পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ১. ইয়াহইয়া মাযনী (রহঃ)-এর পিতা আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ ইবন আসিম (রাঃ)-কে বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে ওযু করিতেন আপনি আমাকে দেখাইতে পারেন কি? আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ পারি। তারপর তিনি পানি আনাইলেন এবং তাহার হাতের উপর পানি ঢালিলেন। তিনি দুই দুইবার তাহার উভয় হাত ধুইলেন, তারপর কুলি করিলেন ও নাক পরিষ্কার করিলেন তিনবার। তারপর মুখমণ্ডলকে তিনবার ধুইলেন, তারপর কনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধুইলেন দুই দুইবার। পরে দুই হাত দ্বারা শির মসেহ করিলেন, দুই হাত দিয়া সম্মুখ হইতে আরম্ভ করিয়া পিছনের দিকে নিলেন এবং পিছনের দিক হইতে আরম্ভ করিয়া সামনের দিকে আনিলেন। মসেহ আরম্ভ করিলেন মাথার সামনের দিক হইতে। অতঃপর উভয় হাত মাথার পিছনের দিকে নিয়া গেলেন। তারপর উভয় হাত ফিরাইলেন এবং যে স্থান হইতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, পুনরায় সেই স্থানেই ফিরাইয়া আনিলেন। তারপর তাহার দুই পা ধুইলেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ وَهُوَ جَدُّ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ نَعَمْ . فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدِهِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ ثُمَّ ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ
Yahya related to me from Malik from Amr ibn Yahya al-Mazini that his father once asked Abdullah ibn Zayd ibn Asim, who was the grandfather of Amr ibn Yahya al-Mazini and one of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, if he could show him how the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did wudu. Abdullah ibn Zayd ibn Asim agreed to do so and asked for water to do wudu. He poured some out on to his hand and washed each hand twice and then rinsed his mouth and snuffed water up his nose and blew it out three times.Then he washed hisface three times and both of his arms up to the elbows twice. He then wiped his head with both hands, taking his hands from hisforehead to the nape of his neck and then bringing them back to where he had begun. Then he washed his feet.
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ২. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ওযু করে, তখন সে যেন তাহার নাকে পানি দেয়, তারপর নাক পরিষ্কার করে, আর যে কুলুখ গ্রহণ করে সে যেন বেজোড় কুলুখ নেয়।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ مَاءً ثُمَّ لِيَنْثِرْ وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ
Yahya related to me from Malik from Abu'zZinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you do wudu, snuff water into your nose and blow it out, and if you use stones to clean your private parts use an odd number."
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৩. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ওযু করে সে যেন নাক পরিষ্কার করে আর যে কুলুখ নেয় সে বেজোড় নেবে।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ
Yahya related to me from Ibn Shihab from Abu Idris al-Khawlani from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "The person doing wudu should snuff water up his nose and blow it out again."
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৪. ইয়াহইয়া (রাঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, এক আজলা পানি দ্বারা যে কুলিও করে এবং নাকও পরিষ্কার করে, তাহার এইরূপ করাতে কোন ক্ষতি নাই।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْثِرُ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
Yahya said that he heard Malik say that there was no harm in washing the mouth and cleaning the nose with only one handful of water.
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রাঃ) উপস্থিত হইলেন, যেদিন সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) ইন্তিকাল করিয়াছেন সেদিন। তারপর তিনি ওযুর পানি চাহিলেন। আয়েশা (রাঃ) তাহাকে বললেনঃ পূর্ণরূপে ওযু কর, কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিতে শুনিয়াছি (وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ) “পায়ের গিটসমূহের জন্য ধ্বংস নরকাগ্নির।”[1]
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ قَدْ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَسْبِغْ الْوُضُوءَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنْ النَّارِ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Abd ar- Rahman ibn Abi Bakr was visiting A'isha, the wife of the Prophet, may AIIah bless him and grant him peace, on the day that Sad ibn Abi Waqqas died, and he asked for some water to do wudu. A'isha said to him, ''Abd ar-Rahman! Perform your wudu fully, for I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, 'Woe to the heels in the fire.' "
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৬. আবদুর রহমান (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি শুনিয়াছেন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) পানি দ্বারা তাহার ইযার-এর (পায়জামা বা লুঙ্গী) নিচে ধুইতেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَحْلَاءَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَتَوَضَّأُ بِالْمَاءِ لِمَا تَحْتَ إِزَارِهِ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Muhammad ibn Talhafrom Uthman ibn Abd ar-Rahman that his father related to him that he had heard that Umar ibn al-Khattab used to wash what was beneath his waist wrapper with water.
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক লোক সম্পর্কে যে ওযু করিয়াছে এবং ভুলে কুলি করার পূর্বে মুখমণ্ডল ধুইয়া ফেলিয়াছে অথবা মুখমণ্ডল ধোয়ার পূর্বে ধুইয়াছে দুই হাত। তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ কুলি করার আগে যে ব্যক্তি মুখমণ্ডল ধুইয়াছে সে কুলি করিয়া লইবে এবং পুনরায় আর মুখমণ্ডল ধুইবে না। আর যে ব্যক্তি মুখমণ্ডল ধোয়ার পূর্বে তাহার হস্তদ্বয় ধুইয়াছে সে মুখমণ্ডল ধুইবে এবং পুনর্বার উভয় হাত ধুইবে, যেন হস্তদ্বয় ধোয়ার কাজ মুখমণ্ডল ধোয়ার পরে হয়। তবে ইহা তখন করিবে যখন সে ওযুর স্থানে অথবা উহার নিকটবর্তী স্থানে থাকে।
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ تَوَضَّأَ فَنَسِيَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ قَبْلَ أَنْ يَتَمَضْمَضَ أَوْ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَغْسِلَ وَجْهَهُ فَقَالَ أَمَّا الَّذِي غَسَلَ وَجْهَهُ قَبْلَ أَنْ يَتَمَضْمَضَ فَلْيُمَضْمِضْ وَلَا يُعِدْ غَسْلَ وَجْهِهِ وَأَمَّا الَّذِي غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ قَبْلَ وَجْهِهِ فَلْيَغْسِلْ وَجْهَهُ ثُمَّ لْيُعِدْ غَسْلَ ذِرَاعَيْهِ حَتَّى يَكُونَ غَسْلُهُمَا بَعْدَ وَجْهِهِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي مَكَانِهِ أَوْ بِحَضْرَةِ ذَلِكَ
Yahya said that Malik was asked what a man should do if, when he did wudu, he forgot and washed his face before he had rinsed his mouth, or washed his forearms before he had washed his face. He said, "If someone washes his face before rinsing his mouth, he should rinse his mouth and not wash his face again. If someone washes his forearms before his face, however, he should wash his forearms again so that he has washed them after his face. This is if he is still near the place (of wudu)."
পরিচ্ছেদঃ ১. ওযুর পদ্ধতি
রেওয়ায়ত ৮. মালিক (রহঃ)-কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইল, যে ব্যক্তি ভুলবশত কুলি করে নাই অথবা নাক পরিষ্কার করে নাই, এই অবস্থায় সে নামায পড়িয়াছে। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ সে লোকের পক্ষে নামায পুনরায় পড়িতে হইবে না। সে পরে অন্য নামায পড়িতে ইচ্ছা করিলে তবে কুলি করিয়া লইবে এবং নাক পরিষ্কার করিবে।[1]
بَاب الْعَمَلِ فِي الْوُضُوءِ
قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ نَسِيَ أَنْ يَتَمَضْمَضَ وَيَسْتَنْثِرَ حَتَّى صَلَّى قَالَ لَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُعِيدَ صَلَاتَهُ وَلْيُمَضْمِضْ وَيَسْتَنْثِرْ مَا يَسْتَقْبِلُ إِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يُصَلِّيَ
Yahya said that Malik was asked about what a man should do if he had forgotten to rinse his mouth and nose until he had prayed, and he said, "He does not have to repeat the prayer, but should rinse his mouth and nose if he wishes to do any more prayers after that."
পরিচ্ছেদঃ ২. নিদ্রা হইতে জাগার পর ওযু করিয়া নামায পড়িতে ইচ্ছা করিলে
রেওয়ায়ত ৯. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ ঘুম হইতে জাগ্রত হইলে ওযুর পাত্রে হাত দেওয়ার পূর্বে তাহার হাত ধুইয়া লইবে, কেননা সে অবগত নহে তাহার হাত কোথায় রাত্রি যাপন করিয়াছে।
بَاب وُضُوءِ النَّائِمِ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلْيَغْسِلْ يَدَهُ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهَا فِي وَضُوئِهِ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ
Yahya related to me from Malik from Abu'zZinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you wake up from sleep to pray, wash your hands before you put them in the wudu water, for you do not know where your hands have spent the night."
পরিচ্ছেদঃ ২. নিদ্রা হইতে জাগার পর ওযু করিয়া নামায পড়িতে ইচ্ছা করিলে
রেওয়ায়ত ১০. উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেনঃ তোমাদের কেউ কোন বস্তুর সাথে ঠেস দিয়া ঘুমাইলে ওযু করিবে।
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ)
যায়দ ইবন আসলাম (রাঃ) এই আয়াতের তফসীর প্রসঙ্গে বলেনঃ ইহা সেই সময়, যখন শয্যা অর্থাৎ নিদ্রা হইতে তোমরা ওঠ।
بَاب وُضُوءِ النَّائِمِ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ إِذَا نَامَ أَحَدُكُمْ مُضْطَجِعًا فَلْيَتَوَضَّأْ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ تَفْسِيرَ، هَذِهِ الآيَةِ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ) أَنَّ ذَلِكَ إِذَا قُمْتُمْ مِنَ الْمَضَاجِعِ . يَعْنِي النَّوْمَ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that Umar ibn al-Khattab said, "If you fall asleep Iying down you must do wudu ( before you pray) . "
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that the ayat "You who believe! When you rise for prayer wash your faces, and your arms to the elbows, and wipe over your heads and your feet up to the ankles," refers to rising from bed, meaning sleep.
পরিচ্ছেদঃ ২. নিদ্রা হইতে জাগার পর ওযু করিয়া নামায পড়িতে ইচ্ছা করিলে
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ) বলেন, আমাদের ফয়সালা এই- নাক দিয়া রক্ত প্রবাহিত হইলে, শরীর হইতে খুন নির্গত হইলে এবং পুজ বহির্গত হইলে ওযু করিতে হইবে না। হাদস (حدث) যাহাতে ওযু নষ্ট হয়, এর কারণে ওযু করিতে হইবে; যাহা বাহির হয় গুহ্যদ্বার অথবা জননেন্দ্রীয় হইতে অথবা নিদ্রার কারণে।
নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবন উমর (রাঃ) বসা অবস্থায় ঘুমাইতেন। অতঃপর ওযু না করিয়া নামায পড়িতেন।
بَاب وُضُوءِ النَّائِمِ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِكٌ الأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لاَ يَتَوَضَّأُ مِنْ رُعَافٍ وَلاَ مِنْ دَمٍ وَلاَ مِنْ قَيْحٍ يَسِيلُ مِنَ الْجَسَدِ وَلاَ يَتَوَضَّأُ إِلاَّ مِنْ حَدَثٍ يَخْرُجُ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ دُبُرٍ أَوْ نَوْمٍ .
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَنَامُ جَالِسًا ثُمَّ يُصَلِّي وَلاَ يَتَوَضَّأُ
Yahya said that Malik said, "The situation with us is that one does not have to do wudu for a nose-bleed, or for blood, or for pus issuing from the body. One only has to do wudu for impurities which issue from the genitals or the anus, or for sleep."
Yahya related to me from Malik from Nafithat Ibn Umar used to sleep sitting and then would pray without doing wudu.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওযুর জন্য পবিত্ৰ পানি ব্যবহার করা
রেওয়ায়ত ১২. মুগীরা ইবন আবী বুরদা (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেনঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসিয়া বলিলঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সাগরে আরোহণ করি (নৌকা বা জাহাজে আরোহণ করি) আর আমাদের সঙ্গে অল্প পানি বহন করি। যদি আমরা সেই পানি দ্বারা ওযু করি তবে আমরা পিপাসিত থাকিব। তাই সমুদ্রের পানি দ্বারা আমরা ওযু করিব কি? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিলেনঃ সাগরের পানি অতি পবিত্র। ইহার মৃত জীব হালাল।
بَاب الطَّهُورِ لِلْوُضُوءِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ سَلَمَةَ مِنْ آلِ بَنِي الْأَزْرَقِ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ وَهُوَ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَرْكَبُ الْبَحْرَ وَنَحْمِلُ مَعَنَا الْقَلِيلَ مِنْ الْمَاءِ فَإِنْ تَوَضَّأْنَا بِهِ عَطِشْنَا أَفَنَتَوَضَّأُ بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ
Yahya related to me from Malik from Safwan ibn Sulaym from Said ibn Salama of the Bani Azraq from al-Mughira ibn Abi Burda of the tribe of Bani Abd ad-Dar that he had heard Abu Hurayra speak about a man who came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, "Messenger of Allah! We travel by sea and we do not carry much fresh water with us so if we do wudu with it we go thirsty. Can we do wudu with seawater?" The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, replied, "lts water is pure, and its dead creatures are halal."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওযুর জন্য পবিত্ৰ পানি ব্যবহার করা
রেওয়ায়ত ১৩. কাবসা বিনতে কা’ব ইবন মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবূ কাতাদা (রাঃ) তাহার নিকট আসিলেন। কাব্সা তাহার জন্য ওযুর পানি ঢালিতেছিলেন। এমন সময় একটি বিড়াল উহা হইতে পানি পান করার জন্য আসিল। আবূ কাতাদা পানির পাত্র ইহার জন্য কাত করিলেন, বিড়াল পানি পান করিল। কাবসা বলেনঃ তিনি আমাকে দেখিলেন আমি খুব বিস্ময়ের সহিত তাহার দিকে দেখিতেছি। তাই তিনি বলিলেনঃ হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করিতেছ? আমি (উত্তরে) বলিলামঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ বিড়াল নাপাক নহে, উহা তোমাদের আশেপাশে যাহারা অধিক ঘোরাফেরা করে, তাহাদের অন্তর্ভুক্ত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ বিড়ালের মুখে নাজাসত (নাপাকী) না থাকিলে উহার মুখ (পাত্রে) দেওয়াতে কোন ক্ষতি নাই।
بَاب الطَّهُورِ لِلْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ خَالَتِهَا كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهَا أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوءًا فَجَاءَتْ هِرَّةٌ لِتَشْرَبَ مِنْهُ فَأَصْغَى لَهَا الْإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ أَتَعْجَبِينَ يَا ابْنَةَ أَخِي قَالَتْ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَإِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّمَا هِيَ مِنْ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ أَوْ الطَّوَّافَاتِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِهِ إِلَّا أَنْ يُرَى عَلَى فَمِهَا نَجَاسَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওযুর জন্য পবিত্ৰ পানি ব্যবহার করা
রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া ইবন আবদুর রহমান ইবন হাতিব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এক কাফেলার সহিত বাহির হইলেন। কাফেলায় আমর ইবন আস (রাঃ)-ও শরীক ছিলেন। তাহারা একটি জলাধারের নিকট অবতরণ করিলেন। জলাধারের মালিককে আমর ইবন আস বলিলেনঃ হে জলাধারের মালিক! আপনার জলাধারে চতুষ্পদ জন্তু অবতরণ করে কি? উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) জলাধারের মালিককে বলিলেনঃ আপনি (এই বিষয়ে) আমাদিগকে খবর দিবেন না। কারণ আমরা চতুষ্পদ জন্তুসমূহের নিকট বিচরণ করি এবং তাহারাও আমাদের কাছে বিচরণ করে।
بَاب الطَّهُورِ لِلْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَرَجَ فِي رَكْبٍ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حَتَّى وَرَدُوا حَوْضًا فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ لِصَاحِبِ الْحَوْضِ يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ هَلْ تَرِدُ حَوْضَكَ السِّبَاعُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ لاَ تُخْبِرْنَا فَإِنَّا نَرِدُ عَلَى السِّبَاعِ وَتَرِدُ عَلَيْنَا
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Muhammad ibn Ibrahim ibn alHarith at-Taymi from Yahya ibn Abd ar-Rahman ibn Hatib that Umar ibn al-Khattab set out on one occasion with a party of riders, one of whom was Amr ibn al-As. They came to a watering place and Amr ibn al-As asked the man who owned it whether wild beasts drank from it. Umar ibn al-Khattab told the owner of the watering place not to answer, since the people drank after the wild beasts and the wild beasts drank after them.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওযুর জন্য পবিত্ৰ পানি ব্যবহার করা
রেওয়ায়ত ১৫. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে নারী-পুরুষ একত্রে ওযু করিতেন।
بَاب الطَّهُورِ لِلْوُضُوءِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ إِنْ كَانَ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَتَوَضَّئُونَ جَمِيعًا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say that men and their wives used to do wudu together in the time of the Messenger of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৪. যাহাতে ওযু ওয়াজিব হয় না
রেওয়ায়ত ১৬. ইবরাহীম ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফ (রহঃ)-এর উম্মে-ওয়ালাদ (তাহার নাম হুমায়দা বলা হইয়াছে) হইতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মে-সালমা (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিলেন, আমি একজন স্ত্রীলোক। আমি আমার কাপড়ের ঝুল লম্বা রাখি আর আমি কোন কোন সময় চলাফেরা করি আবর্জনাযুক্ত স্থান দিয়া। উম্মে সালমা (রাঃ) বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেনঃ কাপড়ের ঝুলকে আবর্জনাযুক্ত রাস্তার পরবর্তী স্থান পবিত্র করিয়া দিবে।
بَاب مَا لَا يَجِبُ مِنْهُ الْوُضُوءُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَارَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أُمِّ وَلَدٍ لِإِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهَا سَأَلَتْ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُطِيلُ ذَيْلِي وَأَمْشِي فِي الْمَكَانِ الْقَذِرِ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ
Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn Umara from Muhammad ibn Ibrahim that the mother of the son of Ibrahim ibn Abd ar- Rahman ibn Awf questioned Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and said, "I am a woman who wears a long skirt and (sometimes) I walk in dirty places." Umm Salama replied, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'What follows (i.e. clean places) purifies it.' "
পরিচ্ছেদঃ ৪. যাহাতে ওযু ওয়াজিব হয় না
রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি রবী’আ ইবন আবদুর রহমানকে কয়েকবার উদর হইতে পানি বমি করিতে দেখিয়াছেন, তখন তিনি ছিলেন মসজিদে। তিনি অতঃপর নামায আদায় করা পর্যন্ত মসজিদ হইতে বাহিরেও যাইতেন না এবং ওযুও করিতেন না।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি খাদ্যবস্তু বমি করিয়াছে, তাহার জন্য ওযু ওয়াজিব হইবে কি? তিনি বলিলেনঃ তাহার জন্য ওযু ওয়াজিব নহে, ইহার জন্য সে কুলি করিবে এবং তাহার মুখ ধুইবে।
بَاب مَا لَا يَجِبُ مِنْهُ الْوُضُوءُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ رَأَى رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقْلِسُ مِرَارًا وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَلاَ يَنْصَرِفُ وَلاَ يَتَوَضَّأُ حَتَّى يُصَلِّيَ . قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ قَلَسَ طَعَامًا هَلْ عَلَيْهِ وُضُوءٌ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيْهِ وُضُوءٌ وَلْيَتَمَضْمَضْ مِنْ ذَلِكَ وَلْيَغْسِلْ فَاهُ
Yahya related to me from Malik that he saw Rabia ibn Abd ar- Rahman vomit several times when he was in the mosque and he did not leave, nor did he do wudu before he prayed.
Yahya said that Malik was asked whether a man who vomited food had to do wudu and he said, "He does not have to do wudu, but he should rinse the inside of his mouth and wash his mouth out."
পরিচ্ছেদঃ ৪. যাহাতে ওযু ওয়াজিব হয় না
রেওয়ায়ত ১৮. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) সাঈদ ইবন যায়দ-এর এক (মৃত) পুত্রকে হানূত[1] লাগাইলেন এবং তাহার লাশ বহন করিলেন, অতঃপর ওযু না করিয়া মসজিদে প্রবেশ করিয়া তিনি নামায পড়িলেন।
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ বমি করিলে ওযু করিতে হইবে কি? তিনি বলিলেনঃ না। তবে ইহার জন্য কুলি করিবে এবং তাঁহার মুখ ধুইবে। তাহার উপর ওযু ওয়াজিব নহে।
بَاب مَا لَا يَجِبُ مِنْهُ الْوُضُوءُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَنَّطَ ابْنًا لِسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَحَمَلَهُ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ . قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِكٌ هَلْ فِي الْقَىْءِ وُضُوءٌ قَالَ لاَ وَلَكِنْ لِيَتَمَضْمَضْ مِنْ ذَلِكَ وَلْيَغْسِلْ فَاهُ وَلَيْسَ عَلَيْهِ وُضُوءٌ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar prepared the body of one of Said ibn Zayd's sons for burial and carried it and then entered the mosque and prayed without doing wudu.
Yahya said that Malik was asked whether it was necessary to do wudu because of regurgitating undigested food and he said, "No, wudu is not necessary, but the mouth should be rinsed."
পরিচ্ছেদঃ ৫. আগুনে জ্বাল দেওয়া বস্তু আহার করিয়া ওযূ না করা
রেওয়ায়ত ১৯. আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাগের কাঁধের মাংস আহার করার পর ওযু না করিয়া নামায পড়িলেন।
بَاب تَرْكِ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتْهُ النَّارُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَلَ كَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
Yahya related to me from Malik from Zayd Aslam from Ata ibn Yasar from Abdullah Abbas that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ate a shoulder of lamb and then prayed without doing wudu.
পরিচ্ছেদঃ ৫. আগুনে জ্বাল দেওয়া বস্তু আহার করিয়া ওযূ না করা
রেওয়ায়ত ২০. সুওয়ায়দ ইবন নুমান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে খায়বরের যুদ্ধের বৎসর বাহির হইলেন। যখন তাহার সাহ্বা (صهباء) নামক স্থানে পৌছিলেন- উহা খায়বরের ঢালু অংশে অবস্থিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তথায়) অবতরণ করিলেন, তারপর আসর নামায পড়িলেন। অতঃপর সফরে আহারের জন্য রাখা খাদ্যবস্তু এবং উহার পাত্রসমূহ আনিতে বলিলেন, তাহার নিকট ছাতু ছাড়া অন্য কিছু উপস্থিত করা হইল না। তিনি নির্দেশ দিলেন, উহা গুলান হইল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহার করিলেন, আমরাও আহার করিলাম। অতঃপর মাগরিবের নামাযের জন্য উঠিলেন এবং কুলি করিলেন, আমরাও কুলি করিলাম। তারপর তিনি নামায পড়িলেন, অথচ আর ওযু করিলেন না।
بَاب تَرْكِ الْوُضُوءِ مِمَّا مَسَّتْهُ النَّارُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى بَنِي حَارِثَةَ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ النُّعْمَانِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالصَّهْبَاءِ - وَهِيَ مِنْ أَدْنَى خَيْبَرَ - نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَعَا بِالأَزْوَادِ فَلَمْ يُؤْتَ إِلاَّ بِالسَّوِيقِ فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَكَلْنَا ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Bushayr ibn Yasar, the mawla of the Bani Haritha, that Suwayd ibn anNuman told him that he went with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, on the expedition to Khaybar. When they reached as Suhba, which was near Khaybar, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, stopped and prayed asr. He asked for provisions but only parched barley was brought, so he asked for it to be moistened. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ate and the people ate with him. Then he got up to do maghrib and rinsed his mouth out and they rinsed out theirs. Then he prayed without doing wudu.