পরিচ্ছেদঃ ৫৬১. জুমু’আর জন্য তৈল ব্যবহার ।
৮৩৯। আদম (রহঃ) ... সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, তারপর তার নির্ধারিত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমুআহ থেকে আরেক জুমুআহ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
باب الدُّهْنِ لِلْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ وَدِيعَةَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ، فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى ".
Narrated Salman-Al-Farsi:
The Prophet (p.b.u.h) said, "Whoever takes a bath on Friday, purifies himself as much as he can, then uses his (hair) oil or perfumes himself with the scent of his house, then proceeds (for the Jumua prayer) and does not separate two persons sitting together (in the mosque), then prays as much as (Allah has) written for him and then remains silent while the Imam is delivering the Khutba, his sins in-between the present and the last Friday would be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ৫৭৩. জুমু’আর দিন সালাতে দু’জনের মধ্যে ফাঁক না করা ।
৮৬৪। আবদান ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি জুমু’আর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমান সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমু’আ এবং পরবর্তী জুমু’আর মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
باب لاَ يُفَرَّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ وَدِيعَةَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ، ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى ".
Narrated Salman Al-Farsi:
Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) said, "Anyone who takes a bath on Friday and cleans himself as much as he can and puts oil (on his hair) or scents himself; and then proceeds for the prayer and does not force his way between two persons (assembled in the mosque for the Friday prayer), and prays as much as is written for him and remains quiet when the Imam delivers the Khutba, all his sins in between the present and the last Friday will be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ ২১৬২. সালমান ফারসী (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
৩৬৬১। হাসান ইবনু ’উমর ইবনু শাকীক (রহঃ) ... সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি (অন্যায়ভাবে) দশজনের অধিক মালিকের হাত বদল হয়েছি।
باب إِسْلاَمُ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ أَبِي وَحَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، أَنَّهُ تَدَاوَلَهُ بِضْعَةَ عَشَرَ مِنْ رَبٍّ إِلَى رَبٍّ.
Narrated Salman Al-Farisi:
That he was sold (as a slave) by one master to another for more than ten times (i.e between 13 and 19).
পরিচ্ছেদঃ ২১৬২. সালমান ফারসী (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ
৩৬৬৩। হাসান ইবনু মুদরিক (রহঃ) ... সালমান ফারসী (রাঃ) বলেন, ’ঈসা (আ.) এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের মধ্যে ছয়শ’ বছরের ব্যবধান ছিল।
باب إِسْلاَمُ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ فَتْرَةٌ بَيْنَ عِيسَى وَمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم سِتُّمِائَةِ سَنَةٍ.
Narrated Salman:
The interval between Jesus and Muhammad was six hundred years.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. ইসতিনজার বিবরণ
৪৯৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একবার তাঁকে বলা হল, তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে সব কাজই শিক্ষা দেন এমনকি পেশাব পায়খানার পদ্ধতিও! তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, পায়খানার বা পেশাবের সময় কিবলামুখী হয়ে বসতে, ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা করতে, তিনটি ঢিলার কম দিয়ে ইসতিনজা করতে এবং গোবর বা হাড় দিয়ে ইসতিনজা করতে।
باب الاِسْتِطَابَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قِيلَ لَهُ قَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ . قَالَ فَقَالَ أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ .
Salman reported that it was said to him:
Your Apostle (ﷺ) teaches you about everything, even about excrement. He replied: Yes, he has forbidden us to face the Qibla at the time of excretion or urination, or cleansing with right hand or with less than three pebbles, or with dung or bone.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. ইসতিনজার বিবরণ
৫০০। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুশরিকরা একবার আমাকে বলল, আমরা দেখছি তোমাদের সঙ্গী [রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] তোমাদেরকে সব কাজই শিক্ষা দেন এমনকি পেশাব পায়খানার নিয়ম নীতিও তোমাদেরকে শিক্ষা দেন! (জবাবে) তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করতে, (ইস্তিঞ্জার সময়) কিবলামুখী হয়ে বসতে এবং তিনি আমাদেরকে আরো নিষেধ করেছেন গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে। তিনি বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন তিনটি ঢিলার কম দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করে”।
باب الاِسْتِطَابَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ لَنَا الْمُشْرِكُونَ إِنِّي أَرَى صَاحِبَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ حَتَّى يُعَلِّمَكُمُ الْخِرَاءَةَ . فَقَالَ أَجَلْ إِنَّهُ نَهَانَا أَنْ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِيَمِينِهِ أَوْ يَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ وَنَهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالْعِظَامِ وَقَالَ " لاَ يَسْتَنْجِي أَحَدُكُمْ بِدُونِ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ " .
Salman said that (one among) the polytheists remarked:
I see that your friend even teaches you about the excrement. He replied; Yes, he has in fact forbidden us that anyone amongst us should cleanse himself with his right hand, or face the Qibla. He has forbidden the use of dung or bone for it, and he has also instructed us not to use less than three pebbles (for this purpose).
পরিচ্ছেদঃ ৫০. আল্লাহর রাহে প্রহরায় থাকার ফযীলত
৪৭৮৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রাহমান ইবনু বাহরাম দারেমী (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর রাহে একটি দিবস ও একটি রাতের সীমান্ত প্রহরা একমাস সিয়াম পালন এবং ইবাদতে রাত জাগার চাইতেও উত্তম। আর যদি এ অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে, তাতে তার এ আমলের সাওয়াব জারী থাকবে। এবং তার (শহীদসুলভ) রিযক অব্যাহত রাখা হবে এবং সে ব্যক্তি ফিতনাসমূহ থেকে নিরাপদে থাকবে।
باب فَضْلِ الرِّبَاطِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السَّمِطِ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ وَإِنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُهُ وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ وَأَمِنَ الْفَتَّانَ " .
It has been narrated on the authority of Salman who said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Keeping watch for a day and a night is better (in point of reward) than fasting for a whole month and standing in prayer every night. If a person dies (while, performing this duty), his (meritorious) activity will continue and he will go on receiving his reward for it perpetually and will be saved from the torture of the grave.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মউ'মিনীন উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর ফযীলত
৬০৯৩। আবদুল আলা ইবনু হাম্মাদ ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা কায়সী (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যদি তোমার পক্ষে সম্ভব হয় তবে বাজারে প্রবেশকারীদের মধ্যে তুমি প্রথম হয়ো না এবং তথা হতে বহির্গমণকারীদের মধ্যে তুমি শেষ ব্যক্তি হয়ো না। বাজার হলো শয়তানের আড্ডাখানা। আর তথায়ই সে তার ঝান্ডা উত্তোলন করে রাখে। সালমান (রাঃ) বলেন, আমাকে এ খবরও দেওয়া হয়েছে যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তখন তাঁর পাশে উম্মু সালামা (রাঃ) ছিলেন। রাবী বলেন, অতঃপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কথা বলতে লাগলেন এবং পরে চলে গেলেন।
অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সালামাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইনি কে ছিলেন? বা এরূপ কথা বললেন। উম্মে সালামা (রাঃ) উত্তর দিলেন, দাহইয়া কালবী। তিনি বলেন, উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি তো তাকে দাহইয়া কালবী বলেই ধারণা করেছিলাম। যতক্ষন না রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষণ শুনলাম। তিনি আমাদের কথা বলছিলেন অথবা এরূপ বলেছিলেন। অর্থাৎ জিবরীলের আগমনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাবী আবূ উসমানকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনি এ হাদীস কার মাধ্যমে শুনেছেন? তিনি বললেন, উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে।
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُعْتَمِرِ، - قَالَ ابْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، - قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ لاَ تَكُونَنَّ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ وَلاَ آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا فَإِنَّهَا مَعْرَكَةُ الشَّيْطَانِ وَبِهَا يَنْصِبُ رَايَتَهُ . قَالَ وَأُنْبِئْتُ أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَتَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ أُمُّ سَلَمَةَ - قَالَ - فَجَعَلَ يَتَحَدَّثُ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُمِّ سَلَمَةَ " مَنْ هَذَا " . أَوْ كَمَا قَالَ قَالَتْ هَذَا دِحْيَةُ - قَالَ - فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ايْمُ اللَّهِ مَا حَسِبْتُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ حَتَّى سَمِعْتُ خُطْبَةَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخْبِرُ خَبَرَنَا أَوْ كَمَا قَالَ قَالَ فَقُلْتُ لأَبِي عُثْمَانَ مِمَّنْ سَمِعْتَ هَذَا قَالَ مِنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ .
Salman reported:
In case it lies in your power don't be one to enter the bazar first and the last to get out of that because there is a bustle and the standard of Satan is set there. He said: I was informed that Gabriel (Allah be pleased with him) came to Allah's Apostle (ﷺ) and there was with him Umin Salama and he began to talk with him. He then stood up, whereupon Allah's Apostle (ﷺ) said to Umm Salama: (Do you know) who was he and what did he say? She said: He was Dihya (Kalbi). He reported Umm Salama having said: By Allah, I did not deem him but only he (Dihya) until I heard the address of Allah's Apostle (ﷺ) informing him about us. He (the narrator) said: I said to Uthman: From whom did you hear it? He said: From Usima b. Zaid.
পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ্ তা'আলার রহমতের প্রশস্ততা-বিশালতা এবং তার গযবের উপর তার রহমতের প্রাধান্য
৬৭২২। হাকাম ইবনু মূসা (রহঃ) ... সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার একশ ভাগ রহমত আছে। তন্মধ্যে একভাগ রহমতের দ্বারাই সৃষ্ট জীব পরস্পর (একে অন্যের প্রতি) অনুকম্পা প্রদর্শন করে। বাকী নিরানব্বই ভাগ রহমত রাখা হয়েছে কিয়ামত দিবসের জন্য।
باب فِي سَعَةِ رَحْمَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَأَنَّهَا سَبَقَتْ غَضَبَهُ
حَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ فَمِنْهَا رَحْمَةٌ بِهَا يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ بَيْنَهُمْ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
Salman Farisi reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Verily, there are one hundred (parts of) mercy for Allah, and it is one part of this mercy by virtue of which there is mutual love between the people and ninety-nine reserved for the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ্ তা'আলার রহমতের প্রশস্ততা-বিশালতা এবং তার গযবের উপর তার রহমতের প্রাধান্য
৬৭২৪। ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন আল্লাহ তাআলা একশ’ রহমত সৃষ্টি করেছেন। প্রত্যেকটি রহমত আকাশ ও পৃথিবীর দূরত্বের সমপরিমাণ। এ একশ’ রহমত হতে একভাগ রহমত পৃথিবীর জন্য নির্ধারণ করেছেন। এর কারণেই মা সন্তানের প্রতি দয়া করে এবং বন্য পশু ও পাখীরা পরস্পরে অনুগ্রহ প্রদর্শন করে। অবশেষে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা এ রহমত দ্বারা তা (রহমত) পূর্ণ করবেন।
باب فِي سَعَةِ رَحْمَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَأَنَّهَا سَبَقَتْ غَضَبَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مِائَةَ رَحْمَةٍ كُلُّ رَحْمَةٍ طِبَاقَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَجَعَلَ مِنْهَا فِي الأَرْضِ رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطِفُ الْوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا وَالْوَحْشُ وَالطَّيْرُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أَكْمَلَهَا بِهَذِهِ الرَّحْمَةِ " .
Salman reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
Verily, Allah created, on the same very day when He created the heavens and the earth, one hundred parts of mercy. Every part of mercy is coextensive with the space between the heavens. and the earth and He out of this mercy endowed one part to the earth and it is because of this that the mother shows affection to her child and even the beasts and birds show kindness to one another and when there would be the Day of Resurrection, Allah would make full (use of Mercy).
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৪/৮৩২। আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামায আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’’ (বুখারী) [1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ سَلْمَانَ الفَارِسِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى ». رواه البخاري
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Salman Al-Farisi (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "If a man takes a bath on Friday, purifies himself thoroughly, uses oil and perfume which is available in the house, sets forth for the mosque, does not (forcibly) sit between two persons, offers the prayer that is prescribed for him and listens to the Imam silently, his sins between this Friday and the previous Friday will be forgiven."
[Al- Bukhari].
Commentary: This Hadith highlights eight points. First, to take a bath on Friday is a matter of commendation. Some say this bath is commendable, while others think it is necessary. Second, one should take it in the morning or before going to the mosque to offer prayer. Third, on this occasion the use of perfume or hair-cream is preferable.
Fourth, there is a mention of good manners. Instead of crossing over the heads of worshippers, one should try tolocate an open space and sit there. To thrust oneself between two sitting persons looks awkward. Fifth, entry into the mosque should be followed by the performance of two Rak`ah prayer, even if the Imam is delivering Khutbah (religious talk). Sixth, an attempt should be made to offer voluntary prayer before the Khutbah. Seventh, complete silence should be observed during the Khutbah to the point that one is not allowed to say to the other person: "Keep silent,'' if one does not want to loose reward. Eighth, if a man offers his Friday prayer by observing the said conditions and prerequisites, his week-long sins will be forgiven by Allah. But these are exclusively minor sins including failure in doing one's duty to Allah. As regards major sins, the sinner will not be forgiven by Allah unless
he sincerely repents from the sins. Similarly, a man's failure to do his duties towards his fellow-Muslim brothers or sisters, in case he has wronged them in anyway, will not be pardoned unless he is forgiven by them.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৮/১১৬১। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন ব্যক্তি জুমার দিন গোসল ও সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, নিজসব তেল গায়ে লাগায় অথবা নিজ ঘরের সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে, অতঃপর (মসজিদে) গিয়ে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করেই (যেখানে স্থান পায়, বসে যায়) এবং তার ভাগ্যে যত রাকআত নামায জোটে, আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবা আরম্ভ করলে নীরব থাকে, সে ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত কৃত সমুদয় (ছগীরা) গুনাহ-রাশিকে মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারী)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ سَلمَانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَومَ الجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِن طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى». رواه البخاري
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Salman (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If a man takes bath on Friday, (or) purifies himself as much as he can with Wudu', oils his hair, applies whatever perfume available in his house, sets forth for the mosque, does not separate two people (to make a seat for himself), performs Salat what is prescribed for him, remains silent when the Imam speaks, his (minor) sins between that Friday and the following Friday will be forgiven."
[Al-Bukhari].
Commentary: This Hadith stresses the following four points:
1. The need to purify oneself as much as possible on Jumu`ah. One must use hair oil and perfume so that others do not feel any irritation on the bad smell which may rise from one's clothes.
2. One is advised to go for Salat-ul-Jumu`ah early so that he has not to jump over the shoulders of others, nor has to sit tightly between two persons. If a person goes to the mosque late, then he should occupy the available seat and observe full manners.
3. One should perform Nawafil after reaching the mosque.
4. One should listen to the Khutbah quietly. A person who observes all the manners mentioned in this Hadith will receives full benefits of Salat-ul-Jumu`ah.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য
৭/১২৯৯। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “একদিন ও একরাত সীমান্ত প্রহরায় রত থাকা, একমাস ধরে (নফল) রোযা পালন তথা (নফল) নামায পড়া অপেক্ষা উত্তম। আর যদি ঐ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, তাহলে তাতে ঐ সব কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে, যা সে পূর্বে করত এবং তার বিশেষ রুযী চালু করে দেওয়া হবে এবং তাকে (কবরের) ফিতনা ও বিভিন্ন পরীক্ষা হতে মুক্ত রাখা হবে।” (মুসলিম) [1]
(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ
وَعَنْ سَلمَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ، وَإنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِيْ كَانَ يَعْمَلُ، وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ، وَأَمِنَ الفَتَّانَ». رواه مسلم
(234) Chapter: Obligation of Jihad
Salman (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) as saying, "Observing Ribat in the way of Allah for a day and a night is far better than observing Saum (fasting) for a whole month and standing in Salat (prayer) in all its nights. If a person dies (while performing this duty), he will go on receiving his reward for his meritorious deeds perpetually, and he will be saved from Al- Fattan."
[Muslim].
Commentary: Good deeds of a Muslim who dies or is martyred on the frontier will perpetuate and will be credited to his account till the Day of Resurrection; and like all other martyrs, sustenance will be provided to him even after his death. As Allah says: `Think not of those as dead who are killed in the way of Allah. Nay, they are alive, with their Rubb, and they have provision.'' (3:169)
"Al-Fattan'' here means the interrogation in the grave which the two angels Munkir and Nakir will conduct. Some religious scholars said that observing Ribat serves the purpose of safeguarding religion and Islamic territories, while fastings benefit only the person who performs it. It is a great trial which everyone has to pass through. But one who is a Mu'min (righteous Muslim) goes through it easily by the Grace of Allah, and he will answer all the questions correctly.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
৩৫/১৮৫১। সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উক্তি [মওকূফ সূত্রে] বর্ণিত, তিনি বলেন, ’তুমি যদি পার, তাহলে সর্বপ্রথম বাজারে প্রবেশকারী হবে না এবং সেখান থেকে সর্বশেষ প্রস্থান-কারী হবে না। কারণ, বাজার শয়তানের আড্ডাস্থল; সেখানে সে আপন ঝাণ্ডা গাড়ে।’ (মুসলিম)[1]
বারক্বানী তাঁর ’সহীহ’ গ্রন্থে সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সর্বপ্রথম বাজারে প্রবেশকারী হয়ো না এবং সেখান থেকে সর্বশেষ প্রস্থান-কারী হয়ো না। কারণ, সেখানে শয়তান ডিম পাড়ে এবং ছানা জন্ম দেয়।’’
(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا
وَعَنْ سَلمَانَ الفَارِسِي رضي الله عنه مِنْ قَولِهِ قَالَ: لاَ تَكُونَنَّ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ، وَلاَ آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا، فَإِنَّهَا مَعْرَكَةُ الشَّيْطَانِ، وَبِهَا يَنْصِبُ رَايَتَهُ . رواه مسلم هكذا، ورواه البرقاني في صحيحهِ عَنْ سَلمَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: لاَ تَكُنْ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ، وَلاَ آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا . فِيهَا بَاضَ الشَّيْطَانُ وَفَرَّخَ
(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour
Salman Al-Farisi (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "Do not, if you can help, be the first to enter the market and the last to leave it because it is an arena of Satan and the standard of Satan is set there."
[Muslim].
There are other narrations with some variation in the wordings.
Commentary: It is disliked (Makruh) to frequently visit the markets, where there is overwhelming influence of the Satan. The more one goes there, the more will one be influenced by the temptations of the devil.
পরিচ্ছেদঃ ৪. কিবলার দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা করা মাকরূহ।
৭. মুসাদ্দাদ ইবনু মূসারহাদ .... সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত রাবী (বর্ণনাকারী) বলেনঃ আমাকে এরুপ বলা হয়েছে যে, নিশ্চই তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে সবকিছুই শিক্ষা দিয়ে থাকেন, এমনকি পায়খানার রীতিনীতি সম্পর্কেও। তদুত্তরে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ নিশ্চই নবী সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিবুলামুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ আমরা যেন ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করি এবং আমাদের কেউ যেন তিনটি প্রস্তরের। (ঢিলা-কুলুখের) কমে ইস্তিঞ্জা (পবিত্রতা অর্জন) না করে অথবা কেউ যেন গোবর বা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করে। - (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ- নাসাঈ)।
باب كَرَاهِيَةِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ عِنْدَ قَضَاءِ الْحَاجَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قِيلَ لَهُ لَقَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ . قَالَ أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَنْ لاَ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ وَأَنْ لاَ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ أَوْ يَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ عَظْمٍ .
صحيح (الألباني)
Narrated Salman al-Farsi:
It was said to Salman: Your Prophet teaches you everything, even about excrement. He replied: Yes. He has forbidden us to face the qiblah at the time of easing or urinating, and cleansing with right hand, and cleansing with less than three stones, or cleansing with dung or bone
Grade : Sahih (Al-Albani)
পরিচ্ছেদঃ ৩৬৪. দু'আর ফযিলত।
১৪৮৮. মুতাম্মল ইবন ফাদল (রহঃ) ..... সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের রব চিরঞ্জীব ও মহান দাতা। যখন কোন বান্দাহ হাত উঠিয়ে দু’আ করে, তখন তিনি তার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিযী, ইবন মাজা)
باب الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مَيْمُونٍ صَاحِبَ الأَنْمَاطِ - حَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ رَبَّكُمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا " .
Narrated Salman al-Farsi:
The Prophet (ﷺ) said: Your Lord is munificent and generous, and is ashamed to turn away empty the hands of His servant when he raises them to Him.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬৩. খাওয়ার আগে দুম্বহাত ধোওয়া সম্পর্কে।
৩৭১৯. মূসা ইবন ইসমা’ঈল (রহঃ) ......... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি তাওরাতে পড়েছি যে, ’’খাওয়ার আগে উযূ করলে খাদ্যের মধ্যে বরকত হয়। ’’আমি একথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললে, তিনি বলেনঃ খাওয়ার মধ্যে বরকত হলো খাদ্য গ্রহণের আগে এবং খাওয়ার শেষে উযূ করাতে।
সুফয়ান ছাওরী (রহঃ) খাওয়ার আগে সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করাকে খারাপ মনে করতেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ হাদীছটি দুর্বল।
باب فِي غَسْلِ الْيَدِ قَبْلَ الطَّعَامِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَرَأْتُ فِي التَّوْرَاةِ أَنَّ بَرَكَةَ الطَّعَامِ الْوُضُوءُ قَبْلَهُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " بَرَكَةُ الطَّعَامِ الْوُضُوءُ قَبْلَهُ وَالْوُضُوءُ بَعْدَهُ " . وَكَانَ سُفْيَانُ يَكْرَهُ الْوُضُوءَ قَبْلَ الطَّعَامِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ ضَعِيفٌ .
Narrated Salman al-Farsi:
I read in the Torah that the blessing of food consists in ablution before it. So I mentioned it to the Prophet (ﷺ). He said: The blessing of food consists in ablution before it and ablution after it.
Sufyan disapproved of performing ablution before taking food.
Abu Dawud said: It is weak.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮৫. ফড়িং ধাওয়া সম্পর্কে।
৩৭৬৯. মুহাম্মদ ইবন ফারজ (রহঃ) ..... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফড়িং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ এরা আল্লাহ্র অগণিত সেনা। আমি তা খাই না এবং আমি একে হারামও বলি না।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ মু’তামির (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি আবূ উছমান (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর সনদে সালমান (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করেননি।
باب فِي أَكْلِ الْجَرَادِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الزِّبْرِقَانِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَرَادِ فَقَالَ " أَكْثَرُ جُنُودِ اللَّهِ لاَ آكُلُهُ وَلاَ أُحَرِّمُهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْمُعْتَمِرُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَذْكُرْ سَلْمَانَ .
Narrated Salman al-Farsi:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked about (eating) locusts. He replied: They are the most numerous of Allah's hosts. I neither eat them nor declare them unlawful.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮৫. ফড়িং ধাওয়া সম্পর্কে।
৩৭৭০. নাসর ইবন আলী (রহঃ) ...... সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ফড়িং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ এরা আল্লাহ্র অসংখ্য সেনা। আলী (রহঃ) বলেনঃ আবূল আওয়ামের নাম হলো ফাইদ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ হাম্মাদ ইবন সালাম (রহঃ) আবূ আওয়াম (রহঃ) থেকে, তিনি আবূ উছমান (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি সুলায়মান (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করেন নি।
باب فِي أَكْلِ الْجَرَادِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي الْعَوَّامِ الْجَزَّارِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ فَقَالَ مِثْلَهُ فَقَالَ " أَكْثَرُ جُنْدِ اللَّهِ " . قَالَ عَلِيٌّ اسْمُهُ فَائِدٌ يَعْنِي أَبَا الْعَوَّامِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الْعَوَّامِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَذْكُرْ سَلْمَانَ .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Salman through a different chain of narrators. This version goes:
Salman said: The Messenger of Allah(ﷺ) was asked about locusts. He replied in a similar way(as mentioned above) saying: The most numerous of Allah’s host. The narrator ‘Ali said: His name is Fa’id, that is the name of al-Awwam.
Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by Hammad b. Salamah, from Abu al-Awwam from Abu uthman, from the Prophet (ﷺ). He did not mention salman (i.e., the companions).
পরিচ্ছেদঃ ৩৭/ পবিত্রতা অর্জনকালে তিনটির কম ঢিলা ব্যবহার করা নিষেধ
৪১। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁকে এক ব্যাক্তি বলল, তোমাদের নবী তোমাদেরকে শিক্ষা দেন এমনকি পায়খানা-পেশাবে কিভাবে বসবে তাও। সালমান (রাঃ) উত্তরে বললেনঃ নিশ্চয়ই। তিনি আমাদেরকে পেশাব-পায়খানাকালে কিবলামুখী হয়ে বসতে, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করতে এবং তিনটি কুলুখের কমে ক্ষান্ত হতে নিষেধ করেছেন।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ قَالَ لَهُ رَجُلٌ إِنَّ صَاحِبَكُمْ لَيُعَلِّمُكُمْ حَتَّى الْخِرَاءَةَ . قَالَ أَجَلْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ أَوْ نَسْتَنْجِيَ بِأَيْمَانِنَا أَوْ نَكْتَفِيَ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ
It was narrated that Salman said, that a man said to him:
"Your companion (meaning, the Prophet(ﷺ)) even teaches you how to go to the toilet!" He said: "Yes, he forbade us from facing the Qiblah when defecating or urinating, or cleaning ourselves with out right hands, or to use less than three stones."