২৭৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা

২৭৭৫-[১৭] ’আত্বিয়্যাহ্ আস্ সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাক্বী (পরহেজগার) হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে গুনাহের কাজ হতে বেঁচে থাকার জন্য গুনাহহীন কাজও এড়িয়ে না চলে (যাতে গুনাহে নিপতিত হওয়ার শংকা রয়েছে)। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن عطيَّةَ السَّعدِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ المتَّقينَ حَتَّى يدَعَ مَا لَا بَأْسَ بِهِ حَذَرًا لِمَا بِهِ بأسٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وابنُ مَاجَه

ব্যাখ্যা: (المتَّقينَ) ‘‘তাকওয়া অবলম্বনকারী’’ ইসলামী শারী‘আতের পরিভাষায় মুত্তাক্বী সেই ব্যক্তি যে নিজেকে যে সকল কাজ থেকে বিরত রাখে যে কাজ করলে শাস্তি অবধারিত, অনুরূপ সে সকল কাজ সম্পাদন করে যা না করলে শাস্তি অবধারিত।

তাকওয়ার ৩টি স্তর রয়েছে।

(১) শির্ক হতে মুক্ত হয়ে স্থায়ী শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা।

(২) প্রত্যেক ঐ কাজ পরিত্যাগ করা যা পরিত্যাগ না করলে গুনাহ হয় যদিও তা সগীরাহ্ গুনাহ এবং প্রত্যেক ঐ কাজ করা যা না করলে গুনাহ হয়।

(৩) প্রত্যেক ঐ বিষয় থেকে দূরে থাকা যে বিষয় তার অন্তরকে হক থেকে দূরে রাখে, বরং গোটা দেহ ও মন দিয়ে আল্লাহমুখী হওয়া। আর এটাই প্রকৃত তাকওয়া। আর এটি অর্জনের নির্দেশই প্রদান করেছেন আল্লাহ তা‘আলা এ বাণীর মধ্যে। اتَّقُوا اللهُ حَقَّ تُقَاتِه ‘‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যথাযথভাবে’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১০২)। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪৫১)