উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ৮৬. হজ্জের সময় যদি কেউ আগের কাজ পরে বা পরের কাজ আগে করে।

২০১১. উসমান ইবন আবূ শায়রা (রহঃ) ...... উসামা ইবন শারিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হই। এ সময় লোকেরা তাঁর নিকট (বিভিন্ন ব্যাপার সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করতে আসতে থাকে। তখন এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করে, হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আমি তাওয়াফের পূর্বে সা’ঈ করেছি অথবা আমি কিছু কাজ আগে পরে করে ফেলেছি। আর তিনি এর জবাবে বলছিলেনঃ কোন দোষ নেই, কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু এক ব্যক্তি জনৈক মুসলিম ব্যক্তির ইজ্জত নষ্ট করায় সে অত্যাচারী সাব্যস্ত হয়। অতঃপর সেই দোষের কারণে সে ধ্বংস হয়।

باب فِيمَنْ قَدَّمَ شَيْئًا قَبْلَ شَىْءٍ فِي حَجِّهِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا فَكَانَ النَّاسُ يَأْتُونَهُ فَمَنْ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَعَيْتُ قَبْلَ أَنْ أَطُوفَ أَوْ قَدَّمْتُ شَيْئًا أَوْ أَخَّرْتُ شَيْئًا ‏.‏ فَكَانَ يَقُولُ ‏ "‏ لاَ حَرَجَ لاَ حَرَجَ إِلاَّ عَلَى رَجُلٍ اقْتَرَضَ عِرْضَ رَجُلٍ مُسْلِمٍ وَهُوَ ظَالِمٌ فَذَلِكَ الَّذِي حَرِجَ وَهَلَكَ ‏"‏ ‏.‏


Usamah bin Sharik said “I went out with the Prophet (ﷺ) to perform Hajj, and the people were coming to him. One would say “Apostle of Allaah(ﷺ) I ran between Al Safa’ and Al Marwah before going round the Ka’bah or I did something before the its proper time or did something after its proper time. He would reply “No harm will come; no harm will come except to one who defames a Muslim acting wrongfully. That is the one who will be in trouble and will perish.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কে।

৩৮১৫. হাফস ইবন উমার (রহঃ) ...... উসামা ইবন শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন সময় আসি, যখন তাঁর সাহাবীগণ তাঁর চারপাশে এমন ভাবে বসে ছিল, যেন তাঁদের মাথার উপর পাখী বসে আছে (অর্থাৎ শান্তভাবে)। এরপর আমি সালাম করি এবং বসে পড়ি। এ সময় আরবের লোকেরা এদিক-সেদিক থেকে সেখানে সমবেত হয় এবং তারা বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি চিকিৎসা করাব? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তোমরা রোগের চিকিৎসা করাবে। কেননা, আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি, যার চিকিৎসার জন্য ঔষধের ব্যবস্থা রাখেন নি; তবে বার্ধক্য এমন একটি রোগ যার কোন চিকিৎসা নেই।

باب فِي الرَّجُلِ يَتَدَاوَى

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ فَجَاءَ الأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَدَاوَى فَقَالَ ‏ "‏ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Usamah ibn Sharik: I came to the Prophet (ﷺ) and his Companions were sitting as if they had birds on their heads. I saluted and sat down. The desert Arabs then came from here and there. They asked: Messenger of Allah, should we make use of medical treatment? He replied: Make use of medical treatment, for Allah has not made a disease without appointing a remedy for it, with the exception of one disease, namely old age.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. কেউ মুসলিমদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে, তাকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৪০২৪. মুহাম্মাদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... উসামা ইবন শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির তৎপরতা চালাবে, তার গর্দান উড়িয়ে দাও।

قَتْلُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ وَذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ عَنْ عَرْفَجَةَ فِيهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا رَجُلٍ خَرَجَ يُفَرِّقُ بَيْنَ أُمَّتِي فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ


It was narrated that Usamah bin Sharik said: "The Messenger of Allah [SAW] said: 'Any man who goes out and tries to create division among my Ummah, strike his neck (kill him).'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৬. একজনের অপরাধে অপরজনকে অপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে না

৪/২৬৭২। উসামা ইবনে শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজনের অপরাধের জন্য অপরজনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না।

بَاب لَا يَجْنِي أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ الْقَطَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from 'Usamah bin Sharik that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “No person will be punished because of another's crime.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫/১. আল্লাহ যে রোগই সৃষ্টি করেছেন, তার প্রতিষেধকও সৃষ্টি করেছেন

১/৩৪৩৬। উসামা ইবনে শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উপস্থিত থাকা অবস্থায় বেদুইনরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো, এতে কি আমাদের গুনাহ হবে, এতে কি আমাদের গুনাহ হবে? তিনি বলেনঃ আল্লাহর বানদাগণ! কোন কিছুতেই আল্লাহ গুনাহ রাখেননি, তবে যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ইজ্জতহানি করে তাতেই গুনাহ হবে। তারা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা যদি (রোগীর) চিকিৎসা না করি তবে কি আমাদের গুনাহ হবে? তিনি বলেনঃ আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা করো। কেননা মহান আল্লাহ বার্ধক্য ছাড়া এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার সাথে প্রতিষেধকেরও ব্যবস্থা করেননি (রোগও রেখেছেন, নিরাময়ের ব্যবস্থাও রেখেছেন)। তারা বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বান্দাকে যা কিছু দেয়া হয় তার মধ্যে উত্তম জিনিস কী? তিনি বলেনঃ সচ্চরিত্র।

بَاب مَا أَنْزَلَ اللهُ دَاءً إِلَّا أَنْزَلَ لَهُ شِفَاءً

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ شَهِدْتُ الأَعْرَابَ يَسْأَلُونَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَعَلَيْنَا حَرَجٌ فِي كَذَا أَعَلَيْنَا حَرَجٌ فِي كَذَا فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ عِبَادَ اللَّهِ وَضَعَ اللَّهُ الْحَرَجَ إِلاَّ مَنِ اقْتَرَضَ مِنْ عِرْضِ أَخِيهِ شَيْئًا فَذَاكَ الَّذِي حَرَجٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَيْنَا جُنَاحٌ أَنْ نَتَدَاوَى قَالَ ‏"‏ تَدَاوَوْا عِبَادَ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ مَعَهُ شِفَاءً إِلاَّ الْهَرَمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا خَيْرُ مَا أُعْطِيَ الْعَبْدُ قَالَ ‏"‏ خُلُقٌ حَسَنٌ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Usamah bin Sharik said: “I saw the Bedouins asking the Prophet (ﷺ): ‘Is there any harm in such and such, is there any harm in such and such?’ He said to them: ‘O slaves of Allah! Allah has only made harm in that which transgresses the honor of one’s brother. That is what is sinful.’ They said: ‘O Messenger of Allah! Is there any sin if we do not seek treatment?’ He said: ‘Seek treatment, O slaves of Allah! For Allah does not create any disease but He also creates with it the cure, except for old age.’ They said: ‘O Messenger of Allah, what is the best thing that a person may be given?’ He said: ‘Good manners.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ঔষধ গ্রহন এবং চিকিৎসা বিষয়ে উৎসাহিতকরণ।

২০৪৫। বিশর ইবন মুআয উকাদী বাসরী (রহঃ) ... উসামা ইবন শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, বেদুঈন আরবরা একবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা করব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা করবে, আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন প্যতিষেধক তিনি রাখেন নি। কিন্তু একটি রোগের কোন প্রতিষেধক নেই। তাঁরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, সেটি কি? তিনি বললেন, বার্ধক্য। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবন মাসউদ, আবূ হুরায়রা, আবূ খুযামা তৎপিতা এবং ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء في الدواء والحث عليه

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَتِ الأَعْرَابُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَتَدَاوَى قَالَ ‏"‏ نَعَمْ يَا عِبَادَ اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ شِفَاءً أَوْ قَالَ دَوَاءً إِلاَّ دَاءً وَاحِدًا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُوَ قَالَ ‏"‏ الْهَرَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Usamah bin Sharik said: "Some Bedouins asked: 'O Messenger of Allah (s.a.w) shall we treat (our ill)?' He said: 'Yes, O worshipers of Allah! Use remedies. For indeed Allah did not make a disease but He made a cure for it' - or - 'a remedy. Except for one disease.' They said: 'O Messenger of Allah (s.a.w)! What is it?' He said: 'Old age.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করা

২০৩৮। উসামা ইবনু শারীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মফস্বলের লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমরা কি (রোগীর) চিকিৎসা করব না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দাহগণ! তোমরা চিকিৎসা কর। আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার ঔষধ বা নিরাময়ের ব্যবস্থা রাখেননি (রোগও দিয়েছেন রোগ সারাবার ব্যবস্থাও করেছেন)। কিন্তু একটি রোগের কোন নিরাময় নেই। সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল সে রোগটি কি? তিনি বললেনঃ বার্ধক্য।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৪৩৬)।

আবু ঈসা বলেন। ইবনু মাসউদ, আবু হুরাইরা, আবু খুযামা তার পিতার সূত্রে ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَتِ الأَعْرَابُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَتَدَاوَى قَالَ ‏"‏ نَعَمْ يَا عِبَادَ اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ شِفَاءً أَوْ قَالَ دَوَاءً إِلاَّ دَاءً وَاحِدًا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُوَ قَالَ ‏"‏ الْهَرَمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي خُزَامَةَ عَنْ أَبِيهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Usamah bin Sharik said: "Some Bedouins asked: 'O Messenger of Allah (s.a.w) shall we treat (our ill)?' He said: 'Yes, O worshipers of Allah! Use remedies. For indeed Allah did not make a disease but He made a cure for it' - or - 'a remedy. Except for one disease.' They said: 'O Messenger of Allah (s.a.w)! What is it?' He said: 'Old age.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৩৫৫২-[২০] উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক (খলীফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ও) আমার উম্মাতের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে, তাকে হত্যা করে ফেল। (নাসায়ী)[1]

عَن أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ خَرَجَ يُفَرِّقُ بَيْنَ أُمَّتِي فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ যে ব্যক্তি মুসলিমদের মাঝে বিভক্তির মূলে পারদর্শিতা প্রদর্শন করে।

ইমাম নববী বলেনঃ এখানে এই নির্দেশ রয়েছে যে, যে ব্যক্তি ইমামের বিরুদ্ধে মুসলিমদের মতের ভিতরে বিভেদ বা অনুরূপ কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করবে তাকে হত্যা করা যায়। সুতরাং তাকে প্রথমে নিষেধ করা উচিত। এতে সে বিরত না হলে তাকে হত্যা করতে হবে। তাকে হত্যা ব্যতীত অকল্যাণ বা ক্ষতি প্রতিহত না হলে তাকে হত্যা করলে দিয়াত দিতে হবে না। (শারহুন্ নাসায়ী, মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩২-[১৯] উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন : হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি ঔষধ ব্যবহার করব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ। হে আল্লাহর বান্দাগণ! চিকিৎসা করো। কেননা বার্ধক্য রোগ ব্যতীত আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার নিরাময় সৃষ্টি করেননি। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُول الله أفنتداوى؟ قَالَ: «نعم يَا عبد اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ شِفَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرم» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (أفنتداوى) ‘‘আমরা কি ঔষধপত্র ব্যবহার করব?’’ অর্থাৎ আমরা কোন কিছু বিবেচনা না করে অসুখ হলে ঔষধপত্র ব্যবহার করে আসমান-জমিনের সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করব কি? এখানে প্রশ্নটা করা হয়েছে তাকদীর সমর্থনের জন্য।

(يَا عِبَادَ اللهِ) ‘‘হে আল্লাহর বান্দা’’ এখানে ইঙ্গিত আছে যে, চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা ঔষধপত্র ব্যবহার করা আল্লাহর বান্দা হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক নয়। প্রতিপালনকারীর জন্য (ব্যবস্থা গ্রহণ করতে) তাওয়াক্কুল বাধা প্রদান করে না। এ কারণেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ‘‘তুমি আগে তোমার উটটি বাঁধ, অতঃপর তাওয়াক্কুল কর। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(تَدَاوَوْا) ‘‘তোমরা ঔষধপত্র ব্যবহার কর’’। ফাতহুল ওয়াদূদ প্রণেতা বলেনঃ হাদীসটি হতে বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, আদেশটি বৈধতা ও অনুমতির জন্য। আর এটিই হলো সঠিক দাবী। কেননা প্রশ্নটি করা হয়েছিল এটা অকাট্যভাবে বৈধ কিনা তা জানার জন্য। পরবর্তীতে তার দ্রুত জবাব দেয়াটা প্রমাণ করে যে, এটি তিনি বৈধতার জন্য বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটি হতে বুঝেছেন হাদীসটিতে যে নির্দেশ দেয়া হলো তাতে প্রমাণিত হয় মানদূব, অর্থাৎ কাজটি করা চান। তবে এটি সত্য হওয়া থেকে অনেক দূরে। কোন কোন বর্ণনায় যারা আল্লাহর ওপর তাওয়াক্বুল করে চিকিৎসা ও ঔষধপত্র ব্যবহার করা ছেড়ে দেয় তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। হ্যাঁ। তবে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, এ কাজ যে জায়িয তা প্রমাণ করার জন্য। অতএব যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের নিয়্যাত করবে এর জন্য তাকে প্রতিদান দেয়া হবে।

(الْهَرم) ‘‘বার্ধক্য’’। ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বার্ধক্যকে রোগ বলা হয়। এটা কেবল বার্ধক্যের দুর্বলতা। এটা এমন রোগের মতো নয় যা শরীরে রোগের সৃষ্টি করে। বয়স বৃদ্ধি হওয়ার ফলে অভ্যাসসমূহ পরিবর্তন হয় এবং হাড়সমূহ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটাকে (বার্ধক্যকে) রোগের সাথে তুলনা করার কারণ হলো এটা সেই ক্ষতি ও রোগসমূহ নিয়ে আসে যার ফলে মৃত্যু ও ধ্বংস অনিবার্য হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৫১; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৭৯-[১২] আর উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ) হতে শারহুস্ সুন্নাহ্-তে বর্ণিত হয়েছে।[1]

وَفِي
شَرْحِ السُّنَّةِ
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৯. যদি কেউ হজ্জের কোনো কাজ আগে-পরে করে

২০১৫। উসামাহ ইবনু শারীক (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হজে (হজ্জে) গেলাম। এ সময় লোকেরা এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাওয়াফ করার পূর্বেই সাঈ করেছি কিংবা কেউ এসে বললো, আমি কিছু কাজ আগে পরে করে ফেলেছি। জবাবে তিনি বলতে থাকলেনঃ যাও কোনো অসুবিধা নেই, কোনো দোষ নেই। তবে কেউ যদি অন্যায়ভাবে কোনো মুসলিমের ইজ্জত সম্মান নষ্ট করে, তার সম্পর্কে বলেছেনঃ সে পাপে লিপ্ত হয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِيمَنْ قَدَّمَ شَيْئًا قَبْلَ شَيْءٍ فِي حَجِّهِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجًّا فَكَانَ النَّاسُ يَأْتُونَهُ، فَمَنْ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، سَعَيْتُ قَبْلَ أَنْ أَطُوفَ أَوْ قَدَّمْتُ شَيْئًا أَوْ أَخَّرْتُ شَيْئًا فَكَانَ يَقُولُ: لَا حَرَجَ لَا حَرَجَ، إِلَّا عَلَى رَجُلٍ اقْتَرَضَ عِرْضَ رَجُلٍ مُسْلِمٍ وَهُوَ ظَالِمٌ، فَذَلِكَ الَّذِي حَرِجَ وَهَلَكَ
صحيح


Usamah bin Sharik said “I went out with the Prophet (ﷺ) to perform Hajj, and the people were coming to him. One would say “Apostle of Allaah(ﷺ) I ran between Al Safa’ and Al Marwah before going round the Ka’bah or I did something before the its proper time or did something after its proper time. He would reply “No harm will come; no harm will come except to one who defames a Muslim acting wrongfully. That is the one who will be in trouble and will perish.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে

৩৮৫৫। উসামাহ ইবনু শরীক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এস দেখলাম তাঁর সাহাবীদের মাথার উপর যেন পাখী বসে আছে, অর্থাৎ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি সালাম দিয়ে বসলাম। অতঃপর এদিক-সেদিক থেকে কিছু বেদুঈন এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেন, তোমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করো; কেননা মহান আল্লাহ একমাত্র বার্ধক্য ছাড়া সকল রোগেরই ঔষধ সৃষ্টি করেছেন।[1]’

সহীহ।

بَابٌ فِي الرَّجُلِ يَتَدَاوَى

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ، فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ، فَجَاءَ الْأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَتَدَاوَى؟ فَقَالَ: تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً، غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ

صحيح


Narrated Usamah ibn Sharik: I came to the Prophet (ﷺ) and his Companions were sitting as if they had birds on their heads. I saluted and sat down. The desert Arabs then came from here and there. They asked: Messenger of Allah, should we make use of medical treatment? He replied: Make use of medical treatment, for Allah has not made a disease without appointing a remedy for it, with the exception of one disease, namely old age.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য

(৩৪৯০) উসামাহ বিন শারীক (রাঃ) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল, ’হে আল্লাহর রসূল! মানুষকে দেওয়া দানসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দান কী দেওয়া হয়েছে?’ উত্তরে তিনি বললেন, সুন্দর চরিত্র।

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيْـكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالُـوْا : يَا رَسُـوْلَ اللهِ مَا خَـيْـرُ مَا أُعـطِـىَ الْإنْـسَانُ ؟ قَالَ خُـلُـقٌ حَـسَـنٌ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য

(৩৪৯২) উসামাহ বিন শারীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা হল সেই, যার চরিত্র সুন্দর।

عَنْ أُساَمَةَ بْنِ شَرِيْكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺأَحَبُّ عِبَادِ اللهِ إِلَى اللهِ أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যেসব কাজ মহান আল্লাহ অপছন্দ করেন, যা মানুষ জনসম্মুখে করে না, এমন কাজ নির্জনে সংঘটিত করার ব্যাপারে হুশিয়ারী

৪০৩. উসামা বিন শারীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তোমার থেকে যে কাজ করা অপছন্দ করেন, তা তুমি করবে না, যখন তুমি নির্জনে থাকো।”[1]

ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ ارْتِكَابِ الْمَرْءِ مَا يَكْرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَعَلَا مِنْهُ فِي الْخَلَاءِ كَمَا قَدْ لَا يَرْتَكِبُ مِثْلَهُ فِي الْمَلَاءِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ زُهَيْرٍ بِتُسْتُرَ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ قَالَ حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا شعبة عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَا كَرِهَ اللَّهُ مِنْكَ شَيْئًا فَلَا تَفْعَلْهُ إِذَا خَلَوْتَ."
الراوي : أُسَامَة بْن شَرِيكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 403 | خلاصة حكم المحدث: حسن لغيره.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ একজন মানুষকে যা কিছু প্রদান করা হয়, তার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হলো সচ্চরিত্র

৪৭৮. উসামা বিন শারীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবীগণ বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, একজন মুসলিম ব্যক্তিকে যা কিছু প্রদান করা হয়, তন্মধ্যে সর্বোত্তম কোনটি?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সচ্চরিত্র।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ حُسْنَ الخُلُق مِنْ أَفْضَلِ مَا أُعْطِيَ الْمَرْءُ فِي الدُّنْيَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ ذَرِيحٍ بِعُكْبَرَا قَالَ: حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ مِسْعَرٍ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ: عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ:قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَفْضَلُ مَا أُعطي المرء المسلم؟ قال: (حُسْنُ الخُلُق.)
الراوي : عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 478 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াতে যার চরিত্র সুন্দর হবে, পরকালে সে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়পাত্র হবে

৪৮৬. উসামা বিন শারীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে (এমন চুপচাপ) ছিলাম যেন আমাদের মাথার উপর শকুন রয়েছে, আমাদের মাঝে কেউ কোন কথা বলছিল না। এমন সময় তাঁর কাছে ‍কিছু বেদুইন আসেন এবং বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদেরকে এই বিষয়ে ফাতাওয়া দিন, ঐ বিষয়ে ফাতাওয়া দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তোমাদের থেকে পাপ উঠিয়ে নিয়েছেন, তবে ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানহানী করে গীবত করে, সে ব্যক্তি পাপী হবে এবং ধ্বংস হবে।” তাঁরা আবার জিজ্ঞেস করলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা কি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবো?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “হ্যাঁ, পারবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ একটি রোগ ব্যতিত এমন কোন রোগ অবতীর্ণ করেননি, যে রোগের নিরাময় অবতীর্ণ করেননি।” তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন: “সেটি কোন রোগ?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বলেন: “সেটি হলো বার্ধক্য।” তাঁরা বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মানুষের মাঝে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মানুষের মাঝে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় যিনি তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি উত্তম চরিত্রের অধিকারী।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ مَنْ حَسُنَ خُلُقُهُ فِي الدُّنْيَا كَانَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ تعالى

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو النَّيْسَابُورِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ: عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم كأن على رؤوسنا الرَّخَمَ مَا يَتَكَلَّمُ مِنَّا مُتَكَلِّمٌ إِذْ جاءهُ نَاسٌ مِنَ الْأَعْرَابِ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أفتِنا فِي كَذَا أفتِنا فِي كَذَا فقَالَ: (أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ وَضَعَ عَنْكُمُ الحرج إلا امْرَءاً اقْتَرَضَ مِنْ عِرضِ أَخِيهِ فَذَاكَ الَّذِي حَرِجَ وَهَلَكَ) قَالُوا: أَفَنَتَدَاوَى يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: (نَعَمْ فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يُنْزِلْ دَاءً إِلَّا أَنْزَلَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ) قَالُوا: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: (الْهَرَمُ) قَالُوا: فَأَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: (أحبُّ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ أحْسَنُهُمْ خُلُقاً.)
الراوي : أُسَامَة بْن شَرِيكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 486 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ্ ইবনু শরীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে