লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রমযানের কাযা ও কাফফারা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৪৯. মালিক (রহঃ) বর্ণনা করেন- হুমায়দ ইবন কায়েস মক্কী (রহঃ) বলিয়াছেন যে, আমি মুজাহিদ (রহঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বায়তুল্লাহ্ তওয়াফ করিতেছিলেন। এমন সময় তাহার নিকট একজন লোক আসিল এবং কাফফারার রোযা সম্পর্কে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল। উহা একাধারে রাখিতে হইবে, না আলাদা আলাদা রাখিতে পরিবে? হুমায়দ (রহঃ) বলিলেনঃ ইচ্ছা করিলে আলাদা আলাদা রাখিতে পারিবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলিলেনঃ আলাদা আলাদা রাখিবে না, কারণ উবাই ইবন কা’ব (রাঃ)-এর কিরাআতে রহিয়াছে (ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ) অর্থাৎ তিন দিন একাধারে। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার নিকট পছন্দনীয় হইল, আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনে যেরূপ নির্ধারিত করিয়াছেন সেইরূপ একাধারে রোযা রাখা।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক স্ত্রীলোক সম্পর্কে, যে স্ত্রীলোকের রমযানে ফজর হইয়াছে রোযাবস্থায়। হঠাৎ তাহার তাজা রক্ত বাহির হইল, ঋতুর নির্দিষ্ট সময় ছাড়া। অতঃপর সে লক্ষ্য রাখিবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেইরূপ রক্ত দেখার জন্য কিন্তু কিছুই দেখিল না। অন্য একদিন ফজরে হঠাৎ আর এক দফা রূক্ত বাহির হইল কিন্তু ইহা পূর্বের তুলনায় কম। অতঃপর কয়েক দিন তাহার হায়েযের পূর্ব পর্যন্ত উহ বন্ধ রহিল। সেই স্ত্রীলোক নিজের নামায ও রোযার বিষয়ে কি কৱিবে? ইহার উত্তরে মালিক (রহঃ) বলেন, সেই রক্ত হয়েযে গণ্য হইবে। যখন উহা দেখিবে রোযা ছাড়িয়া দিবে এবং সেই রোযা পরে কাযা করিবে। তাহার রক্ত বন্ধ হইয়া গেলে সে গোসল করিবে এবং রোযা রাখিবে।
মালিক (রহঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি রমযানের শেষ দিন মুসলিম হইল, তাহাকে রমযানের সকল রোযা করিতে হইবে কি? এবং যেদিন মুসলিম হইয়াছে সেই দিনের (রোযার) কাযা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? মালিক (রহঃ) প্রশ্নের উত্তরে বলিলেনঃ তাহাকে বিগত রোযা কাযা করতে হইবে না। সে আগামীতে রোযা আরম্ভ করিবে, যেদিন মুসলিম হইয়াছে সেই দিনের রোযা রাখাটা আমার নিকট পছন্দনীয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ وَالْكَفَّارَاتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ مُجَاهِدٍ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَجَاءَهُ إِنْسَانٌ فَسَأَلَهُ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ الْكَفَّارَةِ أَمُتَتَابِعَاتٍ أَمْ يَقْطَعُهَا قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لَهُ نَعَمْ يَقْطَعُهَا إِنْ شَاءَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَا يَقْطَعُهَا فَإِنَّهَا فِي قِرَاءَةِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ قَالَ مَالِك وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَكُونَ مَا سَمَّى اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ يُصَامُ مُتَتَابِعًا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْمَرْأَةِ تُصْبِحُ صَائِمَةً فِي رَمَضَانَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً مِنْ دَمٍ عَبِيطٍ فِي غَيْرِ أَوَانِ حَيْضِهَا ثُمَّ تَنْتَظِرُ حَتَّى تُمْسِيَ أَنْ تَرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَلَا تَرَى شَيْئًا ثُمَّ تُصْبِحُ يَوْمًا آخَرَ فَتَدْفَعُ دَفْعَةً أُخْرَى وَهِيَ دُونَ الْأُولَى ثُمَّ يَنْقَطِعُ ذَلِكَ عَنْهَا قَبْلَ حَيْضَتِهَا بِأَيَّامٍ فَسُئِلَ مَالِك كَيْفَ تَصْنَعُ فِي صِيَامِهَا وَصَلَاتِهَا قَالَ مَالِك ذَلِكَ الدَّمُ مِنْ الْحَيْضَةِ فَإِذَا رَأَتْهُ فَلْتُفْطِرْ وَلْتَقْضِ مَا أَفْطَرَتْ فَإِذَا ذَهَبَ عَنْهَا الدَّمُ فَلْتَغْتَسِلْ وَتَصُومُ وَسُئِلَ عَمَّنْ أَسْلَمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ هَلْ عَلَيْهِ قَضَاءُ رَمَضَانَ كُلِّهِ أَوْ يَجِبُ عَلَيْهِ قَضَاءُ الْيَوْمِ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءُ مَا مَضَى وَإِنَّمَا يَسْتَأْنِفُ الصِّيَامَ فِيمَا يُسْتَقْبَلُ وَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَقْضِيَ الْيَوْمَ الَّذِي أَسْلَمَ فِيهِ
Yahya related to me from Malik that Humayd ibn Oays al-Makki told him, "I was with Mujahid while he was performing tawaf around the Kaba, and a man came to him and asked whether the days (of fasting) for kaffara had to be fasted consecutively, or could they be split up. I said to him, 'Yes, they can be split up, if the person so wishes.' Mujahid said, 'He should not split them up, because in Ubayy ibn Kab's recitation they are referred to as three consecutive days.' "
Malik said, "What I like most is what Allah has specified in the Qur'an, that is, that they are fasted consecutively."
Malik was asked about a woman who began the day fasting in Ramadan and though it was outside of the time of her period, fresh blood (i.e. not menstrual blood) flowed from her. She then waited until evening to see the same, but did not see anything.Then, on the next day in the morning she had anotherflow, though less than the first. Then, some days before her period, the flow stopped completely. Malik was asked what she should do about her fasting and prayer, and he said, "This blood is like menstrual blood. When she sees it she should break her fast, and then make up the days she has missed. Then, when the blood has completely stopped, she should do ghusl and fast."
Malik was asked whether someone who became muslim on the last day of Ramadan had to make up all of Ramadan or whether he just had to make up the day when he became muslim, and he said, "He does not have to make up any of the days that have passed. He begins fasting from that day onwards. What I like most is that he makes up the day on which he became muslim."