পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা
৫৫০১-[৮] নাফি (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) বলতেন, ইবনু সাইয়্যাদ যে মাসীহে দাজ্জাল, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। (আবূ দাউদ ও বায়হাক্বী’র “কিতাবুল বাসি ওয়ান্ নুযূর)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب قصَّة ابْن الصياد)
عَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا أَشُكُّ أَنَّ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ ابْنُ صيَّادٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «كِتَابِ الْبَعْثِ والنشور»
اسنادہ صحیح ، رواہ ابوداؤد (4330) و البیھقی فی البعث و النشور (لم اجدہ) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (وَاللَّهِ مَا أَشُكُّ) ইবনু উমার (রাঃ) কসম করে বলেন যে, আল্লাহর শপথ, নিশ্চয় ইবনু সাইয়্যাদই হচ্ছে মাসীহু দাজ্জাল। এতে কোন সন্দেহ নেই। এই হচ্ছে সেই যার ব্যাপারে নবী (সা.) সতর্ক করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা
৫৫০২-[৯] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাররাহ্ যুদ্ধের দিন থেকে আমরা ইবনু সাইয়্যাদ-কে আর খুঁজে পাইনি। (আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب قصَّة ابْن الصياد)
وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدْ فَقَدْنَا ابْنَ صَيَّادٍ يَوْمَ الْحَرَّةِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
اسنادہ ضعیف ، رواہ ابوداؤد (4332) * الاعمش مدلس و عنعن
ব্যাখ্যা: (قَدْ فَقَدْنَا ابْنَ صَيَّادٍ يَوْمَ الْحَرَّةِ) জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা হাররার দিন তথা ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়াহ্ যেদিন মদীনাবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেন, সেদিন ইবনু সাইয়্যাদ-কে খুঁজে পাইনি। বলা হয়, এটা তাদের বর্ণনার বিপরীত, যারা বলেছিল ইবনু সাইয়্যাদ মদীনায় মারা গেছে। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মূলত এটা (তাকে না পাওয়া) উক্ত বর্ণনার বিপরীত বুঝায় না। তাকে না পাওয়ার কারণ হলো, সে মদীনাতেই মারা গেছে, অন্য কোথাও অথবা সে মদীনায় মারা যায়নি, তবে আত্মপ্রকাশের আগ পর্যন্ত কোথাও বেঁচে আছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা
৫৫০৩-[১০] আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দাজ্জালের বাপ মা ত্রিশ বছর পর্যন্ত নিঃসন্তান থাকবে। অতঃপর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, যে হবে কানা, লম্বা লম্বা দাঁতবিশিষ্ট ও অকেজো। তার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যাবে কিন্তু তার অন্তর ঘুমাবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তার পিতামাতার অবস্থা বললেন, তার পিতা হবে পাতলা দেহবিশিষ্ট, ছিপছিপে লম্বা, তার নাক হবে পাখির ঠোটের মতো সরু। আর তার মাতা হবে মোটা দেহবিশিষ্ট, হাত দুইখানা লম্বা লম্বা। আবূ বকরাহ্ (রাঃ) বলেন, মদীনার ইয়াহূদীদের ঘরে (এ জাতীয়) একটি সন্তান জন্ম হওয়ার কথা আমরা শুনতে পেলাম। তখন আমি ও যুবায়র ইবনুল আওয়াম (তাকে দেখতে) গেলাম এবং তার পিতামাতার কাছে পৌছে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের উভয়ের ব্যাপারে যেরূপ বর্ণনা করেছিলেন, তারা হুবহু সেরূপই। অতঃপর আমরা তাদেরকে প্রশ্ন করলাম, তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বলল, ত্রিশ বছর পর্যন্ত আমরা নিঃসন্তান ছিলাম, অতঃপর আমাদের এমন একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, যে কানা, বড় বড় দাঁতবিশিষ্ট ও অপদার্থ। তার চোখ ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা তাদের নিকট থেকে বের হয়ে দেখি যে, সে সন্তান একখানা চাদর মুড়া দিয়ে রৌদ্রের মধ্যে শুয়ে আছে এবং তা হতে গুনগুন শব্দ শুনা যাচ্ছে। তখন সে মাথা থেকে চাদর সরিয়ে বলল, তোমরা দু’জনে কি কথা বলেছ? আমরা প্রশ্ন করলাম, আমরা যা বলেছি তুমি তা শুনেছ? সে বলল, হ্যা শুনেছি। আমার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যায়, কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب قصَّة ابْن الصياد)
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «يمْكث أَبُو الدَّجَّالِ ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ» . ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ فَقَالَ: «أَبُوهُ طُوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فِرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُود. فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ؟ فَقَالَا: مَكَثْنَا ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مجندل فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَن رَأسه فَقَالَ: مَا قلتما: وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا؟ قَالَ: نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَايَ وَلَا ينَام قلبِي رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2248 وقال : حسن غریب) * فیہ علی بن زید بن جدعان : ضعیف ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (يمْكث أَبُو الدَّجَّالِ ثَلَاثِينَ عَامًا) দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, তাদের কোন সন্তান জন্মাবে না। দাজ্জাল বলতে স্বয়ং দাজ্জাল হতে পারে, অথবা উক্ত ৩০ জন দাজ্জালের যে কোন একজন হতে পারে। যার বিবরণ ইতোপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
(ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلَامٌ) এরপর তার একজন পুত্র সন্তান হবে। সে হবে অন্ধ তথা জ্যোতিহীন চোখ বিশিষ্ট, বড় বড় মাড়ির দাঁতবিশিষ্ট, তার দ্বারা খুব কম উপকার পাওয়া যাবে। তার চক্ষু ঘুমাবে ঠিকই কিন্তু অন্তর জাগ্রত থাকবে। আল্লামাহ্ ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ সে ঘুমালেও তার কাছে শয়তানী
ওয়াসওয়াসার ধারাবাহিকতা জারি থাকবে, ফলে তার কুচক্রি চিন্তা-ভাবনা বন্ধ হবে না। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) - উম্মাতের চিন্তায় বিভোর থাকায় ঘুমালেও তার মন জাগ্রত থাকত।
(ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ) অতঃপর নবী (সা.) তার পিতা-মাতার বিবরণ আমাদেরকে পেশ করলেন। তার পিতা হবে দীর্ঘকায় শরীরে হালকা মাংসবিশিষ্ট তার নাক হবে পাখির ঠোটের ন্যায় দীর্ঘ। আর তার মা হবে মোটাসোটা অথবা দীর্ঘদেহের অধিকারী বড় বড় স্তন বিশিষ্ট এবং লম্বা লম্বা হাতবিশিষ্ট তথা দেহের তুলনায় হাত দীর্ঘ হবে।
(مُنْجَدِلٌ فِى الشَّمْسِ) সে সূর্যের আলোতে মাটিতে শায়িত অবস্থায় ছিল। আল্লামাহ তীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ সে মাটিতে শুয়েছিল। যেমনভাবে হাদীসে এই শব্দটি প্রয়োগ হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, (إِنّيِ عِنْدَاللَّهِ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَخَاتَمُ النَّنِيِّينَ،وَإِنَّ اَدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ)
অর্থাৎ আমি আল্লাহর কিতাবে শেষ নবী হিসেবে তখনো লিখিত ছিলাম যখন আদম আলায়হিস সালাম মাটিতে মিশে ছিল। (মুসনাদে আহমাদ হা, ১৭১৬৩: সহীহ লিগয়রিহী)
(وَلَهُ هَمْهَمَةٌ) আর তার ভিতর থেকে অস্পষ্ট কথার আওয়াজ বের হচ্ছিল। হামহামাহ্ বলা হয় ঘোড়ার দ্রুত চলার সময় আওয়াজের ন্যায় বুকের ভিতর কোন শব্দের প্রতিধ্বনি হওয়াকে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২৪৮)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা
৫৫০৪-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক সময় মদীনার জনৈকা মহিলা এমন একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিল, যার এক চোখ মোছানো, মাঢ়ির দাঁতগুলো মুখের বাহির পর্যন্ত লম্বা, তাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এই আশঙ্কা করেছিলেন যে, হয়তো সে-ই দাজ্জাল। অতঃপর একদিন তিনি (সা.) তাকে দেখলেন, সে একখানা চাদর জড়িয়ে শুয়ে গুনগুন করছে, তখন তার মা তাকে ডেকে বলল, হে ’আবদুল্লাহ! এই যে আবূল কাসিম। তখন সে চাদরের ভিতর হতে বের হলো, এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) (বিরক্তির সুরে) বললেন, এ মহিলাটির কি হলো আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন, যদি সে তাকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দিত, তাহলে প্রকৃত অবস্থা উদঘাটিত হয়ে যেত। অতঃপর বর্ণনাকারী জাবির ইবনু উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের মতো বর্ণনা করেন। তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে অনুমতি দিন, আমি তাকে হত্যা করে ফেলি।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, যদি সে প্রকৃত দাজ্জালই হয়, তবে তুমি তার হত্যাকারী নও, বরং তার হত্যাকারী হলেন ’ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ)। আর যদি সে প্রকৃত দাজ্জালই না হয়, তাহলে এমন এক লোককে হত্যা করা তোমার অধিকার নেই, যে নিরাপত্তা চুক্তির আওতার রয়েছে। বর্ণনাকারী জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন থেকে এই আশঙ্কা করতেন যে, হয়তো সে (ইবনু সাইয়্যাদ)-ই প্রকৃত দাজ্জাল। (শারহুস্ সুন্নাহ্)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب قصَّة ابْن الصياد)
وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ وَلَدَتْ غُلَامًا مَمْسُوحَةٌ عَيْنُهُ طَالِعَةٌ نَابُهُ فَأَشْفَقَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن يَكُونَ الدَّجَّالَ فَوَجَدَهُ تَحْتَ قَطِيفَةٍ يُهَمْهِمُ. فَآذَنَتْهُ أُمُّهُ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا أَبُو الْقَاسِمِ فَخَرَجَ مِنَ الْقَطِيفَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لَهَا قَاتَلَهَا اللَّهُ؟ لَوْ تَرَكَتْهُ لَبَيَّنَ فَذَكَرَ مِثْلَ مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ائْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَقْتُلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن يكن هُوَ فَلَيْسَتْ صَاحِبَهُ إِنَّمَا صَاحِبُهُ عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ وَإِلَّا يكن هُوَ فَلَيْسَ لَك أتقتل رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْعَهْدِ» . فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُشْفِقًا أَنَّهُ هُوَ الدَّجَّال. رَوَاهُ فِي شرح السّنة وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ الْفَصْلِ الثَّالِثِ
اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (5 / 78 ح 4274) [و احمد (3 / 368 ح 15018)] * فیہ ابو الزبیر مدلس و عنعن
ব্যাখ্যা: (فَأَشْفَقَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم) রাসূলুল্লাহ (সা.) তার উম্মতের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত হলেন এ কারণে যে, হয়তো সে দাজ্জাল হতে পারে। (যেহেতু দাজ্জালের গুণাবলির সাথে ইবনু সাইয়্যাদ-এর গুণাবলির মিল পাওয়া গেছে)
(فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُشْفِقًا أَنَّهُ هُوَ الدَّجَّال) রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তার উম্মতের ব্যাপারে সর্বদা ভীত থাকতেন এ কারণে যে, হয়তো ইবনু সাইয়্যাদই দাজ্জাল হতে পারে। কতিপয় গবেষক এর কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ইবনু সাইয়্যাদ-এর কতিপয় গুণাবলি দাজ্জালের সাথে মিল ও অমিল থাকায় নবী (সা.) তার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন এবং ধারণা করেছিল সে দাজ্জাল হতে পারে। এটা নবী (সা.) -এর দাজ্জাল সম্পর্কে নিশ্চিত সংবাদ জানার পূর্বের ঘটনা। যখন তিনি তামীম আদ দারী-এর ঘটনার মাধ্যমে সকলকে দাজ্জালের ফিতনাহ্ সম্পর্কে অবগত করলেন তখন তার উক্ত ধারণা দূরীভূত হয় যে, ইবনু সাইয়্যাদ প্রকৃত দাজ্জাল নয়। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর বর্ণনা একে আরো শক্তিশালী করে যে, তিনি ইবনু সাইয়্যাদ-এর সাথে মক্কার উদ্দেশে যাত্রা সঙ্গী হয়েছিলেন।
মূলত দাজ্জালের পিতা-মাতার গুণাবলির সাথে ইবনু সাইয়্যাদ-এর পিতামাতার গুণাবলি মিলে যাওয়ার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয় না যে, নিশ্চিতভাবে উভয়েই এক ব্যক্তি। এমনিভাবে ‘উমার (রাঃ) ও তার পূর্বের কসম খাওয়া এবং রাসূল (সা.) তার প্রতিবাদ না করার দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে, সেই দাজ্জাল। কেননা এটা ছিল তার বাস্তব ঘটনা অবগত হওয়ার পূর্বের অবস্থা। তাই তিনি সে সময় উম্মতের জন্য ভীত ছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)