পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আলী ইবনু মুসহির বলেছেন, আমি ও হামযাহ্ আয যাইয়্যাত আবান ইবনু আবূ ’আইয়্যাশ থেকে প্রায় এক হাজার হাদীস শুনেছি। ’আলী বলেন, একদিন আমি হামযার সাথে সাক্ষাৎ করলে, তিনি আমাকে অবহিত করলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন এবং আবান থেকে যে সমস্ত হাদীস শুনেছিলেন তা (স্বপ্লের মধ্যে) তাকে শুনিয়েছেন। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামান্য কটি অর্থাৎ পাঁচটি বা ছয়টি ছাড়া একটিরও স্বীকৃতি দেননি।


(.../..) আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, যাকারিয়্যা ইবনু আদী বলেন, আবূ ইসহাক আল ফাযারী আমাকে বলেছেন, যে, বাকিয়্যাহ্ (নামক রাবী) যে সব হাদীস প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের কাছ থেকে বর্ণনা করে, শুধু সেগুলো লিখে নাও এবং যে সব হাদীস অখ্যাত ও অপরিচিত লোকদের থেকে বর্ণনা করে তা লিখো না। কিন্তু ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ এর কোন হাদীসই গ্রহণ করো না, তা পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি থেকেই হোক অপরিচিত ও অখ্যাত ব্যক্তিদের থেকেই হোক।


(.../...) ইসহাক ইবনু আল হানযালী (রহঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) এর কোন এক ছাত্রের কাছে শুনেছি যে, ইবনু মুবারক (রহঃ) বলেছেন, বাকিয়্যাহ উত্তম ব্যক্তিই ছিলেন, যদি তার মধ্যে একটি দোষ না থাকতো। তিনি রাবীর (বর্ণনাকারী) নামকে কুনইয়্যাত (ডাক নাম) এবং কুনইয়াতকে নাম দ্বারা প্রকাশ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আবূ সাঈদ উহাযীর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে আমরা খোজ নিয়ে জানলাম যে, উহাযী হলেন সে আবদুল কুদ্দুস (যাকে হাদীস বিশারদগণ বর্জন করেছেন)।


(.../...) আহমাদ ইবনু ইউসুফ আয্‌দী বলেন, আমি আবদুর রাযযাককে বলতে শুনেছি আমি ইবনু মুবারক (রহঃ) কে সুস্পষ্ট ভাষায় ’আবদুল কুদ্দুস ছাড়া আর কেউকে মিথ্যাবাদী বলতে দেখিনি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, আবদুল কুদ্দুস চরম মিথ্যাবাদী।


(.../...) আহমাদ ইবনু আবদুর রহমান আদ দারিমী বলেন, আবূ নুআয়ম একদা মু’আল্লা ইবনু ইরফান এর আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন, মু’আল্লা বলেছে যে, আবূ ওয়ায়িল আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, সিফফীনের যুদ্ধে ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা শুনে আবূ নুআয়ম বললেন, তোমার কী ধারণা, তিনি কি মৃত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন?*

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَا وَحَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، مِنْ أَبَانَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ نَحْوًا مِنْ أَلْفِ حَدِيثٍ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ فَلَقِيتُ حَمْزَةَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَنَامِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَا سَمِعَ مِنْ أَبَانَ فَمَا عَرَفَ مِنْهَا إِلاَّ شَيْئًا يَسِيرًا خَمْسَةً أَوْ سِتَّةً ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ اكْتُبْ عَنْ بَقِيَّةَ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْهُ مَا رَوَى عَنْ غَيْرِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ عَنْ غَيْرِهِمْ، ‏.‏

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ بَعْضَ، أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ نِعْمَ الرَّجُلُ بَقِيَّةُ لَوْلاَ أَنَّهُ كَانَ يَكْنِي الأَسَامِيَ وَيُسَمِّي الْكُنَى كَانَ دَهْرًا يُحَدِّثُنَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْوُحَاظِيِّ فَنَظَرْنَا فَإِذَا هُوَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّزَّاقِ، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ يُفْصِحُ بِقَوْلِهِ كَذَّابٌ إِلاَّ لِعَبْدِ الْقُدُّوسِ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَهُ كَذَّابٌ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نُعَيْمٍ، ‏.‏ وَذَكَرَ الْمُعَلَّى بْنَ عُرْفَانَ فَقَالَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا ابْنُ مَسْعُودٍ بِصِفِّينَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ أَتُرَاهُ بُعِثَ بَعْدَ الْمَوْتِ

وحدثنا سويد بن سعيد، حدثنا علي بن مسهر، قال سمعت انا وحمزة الزيات، من ابان بن ابي عياش نحوا من الف حديث ‏.‏ قال علي فلقيت حمزة فاخبرني انه راى النبي صلى الله عليه وسلم في المنام فعرض عليه ما سمع من ابان فما عرف منها الا شيىا يسيرا خمسة او ستة ‏.‏ حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن الدارمي، اخبرنا زكرياء بن عدي، قال قال لي ابو اسحاق الفزاري اكتب عن بقية، ما روى عن المعروفين، ولا تكتب عنه ما روى عن غير المعروفين، ولا تكتب عن اسماعيل بن عياش، ما روى عن المعروفين، ولا عن غيرهم، ‏.‏ وحدثنا اسحاق بن ابراهيم الحنظلي، قال سمعت بعض، اصحاب عبد الله قال قال ابن المبارك نعم الرجل بقية لولا انه كان يكني الاسامي ويسمي الكنى كان دهرا يحدثنا عن ابي سعيد الوحاظي فنظرنا فاذا هو عبد القدوس ‏.‏ وحدثني احمد بن يوسف الازدي، قال سمعت عبد الرزاق، يقول ما رايت ابن المبارك يفصح بقوله كذاب الا لعبد القدوس فاني سمعته يقول له كذاب ‏.‏ وحدثني عبد الله بن عبد الرحمن الدارمي، قال سمعت ابا نعيم، ‏.‏ وذكر المعلى بن عرفان فقال قال حدثنا ابو واىل، قال خرج علينا ابن مسعود بصفين ‏.‏ فقال ابو نعيم اتراه بعث بعد الموت

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Suwayd bin Sa’īd narrated to us, Alī bin Mus’hir narrated to us, he said:
‘Hamzah az-Zayyāt and I heard from Abān bin Abī Ayyāsh something like one thousand Ḥadīth’. Alī said: ‘So I met Hamzah then he informed me that he saw the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, [in a dream], and he produced for him what he heard from Abān. However he [the Prophet] didn’t recognize any except a small amount [like] five or six [Ḥadīth]’.

Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Zakariyyā’ bin Adī informed us, he said, Abū Ishāq al-Fazarī said to me:
‘Write from Baqiyyah what he transmits on authority of those who are well-known, and do not write from him what he transmits on authority of those who are not; do not write from Ismā’īl bin Ayyāsh what he transmits on authority of those who are well-known or otherwise ’.

Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī [bin Rāhwayh] narrated to us, he said, I heard one of the companions of Abd Allah [bin al-Mubārak] say, Ibn al-Mubārak said:
‘What an excellent man is Baqiyyah, if it were not for the fact that he would provide a nickname for [those who were better-known by] the birth name, and he would provide the birth name for [those who were better-known by] a nickname. For a long time he would narrated to us on authority of Abī Sa’īd al-Wuhāthī, then when we investigated [we were surprised that] he was Abd ul-Quddūs ’.

Ahmad bin Yūsuf al-Azdī narrated to me, he said, I heard Abd ar-Razzāq saying:
‘I did not see Ibn al-Mubārak express so plainly the charge of ‘lying’ except towards Abd ul-Quddūs; for indeed I heard him saying to him ‘[You are] a liar’.’

Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to me, he said:
‘I heard Abū Nu’aym and he mentioned al-Mu’allā bin Urfān, so [Abū Nu’aym] said, [al-Mu’allā] said: ‘Abū Wā’il narrated to us, he said ‘Ibn Mas’ūd attacked us on the day of Siffīn’. So Abū Nu’aym said: ‘Do you think he was raised after death? [Ibn Mas’ūd passed away in 32 or 33H, several years before the day in question]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة)