পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) হাসান ইবনু রবী’ (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু সীরন (বিখ্যাত তাবি’ঈ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এ ইলম হলো দীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দীন গ্রহণ করছে তা যাচাই করে নাও। (অর্থাৎ সত্যবাদী, দীনদার এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ইলমে দীন শিক্ষা করা প্রযোজন।)
(.../...) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ (রহঃ) ..... ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিল যখন লোকেরা সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো না। কিন্তু পরে যখন ফিতনাহ (হাদীসের নামে মিথ্যা কথার আমদানী) দেখা দিল তখন লোকেরা হাদীস বর্ণনাকারীদেরকে বললো, তোমরা যাদের নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করেছ, আমাদের কাছে তাদের নাম বল। তারা এ কথা এ কারণে জানতে চাইত, যাতে দেখা যায় তারা আহলে সুন্নাত কিনা? যদি তারা এ সম্প্রদায়ের হয় তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে। আর যদি দেখা যায় তারা বিদ’আতী তাহলে তাদের হাদীস গ্রহণ করা হবে না।
(.../...) সুলাইমান ইবনু মুসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এরূপ এরূপ হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি বললেনঃ যদি সে ব্যক্তি নির্ভরযোগ্য হয়, তাহলে তার থেকে হাদীস গ্রহণ কর।
(.../...) সুলাইমান ইবনু মূসা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউস (রহঃ) কে বললাম, অমুক ব্যক্তি আমাকে এ হাদীস বলেছেন। তিনি বললেন, তোমার নিকট হাদীস বর্ণনাকারী যদি নির্ভরযোগ্য হয় তাহলে তার থেকে তা গ্রহণ কর।
(.../...) ইবনু আবূ যিনাদ (রহঃ) (আসল নাম আবদুল্লাহ ইবনু যাকওয়ান যিনি হাদীসের একজন ইমাম) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, আমি মদীনায় একশ জন লোকের সাক্ষাৎ পেয়েছি যারা মিথ্যা থেকে নিরাপদ ছিলেন। তবুও তাদের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা হতো না। কেননা তাদের সম্পর্কে বলা হতো যে, তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করার ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল মাক্কী ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু ইবরাহীমকে বলতে শুনেছি; নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (সিকাহ) ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস গৃহীত হবে না।
(.../...) মার্ভ (স্পেনের একটি অঞ্চল)-এর অধিবাসী মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। যদি সনদ না থাকতো তাহলে যার যা ইচ্ছা তাই বলতো।
মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমাদের ও লোকদের মাঝখানে রয়েছে সেতু বন্ধন বা খুঁটি অর্থাৎ সনদ।
আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু আত তালাকানী বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হে আবূ আবদুর রহমান! এ হাদীসটি সম্পর্কে আপনার কি অভিমত যাতে আছে, “অন্যতম সৎকাজ হলো আমার সালাতের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সালাত পড়ে নিও আর তোমার সিয়ামের সাথে পিতা-মাতার জন্যও সিয়াম পালন করে নিও?” তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! কার বরাতে এ হাদীসটি বর্ণনা করছো? আমি বললাম, এটি শিহাব ইবনু খিরাশ থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তবে তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবনু দীনার থেকে। তিনি বললেন, হ্যাঁ, ইনি নির্ভরযোগ্য। তিনি কার নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, হে আবূ ইসহাক! হাজ্জাজ ইবনু দীনার ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাঝে এত বিশাল প্রান্ত রয়েছে যা অতিক্রম করতে গেলে উটের গর্দানও ভেঙ্গে পড়বে।* তবে পিতা-মাতার জন্য সাদাকা করার বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।
মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি শুনেছি আলী ইবনু শাকীককে সে বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করতে আমি শুনেছি যে, তিনি একদিন লোকেদের সামনে বলেছিলেন, তোমরা আমর ইবনু সাবিত (রহঃ) এর হাদীস বর্জন কর, কেননা সে সাহাবা তাবিঈনদের (সালফে সলিহীনদের) দোষারোপ করে।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، وَحَدَّثَنَا فُضَيْلٌ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِينٌ فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ .
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ لَمْ يَكُونُوا يَسْأَلُونَ عَنِ الإِسْنَادِ، فَلَمَّا وَقَعَتِ الْفِتْنَةُ قَالُوا سَمُّوا لَنَا رِجَالَكُمْ فَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ السُّنَّةِ فَيُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ وَيُنْظَرُ إِلَى أَهْلِ الْبِدَعِ فَلاَ يُؤْخَذُ حَدِيثُهُمْ .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ لَقِيتُ طَاوُسًا فَقُلْتُ حَدَّثَنِي فُلاَنٌ، كَيْتَ وَكَيْتَ . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ .
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيَّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ قُلْتُ لِطَاوُسٍ إِنَّ فُلاَنًا حَدَّثَنِي بِكَذَا، وَكَذَا، . قَالَ إِنْ كَانَ صَاحِبُكَ مَلِيًّا فَخُذْ عَنْهُ .
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَدْرَكْتُ بِالْمَدِينَةِ مِائَةً كُلُّهُمْ مَأْمُونٌ . مَا يُؤْخَذُ عَنْهُمُ الْحَدِيثُ يُقَالُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِهِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، يَقُولُ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الثِّقَاتُ .
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَانَ بْنَ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ الإِسْنَادُ مِنَ الدِّينِ وَلَوْلاَ الإِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَا شَاءَ .
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْقَوَائِمُ . يَعْنِي الإِسْنَادَ .
وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، إِبْرَاهِيمَ بْنَ عِيسَى الطَّالَقَانِيَّ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحَدِيثُ الَّذِي جَاءَ " إِنَّ مِنَ الْبِرِّ بَعْدَ الْبِرِّ أَنْ تُصَلِّيَ لأَبَوَيْكَ مَعَ صَلاَتِكَ وَتَصُومَ لَهُمَا مَعَ صَوْمِكَ " . قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَا أَبَا إِسْحَاقَ عَمَّنْ هَذَا قَالَ قُلْتُ لَهُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ شِهَابِ بْنِ خِرَاشٍ . فَقَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ . قَالَ ثِقَةٌ عَمَّنْ قَالَ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنَّ بَيْنَ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَفَاوِزَ تَنْقَطِعُ فِيهَا أَعْنَاقُ الْمَطِيِّ وَلَكِنْ لَيْسَ فِي الصَّدَقَةِ اخْتِلاَفٌ .
وَقَالَ مُحَمَّدٌ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ شَقِيقٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ دَعُوا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ ثَابِتٍ فَإِنَّهُ كَانَ يَسُبُّ السَّلَفَ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Hasan bin ur-Rabī’ narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ayyūb and Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad [bin Sīrīn] ; and Fuḍayl [bin Īyāḍ] narrated to us on authority of Hishām [bin Hassān]; he said Mukhlad bin Husayn narrated to us, on authority of Hishām [bin Hassān], on authority of Muhammad bin Sīrīn , that he said:
‘Indeed this knowledge is faith, so carefully consider from whom you take your faith’.
Abū Ja’far Muhammad bin us-Sabbāh narrated to us, Ismā’īl bin Zakariyyā’ narrated to us, on authority of Āsim il-Ahwal, on authority of Ibn Sīrīn that he said:
‘They would not ask about the chains of narration, and when the Fitnah occurred, they said: ‘Name for us your men’. So Ahl us-Sunnah would be regarded, and their Ḥadīth were then taken, and Ahl ul-Bi’dah would be regarded, and their Ḥadīth were not taken’.
Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī narrated to us, Īsā, and he is Ibn Yūnus, informed us, al-Awzā’ī narrated to us, on authority of Sulyamān bin Mūsā, he said:
‘I came across Tāwus and said: ‘So-and-so narrated to me such-and-such’. Then he said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’
Abd Allah bin Abd ir-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Marwān, meaning Ibn Muhammad ad-Dimashqī informed us, Sa’īd bin Abd il-Azīz narrated to us, on authority of Sulaymān bin Mūsā, he said, I said to Tāwus:
‘So-and-so narrated to me like this-and-that’. He said: ‘If your companion is trustworthy, then take from him.’
Nasr bin Alī al-Jahdhamī narrated to us, al-Asma’ī narrated to us, on authority of Ibn Abī-Zinād, on authority of his father, he said:
‘I met one hundred [transmitters] in al-Madīnah, each of whom were reliable. Narrations were not taken from one about who it was said, ‘he is not from its people’
Muhammad bin Abī Umar al-Makkī narrated to us, Sufyān narrated to us; and Abū Bakr bin Khallād al-Bāhilī narrated to us – and the wording is his, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah, on authority of Mis’ar, he said, I heard Sa’d bin Ibrāhīm saying:
‘There is to be no narrating on authority of the Messenger of Allah, may Allah send blessings and peace upon him, except by trustworthy narrators (Thiqāt)’.
Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh from the people of Marw narrated to us, he said I heard Abdān bin Uthmān saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying:
‘The chain of narration is from the Dīn, and were it not for the chain of narration whoever wished could say what he wanted’.
Muhammad bin Abd Allah said, al-Abbās bin Abī Rizmah narrated to me, he said I heard Abd Allah [bin al-Mubārak] saying: ‘Between us and the people are ‘the legs’ (meaning the chain of narration, i.e. if a Ḥadīth was like a creature)’.
Muhammad said, I heard Abā Ishāq Ibrāhīm bin Īsā at-Tālqānī say, I said to Abd Allah bin al-Mubārak: ‘Oh Abā Abd ir-Rahman! How is the Ḥadīth which goes ‘Indeed from al-Birr after al-Birr is that you pray for your parents after you pray for yourself and you fast for them both after you fast for yourself’? So [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! On whose authority is this?’ I said to him: ‘This is a Ḥadīth from Shihāb bin Khirāsh’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘on authority of al-Hajjāj bin Dīnār’. [Ibn al-Mubārak] said: ‘[He is] trustworthy. On whose authority [did he transmit]?’ I said: ‘He [al-Hajjāj said] the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said…’ [Ibn al-Mubārak] said: ‘Oh Abā Ishāq! Indeed between al-Hajjāj bin Dīnār and the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, is a wilderness in which the necks of the mounts are severed, however, there is no difference of opinion regarding charity [offered on behalf of one’s parents]’.
Muhammad said, I heard Alī bin Shaqīq saying, I heard Abd Allah bin al-Mubārak saying in front of the people:
‘Abandon the Ḥadīth of Amr bin Thābit for indeed he would curse the Salaf [i.e., the Companions, may Allah be pleased with them]’.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) আবূ বকর ইবনু আন নাযর ইবনু আবূ আন নাযর (রহঃ) বুহাইয়্যাহ্ (রহঃ) নামক মহিলা তাবিঈ এর আযাদকৃত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা আমি ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় ইয়াহইয়া (রহঃ) কাসিম (রহঃ) কে বললেন, হে আবূ মুহাম্মাদ! আপনাকে দীন ও শারীআত সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করে উত্তম ও ব্যাখ্যা না পাওয়া আপনার মতো ব্যক্তির পক্ষে শোভনীয় নয়। কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, কি কারণে? ইয়াহইয়া (রহঃ) বললেন, কেননা আপনি আবূ বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) এর মত দু’জন সত্যপন্থী মহান খলীফার বংশধর। রাবী বলেন, এর জবাবে কাসিম (রহঃ) তাকে বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা জ্ঞান দান করেছেন, তার দৃষ্টিতে এর চেয়েও জঘন্য হলো না জেনে কোন কথা বলা। কিংবা অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করা। আবূ আকীল (রহঃ) বলেন, এ কথা শুনে ইয়াহইয়া (রহঃ) নীরব হয়ে গেলেন, আর কোন উত্তর দিলেন না।
(.../...) বিশর ইবনু হাকাম আল আবদী (রহঃ) ..... বুহাইয়্যার আযাদৃকত গোলাম আবূ আকীল (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) এর কোন এক উত্তরসূরী (কাসিম) কে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করল। এর উত্তর তার জানা ছিল না। তখন ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) তাকে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার কাছে অবাক লাগছে যে, আপনার মত ব্যক্তিকে দীন সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হলো অথচ তার কোন জবাব পাওয়া গেল না। আপনি হচ্ছেন দু’জন মহান নেতা উমার (রাযিঃ) ও ইবনু উমর (রাযিঃ) এর বংশধর। এর জবাবে তিনি (কাসিম) বললেন, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে এবং আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির দৃষ্টিতে এর চাইতে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো "যে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তা বলা কিংবা অনির্ভরযোগ্য লোক থেকে হাদীস বর্ণনা করা।" ইয়াহইয়া (রহঃ) ও কাসিম (রহঃ)--এর আলোচনার সময় আবূ আকীল ইয়াহইয়া ইবনু মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
(.../...) ’আমর ইবনু আলী আবূ হাফস (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ), শুবাহ (রহঃ), মালিক (রহঃ) ও ’উয়াইনাহ (রহঃ) কে হাদীসের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) নয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেউ যদি আমার কাছে তার সম্পর্কে জানতে চায় তবে কী বলব? তখন তারা বললেনঃ তুমি সে প্রশ্নকারীকে জানিয়ে দাও যে, ঐ ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার অযোগ্য।
(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন, নাযর (সুলাইম) (রহঃ) বলেছেন, একদিন ইবনু ’আওন তার দরজার চৌকাঠে দাঁড়ানো ছিলেন, তখন শাহর (ইবনু হাওশাব) বর্ণিত একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, শাহর সম্পর্কে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। আবূল হুসায়ন মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, লোকেরা তার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... শু’বাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, শাহর এর (ইবনু হাওশাবের) সাথে আমি সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু আমি তাকে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করি না।
(.../...) (মার্ভের অধিবাসী) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) কে বললাম, আব্বাদ ইবনু কাসীর সম্পর্কে আপনি তো সম্যক অবগত আছেন। সে হাদীস বর্ণনাকালে ঘোর অসত্য বলে থাকে। আপনি কি মনে করেন, আমি লোকদের বলে দিব যে, তারা যেন তার থেকে হাদীস বর্ণনা না করে। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) বলেন, তারপর থেকে আমি কোন মাজলিসে উপস্থিত থাকলে এবং সেখানে ’আব্বাদ সম্বন্ধে আলোচনা উঠলে আমি তার দীনদারীর প্রশংসা করতাম, কিন্তু বলে দিতাম যে, তোমরা তার নিকট থেকে হাদীস গ্রহণ করো না (অর্থাৎ তার থেকে সতর্ক থাক)।
আর মুহাম্মাদ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি শু’বার নিকট গেলে, তিনি বললেন, সে আব্বাদ ইবনু কাসীর থেকে তোমরা সতর্ক থাকবে।
(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) বলেন, আমি মু’আল্লা আর রায়ী (রহঃ) কে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যার থেকে আব্বাদ ইবনু কাসীর হাদীস বর্ণনা করতো, তিনি আমাকে ঈসা ইবনু ইউনুস এর সূত্রে অবহিত করলেন যে, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর গৃহদ্বারে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সুফইয়ান (রহঃ)-ও তার কাছে ছিলেন। যখন সুফইয়ান বাইরে এলেন, আমি তাকে মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, সে বড় মিথ্যাবাদী।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، صَاحِبُ بُهَيَّةَ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ الْقَاسِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَقَالَ يَحْيَى لِلْقَاسِمِ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ إِنَّهُ قَبِيحٌ عَلَى مِثْلِكَ عَظِيمٌ أَنْ تُسْأَلَ عَنْ شَىْءٍ مِنْ أَمْرِ هَذَا الدِّينِ فَلاَ يُوجَدَ عِنْدَكَ مِنْهُ عِلْمٌ وَلاَ فَرَجٌ - أَوْ عِلْمٌ وَلاَ مَخْرَجٌ - فَقَالَ لَهُ الْقَاسِمُ وَعَمَّ ذَاكَ قَالَ لأَنَّكَ ابْنُ إِمَامَىْ هُدًى ابْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ . قَالَ يَقُولُ لَهُ الْقَاسِمُ أَقْبَحُ مِنْ ذَاكَ عِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ آخُذَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ . قَالَ فَسَكَتَ فَمَا أَجَابَهُ .
وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ أَخْبَرُونِي عَنْ أَبِي عَقِيلٍ، صَاحِبِ بُهَيَّةَ أَنَّ أَبْنَاءً، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ سَأَلُوهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِيهِ عِلْمٌ فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُعْظِمُ أَنْ يَكُونَ مِثْلُكَ وَأَنْتَ ابْنُ إِمَامَىِ الْهُدَى - يَعْنِي عُمَرَ وَابْنَ عُمَرَ - تُسْأَلُ عَنْ أَمْرٍ لَيْسَ عِنْدَكَ فِيهِ عِلْمٌ . فَقَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ وَاللَّهِ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أُخْبِرَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ . قَالَ وَشَهِدَهُمَا أَبُو عَقِيلٍ يَحْيَى بْنُ الْمُتَوَكِّلِ حِينَ قَالاَ ذَلِكَ .
وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ سَأَلْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ وَشُعْبَةَ وَمَالِكًا وَابْنَ عُيَيْنَةَ عَنِ الرَّجُلِ لاَ يَكُونُ ثَبْتًا فِي الْحَدِيثِ فَيَأْتِينِي الرَّجُلُ فَيَسْأَلُنِي عَنْهُ . قَالُوا أَخْبِرْ عَنْهُ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ .
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ، يَقُولُ سُئِلَ ابْنُ عَوْنٍ عَنْ حَدِيثٍ، لِشَهْرٍ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ فَقَالَ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ إِنَّ شَهْرًا نَزَكُوهُ . قَالَ مُسْلِمٌ رَحِمَهُ اللَّهُ يَقُولُ أَخَذَتْهُ أَلْسِنَةُ النَّاسِ تَكَلَّمُوا فِيهِ .
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ لَقِيتُ شَهْرًا فَلَمْ أَعْتَدَّ بِهِ .
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، - مِنْ أَهْلِ مَرْوَ - قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قُلْتُ لِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ إِنَّ عَبَّادَ بْنَ كَثِيرٍ مَنْ تَعْرِفُ حَالَهُ . وَإِذَا حَدَّثَ جَاءَ، بِأَمْرٍ عَظِيمٍ فَتَرَى أَنْ أَقُولَ، لِلنَّاسِ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ قَالَ سُفْيَانُ بَلَى . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَكُنْتُ إِذَا كُنْتُ فِي مَجْلِسٍ ذُكِرَ فِيهِ عَبَّادٌ أَثْنَيْتُ عَلَيْهِ فِي دِينِهِ وَأَقُولُ لاَ تَأْخُذُوا عَنْهُ .
وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ أَبِي قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ انْتَهَيْتُ إِلَى شُعْبَةَ فَقَالَ هَذَا عَبَّادُ بْنُ كَثِيرٍ فَاحْذَرُوهُ .
وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ سَأَلْتُ مُعَلًّى الرَّازِيَّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الَّذِي، رَوَى عَنْهُ، عَبَّادٌ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، قَالَ كُنْتُ عَلَى بَابِهِ وَسُفْيَانُ عِنْدَهُ فَلَمَّا خَرَجَ سَأَلْتُهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ كَذَّابٌ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Abū Bakr ibn in-Naḍr bin Abīn-Naḍr narrated to me, he said Abūn-Naḍr Hāshim bin ul-Qāsim narrated to me, Abū Aqīl, companion of Buhayyah, narrated to us, he said:
‘I was sitting near al-Qāsim bin Ubayd Allah and Yahyā bin Sa’īd [bin Qays al-Madanī al-Qāḍī], when Yahyā said to al-Qāsim: ‘Oh Abā Muhammad! Indeed it is gravely harmful for the likes of you to be asked about something from the affair of this Dīn, and then knowledge of it is not found with you, and no relief [in the form of an answer]’ -or- ‘…knowledge and no articulation’. So al-Qāsim said [to Yahyā bin Sa’īd]: ‘Where did that come from?’ [Yahyā] said: ‘It is because you are the son of two Imāms of guidance- a descendent of Abu Bakr and Umar.’ [al-Qāsim] said to him: ‘More harmful than that- according to whoever reflects about Allah- is to speak without knowledge or to take [Ḥadīth] from someone who is not trustworthy’. [Abū Aqīl] said: ‘So [Yahyā bin Sa’īd] was quiet and did not respond to him’.
Bishr bin ul-Hakam al-Abdī narrated to me, he said, I heard Sufyān bin Uyaynah saying, they informed me on authority of Abī Aqīl, companion of Buhayyah, that a descendent of Abd Allah bin Umar was asked about something that he did not have knowledge about, so Yahyā bin Sa’īd said to him:
‘By Allah, indeed it is a grave matter that the likes of you, a descendent of two Imāms of guidance – meaning Umar and Ibn Umar – is asked about a matter and you have no knowledge of it’. So [al-Qāsim] said: ‘By Allah, more grave than that according to Allah, and to whoever reflects about Allah, is to speak without knowledge or to report on authority of one who is not trustworthy’. [Ibn Uyaynah] said that Abū Aqīl Yahyā bin al-Mutawakkil witnessed them both when they said that.
Amr bin Alī Abū Hafs narrated to us, he said I heard Yahyā bin Sa’īd, he said:
‘I asked Sufyān ath-Thawrī , Shu’bah, Mālik, and Ibn Uyaynah about a man who is not reliable (Thabt) in Ḥadīth, and someone comes and asks me about him, and they said: ‘Inform [others] against him that he is not reliable’.’
Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to us, he said, I heard an-Naḍr saying:
‘Ibn Awn was asked about the Ḥadīth of Shahr and he was standing at the threshold of the door, so [Ibn Awn] said: ‘Indeed they criticized Shahr, indeed they criticized Shahr’. Muslim, may Allah have mercy on him, said ‘He means- the tongues of men were busy criticizing him’.’
Hajjāj bin ush-Shā’ir narrated to me, Shabābah narrated to us, he said, Shu’bah said:
‘I had met Shahr then abandoned transmitting from him’.
Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh, from the people of Marw, narrated to me, he said Alī bin Husayn bin Wāqid informed me, he said Abd Allah bin al-Mubārak said, I said to Sufyān ath-Thawrī:
‘Indeed Abbād bin Kathīr, about whose condition you are aware, when he related [narrations] he introduced a grave matter- do you believe that it should be said to the people ‘Do not take from him?’ Sufyān said: ‘Indeed!’ Abd Allah [bin al-Mubārak] said: ‘So when I was in an assembly and Abbād was mentioned there, I praised him regarding his Dīn and said: ‘Do not take from him.’
Muhammad said, Abd Allah bin Uthmān narrated to us, he said, my father said, Abd Allah bin al-Mubārak said: ‘I ended up in an assembly of Shu’bah, and he said: ‘This is Abbād bin Kathīr so be warned against him.’
Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said, I asked Mu’allā ar-Rāzī about Muhammad bin Sa’īd whom Abbād transmitted from, so he informed me about what Īsā bin Yūnus said:
‘I was at his door and Sufyān was with [Muhammad bin Sa’īd], then when he came out I asked [Sufyān] about him. So he informed me that he was a liar.’
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ’আত্তাব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, ’আফফান (রহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা সৎ ব্যক্তিদের অন্য কোন বস্তুর ব্যাপারে এতখানি মিথ্যা বলতে দেখিনি যতখানি দেখেছি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে। ইবনু আবূ আত্তাব (রহঃ) বলেন, আমি সরাসরি মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি তার পিতার সূত্রে বললেন, তুমি পুণ্যবান লোকদেরকে হাদীস বর্ণনার চাইতে অন্য কিছুতেই অধিক মিথ্যা বলতে দেখবে না। ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, মিথ্যা তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তারা ইচ্ছা করে মিথ্যা বলেন না।
(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, খলীফাহ ইবনু মূসা (রহঃ) বলেছেন, আমি গালিব ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে হাদীস লিখাতে গিয়ে বললেন, মাকহুল (রহঃ) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এমন সময় তার প্রস্রাবের বেগ হলো। তিনি প্রস্রাব করতে চলে গেলেন। আমি এ অবসরে তার পাণ্ডুলিপিখানির প্রতি তাকিয়ে দেখলাম। তাতে লেখা রয়েছে, আবান (রহঃ) আনাস (রহঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং আবান (রহঃ) অমুকের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ দেখে (মাকহুলের উল্লেখ না পেয়ে) আমি তার কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ না করে চলে এলাম।
তিনি [মুসলিম (রহঃ)] বলেন, আমি হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানীকে বলতে শুনেছি, আমি আফফান (রহঃ) এর গ্রন্থে আবূল মিকদাম হিশামের হাদীস দেখেছি, যা তিনি উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রহঃ) বলেন, আমার কাছে এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, তাকে অমুকের পুত্র ইয়াহইয়া (রহঃ) বলা হয়। তিনি মুহাম্মাদ ইবনু কাবের সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হুলওয়ানী বলেন, আমি আফফান (রহঃ) কে বললাম, লোকেরা বলে হিশাম না কি মুহাম্মাদ ইবনু কাব (রহঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছেন। আফফান (রহঃ) বললেন, এ হাদীসটির কারণেই হিশাম বিপাকে পড়েছেন। তিনি এ হাদীসটির সনদে বলতেন, ইয়াহইয়া (রহঃ) আমাকে মুহাম্মাদের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে তিনি দাবী করেন যে, স্বয়ং মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে তিনি এ হাদীস শুনেছেন।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ’আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু জাবালাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) কে বললাম, ঐ ব্যক্তিটি কে যার থেকে আপনি "ঈদুল ফিতরের দিন পুরস্কার লাভের দিন" সম্পর্কিত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রহঃ) এর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন? জবাবে ইবনু মুবারাক (রহঃ) বললেন, তিনি হলেন, সুলাইমান ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ)। ইবনু মুবারাক (রহঃ) আরো বললেন, লক্ষ্য করো আমি তার মারফত কী এক মূল্যবান বস্তু তোমার হাতে তুলে দিয়েছি।
ইবনু কুহযায (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, “কারো শরীর থেকে এক দিরহাম পরিমাণ রক্ত বের হলে (তার ওযু নষ্ট হয়ে যাওয়া)" সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনাকার রাওহ ইবনু গুতায়ফ (রহঃ) কে দেখে আমি তার এক মাজলিসে বসলাম। আমার সঙ্গীদের কেউ আমাকে তার কাছে বসা অবস্থায় দেখে ফেলার লজ্জার আশঙ্কা করছিলাম। কেননা লোকেরা তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করা পছন্দ করে না।
(.../...) ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাকিয়্যাহ (রহঃ) সত্যবাদী লোক। কিন্তু সে (সিকাহ য’ঈফ) সব ধরনের লোকের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। (এ কারণে মুহাদ্দিসীনগণ তাকে য’ঈফ বা দুর্বল বলেছেন।)
(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আল হামদানী আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছে কিন্তু সে ছিল মিথ্যাবাদী।
(.../...) আবূ আমির আবদুল্লাহ ইবনু বারুরাদ আল আশ’আরী (রহঃ) ..... শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস আল আওয়ার আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে। এরপর শা’বী (রহঃ) শপথ করে বলেন, সে মিথ্যাবাদীদের অন্যতম।
(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আলকামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি দু’বছরে কুরআন মজীদ পড়েছি। এ কথা শুনে হরিস বললো, কুরআন সহজ কিন্তু ওয়াহী কঠিন।
(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিস বলেছে, আমি তিন বছরে কুরআন শিখেছি এবং ওয়াহী শিখেছি দু’বছরে। অথবা সে বলেছে, ওয়াহী শিখেছি তিন বছরে এবং কুরআন শিখেছি দু’বছরে।
(.../...) হাজ্জাজ (ইবনু শাইর) (রহঃ) ..... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হারিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। (শী’আ মিথ্যাবাদী ও ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অনুসারী বলে )
(.../...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... হামযাহ আল যাইয়্যাত (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মুররাতুল হামদানী (রহঃ) হারিস (রহঃ) এর কাছ থেকে দীন বিরোধী কিছু কথা শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, তুমি দরজায় বস। রাবী বলেন, মুররাহ (রহঃ) ঘরে প্রবেশ করে হাতে তরবারি তুলে নিলেন। রাবী বলেন, মন্দ পরিণতি ঘটতে পারে, এ আশঙ্কায় হারিস তখন পলায়ন করল।
(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ইবরাহীম (নাখ’ঈ) (রহঃ) আমাদের নিকট বললেন, তোমরা মুগীরাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ও আবূ আবদুর রহীমের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থেকো। কেননা তারা উভয়ই মিথ্যাবাদী।
(.../...) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ..... আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আবূ ’আবদুর রহমান সুলামী (রহঃ) এর কাছে যাওয়া আসা করতাম। এ সময় আমরা ছিলাম বয়সে তরুণ। তিনি আমাদের বলতেন, আবূল আহওয়াস ছাড়া অন্য কোন কিসসা-কাহিনীকারদের সাথে ওঠাবসা করো না। আর অবশ্যই তোমরা শাকীক থেকে সতর্ক থাকবে। কেননা এ শাকীক খারিজীদের আকীদাহ পোষণ করে। তবে আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) এ শাকীক নন।
(.../...) আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনু আমর আর রায়ী (রহঃ) বলেন, আমি জারীর (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি জাবির ইবনু ইয়াযীদ জুকীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু আমি তার কাছ থেকে কোন হাদীস লিখিনি, কেননা সে রাজ’আতে* বিশ্বাসী ছিল।
(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... মিসআর (রহঃ) বলেন, জাবির ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) তিনি নতুন মতবাদ আবিষ্কারের আগে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَتَّابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَفَّانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمْ نَرَ الصَّالِحِينَ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ .
قَالَ ابْنُ أَبِي عَتَّابٍ فَلَقِيتُ أَنَا مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ فَقَالَ عَنْ أَبِيهِ، لَمْ تَرَ أَهْلَ الْخَيْرِ فِي شَىْءٍ أَكْذَبَ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ . قَالَ مُسْلِمٌ يَقُولُ يَجْرِي الْكَذِبُ عَلَى لِسَانِهِمْ وَلاَ يَتَعَمَّدُونَ الْكَذِبَ
حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنِي خَلِيفَةُ بْنُ مُوسَى، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى غَالِبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فَجَعَلَ يُمْلِي عَلَىَّ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، فَأَخَذَهُ الْبَوْلُ فَقَامَ فَنَظَرْتُ فِي الْكُرَّاسَةِ فَإِذَا فِيهَا حَدَّثَنِي أَبَانٌ عَنْ أَنَسٍ وَأَبَانٌ عَنْ فُلاَنٍ فَتَرَكْتُهُ وَقُمْتُ .
قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيَّ، يَقُولُ رَأَيْتُ فِي كِتَابِ عَفَّانَ حَدِيثَ هِشَامٍ أَبِي الْمِقْدَامِ حَدِيثُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ هِشَامٌ حَدَّثَنِي رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ يَحْيَى بْنُ فُلاَنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قُلْتُ لِعَفَّانَ إِنَّهُمْ يَقُولُونَ هِشَامٌ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ . فَقَالَ إِنَّمَا ابْتُلِيَ مِنْ قِبَلِ هَذَا الْحَدِيثِ كَانَ يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدٍ ثُمَّ ادَّعَى بَعْدُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ جَبَلَةَ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ مَنْ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي رَوَيْتَ عَنْهُ، حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو " يَوْمُ الْفِطْرِ يَوْمُ الْجَوَائِزِ " . قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ الْحَجَّاجِ . انْظُرْ مَا وَضَعْتَ فِي يَدِكَ مِنْهُ .
قَالَ ابْنُ قُهْزَاذَ وَسَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ زَمْعَةَ، يَذْكُرُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ رَأَيْتُ رَوْحَ بْنَ غُطَيْفٍ صَاحِبَ " الدَّمِ قَدْرِ الدِّرْهَمِ " وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ مَجْلِسًا فَجَعَلْتُ أَسْتَحْيِي مِنْ أَصْحَابِي أَنْ يَرَوْنِي جَالِسًا مَعَهُ كُرْهَ حَدِيثِهِ
حَدَّثَنِي ابْنُ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ وَهْبًا، يَقُولُ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ بَقِيَّةُ صَدُوقُ اللِّسَانِ وَلَكِنَّهُ يَأْخُذُ عَمَّنْ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ الْهَمْدَانِيُّ، وَكَانَ، كَذَّابًا
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُفَضَّلٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ الأَعْوَرُ، وَهُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قَالَ عَلْقَمَةُ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ . فَقَالَ الْحَارِثُ الْقُرْآنُ هَيِّنٌ الْوَحْىُ أَشَدُّ .
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، قَالَ تَعَلَّمْتُ الْقُرْآنَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْوَحْىَ فِي سَنَتَيْنِ - أَوْ قَالَ الْوَحْىَ فِي ثَلاَثِ سِنِينَ وَالْقُرْآنَ فِي سَنَتَيْنِ
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنِي أَحْمَدُ، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ الْحَارِثَ، اتُّهِمَ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، قَالَ سَمِعَ مُرَّةُ الْهَمْدَانِيُّ، مِنَ الْحَارِثِ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ اقْعُدْ بِالْبَابِ . قَالَ فَدَخَلَ مُرَّةُ وَأَخَذَ سَيْفَهُ - قَالَ - وَأَحَسَّ الْحَارِثُ بِالشَّرِّ فَذَهَبَ .
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ قَالَ لَنَا إِبْرَاهِيمُ إِيَّاكُمْ وَالْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ وَأَبَا عَبْدِ الرَّحِيمِ فَإِنَّهُمَا كَذَّابَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيَّ وَنَحْنُ غِلْمَةٌ أَيْفَاعٌ فَكَانَ يَقُولُ لَنَا لاَ تُجَالِسُوا الْقُصَّاصَ غَيْرَ أَبِي الأَحْوَصِ وَإِيَّاكُمْ وَشَقِيقًا . قَالَ وَكَانَ شَقِيقٌ هَذَا يَرَى رَأْىَ الْخَوَارِجِ وَلَيْسَ بِأَبِي وَائِلٍ
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرًا، يَقُولُ لَقِيتُ جَابِرَ بْنَ يَزِيدَ الْجُعْفِيَّ فَلَمْ أَكْتُبْ عَنْهُ كَانَ يُؤْمِنُ بِالرَّجْعَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ يَزِيدَ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، مَا أَحْدَثَ
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Muhammad bin Abī Attāb narrated to me, he said Affān narrated to me, on authority of Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, on authority of his father, he said:
‘We do not see the righteous more false in anything than they are regarding Ḥadīth’.
Ibn Abī Attāb said: ‘So Muhammad bin Yahyā bin Sa’īd al-Qattān and I met and I asked him about it and he said on authority of his father: ‘You will not see the people of good (Ahl ul-Khayr) more false in anything than they are regarding Ḥadīth.’ Muslim said: ‘He was saying that falsehood flows upon their tongues although they do not intend to lie’.
Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, he said Khalīfah bin Mūsā informed me, he said:
‘I entered upon Ghālib bin Ubayd Allah so he began dictating to me ‘Mak’hūl narrated to me this’ and ‘Mak’hūl narrated to me that’. So he prepared to answer the call of nature and stood up, then I looked in his notebook and in it was ‘Abān narrated to me, on authority of Anas’ and ‘Abān on authority of so-and-so’. So I abandoned [listening to his Ḥadīth] and stood up [to leave]’.
I heard al-Hasan bin Alī al-Hulwānī saying: ‘I saw in one of the books of Affān a Ḥadīth of Hishām Abīl-Miqdām meaning a Ḥadīth of Umar bin Abd il-Azīz. [In it was written] ‘Hishām said: ‘A man said to be Yahyā bin so-and-so narrated to me, on authority of Muhammad bin Ka’b…’ [Al-Hulwānī] said, I said to Affān: ‘They would say Hishām heard it [directly] from Muhammad bin Ka’b’. So [Affān] said: ‘Indeed Hishām was stricken [with accusations of lying] with regards to this Ḥadīth for he would say ‘Yahyā narrated to me on authority of Muhammad’, then he claimed afterwards that he heard it from Muhammad [directly]’.’
Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh narrated to me, he said I heard Abd Allah bin Uthmān bin Jabalah saying, I said to Abd Allah bin al-Mubārak:
‘Who is this man from whom you transmit the Ḥadīth of Abd Allah bin Amr, ‘The day of Fitr is the day of prizes…’?’ [Abd Allah] said: ‘Sulaymān bin al-Hajjāj. Look at what I placed in your hands [of praise] about him’.
Ibn Quhzādh said I heard Wahb bin Zam’ah mentioning about Sufyān bin Abd il-Mālik, he said, Abd Allah –meaning Ibn al-Mubārak- said: ‘I saw Rawh bin Ghutayf, the companion of blood the amount of a Dirham , and I took a seat in one of his audiences. Then I began to become ashamed for my companions to see me sitting with him while his Ḥadīth are disapproved of.’
Ibn Quhzādh narrated to me, he said, I heard Wahb [bin Zam’ah] saying, on authority of Sufyān [bin Abd il-Mālik], on authority of Ibn al-Mubārak, he said:
‘Baqiyyah [bin al-Walīd] is truthful of tongue however he transmits [Ḥadīth] from those who approach [the Muhaddithīn, i.e. are trustworthy] and from those who turn their backs on [the Muhaddithīn, i.e. and are weak]’.
Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of ash-Sha’bī, he said:
‘al-Hārith al-A’war ul-Hamdānī narrated to me, and he is a liar’.
Abū Āmir Abd Allah bin Barrād al-Ash’arī narrated to us, Abū Usāmah narrated to us, on authority of Mufaḍḍal, on authority of Mughīrah, he said I heard ash-Sha’bī saying:
‘al-Hārith al-A’war narrated to me,’ and he [ash-Sha’bī] was testifying that he was one of the liars’.
Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Mughīrah, on authority of Ibrāhīm [bin Yazīd an-Nakhā’ī], he said, Alqamah said:
‘I memorized the Qur’ān in two years’. Al-Hārith said: ‘The Qur’ān is easy; the revelation [i.e. the secret revelation to Alī in the belief of the Shī’ah] is more difficult ’.
Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Ahmad- meaning Ibn Yūnus- narrated to us, Zā’idah narrated to us, on authority of al-A’mash, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith said:
‘I studied the Qur’ān for three years and the revelation for two years’; or he said: ‘…the revelation in three years and the Qur’ān in two years ’.
Hajjāj narrated to me, he said Ahmad- and he is Ibn Yūnus- narrated to me, Zā’idah narrated to us, on authority of Mansūr and al-Mughīrah, on authority of Ibrāhīm that al-Hārith was imputed.
Qutaybah bin Sa’īd narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Hamzah az-Zayyāt, he said:
‘Murrah al-Hamdānī heard something from al-Hārith and said to him: ‘sit by the door’. [Hamzah] said: ‘So Murrah went inside and took his sword and al-Hārith sensed evil and left’.
Ubayd Allah bin Sa’īd narrated to me, Abd ur-Rahman- meaning Ibn Mahdī- narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, on authority of Ibn Awn, he said, Ibrāhīm said to us:
‘Beware of al-Mughīrah bin Sa’īd and Abū Abd ar-Rahīm for they are both liars’.
Abū Kāmil al-Jahdarī narrated to us, Hammād- and he is Ibn Zayd- narrated to us, he said Āsim [bin Bahdalah] narrated to us, he said:
‘We would catch up with Abū Abd ar-Rahman as-Sulamī and at the time we were young men, so he would say to us: ‘Do not sit with story-tellers other than Abūl-Ahwas and beware of Shaqīq [Abū Abd ar-Rahīm]’. [Muslim] said: ‘This Shaqīq held the view of the Khawārij and is not Abū Wā’il [Shaqīq bin Salamah, the righteous Tabi’ī]’.
Abū Ghassān Muhammad bin Amr ar-Rāzī narrated to us, he said, I heard Jarīr [bin Abd al-Hamīd bin Qurt aḍ-Ḍabbī] saying:
‘I met Jābir bin Yazīd al-Ju’fī and did not write [Ḥadīth] from him; he believed in ar-Raj’ah’ [A Rāfiḍī belief regarding Alī returning].
Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, Yahyā bin Ādam narrated to us, Mis’ar narrated to us, he said:
‘Jābir bin Yazīd narrated to us before there took place what happened [i.e. before his false beliefs] ’.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, লোকেরা আকীদাহ প্রকাশের পূর্বে হাদীস বর্ণনা করত। তার ভ্রান্ত আকীদাহ প্রকাশের পর লোকেরা তাকে হাদীস বর্ণনায় মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল। কিছু সংখ্যক লোক তাকে বর্জন করল। সুফইয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল, সে কী আকীদাহ পোষণ করত? তিনি বললেন, সে রাজ’আতে বিশ্বাস করেছে।
(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) জাবির ইবনু ইয়াখীদ (রহঃ) বলেন, আবূ জাফার এর (ইমাম মুহাম্মাদ বাকির) সূত্রে আমার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সত্তর হাজার হাদীস মওজুদ আছে। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইমাম বাকির মধ্যে বিস্তার সময়ের ব্যবধান হেতু সমুদয় হাদীস মুনকাতি ও জাবিরের আকীদাহ খারাপ হওয়াতে রিওয়ায়াতগুলো মিথ্যা বলে প্রতীয়মান)।
(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ইয়াযীদ বলেছেন যে, আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার হাদীস মওজুদ আছে। আমি এর সামান্য কিছুও বর্ণনা করিনি। যুহায়র (রহঃ) বলেন, এরপর সে একদিন একটি হাদীস বর্ণনা করে বলল, এটা ঐ পঞ্চাশ হাজার হাদীসের একটি।
(.../...) ইবরাহীম ইবনু খালিদ আল ইয়াশকুরী (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ইয়াযীদ জুকী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পঞ্চাশ হাজার হাদীস মওজুদ আছে।
(.../...) সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... সুফইয়ান বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে জাবির জুফীকে প্রশ্ন করতে শুনেছিঃ "আমি কিছুতেই এ দেশ ত্যাগ করব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পিতা আমাকে অনুমতি না দেন অথবা আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য কোন সুরাহা না করেন। কেননা, তিনি উত্তম ফায়সালাকারী"— (সূরাহ ইউসুফ ১২ঃ ৮০)। এ আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তি জাবিরকে প্রশ্ন করেছিলেন। তখন জাবির বলেনঃ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা অদ্যাবধি প্রতিফলিত হয়নি। এ কথা শুনে সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, জাবির মিথ্যা বলেছে। (হুমাইদী বলেন) আমরা সুফইয়ান (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে এ আয়াত থেকে তার উদ্দেশ্য কি? সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, “রাফিযীরা বলে, ’আলী (রাযিঃ) মেঘের রাজ্যে অবস্থান করছেন। আমি তার বংশের কোন ব্যক্তির সমর্থনে জিহাদে বের হবো না, যে পর্যন্ত আলী (রাযিঃ) আকাশ থেকে আওয়াজ না দিয়ে বলবেন, তোমরা অমুকের সাথে জিহাদে বেরিয়ে পড়ো।" জাবির বলেন, এ হল আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা। সুফইয়ান (রহঃ) বললেন, সে মিথ্যা বলেছে, কেননা এ আয়াত তো ইউসুফ (আঃ) এর ভাইদের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত।
(.../...) সালামাহ্ (রহঃ) ..... সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি জাবিরকে প্রায় ত্রিশ হাজার হাদীস বলতে শুনেছি। কিন্তু আমি তার থেকে সামান্য কিছু প্রকাশ করাও বৈধ মনে করি না, যদিও আমাকে এতো-এতো পরিমাণে (ধন-সম্পদ) দান করা হয়।
মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনু আমুর আর রাযী (রহঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আমি জারীর ইবনু আবদুল হামীদকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি হারিস ইবনু হাসীরাহ তার সঙ্গে কখনো সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি একজন মিতভাষী প্রবীণ বৃদ্ধ। কিন্তু একটি গুরুতর কাজে বাড়াবাড়ি করেন। (রাফিযী বাতিল আকীদাহ পোষণ করে।)
(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা এক ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করে বললেন, তার কথার ঠিক নেই। (মানে ইচ্ছামত কম বেশি করে)। তিনি আরেক ব্যক্তির আলোচনা করে বললেন, সে হাদীসের মধ্যে সংযোজন করে (মিথ্যা জুড়ে দেয়)।
(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আইয়ূব (রহঃ) আমাকে বলেছেন, আমার এক প্রতিবেশী আছে। তিনি তার গুণাবলী ও ইলমের আলোচনা করে পরে বললেন, সে আমার সামনে দুটি খেজুরের ব্যাপারেও সাক্ষ্য দিলে আমি তার সাক্ষ্য বৈধ বলে গ্রহণ করব না।
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ও হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... ’আবদুর রাযাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মামার (রহঃ) বলছেন, আমি আইয়ূব (রহঃ) কে কখনো গীবাত করতে দেখিনি। কিন্তু আবদুল কারীমের অর্থাৎ আবূ উমাইয়্যার গীবাত করতে দেখেছি। একদিন তিনি তার আলোচনা করে বলেছেন, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করুন। সে নির্ভরযোগ্য ও আস্থাভাজন ব্যক্তি নয়। একদা সে আমাকে ইকরিমাহ্ (রহঃ) এর একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। পরে সে তা এভাবে বর্ণনা করেছে, আমি ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে শুনেছি *।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَحْمِلُونَ عَنْ جَابِرٍ، قَبْلَ أَنْ يُظْهِرَ، مَا أَظْهَرَ فَلَمَّا أَظْهَرَ مَا أَظْهَرَ اتَّهَمَهُ النَّاسُ فِي حَدِيثِهِ وَتَرَكَهُ بَعْضُ النَّاسِ فَقِيلَ لَهُ وَمَا أَظْهَرَ قَالَ الإِيمَانَ بِالرَّجْعَةِ .
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، وَأَخُوهُ، أَنَّهُمَا سَمِعَا الْجَرَّاحَ بْنَ مَلِيحٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ عِنْدِي سَبْعُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهَا .
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ سَمِعْتُ زُهَيْرًا، يَقُولُ قَالَ جَابِرٌ - أَوْ سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ - إِنَّ عِنْدِي لَخَمْسِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا حَدَّثْتُ مِنْهَا بِشَىْءٍ . قَالَ ثُمَّ حَدَّثَ يَوْمًا بِحَدِيثٍ فَقَالَ هَذَا مِنَ الْخَمْسِينَ أَلْفًا .
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ الْيَشْكُرِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْوَلِيدِ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرًا الْجُعْفِيَّ، يَقُولُ عِنْدِي خَمْسُونَ أَلْفَ حَدِيثٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، سَأَلَ جَابِرًا عَنْ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ( فَلَنْ أَبْرَحَ الأَرْضَ حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ) فَقَالَ جَابِرٌ لَمْ يَجِئْ تَأْوِيلُ هَذِهِ . قَالَ سُفْيَانُ وَكَذَبَ . فَقُلْنَا لِسُفْيَانَ وَمَا أَرَادَ بِهَذَا فَقَالَ إِنَّ الرَّافِضَةَ تَقُولُ إِنَّ عَلِيًّا فِي السَّحَابِ فَلاَ نَخْرُجُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مِنْ وَلَدِهِ حَتَّى يُنَادِيَ مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ . يُرِيدُ عَلِيًّا أَنَّهُ يُنَادِي اخْرُجُوا مَعَ فُلاَنٍ . يَقُولُ جَابِرٌ فَذَا تَأْوِيلُ هَذِهِ الآيَةِ وَكَذَبَ كَانَتْ فِي إِخْوَةِ يُوسُفَ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا، يُحَدِّثُ بِنَحْوٍ مِنْ ثَلاَثِينَ أَلْفَ حَدِيثٍ مَا أَسْتَحِلُّ أَنْ أَذْكُرَ مِنْهَا شَيْئًا وَأَنَّ لِي كَذَا وَكَذَا .
قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ أَبَا غَسَّانَ، مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرٍو الرَّازِيَّ قَالَ سَأَلْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ الْحَمِيدِ فَقُلْتُ الْحَارِثُ بْنُ حَصِيرَةَ لَقِيتَهُ قَالَ نَعَمْ . شَيْخٌ طَوِيلُ السُّكُوتِ يُصِرُّ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذَكَرَ أَيُّوبُ رَجُلاً يَوْمًا فَقَالَ لَمْ يَكُنْ بِمُسْتَقِيمِ اللِّسَانِ وَذَكَرَ آخَرَ فَقَالَ هُوَ يَزِيدُ فِي الرَّقْمِ .
حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ أَيُّوبُ إِنَّ لِي جَارًا - ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ فَضْلِهِ - وَلَوْ شَهِدَ عِنْدِي عَلَى تَمْرَتَيْنِ مَا رَأَيْتُ شَهَادَتَهُ جَائِزَةً .
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ قَالَ مَعْمَرٌ مَا رَأَيْتُ أَيُّوبَ اغْتَابَ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ عَبْدَ الْكَرِيمِ - يَعْنِي أَبَا أُمَيَّةَ - فَإِنَّهُ ذَكَرَهُ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ كَانَ غَيْرَ ثِقَةٍ لَقَدْ سَأَلَنِي عَنْ حَدِيثٍ لِعِكْرِمَةَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said:
‘The people would transmit from Jābir before there appeared what appeared, then when there appeared what appeared, the people imputed him in his Ḥadīth and some of the people abandoned him’. So it was said to [Sufyān]: ‘What appeared?’ [Sufyān] said: ‘Belief in ar-Raj’ah’.
Hasan al-Hulwānī narrated to us, Abū Yahyā al-Himmānī narrated to us, Qabīsah and his brother [Sufyān bin Uqbah] narrated to us, that they heard al-Jarrāh bin Malīh saying, I heard Jābir say:
‘I have 70,000 Ḥadīth all of which are on authority of Abū Ja’far on authority of the Prophet, peace and blessings upon him’.
Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Ahmad bin Yūnus narrated to us, he said, I heard Zuhayr saying, Jābir said, or, I heard Jābir saying:
‘Indeed I have fifty thousand Ḥadīth that I have not narrated from at all’. [Zuhayr] said: ‘Then that day he related a Ḥadīth and said, ‘This is from the fifty thousand’.
Ibrāhīm bin Khālid al-Yashkurī narrated to me, he said, I heard Abūl-Walīd saying, I heard Sallām bin Abī Mutī’ saying, I heard Jābir al-Ju’fī saying:
‘I have fifty thousand Ḥadīth on authority of the Prophet, peace and blessings upon him’.
Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said, I heard a man ask Jābir about the verse:
{Thus I will never depart from the land until my father permits me or Allah decides for me, and He is the best of Judges}[Yūsuf: 80]. Jābir said: ‘An interpretation has not come to me about these [verses]’. Sufyān said: ‘He lied’. We said to Sufyān: ‘What did he mean by this?’ [Sufyān] said: ‘Indeed the Rāfiḍah say, ‘Alī is in the clouds and we will not emerge along with he who will emerge from his children [the Khalīfah] until a caller calls from the heaven, meaning Alī: ‘Ride out along with so-and-so [meaning the promised Mahdī]’. Jābir said, ‘that is an interpretation for these verses’, and he would lie as they were regarding the brothers of Yūsuf, peace be upon him’.
Salamah narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said:
‘I heard Jābir talking about something like 30,000 Ḥadīth [that] I did not regard as permissible to mention anything from, and that to me was like this and that [Ḥadīth].’
Muslim said, I heard Abū Ghassān Muhammad bin Amr ar-Rāzī say, ‘I asked Jarīr bin Abd il-Hamīd: ‘Did you meet al-Hārith bin Hasīrah? He said: ‘Yes, [he is a] Shaykh of lengthy silence; he persisted in a grave matter.’
Ahmad bin Ibrāhīm ad-Dawraqī narrated to me, he said Abd ur-Rahman bin Mahdī narrated to me, on authority Hammād bin Zayd, he said, Ayyūb mentioned a man one day and said [about him]:
‘He is not upright in speech [i.e. he lies]’, and he mentioned another [person] and said: ‘He adds to records [i.e. he lies]’.
Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, he said, Ayyūb said:
‘Indeed I have a neighbor’ and he mentioned some of his virtues, [and continued] ‘…even if he testified to me about two dates I would not see his testimony as permissible’.
Muhammad bin Rāfi’ and Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, they said Abd ur-Razzāq narrated to us, he said Ma’mar said:
‘I did not see Ayyūb speaking ill of anyone, ever, except for Abd al-Karīm- meaning Abū Umayyah’. So he mentioned him and said, may Allah have mercy on him ‘He is not trustworthy- he had asked me about a Ḥadīth of Ikrimah then said ‘I heard from Ikrimah’ [when relating the Ḥadīth].’
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) ফাযল ইবনু সাহল (রহঃ) ..... আফফান ইবনু মুসলিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হাম্মাম (রহঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, অন্ধ আবূ দাউদ (নাফি ইবনু হারিস) আমাদের নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগল বারা (রহঃ) এবং যায়দ ইবনু আরকাম (রহঃ) আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন। আমরা কাতাদাহ (রহঃ) এর নিকট গিয়ে এ কথা আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। তাদের থেকে সে কিছুই শোনেনি। সে তো ছিল একজন ভিক্ষুক। বিধ্বংসকারী জারিফের* অর্থাৎ মহামারীর সময় লোকেদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতো।
(.../...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ... হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, অন্ধ আবূ দাউদ কাতাদাহ্ (রহঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। সে চলে গেলে লোকেরা বললো যে, আবূ দাউদ দাবী করে যে, সে আঠার জন বাদরী (বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী) সাহাবার সাথে সাক্ষাৎ করেছে। এ কথা শুনে কাতাদাহ্ (রহঃ) বললেন, সে তো জারিফ মহামারীর পূর্বে ভিক্ষা করে বেড়াত। সে হাদীস শিক্ষা করার এবং এ সম্পর্কে আলোচনা করার সুযোগ পায়নি। আল্লাহর কসম! হাসান বাসরী (রহঃ) সরাসরি কোন বাদরী সাহাবা থেকে আমাদেরকে হাদীস শোনাননি। সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) সা’দ ইবনু মালিক সা’দ ইবনু আবী ওয়াককাস (রাঃ) ছাড়া অন্য কোন বাদরী সাহাবা থেকে প্রত্যক্ষভাবে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেননি।
(.../...) উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) বলেন, জারীর (রহঃ) রাকাবাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ জাফার আল হাশিমী আল মাদানী (রহঃ) সর্বমহল পরিক্ষীত কথাকে রসূলের হাদীস বলে প্রচার করতেন। সেগুলো প্রকৃতপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস নয়।
(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আবূ ইসহাক ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সুফইয়ান (রহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ইউনুস ইবনু উবায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, ’আমর ইবনু উবায়দ হাদীসের মধ্যে মিথ্যা বলত।
(.../...) ’আমর ইবনু ’আলী আবূ হাফস (রহঃ) ..... আমর ইবনু উবায়দ হাসান আল বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলিমদের) উপর অস্ত্র উঠায়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" আওফ (রহঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ আমর মিথ্যা বলেছে। সে এ হাসীদটিকে তার বদ ’আকীদার সাথে একত্রিত করার অপচেষ্টা করেছে**।
(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারীরী (রহঃ) এর হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আইয়ুব (সুখতিয়ানীর) সাহচর্যে থেকে তার কাছ থেকে হাদীস শুনতো। একদিন আইয়ূব তাকে অনুপস্থিত দেখে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা বললো, হে আবূ বকর। (আইয়ুবের উপনাম) সে তো আজকাল আমর ইবনু উবায়দের সাথে থাকে। হাম্মাদ বলেন, এর মধ্যে একদিন সকালে আমি আইয়ুবের সাথে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ঐ লোকটি তার সামনে এলো। আইয়ূব তাকে সালাম করে তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তাকে বললেন, আমি জানতে পারলাম, তুমি না কি বর্তমানে ঐ ব্যক্তির সাহচর্যে আছো? হাম্মাদ বলেন, তিনি তার নাম উল্লেখ করে বললেন, "আমরের সাহচর্যে? সে বললো, হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। হে আবূ বকর! সে তো আমাদের আশ্চর্য ও অশ্রুপূর্ব কথা শোনায়। হাম্মাদ বলেন, আইয়ুব তাকে বললেন, আমরা এ ধরনের আশ্চর্যজনক কথাবার্তা থেকে এড়িয়ে চলি, অথবা বললেন, দূরে সরে থাকি।
(.../...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ..... হাম্মাদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আইয়ূব (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ’আমর ইবনু উবায়দ হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে না। তা কি ঠিক? তখন আইয়ুব বললেন, ’আমর ইবনু উবায়দ মিথ্যা বলেছে। আমি হাসান (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, নবীয পান করে নেশাগ্রস্ত হলে শাস্তি দেয়া হবে।
** আমর ইবনু উবায়দ মিথ্যা বলেছে এ হিসেবে যে, প্রকৃতপক্ষে এ হাদীস হাসান আল বাসরী থেকে বর্ণিত নয় যদিও হাদীসটি সহীহ। দ্বিতীয়তঃ তার বদ আকীদাহ হলোঃ সে মু'তাযিলাহ। এ হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ নিয়ে সে বলতে চেয়েছে কাবীরাহ গুনাহকারী মুসলিম আর মুসলিম থাকে না আবার কাফিরও হয় না। এ বিষয়ে আহলে সুন্নাতগণের মত হলো কোন মুসলিমকে হত্যা করা ভয়াবহ কাবীরা গুনাহ তবে তাতে সে কাফির হয় না যেমন বদ সন্তানকে পিতা বলে- তুমি আমার সন্তান নও। (নবাবী)
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى فَجَعَلَ يَقُولُ حَدَّثَنَا الْبَرَاءُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، . فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِقَتَادَةَ فَقَالَ كَذَبَ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ سَائِلاً يَتَكَفَّفُ النَّاسَ زَمَنَ طَاعُونِ الْجَارِفِ .
وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، قَالَ دَخَلَ أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى عَلَى قَتَادَةَ فَلَمَّا قَامَ قَالُوا إِنَّ هَذَا يَزْعُمُ أَنَّهُ لَقِيَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ بَدْرِيًّا . فَقَالَ قَتَادَةُ هَذَا كَانَ سَائِلاً قَبْلَ الْجَارِفِ لاَ يَعْرِضُ فِي شَىْءٍ مِنْ هَذَا وَلاَ يَتَكَلَّمُ فِيهِ . فَوَاللَّهِ مَا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً . وَلاَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ بَدْرِيٍّ مُشَافَهَةً إِلاَّ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ .
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ رَقَبَةَ، أَنَّ أَبَا جَعْفَرٍ الْهَاشِمِيَّ الْمَدَنِيَّ، كَانَ يَضَعُ أَحَادِيثَ كَلاَمَ حَقٍّ وَلَيْسَتْ مِنْ أَحَادِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَرْوِيهَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ يَكْذِبُ فِي الْحَدِيثِ .
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ أَبُو حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذَ بْنَ مُعَاذٍ، يَقُولُ قُلْتُ لِعَوْفِ بْنِ أَبِي جَمِيلَةَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا " قَالَ كَذَبَ وَاللَّهِ عَمْرٌو وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَحُوزَهَا إِلَى قَوْلِهِ الْخَبِيثِ .
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ قَدْ لَزِمَ أَيُّوبَ وَسَمِعَ مِنْهُ فَفَقَدَهُ أَيُّوبُ فَقَالُوا يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ قَدْ لَزِمَ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ . قَالَ حَمَّادٌ فَبَيْنَا أَنَا يَوْمًا مَعَ أَيُّوبَ وَقَدْ بَكَّرْنَا إِلَى السُّوقِ فَاسْتَقْبَلَهُ الرَّجُلُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ أَيُّوبُ وَسَأَلَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَيُّوبُ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَزِمْتَ ذَاكَ الرَّجُلَ . قَالَ حَمَّادٌ سَمَّاهُ . يَعْنِي عَمْرًا . قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهُ يَجِيئُنَا بِأَشْيَاءَ غَرَائِبَ . قَالَ يَقُولُ لَهُ أَيُّوبُ إِنَّمَا نَفِرُّ أَوْ نَفْرَقُ مِنْ تِلْكَ الْغَرَائِبِ .
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ زَيْدٍ، - يَعْنِي حَمَّادًا - قَالَ قِيلَ لأَيُّوبَ إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ رَوَى عَنِ الْحَسَنِ قَالَ لاَ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ . فَقَالَ كَذَبَ أَنَا سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ يُجْلَدُ السَّكْرَانُ مِنَ النَّبِيذِ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said Affān bin Muslim narrated to us, Hammām narrated to us, he said, Abū Dāwud al-A’mā came to us and began saying:
‘Al-Barā’ [bin Āzib, the Companion] narrated to us’; he said: ‘Zayd bin Arqam narrated to us’- and he mentioned that [those chains] to Qatādah. [Qatādah] said ‘He lied; he did not hear from them. He would beg the people asking [about Ḥadīth] at the time of the plague’ [circa 67H].
Hasan bin Alī al-Hulwānī narrated to me, he said Yazīd bin Hārūn narrated to us, Hammām informed us, he said ‘Abū Dāwud al-A’mā entered upon Qatādah and when he stood, they said:
‘Indeed this one alleges he has met eighteen of the warriors of the battle of Badr’. Qatādah said: ‘This one was barely asking [about Ḥadīth] before the plague; he did not attend to anything from [seeking Ḥadīth] and he did not speak [to any scholars] regarding it. By Allah, al-Hasan did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary; and Sa’īd bin al-Musayyib did not narrate to us from a witness of the battle of Badr without an intermediary except from Sa’d bin Mālik’.
Uthmān bin Abī Shaybah narrated to us, Jarīr narrated to us, on authority of Raqabah that ‘Abū Ja’far al-Hāshimī al-Madanī was fabricating narrations with words of truth, and they were not from the narrations of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, though he was transmitting them on authority of the Prophet, peace and blessings of Allah upon him.’
Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said Nu’aym bin Hammād narrated to us, he said Abū Ishāq Ibrāhīm bin Muhammad bin Sufyān said; and Muhammad bin Yahyā narrated to us, he said, Nu’aym bin Hammād narrated to us, Abū Dāwud at-Tayālisī narrated to us, on authority of Shu’bah, on authority of Yūnus bin Ubayd, he said:
‘Amr bin Ubayd would lie regarding Ḥadīth’.
Amr bin Alī Abū Hafs narrated to me, he said I heard Mu’ādh bin Mu’ādh saying, I said to Awf bin Abī Jamīlah ‘Indeed Amr bin Ubayd narrated to us on authority of al-Hasan that the Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, said:
‘Whoever carries arms against us then he is not from us’. [Awf bin Abī Jamīlah] said ‘Amr lied, by Allah. Rather he intended it as a way to permit his filthy opinion.’
Ubayd Allah bin Umar al-Qawārīrī narrated to us, Hammād bin Zayd narrated to us, he said:
‘A man kept company with Ayyūb and listened [to Ḥadīth] from him, but then Ayyūb did not find him [one day]. [When Ayyūb asked, the people] said: ‘Oh Abā Bakr, indeed he keeps company with Amr bin Ubayd [now]’. Hammād said: ‘One day we were with Ayyūb, and we went to the market early in the morning. A man came to meet Ayyūb so he gave Salām to him, asked how he was doing, and then Ayyūb said to him: ‘It reached me that you kept company with that man’. Hammād said: ‘[Ayyūb] designated him, that is to say ‘Amr’.’ [The man] said: ‘Yes, Oh Abā Bakr. Indeed he came to us with strange things [i.e. reports]’. Ayyūb said to him: ‘Indeed we flee…’ or ‘…we fear from these strange things [transmissions]’.
Hajjāj bin ash-Shā’ir narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, Ibn Zayd, rather Hammād, narrated to us, he said, it was said to Ayyūb, ‘Indeed Amr bin Ubayd transmitted on authority of al-Hasan that he said:
‘There is no flogging the one who gets drunk from Nabīdh’.’ [Ayyūb] said: ‘He lied, for I heard al-Hasan saying, ‘Flog the one who gets drunk from Nabīdh’.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) হাজ্জাজ (রহঃ) ..... সাল্লাম ইবনু আবূ মুতী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আইয়ুবের কাছে এ সংবাদ পৌছল যে, আমি ’আমরের কাছে আসা যাওয়া করি। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি ধারণা, যার দীনদারীর ব্যাপারে তুমি আস্থা রাখতে পার না তার হাদীসের উপর তুমি কিরূপে আস্থা রাখতে পার?
(.../...) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... আবূ মূসা (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমর ইবনু উবায়দ তার নতুন ভ্রান্ত আকীদাহ প্রকাশ করার পূর্বে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে।
(.../...) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমি ওয়াসিত শহরের কাজী আবূ শাইবাহ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে শু’বার নিকট চিঠি লিখে পাঠালাম। জবাবে তিনি আমাকে লিখে পাঠালেন, তার কাছ থেকে কিছুই লিখবে না আর আমার এ চিঠিখানা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে।
(.../...) আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন, ’আফফান থেকে বর্ণিত, আমি সালিহ আল মুররীর সূত্রে বর্ণিত সাবিতের একটি রিওয়ায়াত হাম্মামের নিকট বর্ণনা করলাম, তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। আমি হাম্মামকে সালিহ মুররীর একটি হাদীস পড়ে শুনালে তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।
(.../...) মাহমূদ ইবনু গাইলান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ দাউদ বলেছেনঃ শু’বাহ আমাকে বললেন, তুমি জারীর ইবনু হাযিমের নিকট যাও এবং তাকে বলো, হাসান ইবনু উমারাহ থেকে হাদীস গ্রহণ করা তোমার জন্য ঠিক নয়। কেননা, সে মিথ্যা বলে। আবূ দাউদ বলেন, আমি শুবাকে জিজ্ঞেস করলাম, তার মিথ্যা বলাটা কিভাবে বুঝা গেল?
তিনি (শু’বাহ) বললেন, হাসান ইবনু উমামাহ্ আমাদের কাছে হাকাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেছে। আমি তার কোন ভিত্তি খুঁজে পাইনি। আবূ দাউদ বলেন, আমি বললাম সেগুলো কোন কোন হাদীস? শুবাহ বললেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি উহুদের শহীদদের জানাযার সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, তিনি তাদের জানাযার সালাত আদায় করেননি।" অতঃপর হাসান ইবনু উমারাহ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জানাযার সালাত আদায় করেছেন এবং দাফনও করেছেন।” শুবাহ বলেন, আমি হাকামকে জিজ্ঞেস করলাম "জারজ সন্তানের সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?" তিনি বললেন, "তাদের জানাযা পড়তে হবে"। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা কোন হাদীস থেকে প্রমাণিত এবং এর বর্ণনাকারী কে? হাকাম বললেন, হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর হাসান ইবনু উমরাহ বলেন, হাকাম আমাদের ইয়াহইয়া ইবনু জাৰ্য্যার-এর সূত্রে ’আলী (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَلاَّمَ بْنَ أَبِي مُطِيعٍ، يَقُولُ بَلَغَ أَيُّوبَ أَنِّي آتِي عَمْرًا فَأَقْبَلَ عَلَىَّ يَوْمًا فَقَالَ أَرَأَيْتَ رَجُلاً لاَ تَأْمَنُهُ عَلَى دِينِهِ كَيْفَ تَأْمَنُهُ عَلَى الْحَدِيثِ
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ، قَبْلَ أَنْ يُحْدِثَ، .
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، كَتَبْتُ إِلَى شُعْبَةَ أَسْأَلُهُ عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، قَاضِي وَاسِطٍ فَكَتَبَ إِلَىَّ لاَ تَكْتُبْ عَنْهُ شَيْئًا وَمَزِّقْ كِتَابِي .
وَحَدَّثَنَا الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ حَدَّثْتُ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ عَنْ ثَابِتٍ، فَقَالَ كَذَبَ . وَحَدَّثْتُ هَمَّامًا، عَنْ صَالِحٍ الْمُرِّيِّ، بِحَدِيثٍ فَقَالَ كَذَبَ .
وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ قَالَ لِي شُعْبَةُ ايتِ جَرِيرَ بْنَ حَازِمٍ فَقُلْ لَهُ لاَ يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَرْوِيَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ فَإِنَّهُ يَكْذِبُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قُلْتُ لِشُعْبَةَ وَكَيْفَ ذَاكَ فَقَالَ حَدَّثَنَا عَنِ الْحَكَمِ بِأَشْيَاءَ لَمْ أَجِدْ لَهَا أَصْلاً . قَالَ قُلْتُ لَهُ بِأَىِّ شَىْءٍ قَالَ قُلْتُ لِلْحَكَمِ أَصَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ فَقَالَ لَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِمْ . فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَيْهِمْ وَدَفَنَهُمْ . قُلْتُ لِلْحَكَمِ مَا تَقُولُ فِي أَوْلاَدِ الزِّنَا قَالَ يُصَلَّى عَلَيْهِمْ . قُلْتُ مِنْ حَدِيثِ مَنْ يُرْوَى قَالَ يُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ . فَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ عَنْ عَلِيٍّ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Hajjāj narrated to me, Sulaymān bin Harb narrated to us, he said, I heard Sallām bin Abī Mutī’ saying, it reached Ayyūb that I would go to Amr so he turned to me and said:
‘Have you seen a man whose Dīn you do not trust- how do you trust him regarding Ḥadīth?’
Salamah bin Shabīb narrated to me, al-Humaydī narrated to us, Sufyān narrated to us, he said I heard Abū Mūsā [Isrā’īl bin Mūsā al-Basrī] saying:
‘Amr bin Ubayd narrated to us before what happened’ [i.e. before he became Mu’tazilī].
Ubayd Allah bin Mu’ādh al-Anbarī narrated to me, my father narrated to us, he said:
‘I wrote to Shu’bah asking him about Abū Shaybah , a judge of Wāsit, so he wrote to me: ‘Do not write anything from him [of Ḥadīth] and tear up my letter [to you about this]’.
Al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Affān [bin Muslim] say:
‘I narrated to Hammād bin Salamah [bin Dīnār al-Basrī], on authority of Sālih al-Murrī , a Ḥadīth on authority of Thābit [bin Aslam al-Banānī], then [Hammād] said: ‘[Sālih] lied’. I also narrated to Hammām on authority of Sālih al-Murrī a Ḥadīth then [Hammām] said: ‘[Sālih] lied’.
Mahmūd bin Ghaylān narrated to us, Abū Dāwud narrated to us, he said, Shu’bah said to me:
‘Go to Jarīr bin Hāzim and say to him, ‘It is not allowed for you to transmit from al-Hasan bin Umārah for indeed he lies’.’ Abū Dāwud said, I said to Shu’bah: ‘And how do you know that?’ So [Shu’bah] said: ‘He narrated to us on authority of al-Hakam things that were not found to have any basis’. [Abū Dāwud] said: ‘What things?’ [Shu’bah] said, I said to al-Hakam: ‘Did the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, pray over the martyrs of Uhud?’ [al-Hakam] said: ‘He did not pray over them’. Al-Hasan bin Umārah said, on authority of al-Hakam, on authority of Miqsam, on authority of Ibn Abbās: ‘Indeed the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, prayed over them and buried them ’. I [Shu’bah] said to al-Hakam: ‘What do you say about the children born from fornication?’ [Al-Hakam] said: ‘Pray over them ’. I [Shu’bah] said: ‘From whose Ḥadīth is it transmitted?’ [Al-Hakam] said: ‘It is transmitted on authority of al-Hasan al-Basrī’.’ Al-Hasan bin Umārah said: ‘Al-Hakam narrated to us, on authority of Yahyā bin al-Jazzār, on authority of Alī.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন যে, আমি ইয়ামীদ ইবনু হারূনকে যিয়াদ ইবনু মাইমুন সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি শপথ করেছি তার (যিয়াদ) থেকে কোন কিছুই বর্ণনা করবো না এবং খালিদ ইবনু মাহদূজ থেকেও। ইয়াযীদ ইবনু হারূন বলেন, একবার আমি যিয়াদ ইবনু মাইমূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে একটি হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। সে এ হাদীসটি আমাকে বাকর আর মুযানীর সূত্রে বর্ণনা করলো। দ্বিতীয়বার গিয়ে আমি তাকে সে হাদীসটি আমাকে বাকর আল মুযানীর সূত্রে বর্ণনা করলো দ্বিতীয়বার গিয়ে আমি তাকে সে হাদীসটির সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে তা মুওয়াররিক এর সূত্রে বর্ণনা করলো। আমি তৃতীয়বার গিয়ে তাকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, সে আমাকে হাসান বাসরীর সূত্রে বর্ণনা করলো। ইয়াযীদ ইবনু হারূন তাদের উভয়কে (যিয়াদ বিন মাইমুন ও খালিদ বিন মাহদূজ) মিথ্যাবাদী বলতেন।
হুলওয়ানী বলেন, আমি আবদুস সামাদের নিকট যিয়াদ ইবনু মাইমুন সম্পর্কে আলোচনা করলে, তিনি তাকে মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করেন।
(.../...) মাহমূদ ইবনু গাইলান (রহঃ) বলেন যে, আমি আবূ দাউদ তায়ালিসীকে বললাম, আপনি তো আব্বাস ইবনু মানসূর থেকে অনেক হাদীসই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আপনি কি তার থেকে আত তারাহ নাম্নী মহিলার হাদীস শুনেননি বা হাদীস শুনেননি যা নাযুর ইবনু শুমায়ল আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন? তিনি আমাকে বললেন, চুপ কর। আমি ও আবদুর রহমান ইবনু মাহদী যিয়াদ ইবনু মাইমূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি যে এসব হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করো, তা কতটুকু সহীহ ও সঠিক? যিয়াদ বললো, আপনাদের কী অভিমত, যদি কোন ব্যক্তি গুনাহ করার পর তওবা করে, তবে আল্লাহ তা’আলা কি তার তওবা কবুল করবেন না? আবূ দাউদ বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, কবুল করবেন। যিয়াদ বললো, সত্য কথা হচ্ছে, আমি আনাস (রাযিঃ) থেকে কম বা বেশি কিছু শুনিনি। অন্য লোকেরা যদি অবগত না থাকে, তাহলে আপনারাও কি জানবেন না যে, আমি কখনো আনাস (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি।
আবূ দাউদ বলে, এর স্বল্পকাল পরে আমাদের নিকট সংবাদ পৌছলো যে, সে পুনরায় আনাস (রাযিঃ) এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করে। পুনরায় আমি ও আবদুর রহমান তার নিকট গেলে সে বললো, আমি তওবা করলাম। এরপরও দেখা গেল যে, সে আগের মতই হাদীস বর্ণনা করছে। তখন থেকে আমরা তাকে বর্জন করলাম।
(.../...) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) বলেন, আমি শাবাবাহকে বলতে শুনেছি যে, আবদুল কুদ্দুস আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন এবং বলতেন, সুওয়াইদ ইবনু আকালাহ (আসলে সুওয়াইদ ইবনু গাফালাহ) শাবাবাহ বলেন, আমি আবদুল কুদ্দুসকে আরো বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পার্শ্বের থেকে বায়ু গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। শাবাবাহ বলেন, কেউ তাকে জিজ্ঞেস করলো, এ কথাটির অর্থ কী? তখন বললেন, কেউ যেন নির্মল বায়ু গ্রহণ করার উদ্দেশে পাশ্বের দেয়া জানালা বা ছিদ্র তৈরি না করে।
(.../...) মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারিরীকে বলতে শুনেছি, তিন বলেন, আমি হাম্মাদ বিন যায়দ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি এমন এক ব্যক্তিকে বললেন, যিনি কিছুদিন মাহদী ইবনু হিলালের সাহচর্যে ছিলেন, ওটা কেমন একটি লবণাক্ত ঝরণা, যা তোমাদের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে? সে বললো, হে আবূ ইসমাঈল! (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপনাম) হ্যাঁ, সত্যিই ওটা লোনা পানির ঝরণাই বটে।
(.../...) আল হাসান আল হুলওয়ানী বলেন, আমি আফফানকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি আবূ ’আওয়ানাহকে বলতে শুনেছি, হাসান বাসরী (রহঃ) থেকে যে হাদীসই আমার নিকট পৌছাতো আমি তা আবান ইবনু আবূ ’আইয়্যাশ-এর কাছে পেশ করতাম। সে আমাকে তা পড়ে শুনাতো। (সে আমার কাছ থেকে শোনা কথা সম্পর্কে দাবী করত সে হাসান বাসরী থেকে বর্ণনা করছে, ফলে মুহাদ্দিসীনের নিকট সে মিথ্যাবাদী )
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، . وَذَكَرَ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَقَالَ حَلَفْتُ أَلاَّ أَرْوِيَ عَنْهُ شَيْئًا وَلاَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَحْدُوجٍ . وَقَالَ لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ حَدِيثٍ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ بَكْرٍ الْمُزَنِيِّ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنْ مُوَرِّقٍ ثُمَّ عُدْتُ إِلَيْهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ عَنِ الْحَسَنِ . وَكَانَ يَنْسُبُهُمَا إِلَى الْكَذِبِ . قَالَ الْحُلْوَانِيُّ سَمِعْتُ عَبْدَ الصَّمَدِ وَذَكَرْتُ عِنْدَهُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ فَنَسَبَهُ إِلَى الْكَذِبِ .
وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ قَدْ أَكْثَرْتَ عَنْ عَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ فَمَا لَكَ لَمْ تَسْمَعْ مِنْهُ حَدِيثَ الْعَطَّارَةِ الَّذِي رَوَى لَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ لِيَ اسْكُتْ فَأَنَا لَقِيتُ زِيَادَ بْنَ مَيْمُونٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ فَسَأَلْنَاهُ فَقُلْنَا لَهُ هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَرْوِيهَا عَنْ أَنَسٍ فَقَالَ أَرَأَيْتُمَا رَجُلاً يُذْنِبُ فَيَتُوبُ أَلَيْسَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ . قَالَ مَا سَمِعْتُ مِنْ أَنَسٍ مِنْ ذَا قَلِيلاً وَلاَ كَثِيرًا إِنْ كَانَ لاَ يَعْلَمُ النَّاسُ فَأَنْتُمَا لاَ تَعْلَمَانِ أَنِّي لَمْ أَلْقَ أَنَسًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فَبَلَغَنَا بَعْدُ أَنَّهُ يَرْوِي فَأَتَيْنَاهُ أَنَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَتُوبُ . ثُمَّ كَانَ بَعْدُ يُحَدِّثُ . فَتَرَكْنَاهُ .
حَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ شَبَابَةَ، قَالَ كَانَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ يُحَدِّثُنَا فَيَقُولُ سُوَيْدُ بْنُ عَقَلَةَ . قَالَ شَبَابَةُ وَسَمِعْتُ عَبْدَ الْقُدُّوسِ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ يُتَّخَذَ الرَّوْحُ عَرْضًا . قَالَ فَقِيلَ لَهُ أَىُّ شَىْءٍ هَذَا قَالَ يَعْنِي تُتَّخَذُ كُوَّةٌ فِي حَائِطٍ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ الرَّوْحُ .
قَالَ مُسْلِمٌ وَسَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ حَمَّادَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ لِرَجُلٍ بَعْدَ مَا جَلَسَ مَهْدِيُّ بْنُ هِلاَلٍ بِأَيَّامٍ مَا هَذِهِ الْعَيْنُ الْمَالِحَةُ الَّتِي نَبَعَتْ قِبَلَكُمْ قَالَ نَعَمْ يَا أَبَا إِسْمَاعِيلَ .
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَفَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَوَانَةَ، قَالَ مَا بَلَغَنِي عَنِ الْحَسَنِ، حَدِيثٌ إِلاَّ أَتَيْتُ بِهِ أَبَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَقَرَأَهُ عَلَىَّ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Yazīd bin Hārūn mention Ziyād bin Maymūn, and he said:
‘I swore that I would not transmit anything from him or Khālid bin Mahdūj’. [Yazīd] said: ‘I met Ziyād bin Maymūn and asked him about a Ḥadīth, so he narrated it to me on authority of Bakr al-Muzanī, then I returned to him and he narrated [the same Ḥadīth] to me on authority of Muwarriq; then I returned to him and he narrated it to me on authority of al-Hasan.’ [Al-Hulwānī said]: ‘He [Yazīd] would charge both of them with lying [i.e. Ziyād bin Maymūn and Khālid bin Mahdūj].’ Al-Hulwānī said: ‘I heard [Ḥadīth] from Abd as-Samad and I mentioned Ziyād bin Maymūn near him and he charged him with lying’.
Mahmūd bin Ghaylān narrated to us, he said, I said to Abū Dāwud at-Tayālisī:
‘You transmit a great deal on authority of Abbād bin Mansūr - so how is it that you did not hear the Ḥadīth of ‘the lady perfume seller’ from him which an-Naḍr bin Shumayl transmitted to us?’ [Abū Dāwud] said to me: ‘Be quiet, for Abd ar-Rahma bin Mahdī and I met Ziyād bin Maymūn and asked him, saying to him, ‘Are these Ḥadīth you transmit on authority of Anas?’ [Ziyād] said: ‘Have you seen a man sin and then repent- does Allah not turn to him?’ [Abū Dāwud] said: ‘We said, ‘Yes’.’ [Ziyād] said: ‘I did not hear from Anas whether a little or a lot; if the people did not know, then you two would not know that I did not meet Anas’. Abū Dāwud said: ‘So it reached us afterwards that he was transmitting [from Anas], then Abd ar-Rahman and I went to him and he said: ‘I repented’. Then afterwards he was narrating [again in the same fashion] so we abandoned him ’.
Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Shabābah say:
‘Abd ul-Quddūs was narrating to us saying,‘Suwayd bin Aqalah said…’ [when it should be ‘bin Ghafalah’] Shabābah said: ‘And I heard Abd ul-Quddūs saying, ‘The Messenger of Allah, peace and blessings of Allah upon him, prohibited taking a Rawḥ by accident’. [Shabābah] said: ‘So it was said to him, ‘What does this mean?’ [Abd ul-Quddūs] said: ‘It means to make an opening in a wall [thus letting] a breeze enter [by accident]’.’ [He changed the original Ḥadīth, switching ‘Rūḥ’ meaning ‘soul’ to ‘Rawḥ’ or ‘breeze’, and he switched ‘Gharaḍān’ meaning ‘as a target’ to ‘Arḍān’ or ‘accidentally’. All simply by changing a few letters in the words]
Muslim said, I heard Ubayd Allah bin Umar al-Qawārīrī saying, I heard Hammād bin Zayd saying to a man after he sat with Mahdī bin Hilāl for days: ‘What is this salty well [i.e. useless or harmful] which has sprung up in your direction?’ He said: ‘Yes, oh Abā Ismā’īl [in agreement]’.
Al-Hasan al-Hulwānī narrated to us, he said, I heard Affān say, I heard Abū Awānah say:
‘A Ḥadīth did not reach me on authority of al-Hasan except I presented it to Abān bin Abī Ayyāsh , then he read it to me ’.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আলী ইবনু মুসহির বলেছেন, আমি ও হামযাহ্ আয যাইয়্যাত আবান ইবনু আবূ ’আইয়্যাশ থেকে প্রায় এক হাজার হাদীস শুনেছি। ’আলী বলেন, একদিন আমি হামযার সাথে সাক্ষাৎ করলে, তিনি আমাকে অবহিত করলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখেছেন এবং আবান থেকে যে সমস্ত হাদীস শুনেছিলেন তা (স্বপ্লের মধ্যে) তাকে শুনিয়েছেন। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামান্য কটি অর্থাৎ পাঁচটি বা ছয়টি ছাড়া একটিরও স্বীকৃতি দেননি।
(.../..) আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, যাকারিয়্যা ইবনু আদী বলেন, আবূ ইসহাক আল ফাযারী আমাকে বলেছেন, যে, বাকিয়্যাহ্ (নামক রাবী) যে সব হাদীস প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের কাছ থেকে বর্ণনা করে, শুধু সেগুলো লিখে নাও এবং যে সব হাদীস অখ্যাত ও অপরিচিত লোকদের থেকে বর্ণনা করে তা লিখো না। কিন্তু ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ এর কোন হাদীসই গ্রহণ করো না, তা পরিচিত ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি থেকেই হোক অপরিচিত ও অখ্যাত ব্যক্তিদের থেকেই হোক।
(.../...) ইসহাক ইবনু আল হানযালী (রহঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) এর কোন এক ছাত্রের কাছে শুনেছি যে, ইবনু মুবারক (রহঃ) বলেছেন, বাকিয়্যাহ উত্তম ব্যক্তিই ছিলেন, যদি তার মধ্যে একটি দোষ না থাকতো। তিনি রাবীর (বর্ণনাকারী) নামকে কুনইয়্যাত (ডাক নাম) এবং কুনইয়াতকে নাম দ্বারা প্রকাশ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আবূ সাঈদ উহাযীর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরে আমরা খোজ নিয়ে জানলাম যে, উহাযী হলেন সে আবদুল কুদ্দুস (যাকে হাদীস বিশারদগণ বর্জন করেছেন)।
(.../...) আহমাদ ইবনু ইউসুফ আয্দী বলেন, আমি আবদুর রাযযাককে বলতে শুনেছি আমি ইবনু মুবারক (রহঃ) কে সুস্পষ্ট ভাষায় ’আবদুল কুদ্দুস ছাড়া আর কেউকে মিথ্যাবাদী বলতে দেখিনি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, আবদুল কুদ্দুস চরম মিথ্যাবাদী।
(.../...) আহমাদ ইবনু আবদুর রহমান আদ দারিমী বলেন, আবূ নুআয়ম একদা মু’আল্লা ইবনু ইরফান এর আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন, মু’আল্লা বলেছে যে, আবূ ওয়ায়িল আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, সিফফীনের যুদ্ধে ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা শুনে আবূ নুআয়ম বললেন, তোমার কী ধারণা, তিনি কি মৃত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন?*
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
وَحَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَا وَحَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، مِنْ أَبَانَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ نَحْوًا مِنْ أَلْفِ حَدِيثٍ . قَالَ عَلِيٌّ فَلَقِيتُ حَمْزَةَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَنَامِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَا سَمِعَ مِنْ أَبَانَ فَمَا عَرَفَ مِنْهَا إِلاَّ شَيْئًا يَسِيرًا خَمْسَةً أَوْ سِتَّةً .
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ اكْتُبْ عَنْ بَقِيَّةَ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْهُ مَا رَوَى عَنْ غَيْرِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ تَكْتُبْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، مَا رَوَى عَنِ الْمَعْرُوفِينَ، وَلاَ عَنْ غَيْرِهِمْ، .
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ بَعْضَ، أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ نِعْمَ الرَّجُلُ بَقِيَّةُ لَوْلاَ أَنَّهُ كَانَ يَكْنِي الأَسَامِيَ وَيُسَمِّي الْكُنَى كَانَ دَهْرًا يُحَدِّثُنَا عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْوُحَاظِيِّ فَنَظَرْنَا فَإِذَا هُوَ عَبْدُ الْقُدُّوسِ .
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّزَّاقِ، يَقُولُ مَا رَأَيْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ يُفْصِحُ بِقَوْلِهِ كَذَّابٌ إِلاَّ لِعَبْدِ الْقُدُّوسِ فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ لَهُ كَذَّابٌ .
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نُعَيْمٍ، . وَذَكَرَ الْمُعَلَّى بْنَ عُرْفَانَ فَقَالَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا ابْنُ مَسْعُودٍ بِصِفِّينَ . فَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ أَتُرَاهُ بُعِثَ بَعْدَ الْمَوْتِ
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Suwayd bin Sa’īd narrated to us, Alī bin Mus’hir narrated to us, he said:
‘Hamzah az-Zayyāt and I heard from Abān bin Abī Ayyāsh something like one thousand Ḥadīth’. Alī said: ‘So I met Hamzah then he informed me that he saw the Prophet, peace and blessings of Allah upon him, [in a dream], and he produced for him what he heard from Abān. However he [the Prophet] didn’t recognize any except a small amount [like] five or six [Ḥadīth]’.
Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to us, Zakariyyā’ bin Adī informed us, he said, Abū Ishāq al-Fazarī said to me:
‘Write from Baqiyyah what he transmits on authority of those who are well-known, and do not write from him what he transmits on authority of those who are not; do not write from Ismā’īl bin Ayyāsh what he transmits on authority of those who are well-known or otherwise ’.
Ishāq bin Ibrāhīm al-Hanthalī [bin Rāhwayh] narrated to us, he said, I heard one of the companions of Abd Allah [bin al-Mubārak] say, Ibn al-Mubārak said:
‘What an excellent man is Baqiyyah, if it were not for the fact that he would provide a nickname for [those who were better-known by] the birth name, and he would provide the birth name for [those who were better-known by] a nickname. For a long time he would narrated to us on authority of Abī Sa’īd al-Wuhāthī, then when we investigated [we were surprised that] he was Abd ul-Quddūs ’.
Ahmad bin Yūsuf al-Azdī narrated to me, he said, I heard Abd ar-Razzāq saying:
‘I did not see Ibn al-Mubārak express so plainly the charge of ‘lying’ except towards Abd ul-Quddūs; for indeed I heard him saying to him ‘[You are] a liar’.’
Abd Allah bin Abd ar-Rahman ad-Dārimī narrated to me, he said:
‘I heard Abū Nu’aym and he mentioned al-Mu’allā bin Urfān, so [Abū Nu’aym] said, [al-Mu’allā] said: ‘Abū Wā’il narrated to us, he said ‘Ibn Mas’ūd attacked us on the day of Siffīn’. So Abū Nu’aym said: ‘Do you think he was raised after death? [Ibn Mas’ūd passed away in 32 or 33H, several years before the day in question]
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) ’আমর ইবনু ’আলী ও হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) আফফান ইবনু মুসলিম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা ইসমাঈল ইবনু উলাইয়্যার নিকট বসা ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি অন্য আর এক ব্যক্তি থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করলো। তখন আমি বললাম, "সে ব্যক্তি হাদীস বর্ণনার উপযুক্ত নয়।” আফফান বলেন, আমার কথা শুনে ঐ ব্যক্তি বললো, তুমি তো তার গীবত করলে। ইসমাঈল বললেন, না, সে তার গীবাত করেনি, বরং সে যে হাদীস বর্ণনা করার উপযুক্ত নয়, সে সত্যটিকে উদঘাটন করছে। (হাদীসের ইমামদের দোষ বর্ণনা গীবাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং ফাতাওয়া ও সিদ্ধান্ত দেয়ার নামান্তর।)
(.../...) আবূ জাফার আদ দারিমী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, বিশর ইবনু উমার বলেন, আমি মালিক ইবনু আনাসকে সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যিব (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। মালিক ইবনু আনাস বললেন, সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে তাওয়ামার আযাদকৃত গোলাম সালিহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। আমি তাকে আবুল হুওয়াইরিস সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য রাবী নয়। তারপর আমি তাকে শু’বার ব্যাপারে জানতে চাইলাম, যার থেকে ইবনু আবু যিব হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বললেন, তিনিও নির্ভরযোগ্য নয়। এরপর আমি তাঁকে হারাম ইবনু উসমান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, সেও নির্ভরযোগ্য নয়। তারপর আমি মালিক ইবনু আনাস এর নিকট উক্ত পাঁচ ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, এদের সবাই হাদীস রিওয়ায়াতে নির্ভরযোগ্য নয়। পরিশেষে আমি তাকে আর একজনের ব্যাপারে জানতে তিনি বললেন, যার নাম এখন আমার মনে নেই। তার ব্যাপারে তিনি বললেন, তার কোন হাদীস তুমি আমার কিতাবগুলোতে দেখেছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, যদি সে হাদীস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য হতো তাহলে তুমি অবশ্যই আমার কিতাবের মাঝে তার নামের উল্লেখ পেতে (কাজে সেও নির্ভরযোগ্য নয়)।
(.../...) ফাযল ইবনু সাহল থেকে বর্ণিত যে, ইবনু আবূ যি’ব শুরাহবীল ইবনু সা’দ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ শুরাহবীল ছিল অভিযুক্ত। (তিনি সত্যবাদী ছিলেন, তবে বৃদ্ধ বয়সে স্মরণ শক্তি হারিয়ে ফেলেন)
(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাহযাযা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক তালাকানীকে বলতে শুনেছি যে, ইবনু মুবারককে বলতে শুনেছি, যদি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করা এবং ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহারর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মধ্যে ইখতিয়ার দেয়া হত তাহলে প্রথমে আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করে পরে জান্নাতে প্রবেশ করতাম। পরে যখন আমি তাকে দেখলাম, তখন উটের গোবরও (বিষ্ঠা) আমার কাছে তার চেয়ে উৎকৃষ্ট মনে হলো।
(.../...) ফাযল ইবনু সাহল থেকে বর্ণিত আছে যে, ওয়ালীদ ইবনু সালিহ আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। উবাইদুল্লাহ ইবনু আমর বলেছেন যে, যায়দ, অর্থাৎ ইবনু আবূ উনাইসাহ বলেন, তোমরা আমার ভাই (ইয়াহইয়া) থেকে হাদীস গ্রহণ করো না।
(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম দাওরাকী থেকে বর্ণিত। ’আবদুস সালাম আল ওয়াবিসী বলেছেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু জাফার আর রাককী (রহঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনু আমর থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, ইয়াহইয়া ইবনু উনাইসাহ মিথ্যাবাদী ছিলেন।
(.../...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) হাম্মাদ ইবনু যায়দ থেকে বর্ণনা করেন যে, আইয়ুবের নিকট ফারকাদ সম্পর্কে আলোচনা হলো। তিনি বললেন, ফারকাদ হাদীস বর্ণনার যোগ্য নয়।
(.../...) আবদুর রহমান ইবনু বিশর আল আব্দী (রহঃ) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান (রহঃ) এর কাছে মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উবায়দ ইবনু উমায়র লাইসীর উল্লেখ করলে, তিনি তাকে অত্যন্ত য’ঈফ (দুর্বল) বলে মন্তব্য করেছেন। এ সময় কেউ ইয়াহইয়াকে জিজ্ঞেস করলো, সে কি ইয়াকুব ইবনু আতা থেকেও য’ঈফ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমায়র থেকে হাদীস বর্ণনা করা কারে জন্য সমীচীন নয়।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ عَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ فَحَدَّثَ رَجُلٌ، عَنْ رَجُلٍ، فَقُلْتُ إِنَّ هَذَا لَيْسَ بِثَبْتٍ . قَالَ فَقَالَ الرَّجُلُ اغْتَبْتَهُ . قَالَ إِسْمَاعِيلُ مَا اغْتَابَهُ . وَلَكِنَّهُ حَكَمَ أَنَّهُ لَيْسَ بِثَبْتٍ .
وَحَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ سَأَلْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الَّذِي، يَرْوِي عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ . وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ . وَسَأَلْتُهُ عَنْ أَبِي الْحُوَيْرِثِ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ . وَسَأَلْتُهُ عَنْ شُعْبَةَ الَّذِي رَوَى عَنْهُ ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ . وَسَأَلْتُهُ عَنْ حَرَامِ بْنِ عُثْمَانَ فَقَالَ لَيْسَ بِثِقَةٍ . وَسَأَلْتُ مَالِكًا عَنْ هَؤُلاَءِ الْخَمْسَةِ فَقَالَ لَيْسُوا بِثِقَةٍ فِي حَدِيثِهِمْ . وَسَأَلْتُهُ عَنْ رَجُلٍ آخَرَ نَسِيتُ اسْمَهُ فَقَالَ هَلْ رَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي قُلْتُ لاَ . قَالَ لَوْ كَانَ ثِقَةً لَرَأَيْتَهُ فِي كُتُبِي .
وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، وَكَانَ، مُتَّهَمًا .
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الطَّالَقَانِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ الْمُبَارَكِ، يَقُولُ لَوْ خُيِّرْتُ بَيْنَ أَنْ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَبَيْنَ أَنْ أَلْقَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَرَّرٍ لاَخْتَرْتُ أَنْ أَلْقَاهُ ثُمَّ أَدْخُلَ الْجَنَّةَ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ كَانَتْ بَعْرَةٌ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْهُ .
وَحَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا وَلِيدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ زَيْدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أُنَيْسَةَ لاَ تَأْخُذُوا عَنْ أَخِي، .
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ السَّلاَمِ الْوَابِصِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كَانَ يَحْيَى بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ كَذَّابًا .
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ ذُكِرَ فَرْقَدٌ عِنْدَ أَيُّوبَ فَقَالَ إِنَّ فَرْقَدًا لَيْسَ صَاحِبَ حَدِيثٍ .
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ذُكِرَ عِنْدَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ اللَّيْثِيُّ فَضَعَّفَهُ جِدًّا . فَقِيلَ لِيَحْيَى أَضْعَفُ مِنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَطَاءٍ قَالَ نَعَمْ . ثُمَّ قَالَ مَا كُنْتُ أُرَى أَنَّ أَحَدًا يَرْوِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ .
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Amr bin Alī and Hasan al-Hulwānī narrated to me, both of them on authority of Affān bin Muslim, he said:
‘We were near Ismā’īl bin Ulayyah, and a man narrated on authority of another man, so I said: ‘Indeed this is not reliable (Thabt)’. So the man said: ‘Are you backbiting him?’ Ismā’īl said: ‘He is not backbiting him; rather he is judging him unreliable’.
Abū Ja’far ad-Dārimī narrated to us, Bishr bin Umar narrated to us, he said:
‘I asked Mālik bin Anas about Muhammad bin Abd ar-Rahman who transmits on authority of Sa’īd bin al-Musayyib, so he said: ‘He is not trustworthy ‘. I asked him about Sālih, a freed slave of at-Taw’amah, then he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Abūl-Huwayrith , and he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Shu’bah on whose authority Ibn Abī Dhi’b transmitted, and he said: ‘He is not trustworthy’. I asked him about Harām bin Uthmān , and he said ‘He is not trustworthy’. I asked Mālik about these five and he said: ‘They are not trustworthy in terms of their Ḥadīth’. I asked him about another man whose name I forget just now, and he said: ‘Did you see him in my book?’ I said: ‘No’. [Then] he said: ‘If he was trustworthy you would see him in my book’.
Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, he said:
‘Yahyā bin Ma’īn narrated to me, Hajjāj narrated to us, Ibn Abī Dhi’b narrated to us on authority of Shurahbīl bin Sa’d , and he was imputed [with lying regarding Ḥadīth near the end of his life]’.
Muhammad bin Abd Allah bin Quhzādh narrated to me, he said, I heard Abū Ishāq at-Tālqānī saying, I heard Ibn al-Mubārak saying:
‘If I had to choose between entering Paradise and meeting Abd Allah bin Muharrar, I would have chosen to meet him, then enter Paradise. Then when I saw him, dung was more preferred to me than him’.
Al-Faḍl bin Sahl narrated to me, Walīd bin Sālih narrated to us, he said, Ubayd Allah bin Amr said, Zayd- meaning Ibn Abī Unaysah – said:
‘Do not take [Ḥadīth] from my brother ’.
Ahmad bin Ibrāhīm ad-Dawraqī narrated to me, he said, Abd us-Salām al-Wābisī narrated to me, he said, Abd Allah bin Ja’far ar-Raqqī narrated to me, on authority of Ubayd Allah bin Amr, he said:
‘Yahyā bin Abī Unaysah was a liar’.
Ahmad bin Ibrāhīm narrated to me, he said, Sulaymān bin Harb narrated to me, on authority of Hammād bin Zayd, he said, Farqad was mentioned near Ayyūb, so he said:
‘Indeed Farqad is not a companion of Ḥadīth’.
Abd ur-Rahman bin Bishr al-Abdī narrated to me, he said, I heard Muhammad bin Abd Allah bin Ubayd bin Umayr al-Laythī was mentioned near Yahyā bin Sa’īd al-Qattān, so he weakened him severely. Then it was said to Yahyā:
‘More weak than Ya’qūb bin Atā ’?’ He said: ‘Yes’. Then he said: ‘I did not see anyone transmitting on authority of Muhammad bin Abd Allah bin Ubayd bin Umayr’.
পরিচ্ছেদঃ ৫. হাদীসের সনদ বর্ণনা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত, নির্ভরযোগ্য বর্ণনা ছাড়া রিওয়ায়াত গ্রহণ করা উচিত নয়; বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রটি তুলে ধরা শুধু জায়িয নয়, বরং ওয়াজিব; ওটা গীবাত নয়- যা শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম; ক্ষতিকারক জিনিসগুলো দূর করে শারীআতের বিধানসমূহ নিখুঁত ও ত্রুটিমুক্ত করা অতীব প্রয়োজন।
(.../...) বিশর ইবনুল হাকাম (রহঃ) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তানকে বলতে শুনেছি, তিনি হাকীম ইবনু যুবায়র ও ’আবদুল আ’লাকে (ইবনু আমির সালাবী) য’ঈফ আল কাত্তানকে বলতে শুনেছি, তিনি হাকীম ইবনু যুবায়র ও আবদুল আ’লাকে (ইবনু আমির সালাবী) য’ঈফ (দুর্বল) বলেছেন এবং ইয়াহইয়া ইবনু মূসা ইবনু দীনারকেও যাঈফ (দুর্বল) বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, তার হাদীস হচ্ছে বাতাসের মত তিনি মূসা ইবনু দিহকান ও ঈসা ইবনু আবূ ঈসা মাদানীকেও য’ঈফ বলেছেন।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি হাসান ইবনু ঈসা (রহঃ)-এর কাছে শুনেছি তিনি বলেন, আমাকে ইবনু মুবারক বলেছেন, যখন তুমি জারীরের নিকট যাবে তখন তিন ব্যক্তির হাদীস ছাড়া আর সমস্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করে নিও। এ তিন ব্যক্তি হচ্ছেঃ উবাইদাহ ইবনু মু’আত্তিব, আস্সারী ইবনু ইসমাঈল ও মুহাম্মাদ ইবনু সালিম।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, রাবীদের দোষ-ত্রুটি ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ’আলিমদের যে মতামত আমরা বর্ণনা করেছি তার ফিরিস্তি বেশ দীর্ঘ। এ সম্পর্কে কিছু আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে কিতাবের পরিধি লম্বা হয়ে যাবে। তবে আমরা এখানে যা আলোচনা করেছি তা যে কোন বিচক্ষণ ও হাদীস সম্পৰ্কীয় নীতি-পদ্ধতি ব্যক্তির পক্ষে যথেষ্ট। মুহাদ্দিসগণ রাবী এবং ঘটনা বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয়া অপরিহার্য মনে করেছেন। বর্ণনাকারীদের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে যখনই তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তখনই তারা তা দীনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করে বৈধ বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন। কেননা, দীনের কোন কথা বর্ণনা করলে তার মাধ্যমে হয় কোন কাজ হালাল অথবা হারাম প্রমাণিত হবে, অথবা তাতে কোন কাজ করার নির্দেশ অথবা নিষেধ থাকবে, অথবা এর মাধ্যমে কোন কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে বা কোন কাজ না করার জন্য সাবধান করা হবে।
যা হোক, কোন রাবীর মধ্যে যদি সততা ও বিশ্বস্ততার উপাদান না থাকে, আর অন্য রাবী, তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনার সময় জানা সত্ত্বেও যদি তার সম্পর্কে লোকদের সামনে এ ত্রুটি তুলে না ধরে তবে সে গুনাহগার হবে এবং সাধারণ মুসলিমদের সাথে প্রতারক বলে গণ্য হবে। কেননা, যারা এ সব হাদীস শুনবে, তারা এ সবগুলোর উপর অথবা এর কোন একটির উপর আমল করবে। অথচ এর সবগুলো অথবা অধিকাংশই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। নির্ভরযোগ্য ও আস্থাশীল বর্ণনাকারীদের বর্ণিত নির্ভুল ও সহীহ হাদীসের এক বিরাট সম্ভার আমাদের সামনে রয়েছে। কাজেই এমন এক ব্যক্তি থেকে হাদীস গ্রহণ করার জন্য ব্যস্ত হওয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন নেই যার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য নয় এবং সে নিজেও বিশ্বস্ত রাবী নয়।
আমি মনে করি না, যে সব লোক এ ধরনের য’ঈফ হাদীস এবং অখ্যাত সনদ বর্ণনা করে এবং এ সবের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও এর গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাদের উদ্দেশ্য হলো নিজেদের সাধারণ মানুষের কাছে বড় বিদ্বান হিসেবে পরিচিত করা এরং এজন্য যে, লোকেরা বলবে, সুবহানাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি কত হাদীস সংগ্রহ করেছে, কত হাদীস সংকলন করেছে। ইলমে হাদীসের ক্ষেত্রে যে এ নীতি অবলম্বন করে এবং এ পথে পা বাড়ায়, হাদীস শাস্ত্রে তার কোন স্থান নেই। বস্তুতঃ এমন ব্যক্তি আলিম (জ্ঞানী) হিসেবে আখ্যায়িত না হয়ে জাহিল (মূর্খ) নামে অভিহিত হওয়ার অধিক যোগ্য।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমাদের যুগের নিজ থেকে ত্বরিত ঘোষণাদাতা হাদীস বিশারদ হাদীসের সনদ সবল হওয়ার ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করেছেন। তার সে ভ্রান্ত অভিমত লিপিবদ্ধ করা এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি আলোচনা করা থেকে বিরত থাকাই সঠিক মত ও পথ ছিল। কেননা, ভ্রান্ত মতামত নির্মুল করা এবং এর প্রবক্তার নাম মুছে ফেলার জন্যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নীরব থাকা উত্তম।
এ পদ্ধতি অশিক্ষিত লোকদের এসব ভ্রান্ত মতামত সম্বন্ধে অনবহিত রাখার উত্তম ব্যবস্থা। কিন্তু যখন মূর্খ লোকেদের ভুল মতামতের প্রতি তড়িৎ বিশ্বাস স্থাপন ও উলামায়ে কিরামের নিকট যা অগ্রহণযোগ্য সে সবের প্রতি তাদের আকৃষ্ট হওয়ার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে চিন্তা করলাম তখন আমরা এদের ভ্রান্ত মতের উল্লেখ করে তার মূলোৎপাটন করা জরুরী মনে করলাম। ইনশাআল্লাহ, এ কাজ মানুষের জন্যে হবে কল্যাণকর এবং এর পরিণামও হবে শুভ।
তিনি বলেন, যার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমরা আলোচনা শুরু করেছি এবং যার অগ্রহণযোগ্য রিওয়ায়াত আমরা বাতিল বলে ঘোষণা করেছি, তার অভিমত হচ্ছে, যদি সনদের মধ্যে অমুক অমুকের কাছ থেকে এভাবে উল্লেখ থাকে এবং এ কথা জানা যায় যে, তারা উভয়ই একই যুগের রাবী, একই সময়ে বর্তমান ছিলেন, তাছাড়া হাদীসটি সরাসরি শুনার এবং পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, কিন্তু সে তার উর্ধ্ব রাবীর কাছ থেকে শুনেছে বলে আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারিনি এবং কোন রিওয়ায়াতেও আমরা পাইনি যে, তাদের উভয়ের কখনও সাক্ষাৎ ঘটেছে অথবা সামনাসামনি কথাবর্তা হয়েছে, তাহলে এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কাছে এভাবে যত হাদীস বর্ণিত হবে, তা দলীল হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না- যে পর্যন্ত প্রমাণিত না হবে তারা উভয়ে জীবনে একবার কিংবা একাধিকবার কোথাও একত্রিত অথবা সামনাসামনি হয়েছিল এমন হাদীস পাওয়া যায়, যাতে উল্লেখ রয়েছে যে, জীবনে অন্ততঃ একত্রিত হয়েছে বা একবার তাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। সুতরাং যদি এ বর্ণনাকারী ও গ্রহণকারীর মধ্যে সাক্ষাতের কিংবা সামনাসামনি হওয়ার কথা না জানা যায় এবং কোন হাদীস বর্ণনায় যদি তাদের মধ্যে অন্ততঃ একবার সাক্ষাতের এবং তার থেকে কিছু শুনার প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে ঐ ব্যক্তি হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এ পর্যায়ের হাদীস গ্রহণ করা স্থগিত থাকবে- যে পর্যন্ত এক বা একাধিক হাদীস দ্বারা সাক্ষাৎ ও শুনার প্রমাণ না পাওয়া যায়।
باب فِي أَنَّ الإِسْنَادَ مِنَ الدِّينِ وَأَنَّ الرِّوَايَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ الثِّقَاتِ وَأَنَّ جَرْحَ الرُّوَاةِ بِمَا هُوَ فِيهِمْ جَائِزٌ بَلْ وَاجِبٌ وَأَنَّهُ لَيْسَ مِنْ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنْ الذَّبِّ عَنْ الشَّرِيعَةِ الْمُكَرَّمَةِ
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ، ضَعَّفَ حَكِيمَ بْنَ جُبَيْرٍ وَعَبْدَ الأَعْلَى وَضَعَّفَ يَحْيَى مُوسَى بْنَ دِينَارٍ قَالَ حَدِيثُهُ رِيحٌ . وَضَعَّفَ مُوسَى بْنَ دِهْقَانَ وَعِيسَى بْنَ أَبِي عِيسَى الْمَدَنِيَّ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ عِيسَى، يَقُولُ قَالَ لِيَ ابْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا قَدِمْتَ عَلَى جَرِيرٍ فَاكْتُبْ عِلْمَهُ كُلَّهُ إِلاَّ حَدِيثَ ثَلاَثَةٍ لاَ تَكْتُبْ حَدِيثَ عُبَيْدَةَ بْنِ مُعَتِّبٍ وَالسَّرِيِّ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَمُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ .
قَالَ مُسْلِمٌ وَأَشْبَاهُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ كَلاَمِ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي مُتَّهَمِي رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَإِخْبَارِهِمْ عَنْ مَعَايِبِهِمْ كَثِيرٌ يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهِ عَلَى اسْتِقْصَائِهِ وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ لِمَنْ تَفَهَّمَ وَعَقَلَ مَذْهَبَ الْقَوْمِ فِيمَا قَالُوا مِنْ ذَلِكَ وَبَيَّنُوا.
وَإِنَّمَا أَلْزَمُوا أَنْفُسَهُمُ الْكَشْفَ عَنْ مَعَايِبِ رُوَاةِ الْحَدِيثِ وَنَاقِلِي الأَخْبَارِ وَأَفْتَوْا بِذَلِكَ حِينَ سُئِلُوا لِمَا فِيهِ مِنْ عَظِيمِ الْخَطَرِ إِذِ الأَخْبَارُ فِي أَمْرِ الدِّينِ إِنَّمَا تَأْتِي بِتَحْلِيلٍ أَوْ تَحْرِيمٍ أَوْ أَمْرٍ أَوْ نَهْىٍ أَوْ تَرْغِيبٍ أَوْ تَرْهِيبٍ فَإِذَا كَانَ الرَّاوِي لَهَا لَيْسَ بِمَعْدِنٍ لِلصِّدْقِ وَالأَمَانَةِ ثُمَّ أَقْدَمَ عَلَى الرِّوَايَةِ عَنْهُ مَنْ قَدْ عَرَفَهُ وَلَمْ يُبَيِّنْ مَا فِيهِ لِغَيْرِهِ مِمَّنْ جَهِلَ مَعْرِفَتَهُ كَانَ آثِمًا بِفِعْلِهِ ذَلِكَ غَاشًّا لِعَوَامِّ الْمُسْلِمِينَ إِذْ لاَ يُؤْمَنُ عَلَى بَعْضِ مَنْ سَمِعَ تِلْكَ الأَخْبَارَ أَنْ يَسْتَعْمِلَهَا أَوْ يَسْتَعْمِلَ بَعْضَهَا وَلَعَلَّهَا أَوْ أَكْثَرَهَا أَكَاذِيبُ لاَ أَصْلَ لَهَا مَعَ أَنَّ الأَخْبَارَ الصِّحَاحَ مِنْ رِوَايَةِ الثِّقَاتِ وَأَهْلِ الْقَنَاعَةِ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يُضْطَرَّ إِلَى نَقْلِ مَنْ لَيْسَ بِثِقَةٍ وَلاَ مَقْنَعٍ.
وَلاَ أَحْسِبُ كَثِيرًا مِمَّنْ يُعَرِّجُ مِنَ النَّاسِ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ هَذِهِ الأَحَادِيثِ الضِّعَافِ وَالأَسَانِيدِ الْمَجْهُولَةِ وَيَعْتَدُّ بِرِوَايَتِهَا بَعْدَ مَعْرِفَتِهِ بِمَا فِيهَا مِنَ التَّوَهُّنِ وَالضَّعْفِ إِلاَّ أَنَّ الَّذِي يَحْمِلُهُ عَلَى رِوَايَتِهَا وَالاِعْتِدَادِ بِهَا إِرَادَةُ التَّكَثُّرِ بِذَلِكَ عِنْدَ الْعَوَامِّ وَلأَنْ يُقَالَ مَا أَكْثَرَ مَا جَمَعَ فُلاَنٌ مِنَ الْحَدِيثِ وَأَلَّفَ مِنَ الْعَدَدِ.
وَمَنْ ذَهَبَ فِي الْعِلْمِ هَذَا الْمَذْهَبَ وَسَلَكَ هَذَا الطَّرِيقَ فَلاَ نَصِيبَ لَهُ فِيهِ وَكَانَ بِأَنْ يُسَمَّى جَاهِلاً أَوْلَى مِنْ أَنْ يُنْسَبَ إِلَى عِلْمٍ .
وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ مُنْتَحِلِي الْحَدِيثِ مِنْ أَهْلِ عَصْرِنَا فِي تَصْحِيحِ الأَسَانِيدِ وَتَسْقِيمِهَا بِقَوْلٍ لَوْ ضَرَبْنَا عَنْ حِكَايَتِهِ وَذِكْرِ فَسَادِهِ صَفْحًا لَكَانَ رَأْيًا مَتِينًا وَمَذْهَبًا صَحِيحًا.
إِذِ الإِعْرَاضُ عَنِ الْقَوْلِ الْمُطَّرَحِ أَحْرَى لإِمَاتَتِهِ وَإِخْمَالِ ذِكْرِ قَائِلِهِ وَأَجْدَرُ أَنْ لاَ يَكُونَ ذَلِكَ تَنْبِيهًا لِلْجُهَّالِ عَلَيْهِ غَيْرَ أَنَّا لَمَّا تَخَوَّفْنَا مِنْ شُرُورِ الْعَوَاقِبِ وَاغْتِرَارِ الْجَهَلَةِ بِمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ وَإِسْرَاعِهِمْ إِلَى اعْتِقَادِ خَطَإِ الْمُخْطِئِينَ وَالأَقْوَالِ السَّاقِطَةِ عِنْدَ الْعُلَمَاءِ رَأَيْنَا الْكَشْفَ عَنْ فَسَادِ قَوْلِهِ وَرَدَّ مَقَالَتِهِ بِقَدْرِ مَا يَلِيقُ بِهَا مِنَ الرَّدِّ أَجْدَى عَلَى الأَنَامِ وَأَحْمَدَ لِلْعَاقِبَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
وَزَعَمَ الْقَائِلُ الَّذِي افْتَتَحْنَا الْكَلاَمَ عَلَى الْحِكَايَةِ عَنْ قَوْلِهِ وَالإِخْبَارِ عَنْ سُوءِ رَوِيَّتِهِ أَنَّ كُلَّ إِسْنَادٍ لِحَدِيثٍ فِيهِ فُلاَنٌ عَنْ فُلاَنٍ وَقَدْ أَحَاطَ الْعِلْمُ بِأَنَّهُمَا قَدْ كَانَا فِي عَصْرٍ وَاحِدٍ وَجَائِزٌ أَنْ يَكُونَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَى الرَّاوِي عَمَّنْ رَوَى عَنْهُ قَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ وَشَافَهَهُ بِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ نَعْلَمُ لَهُ مِنْهُ سَمَاعًا وَلَمْ نَجِدْ فِي شيء مِنَ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُمَا الْتَقَيَا قَطُّ أَوْ تَشَافَهَا بِحَدِيثٍ- أَنَّ الْحُجَّةَ لاَ تَقُومُ عِنْدَهُ بِكُلِّ خَبَرٍ جَاءَ هَذَا الْمَجِيءَ حَتَّى يَكُونَ عِنْدَهُ الْعِلْمُ- بِأَنَّهُمَا قَدِ اجْتَمَعَا مِنْ دَهْرِهِمَا مَرَّةً فَصَاعِدًا أَوْ تَشَافَهَا بِالْحَدِيثِ بَيْنَهُمَا أَوْ يَرِدَ خَبَرٌ فِيهِ بَيَانُ اجْتِمَاعِهِمَا وَتَلاَقِيهِمَا مَرَّةً مِنْ دَهْرِهِمَا فَمَا فَوْقَهَا. فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ عِلْمُ ذَلِكَ وَلَمْ تَأْتِ رِوَايَةٌ صَحِيحَةٌ تُخْبِرُ أَنَّ هَذَا الرَّاوِيَ عَنْ صَاحِبِهِ قَدْ لَقِيَهُ مَرَّةً وَسَمِعَ مِنْهُ شَيْئًا- لَمْ يَكُنْ فِي نَقْلِهِ الْخَبَرَ عَمَّنْ رَوَى عَنْهُ ذَلِكَ وَالأَمْرُ كَمَا وَصَفْنَا حُجَّةٌ وَكَانَ الْخَبَرُ عِنْدَهُ مَوْقُوفًا حَتَّى يَرِدَ عَلَيْهِ سَمَاعُهُ مِنْهُ لِشَيْءٍ مِنَ الْحَدِيثِ. قَلَّ أَوْ كَثُرَ فِي رِوَايَةٍ مِثْلِ مَا وَرَدَ
Chapter: That Which is Related to the Statements ‘The Chain of Narration is from the Religion’; ‘Transmissions are not Taken Except from Trustworthy Narrators’; and ‘Criticism of the Narrators With What is Permissible Regarding Them, Even Obligatory and That It is not the Prohibited Kind of Backbiting, Rather it is the Defense of the Noble Sharī’ah’
Bishr bin al-Hakam narrated to me, he said, I heard Yahyā bin Sa’īd al-Qattān weaken Hakīm bin Jubayr and Abd al-A’lā; and he weakened Yahyā Mūsā bin Dīnār [there is no ‘bin’ between ‘Yahyā’ and ‘Mūsā’]; [Yahyā] said:
‘His Ḥadīth are Rīh or ‘wind’ [i.e., not established and weak]. [Yahyā] weakened Mūsā bin Dihqān and Īsā bin Abī Īsā al-Madanī. [Muslim] said, ‘I heard al-Hasan bin Īsā saying ‘Ibn al-Mubārak said to me: ‘When you go to Jarīr then write down all of his knowledge except the Ḥadīth of 3 [people] - do not write the Ḥadīth of Ubaydah bin Mu’attib, as-Sarī bin Ismā’īl, or Muhammad bin Sālim’.’
Muslim said: Similar instances to what we mentioned from the words of Ahl ul-Ilm regarding those transmitters who are imputed in Ḥadīth, and reports about their defects, are great in number, it would lengthen this book to mention its investigation, and what we [already] mentioned should be sufficient for whoever reflects upon and understands the way of the people [Muhaddithīn] in terms of what they said and clarified of all of that.
Indeed [the Muhaddithīn] concerned themselves with the unveiling of the defects of transmitters of Ḥadīth and narrators of reports; they delivered verdicts in that at the time they were asked when there was a great danger involved considering that the reports are regarding affairs of the Dīn; whether [the transmissions] present a permission or proscription, a command or prohibition, encouragement or admonition.
If the transmitter for it is not a source of truthfulness or reliability, then those who know [his condition], who risk transmitting on his authority, and not declaring [his condition] to others whom are ignorant of his [state], are sinning through doing that, and deceiving the common Muslims, since he should not feel secure in that some of those who heard these reports will act upon them, or act upon some of them, and perhaps they are lies which have no basis, or a majority of them; this along with the fact that authentic reports from the trustworthy chains and the people who are satisfactory [to the majority of Ahl ul-Ilm] are in too great a number to compel relating from those who are not trustworthy and who are not satisfactory.
I do not think highly of those who would permit from the people what we described of these weak narrations and unknown chains, and who judge by these transmissions after knowing what is in them of those who are imputed and weak unless he, through his conveyance and judgment by them, desires to accumulate [status] through that among the commoners, or that it can be said, ‘How great is the number of Ḥadīth that so-and-so has gathered and compiled!’. Those who held this ideology regarding knowledge and traversed this path have no share in it and that they were designated as being ignorant is more deserving than for them to be attributed to knowledge.
Some pretender to knowledge of Ḥadīth from the people of our time made a statement regarding authentication and weakening of chains; a statement that if we were to disregard relating it and disregard mentioning its evil, truly it would be a strong opinion and sound approach, since turning away from the renounced view and dropping any mention of its speaker are most appropriate for putting it to rest; and better suited so as to not draw the attention of the ignorant to it.
Other than for what we fear from the evil results and dangers of the ignorant in innovated matters and their hastening towards believing in the mistakes of those who err and the rejected statements according to the scholars, we think the unveiling of the evil of his statement and refutation of its speaker with the amount which is deserved from refutation is more beneficial upon the creation and more praiseworthy ultimately, if Allah wills.
The speaker who we introduced by way of speaking on the account of his opinion and the reports of the evil of his thinking, alleged that every chain for Ḥadīth which has in it ‘so-and-so narrated on authority of so-and-so’ [Mu’an’an], and he has knowledge that they were contemporaries, and the probability that the Ḥadīth which the narrator transmitted from whom he transmitted, had heard it from him, and spoke face to face with him; without our knowing [for certain] that the narrator heard from the one who transmitted to him, and without finding in any of the transmissions that they ever met and spoke face to face for the purpose of Ḥadīth- that the proof is not established according to him in any report which comes in this manner until he has knowledge of both transmitters meeting in their era one or more times and speaking face to face for the purpose of narration, or he wants a report in which their meeting is clarified, their having met once in their era, or more than that; then if he does not have knowledge of that and there does not come to him an authentic transmission reporting that this transmitter [who relates] on authority of his companion met him once AND heard from him something- [there] will be no [proof] of his relating the report from whom he transmitted on authority of.
The matter just as we described is a proof [transmitters being contemporaries and the possibility of having met existing] and the report according to him is unresolved until there arrives [the transmitters] hearing from him something from Ḥadīth, a little or a lot, in a transmission [clarifying the ‘hearing’] equal to what he narrated [with Mu’an’an].