পরিচ্ছেদঃ ১৮. নফল রোযার কাযা

রেওয়ায়ত ৫০. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত- নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা ও হাফসা (রাঃ)-এর নফল রোযার নিয়তে ফজর হইল এবং তাহদের উভয়ের জন্য খাদ্যদ্রব্য হাদিয়াস্বরূপ প্রেরণ করা হয়। তাহারা উহা দ্বারা রোযা ভাঙিয়া ফেলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করিলেন। ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ হাফসা (রাঃ) ছিলেন পিতার মত সাহসী। আর তিনি আমার আগে কথা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এবং আয়েশা আমরা উভয়ের নফল রোযা অবস্থায় ফজর হইল। অতঃপর আমাদের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য হাদিয়ারূপে প্রেরণ করা হয়। আমরা উহা দ্বারা রোযা ভাঙিয়া ফেলি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার বক্তব্য শোনার পর বলিলেনঃ তোমরা এই রোযার পরিবর্তে অন্য একদিন (রোযা) কাযা করিবে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ভুলবশত নফল রোযা অবস্থায় আহার অথবা পান করে, তাহার উপর কাযা ওয়াজিব নহে। নফল রোযা অবস্থায় যেই দিন আহার বা পান করিয়াছে সেই দিনের রোযা পূর্ণ করিবে এবং রোযা ভঙ্গ করিবে না। আর নফল রোযাদার যদি এমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হয়, যাহার কারণে রোযা ভাঙিতে হয়, তবে তাহাকে কাযা করিতে হইবে না, যদি কোন ওযরবশত রোযা ভাঙিয়া থাকে এবং ইচ্ছা করিয়া রোযা ভঙ্গ না করে। আর আমি সেই ব্যক্তির জন্য নফল নামাযের কাযা জরুরী মনে করি না, যে ব্যক্তি এমন কোন হাদাস-এর (পেশাব-পায়খানার আবেগ, বায়ু নির্গত হওয়ার আবেগ) কারণে নামায ভাঙিয়াছে, যাহাকে বাধা দিয়া রাখা যায় না, যাহাতে ওযুর প্রয়োজন হয়।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি নেক আমলসমূহের মধ্যে কোন নেক আমলে প্রবৃত্ত হইলে (নেক আমল বলিতে) যথা নামায, রোযা, হজ্জ বা অনুরূপ কোন নেক আমল, যাহা লোকে নফলস্বরূপ করিয়া থাকে, সেই ব্যক্তির জন্য উহা ছাড়িয়া দেওয়া সমীচীন নহে, যতক্ষণ উহা সুন্নত মুতাবিক পূর্ণ না করে। যদি নামাযের নিয়তে তকবীর বলে তবে দুই রাকাআত না পড়া পর্যন্ত উহা ছাড়িবে না। রোযা রাখিলে সেই দিনের রোযা পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইফতার করিবে না। ইহরাম বাঁধিলে তাহার হজ্জ পূর্ণ না করা পর্যন্ত ইহরাম ছাড়িবে না। যখন তাওয়াফে প্রবেশ করিবে সাত তাওয়াফ পূর্ণ না করা পর্যন্ত উহা ছাড়িবে না।

এই সকলের মধ্যে কোন ইবাদতই আরম্ভ করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া উচিত নহে, যতক্ষণ উহা পূর্ণ না করে। তবে কোন ওযরবশত যাহা তাহার জন্য প্রকাশ পায়, যেরূপ লোকের ওযর প্রকাশ পাইয়া থাকে, যেমন পীড়াসমূহ যাহার কারণে মাযুর (অক্ষম) হইয়া যায় অথবা অন্য কোন কারণে অক্ষম বলিয়া গণ্য হয়। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ তা’আলা কিতাবে ইরশাদ করিয়াছেনঃ ’পানাহার করিতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত সাদা বর্ণের সুতা (সুবহে সাদিক) কালবর্ণের সুতা (সুবহে কাযিব) হইতে প্রকাশিত না হয়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর। ফলে তাহার উপর রোযা পূর্ণ করা ওয়াজিব।

যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরাহ পূর্ণ কর। অতঃপর যদি কোন ব্যক্তি নফল হজ্জের ইহরাম বাধে যে ইতিপূর্বে ফরয হজ্জ আদায় করিয়াছে, সেই ব্যক্তির জন্য হজ্জ আরম্ভ করার পর উহা ছাড়িয়া দেওয়ার অনুমতি নাই। মাঝপথে ইহরাম ছাড়িয়া দিয়া হালাল হওয়া চলিবে না। যদি কোন ব্যক্তি কোন নফল কাজে প্রবৃত্ত হয়, তাহার জন্য উহা পূর্ণ করা ওয়াজিব, যেমন ফরযকে পূর্ণ করা হয়। আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহা অতি উত্তম।

بَاب قَضَاءِ التَّطَوُّعِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْبَحَتَا صَائِمَتَيْنِ مُتَطَوِّعَتَيْنِ فَأُهْدِيَ لَهُمَا طَعَامٌ فَأَفْطَرَتَا عَلَيْهِ فَدَخَلَ عَلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقَالَتْ حَفْصَةُ وَبَدَرَتْنِي بِالْكَلَامِ وَكَانَتْ بِنْتَ أَبِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصْبَحْتُ أَنَا وَعَائِشَةُ صَائِمَتَيْنِ مُتَطَوِّعَتَيْنِ فَأُهْدِيَ إِلَيْنَا طَعَامٌ فَأَفْطَرْنَا عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْضِيَا مَكَانَهُ يَوْمًا آخَرَ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا فِي صِيَامِ تَطَوُّعٍ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَلْيُتِمَّ يَوْمَهُ الَّذِي أَكَلَ فِيهِ أَوْ شَرِبَ وَهُوَ مُتَطَوِّعٌ وَلَا يُفْطِرْهُ وَلَيْسَ عَلَى مَنْ أَصَابَهُ أَمْرٌ يَقْطَعُ صِيَامَهُ وَهُوَ مُتَطَوِّعٌ قَضَاءٌ إِذَا كَانَ إِنَّمَا أَفْطَرَ مِنْ عُذْرٍ غَيْرَ مُتَعَمِّدٍ لِلْفِطْرِ وَلَا أَرَى عَلَيْهِ قَضَاءَ صَلَاةِ نَافِلَةٍ إِذَا هُوَ قَطَعَهَا مِنْ حَدَثٍ لَا يَسْتَطِيعُ حَبْسَهُ مِمَّا يَحْتَاجُ فِيهِ إِلَى الْوُضُوءِ قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَدْخُلَ الرَّجُلُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَمَا أَشْبَهَ هَذَا مِنْ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ الَّتِي يَتَطَوَّعُ بِهَا النَّاسُ فَيَقْطَعَهُ حَتَّى يُتِمَّهُ عَلَى سُنَّتِهِ إِذَا كَبَّرَ لَمْ يَنْصَرِفْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ وَإِذَا صَامَ لَمْ يُفْطِرْ حَتَّى يُتِمَّ صَوْمَ يَوْمِهِ وَإِذَا أَهَلَّ لَمْ يَرْجِعْ حَتَّى يُتِمَّ حَجَّهُ وَإِذَا دَخَلَ فِي الطَّوَافِ لَمْ يَقْطَعْهُ حَتَّى يُتِمَّ سُبُوعَهُ وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَتْرُكَ شَيْئًا مِنْ هَذَا إِذَا دَخَلَ فِيهِ حَتَّى يَقْضِيَهُ إِلَّا مِنْ أَمْرٍ يَعْرِضُ لَهُ مِمَّا يَعْرِضُ لِلنَّاسِ مِنْ الْأَسْقَامِ الَّتِي يُعْذَرُونَ بِهَا وَالْأُمُورِ الَّتِي يُعْذَرُونَ بِهَا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ فَعَلَيْهِ إِتْمَامُ الصِّيَامِ كَمَا قَالَ اللَّهُ وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَهَلَّ بِالْحَجِّ تَطَوُّعًا وَقَدْ قَضَى الْفَرِيضَةَ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَتْرُكَ الْحَجَّ بَعْدَ أَنْ دَخَلَ فِيهِ وَيَرْجِعَ حَلَالًا مِنْ الطَّرِيقِ وَكُلُّ أَحَدٍ دَخَلَ فِي نَافِلَةٍ فَعَلَيْهِ إِتْمَامُهَا إِذَا دَخَلَ فِيهَا كَمَا يُتِمُّ الْفَرِيضَةَ وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب ان عاىشة وحفصة زوجي النبي صلى الله عليه وسلم اصبحتا صاىمتين متطوعتين فاهدي لهما طعام فافطرتا عليه فدخل عليهما رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت عاىشة فقالت حفصة وبدرتني بالكلام وكانت بنت ابيها يا رسول الله اني اصبحت انا وعاىشة صاىمتين متطوعتين فاهدي الينا طعام فافطرنا عليه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقضيا مكانه يوما اخر قال يحيى سمعت مالك يقول من اكل او شرب ساهيا او ناسيا في صيام تطوع فليس عليه قضاء وليتم يومه الذي اكل فيه او شرب وهو متطوع ولا يفطره وليس على من اصابه امر يقطع صيامه وهو متطوع قضاء اذا كان انما افطر من عذر غير متعمد للفطر ولا ارى عليه قضاء صلاة نافلة اذا هو قطعها من حدث لا يستطيع حبسه مما يحتاج فيه الى الوضوء قال مالك ولا ينبغي ان يدخل الرجل في شيء من الاعمال الصالحة الصلاة والصيام والحج وما اشبه هذا من الاعمال الصالحة التي يتطوع بها الناس فيقطعه حتى يتمه على سنته اذا كبر لم ينصرف حتى يصلي ركعتين واذا صام لم يفطر حتى يتم صوم يومه واذا اهل لم يرجع حتى يتم حجه واذا دخل في الطواف لم يقطعه حتى يتم سبوعه ولا ينبغي ان يترك شيىا من هذا اذا دخل فيه حتى يقضيه الا من امر يعرض له مما يعرض للناس من الاسقام التي يعذرون بها والامور التي يعذرون بها وذلك ان الله تبارك وتعالى يقول في كتابه وكلوا واشربوا حتى يتبين لكم الخيط الابيض من الخيط الاسود من الفجر ثم اتموا الصيام الى الليل فعليه اتمام الصيام كما قال الله وقال الله تعالى واتموا الحج والعمرة لله فلو ان رجلا اهل بالحج تطوعا وقد قضى الفريضة لم يكن له ان يترك الحج بعد ان دخل فيه ويرجع حلالا من الطريق وكل احد دخل في نافلة فعليه اتمامها اذا دخل فيها كما يتم الفريضة وهذا احسن ما سمعت


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that A'isha and Hafsa, the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, began fasting voluntarily one morning and then food was given to them and they broke their fast with it. Then the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came in. A'isha said, "Hafsa asked, anticipating me in speech - she took after her father Umar - 'Messenger of Allah, A'isha and I began the morning fasting voluntarily and then food was given us and we broke the fast with it.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Fast another day in its place.' "


Yahya said that he heard Malik say, "Someone who eats or drinks out of neglect or forgetfulness during a voluntary fast does not have to repeat his fast, but he should continue fasting for the rest of the day in which he eats or drinks while voluntarily fasting, and not stop fasting. Someone to whom something unexpected happens which causes him to break his fast while he is fasting voluntarily does not have to repeat his fast if he has broken it for a reason, and not simply because he decided to break his fast. Just as I do not think that someone has to repeat a voluntary prayer if he has had to stop it because of some discharge which he could prevent and which meant that he had to repeat his wudu."

Malik said, "Once a man has begun doing any of the right actions (al-amal as-saliha) such as the prayer, the fast and the hajj, or similar right actions of a voluntary nature, he should not stop until he has completed it according to what the sunna for that action is. If he says the takbir he should not stop until he has prayed two rakas. If he is fasting he should not break his fast until he has completed that day's fast. If he goes into ihram he should not return until he has completed his hajj, and if he begins doing tawaf he should not stop doing so until he has gone around the Kaba seven times. He should not stop doing any of these actions once he has started them until he has completed them, except if something happens such as illness or some other matter by which a man is excused. This is because Allah, the Blessed and Exalted, says in His Book, 'And eat and drink until the white thread becomes clear to you from the black thread of dawn, (and) then complete the fast until night-time,' (Sura 2 ayat 187), and so he must complete his fast as Allah has said. Allah, the Exalted, (also) says, 'And complete the hajj and the umra for Allah,' and so if a man were to go into ihram for a voluntary hajj having done his one obligatory hajj (on a previous occasion), he could not then stop doing his hajj having once begun it and leave ihram while in the middle of his hajj. Anyone that begins a voluntary act must complete it once he has begun doing it, just as an obligatory act must be completed . This is the best of what I have heard."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
১৮. রোযা (كتاب الصيام) 18/ Fasting