পরিচ্ছেদঃ ১৬৩৯. মানীহা অর্থাৎ দুধ পানের জন্য উট বা বকরি দেওয়ার ফাযীলত
২৪৫৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ ও ইসমাঈল (রহঃ) ... হাদীসটি মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, এতে তিনি বলেন, সাদকা হিসাবে কতইনা উত্তম (দুধেল উটনী, যা মানীহা হিসাবে দেওয়া হয়)।
باب فَضْلِ الْمَنِيحَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ وَإِسْمَاعِيلُ عَنْ مَالِكٍ قَالَ نِعْمَ الصَّدَقَةُ.
Narrated Malik:
Maniha is a good deed of charity.
পরিচ্ছেদঃ ২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৬। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উপরোক্ত ঘটনা ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জকালীন সময়ের। ইসমাঈল (রহঃ) সূত্রেও মালিক (রহঃ) থেকে অনু্রূপ বর্নিত আছে।
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ وَقَالَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ مِثْلَهُ
Malik also narrated as above, saying, "(We set out) with Allah's Messenger (ﷺ) in Hajjat-ul-Wada`...)"
This hadith also reaches us through another chain.
পরিচ্ছেদঃ ৭. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উযুর পদ্ধতি
৪৫০। ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী ... মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে আমর ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) উপরোক্ত সুত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে বলেছেন, “কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন তিনবার” আর আজলার কথা বলেন নি। অবশ্য “সম্মুখের দিকে আনলেন ও পিছনের দিকে নিলেন- কথার পর বৃদ্ধি করেছেন, “মাথার সম্মুখ থেকে পেছন পর্যন্ত মাসহ(মাসেহ) করেছেন এভাবে যে, মাথার সম্মুখ ভাগ থেকে মাসহ(মাসেহ) আরম্ব করলেন, এরপর উভয় হাত ঘাড় পর্যন্ত নিয়ে গেলেন; পুনরায় উভয় হাত ফিরিয়ে আনলেন যে স্হান থেকে আরম্ভ করেছিলেন সে স্থান পর্যন্ত, তারপর উভয় পা ধুইলেন।
باب فِي وُضُوءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ مَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا . وَلَمْ يَقُلْ مِنْ كَفٍّ وَاحِدَةٍ . وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ ثُمَّ ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ .
Malik b. Anas narrated it from 'Amr b. Yahya with the same chain of transmitters, transmitters and mentioned the rinsing (of mouth) and snuffing (of water into the nostrils) three times, but he did not mention" from one palm," and made this addition:
He moved them (his hands) for wiping to the front of his head and then the nape of his neck, then bringing them back till he reached the place from which he had begun, after which he washed his feet.
পরিচ্ছেদঃ ৩. মুত'আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩৩০২। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আদ-দুবাঈ (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) থেকে এই সুত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এই সুত্রে আছে, মুহাম্মাদ ইবনু আলী বলেন, তিনি আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) কে জনৈক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেনঃ তুমি তো সৎপথ থেকে বিচ্যুত। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষিদ্ধ করেছেন .... উক্ত হাদীসের অনুরূপ।
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ لِفُلاَنٍ إِنَّكَ رَجُلٌ تَائِهٌ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى عَنْ مَالِكٍ .
Malik narrated this hadith on the authority of the same chain of trans- witters that 'Ali b. Abil Talib said to a person:
You are a person led astray; Allah's Messenger (ﷺ) forbade us (to do Mut'a), as is stated In the hadith transmitted on the authority of Yahya b. Malik.
পরিচ্ছেদঃ ১. কাউকে কিছু দান করার পর তার থেকে সেই বস্তু ক্রয় করা মাকরূহ
৪০১৯। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন। তবে এতে তিনি আরো বলেছেন যে, তুমি তা খরীদ করবে না, যদি এক দিরহামের বিনিময়েও সে তোমাকে তা দিয়ে দেয়।
باب كَرَاهَةِ شِرَاءِ الإِنْسَانِ مَا تَصَدَّقَ بِهِ مِمَّنْ تَصَدَّقَ عَلَيْهِ
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - عَنْ مَالِكِ، بْنِ أَنَسٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ " لاَ تَبْتَعْهُ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ " .
This hadith has been narrated on the authority of Malik b. Anas with the same chain of transmitters but with this addition:
" Don't buy that even if he gives you for one dirham."
পরিচ্ছেদঃ ৭১. মুত'আ হারাম হওয়া সম্পর্কে
৩৩৭০. আমর ইবন আলী, মুহাম্মাদ ইবন বাশশার এবং মুহাম্মাদ ইবন মুসান্না (রহঃ) ... মালিক ইবন আনাস অবহিত করেছেন যে, ইবন শিহাব (রহঃ) তাকে অবহিত করেছেন, মুহাম্মাদ ইবনু আলীর দুই ছেলে আবদুল্লাহ এবং হাসান তাকে অবহিত করেছেন যে, তাদের পিতা মুহাম্মাদ ইবন আলী তাদের অবহিত করেছেন। আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের দিন মেয়েদের সাথে মুত’আ করা হতে নিষেধ করেছেন। ইবন মুসান্না (রহঃ) বলেছেনঃ হুনায়নের দিন। তিনি বলেন, আবদুল ওয়াহহাব তার কিতাব থেকে আমাদের নিকট এমনই বর্ণনা করেছেন।
تَحْرِيمُ الْمُتْعَةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالُوا أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ وَالْحَسَنَ ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَخْبَرَاهُ أَنَّ أَبَاهُمَا مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ أَخْبَرَهُمَا أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى يَوْمَ حُنَيْنٍ وَقَالَ هَكَذَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ مِنْ كِتَابِهِ
Malik bin Anas narrated that Ibn Shihab told him that 'Abdullah and Al-Hasan, the sons of Muhammad bin 'Ali, told him, that their father Muhammad bin 'Ali told them, that 'Ali bin Abi Talib, may Allah be pleased with him, said:
"The Messenger of Allah on the Day of Khaibar forbade temporary marriage to women." (One of the narrators) Ibn Al-Muthanna said: "The Day of Hunain." He said: "This is what 'Abdul-Wahhab narrated to us from his book."
পরিচ্ছেদঃ ৭. এতে অনুমতি
৩৪০৫. মুহাম্মদ ইবন সালাম (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইবন শিহাব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, সাহল ইবন সা’দ সাঈদী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, উওয়াইমির আজলানী আসিম ইবন আদীর নিকট আগমন করলো এবং বললোঃ হে আসিম! তুমি কি মনে কর, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে সে কি তাকে হত্যা করবে? যদ্দরুন লোকেরাও তাকে হত্যা করবে অথবা কি করবে? হে আসিম! তুমি আমার পক্ষ হয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রশ্নকারীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং ঐ স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনলেন, তা আসিম অতিশয় গুরুতর মনে করলো। আসিম ঘরে ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) তার নিকট এসে বললোঃ হে আসিম ! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলেছেন? আসিম উওয়াইমির (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি তো আমার নিকট ভাল খবর নিয়ে আসোনি, আমি যা জিজ্ঞাসা করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
উওয়াইমির বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবে না। এরপর উওয়াইমির লোকের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সে কি তাকে হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার এবং তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ে এসো। সাহল (রাঃ) বলেন, এরপর উভয়ে এসে লি আন’ করলো। আর তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির লি’আন শেষ করলো। তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি আমি তাকে রাখি, তাহলে লোকেরা বলবে, আমি তার উপর মিথ্যা তোহমাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ করার পূর্বেই সে তাকে তিন তালাক দিল।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَيَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عَاصِمٌ لِعُوَيْمِرٍ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتَ عَنْهَا فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لَا أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَزَلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا قَالَ سَهْلٌ فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا فَرَغَ عُوَيْمِرٌ قَالَ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَطَلَّقَهَا ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
Sahl bin Sa'd As-Sa'idi narrated that 'Uwaimir Al-'Ajlani came to 'Asim bin 'Adiy and said:
"What do you think, O 'Asim! If a man finds another man with his wife, should he kill him, and be killed in retaliation, or what should he do? O 'Asim! Ask the Messenger of Allah about that for me." So 'Asim asked the Messenger of Allah about that, and the Messenger of Allah disapproved of the question, and criticized the asking of too many questions until 'Asim felt upset. When 'Asim went back to his people, 'Uwaimir came to him and said: "O 'Asim, what did the Messenger of Allah say to you?" 'Asim said: "You have not brought me any good. The Messenger of Allah disapproved of the question you asked." 'Uwaimir said: "By Allah, I will go and ask the Messenger of Allah." So he went to the Messenger of Allah and found him in the midst of the people. He said: "O Messenger of Allah, what do you think if a man finds another man with his wife -should he kill him, and be killed in retaliation or what should he do?" The Messenger of Allah said: "Something has been revealed concerning you and your wife, so go and bring her here." Sahl said: "So they engaged in the procedure of Li'an, and I was among the people in the presence of the Messenger of Allah. When 'Uwaimir finished he said: "I would have been telling lies about her, O Messenger of Allah, if I keep her." So he divorced her thrice before the Messenger of Allah told him to do so."
পরিচ্ছেদঃ ৯. রাবী নাফি’ (রহঃ)-এর বর্ণনায় তার থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে শব্দগত পার্থক্য
৪৪৬৬. মুহাম্মদ ইবন সালামা এবং হারিস ইবন মিসকীন (রহঃ) ... মালিক (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) হতে এবং তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য তার সাথীর বিপরীতে ইখতিয়ার (ইচ্ছাধিকার) থাকবে, যাবত না তারা পৃথক হয়ে যায়। তবে ইখতিয়ারের শর্তে ক্রয়-বিক্রয় ব্যতীত (অর্থাৎ সেক্ষেত্রে পৃথক হওয়ার পরও ইখতিয়ার থাকবে)।
ذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى نَافِعٍ فِي لَفْظِ حَدِيثِهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُتَبَايِعَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِالْخِيَارِ عَلَى صَاحِبِهِ مَا لَمْ يَفْتَرِقَا إِلَّا بَيْعَ الْخِيَارِ
It was narrated from Malik, from Nafi from'Abdullah bin 'Umar that the Messenger of Allah said:
"The two parties to a transaction both have the choice so long as they both chosen to conclude the transaction."
পরিচ্ছেদঃ উত্তম সাক্ষ্যদানকারী কে।
২২৯৯. আহমাদ ইবনুল হাসান (রহঃ) ....... মালিক (রহঃ) থেকে এটি বর্ণিত আছে।
ইবন আবূ আমরা (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। অধিকাংশ মুহাদ্দিস আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা বলে উল্লেখ করেছেন। এ হাদীসটির রিওয়ায়াতে রাবীগণ মালিক (রহঃ) থেকে রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে মত পার্থক্য করেছেন। কেউ কেউ রিয়ায়াত করেছেন আবূ আমরা বলে। আর কেউ কেউ রিওয়ায়াত করেছেন ইবন আবূ আমরা বলে। ইনি হলেন আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা আনসারী। আমাদের মতে এটিই অধিক সহীহ। কেননা মালিক (রহঃ) ব্যতীত অন্য কোন সনদে আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা-যায়দ ইবন খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রের উল্লেখ রয়েছে। আবূ আমরা-যায়দ ইবন খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এটি ছাড়া অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে। সেটি অবশ্যই সহীহ। আবূ আমরা হলেন যায়দ ইবন খালিদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু এর আযাদকৃত গোলাম। আবূ আমরা (রহঃ) এর বরাতে তার গনীমতে খিয়ানত করা সম্পর্কিত একটি হাদীসও বর্ণিত আছে।
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الشُّهَدَاءِ أَيُّهُمْ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، نَحْوَهُ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَأَكْثَرُ النَّاسِ يَقُولُونَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ وَاخْتَلَفُوا عَلَى مَالِكٍ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ فَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي عَمْرَةَ وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ وَهَذَا أَصَحُّ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ أَيْضًا وَأَبُو عَمْرَةَ مَوْلَى زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ وَلَهُ حَدِيثُ الْغُلُولِ وَأَكْثَرُ النَّاسِ يَقُولُونَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ .
(Another chain) from Malik in which he said:
Ibn Abi 'Amrah."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. শংকাকালীন নামায (সালাতুল খাওফ)
৫৬৭। ইমাম মালিক তার সনদ পরম্পরায় এ হাদীসের মতো হাদীস এমন একজন সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন যিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাতুল খাওফ (শংকাকালীন নামায) আদায় করেছেন।
আবু ঈসা বলেনঃ এ বর্ণনাটিও হাসান সহীহ।
ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ হাদীস অনুযায়ী সালাতুল খাওফ আদায় করার কথা বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক এক দলের সাথে এক এক রাকাআত নামায আদায় করেছেন। এভাবে তার দুই রাকাআত পূর্ণ হয়েছে এবং মুক্তাদীদের এক রাকাআত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ
وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْخَوْفِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَةً رَكْعَةً فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ وَلَهُمْ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو عَيَّاشٍ الزُّرَقِيُّ اسْمُهُ زَيْدُ بْنُ صَامِتٍ .
It was reported by Malik from Yazid bin Ruman, :
from Salih bin Khawwat, from someone who prayed Salat Al-Khawf with the Prophet, and he mentioned a similar narration.
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৫৫. মালিক ইবনু আনাস রাহি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহুরী রাহি. কে এমন গর্ভবতী মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যে রক্ত (আসতে) দেখে। জবাবে তিনি বলেন, সে সালাত পরিত্যাগ করবে।[1]
তাখরীজ: মালিক, মু’আত্তা, ১০৩; আব্দুর রাযযাক ১২০৯; আমাদের পরিপূর্ণ বক্তব্য হলো, এর সনদ সহীহ। দেখুন আল ইসতিযকার, ৩/১৯৮, ১৯৯।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ عَنْ الْحَامِلِ تَرَى الدَّمَ فَقَالَ تَدَعُ الصَّلَاةَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৬৩. মালিক বর্ণনা করেছেন, যে তার নিকট আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে অনুরূপ বক্তব্য পৌঁছেছে।[1]
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلُ ذَلِكَ
إسناده معضل
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
১০৬৬. মালিক ইবনু আনাস সূত্রে যাইদ ইবনু আসলাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হায়িযগ্রস্ত অবস্থায় আমার স্ত্রীর (সাথে কোন কোন আচরণ) আমার জন্য হালাল? তিনি বললেন: “স্ত্রীলোক তার পাজামা শক্তভাবে বেঁধে নেবে, তারপর তার উর্ধ্বাংশে তোমার কাজ (তথা তার উর্ধ্বাংশ দ্বারা তুমি উপকৃত হতে পারো)।[1]
তাখরীজ: মালিক, তাহারাত ৯৫; বাইহাকী ৭/১৯১; তাবারাণী, আল কাবীর ১০/৩৮২ নং ১০৭৬৫; ইবনু আব্বাস হতে... যয়ীফ সনদে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১৫৭৩।
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مَا يَحِلُّ لِي مِنْ امْرَأَتِي وَهِيَ حَائِضٌ قَالَ لِتَشُدَّ عَلَيْهَا إِزَارَهَا ثُمَّ شَأْنَكَ بِأَعْلَاهَا
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
১০৬৭. মালিক রাহি. থেকে বর্ণিত, নাফি’ রাহি. বলেন, (আব্দুল্লাহ ইবনু) আব্দুল্লাহ ইবনু উমার এক ব্যক্তিকে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার নিকট এ কথা জিজ্ঞেস করতে পাঠালেন যে, হায়িয অবস্থায় কোনো লোক তার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে পারবে কি? তখন তিনি বললেন: তার নিচের অংশে ইযার (নিম্নাংশের পরিধেয় কাপড়) শক্ত করে বেঁধে নেবে, অতঃপর স্বামী তার সাথে মেলামেশা করিবে।[1]
তাখরীজ: মালিক তাহারাত ৯৭; বাইহাকী ৭/১৯০-১৯১; আব্দুর রাযযাক নং ১২৪১।
আয়িশা ও মায়মুনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বুখারী মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে কোনো ব্যক্তির জিজ্ঞাসার জবাবে, যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সাথে কেমন আচরণ করতেন তাদের হায়িয অবস্থায়। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন। আরও দেখুন, ইবনু আবী শাইবা ৪/২৫৪, ২৫৫।
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا خَالِدٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ قَالَ أَرْسَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِلَى عَائِشَةَ لِيَسْأَلَهَا هَلْ يُبَاشِرُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ فَقَالَتْ لِتَشُدَّ إِزَارَهَا عَلَى أَسْفَلِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا
পরিচ্ছেদঃ ১০৮. হায়িযগ্রস্ত মহিলা তার স্বামীর চুল আঁচড়ে দিতে পারে
১০৯৪. মালিক রাহি. হতে বর্ণিত, নাফিঈ’ রাহি. বলেন, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর দাসীগণ তার পা দু’টি ধুয়ে দিত এবং তাকে ’খুমরাহ’ বা জায়নামায এনে দিত; অথচ তখন তারা হায়িযগ্রস্ত থাকত।[1]
তাখরীজ: মালিক ৯০; আব্দুর রাযযাক নং ১২৫৫; ইবনু আবী শাইবা ১/২০২।
بَاب الْحَائِضِ تَمْشُطُ زَوْجَهَا
أَخْبَرَنَا خَالِدٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ قَالَ كُنَّ جَوَارِي ابْنِ عُمَرَ يَغْسِلْنَ رِجْلَيْهِ وَهُنَّ حُيَّضٌ وَيُعْطِينَهُ الْخُمْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৩. মুত্'আহ বিবাহ বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, অতঃপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত স্থির থাকবে
৩৩২৩-(.../...) আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয যুবাঈ (রহঃ) ..... মালিক (রহঃ) থেকে এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এ সূত্রে আছে, মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী বলেন, তিনি আলী ইবনু আবূ তলিব (রাযিঃ) কে জনৈক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেন, তুমি তো সৎপথ থেকে বিচ্যুত। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষিদ্ধ করেছেন ..... উক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৯৮, ইসলামীক সেন্টার ৩২৯৬)
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ لِفُلاَنٍ إِنَّكَ رَجُلٌ تَائِهٌ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى عَنْ مَالِكٍ .
Malik narrated this hadith on the authority of the same chain of trans- witters that 'Ali b. Abil Talib said to a person:
You are a person led astray; Allah's Messenger (ﷺ) forbade us (to do Mut'a), as is stated In the hadith transmitted on the authority of Yahya b. Malik.
পরিচ্ছেদঃ ১. কাউকে কিছু দান করার পর সে বস্তুটি তার কাছ থেকে ক্রয় করা মাকরূহ
৪০৫৬-(.../...) যুহায়র ইবনু হারব ও আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ) ..... মালিক ইবনু আনাস (রাযিঃ) থেকে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন। তবে এতে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে, তুমি তা ক্রয় করতে যাবে না, যদিও এক দিরহামের বিনিময়ে সে তোমাকে তা দিয়ে দেয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪০১৯, ইসলামিক সেন্টার ৪০১৮)
باب كَرَاهَةِ شِرَاءِ الإِنْسَانِ مَا تَصَدَّقَ بِهِ مِمَّنْ تَصَدَّقَ عَلَيْهِ
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - عَنْ مَالِكِ، بْنِ أَنَسٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ " لاَ تَبْتَعْهُ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ " .
This hadith has been narrated on the authority of Malik b. Anas with the same chain of transmitters but with this addition:
" Don't buy that even if he gives you for one dirham."
পরিচ্ছেদঃ ৩. হিংস্র পশু ও নখরওয়ালা পাখি খাওয়া হারাম
৪৮৮৭-(…/...) আবূ তাহির (রহঃ) ... মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৮৩৮, ইসলামিক সেন্টার ৪৮৪১)
باب تَحْرِيمِ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
This hadith has been narrated through another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৪৫-[৮] হাদীসটি ইমাম মালিক (রহঃ) ’উরওয়াহ্ (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এটা হাসান গরীব।[1]
وَرَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ عُرْوَةَ مُرْسَلًا. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে
৩২৯৩-[২০] মালিক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তাঁর নিকট (বিশ্বস্ত সূত্রে) খবর এসেছে যে, জনৈক ব্যক্তি ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি স্বীয় স্ত্রীকে একশ’ তালাক দিয়েছি, এ সম্পর্কে আমার প্রতি আপনার অভিমত কি? উত্তরে তিনি বললেন, তিনটির মাধ্যমেই তোমার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হয়েছে, বাকি সাতানব্বইটি দ্বারা তুমি আল্লাহর আয়াত (শারী’আতের বিধান)-এর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছ। (মুয়াত্ত্বা)[1]
وَعَن مَالك بلغه رَجُلًا قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: إِنِّي طَلَّقْتُ امْرَأَتِي مِائَةَ تَطْلِيقَةٍ فَمَاذَا تَرَى عَلَيَّ؟ فَقَالَ ابْن عَبَّاس: طلقت مِنْك ثَلَاث وَسَبْعٌ وَتِسْعُونَ اتَّخَذْتَ بِهَا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ
ব্যাখ্যা: ত্বলাকের উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করা, বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত করা। এই উদ্দেশ্য এক ত্বলাকের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা যায়, দুই বা তিন ত্বলাকের প্রয়োজন হয় না। এরপরও যদি কেউ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক দিতে চায় তাহলে এই তিন পর্যন্তই, তার বেশি নয়।
পবিত্র কুরআনে এই তিনের কথাই বলা হয়েছে এবং তা পর্যায়ক্রমে যে, সূরা আল বাকারা-এর ২২৯ ও ২৩০ আয়াতে যা উল্লেখ হয়েছে।
ত্বলাকের এই অধিকার ও পন্থা পরিত্যাগ করে কেউ যদি একই সঙ্গে বহু সংখ্যক তালাক প্রদান করে তবে সেটা সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর কিতাব বা বিধান নিয়ে খেল-তামাশার শামিল হবে।