পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭০-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিজের উপার্জনের আহার সর্বোত্তম আহার। তোমাদের সন্তানদের উর্পাজনও তোমাদের উপার্জনের মধ্যে গণ্য। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَطْيَبَ مَا أَكَلْتُمْ مِنْ كَسْبِكُمْ وَإِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ كَسْبِكُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ. وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ وَالدَّارِمِيِّ: «إِنَّ أَطْيَبَ مَا أَكَلَ الرَّجُلُ مِنْ كَسْبِهِ وَإِنَّ وَلَده من كَسبه»
ব্যাখ্যা: (إِنَّ أَطْيَبَ مَا أَكَلْتُمْ مِنْ كَسْبِكُمْ) ‘‘তোমরা যা ভক্ষণ কর, তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট খাবার হচ্ছে তোমাদের উপার্জন’’। অর্থাৎ শিল্প, ব্যবসা অথবা কৃষিকার্যের মাধ্যমে তোমরা যা উপার্জন কর, তাই তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট খাবার।
(وَإِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ كَسْبِكُمْ) ‘‘তোমাদের সন্তানও তোমাদের উপার্জন।’’ কেননা ব্যক্তির সন্তান তারই অংশ। অতএব সন্তানের উপার্জন স্বীয় উপার্জনেরই অংশবিশেষ। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, (أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ) ‘‘তুমি ও তোমার মাল তোমার পিতার’’। ইবনু রুসলান বলেনঃ لِأَبِيكَ শব্দের মধ্যে لام বর্ণনাটি বৈধতা বুঝানোর জন্য, মালিকানা বুঝানোর জন্য নয়। কেননা সন্তানের মালের মালিক সন্তান নিজেই এবং এ মালের যাকাতও সন্তানের ওপর। আর সন্তান মারা গেলে পিতা সন্তানের মালের উত্তরাধিকার হয়। অতএব এ থেকে বুঝা গেল যে, প্রয়োজন অনুসারে পিতা সন্তানের মাল থেকে তার অনুমতি ব্যতীতই ব্যবহার করতে পারবে- এটা তার জন্য বৈধ। কিন্তু তাই বলে পিতা সন্তানের মালের মালিক নয়। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৫৮)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭১-[১৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ দান-সাদাকা করলে তা কবূল করা হবে না এবং (ঐ অর্থ-সম্পদ) নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ অর্থ-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মন্দের দ্বারা মন্দ মিটিয়ে দেন না, তবে সৎকাজ দ্বারা মন্দকাজ নির্মূল করেন। কেননা অবশ্যই মন্দ মন্দকে মিটাতে পারে না। (আহমাদ ও শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يكْسب عبد مَال حرَام فتيصدق مِنْهُ فَيُقْبَلُ مِنْهُ وَلَا يُنْفِقُ مِنْهُ فَيُبَارَكُ لَهُ فِيهِ وَلَا يَتْرُكُهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ إِلَّا كَانَ زَادَهُ إِلَى النَّارِ. إِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ وَلَكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ إِنَّ الْخَبِيثَ لَا يَمْحُو الْخَبِيثَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَكَذَا فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللّٰهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ) ‘‘আল্লাহ তা‘আলা খারাপ দ্বারা খারাপ দূর করেন না।’’ অর্থাৎ হারাম পন্থায় অর্জিত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করা আরেকটি খারাপ কাজ। আর খারাপ কাজ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তার হারাম উপায়ে সম্পদ অর্জনের অপরাধ ক্ষমা করেন না।
(وَلٰكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ) ‘‘বরং সৎকার্য দ্বারা অসৎকার্য দূরীভূত করেন।’’ অর্থাৎ হালাল উপায়ে অর্জিত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার অপরাধ ক্ষমা করেন। হাদীসের এ অংশটুকু আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ‘‘অবশ্যই সৎকর্ম অসৎকর্মকে বিদূরিত করে’’- (সূরা হূদ ১১ : ১১৪) এর দিকে ইঙ্গিত রয়েছে।
(إِنَّ الْخَبِيثَ لَا يَمْحُو الْخَبِيثَ) ‘‘অবশ্যই নাপাক নাপাকীকে বিদূরিত করে না।’’ বরং পবিত্র অপবিত্রতাকে বিদূরিত করে।
হাদীসের শিক্ষাঃ হারাম উপায়ে অর্জিত মাল আল্লাহর পথে ব্যয় করলে তা কবুল হয় না। বরং হারাম উপায়ে অর্জিত মাল আল্লাহর পথে ব্যয় করে সাওয়াব অর্জনের আশা করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭২-[১৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দেহের মাংস/মাংস হারাম উপার্জনে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (আহমাদ, দারিমী, বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
ব্যাখ্যা: (لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنَ السُّحْتِ) ‘‘হারাম মাল ভক্ষণ করে শরীরে যে গোশত গজিয়েছে তা জান্নাতে যাবে না।’’ অর্থাৎ হারাম ভক্ষণকারী ব্যক্তি প্রথমবারেই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। বরং হারাম ভক্ষণ করার শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যেতে পারবে। তবে যদি তাওবাহ্ করে অথবা তাওবাহ্ ব্যতীতই গুনাহ ক্ষমা করা হয় অথবা কারো সুপারিশ মঞ্জুর করা, তবে তা ভিন্ন কথা। আর যদি হারামকে হারাম মনে না করে তা হালাল মনে করে যেমন সুদকে হারাম মনে না করে তা হালাল মনে করে, তাহলে সে কক্ষনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কেননা তা কুফরী। আর কাফির চির জাহান্নামী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৩-[১৫] হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীটি মুখস্থ করে রেখেছি যে, যে কাজে মনে সন্দেহ-সংশয়ের উদ্রেক করে, সে কাজ পরিহার করে সংশয়-সন্দেহহীন কাজ করো। সত্য ও ন্যায়ের মধ্যে প্রশান্তি আছে, আর মিথ্যা ও অন্যায়ের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী; আর দারিমী’র প্রথম অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে)[1]
وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيبَةٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ الْفَصْل الأول
ব্যাখ্যা: (دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلٰى مَا لَا يَرِيبُكَ) ‘‘যাতে তোমার সন্দেহ হয় তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহ নেই তাই কর।’’ ‘আল্লামা তূরিবিশতী বলেনঃ যে কথা অথবা কাজে তোমার সন্দেহ হয় যে, এটা কি নিষিদ্ধ নাকি নিষিদ্ধ নয়, অথবা এটা কি সুন্নাত নাকি বিদ্‘আত এ রকম সন্দেহ সৃষ্টি হলে তুমি সেই কথা বা কাজ ছেড়ে দিয়ে এমন কথা বল বা এমন কাজ কর যে কথা বা কাজ হালাল হওয়া সুনিশ্চিত যাতে কোনো সন্দেহ নেই। মোট কথা হচ্ছে বান্দা তার কর্মের ব্যাপারে সন্দেহ বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবে না। সুনিশ্চিত ইয়াকীনের ভিত্তিতে কাজ করবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৫১৮)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৪-[১৬] ওয়াবিসাহ্ ইবনু মা’বাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার উদ্দেশে বললেন, হে ওয়াবিসাহ্! তুমি তো আমাকে ভালো ও মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছো। আমি উত্তরে বললাম, জি হ্যাঁ (হে আল্লাহর রসূল!)। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিজ আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে আমার সিনার উপর রেখে বললেন, তুমি তোমার অন্তরকে জিজ্ঞেস কর- এ কথাগুলো তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার বললেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে কাজে অন্তর স্থির থাকবে, যে কাজে অন্তর খুশী ও দ্বিধামুক্ত হয়, তাই ভালো কাজ। আর যে কাজে অন্তরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব লাগবে, অন্তরে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হবে, তাই মন্দ বা পাপ কাজ। যদিও জনগণ তাতে তোমাকে সমর্থন করে। (আহমাদ, দারিমী)[1]
وَعَن وابصَةَ بن مَعْبدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا وَابِصَةُ جِئْتَ تَسْأَلُ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ؟» قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَجَمَعَ أَصَابِعَهُ فَضَرَبَ صَدْرَهُ وَقَالَ: «اسْتَفْتِ نَفْسَكَ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ» ثَلَاثًا «الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ والدارمي
ব্যাখ্যা: (الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ) ‘‘সৎকাজ যাতে মনে ও অন্তরে প্রশান্তি আসে’’। ‘আল্লামা কাযী (রহঃ) বলেনঃ কোনো ব্যক্তির নিকট যখন কোনো বিষয় অস্পষ্ট হয় ও মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে এবং সে বুঝতে পারে না কোনটি ঠিক আর কোনটি বেঠিক তাহলে সে নিজেই যদি মুজতাহিদ হয় তাহলে সে বিষয়ে গভীর মনোযোগের সাথে চিন্তা-ভাবনা করবে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার জন্য। আর যদি নিজে মুজতাহিদ না হয়, তাহলে মুজতাহিদ ব্যক্তির নিকট থেকে জেনে নিবে। অতঃপর তার হৃদয় মন যা নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে চায় তা গ্রহণ করবে। আর যদি সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হতে না পারে তাহলে তা পরিত্যাগ করবে। আর যাতে কোনো সন্দেহ নেই সে বিষয়ের উপর ‘আমল করবে।
(وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِى النَّفْسِ) ‘‘আর তাই গুনাহ যা তোমার মন গুনাহ বলে সন্দেহ করে।’’ ‘আল্লামা জামাখশারী বলেনঃ যা তোমার মনে গুনাহ বলে দাগ কাটে বা তোমার চিন্তায় আসে যে, তা গুনাহের কাজ তবে তা গুনাহ।
(تَرَدَّدَ فِى الصَّدْرِ) ‘‘তোমার হৃদয় দ্বিধায় পড়ে।’’ অর্থাৎ হৃদয় খুশী মনে তা গ্রহণ না করে। আর এ অবস্থা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আল্লাহ তা‘আলা যার হৃদয়কে ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দিয়েছেন।
(وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ) ‘‘যদিও লোকেরা তা হালাল বলে ফতোয়া দেয়।’’ অর্থাৎ লোকেরা বলে যে, তা হক বা সঠিক, তবুও তুমি তাদের কথা গ্রহণ করবে না। কেননা তাদের কথা তোমাকে ভুলের মধ্যে ফেলতে পারে। কোনো ব্যক্তির হারাম মালও আছে এবং হালাল মালও আছে বলে তোমার জানা আছে আর কোনো মুফতী যদি ফতোয়া দেয় তার মাল নেয়া বা খাওয়া বৈধ, তবুও তুমি তা থেকে বিরত থাকবে। কেননা তুমি নিশ্চিন্ত নও যে, সে তোমাকে যে মাল দিয়েছে তা হালাল না হারাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৫-[১৭] ’আত্বিয়্যাহ্ আস্ সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাক্বী (পরহেজগার) হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে গুনাহের কাজ হতে বেঁচে থাকার জন্য গুনাহহীন কাজও এড়িয়ে না চলে (যাতে গুনাহে নিপতিত হওয়ার শংকা রয়েছে)। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن عطيَّةَ السَّعدِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ المتَّقينَ حَتَّى يدَعَ مَا لَا بَأْسَ بِهِ حَذَرًا لِمَا بِهِ بأسٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وابنُ مَاجَه
ব্যাখ্যা: (المتَّقينَ) ‘‘তাকওয়া অবলম্বনকারী’’ ইসলামী শারী‘আতের পরিভাষায় মুত্তাক্বী সেই ব্যক্তি যে নিজেকে যে সকল কাজ থেকে বিরত রাখে যে কাজ করলে শাস্তি অবধারিত, অনুরূপ সে সকল কাজ সম্পাদন করে যা না করলে শাস্তি অবধারিত।
তাকওয়ার ৩টি স্তর রয়েছে।
(১) শির্ক হতে মুক্ত হয়ে স্থায়ী শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
(২) প্রত্যেক ঐ কাজ পরিত্যাগ করা যা পরিত্যাগ না করলে গুনাহ হয় যদিও তা সগীরাহ্ গুনাহ এবং প্রত্যেক ঐ কাজ করা যা না করলে গুনাহ হয়।
(৩) প্রত্যেক ঐ বিষয় থেকে দূরে থাকা যে বিষয় তার অন্তরকে হক থেকে দূরে রাখে, বরং গোটা দেহ ও মন দিয়ে আল্লাহমুখী হওয়া। আর এটাই প্রকৃত তাকওয়া। আর এটি অর্জনের নির্দেশই প্রদান করেছেন আল্লাহ তা‘আলা এ বাণীর মধ্যে। اتَّقُوا اللهُ حَقَّ تُقَاتِه ‘‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যথাযথভাবে’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১০২)। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪৫১)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৬-[১৮] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদের সাথে সংশ্লিষ্ট দশ ব্যক্তির ওপর লা’নাত করেছেন- ১। যে মদ তৈরি করে, ২। যে মদ তৈরির নির্দেশ দেয়, ৩। যে মদ পান করে, ৪। যে মদ বহন করে, ৫। যার জন্য মদ বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, ৬। যে মদ পান করায়, ৭। যে মদ বিক্রি করে, ৮। যে মদের আয় উপভোগ করে, ৯। যে মদ ক্রয় করে, ১০। যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَمْرِ عَشَرَةً: عَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَشَارِبَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ وَسَاقِيَهَا وَبَائِعَهَا وَآكِلَ ثَمَنِهَا وَالْمُشْتَرِي لَهَا وَالْمُشْتَرَى لَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: (لَعَنَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فِى الْخَمْرِ عَشَرَةً) ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদের কারণে দশ প্রকার লোকের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন।’’ অর্থাৎ মদের সাথে জড়িত দশ শ্রেণীর লোকের প্রতি আল্লাহর লা‘নাত।
(وَبَائِعَهَا) ‘‘তা বিক্রয়কারী’’। অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজে মদ বিক্রয় অথবা অন্যের মদ বিক্রয় করে দেয় অথবা মদ বিক্রয়ে সহযোগিতা করে- এ সকল প্রকার লোকের প্রতিই আল্লাহর লা‘নাত বর্ষিত হয়।
(وَاٰكِلَ ثَمَنِهَا) ‘‘মদের মূল্য ভক্ষণকারীর’’। অর্থাৎ মদ উৎপাদন করে তা বিক্রয় করে তার মূল্য ভক্ষণকারী অথবা মদের ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করে তা ভক্ষণকারী- এরা সকলেই এ লা‘নাতের মধ্যে শামিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৭-[১৯] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদের ওপর, মদ পানকারীর ওপর, যে মদ পান করায় তার ওপর, মদ বিক্রেতার ওপর, মদ ক্রেতার ওপর, মদ তৈরিকারীর ওপর, মদের ফরমায়েশকারীর ওপর, মদ বহনকারীর ওপর এবং যার জন্য মদ বহন করা হয় তাদের ওপর আল্লাহ লা’নাত করেছেন। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَنَ اللَّهُ الْخَمْرَ وَشَارِبَهَا وَسَاقَيَهَا وَبَائِعَهَا وَمُبْتَاعَهَا وَعَاصِرَهَا وَمُعْتَصِرَهَا وَحَامِلَهَا وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: (لَعَنَ اللّٰهُ الْخَمْرَ) ‘‘আল্লাহ তা‘আলা মদের প্রতি লা‘নাত করেছেন।’’ কারণ মদ হলো অপকর্মের মূল। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা মদের প্রতি লা‘নাত করেছেন যাতে মানুষ এই হারাম বস্তু থেকে দূরে থাকে। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসে বর্ণিত মদের সাথে সম্পৃক্ত সকল প্রকার লোকের প্রতি আল্লাহর লা‘নাত। আর অত্র হাদীসে এ সম্পর্কে আলোচনা দীর্ঘ করার উদ্দেশ্য হলো যে কোনভাবেই হোক যদি কোনো ব্যক্তি মদের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে সে গুনাহগার বলে বিবেচিত হবে। এমনকি জেনে শুনে মদ উৎপাদনকারীর নিকট তার উপকরণ বিক্রয় করাও হারাম এবং এ বিক্রয়কারীও লা‘নাতের মধ্যে শামিল হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৮-[২০] মুহাইয়্যাসাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যে শিঙ্গা লাগায় তার কাজের পারিশ্রমিক ভোগ করার অনুমতি চাইলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে নিষেধ করলেন; তিনি বারবার অনুমতি চাইতে থাকলেন। পরিশেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ওই রোজগার তোমার পানি বহনের উট ও তোমার ক্রীতদাসের খাবারের খাতে ব্যয় কর। (মালিক, তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن محيصة أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أُجْرَةِ الْحَجَّامِ فَنَهَاهُ فَلَمْ يَزَلْ يَسْتَأْذِنُهُ حَتَّى قَالَ: «اعْلِفْهُ نَاضِحَكَ وَأَطْعِمْهُ رَقِيقَكَ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: (أَطْعِمْهُ رَقِيقَكَ) ‘‘তোমার দাসকে তা খাওয়াও।’’ অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাইয়্যাসাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, রক্তমোক্ষণের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ তুমি নিজে না খেয়ে তা তোমার দাসকে খাওয়াও।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাইয়্যাসাহ্-কে যে এ অর্থ খেতে নিষেধ করলেন- এ নিষেধ দ্বারা হারাম উদ্দেশ্য নয়। যদি তা উদ্দেশ্য হত তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাস ও আযাদের মধ্যে পার্থক্য করতেন না। কেননা যা হালাল নয় সেক্ষেত্রে মুনীবের জন্য বৈধ নয় যে, তা তার দাসকে খাওয়াবে। বরং এ নিষেধ এজন্য ছিল যে, লোকজন এ ধরনের নিম্নমানের পেশা নিজের জন্য বেছে না নিয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশার দিকে অগ্রসর হয়। আর দাসের তো কোনো মর্যাদা নেই। তাই তার পক্ষে এ নিম্নমানের পেশা দ্বারা উপার্জিত খাবার খেতে কোনো সংশয় নেই। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৯-[২১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর বিক্রির মূল্য ও গান গায়িকাদের উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وكسْبِ الزَّمارةِ. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: (وكسْبِ الزَّمارةِ) ‘‘পতিতাবৃত্তির উপার্জন নিষেধ করেছেন।’’ অর্থাৎ পতিতাবৃত্তি হারাম এবং উপার্জনও হারাম। (الزَّمارةِ) শব্দটি زمر থেকে উৎপত্তি, যার অর্থ গান গাওয়া। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ পতিতাকে زمارة এজন্য বলা হয় যে, এ পেশা গ্রহণকারী নারীরা অধিকাংশই গান গেয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেছে, শব্দটি মূলত زمارة নয়, বরং শব্দটি হলো رمازة। যার উৎপত্তি رماز থেকে। আর এর অর্থ হলো চোখ দিয়ে ইশারা করা। পতিতাগণ পুরুষদেরকে চোখের ইশারায় ডেকে থাকে, তাই এদেরকে رمازة বলা হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৮০-[২২] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা গায়িকা বেচা-কেনা করো না তাদেরকে (মেয়েদেরকে) গান শিক্ষাও দিয়ো না, এর মূল্য হারাম। এ জাতীয় কাজ যারা করে তাদের ব্যাপারেই কুরআন মাজীদের এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, অর্থাৎ- ’’কতক মানুষ আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশে অজ্ঞতাবশত অবান্তর কথাবার্তা ক্রয় করে আর আল্লাহ্র পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অবমাননাকর শাস্তি।’’- (সূরা লুকমান ৩১ : ৬)।
[আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি গরীব। আর ’আলী ইবনু ইয়াযীদ হাদীস বর্ণনা ক্ষেত্রে দুর্বল। জাবির (রাঃ)-এর ’বিড়াল খেতে নিষেধ করেন’ হাদীসটি ’যা খাওয়া হালাল’ অধ্যায়ে ইনশা-আল্লা-হ আমরা শীঘ্রই উল্লেখ করব।][1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ وَلَا تَشْتَرُوهُنَّ وَلَا تُعَلِّمُوهُنَّ وَثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ وَفِي مِثْلِ هَذَا نَزَلَتْ: (وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لهْوَ الحَديثِ)
رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعلي بن يزِيد الرواي يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ
وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ جَابِرٍ: نُهِيَ عَن أكل أهر فِي بَابِ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ إِنْ شَاءَ الله تَعَالَى
ব্যাখ্যা: (لَا تَبِيعُوا الْقَيْنَاتِ) ‘‘তোমরা গায়িকা দাসী বিক্রয় করবে না।’’ الْقَيْنَ বলা হয় দাসীকে, চাই সে গায়িকা হোক অথবা না হোক। ‘আল্লামা তূরিবিশতী বলেনঃ অত্র হাদীসে الْقَيْنَاتِ দ্বারা গায়িকা দাসী উদ্দেশ্য। কেননা দাসী যদি গায়িকা না হয় তাহলে তাকে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ নয় দাসী বিক্রয় করা বৈধ।
(ثَمَنُهُنَّ حَرَامٌ) ‘‘এদের মূল্য হারাম’’। অর্থাৎ যে সকল দাসী গায়িকা তাদের বিক্রয় করা হারাম এজন্য যে, এদের মূল্য হারাম। তাই তাদেরকে বিক্রয় করাও নিষিদ্ধ। তবে তারা যদি গান গাওয়া পরিত্যাগ করে তাহলে তাদেরকে বিক্রয় করা বৈধ এবং তাদের ক্রয়-বিক্রয় বিশুদ্ধ। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৮২; মিরকাতুল মাফাতীহ)