পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।

(.../...) আবূ বকর ইবনু আন নাযর ইবনু আবূ আন নাযর (রহঃ) বুহাইয়্যাহ্ (রহঃ) নামক মহিলা তাবিঈ এর আযাদকৃত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা আমি ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় ইয়াহইয়া (রহঃ) কাসিম (রহঃ) কে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! আপনাকে দীন ও শারীআত সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করে উত্তম ও ব্যাখ্যা না পাওয়া আপনার মতো ব্যক্তির পক্ষে শোভনীয় নয়। কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, কি কারণে? ইয়াহইয়া (রহঃ) বললেন, কেননা আপনি আবূ বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) এর মত দু’জন সত্যপন্থী মহান খলীফার বংশধর। রাবী বলেন, এর জবাবে কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা জ্ঞান দান করেছেন, তার দৃষ্টিতে এর চেয়েও জঘন্য হলো না জেনে কোন কথা বলা। কিংবা অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করা। আবূ আকীল (রহঃ) বলেন, এ কথা শুনে ইয়াহইয়া (রহঃ) নীরব হয়ে গেলেন, আর কোন উত্তর দিলেন না।


(.../...) বিশর ইবনু হাকাম আল আবদী (রহঃ) ..... বুহাইয়্যার আযাদৃকত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) এর কোন এক উত্তরসূরী (কাসিম) কে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল। এর উত্তর তার জানা ছিল না। তখন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) তাকে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার কাছে অবাক লাগছে যে, আপনার মত ব্যক্তিকে দীন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হলো অথচ তার কোন জবাব পাওয়া গেল না। আপনি হচ্ছেন দু’জন মহান নেতা উমার (রাযিঃ) ও ইবনু উমর (রাযিঃ) এর বংশধর। এর জবাবে তিনি (কাসিম) বললেন, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে এবং আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির দৃষ্টিতে এর চাইতে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো "যে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তা বলা কিংবা অনির্ভরযোগ্য লোক থেকে হাদীস বর্ণনা করা।" ইয়াহইয়া (রহঃ) ও কাসিম (রহঃ)--এর আলোচনার সময় আবূ আকীল ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


(.../...) ’আমর ইবনু আলী আবূ হাফস (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ), শুবাহ (রহঃ), মালিক (রহঃ) ও ’উয়াইনাহ (রহঃ) কে হাদীসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) নয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেউ যদি আমার কাছে তার সম্পর্কে জানতে চায় তবে কী বলব? তখন তারা বললেনঃ তুমি সে প্রশ্নকারীকে জানিয়ে দাও যে, ঐ ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার অযোগ্য।


(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন, নাযর (সুলাইম) (রহঃ) বলেছেন, একদিন ইবনু ’আওন তার দরজার চৌকাঠে দাঁড়ানো ছিলেন, তখন শাহর (ইবনু হাওশাব) বর্ণিত একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, শাহর সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। আবূল হুসায়ন মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, লোকেরা তার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... শু’বাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, শাহর এর (ইবনু হাওশাবের) সাথে আমি সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করি না।


(.../...) (মার্ভের অধিবাসী) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) কে বললাম, আব্বাদ ইবনু কাসীর সম্পর্কে আপনি তো সম্যক অবগত আছেন। সে হাদীস বর্ণনাকালে ঘোর অসত্য বলে থাকে। আপনি কি মনে করেন, আমি লোকদের বলে দিব যে, তারা যেন তার থেকে হাদীস বর্ণনা না করে। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) বলেন, তারপর থেকে আমি কোন মাজলিসে উপস্থিত থাকলে এবং সেখানে ’আব্বাদ সম্বন্ধে আলোচনা উঠলে আমি তার দীনদারীর প্রশংসা করতাম, কিন্তু বলে দিতাম যে, তোমরা তার নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করো না (অর্থাৎ তার থেকে সতর্ক থাক)।

আর মুহাম্মাদ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি শু’বার নিকট গেলে, তিনি বললেন, সে আব্বাদ ইবনু কাসীর থেকে তোমরা সতর্ক থাকবে।


(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) বলেন, আমি মু’আল্লা আর রায়ী (রহঃ) কে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যার থেকে আব্বাদ ইবনু কাসীর হাদীস বর্ণনা করতো, তিনি আমাকে ঈসা ইবনু ইউনুস এর সূত্রে অবহিত করলেন যে, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর গৃহদ্বারে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সুফইয়ান (রহঃ)-ও তার কাছে ছিলেন। যখন সুফইয়ান বাইরে এলেন, আমি তাকে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, সে বড় মিথ্যাবাদী।

باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ

وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، صَاحِبُ بُهَيَّةَ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ الْقَاسِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَقَالَ يَحْيَى لِلْقَاسِمِ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّهُ قَبِيحٌ عَلَى مِثْلِكَ عَظِيمٌ أَنْ تُسْأَلَ عَنْ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ هَذَا الدِّينِ فَلاَ يُوجَدَ عِنْدَكَ مِنْهُ عِلْمٌ وَلاَ فَرَجٌ - أَوْ عِلْمٌ وَلاَ مَخْرَجٌ - فَقَالَ لَهُ الْقَاسِمُ وَعَمَّ ذَاكَ قَالَ لأَنَّكَ ابْنُ إِمَامَىْ هُدًى ابْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ لَهُ الْقَاسِمُ أَقْبَحُ مِنْ ذَاكَ عِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ آخُذَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ فَمَا أَجَابَهُ ‏.‏ وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ أَخْبَرُونِي عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، صَاحِبِ بُهَيَّةَ أَنَّ أَبْنَاءً، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ سَأَلُوهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ عِلْمٌ فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُعْظِمُ أَنْ يَكُونَ مِثْلُكَ وَأَنْتَ ابْنُ إِمَامَىِ الْهُدَى - يَعْنِي عُمَرَ وَابْنَ عُمَرَ - تُسْأَلُ عَنْ أَمْرٍ لَيْسَ عِنْدَكَ فِيهِ عِلْمٌ ‏.‏ فَقَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَاللَّهِ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أُخْبِرَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ ‏.‏ قَالَ وَشَهِدَهُمَا أَبُو عَقِيلٍ يَحْيَى بْنُ الْمُتَوَكِّلِ حِينَ قَالاَ ذَلِكَ ‏.‏ وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ سَأَلْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ وَشُعْبَةَ وَمَالِكًا وَابْنَ عُيَيْنَةَ عَنِ الرَّجُلِ لاَ يَكُونُ ثَبْتًا فِي الْحَدِيثِ فَيَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيَسْأَلُنِي عَنْهُ ‏.‏ قَالُوا أَخْبِرْ عَنْهُ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ ‏.‏ وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ، يَقُولُ سُئِلَ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ حَدِيثٍ، لِشَهْرٍ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ فَقَالَ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ رَحِمَهُ اللَّهُ يَقُولُ أَخَذَتْهُ أَلْسِنَةُ النَّاسِ تَكَلَّمُوا فِيهِ ‏.‏ وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ لَقِيتُ شَهْرًا فَلَمْ أَعْتَدَّ بِهِ ‏.‏ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قُلْتُ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ إِنَّ عَبَّادَ بْنَ كَثِيرٍ مَنْ تَعْرِفُ حَالَهُ ‏.‏ وَإِذَا حَدَّثَ جَاءَ، بِأَمْرٍ عَظِيمٍ فَتَرَى أَنْ أَقُولَ، لِلنَّاسِ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ قَالَ سُفْيَانُ بَلَى ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَكُنْتُ إِذَا كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ ذُكِرَ فِيهِ عَبَّادٌ أَثْنَيْتُ عَلَيْهِ فِي دِينِهِ وَأَقُولُ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ انْتَهَيْتُ إِلَى شُعْبَةَ فَقَالَ هَذَا عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ فَاحْذَرُوهُ ‏.‏ وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ مُعَلًّى الرَّازِيَّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الَّذِي، رَوَى عَنْهُ، عَبَّادٌ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، قَالَ كُنْتُ عَلَى بَابِهِ وَسُفْيَانُ عِنْدَهُ فَلَمَّا خَرَجَ سَأَلْتُهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ كَذَّابٌ ‏.‏

Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’


Abū Bakr ibn in-Naḍr bin Abīn-Naḍr narrated to me, he said Abūn-Naḍr Hāshim bin ul-Qāsim narrated to me, Abū Aqīl, companion of Buhayyah, narrated to us, he said: ‘I was sitting near al-Qāsim bin Ubayd Allah and Yahyā bin Sa’īd [bin Qays al-Madanī al-Qāḍī], when Yahyā said to al-Qāsim: ‘Oh Abā Muhammad! Indeed it is gravely harmful for the likes of you to be asked about something from the affair of this Dīn, and then knowledge of it is not found with you, and no relief [in the form of an answer]’ -or- ‘…knowledge and no articulation’. So al-Qāsim said [to Yahyā bin Sa’īd]: ‘Where did that come from?’ [Yahyā] said: ‘It is because you are the son of two Imāms of guidance- a descendent of Abu Bakr and Umar.’ [al-Qāsim] said to him: ‘More harmful than that- according to whoever reflects about Allah- is to speak without knowledge or to take [Ḥadīth] from someone who is not trustworthy’. [Abū Aqīl] said: ‘So [Yahyā bin Sa’īd] was quiet and did not respond to him’. Bishr bin ul-Hakam al-Abdī narrated to me, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah saying, they informed me on authority of Abī Aqīl, companion of Buhayyah, that a descendent of Abd Allah bin Umar was asked about something that he did not have knowledge about, so Yahyā bin Sa’īd said to him: ‘By Allah, indeed it is a grave matter that the likes of you, a descendent of two Imāms of guidance – meaning Umar and Ibn Umar – is asked about a matter and you have no knowledge of it’. So [al-Qāsim] said: ‘By Allah, more grave than that according to Allah, and to whoever reflects about Allah, is to speak without knowledge or to report on authority of one who is not trustworthy’. [Ibn Uyaynah] said that Abū Aqīl Yahyā bin al-Mutawakkil witnessed them both when they said that. Amr bin Alī Abū Hafs narrated to us, he said I heard Yahyā bin Sa’īd, he said: ‘I asked Sufyān ath-Thawrī , Shu’bah, Mālik, and Ibn Uyaynah about a man who is not reliable (Thabt) in Ḥadīth, and someone comes and asks me about him, and they said: ‘Inform [others] against him that he is not reliable’.’ Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to us, he said, I heard an-Naḍr saying: ‘Ibn Awn was asked about the Ḥadīth of Shahr and he was standing at the threshold of the door, so [Ibn Awn] said: ‘Indeed they criticized Shahr, indeed they criticized Shahr’. Muslim, may Allah have mercy on him, said ‘He means- the tongues of men were busy criticizing him’.’ Hajjāj bin ush-Shā’ir narrated to me, Shabābah narrated to us, he said, Shu’bah said: ‘I had met Shahr then abandoned transmitting from him’. Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh, from the people of Marw, narrated to me, he said Alī bin Husayn bin Wāqid informed me, he said Abd Allah bin al-Mubārak said, I said to Sufyān ath-Thawrī: ‘Indeed Abbād bin Kathīr, about whose condition you are aware, when he related [narrations] he introduced a grave matter- do you believe that it should be said to the people ‘Do not take from him?’ Sufyān said: ‘Indeed!’ Abd Allah [bin al-Mubārak] said: ‘So when I was in an assembly and Abbād was mentioned there, I praised him regarding his Dīn and said: ‘Do not take from him.’ Muhammad said, Abd Allah bin Uthmān narrated to us, he said, my father said, Abd Allah bin al-Mubārak said: ‘I ended up in an assembly of Shu’bah, and he said: ‘This is Abbād bin Kathīr so be warned against him.’ Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said, I asked Mu’allā ar-Rāzī about Muhammad bin Sa’īd whom Abbād transmitted from, so he informed me about what Īsā bin Yūnus said: ‘I was at his door and Sufyān was with [Muhammad bin Sa’īd], then when he came out I asked [Sufyān] about him. So he informed me that he was a liar.’