পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৪. খালিদ ইবন আসলাম (রহঃ) বর্ণনা করেন- উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) রমযান মাসে মেঘাচ্ছন্ন এক দিনে ইফতার করিলেন। তিনি মনে করিলেন যে, সন্ধ্যা হইয়াছে এবং সূর্য ডুবিয়াছে। অতঃপর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আমিরুল মুমিনীন সূর্য উদিত হইয়াছে। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বললেনঃ বিষয়টির সমাধান সহজ, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উমর (রাঃ) ইহার দ্বারা আমাদের মতে কাযা মুরাদ নিয়াছেন। (আল্লাহ্ সর্বজ্ঞানী) তাহার উক্তি ’বিষয়টির সমাধান সহজ’ ইহাতে মেহনতের স্বল্পতা ও ইহা সহজ হওয়াই তিনি বুঝাইতে চাহিয়াছেন। তিনি বলেনঃ ইহার পরিবর্তে আর একদিন রোযা রাখিব।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَخِيهِ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَفْطَرَ ذَاتَ يَوْمٍ فِي رَمَضَانَ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ أَمْسَى وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ طَلَعَتْ الشَّمْسُ فَقَالَ عُمَرُ الْخَطْبُ يَسِيرٌ وَقَدْ اجْتَهَدْنَا قَالَ مَالِك يُرِيدُ بِقَوْلِهِ الْخَطْبُ يَسِيرٌ الْقَضَاءَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَخِفَّةَ مَؤُونَتِهِ وَيَسَارَتِهِ يَقُولُ نَصُومُ يَوْمًا مَكَانَهُ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from his brother Khalid ibn Aslam that Umar ibn al-Khattab once broke thefast on a cloudy day thinking that evening had come and the sun had set. Then a man came to him and said, "Amir al-muminin, the sun has come out,'' and Umar said, "That's an easy matter. It was our deduction (ijtihad)."
Malik said, "According to what we think, and Allah knows best, what he was referring to when he said, 'That's an easy matter' was making up the fast, and how slight the effort involved was and how easy it was. He was saying (in effect), 'We will fast another day in its place.' "
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৫. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ যে ব্যক্তি সফর অথবা পীড়ার কারণে রোযা রাখে নাই, সে রমযানের রোযা রাখিবে একাধারে।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ يَصُومُ قَضَاءَ رَمَضَانَ مُتَتَابِعًا مَنْ أَفْطَرَهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ فِي سَفَرٍ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "Someone who breaks the fast in Ramadan because he is ill or travelling should make up the days he has missed consecutively."
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৬. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত-আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রাঃ) তাহারা উভয়ে রমযানের কাযা সম্পর্কে ইখতিলাফ (মতপার্থক্য) করিয়াছেন। একজন বলিয়াছেন, কায রোযা পৃথক পৃথক রাখা হইবে। আর একজন বলিয়াছেন, পৃথক পৃথক রাখা যাইবে না (অর্থাৎ একাধারে রাখিতে হইবে)। তাঁহাদের উভয়ের মধ্যে কে বলিয়াছেন পৃথক করা যাইবে, কে বলিয়াছেন পৃথক করা যাইবে না, তাহা আমার (নির্দিষ্ট) জানা নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ اخْتَلَفَا فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا يُفَرِّقُ بَيْنَهُ وَقَالَ الْآخَرُ لَا يُفَرِّقُ بَيْنَهُ لَا أَدْرِي أَيَّهُمَا قَالَ يُفَرِّقُ بَيْنَهُ
Yahya related to me from Malik from Ibr Shihab that Abdullah ibn Abbas and Abu Hurayra differed about making up days missed in Ramadan. One of them said that they were done separately and the other said that they were done consecutively. He did not know which one of them it was who said that they were done separately.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৭. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলতেনঃ যে রোযা অবস্থায় স্বেচ্ছায় বমি করে, তাহার উপর কায ওয়াজিব হইবে। আর যাহার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়, তাহাকে করিতে হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ اسْتَقَاءَ وَهُوَ صَائِمٌ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ وَمَنْ ذَرَعَهُ الْقَيْءُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "If some one makes himself vomit while he is fasting he has to make up a day, but if he cannot help vomiting he does not have to make up anything."
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৮. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) শুনিয়াছেন- সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে রমযানের কাযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইলে তিনি বলিতেনঃ আমার নিকট পছন্দনীয় হইতেছে রমযানের কাযাকে পৃথক না করিয়া একাধারে রাখা।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের কাযা পৃথক পৃথক করিয়া রাখিয়াছে সেই ব্যক্তিকে রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে না। সেই রোযাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট হইবে। কিন্তু আমার নিকট একাধারে রাখাই পছন্দনীয়।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের রোযা অথবা অন্য কোন ওয়াজিব রোযায় ভুলবশত আহার করে অথবা পান করে তাহাকে সেই দিনের পরিবর্তে অন্য একদিন কাযা করিতে হইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُسْأَلُ عَنْ قَضَاءِ رَمَضَانَ فَقَالَ سَعِيدٌ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ لَا يُفَرَّقَ قَضَاءُ رَمَضَانَ وَأَنْ يُوَاتَرَ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَنْ فَرَّقَ قَضَاءَ رَمَضَانَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ إِعَادَةٌ وَذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ وَأَحَبُّ ذَلِكَ إِلَيَّ أَنْ يُتَابِعَهُ قَالَ مَالِك مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فِي رَمَضَانَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا أَوْ مَا كَانَ مِنْ صِيَامٍ وَاجِبٍ عَلَيْهِ أَنَّ عَلَيْهِ قَضَاءَ يَوْمٍ مَكَانَهُ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that he heard Said ibn al Musayyab being asked about making up days missed in Ramadan, and Said said, "What I like best is for days missed in Ramadan to be made up consecutively, and not separately."
Yahya said that he had heard Malik say, about some one who made up the days he had missed in Ramadan separately, that he did not have to repeat them. (What he had done) was enough for him. It was, however, preferable, if he did them consecutively.
Malik said, "Whoever eats or drinks thoughtlessly or forgetfully in Ramadan or during any other obligatory fast that he must do, has to fast another day in its place."
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৯. মালিক (রহঃ) বর্ণনা করেন- হুমায়দ ইবন কায়েস মক্কী (রহঃ) বলিয়াছেন যে, আমি মুজাহিদ (রহঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বায়তুল্লাহ্ তওয়াফ করিতেছিলেন। এমন সময় তাহার নিকট একজন লোক আসিল এবং কাফফারার রোযা সম্পর্কে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল। উহা একাধারে রাখিতে হইবে, না আলাদা আলাদা রাখিতে পরিবে? হুমায়দ (রহঃ) বলিলেনঃ ইচ্ছা করিলে আলাদা আলাদা রাখিতে পারিবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলিলেনঃ আলাদা আলাদা রাখিবে না, কারণ উবাই ইবন কা’ব (রাঃ)-এর কিরাআতে রহিয়াছে (ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ) অর্থাৎ তিন দিন একাধারে। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার নিকট পছন্দনীয় হইল, আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনে যেরূপ নির্ধারিত করিয়াছেন সেইরূপ একাধারে রোযা রাখা।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক স্ত্রীলোক সম্পর্কে, যে স্ত্রীলোকের রমযানে ফজর হইয়াছে রোযাবস্থায়। হঠাৎ তাহার তাজা রক্ত বাহির হইল, ঋতুর নির্দিষ্ট সময় ছাড়া। অতঃপর সে লক্ষ্য রাখিবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেইরূপ রক্ত দেখার জন্য কিন্তু কিছুই দেখিল না। অন্য একদিন ফজরে হঠাৎ আর এক দফা রূক্ত বাহির হইল কিন্তু ইহা পূর্বের তুলনায় কম। অতঃপর কয়েক দিন তাহার হায়েযের পূর্ব পর্যন্ত উহ বন্ধ রহিল। সেই স্ত্রীলোক নিজের নামায ও রোযার বিষয়ে কি কৱিবে? ইহার উত্তরে মালিক (রহঃ) বলেন, সেই রক্ত হয়েযে গণ্য হইবে। যখন উহা দেখিবে রোযা ছাড়িয়া দিবে এবং সেই রোযা পরে কাযা করিবে। তাহার রক্ত বন্ধ হইয়া গেলে সে গোসল করিবে এবং রোযা রাখিবে।
মালিক (রহঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি রমযানের শেষ দিন মুসলিম হইল, তাহাকে রমযানের সকল রোযা করিতে হইবে কি? এবং যেদিন মুসলিম হইয়াছে সেই দিনের (রোযার) কাযা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? মালিক (রহঃ) প্রশ্নের উত্তরে বলিলেনঃ তাহাকে বিগত রোযা কাযা করতে হইবে না। সে আগামীতে রোযা আরম্ভ করিবে, যেদিন মুসলিম হইয়াছে সেই দিনের রোযা রাখাটা আমার নিকট পছন্দনীয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ مُجَاهِدٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَجَاءَهُ إِنْسَانٌ فَسَأَلَهُ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ الْكَفَّارَةِ أَمُتَتَابِعَاتٍ أَمْ يَقْطَعُهَا قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لَهُ نَعَمْ يَقْطَعُهَا إِنْ شَاءَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَا يَقْطَعُهَا فَإِنَّهَا فِي قِرَاءَةِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ
قَالَ مَالِك وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَكُونَ مَا سَمَّى اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ يُصَامُ مُتَتَابِعًا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْمَرْأَةِ تُصْبِحُ صَائِمَةً فِي رَمَضَانَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً مِنْ دَمٍ عَبِيطٍ فِي غَيْرِ أَوَانِ حَيْضِهَا ثُمَّ تَنْتَظِرُ حَتَّى تُمْسِيَ أَنْ تَرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَلَا تَرَى شَيْئًا ثُمَّ تُصْبِحُ يَوْمًا آخَرَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً أُخْرَى وَهِيَ دُونَ الْأُولَى ثُمَّ يَنْقَطِعُ ذَلِكَ عَنْهَا قَبْلَ حَيْضَتِهَا بِأَيَّامٍ فَسُئِلَ مَالِك كَيْفَ تَصْنَعُ فِي صِيَامِهَا وَصَلَاتِهَا قَالَ مَالِك ذَلِكَ الدَّمُ مِنْ الْحَيْضَةِ فَإِذَا رَأَتْهُ فَلْتُفْطِرْ وَلْتَقْضِ مَا أَفْطَرَتْ فَإِذَا ذَهَبَ عَنْهَا الدَّمُ فَلْتَغْتَسِلْ وَتَصُومُ وَسُئِلَ عَمَّنْ أَسْلَمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ هَلْ عَلَيْهِ قَضَاءُ رَمَضَانَ كُلِّهِ أَوْ يَجِبُ عَلَيْهِ قَضَاءُ الْيَوْمِ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءُ مَا مَضَى وَإِنَّمَا يَسْتَأْنِفُ الصِّيَامَ فِيمَا يُسْتَقْبَلُ وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَقْضِيَ الْيَوْمَ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ
Yahya related to me from Malik that Humayd ibn Oays al-Makki told him, "I was with Mujahid while he was performing tawaf around the Kaba, and a man came to him and asked whether the days (of fasting) for kaffara had to be fasted consecutively, or could they be split up. I said to him, 'Yes, they can be split up, if the person so wishes.' Mujahid said, 'He should not split them up, because in Ubayy ibn Kab's recitation they are referred to as three consecutive days.' "
Malik said, "What I like most is what Allah has specified in the Qur'an, that is, that they are fasted consecutively."
Malik was asked about a woman who began the day fasting in Ramadan and though it was outside of the time of her period, fresh blood (i.e. not menstrual blood) flowed from her. She then waited until evening to see the same, but did not see anything.Then, on the next day in the morning she had anotherflow, though less than the first. Then, some days before her period, the flow stopped completely. Malik was asked what she should do about her fasting and prayer, and he said, "This blood is like menstrual blood. When she sees it she should break her fast, and then make up the days she has missed. Then, when the blood has completely stopped, she should do ghusl and fast."
Malik was asked whether someone who became muslim on the last day of Ramadan had to make up all of Ramadan or whether he just had to make up the day when he became muslim, and he said, "He does not have to make up any of the days that have passed. He begins fasting from that day onwards. What I like most is that he makes up the day on which he became muslim."