পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
وَرَوَى التِّرمِذِي عَن عَبدِ اللهِ بنِ المُبَارَكِ رَحِمَهُ اللهُ فِي تَفسِيرِ حُسْنِ الخُلُقِ قَالَ هُوَ بَسط الوَجه (طَلاَقَةُ الوَجه) وَبَذْلُ المَعرُوفِ وَكَفُّ الأذَى
ইমাম তিরমিযী আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) হতে সচ্চরিত্রতার ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, ’তা হল, সর্বদা হাসিমুখ থাকা, মানুষের উপকার করা এবং কাউকে কষ্ট না দেওয়া।’ (তিরমিযী ২০০৫)
আল্লাহ তাআলা নিজ নবীকে বলেছিলেন,
وَإِنَّكَ لَعَلٰـى خُلُقٍ عَظِيْمٍ
অর্থাৎ, তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সূরা ক্বালাম ৪) তিনি আরো বলেছেন,
وَالْكَاظِـمِـيْـنَ الْغَيْظَ وَالْعَافِيْـنَ عَنِ النَّاسِ
অর্থাৎ, (সেই ধর্মভীরুদের জন্য বেহেশত প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে,) ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে। (সূরা আলে ইমরান ১৩৪)
(৩৪৮৮) আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেন, তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর, পাপ করলে সাথে সাথে পুণ্যও কর; যাতে পাপ মোচন হয়ে যায় এবং মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার কর।
عَنْ أَبِـيْ ذَرٍّ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لَهُ اتَّقِ اللهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعْ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقْ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৮৯) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি সুন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নীরবতা অবলম্বন কর। সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মত অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে না।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَيْكَ بِحُسْنِ الْخُلْقِ وَطُوْلِ الصَّمْتِ، فَوَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ مَا تَجْمَلُ الْخَلَائِقِ بِمِثْلِهِمَا
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯০) উসামাহ বিন শারীক (রাঃ) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রসূল! মানুষকে দেওয়া দানসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দান কী দেওয়া হয়েছে?’ উত্তরে তিনি বললেন, সুন্দর চরিত্র।
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيْـكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالُـوْا : يَا رَسُـوْلَ اللهِ مَا خَـيْـرُ مَا أُعـطِـىَ الْإنْـسَانُ ؟ قَالَ خُـلُـقٌ حَـسَـنٌ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সে, যে সবচেয়ে বেশী পরহেযগার। আর সবচেয়ে উচ্চ বংশীয় লোক সে, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَكْرَمُكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ وَأَفْضَلُكُمْ حَسَبًا أَحْسَنُكُمْ خُلُقًا
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯২) উসামাহ বিন শারীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা হল সেই, যার চরিত্র সুন্দর।
عَنْ أُساَمَةَ بْنِ شَرِيْكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺأَحَبُّ عِبَادِ اللهِ إِلَى اللهِ أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৩) জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। তিনি সুউচ্চ চরিত্রকে ভালোবাসেন এবং ঘৃণা করেন নোংরা চরিত্রকে।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ إِنَّ اللهَ جَمِيْلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ وَيُحِبُّ مَعَالِي الْأُمُوْرِ وَيَكْرَهُ سَفْسَافَهَا
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৪)আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মানুষের চাইতে বেশি সুন্দর চরিত্রের ছিলেন।’
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أحْسَنَ النَّاسِ خُلُقاً متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৫) সাবেক রাবী হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর করতল অপেক্ষা অধিকতর কোমল কোন পুরু বা পাতলা রেশম আমি স্পর্শ করিনি। আর তাঁর শরীরের সুগন্ধ অপেক্ষা অধিকতর সুগন্ধ কোন বস্তু আমি কখনো শুঁকিনি। আর আমি দশ বছর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমত করেছি। তিনি কখনোও আমার জন্য ’উঃ’ শব্দ বলেননি। কোন কাজ করে বসলে তিনি এ কথা জিজ্ঞেস করেননি যে, ’তুমি এ কাজ কেন করলে?’ এবং কোন কাজ না করলে তিনি বলেননি যে, ’তা কেন করলে না?’
وَعَنهُ قَالَ : مَا مَسِسْتُ دِيبَاجاً وَلاَ حَرِيراً ألْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَلاَ شَمَمْتُ رَائِحَةً قَطُّ أطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَلَقَدْ خَدَمتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ عَشْرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي قَطُّ : أُفٍّ، وَلاَ قَالَ لِشَيءٍ فَعَلْتُهُ : لِمَ فَعَلْتَه ؟ وَلاَ لشَيءٍ لَمْ أفعَلهُ : ألاَ فَعَلْتَ كَذَا ؟ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৬) সা’ব ইবনে জাসসামাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (শিকার করা) এক জংলী গাধা উপঢৌকন দিলাম। কিন্তু তিনি তা আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। তারপর তিনি আমার চেহারায় (বিষণ্ণতার চিহ্ন) দেখে বললেন, আমরা ইহরামের অবস্থায় আছি, তাই আমরা এটি তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম। (বুখারী ১৮২৫, মুসলিম ২৯০২)
وَعَنِ الصَّعْبِ بنِ جَثَّامَةَ قَالَ : أَهدَيتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ حِمَاراً وَحْشِيّاً فَرَدَّهُ عَلَيَّ فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجهِي قَالَ إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلاَّ ِلأَنَّا حُرُمٌ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৭) নাওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, পুণ্য হল সচ্চরিত্রতার নাম। আর পাপ হল তাই, যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং তা লোকে জেনে ফেলুক এ কথা তুমি অপছন্দ কর।
وَعَنِ النَّوَاسِ بنِ سَمعَانَ قَالَ : سَأَلتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ عَن البِرِّ وَالإثمِ فَقَالَ البِرُّ : حُسنُ الخُلُقِ والإثمُ : مَا حَاكَ فِي صَدرِكَ وكَرِهْتَ أن يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৮) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রকৃতিগতভাবে কথা ও কাজে) অশ্লীল ছিলেন না এবং (ইচ্ছাকৃতভাবেও) অশ্লীল ছিলেন না। আর তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে তোমাদের মধ্যে সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী।
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : لَمْ يَكُن رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَاحِشاً وَلاَ مُتَفَحِّشاً وَكَانَ يَقُولُ إنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أحْسَنَكُمْ أخْلاَقاً متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৪৯৯) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন (নেকী) ওজন করার দাঁড়ি-পাল্লায় সচ্চরিত্রতার চেয়ে কোন বস্তুই অধিক ভারী হবে না। আর আল্লাহ তাআলা অশ্লীল ও চোয়াড়কে অপছন্দ করেন।
وَعَن أَبي الدَّردَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَا مِنْ شَيْءٍ أثْقَلُ فِي مِيزَانِ العَبدِ المُؤْمِنِ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ حُسْنِ الخُلُقِ، وَإنَّ الله يُبْغِضُ الفَاحِشَ البَذِيَّ رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, ’কোন্ আমল মানুষকে বেশি জান্নাতে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র। আর তাঁকে (এটাও) জিজ্ঞাসা করা হল যে, ’কোন্ আমল মানুষকে বেশি জাহান্নামে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, মুখ ও যৌনাঙ্গ (অর্থাৎ, উভয় দ্বারা সংঘটিত পাপ)।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَنْ أكثرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ ؟ قَالَ تَقْوَى اللهِ وَحُسنُ الخُلُقِ وَسُئِلَ عَنْ أكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ النَّارَ فَقَالَ الفَمُ وَالفَرْجُ رَوَاهُ التِّرْمِذِيْ وَقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০১) সাবেক রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মু’মিনদের মধ্যে সে ব্যক্তি পূর্ণ মু’মিন, যে তাদের মধ্যে চরিত্রের দিক দিয়ে সুন্দরতম। আর তোমাদের উত্তম ব্যক্তি তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম।
وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺأكْمَلُ المُؤمِنِينَ إِيمَاناً أحسَنُهُمْ خُلُقاً، وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيْ وَقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০২)আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, অবশ্যই মু’মিন তার সদাচারিতার কারণে দিনে (নফল) রোযাদার এবং রাতে (নফল) ইবাদতকারীর মর্যাদা পেয়ে থাকে।
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَت : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ إِنَّ المُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ القَائِمِ رواه أَبُو داود
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০৩) আবূ উমামাহ বাহেলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের শেষ সীমায় একটি ঘর দেওয়ার জন্য জামিন হচ্ছি, যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও কলহ-বিবাদ বর্জন করে। সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের মধ্যস্থলে একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যে উপহাসছলেও মিথ্যা বলা বর্জন করে। আর সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যার চরিত্র সুন্দর।
وَعَن أَبِي أُمَامَةَ البَاهِليِّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أنَا زَعِيمٌ بِبَيتٍ في رَبَضِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ المِرَاءَ وَإنْ كَانَ مُحِقّاً وَبِبَيْتٍ في وَسَطِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الكَذِبَ وَإنْ كَانَ مَازِحاً وَبِبَيْتٍ في أعلَى الجَنَّةِ لِمَنْ حَسُنَ خُلُقُهُ حَدِيْثٌ صَحِيْحٌ رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০৪) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি সেই ব্যক্তির জন্য একটি জান্নাতের পার্শ্বদেশে, একটি জান্নাতের মধ্যভাগে এবং অপর আর একটি জান্নাতের উপরিভাগে গৃহের জামিন হচ্ছি; যে ব্যক্তি সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও তর্ক পরিহার করে, উপহাসছলে হলেও মিথ্যা কথা বর্জন করে, আর নিজ চরিত্রকে সুন্দর করে।
عَنْ مُعَاذِ بن جَبَلٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنَا زَعِيمُ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ، وَبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ، وَبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَتَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا، وَحَسُنَ خُلُقُهُ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০৫) উবাদাহ বিন স্বামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের পক্ষ থেকে আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জামিন হও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতর জামিন হয়ে যাব; কথা বললে সত্য বল, অঙ্গীকার করলে তা পালন কর, তোমাদের নিকটে কোন আমানত রাখা হলে তা আদায় কর, তোমাদের যৌনাঙ্গের হিফাযত কর, তোমাদের চক্ষুকে (অবৈধ কিছু দেখা হতে) অবনত রাখ, আর তোমাদের হাতকে (অন্যায় ও অত্যাচার করা হতে) সংযত রাখ।
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ اضْمَنُوا لِي سِتًّا مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَنْ لَكُمْ الْجَنَّةَ اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وَأَدُّوا إِذَا اؤْتُمِنْتُمْ وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০৬) আবূ জুরাই জাবের বিন সুলাইম কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি খবরদার কাউকে গালি দিয়ো না। যে কোনও ভালো কাজকে তুচ্ছজ্ঞান করো না। তোমার ভাইয়ের সাথে খুশীভরা চেহারা নিয়ে কথা বল, এটিও একটি ভালো কাজ। তোমার লুঙ্গি পায়ের রলার অর্ধাংশে উঠিয়ে পর। তা যদি অস্বীকার কর, তাহলে গাঁট পর্যন্ত নামিয়ে পর। আর সাবধান! লুঙ্গি গাঁটের নিচে ঝুলিয়ে পরো না। কারণ তা অহংকারের আলামত। পরন্তুআল্লাহ অবশ্যই অহংকার পছন্দ করেন না। যদি কোন লোক তোমাকে গালি দেয় এবং এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে আছে বলে সে জানে, তাহলে তুমি তাকে এমন দোষ ধরে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে আছে বলে তুমি জান। তার বোঝা সেই বহন করুক।’
عَنْ أَبِى جُرَىٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لاَ تَسُبَّنَّ أَحَدًا، وَلاَ تَحْقِرَنَّ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ وَأَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَأَنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إِنَّ ذٰلِكَ مِنَ الْمَعْرُوفِ وَارْفَعْ إِزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الإِزَارِ فَإِنَّهَا مِنَ الْمَخِيلَةِ وَإِنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ الْمَخِيلَةَ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإِنَّمَا وَبَالُ ذٰلِكَ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
(৩৫০৭) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, সে দোযখ থেকে নিস্তার লাভ করে জান্নাত প্রবেশ করবে সে ব্যক্তির জন্য উচিত, যেন তার মৃত্যু তার কাছে সেই সময় আসে, যে সময় সে আল্লাহতে ও পরকালে ঈমান রাখে। আর লোকেদের সাথে সেইরূপ ব্যবহার করে যেরূপ ব্যবহার সে নিজের জন্য পছন্দ করে।
عن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ وَيَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلْتَأْتِهِ مَنِيَّتُهُ وَهُوَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَلْيَأْتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِى يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْهِ وَمَنْ بَايَعَ إِمَامًا فَأَعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ إِنِ اسْتَطَاعَ فَإِنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنُقَ الآخَرِ