পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির ফরযসমূহ প্রতিপালন করা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত মর্মে বর্ণনা
১৪৪৩. প্রখ্যাত তাবি‘ঈ ইকরামা বিন খালিদ মাখযুমী রহিমাহুল্লাহ বলেন: এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে বললেন: ‘আপনি কি যুদ্ধ করবেন না?’ তখন আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: ‘ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা: এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই, সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, রমযানের সিয়াম পালন করা ও বায়তুল্লাহর হজ্জ করা।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ إِقَامَةَ الْمَرْءِ الْفَرَائِضَ مِنَ الإسلام
1443 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ بْنَ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيَّ يُحَدِّثُ: أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: أَلَا تَغْزُو؟ فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (بُني الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَإِقَامُ الصلاة وإيتاء الزكاة وصوم رمضان وحج البيت)
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1443 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ৭৪১)
পরিচ্ছেদঃ (১) সালাতের ফরয
১৪৪৪. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি বললেন, “আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর কত ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পাঁচ ওয়াক্ত সালাত।” সেই ব্যক্তি আবার বললেন, “এর আগে বা পরে আরো কিছু ফরয আছে কি?” জবাবে তিনি বলেন, “আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন।” সেই ব্যক্তি আবার বললেন, “এর আগে বা পরে আরো কিছু ফরয আছে কি?” জবাবে তিনি বলেন, “আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন।” রাবী বলেন, “অতঃপর সেই ব্যক্তি আল্লাহর নামে শপথ করে বললেন যে, সে এর চেয়ে বেশি করবে না, কমও করবে না। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি সে সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসটি আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছেন, তিনি এই ব্যাপারে দীর্ঘ ঘটনা শ্রবণ করেছেন মালিক বিন সা‘সা‘ থেকে এবং ঘটনাটির অংশ বিশেষ শ্রবণ করেছেন আবূ যার গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে। আর তিনটি সানাদই সহীহ।”
1 - بَابُ فَرْضِ الصَّلَاةِ
1444 – أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عِمْرَانَ الْجُرْجَانِيُّ بِحَلَبَ قَالَ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ قَيْسٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمِ افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ مِنَ الصَّلَاةِ؟ قَالَ: (خَمْسُ صَلَوَاتٍ) قَالَ: هَلْ قبلهُنَّ أَوْ بعدهُنَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: (افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ) فَقَالَ: هَلْ قَبْلَهُنَّ أَوْ بَعْدَهُنَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: (افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ) قَالَ: فَحَلَفَ الرَّجُلُ بِاللَّهِ لَا يَزِيدُ عَلَيْهِنَّ وَلَا يَنْقُصُ مِنْهُنَّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنْ صَدَقَ دَخَلَ الْجَنَّةَ) ـ
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1444 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: سَمِعَ هَذَا الْخَبَرَ أَنَسٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَمِعَ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَسَمِعَ بَعْضَ الْقِصَّةِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ فَالطُّرُقُ الثَّلَاثُ كُلُّهَا صِحَاحٌ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ২৭৯৪)
পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরাঈল আলাইহিস সালাম থেকে গ্রহণ করেছেন
১৪৪৫. ইবনু শিহাব যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন যে, তিনি উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহর মদীনা শাসন কালে তাঁর দরজায় বসে ছিলেন, এসময় তার সাথে উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ আসরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করেন, তখন উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “জেনে রাখুন, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নেমে আসেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে সালাত আদায় করেন।” তখন উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হে উরওয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), আপনি ভেবে দেখুন যে, আপনি কী বলছেন!” জবাবে তিনি বলেন, “আমি বাশীর বিন আবী মাস‘ঊদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আবূ মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “জিবরাঈল অবতরণ করেন অতঃপর তিনি সালাত আদায় করেন এবং আমিও তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি।” তিনি আঙ্গুল দিয়ে পাঁচবার গণনা করেন।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ أَخَذَهَا مُحَمَّدٌ عَنْ جِبْرِيلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمَا
1445 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ: أَنَّهُ كَانَ قَاعِدًا عَلَى بَابِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي إِمَارَتِهِ عَلَى الْمَدِينَةِ وَمَعَهُ عُرْوَةُ فأَخَّر عُمَرُ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى أَمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عُمَرُ: اعْلَمْ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ فَقَالَ: سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (نَزَلَ جِبْرِيلُ فَصَلَّى فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ فَحَسَبَ بِأَصَابِعِهِ خمس صلوات)
الراوي : عُرْوَةُ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1445 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪১৮)
পরিচ্ছেদঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরাঈল আলাইহিস সালাম থেকে গ্রহণ করেছেন
১৪৪৬. ইবনু শিহাব যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “একবার উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ মিম্বারে বসে ছিলেন, অতঃপর তিনি আসরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করেন, তখন উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “জেনে রাখুন, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাতের সময় সম্পর্কে অবহিত করেন।” তখন উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হে উরওয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), আপনি ভেবে দেখুন যে, আপনি কী বলছেন!” জবাবে তিনি বলেন, “আমি বাশীর বিন আবী মাস‘ঊদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আবূ মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “জিবরাঈল অবতরণ করেন অতঃপর আমাকে সালাত আদায় করার সময় সম্পর্কে অবহিত করেন। অতঃপর আমি তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি।” তিনি আঙ্গুল দিয়ে পাঁচবার গণনা করেন। এছাড়াও আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার সময় যোহরের সালাত আদায় করতে দেখেছি। আবার প্রচন্ড হলে কোন কোন সময় যোহরের সালাত পিছিয়ে পড়েছেন। আমি তাঁকে আসরের সালাত আদায় করতে দেখেছি যখন সূর্য উঁচুতে ও সাদা থাকতো; যাতে তখনও লালিমা প্রবেশ করতো না। অতঃপর কোন ব্যক্তি সালাত শেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই যুলহুলাইফায় যেতো। তিনি সূর্যাস্তের সময় মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। তিনি ইশার সালাত আদায় করতেন যখন পশ্চিম দিগন্ত কালো হয়ে যেতো। আবার কোন কোন সময় লোকজন সমবেত হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করতেন। আর ফজরের সালাত কোন কোন সময় অন্ধকারে আদায় করতেন আবার কখনও ফর্সা হলে আদায় করতেন। তারপর তিনি আমৃত্যু নিয়মিত অন্ধকারে সালাত আদায় করতেন; কখনই আর ফর্সা হলে আদায় করেননি।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ أَخَذَهَا مُحَمَّدٌ عَنْ جِبْرِيلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمَا
1446 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ: حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ فأخَّر الصلاة شيئاً فقال عروة ابن الزُّبَيْرِ: أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: اعْلَمْ مَا تَقُولُ فَقَالَ عُرْوَةُ: سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلَاةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ) فَحَسَبَ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ. وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أخَّرها حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلَاةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الْأُفُقُ وَرُبَّمَا أخَّرَهُ حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ وَصَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فأسْفَرَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ صَلَاتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْغَلَسِ حَتَّى مَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ.
الراوي : عُرْوَةُ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1446 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহর সানাদ শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪১৮)
পরিচ্ছেদঃ একজন ব্যক্তির উপর দিনে-রাতে কয় ওয়াক্ত সালাত করা ফরয, সেই সম্পর্কে বর্ণনা
১৪৪৭. উরওয়া বিন যুবাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একদিন মুগীরা বিন শু‘বাহ কুফায় অবস্থানকালে সালাত বিলম্বে আদায় করেন, তখন আবূ মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর কাছে প্রবেশ করেন এবং বলেন, “হে মুগীরা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), এটা কী? আপনি কি জানেন না যে জিবরীল আলাইহিস সালাম একবার অবতরণ করেন অতঃপর সালাত আদায় করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি আবার সালাত আদায় করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি আবার সালাত আদায় করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি আবার সালাত আদায় করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি আবার সালাত আদায় করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি বলেন, “এভাবেই আপনাকে আদেশ করা হয়েছে।”
এই হাদীস শুনার পর মুগীরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “হে উরওয়া, আপনি ভেবে দেখুন যে আপনি কী বর্ণনা করছেন! সালাতের সময় জিবরাইল আলাইহিস সালাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অবস্থান করছিলেন?” জবাবে তিনি বলেন, “এভাবেই বাশীর বিন আবূ মাসঊদ তাঁর পিতার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।”
উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন, “আমাকে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হাদীস বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আসরের সালাত আদায় করতেন, তখন সূর্য তাঁর ঘরে থাকতো, ছায়া তখনও প্রশস্ত হতো না।”[1]
ذِكْرُ عَدَدَ الصَّلَوَاتِ الْمَفْرُوضَاتِ عَلَى الْمَرْءِ فِي يومه وليلته
1447 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أخَّر الصَّلَاةَ يَوْمًا فِي إِمْرَتِهِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أخَّر الصَّلَاةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ: يَا مُغِيرَةُ مَا هَذَا؟ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ نَزَلَ فصلَّى فصلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صلَّى فصلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صلَّى فصلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صلَّى فصلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثم صلَّى فصلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: (بِهَذَا أُمرت) قَالَ: اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ يَا عُرْوَةُ أَوَ إنَّ جِبْرِيلَ أَقَامَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتَ الصَّلَاةِ؟ قَالَ: كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ.
قَالَ عُرْوَةُ: وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ في حُجرتها قبل أن تظهر.
الراوي : عُرْوَةُ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1447 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪১৮)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ সালাতের ওয়াক্ত সংখ্যা কুরআনে অনির্দিষ্ট রেখেছেন, অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কথা ও কাজের মাধ্যমে ওয়াক্ত সংখ্যা বর্ণনা করেছেন
১৪৪৮. উমাইয়্যাহ বিন আব্দুল্লাহ বিন খালিদ রহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, “আমরা কুরআনে সালাতুল খওফ বা ভীতিকালিন সময়ের সালাত ও মুকীম অবস্থাকালিন সময়ের সালাত সম্পর্কে বর্ণনা দেখতে পাই কিন্তু কুরআনে সফরকালিন সময়ের সালাত সম্পর্কে বর্ণনা দেখতে পাই না!” জবাবে আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “ভাতিজা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন এমন অবস্থায় যে, আমরা কোন কিছুই জানতাম না। কাজেই আমরা সেভাবে করবো, যেভাবে আমরা তাঁকে করতে দেখবো।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “মহান আল্লাহ স্বীয় কুরআনে ভীতিকালিন সময়ে সালাত কসর করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যখন তোমরা জমিনে ভ্রমণ করবে, তখন তোমাদের জন্য কোন দোষ নেই সালাত করা, যদি তোমরা ভয় কর যে, কাফেরা তোমাদেরকে ফিতনায় ফেলে দিবে।” (সুরা নিসা: ১০১)
মহান আল্লাহ সফরে কসর করার জন্য যে শর্ত বর্ণনা করেছেন, সেই শর্ত ছাড়াই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফরে কসর করা বৈধ করেছেন। কাজেই উভয়টি বৈধ; একটি আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বীয় কিতাবে বর্ণিত হয়েছে অপরটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর জবানিতে বর্ণিত হয়েছে।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا أَجْمَلَ عَدَدَ الرَّكَعَاتِ لِلصَّلَوَاتِ فِي الْكِتَابِ وَوَلِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيَانَ ذَلِكَ بقول وفعل
1448 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدٍ أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: إِنَّا نَجْدُ صَلَاةَ الْحَضَرِ وَصَلَاةَ الْخَوْفِ فِي الْقُرْآنِ وَلَا نَجْدُ صَلَاةَ السَّفَرِ فِي الْقُرْآنِ؟ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ: يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ إِلَيْنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَعْلَمُ شَيْئًا فَإِنَّمَا نَفْعَلُ كَمَا رَأَيْنَاهُ يفعل.
الراوي : أُمَيَّة بْن عَبْدِ اللَّهِ بْن خَالِدٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1448 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَبَاحَ الله جل وعلا قَصْرَ الصلاة عند الخوف في كتابه؛ حيث يقول {وإذا ضربتم في الأرض فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا} [النساء: 101] وَأَبَاحَ الْمُصْطَفَى - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَصْرَ الصلاة في السفر عند وجود الأمن لغير الشَّرْطِ الَّذِي أَبَاحَ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا قَصْرَ الصَّلَاةِ بِهِ فَالْفِعْلَانِ جَمِيعًا مُبَاحَانِ مِنَ اللَّهِ أَحَدُهُمَا إِبَاحَةٌ فِي كِتَابِهِ وَالْآخَرُ إِبَاحَةٌ عَلَى لِسَانِ رَسُولِهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীক আলা ইবনু মাজাহ: ১/৩৩০)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, এক রাকাআত সালাত পড়া জায়েয নেই, তার কথা অপনোদনে হাদীস
১৪৪৯. সা‘লাবা বিন যাহদাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা সা‘ঈদ বিন আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে তাবারাস্তানে ছিলাম, তখন তিনি বলেন, “তোমাদের মাঝে কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সালাতুল খওফ বা ভীতিকালিন সালাত আদায় করেছেন?” তখন হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি পড়েছি।” রাবী বলেন, “তারপর হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়ান এবং তাঁর পিছনে লোকদেরকে কাতারবন্দি করেন আরেক দলকে শত্রুর মুখোমুখি দাঁড় করান। তারপর যারা তাঁর পিছনে ছিলেন, তাদের নিয়ে তিনি এক রাকাআত সালাত আদায় করেন। তারপর তারা ঐ দলের কাছে যান, যারা শত্রুর মুখোমুখি ছিলেন অতঃপর তারা এসে এক রাকাআত সালাত আদায় করেন। তারপর তারা আর বাকী সালাত আদায় করেননি।”[1]
ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن الصَّلَاةَ رَكْعَةٌ وَاحِدَةٌ غَيْرُ جَائِزٍ
1449 - أَخْبَرَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِطَبَرِسْتَانَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ؟ فَقَالَ حُذَيْفَةُ: أَنَا قَالَ: فَقَامَ حُذَيْفَةُ فصفَّ النَّاسَ خلفه صفين: صفاً خلفه وصفاً موازياً الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ خَلْفَهُ رَكْعَةً ثُمَّ انْصَرَفَ هَؤُلَاءِ مَكَانَ هَؤُلَاءِ وَجَاءَ أُولَئِكَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ولم يَقْضُوا.
الراوي : ثَعْلَبَة بْن زَهْدَمٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1449 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাউদ: ১১৩৩)
পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “যার সালাত ছুটে যাবে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আসরের সালাত
১৪৫০. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যার আসরের সালাত ছুঁটে যায়, তার যেন পরিবার-পরিজন ও সহায়-সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেলো!”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ أَرَادَ بِهِ صَلَاةَ العصر
1450 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قال: (الَّذِي تَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلُهُ وماله)
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1450 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাউদ: ৪৪২)
পরিচ্ছেদঃ (২) সালাত পরিত্যাগ করার ব্যাপারে হুশিয়ারী
১৪৫১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বান্দা ও কুফরের মাঝে কেবল পার্থক্য হলো সালাত তরক করা।”[1]
2 - بَابُ الْوَعِيدِ عَلَى تَرْكِ الصَّلَاةِ
1451 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَيْسَ بَيْنَ العبد وبين الكفر إلا ترك الصلاة)
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1451 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/১৯৪)
পরিচ্ছেদঃ হাদীস বিষয়ে অনভিজ্ঞ ব্যক্তি হাদীসের যে শব্দে এই সংশয়ে নিপতিত হন যে, কোন ব্যক্তি সালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত সালাত না আদায় করলে, সে কাফির বিবেচিত হবে
১৪৫২. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমাদের ও তাদের মাঝে অঙ্গীকার হলো সালাত। কাজেই যে ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দিবে, সে কাফের হয়ে যাবে।”[1]
ذِكْرُ لَفْظَةِ أَوْهَمَتْ غَيْرَ الْمُتَبَحِّرِ فِي صِنَاعَةِ الْحَدِيثِ أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ حَتَّى خَرَجَ وَقْتُهَا كَافِرٌ بِاللَّهِ جَلَّ وَعَلَا
1452 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي عَوْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ الْعَهْدَ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلَاةُ فمن تركها فقد كفر)
الراوي : بُرَيْدَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1452 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে উত্তম বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মিশকাত: ৫৭৪)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফির হয়ে যাবে না
