মুয়াত্তা মালিক ৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر)
৩১৯

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার তাবুক সফরকালে যোহর ও আসরের নামায একত্রে পড়িয়াছিলেন।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي سَفَرِهِ إِلَى تَبُوكَ

حدثني يحيى عن مالك عن داود بن الحصين عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يجمع بين الظهر والعصر في سفره الى تبوك


Yahya related to me from Malik from Da'ud ibn al-Husayn from al- Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, joined dhuhr and asr on his journey to Tabuk.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২০

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ২. আবুত তুফায়েল আমির ইবন ওয়াসিলা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, মুআয ইবন জবল (রাঃ) তাহাকে বলিয়াছেনঃ তাহারা তাবুকের যুদ্ধের বৎসর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে বাহির হইলেন। (সেই সফরে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন। (মুআয) বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন নামাযে দেরি করিলেন, অতঃপর তিনি আগমন করিলেন এবং যোহর ও আসর একত্রে পড়িলেন। আবার ভিতরে গেলেন, পুনরায় বাহির হইলেন, তারপর মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িলেন। অতঃপর বলিলেনঃ তোমরা আগামীকাল ইনশাআল্লাহ তবুকের ঝর্ণার কাছে পৌছিয়া যাইবে। তোমরা দিনের প্রথমাংশেই সেইখানে পৌছিবে। যে অগ্রে সেই স্থানে পৌছে, আমি না আসা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি যেন উহার সামান্যতম পানিও স্পর্শ না করে। অতঃপর আমরা সেখানে পৌছিলাম। কিন্তু আমাদের আগেভাগে সেখানে দুইজন লোক পৌছিয়া গিয়াছিল। আর ঝর্ণা হইতে অতি সামান্য পানি নির্গত হইতেছিল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমরা কি ইহার পানি হইতে কিছু স্পর্শ করিয়াছ? তাহারা উভয়ে হ্যাঁসূচক উত্তর দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদিগকে অনেক তিরস্কার করিলেন এবং আল্লাহর যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু তাহদের সম্পর্কে বলিলেন। তারপর তাহারা আঁজলা ভরিয়া অল্প অল্প করিয়া কিছু পানি কোন এক পাত্রে জমা করিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই পানিতে তাহার উভয় হাত ও মুখমণ্ডল ধুইলেন এবং সেই পানি ঝর্ণায় নিক্ষেপ করিলেন যদ্দরুন ঝর্ণ হইতে ফল্গুধারার মত অনেক পানি উঠিতে লাগিল। লোকজন ঝর্ণা হইতে পানি পান করিয়া তৃষ্ণা নিবারণ করিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে মুআয, সম্ভবত তুমি দীর্ঘায়ু লাভ করিবে এবং তুমি এ ঝর্ণার পানি দ্বারা এই স্থানের অনেক বাগবাগিচায় পূর্ণভাবে পানি সেচ হইতে দেখিবে।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ تَبُوكَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ قَالَ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا ثُمَّ قَالَ إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَيْنَ تَبُوكَ وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يَضْحَى النَّهَارُ فَمَنْ جَاءَهَا فَلَا يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَنَا إِلَيْهَا رَجُلَانِ وَالْعَيْنُ تَبِضُّ بِشَيْءٍ مِنْ مَاءٍ فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ مَسِسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا فَقَالَا نَعَمْ فَسَبَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنْ الْعَيْنِ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَيْءٍ ثُمَّ غَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَافَجَرَتْ الْعَيْنُ بِمَاءٍ كَثِيرٍ فَاسْتَقَى النَّاسُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوشِكُ يَا مُعَاذُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَاهُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا

وحدثني عن مالك عن ابي الزبير المكي عن ابي الطفيل عامر بن واثلة ان معاذ بن جبل اخبره انهم خرجوا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم عام تبوك فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجمع بين الظهر والعصر والمغرب والعشاء قال فاخر الصلاة يوما ثم خرج فصلى الظهر والعصر جميعا ثم دخل ثم خرج فصلى المغرب والعشاء جميعا ثم قال انكم ستاتون غدا ان شاء الله عين تبوك وانكم لن تاتوها حتى يضحى النهار فمن جاءها فلا يمس من ماىها شيىا حتى اتي فجىناها وقد سبقنا اليها رجلان والعين تبض بشيء من ماء فسالهما رسول الله صلى الله عليه وسلم هل مسستما من ماىها شيىا فقالا نعم فسبهما رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال لهما ما شاء الله ان يقول ثم غرفوا بايديهم من العين قليلا قليلا حتى اجتمع في شيء ثم غسل رسول الله صلى الله عليه وسلم فيه وجهه ويديه ثم اعاده فيهافجرت العين بماء كثير فاستقى الناس ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يوشك يا معاذ ان طالت بك حياة ان ترى ما هاهنا قد ملى جنانا


Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zubayr al-Makki from Abu't-Tufayl Amir ibn Wathila that Muadh ibn Jabal told him that they went out with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, in the year of Tabuk, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, joined dhuhr with asr and maghrib with isha. Muadh said, "One day he delayed the prayer, and then came out and prayed dhuhr and asr together. Then he said, 'Tomorrow you will come, insha' llah, to the spring of Tabuk. But you will not get there until well into the morning. No one who arrives should touch any of its water until I come.' We came to it and two men had got to it before us and the spring was dripping with a little water. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, asked them, 'Have you touched any of its water?' They said, 'Yes.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, reviled them and said what Allah wished him to say. Then they took water with their hands from the spring little by little until it had been collected in something. Then the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, washed his face and hands in it. Then he put it back into the spring and the spring flowed with an abundance of water and the people drew water from it. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'If you live long enough, Muadh, you will soon see this place filled with gardens.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২১

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ৩. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যদি (কোন কারণবশত) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দ্রুত ভ্রমণ করিতে হইত, তবে তিনি মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ

وحدثني عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا عجل به السير يجمع بين المغرب والعشاء


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to join maghrib and isha together when it was urgent to travel."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২২

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ৪. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, ভয়-ভীতিজনিত কোন কারণ ছাড়া এবং সফর ব্যতিরেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যোহর ও আসর একসঙ্গে এবং মাগরিব ও ইশা এক সঙ্গে পড়াইয়াছেন।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমার মতে ইহা বৃষ্টির জন্য ছিল।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا فِي غَيْرِ خَوْفٍ وَلَا سَفَرٍ قَالَ مَالِك أُرَى ذَلِكَ كَانَ فِي مَطَرٍ

حدثني عن مالك عن ابي الزبير المكي عن سعيد بن جبير عن عبد الله بن عباس انه قال صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الظهر والعصر جميعا والمغرب والعشاء جميعا في غير خوف ولا سفر قال مالك ارى ذلك كان في مطر


Yahya related to me from Malik from Abu'z Zubayr al-Makki from Said ibn Jubayr that Abdullah ibn Abbas said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed dhuhr and asr together and maghrib and isha together, and not out of fear nor because of travelling."

(with regards to above) Malik said, "I believe that was during rain."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৩

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ৫. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আমীরগণ বর্ষণকালে মাগরিব ও ইশার নামাযকে একত্রে পড়িলে আবদুল্লাহু ইবন উমর (রাঃ) তাহাদের সঙ্গে (উক্ত দুই ওয়াক্তের) নামায একত্রে পড়িতেন।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا جَمَعَ الْأُمَرَاءُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فِي الْمَطَرِ جَمَعَ مَعَهُمْ

وحدثني عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر كان اذا جمع الامراء بين المغرب والعشاء في المطر جمع معهم


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to join the prayer along with the amirs if they joined maghrib and isha in the rain.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৪

পরিচ্ছেদঃ ১. মুসাফির ও মুকীম থাকা অবস্থায় দুই নামায একত্রে পড়া

রেওয়ায়ত ৬. ইবন শিহাব (রহঃ) সালিম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেনঃ সফরে যোহর ও আসরকে পর্যায়ক্রমে একত্রে পড়া যায় কিনা? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাতে কোন দোষ নাই, আরাফাতে লোকজনের নামাযের প্রতি (যাহা এক সঙ্গে পড়া হয়) তুমি কি লক্ষ কর নাই?

আলী ইবন হুসায়ন (রাঃ) বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সফরের ইচ্ছা করিলে যোহর ও আসর একযোগে পড়িতেন। আর রাত্রে সফরের ইচ্ছা করিলে মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়িতেন।

بَاب الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ يُجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ أَلَمْ تَرَ إِلَى صَلَاةِ النَّاسِ بِعَرَفَةَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ يَوْمَهُ جَمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَسِيرَ لَيْلَهُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب انه سال سالم بن عبد الله هل يجمع بين الظهر والعصر في السفر فقال نعم لا باس بذلك الم تر الى صلاة الناس بعرفة وحدثني عن مالك انه بلغه عن علي بن حسين انه كان يقول كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اراد ان يسير يومه جمع بين الظهر والعصر واذا اراد ان يسير ليله جمع بين المغرب والعشاء


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that he had asked Salim ibn Abdullah, "Can you join dhuhr and asr when travelling?" He said, "Yes, there is no harm in that. Haven't you seen the people pray on Arafa?"

Yahya related to me from Malik that he had heard that AIi ibn Husain used to say, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, would join dhuhr and asr if he wished to travel the same day, and he would join maghrib and isha if he wished to travel the same night."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৫

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে নামায ‘কসর’ পড়া

রেওয়ায়ত ৭. খালিদ ইবন আসীদ (রহঃ)-এর বংশের জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে প্রশ্ন করিলেনঃ হে আবূ আবদুর রহমান। আমরা সালাতুল খওফ (ভয়জনিত অবস্থায় নামায) ও সালাতুল হাযর (মুকীম অবস্থায় নামায)-এর উল্লেখ কুরআনে পাই, কিন্তু সালাতুস সফর (সফরের নামাযের কথা তো কুরআনে) পাই না? আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বললেনঃ হে আমার ভাতিজা আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের নিকট যখন মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রেরণ করিয়াছেন, তখন আমরা কিছু জানিতাম না, ফলে আমরা তাহাকে যেরূপ করিতে দেখিয়াছি সেরূপ করিয়া থাকি।

بَاب قَصْرِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّا نَجِدُ صَلَاةَ الْخَوْفِ وَصَلَاةَ الْحَضَرِ فِي الْقُرْآنِ وَلَا نَجِدُ صَلَاةَ السَّفَرِ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بَعَثَ إِلَيْنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَعْلَمُ شَيْئًا فَإِنَّمَا نَفْعَلُ كَمَا رَأَيْنَاهُ يَفْعَلُ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن رجل من ال خالد بن اسيد انه سال عبد الله بن عمر فقال يا ابا عبد الرحمن انا نجد صلاة الخوف وصلاة الحضر في القران ولا نجد صلاة السفر فقال ابن عمر يا ابن اخي ان الله عز وجل بعث الينا محمدا صلى الله عليه وسلم ولا نعلم شيىا فانما نفعل كما رايناه يفعل


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from a man of the family of Khalid ibn Asid that he said to Abdullah ibn Umar, "Abu Abd ar-Rahman, we find the fear prayer and the prayer when settled mentioned in the Qur'an, but we do not find any mention of the travelling prayer in it." Ibn Umar said, "Son of my brother! Allah the Mighty and Majestic sent us Muhammad, may Allah bless him and grant him peace, and we know nothing. We only do as we saw him doing."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৬

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে নামায ‘কসর’ পড়া

রেওয়ায়ত ৮. নবী করীম রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, সফরে এবং হাযরে (মুকীম থাকাকালীন) দুই-দুই রাকাআতই ফরয করা হয়, অতঃপর সফরের নামায পূর্বাবস্থায় বাকি রাখা হয়, আবাসের নামাযে বৃদ্ধি করা হয়।

بَاب قَصْرِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ فُرِضَتْ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ

وحدثني عن مالك عن صالح بن كيسان عن عروة بن الزبير عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها قالت فرضت الصلاة ركعتين ركعتين في الحضر والسفر فاقرت صلاة السفر وزيد في صلاة الحضر


Yahya related to me from Malik from Salih ibn Kaysan from Urwa ibn az-Zubayr that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The prayer was prescribed as two rakas, both when settled and when travelling. Then the travelling prayer was kept as it was, and an increase was made in the prayer when settled. "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৭

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে নামায ‘কসর’ পড়া

রেওয়ায়ত ৯. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আপনি আপনার পিতাকে সফরে মাগরিবের নামায সর্বাধিক কতটুকু বিলম্বে পড়িতে দেখিয়াছেন? তখন সালিম (রহঃ) বলিলেনঃ আমরা যখন যাতুল-জায়শ নামক স্থানে, তখন সূর্যস্ত হয়, তিনি মাগরিবের নামায আকীক নামক স্থানে গিয়া পড়িয়াছেন। (দুই স্থানের দূরত্ব ৭ মাইল)

بَاب قَصْرِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ لِسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَا أَشَدَّ مَا رَأَيْتَ أَبَاكَ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَالِمٌ غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَنَحْنُ بِذَاتِ الْجَيْشِ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ بِالْعَقِيقِ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد انه قال لسالم بن عبد الله ما اشد ما رايت اباك اخر المغرب في السفر فقال سالم غربت الشمس ونحن بذات الجيش فصلى المغرب بالعقيق


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that he said to Salim ibn Abdullah, "What is the latest you have seen your father delay maghrib while on a journey?" and Salim replied, "One time the sun set when we were at Dhat al-Jaysh and he prayed maghrib at al- Aqiq."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১০. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে বাহির হইলে যুলহুলায়ফা[1] নামক স্থানে নামায কসর পড়িতেন।..

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا خَرَجَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا قَصَرَ الصَّلَاةَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ

حدثني يحيى عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر كان اذا خرج حاجا او معتمرا قصر الصلاة بذي الحليفة


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar, shortened the prayer when he left for hajj or umra at Dhu'l Hulayfa.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১১. সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) বর্ণনা করেন- তাহার পিতা সওয়ারীতে আরোহণ করিয়া রীম[1] নামক স্থানে যান এবং তিনি এতটুকু পথ ভ্রমণে নামায কসর পড়িয়াছেন।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, উক্ত স্থানটির দূরত্ব অন্তত চার বরীদ[2] হইবে।

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى رِيمٍ فَقَصَرَ الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ بُرُدٍ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله عن ابيه انه ركب الى ريم فقصر الصلاة في مسيره ذلك قال مالك وذلك نحو من اربعة برد


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that his father rode to Rim and shortened the prayer on the journey.

Malik said, "That was about four mail-stages." (approximately forty-eight miles).


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১২. সালিম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) সওয়ার হইয়া যাতুন-নুসুব (ذات النصب) নামক স্থানের দিকে গমন করিলেন। তিনি তাহার এই পরিমাণ যাত্রায় নামায কসর পড়িলেন।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, যাতুন-নুসুব ও মদীনার মধ্যে ব্যবধান হইল চার বরীদ।

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَكِبَ إِلَى ذَاتِ النُّصُبِ فَقَصَرَ الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَبَيْنَ ذَاتِ النُّصُبِ وَالْمَدِينَةِ أَرْبَعَةُ بُرُدٍ

حدثني عن مالك عن نافع عن سالم بن عبد الله ان عبد الله بن عمر ركب الى ذات النصب فقصر الصلاة في مسيره ذلك قال مالك وبين ذات النصب والمدينة اربعة برد



Yahya related to me from Malik from Nafi from Salim ibn Abdullah that Abdullah ibn Umar rode to Dhat an-Nusub and shortened the prayer on the journey.

Malik said, "There are four mail-stages between Dhat an-Nusub and Madina."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩১

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১৩. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) খায়বরের দিকে সফর করিতেন এবং নামায কসর পড়িতেন।

সালিম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত- আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পূর্ণ একদিনের সফরে কসর পড়িতেন।

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُسَافِرُ إِلَى خَيْبَرَ فَيَقْصُرُ الصَّلَاةَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقْصُرُ الصَّلَاةَ فِي مَسِيرِهِ الْيَوْمَ التَّامَّ

وحدثني عن مالك عن نافع عن ابن عمر انه كان يسافر الى خيبر فيقصر الصلاة وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان عبد الله بن عمر كان يقصر الصلاة في مسيره اليوم التام


Yahya related to me from Malik from Nafi from Ibn Umar that he used to travel to Khaybar and he would shorten the prayer.

Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that Abdullah ibn Umar used to shorten the prayer when he travelled for a whole day.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১৪. নাফি’ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর সঙ্গে এক বরীদ সফর করিতেন কিন্তু নামায কসর পড়িতেন না।

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ كَانَ يُسَافِرُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ الْبَرِيدَ فَلَا يَقْصُرُ الصَّلَاةَ

وحدثني عن مالك عن نافع انه كان يسافر مع ابن عمر البريد فلا يقصر الصلاة


Yahya related to me from Malik from Nafi that he used to travel one mail-stage with Ibn Umar, and he would not shorten the prayer.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. কত দূরের সফরে নামায কসর পড়া ওয়াজিব হয়

রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) মক্কা হইতে তায়েফ অথবা মক্কা হইতে উসফান বা মক্কা হইতে জিদ্দার সমান দূরত্বের স্থানে সফরে বাহির হইলে কসর পড়িতেন।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বর্ণনা করেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, উক্ত পথের দূরত্ব চার বরীদ পরিমাণ।

তিনি আরও বলিয়াছেন যে, নামায কসর পড়ার জন্য এতটুকু ব্যবধান বা দূরত্ব (مسافت) আমার নিকট পছন্দনীয়।

মালিক (রহঃ) আরও বলেন, যে ব্যক্তি সফরের নিয়ত করে, সে যতক্ষণ নিজের পল্লীর গৃহাদি ছাড়িয়া না যাইবে, ততক্ষণ নামায কসর পড়িবে না। অনুরূপ ফেরার পথেও যতক্ষণ নিজ গ্রামের সর্বপ্রথম গৃহ বা উহার নিকটতম স্থান পর্যন্ত না পৌছিবে নামায পূর্ণ পড়িবে না।

بَاب مَا يَجِبُ فِيهِ قَصْرُ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقْصُرُ الصَّلَاةَ فِي مِثْلِ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ وَفِي مِثْلِ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَعُسْفَانَ وَفِي مِثْلِ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَجُدَّةَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَرْبَعَةُ بُرُدٍ وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا تُقْصَرُ إِلَيَّ فِيهِ الصَّلَاةُ قَالَ مَالِك لَا يَقْصُرُ الَّذِي يُرِيدُ السَّفَرَ الصَّلَاةَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ بُيُوتِ الْقَرْيَةِ وَلَا يُتِمُّ حَتَّى يَدْخُلَ أَوَّلَ بُيُوتِ الْقَرْيَةِ أَوْ يُقَارِبَ ذَلِكَ

وحدثني عن مالك انه بلغه ان عبد الله بن عباس كان يقصر الصلاة في مثل ما بين مكة والطاىف وفي مثل ما بين مكة وعسفان وفي مثل ما بين مكة وجدة قال مالك وذلك اربعة برد وذلك احب ما تقصر الي فيه الصلاة قال مالك لا يقصر الذي يريد السفر الصلاة حتى يخرج من بيوت القرية ولا يتم حتى يدخل اول بيوت القرية او يقارب ذلك


Yahya related to me from Malik that he had heard that Abdullah ibn Abbas used to shorten the prayer when he travelled a distance equivalent to that between Makka and Ta'if, and that between Makka and Usfan and that between Makka and Jedda.

Malik said, "That is four mail-stages, and to me that is the most preferable distance for shortening the prayer."

Malik said, "Someone who intends to travel does not shorten the prayer until he has left the houses of the village. And he does not do it in full until he comes to the first houses of the village, or is nearby."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. ইকামত (কোন স্থানে অবস্থানের নিয়ত) না করিলে মুসাফির নামায কত রাক’আত পড়িবে

রেওয়ায়ত ১৬. সালিম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলিতেনঃ আমি যতক্ষণ অবস্থান করার নিয়ত না করি ততক্ষণ মুসাফিরের মত নামায পড়িতে থাকি, যদিও বা এই অবস্থায় বার রাত্রি পর্যন্ত আবদ্ধ থাকি।

بَاب صَلَاةِ الْمُسَافِرِ مَا لَمْ يُجْمِعْ مُكْثًا

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ أُصَلِّي صَلَاةَ الْمُسَافِرِ مَا لَمْ أُجْمِعْ مُكْثًا وَإِنْ حَبَسَنِي ذَلِكَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان عبد الله بن عمر كان يقول اصلي صلاة المسافر ما لم اجمع مكثا وان حبسني ذلك اثنتي عشرة ليلة


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that Abdullah ibn Umar used to say, "I pray the prayerof a traveller as long as I am undecided whether to remain somewhere or not, even if I am detained for twelve nights."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. ইকামত (কোন স্থানে অবস্থানের নিয়ত) না করিলে মুসাফির নামায কত রাক’আত পড়িবে

রেওয়ায়ত ১৭. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবন উমর (রাঃ) মক্কায় দশ রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করিয়াছিলেন এবং নামায কসর পড়িয়াছিলেন। কেবল ইমামের সাথে নামায পড়িলে তখন ইমামের নামাযের মতই পড়িতেন।

بَاب صَلَاةِ الْمُسَافِرِ مَا لَمْ يُجْمِعْ مُكْثًا

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ لَيَالٍ يَقْصُرُ الصَّلَاةَ إِلَّا أَنْ يُصَلِّيَهَا مَعَ الْإِمَامِ فَيُصَلِّيهَا بِصَلَاتِهِ

وحدثني عن مالك عن نافع ان ابن عمر اقام بمكة عشر ليال يقصر الصلاة الا ان يصليها مع الامام فيصليها بصلاته


Yahya related to me from Malik from Nafi that Ibn Umar stayed in Makka for ten nights, shortening the prayer, except when he prayed it behind an imam, in which case he followed the imam's prayer.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. মুসাফির ইকামতের নিয়ত করিলে তখনকার নামায

রেওয়ায়ত ১৮. আতা খোরাসানী (রহঃ) সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি চারি রাত্রি পর্যন্ত ইকামতের নিয়ত করিবে মুসাফির হওয়া সত্ত্বেও সে নামায পূর্ণই পড়িবে।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহা আমার পছন্দনীয় বটে।

মালিক (রহঃ)-কে কয়েদীদের নামায সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলিলেনঃ মুকীমের মতই নামায পড়িবে, কিন্তু যদি সে মুসাফির হয় (তবে কসর পড়িবে)।

بَاب صَلَاةِ الْإِمَامِ إِذَا أَجْمَعَ مُكْثًا

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ مَنْ أَجْمَعَ إِقَامَةً أَرْبَعَ لَيَالٍ وَهُوَ مُسَافِرٌ أَتَمَّ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ صَلَاةِ الْأَسِيرِ فَقَالَ مِثْلُ صَلَاةِ الْمُقِيمِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُسَافِرًا

حدثني يحيى عن مالك عن عطاء الخراساني انه سمع سعيد بن المسيب قال من اجمع اقامة اربع ليال وهو مسافر اتم الصلاة قال مالك وذلك احب ما سمعت الي وسىل مالك عن صلاة الاسير فقال مثل صلاة المقيم الا ان يكون مسافرا


Yahya related to me from Malik from Ata al-Khurasani that he heard Said ibn al Musayyab say, "A traveller who has decided to remain somewhere for four nights does the prayer in full."

Malik said, "That is what I prefer most out of what I have heard."

Malik when asked about the prayer of a prisoner, said, "It is the same as the prayer of a person who remains in one place, except if he is travelling."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. মুসাফিরের নামায যখন তিনি ইমাম হন অথবা অন্য ইমামের পিছনে নামায পড়েন

রেওয়ায়ত ১৯. সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) তাহার পিতা আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) যখন মক্কায় আসিতেন তখন তাহাদিগকে দুই রাকাআত নামায পড়াইতেন। (নামায শেষে) বলিতেনঃ হে মক্কাবাসীরা! তোমরা তোমাদের নামায পূর্ণ কর, কেননা আমরা মুসাফির।
আসলাম তাহার পিতা হইতে, তিনি উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) হইতে অনুরূপ রেওয়ায়ত বর্ণনা করিয়াছেন।

بَاب صَلَاةِ الْمُسَافِرِ إِذَا كَانَ إِمَامًا أَوْ كَانَ وَرَاءَ إِمَامٍ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ يَا أَهْلَ مَكَّةَ أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مِثْلَ ذَلِكَ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله عن ابيه ان عمر بن الخطاب كان اذا قدم مكة صلى بهم ركعتين ثم يقول يا اهل مكة اتموا صلاتكم فانا قوم سفر وحدثني عن مالك عن زيد بن اسلم عن ابيه عن عمر بن الخطاب مثل ذلك


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah from his father that Umar ibn al-Khattab, when he went to Makka, used to lead them in prayer and do two rakas and then say, "People of Makka,complete the prayer, we are a group travelling."

Yahya related the same as that to me from Malik from Zayd ibn Aslam from his father from Umar ibn al-Khattab.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. মুসাফিরের নামায যখন তিনি ইমাম হন অথবা অন্য ইমামের পিছনে নামায পড়েন

রেওয়ায়ত ২০. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) ইমামের ইকতিদা করিয়া নামায পড়িলে মিনাতে চারি রাকাআত পড়িতেন। আর একা পড়িলে তখন দুই রাকাআতই পড়িতেন।..

بَاب صَلَاةِ الْمُسَافِرِ إِذَا كَانَ إِمَامًا أَوْ كَانَ وَرَاءَ إِمَامٍ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي وَرَاءَ الْإِمَامِ بِمِنًى أَرْبَعًا فَإِذَا صَلَّى لِنَفْسِهِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ

وحدثني عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر كان يصلي وراء الامام بمنى اربعا فاذا صلى لنفسه صلى ركعتين


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to pray four rakas behind the imam at Mina, and when he prayed by himself he would pray two rakas.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৯. সফরে নামায কসর পড়া (كتاب قصر الصلاة فى السفر) 9/ Shortening the Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »