পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ’আত্তাব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, ’আফফান (রহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা সৎ ব্যক্তিদের অন্য কোন বস্তুর ব্যাপারে এতখানি মিথ্যা বলতে দেখিনি যতখানি দেখেছি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে। ইবনু আবূ আত্তাব (রহঃ) বলেন, আমি সরাসরি মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি তার পিতার সূত্রে বললেন, তুমি পুণ্যবান লোকদেরকে হাদীস বর্ণনার চাইতে অন্য কিছুতেই অধিক মিথ্যা বলতে দেখবে না। ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, মিথ্যা তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তারা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন না।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, খলীফাহ ইবনু মূসা (রহঃ) বলেছেন, আমি গালিব ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে হাদীস লিখাতে গিয়ে বললেন, মাকহুল (রহঃ) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এমন সময় তার প্রস্রাবের বেগ হলো। তিনি প্রস্রাব করতে চলে গেলেন। আমি এ অবসরে তার পাণ্ডুলিপিখানির প্রতি তাকিয়ে দেখলাম। তাতে লেখা রয়েছে, আবান (রহঃ) আনাস (রহঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আবান (রহঃ) অমুকের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ দেখে (মাকহুলের উল্লেখ না পেয়ে) আমি তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ না করে চলে এলাম।

তিনি [মুসলিম (রহঃ)] বলেন, আমি হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানীকে বলতে শুনেছি, আমি আফফান (রহঃ) এর গ্রন্থে আবূল মিকদাম হিশামের হাদীস দেখেছি, যা তিনি উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রহঃ) বলেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, তাকে অমুকের পুত্র ইয়াহইয়া (রহঃ) বলা হয়। তিনি মুহাম্মাদ ইবনু কাবের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হুলওয়ানী বলেন, আমি আফফান (রহঃ) কে বললাম, লোকেরা বলে হিশাম না কি মুহাম্মাদ ইবনু কাব (রহঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছেন। আফফান (রহঃ) বললেন, এ হাদীসটির কারণেই হিশাম বিপাকে পড়েছেন। তিনি এ হাদীসটির সনদে বলতেন, ইয়াহইয়া (রহঃ) আমাকে মুহাম্মাদের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে তিনি দাবী করেন যে, স্বয়ং মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে তিনি এ হাদীস শুনেছেন।


(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু জাবালাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে বললাম, ঐ ব্যক্তিটি কে যার থেকে আপনি "ঈদুল ফিতরের দিন পুরস্কার লাভের দিন" সম্পর্কিত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রহঃ) এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন? জবাবে ইবনু মুবারাক (রহঃ) বললেন, তিনি হলেন, সুলাইমান ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ)। ইবনু মুবারাক (রহঃ) আরো বললেন, লক্ষ্য করো আমি তার মারফত কী এক মূল্যবান বস্তু তোমার হাতে তুলে দিয়েছি।

ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “কারো শরীর থেকে এক দিরহাম পরিমাণ রক্ত বের হলে (তার ওযু নষ্ট হয়ে যাওয়া)" সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনাকার রাওহ ইবনু গুতায়ফ (রহঃ) কে দেখে আমি তার এক মাজলিসে বসলাম। আমার সঙ্গীদের কেউ আমাকে তার কাছে বসা অবস্থায় দেখে ফেলার লজ্জার আশঙ্কা করছিলাম। কেননা লোকেরা তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা পছন্দ করে না।


(.../...) ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাকিয়্যাহ (রহঃ) সত্যবাদী লোক। কিন্তু সে (সিকাহ য’ঈফ) সব ধরনের লোকের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (এ কারণে মুহাদ্দিসীনগণ তাকে য’ঈফ বা দুর্বল বলেছেন।)


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আল হামদানী আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছে কিন্তু সে ছিল মিথ্যাবাদী।


(.../...) আবূ আমির আবদুল্লাহ ইবনু বারুরাদ আল আশ’আরী (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে। এরপর শা’বী (রহঃ) শপথ করে বলেন, সে মিথ্যাবাদীদের অন্যতম।


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আলকামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি দু’বছরে কুরআন মজীদ পড়েছি। এ কথা শুনে হরিস বললো, কুরআন সহজ কিন্তু ওয়াহী কঠিন।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস বলেছে, আমি তিন বছরে কুরআন শিখেছি এবং ওয়াহী শিখেছি দু’বছরে। অথবা সে বলেছে, ওয়াহী শিখেছি তিন বছরে এবং কুরআন শিখেছি দু’বছরে।


(.../...) হাজ্জাজ (ইবনু শাইর) (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। (শী’আ মিথ্যাবাদী ও ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অনুসারী বলে )


(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... হামযাহ আল যাইয়্যাত (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুররাতুল হামদানী (রহঃ) হারিস (রহঃ) এর কাছ থেকে দীন বিরোধী কিছু কথা শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, তুমি দরজায় বস। রাবী বলেন, মুররাহ (রহঃ) ঘরে প্রবেশ করে হাতে তরবারি তুলে নিলেন। রাবী বলেন, মন্দ পরিণতি ঘটতে পারে, এ আশঙ্কায় হারিস তখন পলায়ন করল।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ইবরাহীম (নাখ’ঈ) (রহঃ) আমাদের নিকট বললেন, তোমরা মুগীরাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ও আবূ আবদুর রহীমের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থেকো। কেননা তারা উভয়ই মিথ্যাবাদী।


(.../...) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ..... আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আবূ ’আবদুর রহমান সুলামী (রহঃ) এর কাছে যাওয়া আসা করতাম। এ সময় আমরা ছিলাম বয়সে তরুণ। তিনি আমাদের বলতেন, আবূল আহওয়াস ছাড়া অন্য কোন কিসসা-কাহিনীকারদের সাথে ওঠাবসা করো না। আর অবশ্যই তোমরা শাকীক থেকে সতর্ক থাকবে। কেননা এ শাকীক খারিজীদের আকীদাহ পোষণ করে। তবে আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) এ শাকীক নন।


(.../...) আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনু আমর আর রায়ী (রহঃ) বলেন, আমি জারীর (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি জাবির ইবনু ইয়াযীদ জুকীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কোন হাদীস লিখিনি, কেননা সে রাজ’আতে* বিশ্বাসী ছিল।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) বলেন, জাবির ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) তিনি নতুন মতবাদ আবিষ্কারের আগে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتَّابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَفَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ نَرَ الصَّالِحِينَ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏
قَالَ ابْنُ أَبِي عَتَّابٍ فَلَقِيتُ أَنَا مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ فَقَالَ عَنْ أَبِيهِ، لَمْ تَرَ أَهْلَ الْخَيْرِ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ يَقُولُ يَجْرِي الْكَذِبُ عَلَى لِسَانِهِمْ وَلاَ يَتَعَمَّدُونَ الْكَذِبَ

حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنِي خَلِيفَةُ بْنُ مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى غَالِبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَجَعَلَ يُمْلِي عَلَىَّ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، فَأَخَذَهُ الْبَوْلُ فَقَامَ فَنَظَرْتُ فِي الْكُرَّاسَةِ فَإِذَا فِيهَا حَدَّثَنِي أَبَانٌ عَنْ أَنَسٍ وَأَبَانٌ عَنْ فُلاَنٍ فَتَرَكْتُهُ وَقُمْتُ ‏.‏

قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيَّ، يَقُولُ رَأَيْتُ فِي كِتَابِ عَفَّانَ حَدِيثَ هِشَامٍ أَبِي الْمِقْدَامِ حَدِيثُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ هِشَامٌ حَدَّثَنِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ يَحْيَى بْنُ فُلاَنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قُلْتُ لِعَفَّانَ إِنَّهُمْ يَقُولُونَ هِشَامٌ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا ابْتُلِيَ مِنْ قِبَلِ هَذَا الْحَدِيثِ كَانَ يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدٍ ثُمَّ ادَّعَى بَعْدُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ جَبَلَةَ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي رَوَيْتَ عَنْهُ، حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏"‏ يَوْمُ الْفِطْرِ يَوْمُ الْجَوَائِزِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ الْحَجَّاجِ ‏.‏ انْظُرْ مَا وَضَعْتَ فِي يَدِكَ مِنْهُ ‏.‏

قَالَ ابْنُ قُهْزَاذَ وَسَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ زَمْعَةَ، يَذْكُرُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ رَأَيْتُ رَوْحَ بْنَ غُطَيْفٍ صَاحِبَ ‏"‏ الدَّمِ قَدْرِ الدِّرْهَمِ ‏"‏ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ مَجْلِسًا فَجَعَلْتُ أَسْتَحْيِي مِنْ أَصْحَابِي أَنْ يَرَوْنِي جَالِسًا مَعَهُ كُرْهَ حَدِيثِهِ

حَدَّثَنِي ابْنُ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ وَهْبًا، يَقُولُ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ بَقِيَّةُ صَدُوقُ اللِّسَانِ وَلَكِنَّهُ يَأْخُذُ عَمَّنْ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ الْهَمْدَانِيُّ، وَكَانَ، كَذَّابًا

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُفَضَّلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قَالَ عَلْقَمَةُ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ الْحَارِثُ الْقُرْآنُ هَيِّنٌ الْوَحْىُ أَشَدُّ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، قَالَ تَعَلَّمْتُ الْقُرْآنَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْوَحْىَ فِي سَنَتَيْنِ - أَوْ قَالَ الْوَحْىَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، اتُّهِمَ

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، قَالَ سَمِعَ مُرَّةُ الْهَمْدَانِيُّ، مِنَ الْحَارِثِ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ اقْعُدْ بِالْبَابِ ‏.‏ قَالَ فَدَخَلَ مُرَّةُ وَأَخَذَ سَيْفَهُ - قَالَ - وَأَحَسَّ الْحَارِثُ بِالشَّرِّ فَذَهَبَ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ قَالَ لَنَا إِبْرَاهِيمُ إِيَّاكُمْ وَالْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ وَأَبَا عَبْدِ الرَّحِيمِ فَإِنَّهُمَا كَذَّابَانِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيَّ وَنَحْنُ غِلْمَةٌ أَيْفَاعٌ فَكَانَ يَقُولُ لَنَا لاَ تُجَالِسُوا الْقُصَّاصَ غَيْرَ أَبِي الأَحْوَصِ وَإِيَّاكُمْ وَشَقِيقًا ‏.‏ قَالَ وَكَانَ شَقِيقٌ هَذَا يَرَى رَأْىَ الْخَوَارِجِ وَلَيْسَ بِأَبِي وَائِلٍ

حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرًا، يَقُولُ لَقِيتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ الْجُعْفِيَّ فَلَمْ أَكْتُبْ عَنْهُ كَانَ يُؤْمِنُ بِالرَّجْعَةِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، مَا أَحْدَثَ

وحدثني محمد بن ابي عتاب، قال حدثني عفان، عن محمد بن يحيى بن سعيد القطان، عن ابيه، قال لم نر الصالحين في شىء اكذب منهم في الحديث ‏.‏ قال ابن ابي عتاب فلقيت انا محمد بن يحيى بن سعيد القطان، فسالته عنه فقال عن ابيه، لم تر اهل الخير في شىء اكذب منهم في الحديث ‏.‏ قال مسلم يقول يجري الكذب على لسانهم ولا يتعمدون الكذب حدثني الفضل بن سهل، قال حدثنا يزيد بن هارون، قال اخبرني خليفة بن موسى، قال دخلت على غالب بن عبيد الله فجعل يملي على حدثني مكحول، حدثني مكحول، فاخذه البول فقام فنظرت في الكراسة فاذا فيها حدثني ابان عن انس وابان عن فلان فتركته وقمت ‏.‏ قال وسمعت الحسن بن علي الحلواني، يقول رايت في كتاب عفان حديث هشام ابي المقدام حديث عمر بن عبد العزيز قال هشام حدثني رجل يقال له يحيى بن فلان عن محمد بن كعب قال قلت لعفان انهم يقولون هشام سمعه من محمد بن كعب ‏.‏ فقال انما ابتلي من قبل هذا الحديث كان يقول حدثني يحيى عن محمد ثم ادعى بعد انه سمعه من محم حدثني محمد بن عبد الله بن قهزاذ، قال سمعت عبد الله بن عثمان بن جبلة، يقول قلت لعبد الله بن المبارك من هذا الرجل الذي رويت عنه، حديث عبد الله بن عمرو ‏"‏ يوم الفطر يوم الجواىز ‏"‏ ‏.‏ قال سليمان بن الحجاج ‏.‏ انظر ما وضعت في يدك منه ‏.‏ قال ابن قهزاذ وسمعت وهب بن زمعة، يذكر عن سفيان بن عبد الملك، قال قال عبد الله يعني ابن المبارك رايت روح بن غطيف صاحب ‏"‏ الدم قدر الدرهم ‏"‏ وجلست اليه مجلسا فجعلت استحيي من اصحابي ان يروني جالسا معه كره حديثه حدثني ابن قهزاذ، قال سمعت وهبا، يقول عن سفيان، عن ابن المبارك، قال بقية صدوق اللسان ولكنه ياخذ عمن اقبل وادبر حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن مغيرة، عن الشعبي، قال حدثني الحارث الاعور الهمداني، وكان، كذابا حدثنا ابو عامر عبد الله بن براد الاشعري، حدثنا ابو اسامة، عن مفضل، عن مغيرة، قال سمعت الشعبي، يقول حدثني الحارث الاعور، وهو يشهد انه احد الكاذبين ‏.‏ حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن مغيرة، عن ابراهيم، قال قال علقمة قرات القران في سنتين ‏.‏ فقال الحارث القران هين الوحى اشد ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا احمد، - يعني ابن يونس - حدثنا زاىدة، عن الاعمش، عن ابراهيم، ان الحارث، قال تعلمت القران في ثلاث سنين والوحى في سنتين - او قال الوحى في ثلاث سنين والقران في سنتين وحدثني حجاج، قال حدثني احمد، - وهو ابن يونس - حدثنا زاىدة، عن منصور، والمغيرة، عن ابراهيم، ان الحارث، اتهم وحدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا جرير، عن حمزة الزيات، قال سمع مرة الهمداني، من الحارث شيىا فقال له اقعد بالباب ‏.‏ قال فدخل مرة واخذ سيفه - قال - واحس الحارث بالشر فذهب ‏.‏ وحدثني عبيد الله بن سعيد، حدثنا عبد الرحمن، - يعني ابن مهدي - حدثنا حماد بن زيد، عن ابن عون، قال قال لنا ابراهيم اياكم والمغيرة بن سعيد وابا عبد الرحيم فانهما كذابان حدثنا ابو كامل الجحدري، حدثنا حماد، - وهو ابن زيد - قال حدثنا عاصم، قال كنا ناتي ابا عبد الرحمن السلمي ونحن غلمة ايفاع فكان يقول لنا لا تجالسوا القصاص غير ابي الاحوص واياكم وشقيقا ‏.‏ قال وكان شقيق هذا يرى راى الخوارج وليس بابي واىل حدثنا ابو غسان، محمد بن عمرو الرازي قال سمعت جريرا، يقول لقيت جابر بن يزيد الجعفي فلم اكتب عنه كان يومن بالرجعة حدثنا الحسن الحلواني، حدثنا يحيى بن ادم، حدثنا مسعر، قال حدثنا جابر بن يزيد، قبل ان يحدث، ما احدث

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Muhammad bin Abī Attāb narrated to me, he said Affān narrated to me, on authority of Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, on authority of his father, he said:
‘We do not see the righteous more false in anything than they are regarding Ḥadīth’.

Ibn Abī Attāb said: ‘So Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān and I met and I asked him about it and he said on authority of his father: ‘You will not see the people of good (Ahl ul-Khayr) more false in anything than they are regarding Ḥadīth.’ Muslim said: ‘He was saying that falsehood flows upon their tongues although they do not intend to lie’.

Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, he said Khalīfah bin Mūsā informed me, he said:
‘I entered upon Ghālib bin Ubayd Allah so he began dictating to me ‘Mak’hūl narrated to me this’ and ‘Mak’hūl narrated to me that’. So he prepared to answer the call of nature and stood up, then I looked in his notebook and in it was ‘Abān narrated to me, on authority of Anas’ and ‘Abān on authority of so-and-so’. So I abandoned [listening to his Ḥadīth] and stood up [to leave]’.

I heard al-Hasan bin Alī al-Hulwānī saying: ‘I saw in one of the books of Affān a Ḥadīth of Hishām Abīl-Miqdām meaning a Ḥadīth of Umar bin Abd il-Azīz. [In it was written] ‘Hishām said: ‘A man said to be Yahyā bin so-and-so narrated to me, on authority of Muhammad bin Ka’b…’ [Al-Hulwānī] said, I said to Affān: ‘They would say Hishām heard it [directly] from Muhammad bin Ka’b’. So [Affān] said: ‘Indeed Hishām was stricken [with accusations of lying] with regards to this Ḥadīth for he would say ‘Yahyā narrated to me on authority of Muhammad’, then he claimed afterwards that he heard it from Muhammad [directly]’.’

Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh narrated to me, he said I heard Abd Allah bin Uthmān bin Jabalah saying, I said to Abd Allah bin al-Mubārak:
‘Who is this man from whom you transmit the Ḥadīth of Abd Allah bin Amr, ‘The day of Fitr is the day of prizes…’?’ [Abd Allah] said: ‘Sulaymān bin al-Hajjāj. Look at what I placed in your hands [of praise] about him’.

Ibn Quhzādh said I heard Wahb bin Zam’ah mentioning about Sufyān bin Abd il-Mālik, he said, Abd Allah –meaning Ibn al-Mubārak- said: ‘I saw Rawh bin Ghutayf, the companion of blood the amount of a Dirham , and I took a seat in one of his audiences. Then I began to become ashamed for my companions to see me sitting with him while his Ḥadīth are disapproved of.’

Ibn Quhzādh narrated to me, he said, I heard Wahb [bin Zam’ah] saying, on authority of Sufyān [bin Abd il-Mālik], on authority of Ibn al-Mubārak, he said:
‘Baqiyyah [bin al-Walīd] is truthful of tongue however he transmits [Ḥadīth] from those who approach [the Muhaddithīn, i.e. are trustworthy] and from those who turn their backs on [the Muhaddithīn, i.e. and are weak]’.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of ash-Sha’bī, he said:
‘al-Hārith al-A’war ul-Hamdānī narrated to me, and he is a liar’.

Abū Āmir Abd Allah bin Barrād al-Ash’arī narrated to us, Abū Usāmah narrated to us, on authority of Mufaḍḍal, on authority of Mughīrah, he said I heard ash-Sha’bī saying:
‘al-Hārith al-A’war narrated to me,’ and he [ash-Sha’bī] was testifying that he was one of the liars’.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of Ibrāhīm [bin Yazīd an-Nakhā’ī], he said, Alqamah said:
‘I memorized the Qur’ān in two years’. Al-Hārith said: ‘The Qur’ān is easy; the revelation [i.e. the secret revelation to Alī in the belief of the Shī’ah] is more difficult ’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Ahmad- meaning Ibn Yūnus- narrated to us, Zā’idah narrated to us, on authority of al-A’mash, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith said:
‘I studied the Qur’ān for three years and the revelation for two years’; or he said: ‘…the revelation in three years and the Qur’ān in two years ’.

Hajjāj narrated to me, he said Ahmad- and he is Ibn Yūnus- narrated to me, Zā’idah narrated to us, on authority of Mansūr and al-Mughīrah, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith was imputed.

Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Hamzah az-Zayyāt, he said:
‘Murrah al-Hamdānī heard something from al-Hārith and said to him: ‘sit by the door’. [Hamzah] said: ‘So Murrah went inside and took his sword and al-Hārith sensed evil and left’.

Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to me, Abd ur-Rahman- meaning Ibn Mahdī- narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ibn Awn, he said, Ibrāhīm said to us:
‘Beware of al-Mughīrah bin Sa’īd and Abū Abd ar-Rahīm for they are both liars’.

Abū Kāmil al-Jahdarī narrated to us, Hammād- and he is Ibn Zayd- narrated to us, he said Āsim [bin Bahdalah] narrated to us, he said:
‘We would catch up with Abū Abd ar-Rahman as-Sulamī and at the time we were young men, so he would say to us: ‘Do not sit with story-tellers other than Abūl-Ahwas and beware of Shaqīq [Abū Abd ar-Rahīm]’. [Muslim] said: ‘This Shaqīq held the view of the Khawārij and is not Abū Wā’il [Shaqīq bin Salamah, the righteous Tabi’ī]’.

Abū Ghassān Muhammad bin Amr ar-Rāzī narrated to us, he said, I heard Jarīr [bin Abd al-Hamīd bin Qurt aḍ-Ḍabbī] saying:
‘I met Jābir bin Yazīd al-Ju’fī and did not write [Ḥadīth] from him; he believed in ar-Raj’ah’ [A Rāfiḍī belief regarding Alī returning].

Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, Yahyā bin Ādam narrated to us, Mis’ar narrated to us, he said:
‘Jābir bin Yazīd narrated to us before there took place what happened [i.e. before his false beliefs] ’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة)