পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮১. আবু কাতাদা আনসারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার কন্যা যয়নব (রাঃ)-এর মেয়ে উমামাকে উঠাইয়া নামায পড়িতেন। উমামার পিতা হইতেছেন আবুল আস ইবন রবিআ ইবন আবদ শামস। হযরত গ্ৰ সিজদা করার সময় তাহাকে রাখিয়া দিতেন, আবার উঠার সময় তাহাকে উঠাইয়া নিতেন।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ حَامِلٌ أُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِأَبِي الْعَاصِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا
Yahya related to me from Malik from Amir ibn Abdullah ibn az- Zubayr from Amr ibn Sulaym az-Zuraqi from Abu Qutada al-Ansari that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray carrying Umama, who was the daughter of his daughter Zaynab by Abu'l As ibn Rabia ibn Abd Shams. When he prostrated, he put her down, and when he got up he carried her.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮২. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের মধ্যে ফেরেশতাগণ পালাবদল করিয়া আসা-যাওয়া করেন। একদল ফেরেশতা রাত্রে এবং আর একদল দিনে, আর আসর ও ফজরের নামাযে তাহারা একত্র হন। অতঃপর যাহারা রাত্রে তোমাদের মধ্যে ছিলেন, তাহারা উর্ধ্বলোকে চলিয়া যান। আল্লাহ্ তা’আলা আপন বান্দাদের অবস্থা অধিক জ্ঞাত, তবুও তিনি ফেরেশতাগণকে প্রশ্ন করেনঃ তোমরা আমার বান্দাগণকে কি অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছ? উত্তরে ফেরেশতাগণ বলেন, আমরা তাহাদিগকে নামাযরত অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছি এবং আমরা যখন তাঁহাদের নিকট গমন করিয়াছিলাম তখনও তাহারা নামাযে রত ছিলেন।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلَاةِ الْعَصْرِ وَصَلَاةِ الْفَجْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ
Yahya related to me from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A group of angels in the night and a group of angels in the day alternate with each other among you, and gather together at the time of the asr and fajr prayers. Then those that have spent the night among you ascend, and He asks them, and He knows best, 'How did you leave my slaves?' and they say, 'When we left them they were praying, and when we came to them they were praying.' "
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আবু বকরকে বলিয়া দাও, তিনি যেন লোকের ইমামতি করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আবু বকর আপনার স্থানে দাঁড়াইলে কান্নার জন্য লোকে তাহার আওয়াযই শুনিতে পাইবে না। কাজেই আপনি লোকের ইমামতি করার জন্য উমর (রাঃ)-কে নির্দেশ প্রদান করুন। তিনি বলিলেনঃ আবু বকরকে বলিয়া দাও তিনি যেন লোকের ইমামতি করেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি হাফসাকে বলিলাম তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বল, আবু বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থানে দাঁড়াইবেন, কান্নার জন্য লোকে তাহার আওয়ায শুনিতে পাইবে না, কাজেই লোকের ইমামতি করার জন্য উমর (রাঃ)-কে বলুন। হাফসা (রাঃ) উহা করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার উত্তরে বলিলেনঃ তোমরা অবশ্যই ইউসুফ (আঃ)-এর সঙ্গিনী নারীদের মত। আবু বকরকেই বলিয়া দাও, তিনি যেন লোকের ইমামতি করেন। (এই উত্তর শুনিয়া) হাফসা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমার নিকট হইতে কোন মঙ্গল লাভ করি নাই।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ قَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكُنْ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father from A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Tell Abu Bakr to lead the people in prayer." A'isha said, "Messenger of Allah, when Abu Bakr stands in your place his voice does not reach the ears of the people because of his weeping, so tell Umar to lead the people in prayer." He said, "Tell Abu Bakr to lead the people in prayer." A'isha continued, "I told Hafsa to tell him that when Abu Bakr stood in his place his voice did not reach the ears of the people because of his weeping, and that he should tell Umar to lead the people in prayer. Hafsa did so, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'You are the companions of Yusuf! (referring to the women who cut their hands when they saw the beauty of Yusuf). Tell Abu Bakr to lead the people in prayer!' "
A'isha added that Hafsa said to her, "I have never had anything good from you!"
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৪. উবায়দুল্লাহ ইবন আদী ইবন খিয়ার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকের (সাহাবীগণের) মধ্যে বিরাজমান ছিলেন। এমন সময় একজন লোক তাহার খিদমতে উপস্থিত হইলেন এবং তাহার সহিত চুপে চুপে কথা বললেন। সেই ব্যক্তি চুপে চুপে কি যে বললেন তাহা আমরা জানিতে পারিলাম না। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু উচ্চস্বরে আলাপ করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন আমরা জানিতে পারিলাম যে উক্ত ব্যক্তি মুনাফিকদের মধ্য হইতে জনৈক মুনাফিককে কতল করার অনুমতি প্রার্থনা করিতেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু জোরে কথা বলিতে আরম্ভ করিলেন এবং আগন্তুককে প্রশ্ন করিলেনঃ সেই মুনাফিক ব্যক্তিটি কি এই কথার সাক্ষ্য দেয় নাই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রাসূল? সেই ব্যক্তি বললেনঃ হ্যাঁ, কিন্তু তাহার শাহাদত বিশ্বাসযোগ্য নহে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইলেনঃ সে কি নামায পড়ে না? আগন্তুক বললেনঃ হ্যাঁ, তবে তাহার নামায নির্ভরযোগ্য নহে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ ইহারাই সেই লোক, যাহাদের (হত্যা করা) হইতে আল্লাহ আমাকে বিরত রাখিয়াছেন।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ النَّاسِ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَلَمْ يُدْرَ مَا سَارَّهُ بِهِ حَتَّى جَهَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هُوَ يَسْتَأْذِنُهُ فِي قَتْلِ رَجُلٍ مِنْ الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ جَهَرَ أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ الرَّجُلُ بَلَى وَلَا شَهَادَةَ لَهُ فَقَالَ أَلَيْسَ يُصَلِّي قَالَ بَلَى وَلَا صَلَاةَ لَهُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُولَئِكَ الَّذِينَ نَهَانِي اللَّهُ عَنْهُمْ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Ata ibn Yazid al-Laythi that Ubaydullah ibn Adi ibnal-Khiyar said, "Once when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was sitting with some people, a man came to him and spoke secretly to him. Nobody knew what he had said until the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, disclosed that he had asked for permission to kill one of the hypocrites. When he disclosed this, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Doesn't he testify that there is no god but Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah?' The man replied, 'Of course, but he hasn't really done so.' He said, 'Doesn't he do the prayer?' and the man replied, 'Of course, but he doesn't really do the prayer.' He said, may Allah bless him and grant him peace, 'Those are the ones whom Allah has forbidden me (to kill).' "
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৫. আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ হে আল্লাহ্! আমার কবরকে পূজ্য মূর্তি বানাইও না। সেই সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর ক্ষোভ প্রবল হইয়াছে, যে সম্প্রদায় তাহাদের নবীগণের কবরকে মসজিদ বা সিজদার জায়গা বানাইয়া লইয়াছে।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْ قَبْرِي وَثَنًا يُعْبَدُ اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "O Allah! Do not make my grave an idol that is worshipped. The anger on those who took the graves of their Prophets as places of prostration was terrible."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৬. মাহমুদ ইবন লবীদ আনসারী (রহঃ) বলেনঃ উতবান ইবন মালিক (রাঃ) আপন সম্প্রদায়ের লোকদের ইমামতি করিতেন, তিনি ছিলেন অন্ধ। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আরজ করিলেনঃ আমাকে অনেক সময় অন্ধকার, বৃষ্টি ও স্রোতের সম্মুখীন হইতে হয়, আর আমি হইলাম দুর্বল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন লোক, তাই হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার গৃহের কোন স্থানে নামায পড়ুন, আমি উহাকে নামাযের স্থান নির্ধারণ করিব। তাহার আবেদন রক্ষার্থে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার গৃহে পদার্পণ করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, কোন স্থানে নামায পড়া তুমি পছন্দ কর। তিনি ইশারায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি নির্দিষ্ট স্থান তাহার গৃহ হইতে দেখাইলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই স্থানে নামায পড়িলেন।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ كَانَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ وَهُوَ أَعْمَى وَأَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا تَكُونُ الظُّلْمَةُ وَالْمَطَرُ وَالسَّيْلُ وَأَنَا رَجُلٌ ضَرِيرُ الْبَصَرِ فَصَلِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي بَيْتِي مَكَانًا أَتَّخِذْهُ مُصَلًّى فَجَاءَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ فَأَشَارَ لَهُ إِلَى مَكَانٍ مِنْ الْبَيْتِ فَصَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Mahmud ibn Rabi al-Ansari that Utban ibn Malik, who was a blind man, used to lead his people in prayer, and he said to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, "Sometimes it is dark and rainy and there is a lot of water around outside, and I am a man who has lost his sight. Messenger of Allah, pray in a certain place in my house so that I can take it as a place to pray." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came to him and said, "Where would you like me to pray?" He indicated a place to him and the Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed there.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৭. আব্বাদ ইবন তামীম (রহঃ) তাহার চাচা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মসজিদে চিৎ হইয়া শায়িত দেখিয়াছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক পা অপর পায়ের উপর রাখিয়াছিলেন।
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলেনঃ উমর ইবন খাত্তাব ও উসমান ইবন আফফান (রাঃ) উভয়ে অনুরূপ করিতেন।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ عَمِّهِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا كَانَا يَفْعَلَانِ ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abbad ibn Tamim from his paternal uncle that he saw the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, lying down in the mosque with one foot on top of the other.
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Said ihn al-Musayyab that Umar ibn al Khattab and Uthman ibn Affan, may Allah be pleased with them, used to do the same.
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৮. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছেনঃ তুমি এমন এক যুগে বাস করিতেছ, যে যুগে ধর্মীয় বিষয়ে বিজ্ঞ অনেক আলিম রহিয়াছেন, কারী আছেন কম (অর্থাৎ আমল ও জ্ঞান ছাড়া কেবল কুরআন পাঠকারীদের সংখ্যা অতি অল্প)। এই যুগে কুরআনের আদেশ নিষেধ প্রভৃতি হিফাযত করা হয়, শব্দের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয় কম, ভিক্ষুকের সংখ্যা কম, দাতার সংখ্যা বেশি, নামায পড়েন দীর্ঘ আর খুতবা পাঠ করেন ছোট। সে যুগে প্রবৃত্তি বা খাহেশাতের তাবেদারীর পূর্বে তাহারা আমল আরম্ভ করিয়া দেন। অদূর ভবিষ্যতে মানুষের উপর এমন এক যুগ আসিবে, সে যুগে ফুকাহা (বিজ্ঞ) উলামা হইবেন অল্প। কারিগণ হইবেন অনেক, কুরআনের শব্দসমূহের হিফাযত করা হইবে, অপরদিকে
আহকামে কুরআনকে বরবাদ করা হইবে (আমলের প্রতি নযর দিবে কম)। سائل বা ভিক্ষুক হইবে অনেক, দাতার সংখ্যা হইবে অল্প। খুতবা লম্বা প্রদান করিবে আর নামায পড়িবে মুখতাসার, আমলের নয়, খাহেশাত বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হইবে।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ قَالَ لِإِنْسَانٍ إِنَّكَ فِي زَمَانٍ كَثِيرٌ فُقَهَاؤُهُ قَلِيلٌ قُرَّاؤُهُ تُحْفَظُ فِيهِ حُدُودُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُرُوفُهُ قَلِيلٌ مَنْ يَسْأَلُ كَثِيرٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الصَّلَاةَ وَيَقْصُرُونَ الْخُطْبَةَ يُبَدُّونَ أَعْمَالَهُمْ قَبْلَ أَهْوَائِهِمْ وَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ قَلِيلٌ فُقَهَاؤُهُ كَثِيرٌ قُرَّاؤُهُ يُحْفَظُ فِيهِ حُرُوفُ الْقُرْآنِ وَتُضَيَّعُ حُدُودُهُ كَثِيرٌ مَنْ يَسْأَلُ قَلِيلٌ مَنْ يُعْطِي يُطِيلُونَ فِيهِ الْخُطْبَةَ وَيَقْصُرُونَ الصَّلَاةَ يُبَدُّونَ فِيهِ أَهْوَاءَهُمْ قَبْلَ أَعْمَالِهِمْ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Abdullah ibn Masud said to a certain man, "You are in a time when men of understanding (fuqaha) are many and Qur'an reciters are few, when the limits of behaviour defined in the Qur'an are guarded and its letters are lost, when few people ask and many give, when they make the prayer long and the khutba short, and put their actions before their desires. A time will come upon men when their fuqaha are few but their Qur'an reciters are many, when the letters of the Qur'an are guarded carefully but its limits are lost, when many ask but few give, when they make the khutba long but the prayer short, and put their desires before their actions."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৮৯. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, বান্দার আমল হইতে সর্বপ্রথম যে আমলের প্রতি নযর করা হইবে, উহা হইতেছে নামায, অতঃপর তাহার নামায যদি কবুল করা হয়, তবে অন্যান্য আমলের প্রতি নযর দেয়া হইবে। আর যদি নামায তাহার গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে তাহার আমলের কোন কিছুর প্রতি নযর দেওয়া হইবে না।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ أَوَّلَ مَا يُنْظَرُ فِيهِ مِنْ عَمَلِ الْعَبْدِ الصَّلَاةُ فَإِنْ قُبِلَتْ مِنْهُ نُظِرَ فِيمَا بَقِيَ مِنْ عَمَلِهِ وَإِنْ لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ لَمْ يُنْظَرْ فِي شَيْءٍ مِنْ عَمَلِهِ
Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said said, "I have heard that the first of the actions of a slave to be considered on the day of rising is the prayer. If it is accepted from him, the rest of his actions will be considered, and if it is not accepted from him, none of his actions will be considered."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৯০. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সেই আমল ছিল সর্বাধিক প্রিয়, যে আমল উহার সম্পাদনকারী সর্বদা সম্পাদন করিয়া থাকে।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ أَحَبُّ الْعَمَلِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي يَدُومُ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The actions which the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, loved most were those which were done most constantly."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৯১. সা’দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেনঃ দুইজন লোক পরস্পর ভাই ভাই, (ঘটনাক্রমে) তাঁহাদের মধ্যে এক ভাই মৃত্যুবরণ করেন অপর ভাইয়ের চল্লিশ রাত্রি পূর্বে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমীপে প্রথম (মৃত্যুবরণকারী) ভাইয়ের ফযীলত আলোচিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ দ্বিতীয় ভাই কি মুসলিম ছিলেন না? (উপস্থিত) সাহাবীগণ বলিলেনঃ হ্যা (তিনিও মুসলিম ছিলেন), ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আর তিনি মন্দলোক ছিলেন না। (ইহা শ্রবণ করার পর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তোমরা জান না, তাহার নামায তাহাকে কোন স্তরে পৌছাইয়াছে। অবশ্য নামাযের দৃষ্টান্ত হইল তোমাদের একজনের দ্বারে অবস্থিত গভীর, পরিপূর্ণ সুমিষ্ট পানির নহরের মত। উক্ত নহরে দৈনিক পাঁচবার যে অবগাহন করে ইহাতে তোমার কি ধারণা, তাহার দেহে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকিবে? অবশ্য তোমরা জান না যে, তাহার নামায তাহাকে মর্যাদার কোন স্তরে নিয়া পৌছাইয়াছে।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَجُلاَنِ أَخَوَانِ فَهَلَكَ أَحَدُهُمَا قَبْلَ صَاحِبِهِ بِأَرْبَعِينَ لَيْلَةً فَذُكِرَتْ فَضِيلَةُ الأَوَّلِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَلَمْ يَكُنِ الآخَرُ مُسْلِمًا " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَانَ لاَ بَأْسَ بِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَمَا يُدْرِيكُمْ مَا بَلَغَتْ بِهِ صَلاَتُهُ إِنَّمَا مَثَلُ الصَّلاَةِ كَمَثَلِ نَهْرٍ غَمْرٍ عَذْبٍ بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَقْتَحِمُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ فَمَا تَرَوْنَ ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ مَا بَلَغَتْ بِهِ صَلاَتُهُ " .
Yahya related to me from Malik that he had heard from Amir ibn Sad ibn Abi Waqqas that his father said, "There were two brothers, one of whom died forty nights before the other. The merit of the first was being mentioned in the presence of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and he said, 'Wasn't the other one a muslim?' They said, 'Of course, Messenger of Allah, and there was no harm in him.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'What will make you realise what his prayer has brought him. The prayer is like a deep river of sweet water running by your door into which you plunge five times a day. How much of your dirtiness do you think that will leave? You do not realise what his prayer has brought him.' "
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৯২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ)-এর (অভ্যাস ছিল) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয়কারী কোন ব্যাক্তি তাহার নিকট দিয়া গমন করিলে সেই ব্যক্তিকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিতেনঃ তোমার সঙ্গে কি এবং তোমার উদ্দেশ্য কি? যদি সে তাহার নিকট বলিত যে, সে উহা বিক্রয় করিতে চায়, তবে তিনি বলিতেনঃ তুমি দুনিয়ার বাজারে গমন কর, কারণ এইটি হইল আখিরাতের বাজার।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، كَانَ إِذَا مَرَّ عَلَيْهِ بَعْضُ مَنْ يَبِيعُ فِي الْمَسْجِدِ دَعَاهُ فَسَأَلَهُ مَا مَعَكَ وَمَا تُرِيدُ فَإِنْ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَبِيعَهُ قَالَ عَلَيْكَ بِسُوقِ الدُّنْيَا وَإِنَّمَا هَذَا سُوقُ الآخِرَةِ .
Yahya related to me from Malik that he had heard that if some one passed by Ata ibn Yasar in the mosque with something to trade, he would call him and ask, "What is the matter with you? What do you want?" If the man said that he wished to trade with him, he would say, "You need the market of this world. This is the market of the next world."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. নামায সম্পর্কিত বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৯৩. মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) মসজিদের পার্শ্বে একটি চত্বর তৈয়ার করিয়াছিলেন, যাহাকে বলা হইত বুতায়হা (بطيحاء)। তিনি ঘোষণা করিয়া দিয়াছিলেন, যে ব্যক্তি অনর্থক কথা বলিতে অথবা কবিতা আবৃত্তি করিতে অথবা উচ্চস্বরে কথা বলিতে চায়, সে যেন সেই চত্বরে চলিয়া যায়।
بَاب جَامِعِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، بَنَى رَحْبَةً فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ تُسَمَّى الْبُطَيْحَاءَ وَقَالَ مَنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَلْغَطَ أَوْ يُنْشِدَ شِعْرًا أَوْ يَرْفَعَ صَوْتَهُ فَلْيَخْرُجْ إِلَى هَذِهِ الرَّحْبَةِ .
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn al-Khattab set aside an area near the mosque called al-Butayha and said, "Whoever wishes to talk nonsense or recite poetry or raise his voice should go to that area."