পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮০) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি অন্য কাউকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে যেন অবশ্যই না বসে। বরং তোমরা নড়ে-সরে জায়গা প্রশস্ত ক’রে নাও। ইবনে উমারের জন্য মজলিস থেকে কেউ উঠে গেলে সেখানে তিনি বসতেন না।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لاَ يُقِيمَنَّ أحَدُكُمْ رَجُلاً مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ وَلَكِنْ تَفَسَّحُوا وَتَوَسَّعُوا وكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ لَمْ يَجْلِسْ فِيهِ متفقٌ عَلَيْهِ

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله ﷺ لا يقيمن احدكم رجلا من مجلسه ثم يجلس فيه ولكن تفسحوا وتوسعوا وكان ابن عمر اذا قام له رجل من مجلسه لم يجلس فيه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মজলিস থেকে কেউ উঠে গিয়ে আবার সেখানে ফিরে এলে সেই ঐ জায়গার বেশি হকদার। (মুসলিম ৫৮১৮)

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন কোন ব্যক্তি তার বসার জায়গা থেকে উঠে যায়, অতঃপর সে ফিরে আসে, তখন সেই তার বেশী হকদার হয়। (আহমাদ ৭৫১৪, মুসলিম ২১৭৯, আবূ দাঊদ ৪৮৫৩, ইবনে মাজাহ ৩৭১৭, দারেমী ২৬৫৪)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَجْلِسٍ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال اذا قام احدكم من مجلس ثم رجع اليه فهو احق به رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮২) জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে আসতাম, তখন যেখানে মজলিস শেষ হত সেখানে বসে যেতাম।’

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا النَّبِيَّ ﷺ جلَسَ أحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن

وعن جابر بن سمرة رضي الله عنهما قال : كنا اذا اتينا النبي ﷺ جلس احدنا حيث ينتهي رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৩) আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামায আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা ক’রে দেওয়া হয়।

وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ سَلْمَانَ الفَارِسِي قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى رواه البخاري

وعن ابي عبد الله سلمان الفارسي قال : قال رسول الله ﷺ لا يغتسل رجل يوم الجمعة، ويتطهر ما استطاع من طهر ويدهن من دهنه، او يمس من طيب بيته ثم يخرج فلا يفرق بين اثنين ثم يصلي ما كتب له ثم ينصت اذا تكلم الامام الا غفر له ما بينه وبين الجمعة الاخرى رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৪) আমর ইবনে শুয়াইব (রহঃ) স্বীয় পিতা থেকে তিনি স্বীয় দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে দু’জনের মধ্যে তাদের বিনা অনুমতিতে তফাৎ সৃষ্টি করবে। (আহমাদ ৬৯৬০, আবূ দাঊদ ৪৮৪৭, তিরমিযী ২৭৫২)

আবূ দাউদের এক বর্ণনায় আছে, দু’জনের মধ্যে তাদের বিনা অনুমতিতে বসা যাবে না। (৪৮৪৬)

وَعَنْ عَمرِو بنِ شُعَيْبٍ، عَن أَبِيهِ عَن جَدِّهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلاَّ بِإِذْنِهِمَا رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن
وفي رواية لأبي داود لاَ يُجْلسُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ إِلاَّ بِإذْنِهِمَا

وعن عمرو بن شعيب، عن ابيه عن جده ان رسول الله ﷺ قال لا يحل لرجل ان يفرق بين اثنين الا باذنهما رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن وفي رواية لابي داود لا يجلس بين رجلين الا باذنهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৫) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে সভা সবচেয়ে বেশি প্রশস্ত সেটা সবচেয়ে উত্তম সভা।

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ خَيْرُ المَجَالِسِ أوْسَعُهَا رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح عَلَى شرط البخاري

وعن ابي سعيد الخدري قال : سمعت رسول الله ﷺ يقول خير المجالس اوسعها رواه ابو داود باسناد صحيح على شرط البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন সভায় বসে, যাতে খুব বেশি হৈ-হল্লা হয়, অতঃপর যদি উক্ত সভা ত্যাগ করে চলে যাওয়ার আগে এই দু’আ পড়ে, ’’সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্‌তা আস্তাগফিরুকা অ আতূবু ইলাইক্। (অর্থাৎ, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।) তাহলে উক্ত মজলিসে কৃত অপরাধ তার জন্য ক্ষমা ক’রে দেওয়া হয়। (তিরমিযী ৩৪৩৩, হাসান সহীহ)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ : سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أنْ لاَ إلهَ إِلاَّ أنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إلَيْكَ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح

وعن ابي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ من جلس في مجلس فكثر فيه لغطه فقال قبل ان يقوم من مجلسه ذلك : سبحانك اللهم وبحمدك اشهد ان لا اله الا انت استغفرك واتوب اليك، الا غفر له ما كان في مجلسه ذلك رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৭) আবূ বারযাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সভা থেকে উঠে চলে যাবার ইচ্ছা করতেন, তখন শেষের বেলায় এই দু’আ পড়তেন ’’সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা, আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক।’’ অর্থাৎ, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।

একটি লোক নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি যে দু’আ পড়লেন অতীতে তো তা পড়তেন না।’ তিনি বললেন, এই দু’আটি মজলিসে (সংঘটিত ভুল-ত্রুটি)র কাফফারাস্বরূপ।

وَعَنْ أَبي بَرْزَةَ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أرَادَ أنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيكَ فَقَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُوْلَ اللهِ إنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى ؟ قَالَ ذَلِكَ كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ في المَجْلِسِ رواه أَبُو داود ورواه الحاكم أَبُو عبد الله في " المستدرك " من رواية عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا وقال صحيح الإسناد

وعن ابي برزة قال : كان رسول الله ﷺ يقول باخرة اذا اراد ان يقوم من المجلس سبحانك اللهم وبحمدك اشهد ان لا اله الا انت استغفرك واتوب اليك فقال رجل : يا رسول الله انك لتقول قولا ما كنت تقوله فيما مضى ؟ قال ذلك كفارة لما يكون في المجلس رواه ابو داود ورواه الحاكم ابو عبد الله في " المستدرك " من رواية عاىشة رضي الله عنها وقال صحيح الاسناد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৮) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, খুব কম মজলিসই এমন হতো, যেখান থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ না পড়ে উঠতেন, (অর্থাৎ, অধিকাংশ মজলিস থেকে উঠার আগে এই দু’আ পড়তেন,)

’আল্লা-হুম্মাক্বসিম লানা মিন খাশয়্যাতিকা মা তাহূলু বিহী বাইনানা অবাইনা মাআ-স্বীক, অমিন ত্বা-আতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাক, অমিনাল য়্যাক্বীনি মা তুহাউবিনু বিহী আলাইনা মাস্বা-ইবাদ দুনয়্যা। আল্লাহুম্মা মাত্তি’না বিআসমা-ইনা অ আবস্বা-রিনা অ ক্বুউওয়াতিনা মা আহয়্যাইতানা, অজ্আলহুল ওয়া-রিসা মিন্না। অজআল সা’রানা আলা মান যালামানা, অনস্বুরনা আলা মান আ-দা-না, অলা তাজআল মুস্বীবাতানা ফী দীনিনা। অলা তাজআলিদ্দুনয়্যা আকবারা হাম্মিনা অলা মাবলাগা ইলমিনা, অলা তুসাল্লিত্ব আলাইনা মাল লা য়্যারহামুনা।’

অর্থাৎ, আল্লাহ গো! আমাদের জন্য তোমার ভীতি বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদের ও তোমার অবাধ্যাচরণের মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি কর। তোমার আনুগত্য বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাও। আমাদের জন্য এমন একীন (প্রত্যয়) বিতরণ কর, যার দ্বারা তুমি আমাদের উপর দুনিয়ার বিপদ সমূহকে সহজ ক’রে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের কর্ণ, চক্ষু ও শক্তি দ্বারা যতদিন আমাদেরকে জীবিত রাখ, ততদিন আমাদেরকে উপকৃত কর এবং তা আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখ। যারা আমাদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের নিকট আমাদের প্রতিশোধ নাও। যারা আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর। আমাদের দ্বীনে আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করো না। দুনিয়াকে আমাদের বৃহত্তম চিন্তার বিষয় এবং আমাদের জ্ঞানের শেষ সীমা করো না, আর যারা আমাদের উপর রহম করে না, তাদেরকে আমাদের উপর ক্ষমতাসীন করো না।

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : قَلَّمَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَقُومُ مِنْ مَجْلِسٍ حَتّٰـى يَدْعُوَ بِهَؤُلاَءِ الدَّعَواتِ اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُولُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا اللَّهُمَّ مَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأرَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَلاَ تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ يَرْحَمُنَا رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قلما كان رسول الله ﷺ يقوم من مجلس حتـى يدعو بهولاء الدعوات اللهم اقسم لنا من خشيتك ما تحول به بيننا وبين معاصيك ومن طاعتك ما تبلغنا به جنتك ومن اليقين ما تهون علينا مصاىب الدنيا اللهم متعنا باسماعنا وابصارنا وقوتنا ما احييتنا واجعله الوارث منا واجعل ثارنا على من ظلمنا وانصرنا على من عادانا ولا تجعل مصيبتنا في ديننا ولا تجعل الدنيا اكبر همنا ولا مبلغ علمنا ولا تسلط علينا من لا يرحمنا رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৮৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে জনগোষ্ঠীই কোন সভা থেকে, তাতে আল্লাহর যিকর না করেই উঠে যায়, আসলে তারা যেন মরা গাধা থেকে উঠে যায়। (অর্থাৎ যেন মৃত গাধার মাংস ভক্ষাণান্তে উঠে চলে যায়।) আর তাদের জন্য অনুতাপ হবে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا مِنْ قَوْمٍ يَقُومُونَ مِنْ مَجْلِسٍ لاَ يَذْكُرُونَ الله تَعَالَى فِيهِ، إِلاَّ قَامُوا عَنْ مِثْل جِيفَةِ حِمَارٍ، وَكَانَ لَهُمْ حَسْرَةٌ رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح

وعن ابي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ ما من قوم يقومون من مجلس لا يذكرون الله تعالى فيه، الا قاموا عن مثل جيفة حمار، وكان لهم حسرة رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯০) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন জনগোষ্ঠী কোন মজলিসে বসে তাতে আল্লাহর যিকর না করে এবং তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদ পাঠ না করে, তাদেরই নোকসান (দুর্ভোগ) হবে; আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন তো তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং যদি চান তো তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।

وَعَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِساً لَمْ يَذْكُرُوا اللهِ تَعَالَى فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ فِيهِ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةٌ ؛ فَإنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعنه عن النبي ﷺ قال ما جلس قوم مجلسا لم يذكروا الله تعالى فيه ولم يصلوا على نبيهم فيه الا كان عليهم ترة ؛ فان شاء عذبهم وان شاء غفر لهم رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯১) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন বৈঠকে বসে তাতে আল্লাহর যিকর করল না, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ক্ষতি হবে। আর যে ব্যক্তি কোন শয্যায় শয়ন ক’রে তাতে আল্লাহর যিকর করে না, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ক্ষতি হবে।

وَعَنهُ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ قَعَدَ مَقْعَداً لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعَاً لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ رواه أَبُو داود

وعنه عن رسول الله ﷺ قال من قعد مقعدا لم يذكر الله تعالى فيه كانت عليه من الله ترة ومن اضطجع مضجعا لا يذكر الله تعالى فيه كانت عليه من الله ترة رواه ابو داود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯২) শারীদ বিন সুয়াইদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন। তখন আমি এমন ঢঙে বসেছিলাম যে, বাম হাতকে পশ্চাতে রেখেছিলাম এবং (ডান) হাতের চেটোর উপর ভরনা দিয়েছিলাম। এ দেখে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি কি (আল্লাহর) ক্রোধভাজন (ইয়াহুদী) দের বসার মতো বসছ?

عَنْ الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ قَالَ مَرَّ بِى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِىَ الْيُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِى وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَلْيَةِ يَدِى فَقَالَ أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ

عن الشريد بن سويد قال مر بى رسول الله ﷺ وانا جالس هكذا وقد وضعت يدى اليسرى خلف ظهرى واتكات على الية يدى فقال اتقعد قعدة المغضوب عليهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯৩)জাবের ইবনে সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের নামায সমাপ্ত করতেন তখন ভালোভাবে সূর্যোদয় না হওয়া অবধি নামায পড়ার জায়গাতেই দুই বা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসে থাকতেন।’

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا صَلَّى الفَجْرَ تَرَبَّعَ فِي مَجْلِسِهِ حَتّٰـى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسْنَاءَ حديث صحيح رواه أَبُو داود وغيره بأسانيد صحيحة

وعن جابر بن سمرة قال : كان النبي ﷺ اذا صلى الفجر تربع في مجلسه حتـى تطلع الشمس حسناء حديث صحيح رواه ابو داود وغيره باسانيد صحيحة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯৪) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কা’বা প্রাঙ্গনে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে ধরে এভাবে বসে থাকতে দেখেছি।’ আর তিনি নিজের হাত দুখানা ধরে উক্ত (ইহতিবা) বসার ধরন বর্ণনা করলেন। ওটাকেই আরবীতে ’কুরফুসা’ও বলা হয়।

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : رَأَيتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ بِفِنَاءِ الكَعْبَةِ مُحْتَبِياً بِيَدَيْهِ هَكَذَا وَوَصَفَ بِيَدَيْهِ الاِحْتِبَاءَ وَهُوَ القُرْفُصَاءُ رواه البخاري

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : رايت رسول الله ﷺ بفناء الكعبة محتبيا بيديه هكذا ووصف بيديه الاحتباء وهو القرفصاء رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯৫) ক্বাইলা বিনতে মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে দুটোকে জড়িয়ে উঁচু হয়ে বসে থাকতে দেখেছি। যখন তাকে বিনীতভাবে বসে থাকতে দেখলাম, তখন ভয়ে আমি কাঁপতে লাগলাম।

وَعَنْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : رَأَيتُ النَّبيَّ ﷺ وَهُوَ قَاعِدٌ القُرْفُصَاءَ فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ المُتَخَشِّعَ فِي الجِلْسَةِ أُرْعِدْتُ مِنَ الفَرَقِ رواه أَبُو داود والترمذي

وعن قيلة بنت مخرمة رضي الله عنها قالت : رايت النبي ﷺ وهو قاعد القرفصاء فلما رايت رسول الله المتخشع في الجلسة ارعدت من الفرق رواه ابو داود والترمذي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯৬) আবূ ইয়ায কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোদ ও ছায়ার মাঝামাঝি স্থানে বসতে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, (রোদ ও ছায়ার মাঝে বসা হল) শয়তানের বৈঠক।

وعَنْ أَبِي عِيَاضٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ نَهٰـى أَنْ يُجْلَسَ بَيْنَ الضِّحِّ وَالظِّلِّ وَقَالَ مَجْلِسُ الشَّيْطَانِ

وعن ابي عياض عن رجل من اصحاب النبي ﷺ ان النبي ﷺ نهـى ان يجلس بين الضح والظل وقال مجلس الشيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা

(৩২৯৭) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, খবরদার! তোমরা রাস্তার ধারে বসো না। আর একান্তই যদি বসতেই হয়, তাহলে তার হক আদায় করো। লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ’রাস্তার হক কী? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকা, সালামের জবাব দেওয়া, সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দান করা (এবং পথভ্রষ্টকে পথ বলে দেওয়া)।

وعَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ فِى الطُّرُقَاتِ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا لَنَا بُدٌّ مِنْ مَجَالِسِنَا نَتَحَدَّثُ فِيهَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلاَّ الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ قَالُوا وَمَا حَقُّهُ قَالَ غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الأَذَى وَرَدُّ السَّلاَمِ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ

وعن ابى سعيد الخدرى عن النبى ﷺ قال اياكم والجلوس فى الطرقات قالوا يا رسول الله ما لنا بد من مجالسنا نتحدث فيها قال رسول الله ﷺ فاذا ابيتم الا المجلس فاعطوا الطريق حقه قالوا وما حقه قال غض البصر وكف الاذى ورد السلام والامر بالمعروف والنهى عن المنكر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে