৫৫০৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবনু সাইয়্যাদ-এর ঘটনা

৫৫০৩-[১০] আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দাজ্জালের বাপ মা ত্রিশ বছর পর্যন্ত নিঃসন্তান থাকবে। অতঃপর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করবে, যে হবে কানা, লম্বা লম্বা দাঁতবিশিষ্ট ও অকেজো। তার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যাবে কিন্তু তার অন্তর ঘুমাবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তার পিতামাতার অবস্থা বললেন, তার পিতা হবে পাতলা দেহবিশিষ্ট, ছিপছিপে লম্বা, তার নাক হবে পাখির ঠোটের মতো সরু। আর তার মাতা হবে মোটা দেহবিশিষ্ট, হাত দুইখানা লম্বা লম্বা। আবূ বকরাহ্ (রাঃ) বলেন, মদীনার ইয়াহূদীদের ঘরে (এ জাতীয়) একটি সন্তান জন্ম হওয়ার কথা আমরা শুনতে পেলাম। তখন আমি ও যুবায়র ইবনুল আওয়াম (তাকে দেখতে) গেলাম এবং তার পিতামাতার কাছে পৌছে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের উভয়ের ব্যাপারে যেরূপ বর্ণনা করেছিলেন, তারা হুবহু সেরূপই। অতঃপর আমরা তাদেরকে প্রশ্ন করলাম, তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বলল, ত্রিশ বছর পর্যন্ত আমরা নিঃসন্তান ছিলাম, অতঃপর আমাদের এমন একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, যে কানা, বড় বড় দাঁতবিশিষ্ট ও অপদার্থ। তার চোখ ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা তাদের নিকট থেকে বের হয়ে দেখি যে, সে সন্তান একখানা চাদর মুড়া দিয়ে রৌদ্রের মধ্যে শুয়ে আছে এবং তা হতে গুনগুন শব্দ শুনা যাচ্ছে। তখন সে মাথা থেকে চাদর সরিয়ে বলল, তোমরা দু’জনে কি কথা বলেছ? আমরা প্রশ্ন করলাম, আমরা যা বলেছি তুমি তা শুনেছ? সে বলল, হ্যা শুনেছি। আমার চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যায়, কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب قصَّة ابْن الصياد)

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «يمْكث أَبُو الدَّجَّالِ ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ» . ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ فَقَالَ: «أَبُوهُ طُوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فِرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُود. فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ؟ فَقَالَا: مَكَثْنَا ثَلَاثِينَ عَامًا لَا يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلَامٌ أَعْوَرُ أَضْرَسُ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مجندل فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَن رَأسه فَقَالَ: مَا قلتما: وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا؟ قَالَ: نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَايَ وَلَا ينَام قلبِي رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2248 وقال : حسن غریب) * فیہ علی بن زید بن جدعان : ضعیف ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা: (يمْكث أَبُو الدَّجَّالِ ثَلَاثِينَ عَامًا) দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, তাদের কোন সন্তান জন্মাবে না। দাজ্জাল বলতে স্বয়ং দাজ্জাল হতে পারে, অথবা উক্ত ৩০ জন দাজ্জালের যে কোন একজন হতে পারে। যার বিবরণ ইতোপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
(ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلَامٌ) এরপর তার একজন পুত্র সন্তান হবে। সে হবে অন্ধ তথা জ্যোতিহীন চোখ বিশিষ্ট, বড় বড় মাড়ির দাঁতবিশিষ্ট, তার দ্বারা খুব কম উপকার পাওয়া যাবে। তার চক্ষু ঘুমাবে ঠিকই কিন্তু অন্তর জাগ্রত থাকবে। আল্লামাহ্ ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ সে ঘুমালেও তার কাছে শয়তানী
ওয়াসওয়াসার ধারাবাহিকতা জারি থাকবে, ফলে তার কুচক্রি চিন্তা-ভাবনা বন্ধ হবে না। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) - উম্মাতের চিন্তায় বিভোর থাকায় ঘুমালেও তার মন জাগ্রত থাকত।

(ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ) অতঃপর নবী (সা.) তার পিতা-মাতার বিবরণ আমাদেরকে পেশ করলেন। তার পিতা হবে দীর্ঘকায় শরীরে হালকা মাংসবিশিষ্ট তার নাক হবে পাখির ঠোটের ন্যায় দীর্ঘ। আর তার মা হবে মোটাসোটা অথবা দীর্ঘদেহের অধিকারী বড় বড় স্তন বিশিষ্ট এবং লম্বা লম্বা হাতবিশিষ্ট তথা দেহের তুলনায় হাত দীর্ঘ হবে।
(مُنْجَدِلٌ فِى الشَّمْسِ) সে সূর্যের আলোতে মাটিতে শায়িত অবস্থায় ছিল। আল্লামাহ তীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ সে মাটিতে শুয়েছিল। যেমনভাবে হাদীসে এই শব্দটি প্রয়োগ হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, (إِنّيِ عِنْدَاللَّهِ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَخَاتَمُ النَّنِيِّينَ،وَإِنَّ اَدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ)
অর্থাৎ আমি আল্লাহর কিতাবে শেষ নবী হিসেবে তখনো লিখিত ছিলাম যখন আদম আলায়হিস সালাম মাটিতে মিশে ছিল। (মুসনাদে আহমাদ হা, ১৭১৬৩: সহীহ লিগয়রিহী)
(وَلَهُ هَمْهَمَةٌ) আর তার ভিতর থেকে অস্পষ্ট কথার আওয়াজ বের হচ্ছিল। হামহামাহ্ বলা হয় ঘোড়ার দ্রুত চলার সময় আওয়াজের ন্যায় বুকের ভিতর কোন শব্দের প্রতিধ্বনি হওয়াকে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২৪৮)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