খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ৮৮৫. যে সম্পদের যাকাত আদায় করা হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) এর অন্তর্ভুক্ত নয়। নবী (ﷺ) এর এ উক্তির কারণে যে, পাঁচ উকিয়া এর কম পরিমাণ সম্পদে যাকাত নেই।

১৩২২। আহমদ ইবনু শাবীব ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ... খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) এর সাথে বের হলাম। এক মরূবাসী তাঁকে বলল, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যারা সোনা-ও রূপা জমা করে রাখে-এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করূন। ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, যে ব্যাক্তি সম্পদ জমা করে রাখে আর এর যাকাত আদায় করে না, তার জন্য রয়েছে শাস্তি- এ তো ছিল যাকাত বিধান অবতীর্ণ হওয়ার আগের কথা।

اب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ

وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ أَخْبِرْنِي قَوْلَ اللَّهِ، ‏(‏وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلاَ يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ‏)‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ مَنْ كَنَزَهَا فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهَا فَوَيْلٌ لَهُ، إِنَّمَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ جَعَلَهَا اللَّهُ طُهْرًا لِلأَمْوَالِ‏.‏


Narrated Khalid bin Aslam: We went out with 'Abdullah bin 'Umar and a bedouin said (to 'Abdullah), "Tell me about Allah's saying: "And those who hoard up gold and silver (Al-Kanz - money, gold, silver etc., the Zakat of which has not been paid) and spend it not in the Way of Allah (V.9:34)." Ibn 'Umar said, "Whoever hoarded them and did not pay the Zakat thereof, then woe to him. But these holy Verses were revealed before the Verses of Zakat. So when the Verses of Zakat were revealed, Allah made Zakat a purifier of the property."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪/৪. যে সম্পদের যাকাত দেয়া হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) নয়।

لِقَوْلِ النَّبِيِّ  لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ উক্তির কারণে যে, পাঁচ উকিয়ার [1] কম পরিমাণ সম্পদের যাকাত নেই।


১৪০৪. খালিদ ইবনু আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর সাথে বের হলাম। এক মরুবাসী তাঁকে বললো, আল্লাহ তা’আলার বাণী :

(وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ) (التوبة: ৩৪)

’’যারা সোনা-রূপা জমা করে রাখে আর আল্লাহর পথে তা ব্যয় করে না’’-এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি সম্পদ জমা করে রাখে আর এর যাকাত আদায় করে না, তার জন্য রয়েছে শাস্তি- এ তো ছিল যাকাত বিধান অবতীর্ণ হওয়ার আগের কথা। এরপর যখন যাকাত বিধান অবতীর্ণ হলো তখন একে আল্লাহ ধন-সম্পদের পবিত্রতা অর্জনের উপায় করে দিলেন। (৪৬৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩১৯)

بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ أَخْبِرْنِي عَنْ قَوْلِ اللهِ (وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلاَ يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ) قَالَ ابْنُ عُمَرَ مَنْ كَنَزَهَا فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهَا فَوَيْلٌ لَهُ إِنَّمَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ جَعَلَهَا اللهُ طُهْرًا لِلأَمْوَالِ


Narrated Khalid bin Aslam: We went out with 'Abdullah bin 'Umar and a bedouin said (to 'Abdullah), "Tell me about Allah's saying: "And those who hoard up gold and silver (Al-Kanz - money, gold, silver etc., the Zakat of which has not been paid) and spend it not in the Way of Allah (V.9:34)." Ibn 'Umar said, "Whoever hoarded them and did not pay the Zakat thereof, then woe to him. But these holy Verses were revealed before the Verses of Zakat. So when the Verses of Zakat were revealed, Allah made Zakat a purifier of the property."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৯/৭. আল্লাহর বাণীঃ

(يَّوْمَ يُحْمٰى عَلَيْهَا فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوٰى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوْبُهُمْ وَظُهُوْرُهُمْ طهٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِاَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ).

সে দিন যখন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দিয়ে দাগিয়ে দেয়া হবে তাদের কপাল, তাদের পাঁজর এবং তাদের পৃষ্ঠদেশ, বলা হবেঃ এগুলো হল তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং যা তোমরা জমা করে রাখতে তার স্বাদ গ্রহণ কর। (সূরাহ বারাআত ৯/৩৫)


৪৬৬১. খালিদ ইবনু আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’আবদুল্লাহ ইবন ’উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে বের হলাম। তখন তিনি বললেন, এ আয়াতটি যাকাতের বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের। এরপর যাকাতের বিধান অবতীর্ণ হলে আল্লাহ তা সম্পদের পরিশুদ্ধকারী করেন। [১৪০৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩০২)

بَاب قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ :

وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ شَبِيْبِ بْنِ سَعِيْدٍ أَبِيْ عَنْ يُوْنُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ جَعَلَهَا اللهُ طُهْرًا لِلْأَمْوَالِ.


Narrated Khãlid bin Aslam: We went out with 'Abdullãh bin 'Umar and he said, "This (Verse) was revealed before the prescription of Zakat, and when Zakãt was prescribed, Allah made it a means of purifying one's wealth."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ

রেওয়ায়ত ৪৪. খালিদ ইবন আসলাম (রহঃ) বর্ণনা করেন- উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) রমযান মাসে মেঘাচ্ছন্ন এক দিনে ইফতার করিলেন। তিনি মনে করিলেন যে, সন্ধ্যা হইয়াছে এবং সূর্য ডুবিয়াছে। অতঃপর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিলঃ হে আমিরুল মুমিনীন সূর্য উদিত হইয়াছে। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বললেনঃ বিষয়টির সমাধান সহজ, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছি।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ উমর (রাঃ) ইহার দ্বারা আমাদের মতে কাযা মুরাদ নিয়াছেন। (আল্লাহ্ সর্বজ্ঞানী) তাহার উক্তি ’বিষয়টির সমাধান সহজ’ ইহাতে মেহনতের স্বল্পতা ও ইহা সহজ হওয়াই তিনি বুঝাইতে চাহিয়াছেন। তিনি বলেনঃ ইহার পরিবর্তে আর একদিন রোযা রাখিব।

بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَخِيهِ خَالِدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَفْطَرَ ذَاتَ يَوْمٍ فِي رَمَضَانَ فِي يَوْمٍ ذِي غَيْمٍ وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ أَمْسَى وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ طَلَعَتْ الشَّمْسُ فَقَالَ عُمَرُ الْخَطْبُ يَسِيرٌ وَقَدْ اجْتَهَدْنَا قَالَ مَالِك يُرِيدُ بِقَوْلِهِ الْخَطْبُ يَسِيرٌ الْقَضَاءَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَخِفَّةَ مَؤُونَتِهِ وَيَسَارَتِهِ يَقُولُ نَصُومُ يَوْمًا مَكَانَهُ


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from his brother Khalid ibn Aslam that Umar ibn al-Khattab once broke thefast on a cloudy day thinking that evening had come and the sun had set. Then a man came to him and said, "Amir al-muminin, the sun has come out,'' and Umar said, "That's an easy matter. It was our deduction (ijtihad)." Malik said, "According to what we think, and Allah knows best, what he was referring to when he said, 'That's an easy matter' was making up the fast, and how slight the effort involved was and how easy it was. He was saying (in effect), 'We will fast another day in its place.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. বিবাহের বিবিধ প্রসঙ্গ

রেওয়ায়ত ৫২. যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোককে বিবাহ করিলে অথবা দাসী ক্রয় করিলে তবে উহার ললাট (কপালের উপরের চুল) ধরিয়া বরকতের দোয়া করিবে। আর উট ক্রয় করিলে তবে উহার কোহান (উটের পিঠের কুঁজ)-এর উপরিভাগ ধরিয়া অভিশপ্ত শয়তান হইতে আল্লাহর আশ্রয় চাহিবে।

بَاب جَامِعِ النِّكَاحِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا تَزَوَّجَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ أَوْ اشْتَرَى الْجَارِيَةَ فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيَدْعُ بِالْبَرَكَةِ وَإِذَا اشْتَرَى الْبَعِيرَ فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنْ الشَّيْطَانِ


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you marry a woman or buy a slave-girl, take her by the forelock and ask for baraka. When you buy a camel, take the top of its hump, and seek refuge with Allah from Shaytan."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. ঋণে সুদ প্রসঙ্গে

রেওয়ায়ত ৮৪. যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ) বলেনঃ জাহিলিয়া যুগে সুদ ছিল এইরূপ—এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী হক রহিয়াছে যখন হক আদায় করার মুহূর্তে উপস্থিত হইয়াছে তখন (ঋণগ্রহীতাকে বলা হইত;) আমার হক আদায় করিবে, না ঋণ বৃদ্ধি করিয়া সময় বাড়াইয়া নিবে (এখন) ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ শোধ করে (তবে ভাল কথা), অন্যথায় ঋণের হার বাড়াইয়া দেওয়া হইতে এবং ঋণদাতা মেয়াদ আরও পিছাইয়া দিত (ইহাই ছিল জাহিলিয়ার সুদ)।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাকরূহ বিষয় যাহাতে কোন দ্বিমত নাই তাহা হইতেছে এই, এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী ঋণ রহিয়াছে। ঋণদাতা কিছু পরিমাণ ঋণ কমাইয়া দিল, ঋণগ্রহীতা (মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে) ঋণ পরিশোধ করিয়া দিল। মালিক (রহঃ) বলেন, ইহা আমাদের নিকট এইরূপ যেমন কোন ব্যক্তি ঋণ আদায়ের সময় যখন উপস্থিত হইল তখন ঋণগ্রহীতার জন্য মেয়াদ আরও বাড়াইয়া দিল (ইহার পরিবর্তে) ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার জন্য ঋণ (পরিশোধ করার সময়) কিছু বাড়াইয়া দিল, ইহাই প্রকৃত সুদ যাহাতে কোন সন্দেহ নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির অপর এক ব্যক্তির উপর একশত দীনার (ঋণ) রহিয়াছে মেয়াদে পরিশোধযোগ্য। যখন মেয়াদ উত্তীর্ণ হইল তখন ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে বলিল—আমার নিকট একটি পণ্য বিক্রয় কর, যাহার নগদ মূল্য একশত দীনার এবং বাকী মূল্য হইতেছে দেড়শত দীনার। মালিক (রহঃ) বলেন, এই বিক্রয় জায়েয হইবে না আহলে ইলম (উলামা) সর্বদা ইহা হইতে নিষেধ করিতেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, সে (ক্রেতা) ইহা (বিক্রেতা)-কে বিক্রীত বস্তুর মূল্য পরিশোধ করিতেছে, বিক্রেতা ক্রেতাকে দ্বিতীয়বার যেই সময় উল্লেখ করিয়াছে সেই সময় পর্যন্ত ক্রেতার জন্য মেয়াদ পিছাইয়া দিতেছে এবং এই পিছাইয়া দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পঞ্চাশ দীনার তাহার উপর বৃদ্ধি করিল, ইহা মাকরূহ, জায়েয নহে। যায়দ ইবন আসলাম (রহঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত জাহিলিয়া যুগের বেচাকেনার ইহা সদৃশ তাহারা ঋণ আদায় করার যখন মেয়াদ উপস্থিত হইত, তখন তাহারা ঋণগ্রহীতাকে বলিত, হয়ত ঋণ পরিশোধ কর, নচেৎ ঋণে কিছু বাড়তি দাও, অতঃপর যদি (ঋণগ্রহীতা) ঋণ পরিশোধ করে, তাহারা উহা গ্রহণ করিত, আর (যথাসময়ে) পরিশোধ না করিত, তবে তাহারা তাহদের প্রাপ্য হকসমূহে কিছু পরিমাণ বৃদ্ধি করিয়া দিত এবং ঋণগ্রহীতার জন্য মেয়াদ বাড়াইয়াদিত।

بَاب مَا جَاءَ فِي الرِّبَا فِي الدَّيْنِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ الرِّبَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ الْحَقُّ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا حَلَّ الْأَجَلُ قَالَ أَتَقْضِي أَمْ تُرْبِي فَإِنْ قَضَى أَخَذَ وَإِلَّا زَادَهُ فِي حَقِّهِ وَأَخَّرَ عَنْهُ فِي الْأَجَلِ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمَكْرُوهُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ الدَّيْنُ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ الطَّالِبُ وَيُعَجِّلُهُ الْمَطْلُوبُ وَذَلِكَ عِنْدَنَا بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يُؤَخِّرُ دَيْنَهُ بَعْدَ مَحِلِّهِ عَنْ غَرِيمِهِ وَيَزِيدُهُ الْغَرِيمُ فِي حَقِّهِ قَالَ فَهَذَا الرِّبَا بِعَيْنِهِ لَا شَكَّ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ عَلَى الرَّجُلِ مِائَةُ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ فَإِذَا حَلَّتْ قَالَ لَهُ الَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ بِعْنِي سِلْعَةً يَكُونُ ثَمَنُهَا مِائَةَ دِينَارٍ نَقْدًا بِمِائَةٍ وَخَمْسِينَ إِلَى أَجَلٍ هَذَا بَيْعٌ لَا يَصْلُحُ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْهُ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يُعْطِيهِ ثَمَنَ مَا بَاعَهُ بِعَيْنِهِ وَيُؤَخِّرُ عَنْهُ الْمِائَةَ الْأُولَى إِلَى الْأَجَلِ الَّذِي ذَكَرَ لَهُ آخِرَ مَرَّةٍ وَيَزْدَادُ عَلَيْهِ خَمْسِينَ دِينَارًا فِي تَأْخِيرِهِ عَنْهُ فَهَذَا مَكْرُوهٌ وَلَا يَصْلُحُ وَهُوَ أَيْضًا يُشْبِهُ حَدِيثَ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ فِي بَيْعِ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا حَلَّتْ دُيُونُهُمْ قَالُوا لِلَّذِي عَلَيْهِ الدَّيْنُ إِمَّا أَنْ تَقْضِيَ وَإِمَّا أَنْ تُرْبِيَ فَإِنْ قَضَى أَخَذُوا وَإِلَّا زَادُوهُمْ فِي حُقُوقِهِمْ وَزَادُوهُمْ فِي الْأَجَلِ


Malik related to me that Zayd ibn Aslam said, "Usury in the Jahiliyya was that a man would give a loan to a man for a set term. When the term was due, he would say, 'Will you pay it off or increase me?' If the man paid, he took it. If not, he increased him in his debt and lengthened the term for him ." Malik said, "The disapproved of way of doing things about which there is no dispute among us, is that a man should give a loan to a man for a term, and then the demander reduce it and the one from whom it is demanded pay it in advance. To us that is like someone who delays repaying his debt after it is due to his creditor and his creditor increases his debt." Malik said, "This is nothing else but usury. No doubt about it." Malik spoke about a man who loaned one hundred dinars to a man for two terms. When it was due, the person who owed the debt said to him, "Sell me some goods, whose price is one hundred dinars in cash for one hundred and fifty on credit." Malik said, "This transaction is not good, and the people of knowledge still forbid it." Malik said, "This is disapproved of because the creditor himself gives the debtor the price of what the man sells him, and he defers repayment of the hundred of the first transaction for the debtor for the term which is mentioned to him in the second transaction, and the debtor increases him with fifty dinars for his deferring him. That is disapproved of and it is not good. It also resembles the hadith of Zayd ibn Aslam about the transactions of the people of the Jahiliyya. When their debts were due, they said to the person with the debt, 'Either you pay in full or you increase it.' If they paid, they took it, and if not they increased debtors in their debts, and extended the term for them."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. জিহ্বার গুনাহ প্রসঙ্গে

রেওয়ায়ত ১২. যাইদ ইবনে আসলম (রাঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর নিকট গিয়া দেখিলেন যে, আবু বকর (রাঃ) স্বীয় জিহ্বা ধরিয়া টানিতেছেন। উমর (রাঃ) বলিলেন, রাখুন (অর্থাৎ এই রকম করবেন না), আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, এই জিহ্বাই তো আমাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলিয়া দিয়াছে!

بَاب مَا جَاءَ فِيمَا يُخَافُ مِنْ اللِّسَانِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ دَخَلَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَهُوَ يَجْبِذُ لِسَانَهُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ مَهْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ هَذَا أَوْرَدَنِي الْمَوَارِدَ


Malik related to me from Zayd ibn Aslam from his father that Umar ibn al-Khattab came upon Abu Bakr as-Siddiq pulling his tongue. Umar said to him, "Stop, may Allah forgive you!" Abu Bakr replied, "This has brought me to dangerous places."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. যেই সদকা মাকরূহ

রেওয়ায়ত ১৫. যায়দ ইবনে আসলামের পিতা হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, আবদুল্লাহ ইবনে আরকম (রাঃ) আমাকে বলিলেন, আমাকে কোন সওয়ারীর উট দেখাও। আমি উহা আমীরুল মু’মিনীনকে বলিয়া ব্যবহার করিব। আমি বলিলাম, হ্যাঁ, আছে। তবে উহা সদকার উট। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনে আরকম বলিলেন, তুমি কি ইহা পছন্দ করিবে? গরমের দিনে কেহ স্বীয় লজ্জাস্থান এবং রানের গোড়া ধুইয়া সেই পানি তোমাকে খাওয়াইতে চাহিলে তুমি উহা খাইবে? আসলামের পিতা বলেন, আমার বড় রাগ হইল, তাহাকে বলিলাম, আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন, তুমি আমাকে এই রকম কথা বলিতেছ? আবদুল্লাহ বলিলেন, সদকাও মানুষের ময়লা ধোয়া পানি।

باب مَا يُكْرَهُ مِنْ الصَّدَقَةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ ادْلُلْنِي عَلَى بَعِيرٍ مِنْ الْمَطَايَا أَسْتَحْمِلُ عَلَيْهِ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَقُلْتُ نَعَمْ جَمَلًا مِنْ الصَّدَقَةِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ أَتُحِبُّ أَنَّ رَجُلًا بَادِنًا فِي يَوْمٍ حَارٍّ غَسَلَ لَكَ مَا تَحْتَ إِزَارِهِ وَرُفْغَيْهِ ثُمَّ أَعْطَاكَهُ فَشَرِبْتَهُ قَالَ فَغَضِبْتُ وَقُلْتُ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ أَتَقُولُ لِي مِثْلَ هَذَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ أَوْسَاخُ النَّاسِ يَغْسِلُونَهَا عَنْهُمْ


Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that his father said, "Abdullah ibn al-Arqam said, 'Show me a riding-camel which the amir al-muminim can give me to use.' I said, 'Yes. One of the sadaqa camels.' Abdullah ibn al-Arqam said, 'Would you want a stout man on a hot day to wash for you what is under his lower garment and its folds, and then give it to you to drink?' I was angry and said, 'May Allah forgive you! Why do you say such things to me?' Abdullah ibn al-Arqam said, 'Sadaqa is the impurities of people which they wash off themselves.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু আসলাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে