রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২০ টি

পরিচ্ছেদঃ ৬৩. কতকের অন্তর থেকে ঈমান ও আমানতদারী উঠিয়ে নেয়া এবং অন্তরে ফিতনার সৃষ্টি হওয়া

২৬৮। ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... রিবঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হুযায়ফা (রাঃ) উমর (রাঃ)-এর কাছ থেকে ফিরে এসে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। তিনি বললেন, গতকাল যখন আমি আমীরুল মুমিনীন উমর (রাঃ) এর কাছে বসা ছিলাম, তখন তাঁর সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমাদের মধ্যে কার ফিতনা সষ্পকীয় হাদীস স্মরণ আছে ...। এরপর রাবী আবূ খালিদ বর্ণিত পূর্বের হাদীসটির মত বর্ণনা করেন। তবে তিনি مُجَخِّيًا مُرْبَادًّا এর আবূ মালিক বর্ণিত ব্যাখ্যার উল্লেখ করেননি।

باب رَفْعِ الأَمَانَةِ وَالإِيمَانِ مِنْ بَعْضِ الْقُلُوبِ وَعَرْضِ الْفِتَنِ عَلَى الْقُلُوبِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ حُذَيْفَةُ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ جَلَسَ فَحَدَّثَنَا فَقَالَ إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمْسِ لَمَّا جَلَسْتُ إِلَيْهِ سَأَلَ أَصْحَابَهُ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتَنِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي خَالِدٍ وَلَمْ يَذْكُرْ تَفْسِيرَ أَبِي مَالِكٍ لِقَوْلِهِ ‏ "‏ مُرْبَادًّا مُجَخِّيًا ‏"‏ ‏.‏


It is narrated on the authority of Rib'i (b. Hirash). When Hudhaifa came from 'Umar he sat down to narrate to us and said: Verily yesterday when I was sitting with the Commander of the believers he asked his companions: When amongst you retains in his memory the utterance of the Messenger of Allah (ﷺ) with regard to the turmoil? -and he cited the hadith like the hadith narrated on the authority of Abu Khalid, but he did not mention the exposition of his words (Murbaddan) and (Mujakhiyyan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৩. কতকের অন্তর থেকে ঈমান ও আমানতদারী উঠিয়ে নেয়া এবং অন্তরে ফিতনার সৃষ্টি হওয়া

২৬৯। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না, আমর ইবনু আলী ও উকবা ইবনু মুকরাম আল আাম্মী (রহঃ) ... রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, একদিন উমর (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিতনা সম্পর্কে কি ইরশাদ করেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের কেউ আমাকে হাদীস বর্ণনা করতে পারবে? তখন হুযায়ফা (রাঃ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, আমি পারব ...। এরপর রিবঈ এর সুত্রে বর্ণিত আবূ মালিকের রেওয়ায়েতের অনুরুপ বর্ণনা করেন। তবে বর্ণনাকারী এ হাদীসে এও উল্লেখ করেন যে, হুযায়ফা (রাঃ) বলেছেন, আমি উমর (রাঃ) কে যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তা কোন বানোয়াট কথা নয় বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই তা বর্ণনা করেছি।

باب رَفْعِ الأَمَانَةِ وَالإِيمَانِ مِنْ بَعْضِ الْقُلُوبِ وَعَرْضِ الْفِتَنِ عَلَى الْقُلُوبِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ مَنْ يُحَدِّثُنَا أَوْ قَالَ أَيُّكُمْ يُحَدِّثُنَا - وَفِيهِمْ حُذَيْفَةُ - مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ قَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ حَدِيثِ أَبِي مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ حُذَيْفَةُ حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ وَقَالَ يَعْنِي أَنَّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


It is transmitted by Rib'i b. Hirash. who narrated it on the authority of Hudhaifa that verily 'Umar said: Who would narrate to us or who amongst you would narrate to us (and Hudhaifa was one amongst them) what the Messenger of Allah (ﷺ) had said about the turmoil? Hudhaifa said: I will, and recited the hadith like that transmitted by Abu Malik on the authority of Rib'i and he observed in connection with this hadith that Hudhaifa remarked: I am narrating to you a hadith and it has no mistake, and said: That it is transmitted from he Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরীবকে সময় দেওয়ার ফযীলত এবং ধনী ও গরীব দেনাদারের নিকট থেকে পাওনা আদায়ের ব্যপারে সহানুভূতি প্রদর্শন

৩৮৪৯। আলী ইবনু হুজর ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুযায়ফা (রাঃ) ও আবূ মাসঊদ (রাঃ) একত্রে মিলিত হল। হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, এক ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাথে মিলিত হয়। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি কি সৎকাজ করেছ? সে বলল, আমি তেমন কোন সৎকাজ করিনি; তবে আমি একজন ধনী লোক ছিলাম। আমি মানুষের সাথে লেন দেন করতাম। আমি সচ্ছলদের আপত্তি গ্রহন করতাম। আর গরীবদেরকে মাফ করে দিতাম। এরপর আল্লাহ নির্দেশ দিলেনঃ আমার বান্দাকে মাফ করে দাও। আবূ মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এরূপই বলতে শুনেছি।

باب فَضْلِ إِنْظَارِ الْمُعْسِرِ ‏‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ ‏ "‏ رَجُلٌ لَقِيَ رَبَّهُ فَقَالَ مَا عَمِلْتَ قَالَ مَا عَمِلْتُ مِنَ الْخَيْرِ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ رَجُلاً ذَا مَالٍ فَكُنْتُ أُطَالِبُ بِهِ النَّاسَ فَكُنْتُ أَقْبَلُ الْمَيْسُورَ وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمَعْسُورِ ‏.‏ فَقَالَ تَجَاوَزُوا عَنْ عَبْدِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏


Hudhaifa reported: A person met his Lord (after death) and He said: What (good) did you do? He said: I did no good except this that I was a rich man, and I demanded from the people (the repayment of debt that I advanced to them). I, however, accepted that which the solvent gave and remitted (the debt) of the insolvent, whereupon He (the Lord) said: You should ignore (the faults) of My servant. Abu Mas'ud (Allah be pleased with him) said: This is what I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দাজ্জাল, তার পরিচয় এবং তার সাথে যা থাকবে তার বিবরণ

৭১০৪। আলী ইবনু হুজর সা’দী ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুযায়ফা ও আবূ মাসউদ (রাঃ) একত্রিত হলেন। তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, দাজ্জালের সাথে যা থাকবে এ সম্পর্কে আমি তার থেকে অধিক জ্ঞাত। তার সাথে একটি পানির নহর এবং একটি আগুনের নহর থাকবে। যেটাকে তোমরা আগুন রূপে দেখতে পাবে সেটাই (হবে) পানি। আর যেটাকে তোমরা পানি (রূপে) দেখবে সেটাই হবে আগুন। তোমাদের কেউ যদি এ সময়কাল পায় এবং সে পানি পান করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন যা সে আগুন রূপে দেখতে পাবে তা থেকে পান করে। কেননা এখানেই সে পানি পাবে। বর্ণনাকারী আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি।

باب ذِكْرِ الدَّجَّالِ وَصِفَتِهِ وَمَا مَعَهُ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ، بْنِ حِرَاشٍ قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ ‏ "‏ لأَنَا بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ أَعْلَمُ مِنْهُ إِنَّ مَعَهُ نَهْرًا مِنْ مَاءٍ وَنَهْرًا مِنْ نَارٍ فَأَمَّا الَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ نَارٌ مَاءٌ وَأَمَّا الَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ مَاءٌ نَارٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَأَرَادَ الْمَاءَ فَلْيَشْرَبْ مِنَ الَّذِي يَرَاهُ أَنَّهُ نَارٌ فَإِنَّهُ سَيَجِدُهُ مَاءً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ هَكَذَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏


Hudhaifa and Ibn Mas'ud met together. Hudhaifa said: I know more than you as to what there would be along with the Dajjal. There would be along with him two canals (one flowing with water) and the other one (having) fire (within it), and what you would see as fire would be water and what you would see as water would be fire. So he who amongst you is able to see that and is desirous of water should drink out of that which he sees as fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪০: বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি গ্রহণ ও তার আদব-কায়দা

৩/৮৭৭। রিব্য়ী ইবনে হিরাশ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন বনু ’আমেরের একটা লোক আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, সে একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (প্রবেশ) অনুমতি চাইল। তখন তিনি বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং সে নিবেদন করল, ’আমি কি প্রবেশ করব?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় খাদেমকে বললেন, ’বাইরে গিয়ে এই লোকটিকে অনুমতি গ্রহণের পদ্ধতি শিখিয়ে দাও এবং তাকে বল, তুমি বল ’আসসালামু আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?’ সুতরাং লোকটা ঐ কথা শুনতে পেয়ে বলল, ’আসসালামু আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে প্রবেশ করল। (আবু দাঊদ, বিশুদ্ধ সূত্রে ) [1]

(140) بَابُ الاِسْتِئْذَانِ وَآدَابِهِ

وَعَنْ رِبْعِيِّ بنِ حِرَاشٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرٍ أنَّهُ اسْتَأذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيتٍ، فَقَالَ: أَأَلِجُ ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لِخَادِمِهِ: « أُخْرُجْ إِلَى هَذَا فَعَلِّمْهُ الاِسْتِئذَانَ، فَقُلْ لَهُ: قُلِ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، أَأَدْخُلُ ؟ » فَسَمِعَهُ الرَّجُلُ، فَقَالَ: السَّلامُ عَلَيْكُمْ، أَأَدْخُلُ ؟ فَأذِنَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ . رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

(140) Chapter: Seeking Permission to Enter (Someone's House) and Manners Relating to It


Rib'i bin Hirash (May Allah be pleased with him) reported: A man of Banu 'Amir tribe has told us that he had asked the Prophet (ﷺ) for permission to enter when he was at home. He said: "May I enter?" Messenger of Allah (ﷺ) said to the servant, "Go out and instruct him about the manner of seeking permission. Tell him to say: As-Salamu 'Alaikum (may you be safe from evil). May I come in?" The man heard this and said: "As-Salamu 'Alaikum (may you be safe from evil). May I come in?" The Prophet (ﷺ) then accorded permission to him and he entered in. [Abu Dawud]. Commentary: This Hadith teaches us manners of visiting a house. One should offer As-Salam to the host at the doorstep and then seek his permission to enter. Moreover, we are told to impart a religious information to an ignorant person so that he may put it into practice.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

২/১৮১৮। রিবঈ ইবনে হিরাশ (রহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ মাসঊদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট গেলাম। আবূ মাসঊদ তাঁকে বললেন, ’দাজ্জাল সম্পর্কে যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছেন, তা আমাকে বর্ণনা করুন।’ তিনি বলতে লাগলেন, ’দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। তার সঙ্গে থাকবে পানি ও আগুন। যাকে লোক পানি মনে করবে, বাস্তবে তা দগ্ধকারী আগুন এবং লোকে যাকে আগুন বলে মনে করবে, তা বাস্তবে সুমিষ্ট শীতল পানি হবে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাকে [দেখতে] পাবে, সে যেন তাতে পতিত হয় যাকে আগুন মনে করে। কেননা, তা বাস্তবে মিষ্ট উত্তম পানি।’ আবূ মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ হাদিসটি আমিও [স্বয়ং] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ رِبعِيِّ بنِ حِرَاشٍ، قَالَ: اِنْطَلَقْتُ مَعَ أَبِيْ مَسعُودٍ الأَنصَارِي إِلَى حُذَيفَةَ بنِ اليَمَانِ ، فَقَالَ لَهُ أَبُو مَسْعُودٍ : حَدِّثْنِي مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فِي الدَّجَّالِ، قَالَ: «إِنَّ الدَّجَّالَ يَخْرُجُ، وَإِنَّ مَعَهُ مَاءً وَنَاراً، فَأَمَّا الَّذِي يَرَاهُ النَّاسُ مَاءً فَنَارٌ تُحْرِقُ، وَأَمَّا الَّذِي يَرَاهُ النَّاسُ نَاراً، فَمَاءٌ بَارِدٌ عَذْبٌ . فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ، فَلْيَقَعْ فِي الَّذي يَراهُ نَاراً، فَإِنَّهُ مَاءٌ عَذْبٌ طَيِّبٌ» فقال أبو مسعود: وَأنَا قَدْ سَمِعْتُهُ . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Rib'i bin Hirash (May Allah be pleased with him) said: I accompanied Abu Mas'ud Al-Ansari to Hudaifah bin Al-Yaman (May Allah be pleased with them). Abu Mas'ud said to him: "Tell us what you heard from the Messenger of Allah (ﷺ) about Dajjal (the Antichrist)." Hudaifah said: He (ﷺ) said, "Dajjal will appear, and with him will be water and fire. That which people consider to be water will in fact be a burning fire, and that which people will consider to be fire will in fact be cool and sweet water. He who from amongst you happens to face him, should jump into that which he sees as fire for that will be nice and sweet water." Abu Mas'ud said: "I have also heard this from the Messenger of Allah (ﷺ)." [Al-Bukhari and Muslim]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৬. শাওয়ালের চাঁদ দর্শনে দু‘ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রদান।

২৩৩২. মুসাদ্দাদ ও খালফ ইবন হিশাম আল মুকরী ..... রিবঈ ইবন হিরাশ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, একদা লোকেরা রামাযানের শেষে শাওয়ালের চাঁদ সম্পর্কে মতভেদ করেন। তখন দু’জন বেদুঈন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে আল্লাহ্‌র শপথ করে সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, গত সন্ধ্যায় তারা শাওয়ালের চাঁদ দেখেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে রোযা ভাঙ্গার নির্দেশ দেন। রাবী খালফ তাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, ’’আর তারা যেন আগামী দিন ঈদের নামায আদায়ের জন্য ঈদগাহে গমন করে।’’

باب شَهَادَةِ رَجُلَيْنِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلاَلِ شَوَّالٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْمُقْرِئُ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ فَقَدِمَ أَعْرَابِيَّانِ فَشَهِدَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّهِ لأَهَلاَّ الْهِلاَلَ أَمْسِ عَشِيَّةً فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ أَنْ يُفْطِرُوا زَادَ خَلَفٌ فِي حَدِيثِهِ وَأَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلاَّهُمْ ‏.‏


Narrated Rib'i b. Hirash: On the authority of a man from the Companions of the Prophet (ﷺ): People differed among themselves on the last day of Ramadan (about the appearance of the moon of Shawwal). Then two bedouins came and witnessed before the Prophet (ﷺ) swearing by Allah that they had sighted moon the previous evening. So the Messenger of Allah (ﷺ) commanded the people to break the fast. The narrator Khalaf has added in his version: "and that they should proceed to the place of prayer (for 'Id)".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দজ্জাল বের হওয়া সম্পর্কে।

৪২৬৪. হাসান ইব্‌ন আমর (রহঃ) .... রিব’ঈ হিরাশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হুযায়ফা এবং আবূ মাসউদ (রাঃ) একত্রিত হলে, হুযায়ফা (রাঃ) বলেনঃ দাজ্জালের সাথে যা থাকবে, সে সম্পর্কে আমি খুবি জ্ঞাত। তার সাথে একটি পানির সাগর এবং আগুনের নহর থাকবে। তোমরা যাকে আগুন মনে করবে, তা হবে পানি। রাবী আবূ মাসউদ বদরী (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ শুনেছি।

باب خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ لأَنَا بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ أَعْلَمُ مِنْهُ إِنَّ مَعَهُ بَحْرًا مِنْ مَاءٍ وَنَهْرًا مِنْ نَارٍ فَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ نَارٌ مَاءٌ وَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ مَاءٌ نَارٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَأَرَادَ الْمَاءَ فَلْيَشْرَبْ مِنَ الَّذِي يَرَى أَنَّهُ نَارٌ فَإِنَّهُ سَيَجِدُهُ مَاءً ‏.‏ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏


Hudhaifa and Abu Mas’ud got together and Hudhaifah said: I know best what the Dajjal (Antichrist) will have with him. He will have with him a sea of water and a river of fire, and what you see as fire will be water and what you sea as water will be fire. If any of you who lives up to that time and desires water, he should drink from what he sees as fire, for he will find it water. Abu Mas’ud al-Badri said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say in this way.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. অনুমতি চাওয়া সম্পর্কে।

৫০৮৮. হান্নাদ ইবন সারী (রহঃ) ..... বিরঈ ইবন হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার কাছে এরূপ বর্ণনা করা হয়েছে যে, আমের গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে। এরপর উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ মুসাদ্দাদ (রহঃ) আবূ উয়ানা (রহঃ) থেকে এরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে এ বর্ণনায় বনূ-আমেরের লোকের কথা উল্লেখ নেই।

باب فِي الاِسْتِئْذَانِ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ حُدِّثْتُ أَنَّ رَجُلاً مِنْ بَنِي عَامِرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ وَلَمْ يَقُلْ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ ‏.‏


Rib’i b. Hirash said I was told that a man of Banu ‘Amir asked the prophet (May peace be upon him) for permission to enter the house. He then mentioned the rest of the tradition to the same effect. Abu Dawud said: Similarly, Musaddad transmitted it to us saying that Abu 'Awanah related it to us from Mansur. He did not say: "a man of Banu 'Amir".


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. অনুমতি চাওয়া সম্পর্কে।

৫০৮৯. উবায়দুল্লাহ ইবন মুআয (রহঃ) .... রিবঈ (রহঃ) আমের গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রবেশের জন্য অনুমতি চায়। এরপর পুর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এরপর সে বলে; আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা শুনে বলিঃ আসসালামু আলায়কুম! আমি কি ভেতরে প্রবেশ করবো?

باب فِي الاِسْتِئْذَانِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ فَسَمِعْتُهُ فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ


Rib’i said that a man of Banu Amir told him that he asked permission of the prophet (May peace be upon him) to enter the house. He related the tradition to the same effect, saying : I heard it and so I said: Peace be upon you. May I enter?


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২/ মানসূর (রহঃ) কর্তৃক রিবয়ী হিরাশ (রহঃ) সুত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনায় সনদের পার্থক্য বর্ণনা

২১৩২। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... রিব’য়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, যখন তোমরা রমযান মাসের চাঁদ দেখবে তখন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করবে আর যখন (শাওয়াল মাসের) চাঁদ দেখবে তখন সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) ভঙ্গ করবে। তবে হ্যাঁ যদি আকাশে মেঘাছন্ন থাকে তাহলে শা’বান মাসকে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে। তবে এর পূর্বেই চাঁদ দেখলে রমযানের সাওম পালন করবে। এরপর রমাযানের সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখবে বা তার পূর্বেই রমযান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ হবে।

باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مَنْصُورٍ فِي حَدِيثِ رِبْعِيٍّ فِيهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَتِمُّوا شَعْبَانَ ثَلاَثِينَ إِلاَّ أَنْ تَرَوُا الْهِلاَلَ قَبْلَ ذَلِكَ ثُمَّ صُومُوا رَمَضَانَ ثَلاَثِينَ إِلاَّ أَنْ تَرَوُا الْهِلاَلَ قَبْلَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Ribi said; "the Messenger of Allah said: "The Messenger of Allah said: 'When you see the crescent then fast, and when you see it, then stop fasting. If it is too cloudy then complete Shaban as thirty days, unless you see the crescent before that, then fast Ramadan as thirty days, unless you see the new crescent before that."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।

৩৭১৫। রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) কূফার মুক্তাঙ্গনে (আর-রাহবায়) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হুদাইবিয়ার দিন মুশরিকদের ক’জন লোক আমাদের নিকটে আসে। তাদের মধ্যে সুহাইল ইবনু আমরসহ আরো ক’জন গণ্যমান্য মুশরিক ছিল। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সন্তান-সন্তুতি, ভাই ও ক্রীতদাসসহ কিছু সংখ্যক লোক আপনার নিকট এসে পরেছে। ধর্ম সম্পর্কে তারা মূৰ্খ এবং তারা আমাদের ভূসম্পত্তি ও ক্ষেত-খামার হতে পালিয়ে এসেছে। অতএব আপনি তাদেরকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিন। যদিও তাদের ধর্মের বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই, তাই আমরা তাদেরকে বুঝাব।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে কুরাইশের লোকেরা! তোমরা এরকম কর্মকাণ্ড হতে বিরত হও। অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের বিরুদ্ধে এমন লোকদের পাঠাবেন, যারা তোমাদের ঘাড়ে দীনের তরবারী দিয়ে আঘাত করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরগুলোকে ঈমানের ব্যাপারে পরীক্ষা করে নিয়েছেন।

তখন মুসলিমরা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে সেই ব্যক্তি? আবূ বকর (রাঃ)-ও বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কে সেই ব্যক্তি? উমার (রাঃ)-ও বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে সেই লোক? তিনি বললেনঃ সে একজন জুতা সেলাইকারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে তার জুতাটা সেলাই করতে দিয়েছিলেন। রাবী বলেনঃ আলী (রাঃ) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করল।

সনদ দুর্বল, তবে হাদীসের শেষাংশ সহীহ মুতাওয়াতির, দেখুন হাদীস নং (২৬৪৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা শুধু আলী (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। তিরমিয়ী জারুদ হতে ওয়াকীর সূত্রে বলেনঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ ইসলামের মধ্যে কোন মিথ্যা কথা বলেননি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আব্দুল্লাহ ইবনু আবীল আসওয়াদ হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ মানসূর ইবনুল মু’তামির কূফাবাসীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্থ রাবী।

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، بِالرَّحَبَةِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْحُدَيْبِيَةِ خَرَجَ إِلَيْنَا نَاسٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأُنَاسٌ مِنْ رُؤَسَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ إِلَيْكَ نَاسٌ مِنْ أَبْنَائِنَا وَإِخْوَانِنَا وَأَرِقَّائِنَا وَلَيْسَ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا خَرَجُوا فِرَارًا مِنْ أَمْوَالِنَا وَضِيَاعِنَا فَارْدُدْهُمْ إِلَيْنَا ‏.‏ ‏"‏ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ سَنُفَقِّهُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ لَيَبْعَثَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ بِالسَّيْفِ عَلَى الدِّينِ قَدِ امْتَحَنَ اللَّهُ قَلْبَهُ عَلَى الإِيمَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَالَ عُمَرُ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ هُوَ خَاصِفُ النَّعْلِ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا عَلِيٌّ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً ‏.‏ وَأَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏


Narrated Rib'i bin Hirash: "At Ar-Rahbah, 'Ali narrated us: 'On the Day of (the Pledge of) Hudaibiyah, some people from the idolaters came out to us. Among them was Suhail bin 'Amr, and some people among the heads of the idolaters. They said: "O Messenger of Allah! People among our fathers, brothers, and slaves have come to you, and they have no knowledge of the religion, rather they came fleeing from our wealth and property, so return them to us. If they do not have knowledge of the religion, then we will teach them." So the Prophet (ﷺ) said: "O people of Quraish, you will desist, or Allah will send upon you one who will chop your necks with the sword over the religion. Allah has tested their hearts regarding faith." They said: "Who is he O Messenger of Allah?" Abu Bakr said to him: "Who is he O Messenger of Allah?" 'Umar said to him: "Who is he O Messenger of Allah?" He said: "He is the one repairing the sandals." - And he had given 'Ali his sandals to repair them. - He said: "Then 'Ali turned to us and said: 'Indeed the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever lies upon me intentionally, then let him take his seat in the Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ গুরুতর অপরাধ

(১/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... রিবাঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আলী (রাযিঃ)-কে খুৎবার মধ্যে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না, কেননা যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না এবং ইবনু বাশশারের সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

باب فِي التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا، - رضى الله عنه - يَخْطُبُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ يَكْذِبْ عَلَىَّ يَلِجِ النَّارَ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Warning about Lying Upon the Messenger of Allah [peace and blessings of Allah upon him]


Abū Bakr ibn Abī Shaybah narrated to us that Ghundar narrated to us, on authority of Shu’bah; and Muhammad bin ul-Muthannā and Ibn Bashār both narrated to us, they said: Muhammad bin Ja’far narrated to us, Shu’bah narrated to us, on authority of Mansūr, on authority of Rab’iy ibn Hirāsh, that he heard Alī, may Allah be pleased with him, giving a Khutbah and he said that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said: ‘Do not lie upon me; indeed whoever lies upon me will enter the Fire’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫. শুরুতেই ইসলাম ছিল অপরিচিত; শীঘ্রই আবার তা অপরিচিতের ন্যায় হয়ে যাবে এবং তা দু'মাসজিদ (মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন্ নাবাবী) এর মাঝে আশ্রয় নিবে।

২৬৫-(.../...) ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ..... রিব’ঈ (রহঃ) বলেন, হুযাইফহ্ (রাযিঃ) এর নিকট থেকে ফিরে এসে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। তিনি বললেন, গতকাল যখন আমি আমীরুল মু’মিনীন উমার (রাযিঃ) এর কাছে বসা ছিলাম, তখন তিনি তার সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমাদের মধ্যে কার ফিতনা সম্পৰ্কীয় হাদীস স্মরণ আছে...। এরপর রাবী আবূ খালিদ বর্ণিত পূর্বের হাদীসটির ন্যায় বর্ণনা করেন তবে তিনি এর আবূ মালিক বর্ণিত ব্যাখ্যার উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৭৮)

باب بَيَانِ أَنَّ الْإِسْلَامَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا وَأَنَّهُ يَأْرِزُ بَيْنَ الْمَسْجِدَيْنِ

وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ حُذَيْفَةُ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ جَلَسَ فَحَدَّثَنَا فَقَالَ إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمْسِ لَمَّا جَلَسْتُ إِلَيْهِ سَأَلَ أَصْحَابَهُ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتَنِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي خَالِدٍ وَلَمْ يَذْكُرْ تَفْسِيرَ أَبِي مَالِكٍ لِقَوْلِهِ ‏ "‏ مُرْبَادًّا مُجَخِّيًا ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Clarifying that Islam started as something strange, and will revert to being something strange, and it will retreat between the two Masajid


It is narrated on the authority of Rib'i (b. Hirash). When Hudhaifa came from 'Umar he sat down to narrate to us and said: Verily yesterday when I was sitting with the Commander of the believers he asked his companions: When amongst you retains in his memory the utterance of the Messenger of Allah (ﷺ) with regard to the turmoil? -and he cited the hadith like the hadith narrated on the authority of Abu Khalid, but he did not mention the exposition of his words (Murbaddan) and (Mujakhiyyan).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫. শুরুতেই ইসলাম ছিল অপরিচিত; শীঘ্রই আবার তা অপরিচিতের ন্যায় হয়ে যাবে এবং তা দু'মাসজিদ (মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুন্ নাবাবী) এর মাঝে আশ্রয় নিবে।

২৬৬-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না, আমর ইবনু আলী ও উকবাহ ইবনু মুকরাম আল আমী (রহঃ) ... রিবাঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিতনাহ সম্পর্কে কি বলেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের কেউ আমাকে হাদীস বর্ণনা করতে পারবে? তখন হুযাইফাহ (রাযিঃ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, আমি পারব...। এরপর রিবাঈ এর সূত্রে বর্ণিত আবূ মালিক এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে বর্ণনাকারী এ হাদীসে এও উল্লেখ করেন যে, হুযাইফাহ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে যে হাদীস বর্ণনা করেছি তা কোন বানোয়াট কথা নয়; বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই তা বর্ণনা করেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৭৯)

باب بَيَانِ أَنَّ الْإِسْلَامَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا وَأَنَّهُ يَأْرِزُ بَيْنَ الْمَسْجِدَيْنِ

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ مَنْ يُحَدِّثُنَا أَوْ قَالَ أَيُّكُمْ يُحَدِّثُنَا - وَفِيهِمْ حُذَيْفَةُ - مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ قَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ حَدِيثِ أَبِي مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ حُذَيْفَةُ حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ وَقَالَ يَعْنِي أَنَّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

Chapter: Clarifying that Islam started as something strange, and will revert to being something strange, and it will retreat between the two Masajid


It is transmitted by Rib'i b. Hirash. who narrated it on the authority of Hudhaifa that verily 'Umar said: Who would narrate to us or who amongst you would narrate to us (and Hudhaifa was one amongst them) what the Messenger of Allah (ﷺ) had said about the turmoil? Hudhaifa said: I will, and recited the hadith like that transmitted by Abu Malik on the authority of Rib'i and he observed in connection with this hadith that Hudhaifa remarked: I am narrating to you a hadith and it has no mistake, and said: That it is transmitted from he Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. অসহায়কে সুযোগ দেয়ার ফযীলত

৩৮৮৬-(২৭/...) আলী ইবনু হুজুর ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হুযাইফাহ্ (রাযিঃ)-ও আবূ মাসউদ (রাযিঃ) একত্রিত হন। হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বললেনঃ এক ব্যক্তির তার প্রভুর (আল্লাহ) সাথে সাক্ষাৎ হয়। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কী কী সাওয়াবের কাজ করেছ? সে বললঃ আমি তেমন কোন সৎকাজ করিনি; তবে আমি একজন ধনী লোক ছিলাম। আমি মানুষের কাছে পাওনা চাইতাম এভাবে যে, সচ্ছলদেরকে সময় দিতাম আর গরীবদেরকে মুক্ত করে দিতাম। এরপর আল্লাহ নির্দেশ দিলেন; আমার বান্দাকে মাফ করে দাও। আবূ মাসউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপই বলতে শুনেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৮৪৯, ইসলামিক সেন্টার ৩৮৪৮)

باب فَضْلِ إِنْظَارِ الْمُعْسِرِ ‏‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ وَأَبُو مَسْعُودٍ فَقَالَ حُذَيْفَةُ ‏ "‏ رَجُلٌ لَقِيَ رَبَّهُ فَقَالَ مَا عَمِلْتَ قَالَ مَا عَمِلْتُ مِنَ الْخَيْرِ إِلاَّ أَنِّي كُنْتُ رَجُلاً ذَا مَالٍ فَكُنْتُ أُطَالِبُ بِهِ النَّاسَ فَكُنْتُ أَقْبَلُ الْمَيْسُورَ وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمَعْسُورِ ‏.‏ فَقَالَ تَجَاوَزُوا عَنْ عَبْدِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏.‏


Hudhaifa reported: A person met his Lord (after death) and He said: What (good) did you do? He said: I did no good except this that I was a rich man, and I demanded from the people (the repayment of debt that I advanced to them). I, however, accepted that which the solvent gave and remitted (the debt) of the insolvent, whereupon He (the Lord) said: You should ignore (the faults) of My servant. Abu Mas'ud (Allah be pleased with him) said: This is what I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. শাওয়ালের চাঁদ দেখার বিষয়ে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রদান

২৩৩৯। রিব’ঈ ইবনু হিরাশ (রহ.) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবীর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযানের শেষদিন সম্পর্কে লোকদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলো, এমতাবস্থায় দু’জন বেদুঈন এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা উভয়ে গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছেন। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে সওম ভঙ্গ করার নির্দেশ দিলেন। খালফ (রহ.) তার হাদীসে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে (পরদিন) সকালে তাদের ঈদগাহে গমনের নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

সহীহ।

بَابُ شَهَادَةِ رَجُلَيْنِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلَالِ شَوَّالٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْمُقْرِئُ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ، فَقَدِمَ أَعْرَابِيَّانِ، فَشَهِدَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّهِ لَأَهَلَّا الْهِلَالَ أَمْسِ عَشِيَّةً، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ أَنْ يُفْطِرُوا، زَادَ خَلَفٌ فِي حَدِيثِهِ،: وَأَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلَّاهُمْ

صحيح


Narrated Rib'i b. Hirash: On the authority of a man from the Companions of the Prophet (ﷺ): People differed among themselves on the last day of Ramadan (about the appearance of the moon of Shawwal). Then two bedouins came and witnessed before the Prophet (ﷺ) swearing by Allah that they had sighted moon the previous evening. So the Messenger of Allah (ﷺ) commanded the people to break the fast. The narrator Khalaf has added in his version: "and that they should proceed to the place of prayer (for 'Id)".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দাজ্জালের আর্বিভাব সম্পর্কে

৪৩১৫। রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযাইফাহ ও আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) একত্রে হলে হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, দাজ্জালের সঙ্গে যা কিছু থাকবে, এ সম্বন্ধে আমি অবশ্যই তার চেয়ে ভালো জানি। নিশ্চয়ই তার সঙ্গে থাকবে পানির নহর ও আগুনের কুন্ড। অতঃপর তোমরা যেটাকে দেখবে আগুন, মূলত সেটা পানি আর যেটাকে দেখবে পানি, মূলত সেটা আগুন। যে কেউ এর সাক্ষাৎ পাবে, সে যেটাকে আগুন দেখবে, তা যেন পান করে, তাহলেই সে পানি পাবে। আবু মাস’ঊদ আল বাদরী (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি।[1]

সহীহ।

بَابُ خُرُوجِ الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ: اجْتَمَعَ حُذَيْفَةُ، وَأَبُو مَسْعُودٍ، فَقَالَ حُذَيْفَةُ: لَأَنَا بِمَا مَعَ الدَّجَّالِ أَعْلَمُ مِنْهُ، إِنَّ مَعَهُ بَحْرًا مِنْ مَاءٍ، وَنَهْرًا مِنْ نَارٍ، فَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ نَارٌ مَاءٌ، وَالَّذِي تَرَوْنَ أَنَّهُ مَاءٌ نَارٌ، فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ، فَأَرَادَ الْمَاءَ فَلْيَشْرَبْ مِنَ الَّذِي يَرَى أَنَّهُ نَارٌ، فَإِنَّهُ سَيَجِدُهُ مَاءً، قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ: هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ

صحيح


Hudhaifa and Abu Mas’ud got together and Hudhaifah said: I know best what the Dajjal (Antichrist) will have with him. He will have with him a sea of water and a river of fire, and what you see as fire will be water and what you sea as water will be fire. If any of you who lives up to that time and desires water, he should drink from what he sees as fire, for he will find it water. Abu Mas’ud al-Badri said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say in this way.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৮. অনুমতি চাওয়ার নিয়ম

৫১৭৭। রিবঈ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী আমিরের এক লোক আমাকে বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক ঘরে অবস্থানকালে তাঁর নিকট প্রবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে বললেন, আমি কি আসবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর খাদেমকে বললেন, তুমি বের হয়ে তার নিকট গিয়ে তাকে অনুমতি নেয়ার নিয়ম শিখিয়ে দাও। তুমি তাকে বলো, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি? লোকটি একথা শুনে বললো, আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভেতরে আসতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে ভেতরে প্রবেশ করলো।[1]

সহীহ।

بَابُ كَيْفَ الِاسْتِئْذَانُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَجُلٌ مَنْ بَنِي عَامِرٍ أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي بَيْتٍ فَقَالَ: أَلِجُ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَادِمِهِ: اخْرُجْ إِلَى هَذَا فَعَلِّمْهُ الِاسْتِئْذَانَ، فَقُلْ لَهُ: قُلِ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، أَأَدْخُلُ؟ فَسَمِعَهُ الرَّجُلُ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، أَأَدْخُلُ؟ فَأَذِنَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَ

صحيح


Narrated Rib'i: A man of Banu Amir told that he asked the Prophet (ﷺ) for permission (to enter the house) when he was in the house, saying: May I enter ? The Prophet (ﷺ) said to his servant: Go out to this (man) and teach him how to ask permission to enter the house, and say to him: "Say : Peace be upon you. May I enter?" The man heard it and said: Peace be upon you! May I enter ? The Prophet (ﷺ) permitted him and he entered.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৮. অনুমতি চাওয়ার নিয়ম

৫১৭৮। রিবঈ ইবনু হিরাশ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, বনী আমিরের এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলো ... অতঃপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এভাবেই মুসাদ্দাদ আবূ আওয়ানাহ থেকে মানসূর (রহঃ) সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে আমির গোত্রের এক ব্যক্তির সূত্রে’ কথাটি নেই।

আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।

بَابُ كَيْفَ الِاسْتِئْذَانُ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ: حُدِّثْتُ أَنَّ رَجُلًا مَنْ بَنِي عَامِرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِمَعْنَاهُ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَكَذَلِكَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، وَلَمْ يَقُلْ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ

لم أجده في الصحيح و لا في الضعيف


Rib’i b. Hirash said I was told that a man of Banu ‘Amir asked the prophet (May peace be upon him) for permission to enter the house. He then mentioned the rest of the tradition to the same effect. Abu Dawud said: Similarly, Musaddad transmitted it to us saying that Abu 'Awanah related it to us from Mansur. He did not say: "a man of Banu 'Amir".


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে