পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের ফযীলত সম্পর্কে
১২১৫. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের উপমা হলো তোমাদের কারোর (বাড়ির) দরজার সামনে দিয়ে প্রবাহিত সুমিষ্ট (পানির) নদীর মতো যাতে সেই ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে।[1]
তাখরীজ: আবূ আওয়ানাহ ২/২১; ইবনু হিব্বান নং ১৭২৫; সহীহ মুসলিম ৬৬৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাওসিলী নং ১৯৪১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৫ এ।
এছাড়াও, বাইহাকী ৩/৬৩।
بَاب فِي فَضْلِ الصَّلَوَاتِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ كَمَثَلِ نَهَرٍ جَارٍ عَذْبٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতের ফযীলত সম্পর্কে
১২১৬. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন: “আচ্ছা, বলো তো দেখি, তোমাদের মধ্যকার কারো দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ব্যক্তি পাঁচবার তাতে গোসল করে, তবে তোমরা কী বলো, তার (শরীরে) কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকতে পারে কি? তারা বললো, কোনো ময়লাই থাকতে পারে না। তিনি বললেন: “এমনটি-ই হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উপমা, এগুলোর দ্বারা আল্লাহ পাপসমূহ মোচন করে দেন।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৫২৮; সহীহ মুসলিম ৬৬৭; বাইহাকী ৩/৬২-৬৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৬।
بَاب فِي فَضْلِ الصَّلَوَاتِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ مَاذَا تَقُولُونَ ذَلِكَ مُبْقِيًا مِنْ دَرَنِهِ قَالُوا لَا يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ قَالَ كَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا
পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের ওয়াক্তসমূহ
১২১৭. মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনুল হাসান ইবনু আলী রিদ্বওয়ানুল্লাহি আলাইহিমা বলেন: হাজ্জাজের শাসনামলে আমরা জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, কারণ, সে (হাজ্জাজ) বিলম্বে সালাত আদায় করতো। তখন জাবির রা: বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুহর সালাত আদায় করতেন, যখন সূর্য হেলে পড়তো; আর আসর সালাত আদায় করতেন আর তখনও সূর্য সজীব থাকতো কিংবা স্বচ্ছ-পরিষ্কার থাকতো; আর মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আদায় করতেন এবং ’ইশার সালাত কখনো সকাল সকাল আদায় করতেন, আবার কখনো দেরীতে আদায় করতেন। যখন লোকেরা সমবেত হতো, তখন তিনি সকাল সকাল আদায় করতেন, আবার যখন লোকেরা দেরীতে আসতো, তখন তিনিও বিলম্বে আদায় করতেন। আর সকালের (ফজরের) সালাত কথনো তারা অথবা তিনি ‘গালাসে’ (রাতের শেষভাগের অন্ধকার অবস্থায়) আদায় করতেন।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৫৬০; সহীহ মুসলিম ৬৪৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৮ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০২৯, ২০৪৮, ২১০৩ এ।
بَاب فِي مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي زَمَنِ الْحَجَّاجِ وَكَانَ يُؤَخِّرُ الصَّلَاةَ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ جَابِرٌ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَهِيَ حَيَّةٌ أَوْ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ حِينَ تَجِبُ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ رُبَّمَا عَجَّلَ وَرُبَّمَا أَخَّرَ إِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ عَجَّلَ وَإِذَا تَأَخَّرُوا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ رُبَّمَا كَانُوا أَوْ كَانَ يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ
পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতের ওয়াক্তসমূহ
১২১৮. ইবনু শিহাব (যুহুরী) রাহি. হতে বর্ণিত, একদিন উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহি. বিলম্বে সালাত আদায় করলেন। তখন উরওয়া ইবনুয যুবাইর রাহি. তাঁর নিকট প্রবেশ করে তাঁর নিকট বর্ণনা করলেন, মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদিন বিলম্বে সালাত আদায় করলে আবু মাসউদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর নিকট প্রবেশ করে তাকে বললেন: হে মুগীরাহ, এটা কি হলো? তুমি কি অবগত নও যে, (একদিন) জীবরীল আলাইহি সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট অবতীর্ণ হয়ে সালাত আদায় করলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন, ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাত আদায় করলেন। অতঃপর জীবরীল আলাইহিস সালাম বললেন, আমি এজন্য আদিষ্ট হয়েছি।
তখন উমার ইবনু আব্দুল আযীয উরওয়াহকে বললেন: হে উরওয়াহ, তুমি কী বর্ণনা করছো, তা ভালভাবে ভেবে দেখো। জীবরীল আলাইহিস সালাম কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য সালাতের ওয়াক্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন? উরওয়াহ বললেন, বাশীর ইবনু আবী মাসউদ তাঁর পিতা হতে এরূপই বর্ণনা করে থাকেন।উরওয়াহ বলেন: আয়িশা রা: আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সূর্য (রশ্মি) তখনও তার হুজরার মধ্যে থাকতো। তবে তা উপরে দিকে উঠে যাওয়ার পূর্বেই।[1]
তাখরীজ: মালিক, ওয়াকুতুস সালাত নং ১১; তার সূত্রে আহমাদ ৫/২৭৪; বুখারী ৫২১; মুসলিম ৬১০ (১৬৭); আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪৪৯, ১৪৫০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৫৬।
بَاب فِي مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بِهَذَا أُمِرْتَ قَالَ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ يَا عُرْوَةُ أَوَ أَنَّ جِبْرِيلَ أَقَامَ وَقْتَ الصَّلَاةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ
পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা
১২১৯. মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে (আবু মুহাম্মদ দারেমী বলেন: তখা মদীনায়) আগমণ করলেন, তখন সালাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা তাঁর নিকট কোনো আহ্বান ছাড়াই তার নিকট সালাতের জন্য একত্রিত হতো। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনস্থ করলেন যে, ইয়াহুদীরা যেমন শিঙ্গা বাজিয়ে তাদের সালাতের জন্য আহবান করে থাকে, তেমনি একটি শিঙ্গা নির্ধারণ করে দিবেন। তারপর তিনি তা অপছন্দ করলেন। তারপর তিনি একটি ঘন্টা বানানোর নির্দেশ দিলেন, ফলে তা বানানো হলো যাতে তা বাজানোর মাধ্যমে মুসলিমদেরকে সালাতের দিকে আহবান করা যায়। তারা যখন এমন অবস্থায় রয়েছে, তখন আল হারিস ইবনুল খাযরাজ -এর ভাই আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ (স্বপ্নে) দেখলেন। এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আগমণ করে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, রাতে আমি বারবার স্বপ্নে দেখলাম যে, দু’টি সবুজ কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তি হাতে ‘নাকুস’ (শিঙ্গা) নিয়ে আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কি ‘নাকুস’টি বিক্রি করবেন? সে বললো, আপনি এটি দিয়ে কী করবেন?
আমি বললাম, আমি এটি দিয়ে সালাতের জন্য (লোকদেরকে) আহ্বান করবো। তখন সে বললো, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম (বস্তু) বলে দেবো না? আমি বললাম: সেটা কি? তিনি বললেন, আপনি বলুন: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
তারপর সামান্য সময় বিরতি দিয়ে সে তার (আযানের বাক্যগুলোর) অনুরূপ পূণরায় বললো, তবে সেগুলি বিজোড় বানিয়ে (একবার করে) বললো। তবে সে (শেষের দিকে এ বাক্যগুলিও) বললো: ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’ ‘ক্বাদ ক্বমাতিস সালাহ’, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
যখন সে এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো, তখন তিনি বললেন: “ইনশা আল্লাহ এটি সত্য স্বপ্ন। তাই তুমি উঠে বিলালের সাথে যাও, এবং একথাগুলি তাকে বলে দাও। কেননা, সে তোমার চেয়ে উচ্চ কন্ঠেস্বরের অধিকারী।” তখন বিলাল আযান দিতে আরম্ভ করলো। আর উমার ইবনু খাত্তাব আযান শুনতে পেলো। তখন সে তখন বাড়িতে ছিলো। ফলে তিনি (বাড়ি থেকে) বেরিয়ে তার ‘ইযার’ (লুঙ্গি) ধরে টানতে টানতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে উপস্থিত হলেন এবং বলতে লাগলেন, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ, যে মহান সত্ত্বা আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ! আমিও তার অনুরূপ (স্বপ্ন) দেখেছি, যা সে দেখেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, ফলে এ বিষয়টি অধিকতর শক্তিশালী হলো।[1]
তাখরীজ: আমরা এটি তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৭৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৮৭ ((আহমদ ৪/৪৩; দারুকুতনী ১/৪১ নং ২৯; বাইহাকী ১/৩৯০-৩৯১, ৪১৫; আবু দাউদ ৪৯৯; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১/১৯৩ নং ৩৭১; তিরমিযী ১৮৯; ইবনু মাজাহ ৭০৬; আব্দুর রাযযাক ১/৪৬০ নং ১৭৮৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১৩১-১৩২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২/২৫৭; তিরমিযী, আল ইলাল গ্রন্থে বলেন, এ হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল তথা বুখারীকে এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেন, আমার নিকট এ হাদীস সহীহ।- মুহহাক্বিক্বের তাহক্বীক্বকৃত মাওয়ারিদুয যাম’আন ২৮৭ নং হাদীসের টীকা হতে।- অনুবাদক))
এছাড়া বাইহাকী দালাইলুল নবুওয়াত ৭/১৭-১৮।
بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ قَالَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي الْمَدِينَةَ إِنَّمَا يُجْتَمَعُ إِلَيْهِ بِالصَّلَاةِ لِحِينِ مَوَاقِيتِهَا بِغَيْرِ دَعْوَةٍ فَهَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ بُوقًا كَبُوقِ الْيَهُودِ الَّذِينَ يَدْعُونَ بِهِ لِصَلَاتِهِمْ ثُمَّ كَرِهَهُ ثُمَّ أَمَرَ بِالنَّاقُوسِ فَنُحِتَ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ إِلَى الصَّلَاةِ فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ إِذْ رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ أَخُو بَلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ طَافَ بِيَ اللَّيْلَةَ طَائِفٌ مَرَّ بِي رَجُلٌ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ هَذَا النَّاقُوسَ فَقَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قُلْتُ نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ غَيْرَ كَثِيرٍ ثُمَّ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ وَجَعَلَهَا وِتْرًا إِلَّا أَنَّهُ قَالَ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَلَمَّا خُبِّرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلَالٍ فَأَلْقِهَا عَلَيْهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ فَلَمَّا أَذَّنَ بِلَالٌ سَمِعَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَجُرُّ إِزَارَهُ وَهُوَ يَقُولُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا رَأَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلِلَّهِ الْحَمْدُ فَذَاكَ أَثْبَتُ
পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা
১২২০. মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ তার পিতা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: আগের এবং পরের হাদীসটি দেখুন।
بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنِيهِ سَلَمَةُ قَالَ حَدَّثَنِيهِ ابْنُ إِسْحَقَ قَالَ حَدَّثَنِي هَذَا الْحَدِيثَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ عَنْ أَبِيهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের সূচনা
১২২১. মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ ইবনু আব্দি রব্বিহ বর্ণনা করেছেন, আমার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু যাইদ বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘নাকুস’ (ঘন্টা) বানানোর নির্দেশ দিলেন.... ।’ অতঃপর তিনি এর অনুরূপ উল্লেখ করেন।[1]
তাখরীজ: দেখুন, আগের টীকাটি।
بَاب فِي بَدْءِ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ ابْنِ إِسْحَقَ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ قَالَ لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاقُوسِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. ফজরের আযানের ওয়াক্ত সম্পর্কে
১২২২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু’ হিসেবে (তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে) বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “বিলাল রাত থাকতেই আযান দেয়, কাজেই ইবনু উম্মু মাকতুম আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পারো।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬১৭; সহীহ মুসলিম ১০৯২; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাওসিলী নং ৫৪৩২, ৫৪৯২, ৫৫৪১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬৯, ৩৪৭০, ৩৪৭১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬২৩ এ।
بَاب فِي وَقْتِ أَذَانِ الْفَجْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ يَرْفَعُهُ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ
পরিচ্ছেদঃ ৪. ফজরের আযানের ওয়াক্ত সম্পর্কে
১২২৩. নাফিঈ’ হতে বর্ণিত, তিনি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে,[1]
এবং কাসিম রাহি. হতে বর্ণিত, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দু’জন মুয়াযযিন ছিল: বিলাল ও ইবনু উম্মু মাকতুম। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “বিলাল রাত থাকতেই আযান দেয়, কাজেই ইবনু উম্মু মাকতুম আযান না শোনা পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পারো।”[2]তারপর কাসিম বলেন, আর উভয়ের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র এতটুকু যে একজন নামতেন এবং আরেকজন (আযান দিতে) উঠতেন।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬২২, ৬২৩; মুসলিম ১০৯২ (৩৮)। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৭৩ ও মুসনাদুল মাওসিলী নং ৪৩৮৫ সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬৯, ৩৪৭০, ৩৪৭১ টীকাসহ।
بَاب فِي وَقْتِ أَذَانِ الْفَجْرِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤَذِّنَانِ بِلَالٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا أَذَانَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَقَالَ الْقَاسِمُ وَمَا كَانَ بَيْنَهُمَا إِلَّا أَنْ يَنْزِلَ هَذَا وَيَرْقَى هَذَا
পরিচ্ছেদঃ ৫. ফজরের আযানে ‘তাছবীব’ (‘আস সালাতু খইরুম মিন আন নাওম’ উচ্চারণ) করা
১২২৪. মুয়াযযিন হাফস ইবনু উমার ইবনু সা’দ হতে বর্ণিত, আর সা’দ ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মসজিদের মুয়াযযিন। হাফস বলেন, আমার পরিবার আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, (একদা) বিলাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ফজরের সালাতের জন্য ডাকতে আসলেন। তখন সে বললো, তিনি তো ঘুমিয়ে আছেন। তারপর বিলাল অতি উচ্চ স্বরে এ বলে ডেকে উঠলেন: ‘সালাতু খইরুম মিনান্নাওম’ (ঘুম হতে সালাত উত্তম)। তখন ফজরের আযানে এটি বজায় রাখা (অনুমোদিত) হলো।[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, আল কাবীর ৬/৪০ নং ৫৪৪৯; ইবনু আবী আছিম, আল আহাদুল মাছানী নং ২২৫৫।
‘আস সালাতু খইরুম মিনান্নাওম’ বাক্যটি সহীহ, দেখুন, আবী মাহযুরা’র হাদীস সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৮২; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৮৯ ও মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১/৪৭২-৪৭৫।
بَاب التَّثْوِيبِ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ أَنَّ سَعْدًا كَانَ يُؤَذِّنُ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَفْصٌ حَدَّثَنِي أَهْلِي أَنَّ بِلَالًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَقَالُوا إِنَّهُ نَائِمٌ فَنَادَى بِلَالٌ بِأَعْلَى صَوْتِهِ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ فَأُقِرَّتْ فِي أَذَانِ صَلَاةِ الْفَجْرِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يُقَالُ سَعْدٌ الْقَرَظُ
পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়
১২২৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে আযানের বাক্যগুলি দু’বার করে এবং ইকামতের বাক্যগুলি একবার করে বলা হতো। কিন্তু ইকামতের মধ্যে ‘ক্বদ ক্বমাতিস সালাহ’ বলার সময় এ বাক্যটি দু’বার বলা হতো। আমরা যখন (মুয়াযযিনের) ইকামত শুনতাম, তখন আমাদের কেউ উযু করতে যেত, এরপর (সালাতের আদায় করতে) বের হতো।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৭৪, ১৬৭৭; মাওয়ারিদুয যাম’আন ২৯০, ২৯১। ((আবু দাউদ ৫১০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৪০৬; সহীহ ইবনু খুযাইমা ৩৭৪; আহমাদ ২/৮৫, ৮৭; দাওলাবী, আল কুন্নী ২/১০৬; হাকিম ১/১৯৭, ১৯৮, তিনি একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন; নাসাঈ ২/৩২/২০, ২১; বাইহাকী ১/৪১৩।- শাইখ আরনাউত্বের তাহক্বীক্বকৃত সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৭৪ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ عَنْ مُسْلِمٍ أَبِي الْمُثَنَّى عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الْأَذَانُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً مَرَّةً غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَالَ قَدْ قَامَتْ الصَّلَاةُ قَالَهَا مَرَّتَيْنِ فَإِذَا سَمِعْنَا الْإِقَامَةَ تَوَضَّأَ أَحَدُنَا وَخَرَجَ
পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়
১২২৬. আবী কিলাবা হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আযান বাক্যসমূহ জোড়া জোড়া এবং ইকামাতের বাক্যসমূহ বিজোড়ভাবে বলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬০৩; সহীহ মুসলিম ৩৭৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৯২, ২৮৯৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৭৫, ১৬৭৬, ১৬৭৭ এ। আরও দেখুন, পরবতী হাদীসটি।
بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ وَعَفَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَيُوتِرَ الْإِقَامَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৬. আযান (এর বাক্য) হবে জোড়া জোড়া এবং ইকামত (এর বাক্যগুলি) হবে বিজোড় সংখ্যায়
১২২৭. (অপর সূত্রে) আবী কিলাবা হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আযান বাক্যসমূহ জোড়া জোড়া এবং ইকামাতের বাক্যসমূহ বিজোড়ভাবে বলার নির্দেশ প্রদান করা হয়, তবে ‘ইকামত (এর অতিরিক্ত বাক্যগুলি)[1] ব্যতীত।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পূনরাবৃত্তি।
بَاب الْأَذَانُ مَثْنَى مَثْنَى وَالْإِقَامَةُ مَرَّةً
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَيُوتِرَ الْإِقَامَةَ إِلَّا الْإِقَامَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৭. আযানে ‘তারজী’ করা
১২২৮. আবী মাহযুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশজন লোককে এভাবে আযান দিতে নির্দেশ দেন, ফলে তারা আযান দিতে থাকে। তখন আবী মাহযুরার কণ্ঠস্বর তাঁকে মুগ্ধ করে; ফলে তিনি তাকে (এ বাক্যসমূহ দ্বারা) আযান শিক্ষা দেন: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ।
আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ। হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাস সালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, হাইয়্যা আলাল ফালাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’আর ইকামত (শিক্ষা দেন) জোড়া জোড়া বাক্যে।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৪১৬-৪১৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৮০,. ১৬৮১, ১৬৮২; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৮৮, ২৮৯ ও আবী ইয়ালা, মু’জামুশ শুয়ুখ নং ১৩৬ এ। আরও দেখুন, আগের টীকাটি।
بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ نَحْوًا مِنْ عِشْرِينَ رَجُلًا فَأَذَّنُوا فَأَعْجَبَهُ صَوْتُ أَبِي مَحْذُورَةَ فَعَلَّمَهُ الْأَذَانَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَه إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَالْإِقَامَةَ مَثْنَى مَثْنَى
পরিচ্ছেদঃ ৭. আযানে ‘তারজী’ করা
১২২৯. আবী মাহযুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ঊনিশটি বাক্যে আযান এবং সতেরোটি বাক্যে ইকামাত শিক্ষা দেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৪১৬; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।
بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ وَحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَا حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ قَالَ حَجَّاجٌ فِي حَدِيثِهِ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ قَالَ حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَهُ الْأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالْإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের সময় (মুখমণ্ডল ডানে ও বামে) ফিরানো
১২৩০. আবী জুহাইফা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বিলাল কে আযান দিতে দেখেছেন। তিনি বলেন, তারপর থেকে (তার অনুসরণ করে) আযানে আমি মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই।[1]
[1] তাহক্বীক্ব; এর সনদ সহীহ। বরং হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী নং ৬৩৪; সহীহ মুসলিম ৫০৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮৮৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৬৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯১৬ এ।
بَاب الِاسْتِدَارَةِ فِي الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى بِلَالًا أَذَّنَ قَالَ فَجَعَلْتُ أَتْبَعُ فَاهُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا بِالْأَذَانِ
পরিচ্ছেদঃ ৮. আযানের সময় (মুখমণ্ডল ডানে ও বামে) ফিরানো
১২৩১. আবী জুহাইফার পিতা হতে বর্ণিত, বিলাল বর্শা পুঁতে দিলেন, তারপর আযান দিলেন, আর তার দু’টি আঙ্গুল তার দু’কানে স্থাপন করলেন। অতঃপর আমি তাকে আযানের মধ্যে (ডানে-বামে) ঘুরতে দেখলাম।’[1] আব্দুল্লাহ বলেন: ছাওরী’র হাদীস অধিক সহীহ।
তাখরীজ: আগের টীকাটি দেখুন।
بَاب الِاسْتِدَارَةِ فِي الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبَّادٌ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ بِلَالًا رَكَزَ الْعَنَزَةَ ثُمَّ أَذَّنَ وَوَضَعَ أُصْبُعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ فَرَأَيْتُهُ يَدُورُ فِي أَذَانِهِ قَالَ عَبْد اللَّهِ حَدِيثُ الثَّوْرِيِّ أَصَحُّ
পরিচ্ছেদঃ ৯. আযানের সময় দু’আ করা
১২৩২. সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “দু’টি বিষয় ফেরত দেওয়া হয়না” অথবা, তিনি বলেন, “দু’টি সময়ের (দু’আ) কদাচিতই ফেরত দেওয়া হয়: আযানের সময়ের দু’আ এবং যুদ্ধকালীন সময়ের দু’আ, যখন তারা একে অপরকে হত্যা করতে থাকে।[1]
তাখরীজ: ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা নং ১০৬৫; আবু দাউদ ২৫৪০; তাবারাণী, আল কাবীর ৬/১৩৫ নং ৫৭৫৬; সহীহ ইবনু খুযাইমা ৪১৯; হাকিম ১/১৯৮; বাইহাকী ১/৪১০, ৩/৩৬০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২০. ১৭৬৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৯৭,২৯৮ তে।
بَاب الدُّعَاءِ عِنْدَ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُوسَى هُوَ ابْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمِ بْنُ دِينَارٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثِنْتَانِ لَا تُرَدَّانِ أَوْ قَلَّ مَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأْسِ حِينَ يُلْحِمُ بَعْضُهُ بَعْضًا
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযানের (জবাবে) যা বলতে হয়
১২৩৩. আবী সাঈদ রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমরা মুয়াযযিনকে (আযান দিতে) শুনবে, তখন সে যা বলে, (তার জবাবে) তোমরাও সেরূপই বলবে।”[1]
তাখরীজ: সহীহ ইবনু খুযাইমা ৪১১; বুখারী ৬১১; সহীহ মুসলিম ৩৮৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৮৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৮৬ তে।
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ
পরিচ্ছেদঃ ১০. আযানের (জবাবে) যা বলতে হয়
১২৩৪. ঈসা ইবনু তালহা বলেন, আমরা মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট প্রবেশ করলে মুয়াযযিন আযান দিতে আরম্ভ করল: ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’। তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’। যখন সে (মুয়াযযিন) বললো, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: আমিও বলছি, আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, যখন সে (মুয়াযযিন) বললো, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ, তখন মুয়াবিয়া রা:ও বলতে লাগলেন: আমিও (অনুরূপ) সাক্ষ্য দিচ্ছি।’[1](রাবী) ইয়াহইয়া বলেন: আমাদের কোনো কোনো সাথী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সে যখন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ বললো, তখন তিনি ‘লা হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বললেন। তারপর মুয়াবিয়া রা: বললেন, আমি তোমাদের নবীকে এরূপই বলতে শুনেছি।’[2]
[2] তাহখ্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬১২, ৬১৩, ৯১৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৬৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৮৪, ১৬৮৭ তে। আরও দেখুন, হাফিজ ইবনু হাজার তাখরীজুল আযকার পৃ: ৩৪১ এবং পরবর্তী হাদীসটি।
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ الْأَذَانِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى مُعَاوِيَةَ فَنَادَى الْمُنَادِي فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَه إِلَّا اللَّهُ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ يَحْيَى وَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا أَنَّهُ لَمَّا قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ قَالَ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ يَقُولُ هَذَا