পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... আফফান ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হাম্মাম (রহঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, অন্ধ আবূ দাউদ (নাফি ইবনু হারিস) আমাদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগল বারা (রহঃ) এবং যায়দ ইবনু আরকাম (রহঃ) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন। আমরা কাতাদাহ (রহঃ) এর নিকট গিয়ে এ কথা আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। তাদের থেকে সে কিছুই শোনেনি। সে তো ছিল একজন ভিক্ষুক। বিধ্বংসকারী জারিফের* অর্থাৎ মহামারীর সময় লোকেদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতো।


(.../...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ... হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, অন্ধ আবূ দাউদ কাতাদাহ্ (রহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। সে চলে গেলে লোকেরা বললো যে, আবূ দাউদ দাবী করে যে, সে আঠার জন বাদরী (বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী) সাহাবার সাথে সাক্ষাৎ করেছে। এ কথা শুনে কাতাদাহ্ (রহঃ) বললেন, সে তো জারিফ মহামারীর পূর্বে ভিক্ষা করে বেড়াত। সে হাদীস শিক্ষা করার এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করার সুযোগ পায়নি। আল্লাহর কসম! হাসান বাসরী (রহঃ) সরাসরি কোন বাদরী সাহাবা থেকে আমাদেরকে হাদীস শোনাননি। সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) সা’দ ইবনু মালিক সা’দ ইবনু আবী ওয়াককাস (রাঃ) ছাড়া অন্য কোন বাদরী সাহাবা থেকে প্রত্যক্ষভাবে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেননি।


(.../...) উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) বলেন, জারীর (রহঃ) রাকাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ জাফার আল হাশিমী আল মাদানী (রহঃ) সর্বমহল পরিক্ষীত কথাকে রসূলের হাদীস বলে প্রচার করতেন। সেগুলো প্রকৃতপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস নয়।


(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সুফইয়ান (রহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ইউনুস ইবনু উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, ’আমর ইবনু উবায়দ হাদীসের মধ্যে মিথ্যা বলত।


(.../...) ’আমর ইবনু ’আলী আবূ হাফস (রহঃ) ..... আমর ইবনু উবায়দ হাসান আল বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলিমদের) উপর অস্ত্র উঠায়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" আওফ (রহঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ আমর মিথ্যা বলেছে। সে এ হাসীদটিকে তার বদ ’আকীদার সাথে একত্রিত করার অপচেষ্টা করেছে**।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারীরী (রহঃ) এর হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আইয়ুব (সুখতিয়ানীর) সাহচর্যে থেকে তার কাছ থেকে হাদীস শুনতো। একদিন আইয়ূব তাকে অনুপস্থিত দেখে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বললো, হে আবূ বকর। (আইয়ুবের উপনাম) সে তো আজকাল আমর ইবনু উবায়দের সাথে থাকে। হাম্মাদ বলেন, এর মধ্যে একদিন সকালে আমি আইয়ুবের সাথে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঐ লোকটি তার সামনে এলো। আইয়ূব তাকে সালাম করে তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তাকে বললেন, আমি জানতে পারলাম, তুমি না কি বর্তমানে ঐ ব্যক্তির সাহচর্যে আছো? হাম্মাদ বলেন, তিনি তার নাম উল্লেখ করে বললেন, "আমরের সাহচর্যে? সে বললো, হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। হে আবূ বকর! সে তো আমাদের আশ্চর্য ও অশ্রুপূর্ব কথা শোনায়। হাম্মাদ বলেন, আইয়ুব তাকে বললেন, আমরা এ ধরনের আশ্চর্যজনক কথাবার্তা থেকে এড়িয়ে চলি, অথবা বললেন, দূরে সরে থাকি।


(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... হাম্মাদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আইয়ূব (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ’আমর ইবনু উবায়দ হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না। তা কি ঠিক? তখন আইয়ুব বললেন, ’আমর ইবনু উবায়দ মিথ্যা বলেছে। আমি হাসান (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে শাস্তি দেয়া হবে।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى فَجَعَلَ يَقُولُ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، ‏.‏ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِقَتَادَةَ فَقَالَ كَذَبَ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ سَائِلاً يَتَكَفَّفُ النَّاسَ زَمَنَ طَاعُونِ الْجَارِفِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، قَالَ دَخَلَ أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى عَلَى قَتَادَةَ فَلَمَّا قَامَ قَالُوا إِنَّ هَذَا يَزْعُمُ أَنَّهُ لَقِيَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ بَدْرِيًّا ‏.‏ فَقَالَ قَتَادَةُ هَذَا كَانَ سَائِلاً قَبْلَ الْجَارِفِ لاَ يَعْرِضُ فِي شَىْءٍ مِنْ هَذَا وَلاَ يَتَكَلَّمُ فِيهِ ‏.‏ فَوَاللَّهِ مَا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً ‏.‏ وَلاَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً إِلاَّ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ رَقَبَةَ، أَنَّ أَبَا جَعْفَرٍ الْهَاشِمِيَّ الْمَدَنِيَّ، كَانَ يَضَعُ أَحَادِيثَ كَلاَمَ حَقٍّ وَلَيْسَتْ مِنْ أَحَادِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَرْوِيهَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ يَكْذِبُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَ بْنَ مُعَاذٍ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا ‏"‏ قَالَ كَذَبَ وَاللَّهِ عَمْرٌو وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَحُوزَهَا إِلَى قَوْلِهِ الْخَبِيثِ ‏.‏

وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ قَدْ لَزِمَ أَيُّوبَ وَسَمِعَ مِنْهُ فَفَقَدَهُ أَيُّوبُ فَقَالُوا يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ قَدْ لَزِمَ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ فَبَيْنَا أَنَا يَوْمًا مَعَ أَيُّوبَ وَقَدْ بَكَّرْنَا إِلَى السُّوقِ فَاسْتَقْبَلَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ أَيُّوبُ وَسَأَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَيُّوبُ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَزِمْتَ ذَاكَ الرَّجُلَ ‏.‏ قَالَ حَمَّادٌ سَمَّاهُ ‏.‏ يَعْنِي عَمْرًا ‏.‏ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ يَجِيئُنَا بِأَشْيَاءَ غَرَائِبَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ أَيُّوبُ إِنَّمَا نَفِرُّ أَوْ نَفْرَقُ مِنْ تِلْكَ الْغَرَائِبِ ‏.‏

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ زَيْدٍ، - يَعْنِي حَمَّادًا - قَالَ قِيلَ لأَيُّوبَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ رَوَى عَنِ الْحَسَنِ قَالَ لاَ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏ فَقَالَ كَذَبَ أَنَا سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ ‏.‏

حدثني الفضل بن سهل، قال حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا همام، قال قدم علينا ابو داود الاعمى فجعل يقول حدثنا البراء، قال وحدثنا زيد بن ارقم، ‏.‏ فذكرنا ذلك لقتادة فقال كذب ما سمع منهم انما كان ذلك ساىلا يتكفف الناس زمن طاعون الجارف ‏.‏ وحدثني حسن بن علي الحلواني، قال حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا همام، قال دخل ابو داود الاعمى على قتادة فلما قام قالوا ان هذا يزعم انه لقي ثمانية عشر بدريا ‏.‏ فقال قتادة هذا كان ساىلا قبل الجارف لا يعرض في شىء من هذا ولا يتكلم فيه ‏.‏ فوالله ما حدثنا الحسن عن بدري مشافهة ‏.‏ ولا حدثنا سعيد بن المسيب عن بدري مشافهة الا عن سعد بن مالك ‏.‏ حدثنا عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن رقبة، ان ابا جعفر الهاشمي المدني، كان يضع احاديث كلام حق وليست من احاديث النبي صلى الله عليه وسلم وكان يرويها عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حدثنا الحسن الحلواني، قال حدثنا نعيم بن حماد، قال ابو اسحاق ابراهيم بن محمد بن سفيان وحدثنا محمد بن يحيى، قال حدثنا نعيم بن حماد، حدثنا ابو داود الطيالسي، عن شعبة، عن يونس بن عبيد، قال كان عمرو بن عبيد يكذب في الحديث ‏.‏ حدثني عمرو بن علي ابو حفص، قال سمعت معاذ بن معاذ، يقول قلت لعوف بن ابي جميلة ان عمرو بن عبيد حدثنا عن الحسن، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من حمل علينا السلاح فليس منا ‏"‏ قال كذب والله عمرو ولكنه اراد ان يحوزها الى قوله الخبيث ‏.‏ وحدثنا عبيد الله بن عمر القواريري، حدثنا حماد بن زيد، قال كان رجل قد لزم ايوب وسمع منه ففقده ايوب فقالوا يا ابا بكر انه قد لزم عمرو بن عبيد ‏.‏ قال حماد فبينا انا يوما مع ايوب وقد بكرنا الى السوق فاستقبله الرجل فسلم عليه ايوب وساله ثم قال له ايوب بلغني انك لزمت ذاك الرجل ‏.‏ قال حماد سماه ‏.‏ يعني عمرا ‏.‏ قال نعم يا ابا بكر انه يجيىنا باشياء غراىب ‏.‏ قال يقول له ايوب انما نفر او نفرق من تلك الغراىب ‏.‏ وحدثني حجاج بن الشاعر، حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا ابن زيد، - يعني حمادا - قال قيل لايوب ان عمرو بن عبيد روى عن الحسن قال لا يجلد السكران من النبيذ ‏.‏ فقال كذب انا سمعت الحسن يقول يجلد السكران من النبيذ ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Affān bin Muslim narrated to us, Hammām narrated to us, he said, Abū Dāwud al-A’mā came to us and began saying:
‘Al-Barā’ [bin Āzib, the Companion] narrated to us’; he said: ‘Zayd bin Arqam narrated to us’- and he mentioned that [those chains] to Qatādah. [Qatādah] said ‘He lied; he did not hear from them. He would beg the people asking [about Ḥadīth] at the time of the plague’ [circa 67H].

Hasan bin Alī al-Hulwānī narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, Hammām informed us, he said ‘Abū Dāwud al-A’mā entered upon Qatādah and when he stood, they said:
‘Indeed this one alleges he has met eighteen of the warriors of the battle of Badr’. Qatādah said: ‘This one was barely asking [about Ḥadīth] before the plague; he did not attend to anything from [seeking Ḥadīth] and he did not speak [to any scholars] regarding it. By Allah, al-Hasan did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary; and Sa’īd bin al-Musayyib did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary except from Sa’d bin Mālik’.

Uthmān bin Abī Shaybah narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Raqabah that ‘Abū Ja’far al-Hāshimī al-Madanī was fabricating narrations with words of truth, and they were not from the narrations of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, though he was transmitting them on authority of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him.’

Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said Nu’aym bin Hammād narrated to us, he said Abū Ishāq Ibrāhīm bin Muhammad bin Sufyān said; and Muhammad bin Yahyā narrated to us, he said, Nu’aym bin Hammād narrated to us, Abū Dāwud at-Tayālisī narrated to us, on authority of Shu’bah, on authority of Yūnus bin Ubayd, he said:
‘Amr bin Ubayd would lie regarding Ḥadīth’.

Amr bin Alī Abū Hafs narrated to me, he said I heard Mu’ādh bin Mu’ādh saying, I said to Awf bin Abī Jamīlah ‘Indeed Amr bin Ubayd narrated to us on authority of al-Hasan that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘Whoever carries arms against us then he is not from us’. [Awf bin Abī Jamīlah] said ‘Amr lied, by Allah. Rather he intended it as a way to permit his filthy opinion.’

Ubayd Allah bin Umar al-Qawārīrī narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, he said:
‘A man kept company with Ayyūb and listened [to Ḥadīth] from him, but then Ayyūb did not find him [one day]. [When Ayyūb asked, the people] said: ‘Oh Abā Bakr, indeed he keeps company with Amr bin Ubayd [now]’. Hammād said: ‘One day we were with Ayyūb, and we went to the market early in the morning. A man came to meet Ayyūb so he gave Salām to him, asked how he was doing, and then Ayyūb said to him: ‘It reached me that you kept company with that man’. Hammād said: ‘[Ayyūb] designated him, that is to say ‘Amr’.’ [The man] said: ‘Yes, Oh Abā Bakr. Indeed he came to us with strange things [i.e. reports]’. Ayyūb said to him: ‘Indeed we flee…’ or ‘…we fear from these strange things [transmissions]’.

Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, Ibn Zayd, rather Hammād, narrated to us, he said, it was said to Ayyūb, ‘Indeed Amr bin Ubayd transmitted on authority of al-Hasan that he said:
‘There is no flogging the one who gets drunk from Nabīdh’.’ [Ayyūb] said: ‘He lied, for I heard al-Hasan saying, ‘Flog the one who gets drunk from Nabīdh’.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
০। মুকাদ্দামাহ (ভূমিকা) (المقدمة)