১৪৫৩. নাফি‘ রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানানো হয়, অতঃপর তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্ব করেন। তখন তাকে বলা হলো, “সালাত আদায় করুন।” কিন্তু তিনি চুপ থাকলেন এবং সেটাকে পশ্চিমাকাশের লাল আভা বিদূরিত হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করলেন, এভাবে রাতের এক অংশ চলে যায়। তারপর তিনি যাত্রা বিরতি দেন এবং মাগরিব ও ইশার সালাত আদায় করেন। তারপর বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটিই করতেন, যখন তিনি সফরে তাড়াহুড়া করতেন অথবা ব্যস্ততায় পড়তেন।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ حَتَّى خَرَجَ وَقْتُهَا مُتَعَمِّدًا لَا يَكْفُرُ بِهِ كُفْرًا يُخْرِجُهُ عَنَ الْمِلَّةِ
1453 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ أَيُّوبَ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ: أُخْبِرَ ابْنُ عُمَرَ بِوَجَعِ امْرَأَتِهِ فِي السَّفَرِ فأخَّر الْمَغْرِبَ فَقِيلَ: الصَّلَاةَ فَسَكَتَ وأخَّرها بَعْدَ ذَهَابِ الشَّفَقِ حَتَّى ذَهَبَ هَوِيٌّ مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ إِذَا جَدَّ بِهِ السير أو حَزَبَهُ أمر.
الراوي : ابْنُ عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1453 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৩৭, ১০৩৮)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফির হয়ে যাবে না যে, তার সাথে তার স্ত্রীর বায়েন তালেক হয়ে যাবে
১৪৫৪. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সফরে দুই সালাতকে একসাথে আদায় করার ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি যোহরের সালাত আসরের সালাতের প্রথম ওয়াক্ত পর্যন্ত পিছিয়ে দিতেন, তারপর দুই সালাত একসাথে আদায় করতেন।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ مُتَعَمِّدًا حَتَّى خَرَجَ وَقْتُهَا لَا يَكْفُرُ بِاسْتِعْمَالِهِ ذَلِكَ كُفْرًا تَبِينُ امْرَأَتُهُ بِهِ عَنْهُ
1454 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَحْرٍ الْقَرَاطِيسِيُّ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَقِيلِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ: عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي السَّفَرِ أخَّر الظُّهْرَ حَتَّى يَدْخُلَ أَوَّلُ وَقْتِ العصر ثم يجمع بينهما.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1454 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১১০৫)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরবর্তী সালাতের সময় প্রবেশ করা পর্যন্ত কোন সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফির হয়ে যাবে না যে, তা আদায় করার আগে মারা গেলে তাকে মুসলিমদের গোরস্থানে দাফন করা যাবে না
১৪৫৫. জা‘ফর বিন মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহ তার বাবা মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, “আমরা জাবির বিন আব্দুল্লাহর কাছে গেলাম। তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার পশমের একটি তাবূ স্থাপন করার আদেশ করলেন, ফলে নামিরাতে তাঁর জন্য একটি তাবূ স্থাপন করা হলো। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলতে লাগলেন। এসময় তিনি মাশআরুল হারামে থামলেন, এই ব্যাপারে কুরাইশদের মাঝে কোন সন্দেহ ছিল না। কেননা কুরাইশরা জাহেলী যুগ থেকেই এমনটাই করে আসছে। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলতে থাকলেন, এভাবে তিনি আরাফায় পৌঁছলেন। অতঃপর তিনি দেখলেন যে, তাঁর জন্য নামিরাতে তাবূ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে তিনি সেখানে যাত্রাবিরতি দিলেন। অতঃপর যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে, তখন তিনি স্বীয় কাসওয়া উষ্ট্রী প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন ফলে তা তাঁর জন্য প্রস্তুত করা হলো, তারপর তিনি বাতনে ওয়াদীতে আসেন এবং লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ তোমাদের উপর হারাম তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে আজকের এই দিনের মতই হারাম।
জেনে রাখো, জাহেলী যুগের প্রতিটি জিনিস আমার পদতলে রাখলাম, জাহেলী যুগের রক্তের দাবী আমার পদতলে রাখলাম। আমি প্রথমেই আমাদের রক্তের দাবী তথা রবী‘আহ বিন হারিসের ছেলের রক্তের দাবী আমার পদতলে রাখলাম। সে বানী লাইস গোত্রে দুগ্ধপানকারী ছিল অতঃপর হুযাইল গোত্রের লোকজন তাকে হত্যা করেছিল।
তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে, কেননা তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানতের বদৌলতে গ্রহণ করেছো এবং আল্লাহর কালেমার মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান হালাল করে নিয়েছো।তাদের উপর তোমাদের হক হলো তারা তোমাদের বিছানায় কাউকে স্থান দেবে না, যাকে তোমরা অপছন্দ করো। যদি তারা এমনটি করে, তবে তোমরা তাদেরকে হালকা প্রহার করবে; বেধড়ক মারধর করবে না। আর তোমাদের উপর তাদের হক হলো ন্যায় সঙ্গতভাবে তার ভরণপোষন দেওয়া।
