পরিচ্ছেদঃ ৯৮। উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে
১৩৮। ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) .... নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ، وَالْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ ".
The Superiority Of Ablution. And Al-ghurr-ul-muhajjalun (the Parts Of The Body Of The Muslims Washed In Ablution Will Shine On The Day Of Ressurrection And The Angels Will Call Them By That Name) From The Traces Of Ablution
Narrated Nu`am Al-Mujmir: Once I went up the roof of the mosque, along with Abu Huraira. He perform ablution and said, "I heard the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) saying, "On the Day of Resurrection, my followers will be called "Al-Ghurr-ul- Muhajjalun" from the trace of ablution and whoever can increase the area of his radiance should do so (i.e. by performing ablution regularly).' "
পরিচ্ছেদঃ ২১০৭. আহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ্ বলা এবং ডান হাত দিয়ে আহার করা
৪৯৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ নুআয়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একদা কিছু খাবার আনা হলো, তার সঙ্গে ছিলেন তার পোষ্য উমর ইবনু আবূ সালামা। তিনি বললেনঃ বিসমিল্লাহ বল এবং নিজের কাছ থেকে খাও।
باب التَّسْمِيَةِ عَلَى الطَّعَامِ وَالأَكْلِ بِالْيَمِينِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ أَبِي نُعَيْمٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِطَعَامٍ وَمَعَهُ رَبِيبُهُ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ " سَمِّ اللَّهَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ ".
Narrated Wahb bin Kaisan Abi Nu'aim:
A meal was brought to Allah's Messenger (ﷺ) while his step-son, `Umar bin Abi Salama was with him. Allah's Messenger (ﷺ) said to him, "Mention the Name of Allah and eat of the dish what is nearer to you."
পরিচ্ছেদঃ ১২. উযুতে মুখমণ্ডলের শুভ্রতা এবং হাত-পায়ের দীপ্তি বাড়িয়ে নেয়া মুস্তাহাব
৪৭২। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রহঃ), কাসিম ইবনু যাকারিয়া ইবনু দ্বীনার ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... নূ’আয়ম ইবনু আবদুল্লাহ আল-মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখলাম। তিনি তার মুখমণ্ডল ধুইলেন এবং পরিপূর্ণ ও উত্তমরুপেই তা ধুইলেন। এরপর তিনি ডান হাত ধুইলেন এমন কি বাহুর কিছু অংশও ধুয়ে ফেললেন। তারপর বাম হাত ও বাহুর কিছু অংশসহ ধুয়ে ফেললেন। এরপর মাথা মাসহ(মাসেহ) করলেন। তারপর তিনি ডান পা ধুইলেন এমনকি গোছারও কিছু অংশ ধুয়ে ফেললেন। তারপর বাম পা গোছার কিছু অংশসহ ধুইলেন। তারপর বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এভাবেই উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেছি তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পরিপূর্ণ ও উত্তমরুপে করার কারণে কিয়ামতের দিন তোমাদের মুখমণ্ডল জ্যোর্তিময় এবং হাত পা উজ্জ্বল হবে। অতএব, তোমাদের যার ইচ্ছা সে যেন তার মুখমণ্ডল ের নূর এবং হাত-পায়ের দীপ্তি বাড়িয়ে নেয়।
باب اسْتِحْبَابِ إِطَالَةِ الْغُرَّةِ وَالتَّحْجِيلِ فِي الْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَالْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ دِينَارٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ ثُمَّ يَدَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ . وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْتُمُ الْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ فَلْيُطِلْ غُرَّتَهُ وَتَحْجِيلَهُ " .
Nu'aim b. 'Abdullah al-Mujmir reported:
I saw Abu Huraira perform ablution. He washed his face and washed it well. He then washed his right hand including a portion of his arm. He then washed his left hand including a portion of his arm. He then wiped his head. He then washed his right foot including his shank, and then washed his left foot including shank, and then said: This is how I saw Allah's Messenger (ﷺ) perform his ablution. And (Abu Huraira) added that the Messenger of Allah (ﷺ) had observed: You shall have your faces hands and feet bright on the Day of Resurrection because of your perfect ablution. He who can afford among you, let him increase the brightness of his forehead and that of hands and legs.
পরিচ্ছেদঃ ১২. উযুতে মুখমণ্ডলের শুভ্রতা এবং হাত-পায়ের দীপ্তি বাড়িয়ে নেয়া মুস্তাহাব
৪৭৩। হারুন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) ... নু’আয়ম ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি একবার আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখলেন। অতঃপর তিনি (আবূ হুরায়রা) তাঁর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত ধুইলেন। এমনকি ধুইতে উভয় কাঁধ পর্যন্ত পৌছে যাবার উপক্রম হল। তারপর উভয় পা ধুইলেন এবং গোছা ধুয়ে নিলেন। তারপর বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মাত কিয়ামতের দিন উযূর বদৌলতে মুখমণ্ডল শুভ্র এবং হাত-পা উজ্জ্বল অবস্থায় আসবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে তার মুখমণ্ডল ের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে চায় সে যেন তা করে।
باب اسْتِحْبَابِ إِطَالَةِ الْغُرَّةِ وَالتَّحْجِيلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ رَأَى أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ حَتَّى كَادَ يَبْلُغُ الْمَنْكِبَيْنِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ حَتَّى رَفَعَ إِلَى السَّاقَيْنِ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ " .
Nu'aim b. 'Abdallah reported:
He saw Abu Huraira perform ablution. He washed his face and washed his hands up to the arms. He then washed his feet and reached up to the shanks and then said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) say: My people would come with bright faces and bright hands and feet on account of the marks of ablution, so he who can increase the lustre of his forehead (and that of his hands and legs) should do so.
পরিচ্ছেদঃ ২১/ "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" পাঠ করা।
৯০৮। মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকাম (রহঃ) ... নুয়ায়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করি। তিনি প্রথমে পড়লেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন, যখন তিনি غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ এ পর্যন্ত পৌছলেন তখন ’আমীন, বললেন, তারপরে সকল লোক বলল,’আমীন’। যখনই তিনি সিজদা করতেন তখন বলতেন, ’আল্লাহু আকবার’ আর যখন তিনি বসা থেকে দাড়াতেন তখনও আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি সালাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত সালাত আদায় করে তোমাদের দেখালাম।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَرَأَ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ) الرَّحِيمِ ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقَالَ آمِينَ . فَقَالَ النَّاسُ آمِينَ . وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَيْنِ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا سَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
It was narrated that Nu'aim Al-Mujmir said:
"I prayed behind Abu Hurairah and he recited: In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful, then he recited Umm Al-Qur'an (Al Fatihah), and when he reached: not (the way) of those who earned Your anger, nor of those who went astray, he said: 'Amin and the people said 'Amin. And every time he prostrated he said: 'Allahu Akbar and when he stood up from sitting after two Rak'ahs he said: 'Allahu Akbar'. And after he had said the Salam he said: 'By the One in Whose Hand is my soul! My prayer most closely remembers the prayer of the Messenger of Allah.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪/৩. উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে।
১৩৬. নু‘আয়ম মুজমির (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাযি.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি উযূ করে বললেনঃ ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় আহবান করা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।’ (মুসলিম ২/১২, হাঃ ২৪৬, আহমাদ ৯২০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৮)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
ওযূর মাকরূহ বিষয়সমূহ
ওযূর যেমনি ফরয রয়েছে, তেমনি তাতে রয়েছে কিছু সুন্নাত। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ করাও কিন্তু মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ। ওযূর মধ্যে বেশ কিছু অপছন্দনীয় কাজ রয়েছে নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. অপবিত্রতা ছিটে ওযূকারীর দিকে আসতে পারে এমন অপবিত্র স্থানে ওযূ করা।
২. ওযূতে তিনবারের অধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন তিনবার ধৌত করেছেন। তিনি বলেছেন, "অতঃপর যে ব্যক্তি এর অধিক করে সে অবশ্যই যুলুম ও অন্যায় করে।”
৩. পানি ব্যবহারে অপচয় করা। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ পানি দিয়ে ওযূ করেছেন। আর মুদ হলো মাঝারি ধরনের পূর্ণ মানুষের এক মুঠো। তাছাড়া যেকোনো কিছুতে অপচয় করা নিষেধ।
৪. ওযূতে এক বা একাধিক সুন্নাত ছেড়ে দেয়া; কেননা সুন্নাত ছেড়ে দিলে সাওয়াব কমে যায়। তাই সুন্নতের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিৎ, ছেড়ে দেয়া অনুচিত।
ওযূর অঙ্গসমূহ বাড়িয়ে ধৌত করা
হাদীসের শেষের অংশটুকু আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর কথা। উপরোক্ত বর্ণনাগুলো থেকে বুঝা যায় যে, আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু ওযূর অঙ্গসমূহ একটু বাড়িয়ে ধৌত করতেন। এটি ছিল তার ইজতিহাদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করেছেন প্রমাণিত হয়নি। আর সেজন্য আলেমগণ এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ করেছেন। অধিকাংশ আলেম এভাবে চেহারা, দু' হাত ও দু পায়ের ওযূর জায়গা থেকে বাড়তি অংশ ধৌত করা মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ উপরোক্ত অঙ্গসমূহের ফরয অংশের অতিরিক্ত অংশ ইচ্ছাকৃত ধৌত করা মুস্তাহাব নয় বলেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবনুল কাইয়্যেম, ইবন সাদী রাহিমাহুমুল্লাহ এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
بَاب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ.
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ
Narrated Nu`am Al-Mujmir:
Once I went up the roof of the mosque, along with Abu Huraira. He perform ablution and said, "I heard the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) saying, "On the Day of Resurrection, my followers will be called "Al-Ghurr-ul- Muhajjalun" from the trace of ablution and whoever can increase the area of his radiance should do so (i.e. by performing ablution regularly).' "
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. নাবী (ﷺ) এর উপর সালাত (দরূদ) প্রেরণ
১৩৭৯. উমার ইবনুল খাত্তাব এর মুক্ত দাস নুয়াইম আল মুজমিরি হতে বর্ণিত, মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ আল আনসারী যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে স্বপ্নে আযান (এর বাক্যাবলী ও পদ্ধতি) দেখেছিলেন, তিনি তার নিকট বর্ণনা করেছেন, আবী মাসউদ আল আনসারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট এসে আমাদের সাথে সা’দ ইবনু উবাদাহ’র মাজলিসে বসে গেলেন। তখন বুশাইর ইবনু সা’দ তথা আবু নু’মান ইবনু বাশীর তাঁকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে আপনার উপর সালাত (দরূদ) পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমরা কিভাবে আপনার উপর সালাত পাঠ করবো? তিনি (রাবী) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ থাকলেন, এমনকি আমরা কামনা করতে লাগলাম যে, সে যদি এ প্রশ্নটি তাঁকে জিজ্ঞেসই না করতো! এরপর তিনি বললেন: “তোমরা বলো: ’আল্লাহুম্মা সল্লি ’আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা ’আলা ইবরাহীম; ’ওয়া বারিক ’আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা ’আলা ইবরাহীম ফীল ’আলামীন, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’ আর সালাম (কিভাবে দিবে তা) তো তোমরা জেনেছেই।”[1]
তাখরীজ: মালিক ৭০; তার সূত্রে মুসলিম ৪০৫; ; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৫৮, ১৯৫৯ তে।
بَاب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ الَّذِي كَانَ أُرِيَ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيَّ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ مَعَنَا فِي مَجْلِسِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ وَهُوَ أَبُو النُّعْمَانِ بْنُ بَشِيرٍ أَمَرَنَا اللَّهُ أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ فَصَمَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ ثُمَّ قَالَ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ وَالسَّلَامُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ
পরিচ্ছেদঃ ১২. ওযুতে মুখমণ্ডলের নূর এবং হাত-পায়ের দীপ্তি বাড়িয়ে নেয়া মুস্তাহাব।
৪৬৭-(৩৪/২৪৬) আবূ কুরায়ব, মুহাম্মাদ বিন ’আলা, কাসিম বিন যাকারিয়্যা ও আবদ বিন হুমায়দ (রহঃ) …. নুআয়ম ইবনু আবদুল্লাহ আল মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কে ওযু করতে দেখেছি। তিনি খুব ভালভাবে মুখমণ্ডল ধুলেন, এরপর ডান হাত ধুলেন এবং বাহুর কিছু অংশ ধুলেন। পরে বাম হাত ও বাহুর কিছু অংশসহ ধুলেন। এরপর মাথা মাসাহ করলেন। অতঃপর ডান পায়ের নালার কিছু অংশসহ ধুলেন, এরপর বাম পায়ের নালার কিছু অংশসহ একইভাবে ধুলেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এভাবে ওযু করতে দেখেছি। তিনি আরো বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ণাঙ্গরূপে ওযু করার কারণে কিয়ামতের দিন তোমাদের মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের ওযুর স্থান জ্যোতির্ময় হবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা সক্ষম তারা যেন নিজ নিজ মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের জ্যোতি বাড়িয়ে নেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৭০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪৮৬)
باب اسْتِحْبَابِ إِطَالَةِ الْغُرَّةِ وَالتَّحْجِيلِ فِي الْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَالْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ دِينَارٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ ثُمَّ يَدَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي الْعَضُدِ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى حَتَّى أَشْرَعَ فِي السَّاقِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ . وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنْتُمُ الْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ فَلْيُطِلْ غُرَّتَهُ وَتَحْجِيلَهُ " .
Chapter: The recommendation to increase the area washed for the forehead, arms, and legs well when performing wudu’
Nu'aim b. 'Abdullah al-Mujmir reported: I saw Abu Huraira perform ablution. He washed his face and washed it well. He then washed his right hand including a portion of his arm. He then washed his left hand including a portion of his arm. He then wiped his head. He then washed his right foot including his shank, and then washed his left foot including shank, and then said: This is how I saw Allah's Messenger (ﷺ) perform his ablution. And (Abu Huraira) added that the Messenger of Allah (ﷺ) had observed: You shall have your faces hands and feet bright on the Day of Resurrection because of your perfect ablution. He who can afford among you, let him increase the brightness of his forehead and that of hands and legs.
পরিচ্ছেদঃ ১২. ওযুতে মুখমণ্ডলের নূর এবং হাত-পায়ের দীপ্তি বাড়িয়ে নেয়া মুস্তাহাব।
৪৬৮-(৩৫/...) হারূন ইবনু সাঈদ আল আইলী (রহঃ) ..... নুআয়ম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কে ওযু করতে দেখলেন। ওযু করতে তিনি মুখমণ্ডল ও হাত দুটি এমনভাবে ধুলেন যে, প্রায় কাঁধ পর্যন্ত ধুয়ে ফেললেন। এরপর পা দুটি এমনভাবে ধুলেন যে, পায়ের নালার কিছু অংশ ধুয়ে ফেললেন। এভাবে ওযু করার পর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমার উম্মত ওযুর প্রভাবে কিয়ামতের দিন দীপ্তিময় মুখমণ্ডল ও হাত-পা নিয়ে উঠবে। কাজেই তোমরা যারা সক্ষম তারা অধিক বিস্তৃত দীপ্তিসহ উঠতে সে যেন চেষ্টা করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৭১, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪৮৭)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
ওযূর মাকরূহ বিষয়সমূহ
ওযূর যেমনি ফরয রয়েছে, তেমনি তাতে রয়েছে কিছু সুন্নাত। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ করাও কিন্তু মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ। ওযূর মধ্যে বেশ কিছু অপছন্দনীয় কাজ রয়েছে নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. অপবিত্রতা ছিটে ওযূকারীর দিকে আসতে পারে এমন অপবিত্র স্থানে ওযূ করা।
২. ওযূতে তিনবারের অধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন তিনবার ধৌত করেছেন। তিনি বলেছেন, "অতঃপর যে ব্যক্তি এর অধিক করে সে অবশ্যই যুলুম ও অন্যায় করে।”
৩. পানি ব্যবহারে অপচয় করা। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ পানি দিয়ে ওযূ করেছেন। আর মুদ হলো মাঝারি ধরনের পূর্ণ মানুষের এক মুঠো। তাছাড়া যেকোনো কিছুতে অপচয় করা নিষেধ।
৪. ওযূতে এক বা একাধিক সুন্নাত ছেড়ে দেয়া; কেননা সুন্নাত ছেড়ে দিলে সাওয়াব কমে যায়। তাই সুন্নতের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিৎ, ছেড়ে দেয়া অনুচিত।
ওযূর অঙ্গসমূহ বাড়িয়ে ধৌত করা
হাদীসের শেষের অংশটুকু আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর কথা। উপরোক্ত বর্ণনাগুলো থেকে বুঝা যায় যে, আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু ওযূর অঙ্গসমূহ একটু বাড়িয়ে ধৌত করতেন। এটি ছিল তার ইজতিহাদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করেছেন প্রমাণিত হয়নি। আর সেজন্য আলেমগণ এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ করেছেন। অধিকাংশ আলেম এভাবে চেহারা, দু' হাত ও দু পায়ের ওযূর জায়গা থেকে বাড়তি অংশ ধৌত করা মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ উপরোক্ত অঙ্গসমূহের ফরয অংশের অতিরিক্ত অংশ ইচ্ছাকৃত ধৌত করা মুস্তাহাব নয় বলেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবনুল কাইয়্যেম, ইবন সাদী রাহিমাহুমুল্লাহ এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
باب اسْتِحْبَابِ إِطَالَةِ الْغُرَّةِ وَالتَّحْجِيلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ رَأَى أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ حَتَّى كَادَ يَبْلُغُ الْمَنْكِبَيْنِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ حَتَّى رَفَعَ إِلَى السَّاقَيْنِ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ " .
Chapter: The recommendation to increase the area washed for the forehead, arms, and legs well when performing wudu’
Nu'aim b. 'Abdallah reported: He saw Abu Huraira perform ablution. He washed his face and washed his hands up to the arms. He then washed his feet and reached up to the shanks and then said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) say: My people would come with bright faces and bright hands and feet on account of the marks of ablution, so he who can increase the lustre of his forehead (and that of his hands and legs) should do so.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৬. দূত সম্পর্কে
২৭৬১। নু’আইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (ভন্ডনবী) মুসাইলামা চিঠি লিখেন। অতঃপর চিঠি পড়া হলে তার উভয় দূতকে লক্ষ্য করে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ এ লোক সম্পর্কে তোমরা কি বলো? তারা বললো, ’আমরা তা-ই বলি যা সে বলে (অর্থাৎ তার নাবুওয়াতের দাবী মানি)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর শপথ! দূত হত্যা করা নিষিদ্ধ না হলে আমি তোমাদের উভয়ের গর্দান উড়িয়ে দিতাম।[1]
بَابٌ فِي الرُّسُلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: كَانَ مُسَيْلِمَةُ كَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ شَيْخٍ مِنْ أَشْجَعَ يُقَالُ لَهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ الْأَشْجَعِيِّ، عَنْ أَبِيهِ نُعَيْمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُمَا حِينَ قَرَأَ كِتَابَ مُسَيْلِمَةَ: مَا تَقُولَانِ أَنْتُمَا؟ قَالَا: نَقُولُ كَمَا قَالَ. قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَضَرَبْتُ أَعْنَاقَكُمَا
صحيح
Narrated Nu'aym ibn Mas'ud:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he read the letter of Musaylimah: What do you believe yourselves? They said: We believe as he believes. He said: I swear by Allah that were it not that messengers are not killed, I would cut off your heads.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - সালাতে বিসমিল্লাহ জোরে বা প্রকাশ্যে পড়ার বিধান
২৮১. নু’আইম আল মুজমির হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি, তিনি “বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ পড়লেন তারপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন, তারপর ’ওয়ালায যা-ল্লীন’ পর্যন্ত পড়ে। ’আমিন’ বললেন এবং প্রত্যেক সিজদা যাবার সময় ও সিজদা থেকে ওঠার সময় ’আল্লাহ আকবার’ বলতেন। তারপর তিনি সালাম ফিরাবার পর বলতেন— ঐ সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের মধ্যে সালাতের দিক দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সর্বাধিক সাদৃশ্য রক্ষাকারী।[1]
وَعَنْ نُعَيْمٍ الْمُجَمِّرِ - رضي الله عنه - قَالَ: صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَرَأَ: (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ, حَتَّى إِذَا بَلَغَ: (وَلَا الضَّالِّينَ) , قَالَ: «آمِينَ» وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ, وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ: اللَّهُ أَكْبَرُ. ثُمَّ يَقُولُ إِذَا سَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم. رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ خُزَيْمَةَ
-
صحيح. رواه النسائي (2/ 134)، وابن خزيمة (499)
পরিচ্ছেদঃ ৬. ওযু সম্পৰ্কীয় বিবিধ হাদীস
রেওয়ায়ত ৩৩. নুআয়ম ইবন আবদুল্লাহ মুজমির (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি ওযু করিয়াছে এবং তাহার ওযুকে উত্তমরূপে সম্পাদন করিয়াছে, অতঃপর নামাযের উদ্দেশ্যে বাহির হইয়াছে, সে নামাযে থাকিবে (সওয়াবের দিক দিয়া নামাযে বলিয়া গণ্য হইবে) যতক্ষণ নামাযের নিয়ত রাখিবে এবং তাহার জন্য প্রতিটি প্রথম পদ উত্তোলনে একটি করিয়া নেকী লেখা হইবে, আর প্রতিটি দ্বিতীয় পদ উত্তোলনের পরিবর্তে তাহার পাপ মোচন করিয়া দেওয়া হইবে। তাই তোমাদের কেউ ইকামত শুনিতে পাইলে দৌড়াইবে না, কারণ তোমাদের মধ্যে সেই লোকই বেশি সওয়াবের অধিকারী যাহার ঘর মসজিদ হইতে অধিক দূরে। শ্রোতারা বলিলেনঃ এইরূপ কেন, হে আবু হুরায়রা? তিনি বলিলেনঃ কদমের আধিক্যের কারণে।
بَاب جَامِعِ الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيِّ الْمُجْمِرِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ فِي صَلاَةٍ مَادَامَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلاَةِ وَإِنَّهُ يُكْتَبُ لَهُ بِإِحْدَى خُطْوَتَيْهِ حَسَنَةٌ وَيُمْحَى عَنْهُ بِالأُخْرَى سَيِّئَةٌ فَإِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ الإِقَامَةَ فَلاَ يَسْعَ فَإِنَّ أَعْظَمَكُمْ أَجْرًا أَبْعَدُكُمْ دَارًا . قَالُوا لِمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ الْخُطَا .
Yahya related to me from Malik from Nuaym ibn Abdullah al-Madani al-Mujmir that he heard Abu Hurayra say, "If someone does wudu and does it correctly and then goes off intending to do the prayer, then he is in prayer as long as he intends to do the prayer. A good action is written for every alternate step he makes and a wrong action is erased for the second. When you hear the iqama do not lengthen your stride, and the one who has the greatest reward is the one whose house is farthest away." They said, "Why, Abu Hurayra?" He replied, "Because of the greater number of steps."
পরিচ্ছেদঃ ৩০. নামাযে উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১৪১(১৪). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... নুআইম আল-মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সাথে নামায পড়েছি। তিনি বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়লেন, অতঃপর সূরা আল-ফাতিহা পড়লেন। শেষে তিনি গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ-দোয়াল্লীন পর্যন্ত পৌঁছে বলেন, “আমীন’, লোকজনও ’আমীন’ বলল। তিনি যখনই সিজদা করেছেন তখনই আল্লাহু আকবার বলেছেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতে বৈঠক থেকে উঠতেও আল্লাহু আকবার বলেছেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি বলেন, সেই মহান সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন! আমার নামায তোমাদের তুলনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। এই হাদীস সহীহ এবং এর সমস্ত রাবী নির্ভরযোগ্য ।
بَابُ وُجُوبِ قِرَاءَةِ ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فِي الصَّلَاةِ ، وَالْجَهْرِ بِهَا ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ ، حَدَّثَنَا أَبِي ، وَشُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ ، قَالَا : أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ ، قَالَ : صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ ، فَقَرَأَ : ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) ، ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى بَلَغَ : ( غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ ، وَلَا الضَّالِّينَ ) ، قَالَ : آمِينَ ، وَقَالَ النَّاسُ : آمِينَ ، وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ : " اللَّهُ أَكْبَرُ " وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ مِنِ اثْنَتَيْنِ ، قَالَ : " اللَّهُ أَكْبَرُ " ثُمَّ يَقُولُ إِذَا سَلَّمَ : وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . وَهَذَا صَحِيحٌ ، وَرُوَاتُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ
পরিচ্ছেদঃ ২১: ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ পাঠ করা
৯০৫. মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুল হাকাম (রহ.) ..... নু’আয়ম আল মুজমির (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি প্রথমে পড়লেন “বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম”। তারপর সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ করলেন, যখন তিনি- “গয়রিল মাগযূবি আলায়হিম ওয়ালায় যো-ল্লীন” পর্যন্ত পৌছলেন, তখন ’আ-মীন’ বললেন, তারপর সকল লোক বলল, “আ-মীন’। যখনই তিনি সিজদা করতেন তখন বলতেন, ’আল্ল-হু আকবার’, আর যখন তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে বসা থেকে দাঁড়াতেন তখনো ’আল্ল-হু আকবার’ বলতেন। তিনি সালাম ফিরিয়ে বললেন, যার হাতে আমার জীবন তার কসম সালাত আদায় করায় তোমাদের মধ্যে আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
قراءة بسم الله الرحمن الرحيم
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ قال: صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سورة الفاتحة آية 1، ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلا الضَّالِّينَ سورة الفاتحة آية 7 فَقَالَ: آمِينَ فَقَالَ النَّاسُ: آمِينَ وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الِاثْنَتَيْنِ قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا سَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۱۴۶۴۶)، مسند احمد ۲/۴۹۷ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 906 - ضعيف الإسناد
21. Reciting: "In The Name Of Allah, The Most Gracious, The Most Merciful"
It was narrated that Nu'aim Al-Mujmir said: I prayed behind Abu Hurairah and he recited: In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful, then he recited Umm Al-Qur'an (Al Fatihah), and when he reached: not (the way) of those who earned Your anger, nor of those who went astray, he said: 'Amin and the people said 'Amin. And every time he prostrated he said: 'Allahu Akbar and when he stood up from sitting after two Rak'ahs he said: 'Allahu Akbar'. And after he had said the Salam he said: 'By the One in Whose Hand is my soul! My prayer most closely remembers the prayer of the Messenger of Allah.'