পরিচ্ছেদঃ ৬৮: হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব
৬/৫৯৮। আলীর পুত্র হাসান রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (এ হাদীস) স্মরণ রেখেছি, ’’তা বর্জন কর, যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর, যাতে তোমার সন্দেহ নেই।’’ (তিরমিযী, সহীহ) [1]
بَابُ الْوَرَعِ وَتَرْكِ الشُّبُهَاتِ - (68)
وَعَنِ الحَسَنِ بنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: حَفِظتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
(68) Chapter: Leading an Abstemious Life and refraining from the Doubtful
Hasan bin 'Ali (May Allah be pleased with them) reported:
I have retained these words of Messenger of Allah (ﷺ), "Leave what causes you doubt and turn to what does not cause you doubt."
[At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith, as also mentioned previously, urges a believer to give up what appears to him doubtful.
পরিচ্ছেদঃ ৫১/ বিত্রের সালাতে দোয়া পড়া
১৭৪৯। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিতরের সালাতে (পড়বার জন্য) তিনি বলেছেন, তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ
باب الدُّعَاءِ فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فِي الْوَتْرِ قَالَ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ " .
It was narrated that Al-Hasan bin Ali said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) taught me these words in witr. He said: Say: Allahumma ihdini fiman hadayta wa 'afini fiman afayta wa tawallani fiman tawallayta wa barik li fima a'tayta, wa qini sharra ma qadayta, fa innaka taqdi wa la yuqda 'alayk, wa innahu la yadhilluman walayta, tabarakta Rabbana wa at'alayt. Wa salla Allahu ala al-Nabi Muhammad (O Allah, guide me among those whom You have guided, pardon me among those You have pardoned, turn to me in friendship among those on whom You have turned in friendship, and bless me in what You have bestowed, and save me from the evil of what You have decreed. For verily You decree and none can influence You; and he is not humiliated whom You have befriended. Blessed are You, O Lord, and Exalted. And may Allah (SWT) send salah upon the Prophet Muhammad)'"
পরিচ্ছেদঃ বিতরে দু’আ কুনূত পাঠ করা।
৪৬৪. কুতায়বা (রহঃ) ..... হাসান ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ বিতরে পাঠের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়েছেনঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
অর্থঃ ’’হে আল্লাহ! যাদের আপনি হিদায়াত করে তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত করুন, যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে দূরে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখুন, যাদের আপনি আপনার অভিভাবকত্বে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও আপনার অভিভাবকত্বে রাখুন। আপনি যা দিয়েছেন তাতে আপনি বরকত দিন। আপনি আমার তাকদিরে যা রেখেছেন এর অসুবিধা থেকে আমাকে রক্ষা করুন, আপনই তো ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীত তো ফয়সালা দিতে পারে না কেউ। আপনি যার বন্ধু তাকে তো লাঞ্ছিত করতে পারবে না কেউ। হে আমার রব! আপনি তো বরকতময় এবং সুমহান।’’ - ইরওয়া ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ ১০৯৫, সহিহ আবু দাউদ ১২৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। আবূল হাওরা আস্-সা’দী (রহঃ)-এর সূত্র ছাড়া আর কোনভাবে আমরা এই হাদীসটি সম্পর্কে জানি না। আবূ হাওরা আস-সা’দী এর নাম হল রাবীআ ইবনু শায়বান। দু’আ কুনুতের বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এর চেয়ে উত্তম কিছু বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। বিতরে কুনূত পাঠ সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সারা বছরেই কুনুত পাঠের কথা বলেন। তিনি রুকূ-এর পূর্বে কুনুত পাঠের অভিমত পছন্দ করেছেন। কতক আলিমের অভিমতও এই। সুফঈয়ান সাওরী ইবনু মুবারক, ইসহাক ও কূফাবাসী আলিমগণও এই মত ব্যক্ত করেছেন। আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রমযান মাসের শেষ অর্ধাংশ ব্যতীত দু’আ কুনূত পাঠ করতেন না, আর তিনি রুকূ-এর পর তা পাঠ করতেন। কতক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (রহঃ) এরও এই অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . وَلاَ نَعْرِفُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَقْنُتُ إِلاَّ فِي النِّصْفِ الآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
Al-Hasan bin Ali [may Allah be pleased with him] said:
"Allah's Messenger taught me some phrases to say during Al-Witr (Allahummahdini fiman hadait, wa a'fini fiman afait, wa tawallani fiman tawallait, wa barik Li fima atait, wa qini sharra ma qadait, fa Innaka taqdi wa la yuqda Alaik, wa innahu la yadhillu man walait, tabarakta Rabbana wa ta'alait.) 'O Allah guide me among those You have guided, pardon me among those You have pardoned, befriend me among those You have befriended, bless me in what You have granted, and save me from the evil that You decreed. Indeed You decree, and none can pass decree, and none can pass decree upon You, indeed he is not humiliated whom You have befriended, blessed are You our Lord and Exalted.'"
পরিচ্ছেদঃ সিয়াম পালনকারীর তোহফা।
৭৯৯. আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ...... হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সিয়াম পালনকারীর জন্য তুহফা হল তৈল ও মিজমার (ধূনা বা লোবান জাতীয় সুগন্ধি)। - যইফা ১৬৬০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব; এর সনদটি তেমন নয়। রাবী সা’দ ইবনু তারীফ ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। সা’দকে যঈফ গণ্য করা হয় এবং রাবী উমায়র ইবনু মামূনকে উমায়র ইবনু মামূমও বলা হয়।
باب مَا جَاءَ فِي تُحْفَةِ الصَّائِمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ مَأْمُونٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ " تُحْفَةُ الصَّائِمِ الدُّهْنُ وَالْمِجْمَرُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ طَرِيفٍ . وَسَعْدُ بْنُ طَرِيفٍ يُضَعَّفُ وَيُقَالُ عُمَيْرُ بْنُ مَأْمُومٍ أَيْضًا .
Al-Hasan bin Ali narrated that:
The Messenger of Allah said: "The gift for the fasting person is (fragrant) oil and a censer."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. রোযাদারের জন্য উপহার
৮০১। হাসান ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোযাদারের জন্য তোহফা হল তৈল ও লোবান জাতীয় সুগন্ধি।
মাওযু, যঈফা (১৬৬০)
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব, এর সনদ খুবএকটা মজবুত নয়। সাদ ইবনু তারীফ ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে এই প্রসঙ্গে আমরা জানি না। সাদকে দুর্বল রাবী বলা হয়েছে। উমাইর ইবনু মামূনকে উমাইর ইবনু মামূমও বলা হয়।
باب مَا جَاءَ فِي تُحْفَةِ الصَّائِمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ مَأْمُونٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ " تُحْفَةُ الصَّائِمِ الدُّهْنُ وَالْمِجْمَرُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ طَرِيفٍ . وَسَعْدُ بْنُ طَرِيفٍ يُضَعَّفُ وَيُقَالُ عُمَيْرُ بْنُ مَأْمُومٍ أَيْضًا .
Al-Hasan bin Ali narrated that:
The Messenger of Allah said: "The gift for the fasting person is (fragrant) oil and a censer."
পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ
১৬৩০. হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি কুনুতে পড়ি।’ এরপর তিনি (পূর্বের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ
১৬৩১. (অপর সনদে) হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি বিতরের কুনুতে পড়ি। (তা হলো:) “আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফী মান হাদাইতা, ওয়া ’আফিনী ফী মান ’আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইতা। ওয়া বারিক লী ফী মা আ’ত্বইতা, ওয়া ক্বিনী শারর মা ক্বযাইতা। ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইয়্যূক্বযা আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারকতা ওয়া তা’আলাইতা।”[1]
((অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদেরকে আপনার নৈকট্য দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে আপনার নৈকট্য দান করুন। আর আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আর আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করা যায় না। আর নিশ্চয়ই আপনি যাকে নৈকট্য দান করেছেন, তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না। আর আপনি মহা বরকতময় এবং সর্বোচ্চ মহান।))
আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবুল হাওরা’র নাম রবী’আ ইবনু শাইবান।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو الْحَوْرَاءِ اسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৩-[১৫] হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীটি মুখস্থ করে রেখেছি যে, যে কাজে মনে সন্দেহ-সংশয়ের উদ্রেক করে, সে কাজ পরিহার করে সংশয়-সন্দেহহীন কাজ করো। সত্য ও ন্যায়ের মধ্যে প্রশান্তি আছে, আর মিথ্যা ও অন্যায়ের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী; আর দারিমী’র প্রথম অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে)[1]
وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيبَةٌ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى الدَّارِمِيُّ الْفَصْل الأول
ব্যাখ্যা: (دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلٰى مَا لَا يَرِيبُكَ) ‘‘যাতে তোমার সন্দেহ হয় তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহ নেই তাই কর।’’ ‘আল্লামা তূরিবিশতী বলেনঃ যে কথা অথবা কাজে তোমার সন্দেহ হয় যে, এটা কি নিষিদ্ধ নাকি নিষিদ্ধ নয়, অথবা এটা কি সুন্নাত নাকি বিদ্‘আত এ রকম সন্দেহ সৃষ্টি হলে তুমি সেই কথা বা কাজ ছেড়ে দিয়ে এমন কথা বল বা এমন কাজ কর যে কথা বা কাজ হালাল হওয়া সুনিশ্চিত যাতে কোনো সন্দেহ নেই। মোট কথা হচ্ছে বান্দা তার কর্মের ব্যাপারে সন্দেহ বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবে না। সুনিশ্চিত ইয়াকীনের ভিত্তিতে কাজ করবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৫১৮)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪০. বিতর সালাতের দু‘আ কুনূত প্রসঙ্গে
১৪২৫। আবুল হাওরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল-হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এমন কতগুলো বাক্য শিখিয়েছেন, যা আমি বিতর সালাতে পাঠ করে থাকি। তা হলোঃ
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।
’’আল্লাহুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া’আ-ফিনী ফীমান ’আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউকদা ’আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইয্যু মান ’আ-দাইতা তাবা-রাকতা রববানা ওয়া তা’আলাইতা।’’[1]
সহীহ।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দোয়া পাঠ করাকে কুনূতের দোয়া বলা হয়। বেতর নামাজে কুনূতের দোয়া পাঠ করার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে নির্ভরযোগ্য পন্থায় সাব্যস্ত হয় নি। তবে তিনি আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] কে বেতর নামাজের কুনূতে পাঠ করার জন্য এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন বেতর নামাজে কুনূতের এই দোয়াটি কোনো কোনো সময় পাঠ করে।
২। বেতর নামাজের শেষ রাকাতে রুকূর পূর্বে অথবা রুকূ থেকে উঠার পর, উভয় অবস্থায় কুনূতের দোয়া পাঠ করা জায়েজ। কুনূতের দোয়াটি হলো এই যে,
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
باب الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَوَّاسٍ الْحَنَفِيُّ، قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ، قَالَ : قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عنهما عَلَّمَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ، قَالَ ابْنُ جَوَّاسٍ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " .
- صحيح
Narrated Al-Hasan ibn Ali:
The Messenger of Allah (ﷺ) taught me some words that I say during the witr. (The version of Ibn Jawwas has: I say them in the supplication of the witr.) They were: "O Allah, guide me among those Thou hast guided, grant me security among those Thou hast granted security, take me into Thy charge among those Thou hast taken into Thy charge, bless me in what Thou hast given, guard me from the evil of what Thou hast decreed, for Thou dost decree, and nothing is decreed for Thee. He whom Thou befriendest is not humbled. Blessed and Exalted art Thou, our Lord."
পরিচ্ছেদঃ কুরবানী
(১১৮৪) হাসান বিন আলী (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন যে, (কুরবানীর দিনে) আমরা যেন যথাসাধ্য সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরি, যথাসাধ্য সবচেয়ে ভাল সুগন্ধি ব্যবহার করি, যথাসাধ্য সবচেয়ে মোটা-তাজা কুরবানী দিই—গরু সাতজনের পক্ষ থেকে এবং উট দশজনের পক্ষ থেকে। আর আমরা যেন ’তকবীর’ সশব্দে বলি এবং প্রশান্তি ও ভদ্রতা বজায় রাখি।
عَنِ الْحَسَنِ بن عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَأَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ أَنْ نَلْبَسَ أَجْوَدَ مَا نَجِدُ وَأَنْ نَتَطَيَّبَ بِأَجْوَدِ مَا نَجِدُ وَأَنْ نُضَحِّيَ بِأَسْمَنِ مَا نَجِدُ الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْجَزُورُ عَنْ عَشَرَةٍ وَأَنْ نُظْهِرَ التَّكْبِيرَ وَعَلَيْنَا السَّكِينَةُ وَالْوَقَارُ
পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব
(২৪১৯) আলীর পুত্র হাসান (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (এ হাদীস) স্মরণ রেখেছি, তা বর্জন কর, যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর, যাতে তোমার সন্দেহ নেই।
وَعَنِ الحَسَنِ بنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : حَفِظتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ সত্যবাদিতার গুরুত্ব
(৩৫৪৯) আবূ মুহাম্মাদ হাসান ইবনে আলী ইবনে আবী ত্বালেব (রাঃ) বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এই শব্দগুলি স্মরণ রেখেছি যে, তুমি ঐ জিনিস পরিত্যাগ কর, যে জিনিস তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর যাতে তোমার সন্দেহ নেই। কেননা, সত্য প্রশান্তির কারণ এবং মিথ্যা সন্দেহের কারণ।
عَنْ أَبِـيْ مُـحَمَّدٍ الْحَسَنِ بنِ عَليِّ بنِ أَبِيْ طَالِبٍ رَضِيَ الله عَنهُما قَالَ : حَفظْتُ مِنْ رَسُول الله ﷺ دَعْ مَا يَرِيْبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ ؛ فإنَّ الصِّدقَ طُمَأنِينَةٌ وَالكَذِبَ رِيبَةٌ رواه الترمذي وَقالَ حديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - বিতরের কুনূতে যা পড়তে হয়
৩০৮. হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিতর সালাতের কুনূতে পড়ার জন্য কতগুলো বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন যা আমি বিতর সালাতের কুনূতে পড়ে থাকি।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়তা, ওয়া আফিনী ফীমান আফায়তা, ওয়া তাওয়াল-লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়া বারিক লী ফীমা আ’তায়তা, ওয়া কিনী শাররা মা কাদায়তা, ফাইন্নাকা তাকদী ওয়া লা ইয়ুকদা আলায়কা ইন্নাহু লা ইয়াদিল্লু মান ওয়ালায়তা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তা’আলায়তা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত দান কর, যাদের তুমি হিদায়াত করেছ তাদের সাথে। আমাকে মাফ করে দাও, যাদের মাফ করেছ তাদের সাথে। আমার অভিভাবক হও, যাদের অভিভাবক হয়েছে তাদের সাথে। তুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাও। আর আমাকে ঐ অনিষ্ট হ’তে বাঁচাও, যা তুমি নির্ধারণ করেছ। তুমি ফায়সালা কর কিন্তু তোমার উপরে কেউ ফায়সালা করতে পারে না। তুমি যার সাথে শত্রুতা রাখ, সে সম্মান লাভ করতে পারে না। নিশ্চয়ই অপমান হয়না সেই যাকে তুমি মিত্র হিসাবে গ্রহণ করেছ। হে আমাদের রব! তুমি বরকতময়, তুমি উচ্চ এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামমুং-এর উপর রহমত অবতীর্ণ হোক’।
তাবারানী ও বাইহাকী বৃদ্ধি করেছেন: উচ্চারণ : ওয়ালা ইয়াউযযু মান ’আদাইতা “তুমি যার সাথে শক্ৰতা পোষণ কর সে কখনো ইজ্জত লাভ করতে পারে না।” নাসায়ীতে ভিন্ন সূত্রে আরো রয়েছে : উচ্চারণ: ওয়া সল্লাল্লাহু ’আলান নাবিয়্যি। “আর নবীর প্রতি আল্লাহর সালাত (দরুদ) বর্ষিত হোক।[1]
কুনূতের শেষে وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ শব্দগুলো বলা সম্পর্কিত বৰ্ণনার ব্যাপারে ইমাম নববী তাঁর আল মাজমূ’ (৩/৪৯৯) গ্রন্থে এবং ইমাম সাখাবী তাঁর আল কাওলুল বাদী’ (২৬১) গ্রন্থে বলেন, এর সানাদ হাসান অথবা সহীহ ও আল আযকার (৮৭) গ্রন্থে এর সানাদকে হাসান বলেছেন। ইবনুল মুলকিন তাঁর তুহফাতুল মুহতাজ (১/৪১০) গ্রন্থে এর সানাদকে হাসান বলেছেন। পক্ষান্তরে ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর নাতায়িজুল আফকার (২/১৫৩) গ্রন্থে বলেন, এই অতিরিক্ত অংশটির সানাদ গরীব, সাব্যস্ত নয়, কেননা আবদুল্লাহ বিন আলী পরিচিত নয়। ইবনু হাজার আত তালখীসুল হাবীব (১/৪০৫) গ্রন্থে উপরোক্ত ইমাম নববীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, তিনি যে সহীহ অথবা হাসান বলেছেন, তা সঠিক নয়, কেননা, হাদীসটি মুনকাতি’ বা বিচ্ছিন্ন। শাইখ আলবানী তামামুল মিন্নাহ (২৪৩) গ্রন্থে বলেন, কুনূতের শেষে যে অতিরিক্ত শব্দগুলো রয়েছে সেটি দুর্বল। কেননা, এর সানাদে অজ্ঞতা ও বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। শাইখ আলবানী যঈফ নাসায়ী (১৭৪৫) গ্রন্থে দুর্বল ও ইরওয়াউল গালীল (২/১৭৬), সিফাতুস সালাত (১৮০) গ্রন্থে এর সানাদকে দুর্বল বলেছেন।
وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ: اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ, وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ, وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ, وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ, وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ, فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ, إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ, تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ. رَوَاهُ الْخَمْسَةُ
وَزَادَ الطَّبَرَانِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ: «وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ
زَادَ النَّسَائِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فِي آخِرِهِ: «وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ*
-
صحيح. رواه أبو داود (1425)، والنسائي (3/ 248)، والترمذي (464)، وابن ماجه (1178)، وأحمد (1/ 199 و 200)
*ضعيف. رواه النسائي (3/ 248) وزاد: «محمد» وسنده منقطع كما صرح بذلك الحافظ في التلخيص
পরিচ্ছেদঃ ২৩: ইমামের খুৎবায় সদাক্বার প্রতি উৎসাহ দেয়া
১৫৮০. ‘আলী ইবনু হুজুর (রহ.) ..... হাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত। ইবনু আব্বাস (রাঃ) একবার বাসরায় খুৎবাহ্ দিচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা স্বীয় সওমের যাকাত আদায় কর। তখন লোকেরা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল। তিনি বললেন, এখানে মদীনার বাসিন্দা কে কে আছো? তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট যাও এবং তাদের দীনী ইলম শিক্ষা দাও। কেননা তারা জানে না যে, রসূলুল্লাহ (সা.) ছোট, বড়, আযাদ, গোলাম, পুরুষ এবং মহিলা সবার ওপর অর্ধ সা' গম অথবা এক সা' খেজুর এবং যব ফরয করেছেন।
باب حَثِّ الإِمَامِ عَلَى الصَّدَقَةِ فِي الْخُطْبَةِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قال: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ هَارُونَ، قال: أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ خَطَبَ بِالْبَصْرَةِ، فَقَالَ أَدُّوا زَكَاةَ صَوْمِكُمْ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَقَالَ: مَنْ هَاهُنَا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، قُومُوا إِلَى إِخْوَانِكُمْ فَعَلِّمُوهُمْ، فَإِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَضَ صَدَقَةَ الْفِطْرِ عَلَى الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ، وَالْحُرِّ وَالْعَبْدِ، وَالذَّكَرِ وَالْأُنْثَى نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ شَعِيرٍ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الزکاة ۲۰ (۱۶۲۲) مطولاً، (تحفة الأشراف: ۵۳۹۴)، مسند احمد ۱/۲۲۸، ۳۵۱، ویأتی عند المؤلف برقم: ۲۵۱۰، ۲۵۱۷ (صحیح) (سند میں حسن بصری کا سماع ابن عباس رضی اللہ عنہم سے نہیں ہے، اس لیے صرف حدیث کا مرفوع حصہ دوسرے طرق سے تقویت پاکر صحیح ہے)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1581 - صحيح المرفوع منه
Imam urging (the people) to give charity
It was narrated from Al-Hasan that : Ibn 'Abbas gave a Khutbah in Al-Basrah and said: Pay the zakah of your fasting. The people started looking at one another. He said: Whoever there is here from the people of Al-Madinah, get up and teach your brothers, for they do not know that the Messenger of Allah (ﷺ) enjoined sadaqat al-fitr on the young and the old, the free and the slave, the male and the female; half a sa' of wheat or a sa' of dried dates or barley.'
পরিচ্ছেদঃ ৫১: বিতরের সালাতে দুআ পড়া
১৭৪৬. মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ্ (রহ.) ..... হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিতরের সালাতে (পড়ার জন্যে)-
“আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়দা ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ-তয়তা ওয়াতাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়াকিনী শাররা মা- কযয়তা ফাইন্নিকা তাকযী ওয়ালা- ইউকযা- ‘আলায়কা ওয়া ইন্নাহু লা-ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লায়তা তাবা-রকতা রব্বানা- ওয়াতা’আ-লায়তা ওয়া সল্লাল্ল-হু আলান নাবিয়্যি মুহাম্মাদ।”
باب الدُّعَاءِ فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ فِي الْوِتْرِ، قَالَ: قُلْ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ، وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ .
تخریج دارالدعوہ: انظر ماقبلہ (صحیح) (لیکن ’’وصلی اللہ …کا ٹکڑا صحیح نہیں ہے، اس کے راوی ’’عبداللہ بن علی زین العابدین‘‘ لین الحدیث ہیں، اوپر کی حدیث سے تقویت پاکر یہ صحیح ہے)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1747 - ضعيف
Supplicating during witr
It was narrated that Al-Hasan bin Ali said: The Messenger of Allah (ﷺ) taught me these words in witr. He said: Say: Allahumma ihdini fiman hadayta wa 'afini fiman afayta wa tawallani fiman tawallayta wa barik li fima a'tayta, wa qini sharra ma qadayta, fa innaka taqdi wa la yuqda 'alayk, wa innahu la yadhilluman walayta, tabarakta Rabbana wa at'alayt. Wa salla Allahu ala al-Nabi Muhammad (O Allah, guide me among those whom You have guided, pardon me among those You have pardoned, turn to me in friendship among those on whom You have turned in friendship, and bless me in what You have bestowed, and save me from the evil of what You have decreed. For verily You decree and none can influence You; and he is not humiliated whom You have befriended. Blessed are You, O Lord, and Exalted. And may Allah (SWT) send salah upon the Prophet Muhammad)'