আমি তোমাদের মাঝে এমন একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যা মজবূতভাবে আকড়ে ধরলে তোমরা কখনও পথভ্রষ্ট হবে না; সেটি হলো আল্লাহর কিতাব। আমার ব্যাপারে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা তখন কী বলবে?” লোকজন বললো, “আমরা বলবো, “আমরা সাক্ষ্য দিবো যে, নিশ্চয়ই আপনি বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন, কল্যাণ কামনা করেছেন।” তখন তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি উঁচু করে মানুষের দিকে নাড়িয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন।” এই কথা তিনি তিনবার বললেন। তারপর ইকামত দিয়ে যোহরের সালাত আদায় করলেন তারপর আবার ইকামত দিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন আর উভয়ের মাঝে আর কোন সালাত আদায় করেননি।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যখন এটি জায়েয হলো যে, আসরের সালাত এগিয়ে নিয়ে আদায় করাতে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়নি, তাহলে এটি আরো বেশি অগ্রগণ্য যে, কোন সালাতকে ওয়াক্তের পরে আদায় করলেও সে কাফের হয়ে যাবে না।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَالِثٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ مُتَعَمِّدًا إِلَى أَنْ دَخَلَ وَقْتُ صَلَاةٍ أُخْرَى لَا يَكْفُرُ بِهِ كُفْرًا يُوجِبُ دَفْنَهُ فِي مَقَابِرِ غَيْرِ الْمُسْلِمِينَ لَوْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَهَا
1455 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ:
دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بقُبة مِنْ شَعْرٍ فضُربت لَهُ بِنَمِرَةَ فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلَّا أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُربت لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي فَخَطَبَ النَّاسُ ثُمَّ قَالَ: (إِنَّ دمائكم وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَيَّ مَوْضُوعٌ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَأَنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ - كَانَ مُسترضعاً فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذيل –
فَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللَّهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللَّهِ وَأَنْتُمْ تُسألون عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ ) قَالُوا: نَشْهَدُ أَنْ قَدْ بَلَّغْتَ فأدَّيت وَنَصَحْتَ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ ويَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ: (اللَّهُمَّ اشْهَدْ) ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أذَّن ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.
الراوي : جَعْفَر بْن مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1455 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَمَّا جَازَ تَقْدِيمُ صَلَاةِ الْعَصْرِ عَنْ وَقْتِهَا وَلَمْ يَسْتَحِقَّ فَاعِلُهُ أَنْ يَكُونَ كَافِرًا كَانَ مِنْ أخَّر الصَّلَاةَ عَنْ وَقْتِهَا ثُمَّ أدَّاها بَعْدَ وَقْتِهَا أَوْلَى أَنْ لَا يَكُونَ كَافِرًا.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (হাজ্জাতুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি এমন কাফির হয়ে যাবে না যে, তার মুসলিম উত্তরাধিকারীগণ তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হবেন না, যদি সে সেই সালাত আদায় না করার আগে মারা যায়- এই ব্যাপারে চতুর্থ হাদীস
১৪৫৬. মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাবূক যুদ্ধে বের হন, অতঃপর যখন তিনি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার আগে যাত্রা শুরু করতেন, তখন যোহরের সালাতকে পিছিয়ে দিতেন, এমনকি তা আসরের সাথে একসাথে আদায় করতেন। আর যখন তিনি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পরে যাত্রা শুরু করতেন, (আসরের সালাতকে এগিয়ে নিয়ে), যোহর ও আসর একসাথে আদায় করতেন তারপর রওনা করতেন। যখন তিনি সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে যাত্রা শুরু করতেন, তখন তিনি মাগরিবের সালাতকে পিছিয়ে দিতেন, এমনকি তা ইশার সাথে একসাথে আদায় করতেন। যখন তিনি সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে যাত্রা শুরু করতেন, তখন তিনি ইশার সালাতকে এগিয়ে নিতেন, এবং তা মাগরিবের সাথে একসাথে আদায় করতেন।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ رَابِعٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ مُتَعَمِّدًا لَا يَكْفُرُ كُفْرًا لَا يَرِثُهُ وَرَثَتُهُ الْمُسْلِمُونَ لَوْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَهَا
1456 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَكَانَ إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ زَيْغِ الشَّمْسِ أخَّر الظُّهْرَ حتى يجمعها إلى العصر فيصليهما جميعا وإذا ارْتَحَلَ بَعْدَ زَيْغِ الشَّمْسِ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ سَارَ وَكَانَ إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ الْمَغْرِبِ أخَّر الْمَغْرِبَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الْعِشَاءِ وَإِذَا ارْتَحَلَ بَعْدَ الْمَغْرِبِ عجَّل الْعِشَاءَ وَصَلَّاهَا مع المغرب.
الراوي : مُعَاذ بْن جَبَلٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1456 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৮৯)
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায় করা ফরয হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি আদায় না করলে, এমনকি সেই সালাতের সময় চলে যায়, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি এমন কাফির হয়ে যাবে না যে, তার সম্পদ মুসলিমের নিকট ফাই (কাফিরদের থেকে যুদ্ধবিহীন প্রাপ্ত) সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে- এই ব্যাপারে পঞ্চম হাদীস
১৪৫৭. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বিশ্রামের জন্য শেষরাত্রে যাত্রা বিরতি দেই। অতঃপর আমরা কেউ জাগ্রত হতে পারি নাই যতক্ষণ না সূর্যের তাপ আমাদের শরীরে লাগে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রত্যেকেই যেন তার বাহন নেয় অতঃপর এই জায়গা ত্যাগ করে।” তারপর তিনি পানি আনতে বলেন এবং ওযূ করেন ও দুই রাকাআত (ফজরের সুন্নত) সালাত আদায় করেন। তারপর সালাতের ইকামত দেওয়া হয়।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সালাতের জন্য নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে আদায় করা এমনকি তিনি ঐ উপত্যকা থেকে বের হয়ে চলে যান- এই হাদীসে বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে এই মর্মে যে, কোন ব্যক্তি যদি সালাত তরক করে এমনকি সালাতের সময় চলে যায়, তবে এর মাধ্যমে কাফের হয়ে যাবে না। কেননা যদি তাই হতো তবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতেন; তাদের সেই ঘুমানোর জায়গা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতেন না। অথচ ফরয পালন করা তাঁদের জন্য অবধারিত ছিল এবং তা আদায়ের সময়ও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল।”
ذِكْرُ خَبَرٍ خَامِسٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ بَعْدَ أَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ أَدَاؤُهَا وَإِنْ ذَهَبَ وَقْتُهَا لَا يَكُونُ كَافِرًا كُفْرًا يَكُونُ مَالُهُ بِهِ فَيْئًا لِلْمُسْلِمِينَ
1457 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: عرَّسنا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى آذَتْنَا الشَّمْسُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ رَاحِلَتَهُ ثُمَّ يَتَنَحَّى عَنْ هَذَا الْمَنْزِلِ) ثُمَّ دَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ أُقِيمَتِ الصلاة.
الراوي : أبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1457 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قال أبوحاتم: فِي تَأْخِيرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي أَثْبَتَهُ إِلَى أَنْ خَرَجَ مِنَ الْوَادِي دَلِيلٌ صَحِيحٌ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ إِلَى أَنْ يَخْرُجَ وَقْتُهَا لَا يَكُونُ كَافِرًا إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَدَاءِ الصَّلَاةِ فِي وَقْتِ انْتِبَاهِهِمْ مِنْ مَنَامِهِمْ وَلَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالتَّنَحِّي عَنِ الْمَنْزِلِ الَّذِي نَامُوا فِيهِ وَالْفَرْضُ لَازِمٌ لَهُمْ قَدْ جَازَ وَقْتُهُ
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১৪৫৭)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ওজর ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত আদায় না করলে, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তির ব্যাপারে এমন কুফর ব্যবহার করাকে আবশ্যক করে না, যা তাকে ইসলাম থেকে বের করে দিবে- এই ব্যাপারে ষষ্ঠ হাদীস
১৪৫৮. আবূ কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই ঘুমের কারণে সালাত বিলম্ব করা হলে, সেটি অবহেলা হিসেবে বিবেচিত হয় না। বস্তুত অবহেলা হলো সেই ব্যক্তির উপর প্রযোজ্য হয়, যে ব্যক্তি সালাত আদায় করে না, এভাবে আরেক সালাতের ওয়াক্ত চলে আসে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যেই সালাত আদায় করে না, এমনকি আরেক সালাতের ওয়াক্ত চলে আসে, এমন ব্যক্তির ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘অবহেলাকারী’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। এখানে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে এই মর্মে যে, এমন কাজ সম্পাদনকারী কাফির বিবেচিত হবে না। যদি তা-ই হতো তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ব্যাপারে ‘কুফর’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘অবহেলাকারী’ এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করতেন না।”
ذِكْرُ خَبَرٍ سَادِسٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ مُتَعَمِّدًا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ لَا يُوجِبُ عَلَيْهِ ذَلِكَ إِطْلَاقُ الْكُفْرِ الَّذِي يُخْرِجُهُ عَنْ مِلَّةِ الْإِسْلَامِ بِهِ
1458 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ عَلَى مَنْ لَمْ يُصَلِّ الصَّلَاةَ حَتَّى يَجِيءَ وَقْتُ صَلَاةٍ أُخْرَى)
الراوي : أبو قَتَادَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1458 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: فِي إِطْلَاقِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (التَّفْرِيطَ) عَلَى مَنْ لَمْ يُصَلِّ الصَّلَاةَ حَتَّى دَخَلَ وَقْتُ صَلَاةٍ أُخْرَى بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّهُ لَمْ يَكْفُرْ بِفِعْلِهِ ذَلِكَ إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَمْ يُطْلِقْ عَلَيْهِ اسْمُ التَّأْخِيرِ وَالتَّقْصِيرِ دُونَ إِطْلَاقِ الْكُفْرِ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪৬৫)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি ঘুম ও ভুলে যাওয়া ছাড়াই যদি (ইচ্ছাকৃতভাবে) সালাত আদায় না করে, এমনকি সালাতের সময় শেষ হয়ে যায়, তবে এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় না মর্মে সপ্তম হাদীস
১৪৫৯. ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সফরে চলছিলাম, যখন শেষ রাত্রি হলো তখন আমরা বিশ্রামের জন্য যাত্রা বিরতি দিলাম অতঃপর ঘুম আমাদেরকে পরাভূত করে ফেলে ফলে আমরা রোদের তাপেই ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম। লোকজন ভীত বিহবল হয়ে ওযূ করার দিকে গমন করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে ওযূ করার নির্দেশ দিলে, লোকজন ওযূ করে নেন। তারপর তিনি বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আযান দেওয়ার আদেশ করেন ফলে তিনি আযান দেন। তারপর তাঁরা ফজরের দুই রাকাআত সুন্নাত আদায় করেন। তারপর তিনি বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ইকামত দেওয়ার আদেশ করেন ফলে তিনি ইকামত দেন। অতঃপর তিনি ফজরের ফরয সালাত আদায় করেন। তখন লোকজন বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা তো ত্রুটি করেছি। কাজেই আমরা কি আগামীকাল যথাসময়ে এই সালাত পুণরায় আদায় করবো না?” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের প্রতিপালক সুদকে (বর্ধিত গ্রহণ করাকে) নিষেধ করেছেন, অথচ তিনি তোমাদের থেকে তা (বর্ধিত ইবাদত) গ্রহণ করবেন? জেনে রেখো, নিশ্চয়ই অবহেলা হয় জাগ্রত অবস্থায়।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ سَابِعٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ مِنْ غَيْرِ نِسْيَانٍ وَلَا نَوْمٍ حَتَّى يَخْرُجَ وَقْتُهَا لَا يَكْفُرُ بِذَلِكَ كُفْرًا يَكُونُ ضِدُّ الإسلام
1459 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنِ الْحَسَنِ: عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: سِرْنا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ عرَّسنا فَغَلَبَتْنَا أَعْيُنُنَا وَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشمس فكان الرجل يقوم إلى وضوءه دَهِشًا فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فتوضؤوا ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ صَلُّوا رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْفَجْرَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَرَّطْنَا أَفَلَا نُعِيدُهَا لِوَقْتِهَا مِنَ الْغَدِ؟ فَقَالَ: (يَنْهَاكُمْ رَبُّكُمْ عَنِ الرِّبَا ويقبله منكم؟ إنما التفريط في اليقظة)
الراوي : عِمْرَان بْن حُصَيْنٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1459 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪৭০)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ভুলে যাওয়া, ঘুম বা অন্য কোন ওজর ছাড়াই সালাত পরিত্যাগ করে, এমনকি সালাতের শেষ হয়ে যায়, এতে সেই ব্যক্তি এমন কাফের হয়ে যাবে না যে, তার উপর কাফেরদের হুকুম বর্তাবে- এই ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে সংশয় নিরসনকারী অষ্টম হাদীস
১৪৬০. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আহযাব যু্দ্ধের দিন যখন কাফিরদের সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের মাঝে ঘোষনা দেন, “জেনে রাখুন, কেউ যেন বানী কুরাইযা মহল্লা ছাড়া যোহরের সালাত আদায় না করেন।” অতঃপর কিছু লোক যোহরের সালাত আদায়ে বিলম্ব করেন। অতঃপর তাঁরা সালাতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকা করেন ফলে তাঁরা সালাত আদায় করে নেন। বাকী লোকজন বললেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে যেখানে সালাত আদায় করতে বলেছেন, আমরা সেখানে গিয়েই সালাত আদায় করবো, যদিও এতে সালাতের সময় শেষ হয়ে যায়।” অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দলের কাউকেই তিরস্কার করেননি।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যদি পরের সালাতের ওয়াক্ত আসা পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করাতে তার উপর কুফরি নাম অবধারিত হতো, তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের এমন কাজের নির্দেশ দিতেন না, যা সম্পাদনকারী কাফের হয়ে যাবে এবং তিনি অবশ্যই কাজ সম্পাদন কারীকে তিরস্কার করতেন। কাজেই যখন তিনি তিরস্কার করেননি, সুতরাং এমন কাজ সম্পাদনকারী মুরতাদ হওয়ার মতো কুফর সম্পাদনকারী হবেন না।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَامِنٍ يَنْفِي الرَّيْبَ عَنِ الْخُلْدِ بِأَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ مُتَعَمِّدًا مِنْ غَيْرِ نِسْيَانٍ وَلَا نَوْمٍ وَلَا وُجُودِ عُذْرٍ حَتَّى يَخْرُجَ وَقْتُهَا لَا يَكُونُ كَافِرًا كُفْرًا يُؤَدِّي حُكْمَهُ إِلَى حُكْمِ غَيْرِ الْمُسْلِمِينَ
1460 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ النَّهْدِيُّ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَادَى فِيهِمْ يَوْمَ انْصَرَفَ عَنْهُمُ الْأَحْزَابُ: (أَلَا لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الظُّهْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ) فَأَبْطَأَ نَاسٌ فتخوَّفوا فَوْتَ وَقْتِ الصَّلَاةِ فصَلُّوا وَقَالَ آخَرُونَ: لَا نُصَلِّي إِلَّا حَيْثُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ فَاتَ الْوَقْتُ فَمَا عنَّف رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ واحداً من الفريقين.
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1460 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَوْ كَانَ تَأْخِيرُ الْمَرْءِ لِلصَّلَاةِ عَنْ وَقْتِهَا إِلَى أَنْ يَدْخُلَ وَقْتُ الصَّلَاةِ الْأُخْرَى يَلْزَمُهُ بِذَلِكَ اسْمُ الْكُفْرِ لَمَّا أَمَرَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّتَهُ بِالشَّيْءِ الَّذِي يَكْفُرُونَ بِفِعْلِهِ ولعنَّف فَاعِلَ ذَلِكَ فَلَمَّا لَمْ يُعنِّف فَاعِلَهُ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكْفُرْ كُفْرًا يُشْبِهُ الِارْتِدَادِ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বুখারীর শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ফিকহুস সীরাহ: ৩১১)
পরিচ্ছেদঃ যে হাদীস অপরিপক্ক ইলমের অধিকারী ব্যক্তিকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো আমাদের পূর্বে বর্ণিত হাদীসসমূহের বিপরীত
১৪৬১. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মেঘাচ্ছন্ন দিনে তোমরা সালাত সকাল সকাল আদায় করবে, কেননা যে ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দেয়, সে কাফের হয়ে যায়।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাত পরিত্যাগকারীর ক্ষেত্রে কুফর নাম ব্যবহার করেছেন, কেননা সালাত ত্যাগ করা হলো কুফরের সুচনা। কারণ কোন মানুষ যখন সালাত পরিত্যাগ করে এবং তাতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন অন্যান্য ফরয বিধান পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রেও অভ্যস্ত হয়ে যায়। এভাবে যখন সে ফরয বিধান পরিত্যাগ করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন সে ক্রমান্বয়ে তা অস্বীকার করার পর্যায়ে চলে যায়। কাজেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এখানে কুফরের সূচনা তথা সালাত পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রে কুফরের শেষপর্যায়ের নাম ব্যবহার করেছেন।”
ذِكْرُ خَبَرٍ قَدْ يُوهِمُ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْعِلْمِ أَنَّهُ مُضَادٌّ لِلْأَخَبَارِ الَّتِي تَقَدَّمَ ذكرنا لها
1461 - أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عَمْرٍو بِالْفُسْطَاطِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْعَلَاءِ الزُّبَيْدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بن حمير الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ عَمِّهِ عَنْ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (بَكِّروا بِالصَّلَاةِ فِي يَوْمِ الْغَيْمِ فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصلاة فقد كفر)
الراوي : بُرَيْدَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1461 | خلاصة حكم المحدث.صحيح؛ دون جملة التكبير؛ فهي موقوفة ـ ((الإرواء)) (1/ 276/255) , ((التعليق الرغيب)) (1/ 169).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَطْلَقَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَ الْكُفْرِ عَلَى تَارِكِ الصَّلَاةِ إِذْ تَرْكُ الصَّلَاةِ أَوَّلُ بِدَايَةِ الْكُفْرِ لِأَنَّ الْمَرْءَ إِذَا تَرَكَ الصَّلَاةَ وَاعْتَادَهُ ارْتَقَى مِنْهُ إِلَى تَرْكِ غَيْرِهَا مِنَ الْفَرَائِضِ وَإِذَا اعْتَادَ تَرْكَ الْفَرَائِضِ أدَّاه ذَلِكَ إِلَى الْجَحْدِ فَأَطْلَقَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَ النِّهَايَةِ الَّتِي هِيَ آخِرُ شُعب الْكُفْرِ عَلَى الْبِدَايَةِ الَّتِي هِيَ أَوَّلُ شُعبها وَهِيَ ترك الصلاة
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে ‘সকাল সকাল সালাত আদায় করার অংশ ব্যতীত বাকী অংশ সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/১৬৯)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম যে, আরবরা অনেক সময় সূচনাতেই এমন নাম ব্যবহার করে, যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- এই ব্যাপারে নবম হাদীস
১৪৬২. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুরআনের ব্যাপারে বাদানুবাদ করা কুফর।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “কোন ব্যক্তি কুরআনের ব্যাপারে বাদানুবাদে লিপ্ত হলে, যদি তাকে হেফাযত না করেন, তবে এটি তাকে কুরআনের দ্ব্যর্থবোধক (দুর্বোধ্য) আয়াতে ব্যাপারে তাকে সন্দেহে নিপতিত করে, আর যখন কোন ব্যক্তি কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাপারে সংশয়ে লিপ্ত হয়, তখন এটি তাকে কুফরের দিকে ঠেলে দেয়। কাজেই এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুফরের উপকরণ অর্থাৎ বাদানুবাদকে কুফরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। কুফর হলো অস্বীকার করা।”
ذِكْرُ خَبَرٍ تَاسِعٍ يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْعَرَبَ تُطْلِقُ اسْمَ الْمُتَوَقَّعِ مِنَ الشَّيْءِ فِي النِّهَايَةِ عَلَى الْبِدَايَةِ
1462 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (المِرَاءُ فِي القرآن كُفْرٌ)
الراوي : بُرَيْدَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1462 | خلاصة حكم المحدث. حسن صحيح ـ ((المشكاة)) (236) , ((الروض)) (1124 و 1125).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: إِذَا مَارَى الْمَرْءُ فِي الْقُرْآنِ أدَّاه ذَلِكَ - إِنْ لَمْ يَعْصِمْهُ اللَّهُ - إِلَى أَنْ يَرْتَابَ فِي الْآيِ الْمُتَشَابِهِ مِنْهُ وَإِذَا ارْتَابَ فِي بَعْضِهِ أَدَّاهُ ذَلِكَ إِلَى الْجَحْدِ فَأَطْلَقَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَ الْكُفْرِ الَّذِي هُوَ الْجَحْدُ عَلَى بِدَايَةِ سَبَبِهِ الَّذِي هُوَ الْمِرَاءُ.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (মিশকাত: ২৩৬)