من الكذب ان يحدث بكل ما سمع ‏.‏ وحدثني ابو الطاهر، احمد بن عمرو بن عبد الله بن عمرو بن سرح قال اخبرنا ابن وهب، قال قال لي مالك اعلم انه ليس يسلم رجل حدث بكل ما سمع ولا يكون اماما ابدا وهو يحدث بكل ما سمع ‏.‏ حدثنا محمد بن المثنى، قال حدثنا عبد الرحمن، قال حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن ابي الاحوص، عن عبد الله، قال بحسب المرء من الكذب ان يحدث بكل ما سمع ‏.‏ وحدثنا محمد بن المثنى، قال سمعت عبد الرحمن بن مهدي، يقول لا يكون الرجل اماما يقتدى به حتى يمسك عن بعض ما سمع ‏.‏ وحدثنا يحيى بن يحيى، اخبرنا عمر بن علي بن مقدم، عن سفيان بن حسين، قال سالني اياس بن معاوية فقال اني اراك قد كلفت بعلم القران فاقرا على سورة وفسر حتى انظر فيما علمت ‏.‏ قال ففعلت ‏.‏ فقال لي احفظ على ما اقول لك اياك والشناعة في الحديث فانه قلما حملها احد الا ذل في نفسه وكذب في حديثه ‏.‏ وحدثني ابو الطاهر، وحرملة بن يحيى، قالا اخبرنا ابن وهب، قال اخبرني يونس، عن ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، ان عبد الله بن مسعود، قال ما انت بمحدث قوما حديثا لا تبلغه عقولهم الا كان لبعضهم فتنة ‏.‏

Chapter: The Prohibition of Narrating Everything One Hears


Ubayd Allah bin Mu’ādh al-Anbarī narrated to us, my father narrated to us; and Muhammad bin ul-Muthannā narrated to us, Abd ur-Rahman bin Mahdī both narrated to us:
Shu’bah narrated to us, on authority of Khubayb bin Abd ir-Rahman, on authority of Hafs bin Āsim, on authority of Abī Hurayrah, he said, the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said: ‘It is enough of a lie for a man to narrate everything he hears’.


Abū Bakr bin Abī Shaybah narrated to us, Alī bin Hafs narrated to us, Shu’bah narrated to us, on authority of Khubayb bin Abd ir-Rahman, on authority of Hafs bin Āsim, on authority of Abī Hurayrah, on authority of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, the same as that.


Yahyā bin Yahyā narrated to us, Hushaym informed us, on authority of Sulaymān at-Taymī, on authority of Abī Uthmān an-Nahdī, he said, Umar bin ul-Khattāb, may Allah be pleased with him, said:
‘It is enough of a lie for a man that he narrates everything he hears’.

Abūt-Tāhir Ahmad bin Amr bin Sarh narrated to me, he said, Ibn Wahb narrated to us, he said, Mālik said to me:
‘Know that a man who relates everything he hears is not safe, and he can never be an Imām, as long as he narrates everything he hears’.

Muhammad bin ul-Muthannā narrated to us, he said Abd ur-Rahman narrated to us, he said Sufyān narrated to us, on authority of Abī Ishāq, on authority of Abīl-Ahwas, on authority of Abd Illah, he said:
‘It is enough of a lie for a man that he narrates everything he hears’.

Muhammad bin ul-Muthannā narrated to us, he said I heard Abd ar-Rahman bin Mahdī saying:
‘A man cannot be an Imām whose example is followed until he withholds from some of what he hears’.


Yahyā bin Yahyā narrated to us, Umar bin Alī bin Muqaddam informed us, on authority of Sufyān bin Husayn, he said:
‘Iyās bin Mu’āwiyah asked me saying: ‘Indeed I see that you love knowledge of the Qur’ān, so recite for me a Sūrah and explain it until I can reflect on what you know’. [Sufyān] said, so I did that, and [Iyās] said to me: ‘Memorize from me what I am about to say to you- Beware of abominations in Ḥadīth for indeed rarely does anyone convey them except he lowers himself and his Ḥadīth are denied’.’


Abūt-Tāhir and Harmalah bin Yahyā narrated to me, they said Ibn Wahb narrated to us, he said Yūnus informed me, on authority of Ibn Shihāb, on authority of Ubayd Allah bin Abd Allah bin Utbah, that Abd Allah bin Mas’ūd said:
‘It is the case that you do not relate to the people a narration which their minds cannot grasp except that it becomes a Fitnah for some of them’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৪. য’ঈফ রাবীর হাদীস বর্ণনা করা নিষিদ্ধ এবং হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা ।

(৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ শেষ যুগে আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে যারা তোমাদের এমন এমন হাদীস শোনাবে যা তোমরা কিংবা তোমাদের পূর্বপুরুষরা কেউ কখনো শোননি। অতএব, তোমরা তাদের সংসর্গ থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরও তোমাদের থেকে দূরে রাখবে।

باب النَّهْىِ عَنِ الرِّوَايَةِ، عَنِ الضُّعَفَاءِ، وَالاِحْتِيَاطِ، فِي تَحَمُّلِهَا

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ سَيَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي أُنَاسٌ يُحَدِّثُونَكُمْ مَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلاَ آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني محمد بن عبد الله بن نمير، وزهير بن حرب، قالا حدثنا عبد الله بن يزيد، قال حدثني سعيد بن ابي ايوب، قال حدثني ابو هانى، عن ابي عثمان، مسلم بن يسار عن ابي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ سيكون في اخر امتي اناس يحدثونكم ما لم تسمعوا انتم ولا اباوكم فاياكم واياهم ‏"‏ ‏.‏

Chapter: The Weak Narrators, Liars, and Those Whose Hadith are Avoided


Muhammad bin Abd Allah bin Numayr and Zuhayr bin Harb narrated to me, they said Abd Allah bin Yazīd narrated to us, he said Sa’īd bin Abī Ayyūb narrated to me, he said Abū Hāni’ narrated to me, on authority of Uthmān Muslim bin Yasār, on authority of Abī Hurayrah, on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, he said: ‘There will be in the last of my nation a people narrating to you what you nor your fathers heard, so beware of them’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction

পরিচ্ছেদঃ ৪. য’ঈফ রাবীর হাদীস বর্ণনা করা নিষিদ্ধ এবং হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা ।

(৭/...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আবদুল্লাহ ইবনু হারমালাহ ইবনু ইমরান আত তুজীবী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ শেষ যুগে কিছু সংখ্যক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব হাদীস বর্ণনা করবে যা কখনো তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা শোননি। সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকে তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের বিভ্রান্ত না করতে পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় না ফেলতে পারে।


(.../...) আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শয়তান মানুষের আকৃতিতে লোকের কাছে আসে এবং মিথ্যা হাদীস শোনায়। পরে লোকেরা সেখান থেকে পৃথক হয়ে চলে যায়। তারপর তাদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বলে, আমি এমন এক ব্যক্তিকে হাদীস বলতে শুনেছি, যার চেহারা দেখলে চিনবো কিন্তু তার নাম জানি না।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, সমুদ্রের মধ্যে বহু শইতান বন্দী হয়ে আছে। সুলাইমান (আঃ) এগুলোকে বন্দী করেছিলেন। শীঘ্রই এগুলো সেখান থেকে বের হয়ে পড়বে এবং লোকদেরকে কুরআন পাঠ করে শোনাবে।[1]


(../.) মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাস ও সাঈদ ইবনু আমর আল আশ’আসী (রহঃ) ..... তাউস (রহঃ) হতে বর্ণিত। একবার বুশায়র ইবনু কা’ব নামক এক ব্যক্তি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগলো। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস আবার পড়। সে আবার সেগুলো পড়লো। এরপর সে আরো কিছু হাদীস তাকে শোনালো। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস পুনরায় পড়। সে তা আবার পড়লো। তারপর সে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বললো, আমি বুঝতে পারলাম না, আপনি কি আমার বর্ণিত ঐ ক’টি হাদীস অগ্রাহ্য করে অবশিষ্ট হাদীসগুলোর স্বীকৃতি দান করলেন না কি ঐ কটি হাদীসকে স্বীকৃতি দিয়ে বাকী হাদীসগুলো প্রত্যাখ্যান করলেন। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করতাম যখন তার নামে মিথ্যা হাদীস বলা হতো না। কিন্তু এখন লোকেরা যখন গলদ ও সঠিক সব পথে চলতে শুরু করেছে[2] তখন আমরা হাদীস বর্ণনা করা ছেড়ে দিয়েছি।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আমরা হাদীস সংরক্ষণ করতাম। আর হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ থেকেই সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু এখন তোমরা মন্দ ও সঠিক সব ধরনের পথে চলতে আরম্ভ করেছো, ফলে তোমাদের থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে।


(.../...) আবূ আইয়ুব সুলাইমান ইবনু উবাইদুল্লাহ আল গাইলানী (রহঃ) ..... মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদা বুশায়র ইবনু কা’ব আল আদাবী প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ..... মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তার হাদীসের প্রতি কৰ্ণপাত করলেন না এবং তার দিকে ভ্ৰক্ষেপও করলেন না। তখন বুশায়র (রহঃ) বললেনঃ হে ইবনু "আব্বাস (রাযিঃ) কি হলো! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস শোনাচ্ছি, আর আপনি তো শুনছেন না। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এক সময় আমার অবস্থা এমন ছিল যে, যখন আমরা শুনতাম কোন ব্যক্তি বলছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন, তখনই তার দিকে আমাদের দৃষ্টি পড়তো এবং আমরা তার দিকে কান দিতাম। কিন্তু যখন থেকে (সাহাবাগণের পরে) লোকেরা দুর্গম ও সরল সব রকম পথে চলতে লাগল। (অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ রিওয়ায়াত শুরু করল, তখন থেকে আমরা যাদেরকে বিশুদ্ধ বলে চিনি তাদের ছাড়া কারো কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করি না।


(.../...) দাউদ ইবনু আমর আয যাব্বী (রহঃ) ...... ইবনু আবূ মুলাইকাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে লিখে পাঠালাম, তিনি যেন আমাকে একখানা কিতাব লিখে দেন, কিন্তু তাতে যেন বিতর্কিত বিষয়গুলোর উল্লেখ না থাকে। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ছেলেটি কল্যাণকামী। আমি তার জন্য বিষয় নির্বাচন করে লিখে পাঠাব এবং কিছু ফিতনাহ সৃষ্টিকারী কথা গোপন রাখব। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আলী (রাযিঃ) এর লিপিবদ্ধ ফায়সালাসমূহ আনালেন। তারপর তিনি তা থেকে লেখা শুরু করলেন এবং কোন কোন অংশ দেখে বললেন, আল্লাহর কসম আলী (রাযিঃ) এ ধরনের ফায়সালা করতে পারেন না।[3] আর তিনি করে থাকলে ভুল করেছেন।


(.../...) ’আমর আন্‌ নাকিদ (রহঃ) তাউস (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট একখানা কিতাব আনা হলো। এতে লিপিবদ্ধ ছিল ’আলী (রাযিঃ) এর কতক বিচারের রায়। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তা থেকে সামান্যতম রেখে বাকীটা নষ্ট করে দিলেন। বর্ণনাকারী সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ (রহঃ) নিজের হাতের দিকে ইশারা করে পরিমাণ দেখালেন (অর্থাৎ এক হাত পরিমাণ বহাল রেখেছেন)।


(.../...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আলী (রাযিঃ)-এর পরে লোকেরা যখন তার নামে নতুন নতুন বিষয়ে বর্ণনা দেয়া শুরু করল, তখন তার জনৈক ছাত্র আক্ষেপের সাথে বললেন, আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন কী মূল্যবান ইলমকে এরা বিকৃত করে দিল।[4]


(.../...) আলী ইবনু খাশরাম (রহঃ) ..... মুগীরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর ছাত্রদের সত্যায়ন ব্যতীত যারা আলী (রাযিঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে হাদীস বর্ণনা করতেন, তাদের সে বর্ণনা সত্য বলে গৃহীত হতো না।

باب النَّهْىِ عَنِ الرِّوَايَةِ، عَنِ الضُّعَفَاءِ، وَالاِحْتِيَاطِ، فِي تَحَمُّلِهَا

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ شَرَاحِيلَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ يَأْتُونَكُمْ مِنَ الأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلاَ آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لاَ يُضِلُّونَكُمْ وَلاَ يَفْتِنُونَكُمْ ‏"‏ ‏.‏
وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبَدَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَتَمَثَّلُ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مِنَ الْكَذِبِ فَيَتَفَرَّقُونَ فَيَقُولُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ سَمِعْتُ رَجُلاً أَعْرِفُ وَجْهَهُ وَلاَ أَدْرِي مَا اسْمُهُ يُحَدِّثُ ‏.‏
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ إِنَّ فِي الْبَحْرِ شَيَاطِينَ مَسْجُونَةً أَوْثَقَهَا سُلَيْمَانُ يُوشِكُ أَنْ تَخْرُجَ فَتَقْرَأَ عَلَى النَّاسِ قُرْآنًا ‏.‏
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ جَاءَ هَذَا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - يَعْنِي بُشَيْرَ بْنَ كَعْبٍ - فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَعَادَ لَهُ ثُمَّ حَدَّثَهُ فَقَالَ لَهُ عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَعَادَ لَهُ فَقَالَ لَهُ مَا أَدْرِي أَعَرَفْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ وَأَنْكَرْتَ هَذَا أَمْ أَنْكَرْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ وَعَرَفْتَ هَذَا فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا كُنَّا نُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ لَمْ يَكُنْ يُكْذَبُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ تَرَكْنَا الْحَدِيثَ عَنْهُ ‏.‏
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا كُنَّا نَحْفَظُ الْحَدِيثَ وَالْحَدِيثُ يُحْفَظُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا إِذْ رَكِبْتُمْ كُلَّ صَعْبٍ وَذَلُولٍ فَهَيْهَاتَ ‏.‏
وَحَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغَيْلاَنِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، - يَعْنِي الْعَقَدِيَّ - حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ جَاءَ بُشَيْرٌ الْعَدَوِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَجَعَلَ يُحَدِّثُ وَيَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ يَأْذَنُ لِحَدِيثِهِ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ مَا لِي لاَ أَرَاكَ تَسْمَعُ لِحَدِيثِي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَسْمَعُ ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا كُنَّا مَرَّةً إِذَا سَمِعْنَا رَجُلاً يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْتَدَرَتْهُ أَبْصَارُنَا وَأَصْغَيْنَا إِلَيْهِ بِآذَانِنَا فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ لَمْ نَأْخُذْ مِنَ النَّاسِ إِلاَّ مَا نَعْرِفُ ‏.‏
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ أَنْ يَكْتُبَ، لِي كِتَابًا وَيُخْفِي عَنِّي ‏.‏ فَقَالَ وَلَدٌ نَاصِحٌ أَنَا أَخْتَارُ لَهُ الأُمُورَ اخْتِيَارًا وَأُخْفِي عَنْهُ ‏.‏ قَالَ فَدَعَا بِقَضَاءِ عَلِيٍّ فَجَعَلَ يَكْتُبُ مِنْهُ أَشْيَاءَ وَيَمُرُّ بِهِ الشَّىْءُ فَيَقُولُ وَاللَّهِ مَا قَضَى بِهَذَا عَلِيٌّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ ضَلَّ ‏.‏
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ أُتِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِكِتَابٍ فِيهِ قَضَاءُ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - فَمَحَاهُ إِلاَّ قَدْرَ ‏.‏ وَأَشَارَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ بِذِرَاعِهِ ‏.‏
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ لَمَّا أَحْدَثُوا تِلْكَ الأَشْيَاءَ بَعْدَ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - قَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ أَىَّ عِلْمٍ أَفْسَدُوا ‏.‏
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ، - يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ - قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ يَصْدُقُ عَلَى عَلِيٍّ - رضى الله عنه - فِي الْحَدِيثِ عَنْهُ إِلاَّ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏

وحدثني حرملة بن يحيى بن عبد الله بن حرملة بن عمران التجيبي، قال حدثنا ابن وهب، قال حدثني ابو شريح، انه سمع شراحيل بن يزيد، يقول اخبرني مسلم بن يسار، انه سمع ابا هريرة، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يكون في اخر الزمان دجالون كذابون ياتونكم من الاحاديث بما لم تسمعوا انتم ولا اباوكم فاياكم واياهم لا يضلونكم ولا يفتنونكم ‏"‏ ‏.‏ وحدثني ابو سعيد الاشج، حدثنا وكيع، حدثنا الاعمش، عن المسيب بن رافع، عن عامر بن عبدة، قال قال عبد الله ان الشيطان ليتمثل في صورة الرجل فياتي القوم فيحدثهم بالحديث من الكذب فيتفرقون فيقول الرجل منهم سمعت رجلا اعرف وجهه ولا ادري ما اسمه يحدث ‏.‏ وحدثني محمد بن رافع، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن ابن طاوس، عن ابيه، عن عبد الله بن عمرو بن العاص، قال ان في البحر شياطين مسجونة اوثقها سليمان يوشك ان تخرج فتقرا على الناس قرانا ‏.‏ وحدثني محمد بن عباد، وسعيد بن عمرو الاشعثي، جميعا عن ابن عيينة، - قال سعيد اخبرنا سفيان، - عن هشام بن حجير، عن طاوس، قال جاء هذا الى ابن عباس - يعني بشير بن كعب - فجعل يحدثه فقال له ابن عباس عد لحديث كذا وكذا ‏.‏ فعاد له ثم حدثه فقال له عد لحديث كذا وكذا ‏.‏ فعاد له فقال له ما ادري اعرفت حديثي كله وانكرت هذا ام انكرت حديثي كله وعرفت هذا فقال له ابن عباس انا كنا نحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ لم يكن يكذب عليه فلما ركب الناس الصعب والذلول تركنا الحديث عنه ‏.‏ وحدثني محمد بن رافع، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن ابن طاوس، عن ابيه، عن ابن عباس، قال انما كنا نحفظ الحديث والحديث يحفظ عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فاما اذ ركبتم كل صعب وذلول فهيهات ‏.‏ وحدثني ابو ايوب، سليمان بن عبيد الله الغيلاني حدثنا ابو عامر، - يعني العقدي - حدثنا رباح، عن قيس بن سعد، عن مجاهد، قال جاء بشير العدوي الى ابن عباس فجعل يحدث ويقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فجعل ابن عباس لا ياذن لحديثه ولا ينظر اليه فقال يا ابن عباس ما لي لا اراك تسمع لحديثي احدثك عن رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا تسمع ‏.‏ فقال ابن عباس انا كنا مرة اذا سمعنا رجلا يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ابتدرته ابصارنا واصغينا اليه باذاننا فلما ركب الناس الصعب والذلول لم ناخذ من الناس الا ما نعرف ‏.‏ حدثنا داود بن عمرو الضبي، حدثنا نافع بن عمر، عن ابن ابي مليكة، قال كتبت الى ابن عباس اساله ان يكتب، لي كتابا ويخفي عني ‏.‏ فقال ولد ناصح انا اختار له الامور اختيارا واخفي عنه ‏.‏ قال فدعا بقضاء علي فجعل يكتب منه اشياء ويمر به الشىء فيقول والله ما قضى بهذا علي الا ان يكون ضل ‏.‏ حدثنا عمرو الناقد، حدثنا سفيان بن عيينة، عن هشام بن حجير، عن طاوس، قال اتي ابن عباس بكتاب فيه قضاء علي - رضى الله عنه - فمحاه الا قدر ‏.‏ واشار سفيان بن عيينة بذراعه ‏.‏ حدثنا حسن بن علي الحلواني، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا ابن ادريس، عن الاعمش، عن ابي اسحاق، قال لما احدثوا تلك الاشياء بعد علي - رضى الله عنه - قال رجل من اصحاب علي قاتلهم الله اى علم افسدوا ‏.‏ حدثنا علي بن خشرم، اخبرنا ابو بكر، - يعني ابن عياش - قال سمعت المغيرة، يقول لم يكن يصدق على علي - رضى الله عنه - في الحديث عنه الا من اصحاب عبد الله بن مسعود ‏.‏

Chapter: The Weak Narrators, Liars, and Those Whose Hadith are Avoided


Muhammad bin Abd Allah bin Numayr and Zuhayr bin Harb narrated to me, they said Abd Allah bin Yazīd narrated to us, he said Sa’īd bin Abī Ayyūb narrated to me, he said Abū Hāni’ narrated to me, on authority of Uthmān Muslim bin Yasār, on authority of Abī Hurayrah, on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, he said:
‘There will be in the last of my nation a people narrating to you what you nor your fathers heard, so beware of them’.

Harmalah bin Yahyā bin Abd Allah bin Harmalah bin Imrān at-Tujībī narrated to me, he said Ibn Wahb narrated to us, he said Abū Shurayh narrated to me that he heard Sharāhīl bin Yazīd saying ‘Muslim bin Yasār informed me that he heard Abā Hurayrah saying, the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘There will be in the end of time charlatan liars coming to you with narrations that you nor your fathers heard, so beware of them lest they misguide you and cause you tribulations’.’

Abū Sa’īd al-Ashajj narrated to me, Wakī’ narrated to us, al-A’mash narrated to us, on authority of al-Musayyab bin Rāfi’, on authority of Āmir bin Abdah, he said, Abd Allah [bin Mas’ūd] said:
‘Indeed Satan will appear in the form of a man and he will come to the people, narrating to them false Ḥadīth, and they will then depart. Then a man among them will say: ‘I heard a man whose face I recognize but I do not know his name narrating [such and such]…’

Muhammad bin Rāfi’ narrated to me, Abd ur-Razzāq narrated to us, Ma’mar informed us, on authority of Ibn Tāwus, on authority of his father, on authority Abd Allah bin Amr bin al-Ās, he said:
‘Indeed in the sea are devils chained up, whom Sulaymān shackled and they are at the point of emerging. Then they will recite a Qur’ān upon the people.’

Muhammad bin Abbād and Sa’īd bin Amr al-Ash’athī narrated to me on authority of Ibn Uyaynah; Sa’īd said Sufyān informed us on authority of Hishām bin Hujayr, on authority of Tāwus, he said (Bushayr bin Ka’b) came to Ibn Abbās so he set about narrating to him. Ibn Abbās said to him:
‘Go back to such-and-such narration‘. Then [Bushayr] returned to it and narrated it. So [Ibn Abbās] said to him: ‘Go back to such-and-such narration’. Then [Bushayr] returned to it and narrated it. Thus [Bushayr] said to him: ‘I do not know whether you know all of my Ḥadīth and you reject this one and that, or if you reject all of my Ḥadīth and know this one and that?’ Ibn Abbās said to him: ‘Indeed we would be narrated to on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, at a time when one would not lie upon him, however when the people took the difficult [Munkar] and the docile [Sahīh], we abandoned listening to Ḥadīth from them’.

Muhammad bin Rāfi’ narrated to me, Abd ur-Razzāq narrated to us, Ma’mar informed us, on authority of Ibn Tāwus, on authority of his father, on authority of Ibn Abbās, he said:
‘Indeed we would take Ḥadīth and they would be taken on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him. However if you take every difficult and docile [narration] then how far that is [from being upright]!

Abū Ayyūb Sulaymān bin Ubayd Allah al-Ghaylānī narrated to us, Abū Āmir, meaning al-Aqadī, narrated to us, Rabāh narrated to us, on authority of Qays bin Sa’d, on authority of Mujāhid, he said Bushayr ul-Adawī came to Ibn Abbās then he set about narrating to him, saying:
‘The Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’, ‘the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’. Then it seemed that Ibn Abbās was not listening to his Ḥadīth and not reflecting on them, so [Bushayr] said: ‘Oh Ibn Abbās, why is it that I see you not listening to my Ḥadīth? I narrate to you on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, however you are not listening’. Ibn Abbās said: ‘Indeed once upon a time we would listen to a man saying, ‘the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’ rushing towards him with our eyes and harkening towards him with our ears; then when the people took the difficult and the docile we no longer took from people except those whom we knew’.

Dāwud bin Amr aḍ-Ḍabbī narrated to us, Nāfi’ bin Umar narrated to us, on authority of Ibn Abī Mulaykah, he said:
‘I wrote to Ibn Abbās asking him to write something [pertaining to knowledge] for me and he withheld from me quite a bit, and said: ‘As [if he were] a sincere child, I will write for him something especially suited to his status withholding from him what would not benefit him’. [Ibn Abī Mulaykah] said: ‘So [Ibn Abbās] called for the judgment of Alī [bin Abī Tālib which was a book with which Alī would pass verdicts in Kuffah], and he began to write from it [with respect to the request of Ibn Abī Mulaykah] and he came upon something [not appropriate to the station of Alī regarding the science of verdicts]. So [Ibn Abbās] said: ‘By Allah, Alī did not give judgment according to this unless he was astray’.’

Amr an-Nāqid narrated to us, Sufyān bin Uyaynah narrated to us, on authority of Hishām bin Hujayr, on authority of Tāwus, he said:
‘A book was brought to Ibn Abbās which contained the verdicts of Alī, may Allah be pleased with him, and he effaced but a small amount,’ and Sufyān bin Uyaynah indicated with his arm [the amount].

Hasan bin Alī al-Hulwānī narrated to us, Yahyā bin Ādam narrated to us, Ibn Idrīs narrated to us, on authority of al-A’mash, on authority of Abī Ishāq who said:
‘When they narrated these things after Alī, may Allah be pleased with him, a man from the companions of Alī said: ‘May Allah curse them. Did they corrupt every [type of] knowledge!?’

Alī bin Khashram narrated to us, Abū Bakr, meaning Ibn Ayyāsh, informed us, he said ‘I heard al-Mughīrah saying:
‘There are no Ḥadīth on authority of Alī, may Allah be pleased with him, that are confirmed except from the companions of Abd Allah bin Mas’ūd.’


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة) Introduction
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে