আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৬০ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৩২৬. বাজারে চীৎকার করা অপছন্দনীয়

১৯৯২. মুহাম্মাদ ইবনু সিনান (রহঃ) ... আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাঃ) কে বললাম, আপনি আমাদের কাছে তাওরাতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গুনাবলী বর্ননা করুন। তিনি বললেন, আচ্ছা। আল্লাহর কসম, কুরআনে বর্ণিত তাঁর কিছু গুনাবলী তাওরাতেও উল্লেখ করা হয়েছেঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী রূপে প্রেরন করেছি এবং উম্মীদের রক্ষক হিসাবেও। আপনি আমার বান্দা ও আমার রাসূল। আমি আপনার নাম মুতাওয়াক্কিল (আল্লাহর উপর ভরসাকারী) রেখেছি। তিনি মন্দ স্বভাবের নন, কঠোর হৃদয়ের নন এবং বাজারে চীৎকারকারীও নন। তিনি অন্যায়কে অন্যায় দ্বারা প্রতিহত করেন না বরং মাফ করে দেন, ক্ষমা করে দেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা তাঁকে ততক্ষন মৃত্যু দিবেন না, যতক্ষন না তাঁর দ্বারা বিকৃত মিল্লাতকে ঠিকপথে আনেন অর্থাৎ যতক্ষন না তারা (আরববাসীরা) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এর ঘোষনা দিবে। আর এ কালিমার মাধ্যমে অন্ধ-চক্ষু, বধির-কর্ন ও আচ্ছাদিত হৃদয় খুলে যাবে।

আবদুল আযীয ইবনু আবূ সালামা (রহঃ) হিলাল (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ননায় ফুলাইহ (রহঃ) এর অনুসরন করেছেন। সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু সালাম (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ননা করেছেন। আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন, যে সকল বস্তু আবরনের মধ্যে থাকে, তাকেغُلْفٌ বলে। তার একবচনأَغْلَفُ যেমন, বলা হয়,سَيْفٌ أَغْلَفُ কোষবদ্ধ তরবারি।قَوْسٌ غَلْفَاءُ কোষবদ্ধ ধনুক।رَجُلٌ أَغْلَفُ খাতনা না করা পুরুষ।

باب كَرَاهِيَةِ السَّخَبِ فِي السُّوقِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا هِلاَلٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ـ رضى الله عنهما ـ قُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ صِفَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي التَّوْرَاةِ‏.‏ قَالَ أَجَلْ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِبَعْضِ صِفَتِهِ فِي الْقُرْآنِ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا لِلأُمِّيِّينَ، أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي سَمَّيْتُكَ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلاَ غَلِيظٍ وَلاَ سَخَّابٍ فِي الأَسْوَاقِ، وَلاَ يَدْفَعُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، وَلَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ حَتَّى يُقِيمَ بِهِ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ بِأَنْ يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ وَيَفْتَحُ بِهَا أَعْيُنًا عُمْيًا، وَآذَانًا صُمًّا، وَقُلُوبًا غُلْفًا‏.‏ تَابَعَهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ هِلاَلٍ‏.‏ وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ هِلاَلٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ سَلاَمٍ‏.‏ غُلْفٌ كُلُّ شَىْءٍ فِي غِلاَفٍ، سَيْفٌ أَغْلَفُ، وَقَوْسٌ غَلْفَاءُ، وَرَجُلٌ أَغْلَفُ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَخْتُونًا‏.‏


Narrated Ata bin Yasar: I met `Abdullah bin `Amr bin Al-`As and asked him, "Tell me about the description of Allah's Messenger (ﷺ) which is mentioned in Torah (i.e. Old Testament.") He replied, 'Yes. By Allah, he is described in Torah with some of the qualities attributed to him in the Qur'an as follows: "O Prophet ! We have sent you as a witness (for Allah's True religion) And a giver of glad tidings (to the faithful believers), And a warner (to the unbelievers) And guardian of the illiterates. You are My slave and My messenger (i.e. Apostle). I have named you "Al-Mutawakkil" (who depends upon Allah). You are neither discourteous, harsh Nor a noisemaker in the markets And you do not do evil to those Who do evil to you, but you deal With them with forgiveness and kindness. Allah will not let him (the Prophet) Die till he makes straight the crooked people by making them say: "None has the right to be worshipped but Allah," With which will be opened blind eyes And deaf ears and enveloped hearts."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩০১. আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের নিকট নাছোড় হয়ে যাঞ্চা করে না। ألحف علي وألح علي এবং أحفاني بالمسألة সবই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। فيحفكم অর্থ জোর প্রচেষ্টা চালায়।

৪১৮৩। ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... আতা ইবনু ইয়াসার এবং আবূ আমরা আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে বলেন যে, আমরা আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি খেজুর কি দু’টি খেজুর আর এক গ্রাস খাদ্য কি দু’ গ্রাস খাদ্য যাকে দ্বারে দ্বারে ঘোরাতে থাকে সে প্রকৃত মিসকীন নয়। মিসকীন সে ব্যাক্তিই, যে ভিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাকে। তোমরা ইচ্ছা করলে আল্লাহর বাণী পাঠ করতে পার ‏لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا‏

باب لا يسألون الناس إلحافا يقال ألحف علي وألح علي وأحفاني بالمسألة فيحفكم يجهدكم

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي شَرِيكُ بْنُ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيَّ، قَالاَ سَمِعْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلاَ اللُّقْمَةُ وَلاَ اللُّقْمَتَانِ‏.‏ إِنَّمَا الْمِسْكِينُ الَّذِي يَتَعَفَّفُ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ يَعْنِي قَوْلَهُ ‏(‏لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا‏)‏‏"‏


Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "The poor person is not the one for whom a date or two or a morsel or two (of food is sufficient but the poor person is he who does not (beg or) ask the people (for something) or show his poverty at all. Recite if you wish, (Allah's Statement): "They do not beg of people at all." (2.273)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. সিজদা-ই তিলাওয়াত

১১৭৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আইউব কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইবনু হুজর (রহঃ) ... আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, তিনি যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) কে ইমামের সাথে কিরা’আত পাঠ সম্পর্কে করলেন। তিনি বললেন, ইমামের সাথে কোনও কিরাআত নেই এবং আরও বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে সুরা وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى পাঠ করলাম, কিন্তু তিনি সিজদা করলেন না।

باب سُجُودِ التِّلاَوَةِ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ عَنِ الْقِرَاءَةِ، مَعَ الإِمَامِ فَقَالَ لاَ قِرَاءَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَىْءٍ ‏.‏ وَزَعَمَ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏(‏ وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى‏)‏ فَلَمْ يَسْجُدْ ‏.‏


A'ta' b. Yasar reported that he had asked Zaid b. Thabit about recital along with the Imam, to which he said: There should be no recital along with the Imam in anything, and alleged that he recited:" By the star when it sets" (Surah Najm) before the Messenger of Allah (ﷺ) and he did not prostrate himself.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫২. উযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুইবার ধৌত করা সম্পর্কে।

১৩৭. উছমান ইবনু আবী শায়বা .... আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমাদেরকে ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তোমরা কি এটা পছন্দ কর যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন তা আমি তোমাদের দেখাই? অতঃপর তিনি এক পাত্র পানি চাইলেন এবং ডান হাত দিয়ে এক কোশ পানি তুলে কুল্লি করলেন ও নাকে পানি দিলেন, অতঃপর আর এক কোশ পানি তুলে দুই হাত একত্রিত করে মুখমণ্ডল ধৌত করলেন। অতঃপর আর এক কোশ পানি নিয়ে ডান হাত ধৌত করলেন এবং আরো এক কোশ পানি নিয়ে হাতে ঢাললেন এবং মাথা ও কান মাসেহ্ করলেন। অতঃপর আরো এক কোশ পানি তুলে ডান পায়ের উপর ছিটালেন- তখন তাঁর পায়ে সেন্ডেল ছিল। তিনি তাঁর এক হাত পায়ের উপরে এবং এক হাত পায়ের নিম্নাংশে রেখে ডলিয়ে ধুইলেন। অতঃপর তিনি বাম পাও অনরূপভাবে ধৌত করেন। (বুখারী, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।

[পা মাসেহ করার কথাটি শাজ]

باب الْوُضُوءِ مَرَّتَيْنِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ قَالَ لَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ أَتُحِبُّونَ أَنْ أُرِيَكُمْ، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَدَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ فَاغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ الْيُمْنَى فَتَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَجَمَعَ بِهَا يَدَيْهِ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى ثُمَّ أَخَذَ أُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً مِنَ الْمَاءِ ثُمَّ نَفَضَ يَدَهُ ثُمَّ مَسَحَ بِهَا رَأْسَهُ وَأُذُنَيْهِ ثُمَّ قَبَضَ قَبْضَةً أُخْرَى مِنَ الْمَاءِ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى وَفِيهَا النَّعْلُ ثُمَّ مَسَحَهَا بِيَدَيْهِ يَدٍ فَوْقَ الْقَدَمِ وَيَدٍ تَحْتَ النَّعْلِ ثُمَّ صَنَعَ بِالْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

حكم : حسن لكن مسح القدم شاذ (الألباني


‘Ata’ b. Yasar quoting Ibn ‘Abbas said: Do you like that I should show you how the Messenger of Allah (ﷺ) performed ablution? He then called for a vessel of water and took out a handful of water with his right hand. He then rinsed his mouth and snuffed up water. He then took out another handful of water and washed his face by both his hands together. He then took out another handful of water and washed his right hand and then washed his left hand by taking out another. He then took out some water and shook off his hand and wiped his head and ears with it. He then took out a handful of water and sprinkled it over his right foot in his shoe and wiped the upper part of the foot with his one hand, and beneath the shoe with his other hand. He then did the same with his left foot.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২৮. তায়াম্মুম করে নামায আদায়ের পর ওয়াক্ত থাকতেই পানি পাওয়া গেলে।

৩৩৯. আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা .... আবূ আবদুল্লাহ্ (রহঃ) থেকে আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাছ আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে দুইজন সফরে যান। অতঃপর হাদীছে বাকী অংশ পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

باب فِي الْمُتَيَمِّمِ يَجِدُ الْمَاءَ بَعْدَ مَا يُصَلِّي فِي الْوَقْتِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ ‏.‏


'Ata b. Yasar said: Two persons from the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ); he then narrated the rest of the tradition to the same effect.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৩. যে ব্যাক্তি নামাযের মধ্যে সন্দিহান হয়েছে।

১০২৬. আল-কানবী (রহঃ) ..... আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে সন্দিহান হয়ে এমন অবস্থায় পতিত হবে যে, তিন না চার রাকাত আদায় করেছে তা ঠিক করতে পারে না, তখন সে আরো এক রাকাত নামায পূরণ করে বসা অবস্থায় সর্বশেষ সালামের পূর্বে ভুলের জন্য দুইটি সিজদা করবে। যদি শেষ রাকাত পঞ্চম রাকাত হয়, তবে এই দুটি সিজদা তার জের হিসাবে পরিণত হবে এবং যদি তা চতুর্থ রাকাত হয়, তবে এই দুটি সিজদা শয়তানকে অপমান করার জন্য হবে।

باب مَنْ قَالَ يُلْقِي الشَّكَّ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا فَلْيُصَلِّ رَكْعَةً وَيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ التَّسْلِيمِ فَإِنْ كَانَتِ الرَّكْعَةُ الَّتِي صَلَّى خَامِسَةً شَفَعَهَا بِهَاتَيْنِ وَإِنْ كَانَتْ رَابِعَةً فَالسَّجْدَتَانِ تَرْغِيمٌ لِلشَّيْطَانِ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Ata' ibn Yasar: The Prophet (ﷺ) said: When one of you is in doubt about his prayer, and does not know how much he has prayed, three or four rak'ahs, he should pray one (additional) rak'ah and make two prostrations while sitting before giving the salutation. If the (additional) rak'ah which he prayed is the fifth one, he will make it an even number by these two prostrations. If it is the fourth one, the two prostrations will be a disgrace for the devil.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩. যাকাত কাকে দিতে হবে এবং কাকে ধনী বলা যায়।

১৬২৭. আব্‌দুল্লাহ ইবন্‌ মাস্‌লামা (রহঃ) ..... আতা ইব্‌ন ইয়াসার (রহঃ) বনী আসাদ গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি এবং আমার পরিবার-পরিজন (মদীনার নিকটবর্তী) বাকী আল-গারকাদে গিয়ে অবতরন করি। তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলে, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের নিকট যান এবং তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করুন যা আমরা আহার করতে পারি। আর আমার পরিবারের লোকেরাও তাদের প্রয়োজনের কথা বর্ণনা করতে থাকে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছে দেখতে পাই যে, জনৈক ব্যক্তি তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করছে আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনঃ আমার নিকট এমন কিছু নাই যা আমি তোমাকে দিতে পারি।

অতঃপর সে তাঁর নিকট হতে অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বলতে থাকেঃ আমার জীবনের শপথ! নিশ্চয় আপনি আপনার পছন্দসই লোককে দিয়ে থাকেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লোকটি আমার উপর অসন্তুষ্ট হলো, কিন্তু আমার নিকট দেয়ার মত কিছুই নাই। অতঃপর তিনি আরো বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা ভিক্ষা চায়, আর সে এক আওকিয়া* বা তার সমপরিমাণ মুল্যের মালের মালিক সে অবশ্যই উত্যক্ত করার জন্য ভিক্ষা চায়।

আসাদী বলেন, তখন আমি (মনে মনে) বলি, আমাদের উষ্ট্রী আওকিয়া হতে উত্তম। আর আওকিয়া হল চল্লিশ দিরহামের সমান। রাবী বলেন, আমি তাঁর নিকট কিছুই না চেয়ে ফিরে আসি। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের খিদমতে কিছু গম ও কিসমিস এলে তিনি তার অংশবিশেষ আমাদেরও দান করেন, অথবা (রাবীর সন্দেহ) যেমন তিনি বলেছেন, এমনকি আল্লাহ্‌ তাআলা এর বদৌলতে আমাদেরকে মালদার বানিয়ে দেন। (নাসাঈ)।

باب مَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ وَحَدِّ الْغِنَى

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَنَّهُ قَالَ نَزَلْتُ أَنَا وَأَهْلِي، بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَقَالَ لِي أَهْلِي اذْهَبْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلْهُ لَنَا شَيْئًا نَأْكُلُهُ فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مِنْ حَاجَتِهِمْ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُ عِنْدَهُ رَجُلاً يَسْأَلُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ لاَ أَجِدُ مَا أُعْطِيكَ ‏"‏ ‏.‏ فَتَوَلَّى الرَّجُلُ عَنْهُ وَهُوَ مُغْضَبٌ وَهُوَ يَقُولُ لَعَمْرِي إِنَّكَ لَتُعْطِي مَنْ شِئْتَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَغْضَبُ عَلَىَّ أَنْ لاَ أَجِدَ مَا أُعْطِيهِ مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَلَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عَدْلُهَا فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الأَسَدِيُّ فَقُلْتُ لَلَقِحَةٌ لَنَا خَيْرٌ مِنْ أُوقِيَّةٍ وَالأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَسْأَلْهُ فَقَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ شَعِيرٌ أَوْ زَبِيبٌ فَقَسَمَ لَنَا مِنْهُ - أَوْ كَمَا قَالَ - حَتَّى أَغْنَانَا اللَّهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ كَمَا قَالَ مَالِكٌ ‏.‏


‘Ata’ b. Yasar said : A man from Banu Asad said : I and my family alighted at Baqi al-Gharqad. My wife said to me : Go the Messenger of Allah(ﷺ) and beg something from him for our eating, and made a mention of there need. So I went to the Messenger of Allah(May peace be upon him). I found with a man who was begging from him and he was saying to him: I have nothing to give you. The man turned away from him in anger while he was saying: By my life, you give anyone you wish. The Messenger of Allah(May peace be upon him) said : He’s anger with me, for I have nothing to give him. If any of you begs when he has an Uqiyah or its equivalent, he has begged immoderately. The man of Banu Asad said : So I said : The she camel of ours is better than an uqiyah, while an uqiyah is equivalent to 40 Dirhams. I therefore returned and did not beg from him. Afterwards some barley and raisins where brought to the Messenger of Allah (May peace be upon him). He gave us a share from them (or as he reported)till Allah, the Exalted, made us self-sufficient(i.e well off). Abu Dawud said: Al-Thawri narrated it as Malik narrated.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ধনী হওয়া সত্বেও যার জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ।

১৬৩৫. আব্‌দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাস্‌লামা (রহঃ) ..... আতা ইব্‌ন ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ শ্রেনীর লোক ব্যতীত ধনী ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়ঃ (১) আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদে যোগদানকারী; (২) যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী; (৩) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি; (৪) কোন ধনী ব্যক্তির গরীবের প্রাপ্ত যাকাত স্বীয় অর্থের বিনিময়ে খরিদ করা; (৫) যার মিসকীন প্রতিবেশী নিজের প্রাপ্ত যাকাত তাকে উপঢৌকন হিসাবে দান করলে ধনী হওয়া সত্বেও তা গ্রহণ বৈধ। (ইব্‌ন মাজা)।

باب مَنْ يَجُوزُ لَهُ أَخْذُ الصَّدَقَةِ وَهُوَ غَنِيٌّ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ إِلاَّ لِخَمْسَةٍ لِغَازٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ لِعَامِلٍ عَلَيْهَا أَوْ لِغَارِمٍ أَوْ لِرَجُلٍ اشْتَرَاهَا بِمَالِهِ أَوْ لِرَجُلٍ كَانَ لَهُ جَارٌ مِسْكِينٌ فَتُصُدِّقَ عَلَى الْمِسْكِينِ فَأَهْدَاهَا الْمِسْكِينُ لِلْغَنِيِّ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Ata ibn Yasar: The Prophet (ﷺ) said: Sadaqah may not be given to rich man, with the exception of five classes: One who fights in Allah's path, or who collects it, or a debtor, or a man who buys it with his money, or a man who has a poor neighbour who has been given sadaqah and gives a present to the rich man.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৪. বণ্টনকারীর মজুরী সম্পর্কে।

২৭৭৫. ’আবদুল্লাহ্ কা’নবী (রহঃ) ..... আতা ইবন ইয়াসার (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে এতটুকু বর্ণিত আছে যে, ’’বন্টনের মজুরী’’ গ্রহণের ব্যাপারটি এরূপ যে, যখন কোন ব্যক্তিকে (বন্টনের জন্য) নিয়োগ করা হয়, তখন সে প্রত্যেক অংশ হতে নিজের জন্য কিছু রেখে দেয়।

باب فِي كِرَاءِ الْمَقَاسِمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ شَرِيكٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ الرَّجُلُ يَكُونُ عَلَى الْفِئَامِ مِنَ النَّاسِ فَيَأْخُذُ مِنْ حَظِّ هَذَا وَحَظِّ هَذَا ‏"‏ ‏.‏


Narrated Ata' ibn Yasar: Ata' reported a similar tradition (to No 2777) from the Prophet (ﷺ). This version adds: a man is appointed on groups of people, and takes (wages) from the share of this, and from the share of this.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯২. সাদা পাথর দিয়ে যবাহ করা প্রসংগে।

২৮১৪. কুতায়বা ইবন সা’ঈদ (রহঃ) ..... আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) হারিছ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। সে ব্যক্তি উহুদ পর্বতের একটি গিরিতে উট চরাচ্ছিল। হঠাৎ উটটি মরার মত অবস্থায় এসে পড়ে, কিন্তু কারো কাছে এমন কিছু ছিল না, যা দিয়ে সে সেটিকে যবাহ করতে পারে। অবশেষে সে ব্যক্তি একটি লোহার পেরেক নিয়ে তার সূচালো মুখ দিয়ে উষ্ট্রীর বুকে আঘাত করে। ফলে সেখান হতে রক্ত প্রবাহিত হয়। পরে সে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে তাঁকে এ খবর দেয়। তখন তিনি তাকে তার মাংস ভক্ষনের অনুমতি দেন।

باب فِي الذَّبِيحَةِ بِالْمَرْوَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي حَارِثَةَ أَنَّهُ كَانَ يَرْعَى لِقْحَةً بِشِعْبٍ مِنْ شِعَابِ أُحُدٍ فَأَخَذَهَا الْمَوْتُ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا يَنْحَرُهَا بِهِ فَأَخَذَ وَتَدًا فَوَجَأَ بِهِ فِي لَبَّتِهَا حَتَّى أُهْرِيقَ دَمُهَا ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَأَمَرَهُ بِأَكْلِهَا ‏.‏


Narrated Ata' ibn Yasar: A man of Banu Harith was pasturing a pregnant she-camel in one of the ravines of Uhud, (he saw that) it was about to die; he could find nothing to slaughter it; he took a stake and stabbed it in the upper part of its breast until he made its blood flow. He then came to the Prophet (ﷺ) and informed him about that, and he ordered him to eat it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭/ নামায আদায়ের পর যে পানি পেয়ে গেল তার তায়াম্মুম

৪৩৪। সুয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... আতা ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمِيرَةُ، وَغَيْرُهُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ، ‏.‏


It was narrated from 'Ata' bin Yasar that two men - and he quoted the Hadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫০/ সূরা নাজম এ সিজদা না করা।

৯৬৩। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আতা ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি যায়দ ইবনু ছাবিত (রাঃ) কে ইমামের সাথে কিরাআত পড়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি বললেন, ইমামের সাথে কোন সালাতে কিরাআত নেই। আর বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে ওয়ান নাজমি পড়েছে। কিন্তু তিনি সিজদা করেননি।

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ عَنِ الْقِرَاءَةِ، مَعَ الإِمَامِ فَقَالَ لاَ قِرَاءَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَىْءٍ وَزَعَمَ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏(‏ وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى ‏)‏ فَلَمْ يَسْجُدْ ‏.‏


It was narrated from Ata' bin Yasar that: He asked Zaid bin Thabit about reciting with the Imam. He said: "There is no recitation with the Imam in anything." And he claimed that he had recited: "By the star when it goes down (or vanishes)" to the Messenger of Allah (ﷺ) and he did not prostrate.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রি

৪৫৭২. কুতায়বা (রহঃ) ... আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মু’আবিয়া (রাঃ) স্বর্ণ অথবা রৌপ্য নির্মিত একটি পানপাত্র তার চেয়ে বেশি ওজনের সোনা বা রূপার বিনিময়ে বিক্রয় করেন। তখন আবু দারদা (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এইরূপ ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করতে শুনেছি, তবে সমান সমান হলে অসুবিধা নেই।

بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بَاعَ سِقَايَةً مِنْ ذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِهَا فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ مِثْلِ هَذَا إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ


It was narrated from 'Ata' bin Yasir that: Muawiyah sold a cup of gold or silver for more than its weight. Abu Ad-Darda' said: "I heard the Messenger of Allah forbid such transactions unless it was like for like."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০/১০. যে ব্যক্তি তার গোটা পরিবারের পক্ষ থেকে একটিমাত্র বকরী কোরবানী করে

১/৩১৪৭। আতা ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ আইউব আল-আনসারী (রাঃ) -র নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আপনাদের কোরবানী কিরূপ ছিল? তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কোন ব্যক্তি নিজের ও স্বীয় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বকরী কোরবানী করতো। তা থেকে তারাও আহার করতো এবং (অন্যদেরও) আহার করাতো। পরবর্তী কালে লোকেরা কোরবানীকে অহমিকা প্রকাশের বিষয়ে পরিণত করে এবং এখন যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা তো দেখতেই পাচ্ছ।

بَاب مَنْ ضَحَّى بِشَاةٍ عَنْ أَهْلِهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيَّادٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ كَيْفَ كَانَتِ الضَّحَايَا فِيكُمْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُضَحِّي بِالشَّاةِ عَنْهُ وَعَنْ أَهْلِ بَيْتِهِ فَيَأْكُلُونَ وَيُطْعِمُونَ ثُمَّ تَبَاهَى النَّاسُ فَصَارَ كَمَا تَرَى ‏.‏


It was narrated that ‘Ata’ bin Yasar said: “I asked Abu Ayyub Al- Ansari: ‘How were sacrifices offered among you at the time of the Messenger of Allah (ﷺ)?’ He said: ‘At the time of the Prophet (ﷺ), a man would sacrifice a sheep on behalf of himself and the members of his household, and they would eat some of it and give some to others. Then people started to compete and it because as you see (nowadays).’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ একটি ছাগলই একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট।

১৫১১। ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ... ’আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ আইয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কুরবানী কেমন হতো? তিনি বললেন, একজন নিজের এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বকরী কুরবানী করতো, নিজেরাও খেত অন্যদেরকেও খাওয়াতো। শেষে লোকেরা এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা করে বাহাদুরী প্রদর্শন শুরু করল। ফলে তা-ই হয়েছে তুমি যা দেখেছ। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩১৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী উমার ইবনু আবদুল্লাহ হলেন, মদীনী। তার বরাতে মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-ও রিওয়ায়াত করেছেন। কতক আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। তাঁরা দলীল হিসাবে পেশ করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি মেষ কুরবানী দিলেন এবং বললেন, এটি হল আমার উম্মাতের সে সব লোকদের পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে সক্ষম নয়। কোন কোন আলিম বলেন, একটি বকরী মাত্র একজনের পক্ষ থেকেই যথেষ্ট হতে পারে। এ হল ইমাম আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক প্রমুখ (রহঃ) আলিমগণের অভিমত।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الشَّاةَ الْوَاحِدَةَ تُجْزِئُ عَنْ أَهْلِ الْبَيْتِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ كَيْفَ كَانَتِ الضَّحَايَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ الرَّجُلُ يُضَحِّي بِالشَّاةِ عَنْهُ وَعَنْ أَهْلِ بَيْتِهِ فَيَأْكُلُونَ وَيُطْعِمُونَ حَتَّى تَبَاهَى النَّاسُ فَصَارَتْ كَمَا تَرَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ مَدَنِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ضَحَّى بِكَبْشٍ فَقَالَ ‏ "‏ هَذَا عَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تُجْزِئُ الشَّاةُ إِلاَّ عَنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏


Narrated 'Ata bin Yasar: "I asked Abu Abyub [Al-Ansari] how the slaughtering was done during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He said: 'A man would sacrifice a sheep for himself and the people in his household. They would eat from it and feed others, until the people (later) would boast about it and it became as you see now."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪/৫০. বাজারে চিল্লানো ও হৈ হুল্লোড় করা অপছন্দনীয়।

২১২৫. ‘আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাঃ)-কে বললাম, আপনি আমাদের কাছে তাওরাতে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গুণাবলী বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আচ্ছা। আল্লাহর কসম! কুরআনে বর্ণিত তাঁর কিছু গুণাবলী তাওরাতেও উল্লেখ করা হয়েছেঃ ‘‘হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে প্রেরণ করেছি’’ এবং উম্মীদের রক্ষক হিসাবেও। আপনি আমার বান্দা ও আমার রাসূল। আমি আপনার নাম মুতাওয়াক্কিল (আল্লাহর উপর ভরসাকারী) রেখেছি। তিনি বাজারে কঠোর রূঢ় ও নির্দয় স্বভাবের ছিলেন না। তিনি মন্দর প্রতিশোধ মন্দ দ্বারা নিতেন না বরং মাফ করে দিতেন, ক্ষমা করে দিতেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে ততক্ষণ মৃত্যু দিবেন না যতক্ষণ না তাঁর দ্বারা বিকৃত মিল্লাতকে ঠিক পথে আনেন অর্থাৎ যতক্ষণ না তারা (আরববাসীরা) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর ঘোষণা দিবে। আর এ কালিমার মাধ্যমে অন্ধ-চক্ষু, বধির-কর্ণ ও আচ্ছাদিত হৃদয় খুলে যাবে।

আবদুল ‘আযীয ইবনু আবূ সালামাহ (রহ.) হিলাল (রহ.) হতে হাদীস বর্ণনায় ফুলাইহ (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। সা‘ঈদ (রহ.) ....... ইবনু সালাম (রহ.) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (৪৮৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৭৭ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৯২)

بَاب كَرَاهِيَةِ السَّخَبِ فِي السُّوقِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ حَدَّثَنَا هِلاَلٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ لَقِيتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قُلْتُ َخْبِرْنِي عَنْ صِفَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي التَّوْرَاةِ قَالَ أَجَلْ وَاللهِ إِنَّهُ لَمَوْصُوفٌ فِي التَّوْرَاةِ بِبَعْضِ صِفَتِهِ فِي الْقُرْآنِ (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا) وَحِرْزًا لِلأُمِّيِّينَ أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي سَمَّيْتُكَ المتَوَكِّلَ لَيْسَ بِفَظٍّ وَلاَ غَلِيظٍ وَلاَ سَخَّابٍ فِي الأَسْوَاقِ وَلاَ يَدْفَعُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ وَلَنْ يَقْبِضَهُ اللهُ حَتَّى يُقِيمَ بِهِ الْمِلَّةَ الْعَوْجَاءَ بِأَنْ يَقُولُوا لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَيَفْتَحُ بِهَا أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا
تَابَعَهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ هِلاَلٍ وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ هِلاَلٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ سَلاَمٍ (غُلْفٌ) كُلُّ شَيْءٍ فِي غِلاَفٍ سَيْفٌ أَغْلَفُ وَقَوْسٌ غَلْفَاءُ وَرَجُلٌ أَغْلَفُ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَخْتُونًا


Narrated Ata bin Yasar: I met `Abdullah bin `Amr bin Al-`As and asked him, "Tell me about the description of Allah's Messenger (ﷺ) which is mentioned in Torah (i.e. Old Testament.") He replied, 'Yes. By Allah, he is described in Torah with some of the qualities attributed to him in the Qur'an as follows: "O Prophet ! We have sent you as a witness (for Allah's True religion) And a giver of glad tidings (to the faithful believers), And a warner (to the unbelievers) And guardian of the illiterates. You are My slave and My messenger (i.e. Apostle). I have named you "Al-Mutawakkil" (who depends upon Allah). You are neither discourteous, harsh Nor a noisemaker in the markets And you do not do evil to those Who do evil to you, but you deal With them with forgiveness and kindness. Allah will not let him (the Prophet) Die till he makes straight the crooked people by making them say: "None has the right to be worshipped but Allah," With which will be opened blind eyes And deaf ears and enveloped hearts."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৪৮. আল্লাহর বাণীঃ কাকুতি-মিনতি করে তারা মানুষের কাছে ভিক্ষা চায় না। (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/২৭৩)

يُقَالُ : أَلْحَفَ عَلَيَّ، وَأَلَحَّ عَلَيَّ، وَأَحْفَانِيْ بِالْمَسْأَلَةِ فَيُحْفِكُمْ يُجْهِدْكُمْز.

أَلْحَفَ عَلَيَّ، وَأَلَحَّ عَلَيَّ এবং وَأَحْفَانِيْ بِالْمَسْأَلَةِ সবই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। فَيُحْفِكُمْ জোর প্রচেষ্টা চালায়।


৪৫৩৯. ’আত্বা ইবনু ইয়াসার এবং আবূ ’আমর আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন যে, আমরা আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি খেজুর কি দু’টি খেজুর আর এক গ্রাস কি দু’ গ্রাস খাদ্য যাকে দ্বারে দ্বারে ঘোরাতে থাকে সে প্রকৃত মিসকীন নয়। মিসকীন তো সে, যে ভিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাকে। তোমরা (মিসকীন অর্থ) জানতে চাইলে আল্লাহর বাণী পাঠ করতে পার لَا يَسْأَلُوْنَ النَّاسَ إِلْحَافًا। [১৪৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৮০)

بَاب :{لَا يَسْأَلُوْنَ النَّاسَ إِلْحَافًا}

ابْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ شَرِيْكُ بْنُ أَبِيْ نَمِرٍ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِيْ عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيَّ قَالَا سَمِعْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ الْمِسْكِيْنُ الَّذِيْ تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلَا اللُّقْمَةُ وَلَا اللُّقْمَتَانِ إِنَّمَا الْمِسْكِيْنُ الَّذِيْ يَتَعَفَّفُ وَاقْرَءُوْا إِنْ شِئْتُمْ يَعْنِيْ قَوْلَهُ (لَا يَسْأَلُوْنَ النَّاسَ إِلْحَافًا)


Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "The poor person is not the one for whom a date or two or a morsel or two (of food is sufficient but the poor person is he who does not (beg or) ask the people (for something) or show his poverty at all. Recite if you wish, (Allah's Statement): "They do not beg of people at all." (2.273)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. একটি ছাগলই একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট

১৫০৫। আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) বলেন, আবূ আইয়ুব (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় কুরবানীর বিধান কেমন ছিল। তিনি বললেন, কোন লোক তার ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে একটি ছাগল দ্বারা কুরবানী আদায় করত এবং তা নিজেরাও খেত, অন্যান্য লোকদেরকেও খাওয়াত। অবশেষে মানুষেরা গর্ব ও আভিজাত্যের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। ফলে পরিস্থিতি যা দাড়িয়েছে তা তুমি নিজেই দেখতে পাচ্ছ।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩১৪৭)

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। উমারা ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) মদীনার বাসিন্দা ছিলেন। তার সূত্রে মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস মোতাবেক কিছু অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। এই অভিমত দিয়েছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (পুরো পরিবারের জন্য একটি কুরবানীই যথেষ্ট)।

তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীসটিকে নিজেদের মতের সমর্থনে দলিল হিসেবে পেশ করেছেনঃ “তিনি একটি মেষ কুরবানী করলেন এবং বললেন, আমার উন্মাতের মধ্যে যারা কুরবানী করতে অক্ষম তাদের পক্ষে এই কুরবানী”। অপর একদল অভিজ্ঞ আলিম বলেছেন, একটি ছাগল শুধু একজনের পক্ষে যথেষ্ট। এই মতটি দিয়েছেন আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক এবং অন্যান্য আলিমগণ।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الشَّاةَ الْوَاحِدَةَ تُجْزِئُ عَنْ أَهْلِ الْبَيْتِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ كَيْفَ كَانَتِ الضَّحَايَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ الرَّجُلُ يُضَحِّي بِالشَّاةِ عَنْهُ وَعَنْ أَهْلِ بَيْتِهِ فَيَأْكُلُونَ وَيُطْعِمُونَ حَتَّى تَبَاهَى النَّاسُ فَصَارَتْ كَمَا تَرَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ مَدَنِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ضَحَّى بِكَبْشٍ فَقَالَ ‏ "‏ هَذَا عَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تُجْزِئُ الشَّاةُ إِلاَّ عَنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏


Narrated 'Ata bin Yasar: "I asked Abu Abyub [Al-Ansari] how the slaughtering was done during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He said: 'A man would sacrifice a sheep for himself and the people in his household. They would eat from it and feed others, until the people (later) would boast about it and it became as you see now."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা ইউনুস

৩১০৬। আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে জনৈক মিসরবাসীর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূদ দারদা (রাযিঃ)-কে আল্লাহ তা’আলার বাণী “পার্থিব জীবনে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ”— (সূরা ইউনুস ৬৪) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার পর হতে আজ পর্যন্ত আর কেউ এ প্রসঙ্গে আমার নিকট জানতে চায়নি। আমিও এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেনঃ এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়া অবধি তুমি ব্যতীত আর কেউ আমাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেনি। এটা (বুশরা) হচ্ছে সত্য স্বপ্ন, যা মুসলিম ব্যক্তি দেখে বা তাকে দেখানো হয়।

সহীহঃ মুসলিম।

ইবনু আবী উমার-সুফিয়ান হতে, তিনি আব্দুল আযিয ইবনু রুফাই হতে তিনি আবু সালিহ আস সাম্মান হতে, তিনি আতা ইবনু ইয়াসার হতে, তিনি মিসরীয় ব্যক্তি হতে, তিনি আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন।

আহমাদ ইবনু আবদাল্লাহ তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রেও পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। অবশ্য তাতে আতা ইবনু ইয়াসার-এর উল্লেখ নেই। উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَهْلِ مِصْرَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ ‏:‏ ‏(‏ لَهُمُ الْبُشْرَى، فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ‏)‏ قَالَ مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْهَا فَقَالَ ‏ "‏ مَا سَأَلَنِي عَنْهَا أَحَدٌ غَيْرُكَ مُنْذُ أُنْزِلَتْ فَهِيَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَهْلِ مِصْرَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏


Narrated 'Ata bin Yasar: from a man among the people of Egypt who said: "I asked Abu Ad-Darda about this Ayah: For them is good news in the life of the present world (10:64). He said: 'No one asked me about since I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about it, and he (ﷺ) said: "No one asked me about it other than you, since it was revealed. It is the righteous dream that the Muslims sees, or that it seen about him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. ইলম সংরক্ষণ করা

৫৯৫. আতা রাহি. বলেন: কোনো বিষয়কে অপর বিষয়ের নিকট স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে সহনশীলতা (অথবা বিচক্ষণতা)কে ইলমের নিকট স্থান দেওয়ার চেয়ে অধিক সুন্দর আর কিছুই নেই।[1]

بَابُ صِيَانَةِ الْعِلْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ زَيْدٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ مَا أَوَى شَيْءٌ إِلَى شَيْءٍ أَزْيَنَ مِنْ حِلْمٍ إِلَى عِلْمٍ
إسناده صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »