লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. য’ঈফ রাবীর হাদীস বর্ণনা করা নিষিদ্ধ এবং হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা ।
(৭/...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আবদুল্লাহ ইবনু হারমালাহ ইবনু ইমরান আত তুজীবী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ শেষ যুগে কিছু সংখ্যক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব হাদীস বর্ণনা করবে যা কখনো তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা শোননি। সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকে তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের বিভ্রান্ত না করতে পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় না ফেলতে পারে।
(.../...) আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শয়তান মানুষের আকৃতিতে লোকের কাছে আসে এবং মিথ্যা হাদীস শোনায়। পরে লোকেরা সেখান থেকে পৃথক হয়ে চলে যায়। তারপর তাদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বলে, আমি এমন এক ব্যক্তিকে হাদীস বলতে শুনেছি, যার চেহারা দেখলে চিনবো কিন্তু তার নাম জানি না।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, সমুদ্রের মধ্যে বহু শইতান বন্দী হয়ে আছে। সুলাইমান (আঃ) এগুলোকে বন্দী করেছিলেন। শীঘ্রই এগুলো সেখান থেকে বের হয়ে পড়বে এবং লোকদেরকে কুরআন পাঠ করে শোনাবে।[1]
(../.) মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাস ও সাঈদ ইবনু আমর আল আশ’আসী (রহঃ) ..... তাউস (রহঃ) হতে বর্ণিত। একবার বুশায়র ইবনু কা’ব নামক এক ব্যক্তি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগলো। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস আবার পড়। সে আবার সেগুলো পড়লো। এরপর সে আরো কিছু হাদীস তাকে শোনালো। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, অমুক অমুক হাদীস পুনরায় পড়। সে তা আবার পড়লো। তারপর সে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বললো, আমি বুঝতে পারলাম না, আপনি কি আমার বর্ণিত ঐ ক’টি হাদীস অগ্রাহ্য করে অবশিষ্ট হাদীসগুলোর স্বীকৃতি দান করলেন না কি ঐ কটি হাদীসকে স্বীকৃতি দিয়ে বাকী হাদীসগুলো প্রত্যাখ্যান করলেন। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করতাম যখন তার নামে মিথ্যা হাদীস বলা হতো না। কিন্তু এখন লোকেরা যখন গলদ ও সঠিক সব পথে চলতে শুরু করেছে[2] তখন আমরা হাদীস বর্ণনা করা ছেড়ে দিয়েছি।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আমরা হাদীস সংরক্ষণ করতাম। আর হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ থেকেই সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু এখন তোমরা মন্দ ও সঠিক সব ধরনের পথে চলতে আরম্ভ করেছো, ফলে তোমাদের থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে।
(.../...) আবূ আইয়ুব সুলাইমান ইবনু উবাইদুল্লাহ আল গাইলানী (রহঃ) ..... মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদা বুশায়র ইবনু কা’ব আল আদাবী প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে এসে হাদীস বর্ণনা করতে লাগলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ..... মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তার হাদীসের প্রতি কৰ্ণপাত করলেন না এবং তার দিকে ভ্ৰক্ষেপও করলেন না। তখন বুশায়র (রহঃ) বললেনঃ হে ইবনু "আব্বাস (রাযিঃ) কি হলো! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস শোনাচ্ছি, আর আপনি তো শুনছেন না। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এক সময় আমার অবস্থা এমন ছিল যে, যখন আমরা শুনতাম কোন ব্যক্তি বলছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন, তখনই তার দিকে আমাদের দৃষ্টি পড়তো এবং আমরা তার দিকে কান দিতাম। কিন্তু যখন থেকে (সাহাবাগণের পরে) লোকেরা দুর্গম ও সরল সব রকম পথে চলতে লাগল। (অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ রিওয়ায়াত শুরু করল, তখন থেকে আমরা যাদেরকে বিশুদ্ধ বলে চিনি তাদের ছাড়া কারো কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করি না।
(.../...) দাউদ ইবনু আমর আয যাব্বী (রহঃ) ...... ইবনু আবূ মুলাইকাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে লিখে পাঠালাম, তিনি যেন আমাকে একখানা কিতাব লিখে দেন, কিন্তু তাতে যেন বিতর্কিত বিষয়গুলোর উল্লেখ না থাকে। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ছেলেটি কল্যাণকামী। আমি তার জন্য বিষয় নির্বাচন করে লিখে পাঠাব এবং কিছু ফিতনাহ সৃষ্টিকারী কথা গোপন রাখব। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আলী (রাযিঃ) এর লিপিবদ্ধ ফায়সালাসমূহ আনালেন। তারপর তিনি তা থেকে লেখা শুরু করলেন এবং কোন কোন অংশ দেখে বললেন, আল্লাহর কসম আলী (রাযিঃ) এ ধরনের ফায়সালা করতে পারেন না।[3] আর তিনি করে থাকলে ভুল করেছেন।
(.../...) ’আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) তাউস (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট একখানা কিতাব আনা হলো। এতে লিপিবদ্ধ ছিল ’আলী (রাযিঃ) এর কতক বিচারের রায়। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তা থেকে সামান্যতম রেখে বাকীটা নষ্ট করে দিলেন। বর্ণনাকারী সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ (রহঃ) নিজের হাতের দিকে ইশারা করে পরিমাণ দেখালেন (অর্থাৎ এক হাত পরিমাণ বহাল রেখেছেন)।
(.../...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আলী (রাযিঃ)-এর পরে লোকেরা যখন তার নামে নতুন নতুন বিষয়ে বর্ণনা দেয়া শুরু করল, তখন তার জনৈক ছাত্র আক্ষেপের সাথে বললেন, আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন কী মূল্যবান ইলমকে এরা বিকৃত করে দিল।[4]
(.../...) আলী ইবনু খাশরাম (রহঃ) ..... মুগীরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর ছাত্রদের সত্যায়ন ব্যতীত যারা আলী (রাযিঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে হাদীস বর্ণনা করতেন, তাদের সে বর্ণনা সত্য বলে গৃহীত হতো না।
باب النَّهْىِ عَنِ الرِّوَايَةِ، عَنِ الضُّعَفَاءِ، وَالاِحْتِيَاطِ، فِي تَحَمُّلِهَا
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو شُرَيْحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ شَرَاحِيلَ بْنَ يَزِيدَ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ يَأْتُونَكُمْ مِنَ الأَحَادِيثِ بِمَا لَمْ تَسْمَعُوا أَنْتُمْ وَلاَ آبَاؤُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَإِيَّاهُمْ لاَ يُضِلُّونَكُمْ وَلاَ يَفْتِنُونَكُمْ " . وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبَدَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ لَيَتَمَثَّلُ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيُحَدِّثُهُمْ بِالْحَدِيثِ مِنَ الْكَذِبِ فَيَتَفَرَّقُونَ فَيَقُولُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ سَمِعْتُ رَجُلاً أَعْرِفُ وَجْهَهُ وَلاَ أَدْرِي مَا اسْمُهُ يُحَدِّثُ . وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ إِنَّ فِي الْبَحْرِ شَيَاطِينَ مَسْجُونَةً أَوْثَقَهَا سُلَيْمَانُ يُوشِكُ أَنْ تَخْرُجَ فَتَقْرَأَ عَلَى النَّاسِ قُرْآنًا . وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ جَاءَ هَذَا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - يَعْنِي بُشَيْرَ بْنَ كَعْبٍ - فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا . فَعَادَ لَهُ ثُمَّ حَدَّثَهُ فَقَالَ لَهُ عُدْ لِحَدِيثِ كَذَا وَكَذَا . فَعَادَ لَهُ فَقَالَ لَهُ مَا أَدْرِي أَعَرَفْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ وَأَنْكَرْتَ هَذَا أَمْ أَنْكَرْتَ حَدِيثِي كُلَّهُ وَعَرَفْتَ هَذَا فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا كُنَّا نُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ لَمْ يَكُنْ يُكْذَبُ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ تَرَكْنَا الْحَدِيثَ عَنْهُ . وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا كُنَّا نَحْفَظُ الْحَدِيثَ وَالْحَدِيثُ يُحْفَظُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا إِذْ رَكِبْتُمْ كُلَّ صَعْبٍ وَذَلُولٍ فَهَيْهَاتَ . وَحَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغَيْلاَنِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، - يَعْنِي الْعَقَدِيَّ - حَدَّثَنَا رَبَاحٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ جَاءَ بُشَيْرٌ الْعَدَوِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَجَعَلَ يُحَدِّثُ وَيَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ يَأْذَنُ لِحَدِيثِهِ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ مَا لِي لاَ أَرَاكَ تَسْمَعُ لِحَدِيثِي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَسْمَعُ . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا كُنَّا مَرَّةً إِذَا سَمِعْنَا رَجُلاً يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْتَدَرَتْهُ أَبْصَارُنَا وَأَصْغَيْنَا إِلَيْهِ بِآذَانِنَا فَلَمَّا رَكِبَ النَّاسُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ لَمْ نَأْخُذْ مِنَ النَّاسِ إِلاَّ مَا نَعْرِفُ . حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ أَنْ يَكْتُبَ، لِي كِتَابًا وَيُخْفِي عَنِّي . فَقَالَ وَلَدٌ نَاصِحٌ أَنَا أَخْتَارُ لَهُ الأُمُورَ اخْتِيَارًا وَأُخْفِي عَنْهُ . قَالَ فَدَعَا بِقَضَاءِ عَلِيٍّ فَجَعَلَ يَكْتُبُ مِنْهُ أَشْيَاءَ وَيَمُرُّ بِهِ الشَّىْءُ فَيَقُولُ وَاللَّهِ مَا قَضَى بِهَذَا عَلِيٌّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ ضَلَّ . حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ أُتِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِكِتَابٍ فِيهِ قَضَاءُ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - فَمَحَاهُ إِلاَّ قَدْرَ . وَأَشَارَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ بِذِرَاعِهِ . حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ لَمَّا أَحْدَثُوا تِلْكَ الأَشْيَاءَ بَعْدَ عَلِيٍّ - رضى الله عنه - قَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ أَىَّ عِلْمٍ أَفْسَدُوا . حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ، - يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ - قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ يَصْدُقُ عَلَى عَلِيٍّ - رضى الله عنه - فِي الْحَدِيثِ عَنْهُ إِلاَّ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ .
Chapter: The Weak Narrators, Liars, and Those Whose Hadith are Avoided
Muhammad bin Abd Allah bin Numayr and Zuhayr bin Harb narrated to me, they said Abd Allah bin Yazīd narrated to us, he said Sa’īd bin Abī Ayyūb narrated to me, he said Abū Hāni’ narrated to me, on authority of Uthmān Muslim bin Yasār, on authority of Abī Hurayrah, on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, he said:
‘There will be in the last of my nation a people narrating to you what you nor your fathers heard, so beware of them’.
Harmalah bin Yahyā bin Abd Allah bin Harmalah bin Imrān at-Tujībī narrated to me, he said Ibn Wahb narrated to us, he said Abū Shurayh narrated to me that he heard Sharāhīl bin Yazīd saying ‘Muslim bin Yasār informed me that he heard Abā Hurayrah saying, the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘There will be in the end of time charlatan liars coming to you with narrations that you nor your fathers heard, so beware of them lest they misguide you and cause you tribulations’.’
Abū Sa’īd al-Ashajj narrated to me, Wakī’ narrated to us, al-A’mash narrated to us, on authority of al-Musayyab bin Rāfi’, on authority of Āmir bin Abdah, he said, Abd Allah [bin Mas’ūd] said:
‘Indeed Satan will appear in the form of a man and he will come to the people, narrating to them false Ḥadīth, and they will then depart. Then a man among them will say: ‘I heard a man whose face I recognize but I do not know his name narrating [such and such]…’
Muhammad bin Rāfi’ narrated to me, Abd ur-Razzāq narrated to us, Ma’mar informed us, on authority of Ibn Tāwus, on authority of his father, on authority Abd Allah bin Amr bin al-Ās, he said:
‘Indeed in the sea are devils chained up, whom Sulaymān shackled and they are at the point of emerging. Then they will recite a Qur’ān upon the people.’
Muhammad bin Abbād and Sa’īd bin Amr al-Ash’athī narrated to me on authority of Ibn Uyaynah; Sa’īd said Sufyān informed us on authority of Hishām bin Hujayr, on authority of Tāwus, he said (Bushayr bin Ka’b) came to Ibn Abbās so he set about narrating to him. Ibn Abbās said to him:
‘Go back to such-and-such narration‘. Then [Bushayr] returned to it and narrated it. So [Ibn Abbās] said to him: ‘Go back to such-and-such narration’. Then [Bushayr] returned to it and narrated it. Thus [Bushayr] said to him: ‘I do not know whether you know all of my Ḥadīth and you reject this one and that, or if you reject all of my Ḥadīth and know this one and that?’ Ibn Abbās said to him: ‘Indeed we would be narrated to on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, at a time when one would not lie upon him, however when the people took the difficult [Munkar] and the docile [Sahīh], we abandoned listening to Ḥadīth from them’.
Muhammad bin Rāfi’ narrated to me, Abd ur-Razzāq narrated to us, Ma’mar informed us, on authority of Ibn Tāwus, on authority of his father, on authority of Ibn Abbās, he said:
‘Indeed we would take Ḥadīth and they would be taken on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him. However if you take every difficult and docile [narration] then how far that is [from being upright]!
Abū Ayyūb Sulaymān bin Ubayd Allah al-Ghaylānī narrated to us, Abū Āmir, meaning al-Aqadī, narrated to us, Rabāh narrated to us, on authority of Qays bin Sa’d, on authority of Mujāhid, he said Bushayr ul-Adawī came to Ibn Abbās then he set about narrating to him, saying:
‘The Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’, ‘the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’. Then it seemed that Ibn Abbās was not listening to his Ḥadīth and not reflecting on them, so [Bushayr] said: ‘Oh Ibn Abbās, why is it that I see you not listening to my Ḥadīth? I narrate to you on authority of the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, however you are not listening’. Ibn Abbās said: ‘Indeed once upon a time we would listen to a man saying, ‘the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’ rushing towards him with our eyes and harkening towards him with our ears; then when the people took the difficult and the docile we no longer took from people except those whom we knew’.
Dāwud bin Amr aḍ-Ḍabbī narrated to us, Nāfi’ bin Umar narrated to us, on authority of Ibn Abī Mulaykah, he said:
‘I wrote to Ibn Abbās asking him to write something [pertaining to knowledge] for me and he withheld from me quite a bit, and said: ‘As [if he were] a sincere child, I will write for him something especially suited to his status withholding from him what would not benefit him’. [Ibn Abī Mulaykah] said: ‘So [Ibn Abbās] called for the judgment of Alī [bin Abī Tālib which was a book with which Alī would pass verdicts in Kuffah], and he began to write from it [with respect to the request of Ibn Abī Mulaykah] and he came upon something [not appropriate to the station of Alī regarding the science of verdicts]. So [Ibn Abbās] said: ‘By Allah, Alī did not give judgment according to this unless he was astray’.’
Amr an-Nāqid narrated to us, Sufyān bin Uyaynah narrated to us, on authority of Hishām bin Hujayr, on authority of Tāwus, he said:
‘A book was brought to Ibn Abbās which contained the verdicts of Alī, may Allah be pleased with him, and he effaced but a small amount,’ and Sufyān bin Uyaynah indicated with his arm [the amount].
Hasan bin Alī al-Hulwānī narrated to us, Yahyā bin Ādam narrated to us, Ibn Idrīs narrated to us, on authority of al-A’mash, on authority of Abī Ishāq who said:
‘When they narrated these things after Alī, may Allah be pleased with him, a man from the companions of Alī said: ‘May Allah curse them. Did they corrupt every [type of] knowledge!?’
Alī bin Khashram narrated to us, Abū Bakr, meaning Ibn Ayyāsh, informed us, he said ‘I heard al-Mughīrah saying:
‘There are no Ḥadīth on authority of Alī, may Allah be pleased with him, that are confirmed except from the companions of Abd Allah bin Mas’ūd.’